যুক্তি তর্ক গল্পে ৮ নোক্তা~
১.
মিথ, পরস্পর পালটা মিথ, বা প্রচন্ড দ্বি ম ত। কথিত দেবী দুর্গার যেমন লিখিত প্রামান্য ইতিহাস নাই, তেমনি কথিত সান্তাল রাজা অসুরেরও লিখিত প্রামাণ্য ইতিহাস নাই।
এ যেন "শিলা জলে ভাসি যায়, বানরে গীত গায়" সমান।
//তবে নৃত্বত্ত্বের অ আ ক খ বলছে// :
২. দেবী দুর্গার গায়ের রং ফর্সা, দীর্ঘ ধারালো ও বাঁকা কালো চোখ, দীর্ঘ ঢেউ খেলানো চুল ইংগিত দিচ্ছে, তিনি এদেশের জল-হাওয়ার কেউ নন, বহিরাগত বিদেশীনি তো বটেই, সম্ভবত ভারতবর্ষের দখলদার আর্য-জাত রাজনৈতিক দেবী,
৩. অন্যদিকে, ভারতবর্ষের আদিবাসী সান্তাল মিথের কথিত রাজা অসুর রাজা দৃশ্যত কালো চামড়ার, পেশি বহুল ও ঢেউ খেলানো বাবড়ি চুলের, যা এ দেশের জল-হাওয়ার সাথে সংগতিপূর্ণ, আদিবাসী পুরুষজাত বলে সন্দেহ হয়,
৪. লক্ষ্যনীয়, কথিত দেবী জ্ঞানে দুর্গা যেহেতু অধিক পূজিত ও ঘরে ঘরে "শুভ" র আরাধনা, সেহেতু ভিলেন (মহি) অসুর (বাস্তবে নিম্নবর্গের, অচ্ছুৎ, আদিবাসী রাজা[!?] তেমনই প্রাচীন আর্যগণ প্রভুদের দ্বারা যেন চাপিয়ে দেয়া "অশুভ" এবং তেমনি অচ্ছুৎ।
৫. এখন সান্তালরা কেন এই সেদিনও হিন্দু ব্রাহ্মণ্য সমাজের নিষেধাজ্ঞা বা ভয়ে লুকিয়ে অসুর পূজা করেন, বা সান্তালী গানে হাজার বছর ধরে কথিত দেবী দুর্গাকে "বেশ্যা" বলা হয়েছে, তা গবেষণার বিষয়,
৬. মান্যবর এক্টিভিস্ট শরদিন্দু উদ্দীপন আদিবাসী, চণ্ডাল, নিম্নবর্গ, দলিত অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবন পাত করছেন বহুবছর, মানলাম ফেকু লেঞ্জার "চ্যালেঞ্জ
মোকাবেলা" বা প্রমান হাজির-নাজিরে তিনি সত্যিই অক্ষম, কিন্তু আদিবাসী সান্তাল সমাজের যুগ যুগ ধরে পাথর চাপা কান্না ও কথিত দেবী দুর্গার প্রতি অভিশাপও ইতিহাস, এই মানবিক মূল্যবোধ, ইনভেলিট হয়ে যায় না।
৭. শরদীন্দু ব্রাহ্মণ্য হিন্দু সমাজের মুখে প্রচণ্ড চপেটাঘাত দিয়ে আরেকটি অকপট সত্য বলেছেন, যা চাড্ডি গং নিজ "চেহারা সুরত নাম ধাম পরিচয়"
প্রকাশের হেডমে বলতে অক্ষম-- তার দাবি, পূজার নামে, উৎসবের নামে এই "নরহত্যার প্রজেকশন বন্ধ" হোক।
শাবাশ! জোহার! উজো!
৮.
পাশের বাড়িতে একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন, কাদায় নেমে শুওরের সাথে কুস্তি লড়ে লাভ কী?
সংগে সংগে উত্তর এলো, ধুর মশাই! শুওরের সাথে কুস্তি লড়ার মজাই আলাদা!
অধম অবশ্য প্রথম জনের সাথেই যাবেন।
জ্জয় চণ্ডাল!!
পুনশ্চঃ কলিকালে নাকি লিংক ছাড়া গীত নাই, এর বিপরীতে এই গীত সম্পূর্ণ লিংক ছাড়াই, গুরুগণ দরকারে গুগল মামাকে জিজ্ঞেস করে নিজ দায়িত্বে লিংক খুঁজে নেবেন, নিবেদন ইতি।
