এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • ভূতের গল্প

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ০৩ অক্টোবর ২০২০ | ২৬০৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • মানুষদের সময় সামনের দিকে এগোয়। যে শিশুর জন্ম ২০১০ সালে সে ক্রমশঃ বড় হয় ২০১১, ২০১২ সাল ধরে। সে ইচ্ছে করলেও ২০০৫ সালে যেতে পারবে না। ভূতেদের উল্টো। তাদের সময় পেছনদিকে চলে। যে লোকটা ২০১০ সালে মরে ভূত হল সে ক্রমশঃ পেছতে থাকবে - ২০০৯, ২০০৮ ... ভূত জীবনের বয়েস যখন ১০ তখন সে ঠিক সেই জিনিস প্রত্যক্ষ করবে যা তার জীবিতকালের ২০০০ সালে ঘটেছিল। খালি তফাত একটাই। মানুষ সময় ধরে পেছনে হাঁটতে পারেনা। তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি সামনের দিকে। ভূতেদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি পেছনের দিকে হলেও, তারা সময় বিশেষে সামনের দিকে যেতে পারে। মানে ২০১০-এ যার মৃত্যু সে চেষ্টা করে ২০১১, ২০১২ এমনকি ২০৫০-এও যেতে পারে। যদি তখনও ভূত হয়ে থাকে। কিন্তু সে বড় কষ্টের আর কঠিন কাজ। অধিকাংশ প্ল্যানচেটই বুজরুকি। কিন্তু সত্যিকারের প্ল্যানচেট হলে তার ডাক ভূতলোকে পৌঁছয়। যাকে ডাক দেওয়া, সে শুনতে পায়। কিন্তু সেই ডাক অনুসরণ করে ভবিষ্যতে ফিরে আসা খুব কষ্টের।  

    এসব আমি কী করে জানলাম? জানলাম, কারণ আমি নিজে ভূত। ২০৪৮ সালে ৮০ বছর বয়সে আমার জীবনকাল শেষ হয়ে পরকাল শুরু হয়েছে। এই ২০১৮ সালে ভূত হিসেবে আমার বয়েস এখন তিরিশ। পরেরবছর আমার ভূতবয়েস হবে একতিরিশ। আমি ফিরে যাব ২০১৭ সালে। দেখা হবে আমার ঊনপঞ্চাশ বছরের নিজের জীবনের সঙ্গে।

    এতেই মাথা ঘুরছে? এরপরে যদি বলি আমাদের, মানে ভূতেদের, সিনেমার রীল পেছনে গেলে যেমন দেখায়, সবকিছু সেরকম ব্যাকগিয়ারে চলে, তাহলে তো মশাই আপনার ব্রেনের সব তার জড়িয়ে জিলিপি হয়ে যাবে। হ্যাঁ আমাদের ঘটনাও সব পেছনদিকে চলে। মানে টেস্ট ম্যাচের ফিফথ ডে-র খেলা দেখি আগে। তারপরে ফোর্থ ডে, থার্ড ডে - এরকম। আমাদের খেলা শেষ হয় ফার্স্ট ডে-র প্রথম বলে। কোন পরিবারের দেখি বাচ্চা হল, তারপরে বিয়ে হল, তারপরে পাত্র-পাত্রীর পরিচয় - এইরকম আর কী! মরে যাবার পরে প্রথম প্রথম খুব গুলিয়ে যেত। এখন অভ্যেস হয়ে গেছে। এই তো সেদিন সিংগিদের তিনতলার কার্নিশে বসে দোল খাচ্ছিলাম। দেখি রাস্তায় সিংগিদের ছোট বউয়ের বডি পড়ে আছে। তার পরে দেখলাম বডিটা পাঁচতলা থেকে পড়ছে। আমি পাঁচতলায় উঠে গেলাম। দেখলাম সিংগিদের ছোট ছেলে আর তার প্রেমিকা মিলে ছোট বউকে ধাক্কা দিল। একটু পরে আমি আগের রাত্তিরে গিয়ে ছেলেটাকে স্কন্ধকাটা বউ সেজে খুব করে ভয় দেখালাম। তার ফলে হল কি, সত্যিকারের জীবনে আর সে বউকে আর ঠেলা দিতে পারলনা। বউটা বেঁচে গেল। কেউ জানলও না যে এই ভূতশর্মা না থাকলে ঠিক দুককুর বেলা ছেলে দিত ঠেলা আর সিংগিদের ছোটবউ পেত অক্কা।

    এ সব ঠিক আছে। জীবনে যেমন স্পাইস চাই, এগুলো মরণের স্পাইস। এমনিতে ভূত জীবন দিব্যি আরামের। সূক্ষ্ণদেহ। খিদে-তেষ্টা-ক্লান্তি-ঘুম কিচ্ছু নেই। যেখানে সেখানে বেড়াও। ইচ্ছে করলে দেহ ধারণ কর, নইলে নয়। খালি একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় - জীবিত আমির সঙ্গে যেন দেখা না হয়ে যায়। দেখা হলেও ছোঁয়াছুঁয়ি একেবারে নৈব নৈব চ। হলেই ব্যাস। ভূতের অক্কাপ্রাপ্তি। ভূতজীবন শেষ। তারপরে যে যে কী হবে, তার কোন ঠিক নেই। একেকজনের একেক রকম হয়। কেউ একেবারে নিপাত্তা হয়ে যায়, কেউ আবার কোথায় গিয়ে জন্মায়। ঠিক কি কি হতে পারে, কেউ জানেনা। 

    কদিন আগে যা হল, সে যাকে বলে একেবারে কেলেংকারিয়াস কান্ড। আমি তো থাকি সিংগিদের চিলেকোঠার ঘরে। চিলেকোঠার ঘরটা ভূতেদের মেসের মতন। আমরা জনা ছয়েক বিভিন্ন বয়েসের ভূত থাকি। মাঝে মাঝে এক একজন গেস্ট ভূত আসে - পাকা জায়গা পাওয়া অব্দি থাকে। তারপরে চলে যায়। আমাদের মেসে থাকেন দীনবন্ধুবাবু। হাইকোর্টে সিভিল কেসে প্র্যাকটিস করতেন। একদিন বাসে ধাক্কায় টেঁসে গিয়ে এই মেসে এসে জুটেছিলেন। সে আমি আসারও আগে। সেই থেকে আছেন।  তো একদিন দীনবন্ধুবাবু বললেন যে শ্যাওড়াফুলিতে নাকি কোন পুরনো বাড়ি প্রোমোটার ভাঙছে, তাই সেখানকার সব ভূত বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে। দীনবন্ধুবাবুর জীবিতকালের জুনিয়ার দেবু সেই বাস্তুহারাদের একজন। সে এসে কদিন মেসে থাকবে, আমরা যদি অনুমতি দিই। আমরা সব পার্মানেন্ট ভূতেরা বললাম, "হ্যাঁ, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। সে আর বলতে!"

    তা কদিন পরে দেবু এসে হাজির হল। হাজির তো হল, কিন্তু বাড়ি দেখে তার চক্ষুস্থির। "দিনুদা, তুমি আগে বলনি তো যে তুমি সিংগিবাড়িতে থাক!"

    - কেন রে, সে আর বলবার কি আছে? তুইও কি বলেছিলি, তুই শ্যাওড়াফুলিতে থাকিস? 
    - দাদা, এ আমার শ্বশুরবাড়ি!
    - বলিস কি রে? নিজের শ্বশুরবাড়ি?
    - তবে আর বলছি কি? আমার মিসেস তো সিংগিমশাইয়ের বড় নাতনি, বড় ছেলের ছোট মেয়ে। আমাকে বিয়ের দিনে দেখনি?
    - আমার কি আর ছেলেছোকরাদের বিয়ে-টিয়ে দেখার সময় আছে? তাছাড়া বিয়েশাদির সময় বাড়িতে মেলা ভিড়। এই চিলেকোঠার ঘর পরিষ্কার-টরিষ্কার হয়, জগ্যিবাড়ির ভাঁড়ার করে। আমরা কজন তো  অতিষ্ঠ হয়ে ও সময়ে হয় নিমগাছে গিয়ে আশ্রয় নিই আর নইলে লাহাদের মেসে গিয়ে থাকি কদিন ঘেঁষাঘেঁষি করে। তা তোর কবে হল বিয়ে? 
    - এই তো মানুষের আগের বছর।
    - হারামজাদা, মানুষের আগের বছর মানে তো আমাদের পরের বছর। সে এখন দেখব কি করে? 
    - ও তাও তো।
    - যাকগে, এক বছর দেরি আছে। তদ্দিনে তুই অন্য জায়গা পেয়ে যাবি। ও নিয়ে এখন ভাবতে হবে না।
    - না গো দিনুদা, এই কদিনের মধ্যেই তো আমি আসব। বউয়ের বাচ্চা হবে তাকে রাখতে।
    - তা'লে কদিন সামলে-সুমলে থাক। দিনের বেলা এসেছিলি তো?
    - হ্যাঁ, দিনের বেলাই।
    - তবে তোর আর দিনে বেরিয়ে কাজ নেই। বেরোতে হলে রাতে বেরোস। এমনিতেও তো হাইকোর্টের পুরনো বারে গিয়ে তাস খেলা - সে তো রাতেই।

    দেবু সেই রয়ে গেল। আমরা যখনই বেরোই না কেন, দেবু বেরোয় শহরের গাড়িঘোড়া বন্ধ হলে। সাবধানের মার নেই। আর সুর্যের আলোটি ফোটার আগেই চিলেকোঠায় এসে সুড়ুৎ করে নিজের কুলুঙ্গিতে ঢুকে পড়ে। এই করে দিব্যি চলছে সময় পেছনদিকে। জীয়ন্ত দেবু এসে পোয়াতি বউকে রেখে গেছে। মাঝে মাঝে দেখতেও আসে। কোন গোলমাল নেই। এমনই এক শনিবার আমি আর দীনবন্ধুবাবু - দুজনেই মেসে আছি। রাতের শেষ বাসটা চলে গেছে, ট্যাক্সি-প্রাইভেট গাড়িরও শব্দ আর পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তাঘাট শুনশান। মেসের অন্য ভূতেরা বেরিয়ে গেছে। আমিও মিউজিয়ামের মমির ঘরে গিয়ে গন্ধ শুঁকে আসব কিনা ভাবছি, এমন সময়ে দেবু কুলুঙ্গি থেকে নেবে আড়মোড়া ভেঙে বালাপোষটা গায়ে চড়াতে লাগল। আমি জিগেস করলাম, "কি ভায়া, বেরুচ্ছ নাকি?"

    - হ্যাঁ দাদা, অল বেঙ্গল ভেলকি কম্পিটিশন আছে পরের মাসে। আমাদের উকিলভূতদের একটা গ্রুপ আছে। আমরা প্রতি বছর নাম দিই। এবার দিনুদাকেও ঢুকিয়েছি। সেই প্র্যাকটিসে যাব। কি দিনুদা, যাবেন না?

    ডাক শুনে দীনবন্ধুবাবু নিজের প্রিয় ঘুলঘুলি থেকে হড়াৎ করে নেবে এলেন। উনিও বালাপোষ চড়াতে চড়াতে বললেন, "হ্যাঁ, ভিড়িয়ে যখন দিয়েই দিয়েছ, তখন চল। নিজের প্রেস্টিজের জন্যেই প্র্যাকটিস করতে হবে। তবে আর কখনও এই হুজুগে নাম লিখিয়েছি তো আমার নামে কুকুর পুষো। নিজের মুন্ডু হাতে নিয়ে দারা হয়ে শাজাহানের সামনে বক্তৃতা করার ঝামেলা কম? আজ বার কয়েক ঘষে নিতেই হবে।" এই বলে দীনবন্ধুবাবু আর দেবু গল্প করতে করতে একসঙ্গে বেরোলেন। আমিও ওদের পেছন পেছন মিউজিয়ামের দিকে রওনা হলাম। সবে সিঁড়ি দিয়ে নেবে দালান পেরিয়ে সদরের দিকে যাব, হঠাৎ কানে এল রিকসোওলার ঠুনঠুন আওয়াজ। আমি হালকা করে সিঁড়ির তলার অন্ধকারে সরু হয়ে গেলাম। কিন্তু দেবু আর দীনবন্ধুবাবু ভেলকি কম্পিটিশানের গল্পে এমন মশগুল যে কিছু শুনতে পাননি। একটা হাতে টানা রিকসো এসে গাড়িবারান্দার তলায় সদরের সামনে দাঁড়াল। দেবু আর আর দীনবন্ধুবাবু রিকসো অগ্রাহ্য করে রিকসো ফুঁড়েই চলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু একেবারে নাটকের মতন ব্যাপার - রিকসো থেকে নেমে এল জীবিত দেবু। জীবিত দেবু আর ভূত দেবুর গা ঘষাঘষি হতে দেখলাম জীবিত দেবু চমকে উঠল। আর ভূত দেবু স্রেফ কপ্পুরের মতন উবে গেল। ঠিক তক্ষুণি বাড়ির ওপর থেকে শুনলাম এক সদ্যোজাতর কান্না। সিংগিগিন্নি খ্যানখ্যানে গলায় চেঁচিয়ে উঠলেন, "ওরে শাঁখ বাজা। দেবু-সরমার ছেলে হয়েছে।"

    দীনবন্ধুবাবু আমার দিকে চেয়ে হতাশ গলায় বললেন, "ঠিক এই ভয়টাই করছিলাম। দেবু দেবুর ছেলে হয়ে জন্মগ্রহণ করল।"
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ০৩ অক্টোবর ২০২০ | ২৬০৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 103.195.203.9 | ০৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৪৩98001
  • বাঃ ছোট্ট গল্প, পড়তেও ভালো। দেবুই নিজের ছেলে, মানে নিজেই নিজের জন্ম দিয়েছে, কাজেই টেম্পোরাল লুপটাও সম্পূর্ণ। 


    ন্যাড়াবাবু নিশ্চয়ই এথান হক এর প্রিডেস্টিনেশান দেখেছেন? 


    আর ইয়ে, একটা জায়গায় ফরোয়ার্ড স্ট্রিম আর ব্যাকওয়ার্ড স্ট্রিম অল্প একটু গুলিয়ে গেছে। 

  • রঞ্জন | 182.69.63.96 | ০৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫১98002
  • হোক হোক,  সিঙিবাডিতে ভুতের মেসের আরও গল্প  হোক।  

  • abar likhte habe | 43.251.171.184 | ০৩ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৪৩98014
  • ভাল ই ছড়িয়েছে। সীনটা  হবে  


    সিংগিগিন্নি খ্যানখ্যানে গলায় চেঁচিয়ে থামলেন, "হয়েছে ছেলে সরমার-দেবু  বাজা শাঁখ ওরে । "


    বাড়ির ভেতর ​​​​​​​থেকে উল্টো ​​​​​​​দৌড়ে ​​​​​​​বেরিয়ে ​​​​​​​এল দেবু। ​​​​​​​রিকসো য় চেপে বসবে। ভাড়া দিচ্ছে।  দেবু আর দীনবন্ধুবাবু ভেলকি কম্পিটিশানের গল্পে এমন মশগুল যে কিছু খেয়াল ​​​​​​​করেননি


    জীবিত দেবু আর ভূত দেবুর গা ঘষাঘষি হতে দেখলাম জীবিত দেবু চমকে উঠল। আর ভূত দেবু স্রেফ কপ্পুরের মতন উবে গেল। 


     হাতে টানা রিকসোটা গাড়িবারান্দার তলায় সদরের সামনে দাঁড়ানো ​​​​​​​ছিল ​​​​​​​। ​​​​​​​সেটায় ​​​​​​​চড়ে ​​​​​​​দেবু ​​​​​​​অলে ​​​​​​​গেল । রিকসোওলার ঠুনঠুন আওয়াজ টার ​​​​​​​রেশ ​​​​​​​কানে ​​​​​​​রয়ে ​​​​​​​গেল। 

  • সম্বিৎ | ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০৭:০৩98018
  • এত ইঞ্জিনিয়ার, ফিজিসিস্টদের ভিড়ে এসব গপ্প প্রকাশ করতে যাওয়াই ঝকমারি। এসবই ঠিক সমালোচনা, তবে জানেন তো চাণক্য বলেছেন, "ক্লাইম্যাক্স বিল্ড করতে যদি একটু এদিক-ওদিক করতে হয়, করে ফেল।" 

  • রঞ্জন | 182.69.184.71 | ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৩০98023
  • আমি বাবা বিজ্ঞানের ছাত্র নই।  তাই জুলিয়াস সিজারে ঘড়ির আওয়াজ নিয়ে ভাবি না। রসসৃষ্টি হলেই খুশি।


    ভুতের মেসবাডি , আরও হোক। 

  • সুকি | 49.207.218.224 | ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৫৬98027
  • আরে ন্যাড়াদা আমরাও রয়েছি তো পড়ার জন্য - আমাদের জন্য তো প্রকাশ করা জরুরী! 

  • রঞ্জন | 182.69.184.71 | ০৪ অক্টোবর ২০২০ ০৯:২৪98031
  • হাত মেলান সুকি!

  • নানা জায়গায় ছড়ানো আছে। আবার লিখুন। | 103.76.82.99 | ০৪ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৫০98057
  • দেবু বেরোয় সুর্যের আলোটি ফোটার  উপক্রম হলেই।  সাবধানের মার নেই। শহরের গাড়িঘোড়া বন্ধ হতে হতেই চিলেকোঠায় এসে সুড়ুৎ করে নিজের কুলুঙ্গিতে ঢুকে পড়ে। 


    এরকম হবে।


    আবার সিঙ্গিদের ছোটছেলে ভুতের ভয় পেয়ে বৌকে ধাক্কাই না দিলে পাঁচতলার উপর থেকে পরদিন তাকে পড়তে দেখা কীভাবে সম্ভব হল? 

  • সম্বিৎ | ০৫ অক্টোবর ২০২০ ০৭:১৯98070
  • আর আমি ভূতের গপ্পো লিখব না, মিষ্টি টাইপের কিশোর প্রেমের গপ্পো লিখব। "সান অফ রোমিও" নামে সে গপ্পো শিগগিরই বেরোবে।


    অন আ সিরিয়াস নোট, সিংগি-বউ সম্বন্ধে কেসটা বহুল আলোচিত ইন টাইম ট্র‍্যাভেল। ব্যাক-টু-দা-ফিউচার ছবির প্রথম সিকুয়েল যদ্দুর মনে পড়ে এই প্রেমিসের ওপর অনেকখানি নির্ভর করেছিল। 

  • রাজর্ষি রায়চৌধুরী | 80.194.86.114 | ০৫ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৫৬98077
  • বাঃ! পান্তভূতের জ্যান্ত ছানা? 

  • dc | 103.195.203.169 | ০৫ অক্টোবর ২০২০ ১৯:০৪98082
  • আরে আমার তো এই গল্পটা পড়তে ভালোই লাগলো। আর টাইম ট্রাভেলে একটু এদিক ওদিক হতেই পারে, ও কিছু না। 


    "আবার সিঙ্গিদের ছোটছেলে ভুতের ভয় পেয়ে বৌকে ধাক্কাই না দিলে পাঁচতলার উপর থেকে পরদিন তাকে পড়তে দেখা কীভাবে সম্ভব হল? "


    এ তো ​​​​​​​হতেই ​​​​​​​পারে, ​​​​​​​সবচে ​​​​​​​সহজ ​​​​​​​সমাধান ​​​​​​​হলো ​​​​​​​টাইমলাইন ​​​​​​​স্প্লিট ​​​​​​​(ভুতের ​​​​​​​পিওভি ​​​​​​​থেকে ​​​​​​​টাইমলাইন ​​​​​​​মার্জ)। ​​​​​​​

  • বিপ্লব রহমান | ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৯:২১98156
  • ভুতের রাজ্যে কীযেএক্টাবস্থা! :ডি  

  • অরিন | ১১ অক্টোবর ২০২০ ০৮:২৪98248
  • শেষের টুইস্ট টা অসাধারণ! 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন