এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • সেলাই দিদিমণি

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৪ এপ্রিল ২০২০ | ৩৪৯৭ বার পঠিত
  • কিছুদিন আগে আমাদের নানা দোষ পাওয়া গেল। আমরা শ্রমিকদের নানা ভাবে নির্যাতন করছি, ঠিকমত বেতন দিচ্ছি না, কমপ্লায়েন্স ঠিক নাই, আমাদের পোশাক কারখানা গুলোর দালানকোঠা ঠিকমত বানানো হয়নি এমন নানা সমস্যা আমদের চোখে আগুল দিয়ে দেখানো হল। আমরা দেখলাম, যারা আমাদের এগুলো দেখাল তারা আমাদের ক্রেতা। ক্রেতা হচ্ছে দেবতা। আমরা দেবতার কথা মত দ্রুত আমাদের সমস্ত কল কারখানা মেরামতে লেগে গেলাম। হয় না, দেবতার মন মত হয় না, মন পাওয়া ভারি মুশকিল আমাদের জন্য। তারা নানা সমস্যা খুঁজে বের করতে থাকল আমরা সব কিছু ফেলে তাই নিয়ে পড়ে রইলাম। আমাদের নানান আশ্বাস দেওয়া হল। প্রচুর কাজের আশ্বাস দেওয়া হল, বলা হল গ্রিন ফ্যাক্টরি কর, কাজের অভাব হবে না। যে গ্রিন ফ্যাক্টরি সারা দুনিয়ায় হাতে গোনা কয়েকটা আমরা সেই ফ্যাক্টরি বানায় ফেললাম অনেক গুলা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রিন ফ্যাক্টরি বানালাম। অন্য যারা গ্রিন করতে পারল না তারা সাধ্যমত চেষ্টা করতে থাকল ক্রেতা নামক দেবতার মন পাওয়ার। তারা কাওকেই নিরাশ করে না। প্রচুর কাজ আসতেছে, তোমার কারখানা বড় কর। কারখানা বড় হয়, মালিক লোণ নেয়, ধার করে, করে বড় করে কারখানা। কাজের পরিমাণ আর বাড়ে না। বাড়লেও দাম কমে আসে। অল্প মার্জিনে নেমে আসতে থাকে লাভের অংশ। দেবতার চাহিদার কিন্তু শেষ হয় না। আজকে এক সংস্থা আসে, এসে বলে তোমার এই দালানের এই সমস্যা, এই অংশ ভাঙ, ভেঙে এইখানে পিলার তোল, উঠল, পিলার, এবার আরেকজন বলছে, এইটা কী হইল? ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে কিছু একটা বিষয় যে আছে জানেন আপনারা? এই কারখানা বন্ধ, তালা দাও এখুনি! মালিক দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। সবই দেবতার চাহিদা, কিচ্ছু করার নাই।

    এই যখন পরিস্থিতি, তখনও সবাই দেবতা জ্ঞানে সকল চাহিদা মেনে নিতে রাজি হচ্ছিল কারন সকলরেই মনে হচ্ছিল যে উনারা আমাদের ভাল চাচ্ছে। উনারা আমাদের শ্রমিকদের কল্যাণেই এই সব করতে বলছে। আর আমরা তো আগে থেকেই জানি ইউরোপ আমেরিকানরা শ্রমের মূল্যের প্রতি কত দরদি। তাদের দেশে সবাই কত সুন্দর শ্রমের মর্যাদা পায়। শ্রমের মর্যাদার আমরা কি বুঝি? তার ওপরে রানা প্লাজা ভেঙে পড়ে আমাদের পুরো এই শিল্পের পরিস্থিতিই যেন আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেছে। সাদা চামড়াদের চাহিদা যে অযৌক্তিক না তা আমরা বেশ বুঝতে পারছিলাম। আমরা বলতে থাকলাম যারা এই সব তাদের মানে আমাদের ক্রেতা নামক দেবতাদের চাহিদা মেনে কারখানা চালাতে পারবে তারা চলবে বাকিরা ঝড়ে ঝরে যাবে। কোনমতে একটা দালানের একটা রুম ভাড়া করে কারখানা বানানো চলবে না। যারা এতদিন এই কাজ করেছে তারা বা তাদের কারখানা বন্ধ হওয়াই উচিত।

    সবই ঠিক ছিল। নিজেদের ভালর জন্য এসব দরকার ছিল। কিন্তু আমরা ভুল করেছিলাম একটা। আমরা ভাবতেছিলাম যাদের কাপড় আমরা সেলাই করি তারা গ্রামের অশিক্ষিত, অদক্ষ একজন নারী, যে এই শিল্পের হাত ধরে স্বাবলম্বী হয়েছে, সেই শ্রমিকদের পক্ষের লোক। না, তারা যত বড় বড় কথা নিজেদের দেশে বলে, যত বুলি আওরায় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তত কাজ শ্রমিকদের পক্ষে করে না। লাভের প্রায় অংশটুকুই তারা নিয়ে যায়, খুব সামান্য অংশই আমরা পাই, সেই সামান্য অংশ থেকে আমাদের কত ভাবে বাধ্য করা হল শ্রমিকদের জন্য কাজ করার জন্য, তাদের সুরক্ষার জন্য। আজকে যখন তাদের দরকার তখন তারা বিনা দ্বিধায় মুখ ফিরিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে। হিপক্রেসি না? শ্রমিকদের অধিকার, সুরক্ষা এখন কই উনাদের মুখে? এখন আগে নিজে বাঁচি?

    বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার এন্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন আজকে তাদের ওয়েব সাইটে দেখাচ্ছে এখন পর্যন্ত ৯৪৫ মিলিয়ন পিস গার্মেন্টস পণ্য বাতিল করেছে ক্রেতারা, যা টাকার অংকে ৩.০১ বিলিয়ন ডলার। এখন পর্যন্ত শুধু মাত্র শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে ২.১৮ মিলিয়ন শ্রমিক। এখানে বলে রাখা ভাল বাংলাদেশে শুধু মাত্র শ্রমিক আছে ৪১ লক্ষ। কিন্তু গার্মেন্টসের প্রভাব শুধু শ্রমিকের ওপরে পড়বে ভাবলে চলবে না। বা সরাসরি গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ করে তার ওপরেই শুধু প্রভাব পড়বে এমন ভাবার সুযোগ নাই। গার্মেন্টসের ওপরে নির্ভর করে আছে বাংলাদেশের প্রায় এক কোটির উপড়ে মানুষ। এদের হিসাব কোথাও না থাকলেও এরা আছে এবং বেশ ভাল ভাবেই এই প্রভাবের মারা যাবে। যারা কাপড় বানায় বা যারা কাপড় রং করে বা যারা বোতাম বানায়, সুতা বানায় বা যে লোকটা সুতা ডেলিভারি দেয় কিংবা একেবারেই গার্মেন্টস সংক্রান্ত কোন কিছু না, কারখানার সামনে দোকান চালায়া যে লোক সংসার চালায় তার হিসেব কোথাও কী লেখা থাকবে? থাকার কথা না, থাকে না।
    সরকার ৫০০০ কোটি টাকা দিবে বা দিচ্ছে পোশাক খাতে। শুনতে অনেক মনে হলেও এই টাকা সব কিছু কেটেছেটে হাতে পাবে ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশে এক মাসে পোষক শ্রমিকদের বেতন দেয় ৪০০০ কোটি টাকা! মানে কী দাঁড়াল? যদি সব ঠিকঠাক ভাবে চলেও তাহলেও এই টাকা দিয়ে শ্রমিকদের এক মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব। যদি বিজিএমইএ বলছে সরকার পরবর্তীতে হয়ত আরও সাহায্য করবে তবে আপাতত যা পাওয়া গেছে তা দিয়ে এক মাসের বেতন দেওয়া সম্ভব।
    এই যখন অবস্থা তখন আমাদের শ্রমিক সুরক্ষা, শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি দয়াবান সেই ক্রেতারা কী করছে? একের পড় এক তাদের অর্ডার বাতিল করছে। এক জার্মানি ছাড়া অন্য কোন দেশ এখন পর্যন্ত আমাদের শ্রমিকদের পক্ষে কিছুই বলেনি। জার্মান মন্ত্রী সরাসরি বলেছে তারা এই দুর্দিনে আমাদের সাথে আছে এবং তাদের দেশি ব্র্যান্ড গুলোকেও অনুরোধ করেছে যেন কোন অর্ডার বাতিল না করা হয়। H&M সহ বেশ কিছু বড় বায়ার শ্রমিকদের জন্য আলাদা তহবিলের ঘোষণা করেছে। আবার প্রাইমার্কের মত বায়ার বিশাল অংকের ক্রয়াদেশ বাতিল করে দিয়েছে। আমাদের ক্রেতা নামক দেবতাদের বুঝতে হবে এই পরিস্থিতি সামনে থাকবে না। দিন অবশ্যই পরিবর্তন হবে। আজকে আমাদের সাথে যদি তারা অন্যায্য আচারন করে তাহলে তার জন্য সামনে তাদের জবাবদিহি করতে হবে। ব্র্যান্ড ভ্যালু বলে একটা ব্যাপার আছে, তার দিকে নজর দিয়ে হলেও তাদের উচিত এই দুঃসময়ে আমাদের পাশে থাকা। এতদিন ধরে শ্রমিকদের চিন্তায় যাদের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছিল তাদের তাদের আচারনের কারনে যদি শ্রমিক না খেয়ে মরে তাহলে এই দায় তাদের নিতে হবে।

    দায় আমাদের মালিক পক্ষেরও কম না। শ্রমিকদের জন্য আলাদা কোন খাত নেই, সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় যে কোন বিপদে। যখন ব্যবসায় নামে তখন কেউ সরকারের খোঁজ নিয়ে নামে না। শ্রমিকদের তারা চালায় অনেকটা দাস হিসেবে। আর যখন কোন দুর্দিন এসে হাজির হয় তখন সরকারর কাছে হাত পাততে হয়। সরকার যা করার করবে, সরকারের দায় আছে, সরকারের স্বার্থেই করবে। কিন্তু শ্রমিকদের জন্য আলাদা একটা বাজেট কেন থাকবে না এই আপতকালিন সময় পার করার জন্য?

    আগামীকাল থেকে সমস্ত গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকারের দায় আরও বেশি। এবং সেই দায় সরকার কোন ভাবেই এড়াতে পারে না। যদিও উভয় সঙ্কট পরিস্থিতি তবুও বিকল্প কোন পন্থা খুঁজে বের করা উচিত ছিল। যারা ক্রয়াদেশ বাতিল করেনি তারা তাদের পণ্য তৈরি চাইতেই পারে। সেক্ষেত্রে কারখানা খোলা রাখতে হবে। আবার বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন ভাবেই কারখানা চালু রাখার সুযোগ নাই। কিন্তু সরকার কাল থেকে কারখানা চালু করে দিচ্ছে এবং বিজিএমইএ কারখানা খুলে দিতে সম্মত হয়েছে। এতে যে এক দেশে দুই নীতি চালু হল তা কি কেউ খেয়াল করে দেখেছে? শ্রমিকদের জীবনের মূল্য নাই? সবাই নিরাপদ থাকার জন্য, নিরাপদ রাখার জন্য ঘরে বসে থাকার সুযোগ পাচ্ছে কিন্তু শ্রমিক নামক এই প্রাণীদের আজকে ঠেলে দিলাম আমরা জীবনের ঝুঁকি নিতে! বলা হচ্ছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে কারখানা চালু রাখবে! কীভাবে সম্ভব এই জিনিস? যারা বলছে তারা কোনদিন একটা তৈরি পোশাক কারখানা ঘুরে দেখেছে? কীভাবে কাজ করে আর কীভাবে খাওয়া দাওয়া করে? তারা কোনদিন শ্রমিকরা কে কীভাবে থাকে তা জানে বা জানার চেষ্টা করেছে কোনদিন? সম্ভবত না। যার কারনেই এমন জিনিস কল্পনা করে বলতেছে যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে কারখানা চালু করতে। স্বাভাবিক সময়েই আমাদের শ্রমিকরা কত ভাল থাকে তা আমরা জানি, এই দুঃসময়ে তারা খুব ভাল আর নিরাপদে থাকবে তেমন আশা করি কোন যুক্তিতে?

    কালকে কারখানা চালু হবে, এদিকে গণ পরিবহন বন্ধ, শ্রমিকদের আমরা ফেলে দিলাম আরেক অন্য রকম বিপদে। যখন কারখানা বন্ধ করেছেন তখন যদি গণ পরিবহন বন্ধ রাখতেন, তাদেরকে যে যার জায়গায় রাখতে পারতেন তাহলেও মেনে নেওয়া যেত এই সিদ্ধান্ত। তখন গণ পরিবহন খোলা রেখে, সকলকে পুরো দেশে ছড়িয়ে দিয়ে এখন কারখানা চালু করে দেওয়ার অর্থ কী? এত গুলো মানুষ ফিরবে কীভাবে যার যার কর্মক্ষেত্রে? কোন উত্তর নাই। চালু করে দেওয়া হল কারখানা! ফলাফল, আজকে ভোর থেকে মানুষের মিছিল ঢাকামুখী। পায়ে হেঁটে মানুষ চলছে! অদৃশ্য করোনা থেকে দৃশ্যমান অভাব, বাস্তব ক্ষুদা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিতে বাধ্য করেছে। তাদের কে এই কাজে ঠেলে দিয়েছে সরকার, বিজিএমইএ।

    বাংলাদেশে গণ হারে মানুষ মারা গেলে আজকের এই সিদ্ধন্তের দায় সরকারকে নিতে হবে। প্রত্যেকটা মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে এই সিদ্ধান্তের পিছনের সকলে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ এপ্রিল ২০২০ | ৩৪৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ০৫ এপ্রিল ২০২০ ২১:২৪92050
  • শাঁখের করাত পরিস্থিতি - নানা ভাবেই, মনে হয়।
  • bulbul choudhury | 141.101.107.53 | ১১ এপ্রিল ২০২০ ০১:১০92150
  • খুব যুক্তিপূর্ণ লেখা
    এই সময়ে তিস্তা আর ফারাক্কা ভুলে গিয়ে ভারত থেকে অস্থায়ী ঋণ নিয়ে ফ্যাক্টরি চালু রাখাই যুক্তিযুক্ত
    জার্মানি র চেষ্টা নিশ্চয় কাজে আসবে
    পরিবর্তিত পরিস্থিতি তে পুঁজিবাদী শক্তি যাতে না শ্রমিক আন্দোলন এর বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সেটা লক্ষ্য রাখাই কাজ
  • আচ্ছা | 162.158.165.53 | ১৩ এপ্রিল ২০২০ ১৭:২৩92275
  • বাংলাদেশে এখন কী অবস্থা? এঁরা কাজ করছেন? কীভাবে থাকছেন? সাবধানতা কী নিচ্ছেন?
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ২১:৪৯92382
  • বাংলাদেশের অবস্থা দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। মোট আক্রান্ত ১৫০০ জনের বেশী। গত ১৪ ঘণ্টায় মানে ১৫/০৪/২০ তারিখে নতুন রোগী পাওয়া গেছে ৩৪১ জন। মারা গেছে ১০ জন, মোট মারা গেহে ৬০ জন। গার্মেন্টস সমস্যার সমাধান হয়নি। সরকার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, মালিকপক্ষ টাকা হাতে এখনো পায়নি। ফলাফল বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। করোনার চেয়েও ক্ষুধার অত্যাচার বড় বেশী বাস্তব মানুষের কাছে। নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাবে ডাক্তাররা আক্রান্ত হচ্ছে, মারাও গিয়েছে! সরকার ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে, এই সুযোগে চাল চোরের অত্যাচার বেড়ে গেছে দেশ জুড়ে।  বড় করুণ দিন আসছে সামনে।   

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন