এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বেগুন লাল দিশি

    dd লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ অক্টোবর ২০১৫ | ৬৭৪ বার পঠিত
  • বেগুন লাল দিশি
    ************************************

    ধেৎ। বেগুন আবার কুকুরের নাম হয় না কি?

    কেনো হবে না শুনি? কবিতায় পড়ো নি "কোনো গুন নেই তার নামটি বেগুন"? পুরো নাম অবশ্য বেগুন লাল দিশি। ভালো নাম বেগুন কেনো সে তো কবিতাতেই পষ্টো বলে দেওয়া আছে। অন্য কুকুরেরা কতো জানে,প্রাজ্ঞ হয়। তোচনের বিরাট আইরীশ সেটার হ্যান্ডশেক করে, ঘনাইএর কুকুরটা তো ডোবারম্যান। খাবার সামনে থাকলে নাক উঁচু করে বসে থাকে। যতোক্ষন খাবার আদেশ না আসছে ততক্ষন খায় না। বড়জোর জুল জুল করে একটু তাকায়। ঘনাই "ইট' বল্লেই অবশ্য বাঘের মতন ঝাঁপিয়ে পরে নিমেষ খাবার শেষ করে সামান্য লেজ নাড়ে। কি গ্রেভিটি। ডোবারম্যান কি না, তাই কোনো আদিখ্যেতা নেই। গম্ভীর হাব ভাব। সন্দেহজনক লোক দেখলেই অবশ্য খুব লোভী লোভী চোখে তাকায় আর ঠোঁট চাটে।

    আর বেগুনকে দেখো। ইঁরেজী তো একেবারে বোঝে না। খুব চেঁচিয়ে বললে হিন্দিটা একটু আধটু সমঝায়। নিকালো হিঁয়াসে বলে হুংকার দিলে কেমন থতমত খেয়ে মাথা নীচু করে থাকে - দু একবার এমন দেখেছে রুহি। আর না চেঁচিয়ে বল্লে তো কিছুই বোঝে না। খুব খুসী খুসী মুখে তাকিয়ে থাকে আর পট পটাপট ল্যাজ নাড়ে। আর হ্যাঁ, খাবার মুখের সামনে রাখলে যে ভাষাতেই বলো না কেনো বা যেভাবে খুসী - ঠিক খেয়ে নেবে। বারন করলেও। এমন কি তখন তার ল্যাজ নাড়ার সময়টুকুও থাকে না। না জানে হ্যান্ডশেক করতে বা দু পায়ে দাঁড়াতে বা ডিগবাজী খেতে। বাবা এনে দিয়েছিলো একটা বই- কুকুরের ট্রেইনিংএর এর উপর। ছবি দিয়ে পরিষ্কার করে লিখে দেওয়া আছে কেমন করে বিস্কুটের টুকরো অল্প অল্প করে দিয়ে ,উৎসাহ দিয়ে ,আর জোর গলায় "নো নো নো" বলে আস্তে আস্তে অনেক কিছুই শেখানো যায় কুকুরদের। ধুর, কোথায় কি। বেগুন শুধুই ঘাড় কাৎ করে বিস্কুটের টুকরোগুলোর দিকেই তাকিয়ে থাকে। রুহির ফ্রকের পকেটের মধ্যে লুকিয়ে রাখলেও ব্যাটা গন্ধ শুঁকে ঠিক টের পায়। পড়াশুনায় মোটেই মন নেই। তাই কি না নাম বেগুন।

    আর লাল? সে তো গায়ের রং লাল বলে। পদবী যে দিশি তার কারন বেগুন জাতে একেবারেই দিশি। রুহিরা থাকে অব্শ্য বেশ ভালো পাড়ায় - বাড়ীতে বাড়ীতে কি সব ভালো জাতের কুকুর।তারা রাস্তায় হাঁটে আর পথচারীরা রীতিমতন সম্ভ্রম ভরে তাকায়,ঘাড় ফিরিয়ে দেখে।তাদের নিয়ে যারা হাঁটতে বেড়ায় তাদেরই বা কি জাঁক। এদের জন্যেই রাস্তার কেলো ভুলোদের মধ্যেও কেমন বেশ লোমোশ আর তাগড়াই চেহারা। এই তো সেদিন বড়ো দেওদার গাছটার নীচে দেখলো পরিষ্কার ডালমেশিয়ান কুকুরের সাদা কালো ছোপ ছোপ চেহারার এক বাচ্চা কুকুর। ওটাকে তখুনি বাড়ী নিয়ে গেলো ফুলকি, না কি তার নাম রেখেছে খিচুরি। (তো রুহির কুকুরের নাম বেগুন হলে আর আপত্তির কি আছে?)। কিন্তু আমাদের বেগুনের চেহারায় ওরকম দো আঁশলা ভাব মোটেই নেই। একটু খানি গাট্টা গোট্টা চেহাড়া, খাড়া দুটো কান, ব্যঁকানো ল্যাজ আর ছোটো লোম।গলার স্বরটা বেশ মিহি। পাড়া কাঁপানো ঘৌ ঘৌএর বদলে কেমন একটা সুস্থির ভেক ভেক করে আলতো ভাবে চেঁচায়।

    স্কুলের ম্যাগাজিনে রচনা লিখতে হবে। রুহি ভেবে পায় না কি নিয়ে লিখবে। দার্জিলিং ভ্রমন আর পুরী ঘুড়ে এলাম - এরকম লেখা হয় অন্ততঃ তিনটে। গতবার রুষার "দার্জিলিং ফেরৎএর গল্প"টাই সব থেকে ভালো হয়েছিলো, কিন্তু রুষা মোটেই যায় নি দার্জিলিংএ। ও তো দেওঘর গেছিলো পিসীর বাড়ী। পরে জিগ্গেশ করলে রুষা খুব অবাক হয় "ও মা, দার্জিলিং নিয়ে লিখতে হলে আবার দার্জিলিং যেতে হয় নাকি? ঐ মোটা কৃষ্ণাও তো পুরী গেছিলো ,কালো কুষ্টি হয়ে ফিরলো। এসেই "দার্জিলিং থেকে লিখছি" বলে লিখে দিলো।" বাবা শুনে বললো "তা তুই বেগুনকে নিয়েই লেখ না কেনো? খেলিস তো সারাদিন ওর সাথেই।"

    বেগুন কিন্তু রুহির বাড়ীর কুকুর নয়। সে স্বাধীন চেতা রাস্তার কুকুর - ঘুড়ে বেড়ায় পাড়াময়। বেপাড়ার কুকুর আর কাগজকুড়ানী দেখলেই চটে কাঁই হয়ে যায়। বেশীর ভাগ সময়টাই কাটায় রুহির বাড়ীর দোরগোড়ায়। কি ঘুম যে ঘুমায় ভাবা যায় না। চোর আসুক বা ডাকাত - জামাইবাবু কি পিসেমশাই - সবাইকেই ঐ বেগুনকে ডিঙিয়েই বাড়ীতে ঢুকতে হয়। ঘুম ভাঙিয়ে দিলে বেজায় বেজার মুখে বসে থাকে আর ঘন ঘন হাই তোলে। দরজার সামনের ঐ পাপোষটাই ওর বিছানা।

    বেগুনকে নিয়ে কি লিখবে ভেবে পায় না রুহি। বেগুন তো জানে না কিছুই। বেগুনের বন্ধু বান্ধবেরাও যেনো ক্যামন গোছের। সব থেকে প্রিয় সংগী - তার নাম মাকু। একেবারে হাড় জিরজিরে তেলেভাজা কুকুর। তার উপর নীচের পাটীর দাঁতগুলো সব সময় বেড়িয়েই থাকে। কেমন একটা চোর চোট্টা ভাব। সারাক্ষন মাথা নীচু করে উপর দিকে তাকিয়ে থাকে -যেনো বুড়ো মানুষ - চশমার ফাঁক দিয়ে দেখছে সবাইকে। বিস্কুট সামনে ধরলেও খুব ভয়ে ভয়ে খায়। আর এতো রুহির চোখের সামনেই দেখা - একটা বদ মেজাজী কাক কঃ কঃ বলে ডানা ঝাপটে বকে ঝকে মাকুকে সড়িয়ে দিয়ে ওর খাবারটা খেয়ে ফেলছে। মাকু দাঁত বার করে ভীতু ভীতু চোখে দেখছে কিন্তু সেই রাগী কাকটাকে তাড়িয়ে দেবার সাহস নেই। অথচ এই মাকুই কি আরামসে বিক্রমদার নতুন কেনা জুতোর এক পাটী চিবিয়ে একশা করেছিলো। বিক্রমদা নতুন জুতো মশমশিয়ে পাড়ার সবাইকে দেখিয়ে ,দাম টাম বলে,তারপর জুতো খুলে ব্যাডমিন্টন কোর্টে পর পর তিন গেম খেলে এসে দেখে কোর্টের পাশে অঘোরে ঘুমাচ্ছে বেগুন আর তার পাশে বিক্রমদার বাঁ পাটীর জুতো। আরে ডান পাটীর জুতোটা গেলো কই? খোঁজ খোঁজ। শেষটায় পাওয়া গেলো ডাস্টবিনের পিছনে - আধ খাওয়া অবস্থায়। গোগোলই দেখেছিলো মাকু নাকি এসে মুখে করে নিয়ে গেছিলো ঐ জুতো। সদ্দ কেনা বার্নিশ মাখানো চকচকে জুতো দেখে মাকু আর লোভ সামলাতে পারে নি - তাছাড়া রাতের বেলা তো, কোনো কাকের উৎপাতও নেই।মাকু তাই নিরিবিলিতে বসে নতুন জুতোটায় একটু শান দিচ্ছিলো।নিরীহ জুতোর একেবারে দফা রফা। বেচারা বিক্রমদা তো প্রায় কেঁদেই ফেললো। রাগে ক্ষোভে ফিরে এসে ভালো জুতোটাও ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কাউকে না পেয়ে, কি অন্যায়,কি অন্যায়, বেগুককেই ধাঁ করে এক লাথি মেরে বসলো। বেগুন তো ঘুম থেকে ধড়মড়িয়ে উঠে ডিগবাজী খেয়ে একাক্কার। তার যতোটা ব্যাথা লেগেছিলো দুঃখ হয়েছিলো আরো বেশী । অতো ভালো চকচকে জুতো - একটু চেটেও দেখে নি,কিন্তু মার খেতে হোলো তাকেই। আর বিক্রমদা গোগোলকেও কিছু বলতে পারলো না - একে তো গোগোল খুবই ছোটো - তায় তার দিদির সাথে বিক্রমদার - খুবই - যাকে বলে বন্ধুত্ব চলছিলো।
    সামনের গলিতেই থাকে বাঘা কুকুর। তার সাথে বেগুনের খুব পুরাতন,বনেদী ঝগড়া। মাঝে মাঝেই দু জনের দেখা হয়ে যায়। ব্যাস। রাগে গড় গড় করতে করতে দুজনেই এ ওর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পরে। উফ। তারপর কি তুমুল লড়াই আর কি ভয়ানক ক্যাঁও ম্যাও চিৎকার। লোক জমে যায়। শান্ত আর উদাসীন স্বভাবের বেগুনকে যেনো রাক্ষসে পায়। কিন্তু বাঘার সাথে পেরে ওঠে না।কতোবারই তো রক্তমাখা কান নিয়ে কুঁই কুঁই করতে করতে রুহির কাছে এসে হাজির হয়। জ্বলুনি হয় না ও রকম অ্যান্টিসেপটিক আর তুলো ব্যান্ডিজ লাগিয়ে দেয় রুহি সযত্নে।

    শান্ত ঘুমকাতুড়ে বেগুনের আরেক ব্যাপারেও খুব কড়া মতামত রয়েছে। পোষাকের ব্যাপারে বেগুন একেবারে ক্ষমাহীন সনাতনপন্থী। যদি কেউ ভুলেও একটু বেশী রং চংএ পোষাক পরেছে তো তার আর রক্ষা নেই। এই ত্তো সেদিন, খুসীদিদি একটা ঝলমলে সোনালী রঙের সালোয়ার কামিজ পরে বেড়িয়ে ছিলো। সত্যি বলছি, মোটেও মানাচ্ছিলো না খুসীদিদিকে। তাই বলে বেগুন অমন অসভ্যতা করবে? মাকু ,হুঁকো,গুলতি আর আরো কয়েকটা কুকুরদের জুটিয়ে এনে বেগুন ভেউ ভেউ খ্যাক খ্যাক করে বিচ্ছিরি সব আওয়াজ করে পিছু নিলো খুসীদিদির। পাড়ার লোকে হেসে বাঁচে না। কাঁদতে কাঁদতে খুসীদিদি তক্ষুনি বাড়ীর দিকে দৌড়। খুসীদিদির মা তো আরোই তাকে ধমকে দিলো। "বেশ হয়েছে। তখনই বলেছিলাম,অমন চোখ ঠিকরানো রঙের ড্রেস পরো না। তা না - এরকম না কি ক্যাটরিনা কইফ পরে। মার কথা তো শুনবে না, নাও এখন বেগুনের কথাই শোনো"। সেই আবার পোষাক বদলিয়ে খুসীদিদি একটা ফ্যাকাশে গোলাপী রঙের ড্রেস পরে বার হোলো। বেগুনকে দেখে কি রাগ - চোখ থেকে আগুন একেবারে ঠিকরে পরছে। তো বেগুনের বয়েই গেলো। কিছুই বোঝে না - এরকম ভ্যাবলাকান্ত মুখ নিয়ে বসে রইলো। রুহি কিন্তু স্পষ্ট দেখেছিলো আড়মোরা ভেঙে ঘুমাতে যাবার আগে বেগুনের কি ফিচেল হাসি। চোখে চোখ পরে যাওয়ায় কান দুটো ছুচলো করে ল্যাজ নেড়ে বল্লো "ভেউ"

    আর আরো আরেক্দিনের কান্ড শোনো। মুখার্জী কাকু বেড়িয়েছেন একটা কুচ কুচে কালো শার্ট পরে। ধব ধবে ফর্সা রঙের কাকুকে কি দারুন স্মার্ট লাগছিলো। অমনি কোথার থেকে বদের হাঁড়ী বেগুন এসে হাজির। কাকু র পিছন পিছন চোখ কপালে তুলে ভেউ ভেউ খ্যাক খ্যাক করে নানান বিশ্রী আওয়াজ করে পিছু নিলো। কাকু বার বার পিছন ফিরে দেখেন, লজ্জায় ওনার গাল দুটো লাল হয়ে গেছে ,পারলে দৌড়েই চলে যান এমনি অবস্থা। কিন্তু বেগুন কিন্তু টিট্কারি দিয়েই যাচ্ছিলো।

    আচ্ছা, তোমরাই বলো, পাড়ার কুকুরের পারমিশন নিয়ে আমাদের ড্রেস করতে হবে ?

    বেগুন যখন জন্মেছিলো সে সময়ে আমি ক্লাস সিক্সে পড়তাম। আমি টুইশনিতে গেলে আমাকে কখনো একা ছাড়তো না বেগুন। বাঘাদের পাড়া পর্যন্ত্য ল্যাজ নাড়তে নাড়তে আমার পিছু পিছু চলতো। বাবা বল্তো "পাঁচিলের উপর দিয়ে দেখি রুহির বিনুনী আর বেগুনের ল্যাজ - দুটোই কেমন টিং টিং করে নাচতে নাচতে চলেছে।" পাড়াতে কোথাও আমি একা যেতাম না। বেগুন আমার সর্বক্ষনের সংগী।যখন ছোট্টো তৃণা আমায় আধো আধো স্বরে তুতুর দিদি বলে ডাকলো তখন আমি কিন্তু মোটেও রাগি নি। খুবই খুসীই হয়েছিলাম। "তুতুর দিদি" মানে কুকুর দিদি। তো পাড়ার ছোটো বাচ্চাদের কাছে তুতুর দিদি নামটাই বেশ চালু হয়ে গেছিলো। এখনো পাড়ায় আমায় কয়েকজন তুতুর বলে ডাকে। দু একজন আমায় জিগগেশও করে "আচ্ছা, নামটা তিতির হবে না? " আরেক জন জিগগেশ করেছিলেন "তুতুর নামটাতো বাঙালী ঠেকছে না? আফ্রিকান কিছু কি? বুদ্ধদেব গুহের কোন বইটাতে আছে?"

    লম্বা ছুটীর পর বেড়িয়ে এসে বাড়ী ফিরলেই কোথা থেকে জানি খবর পেয়ে ছুটে আসতো বেগুন। ল্যাজ নাড়ার কি ধূম রে বাবা। মনে হোতো কোমড় থেকে পিছনটাই পুরো খুলে আসবে। বলতাম "থাম।থাম। বেগুন রে। তোর ল্যাজটাই এবার খসে পরবে"। থামতেই চাইতো না। আর তার সাথে ভ ও ও ও ও উ করে তার অভিমানের বকুনি আর শেষ হতো না। জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষন আদর করলে তবে ও শান্ত হোতো।
    ক্লাস টেন পাশ করে বারো ক্লাস। টুইশনী আর তার সাথে আরো বায়নক্কা। এবারে কলেজে উঠেছি। বিনিনী বাঁধা কবেই বন্ধ। আর সেই রিবন আর প্রক পরা ছোট্টো মেয়ে তো নই। বেগুন কিন্তু তাও আমাকে একা ছাড়ে না। আমি বড় হচ্ছি আর বেগুন বুড়ো হচ্ছে। বাঘাটাকে দেখি না অনেকদিন হোলো।বেগুনের প্রিয় বান্ধবী মাকুও আর নেই। পাড়ার মেয়েরা এখন কতো সব অদ্ভুত পোষাক পরে, ছেলেরাও। শুধু দেখি বেগুন শুধু মুচকি হাসে। মেনে নিয়েছে সব কিছুই। আর রাগারাগি করে না। তৃনা ও এখন বড়ো হচ্ছে - কতো যে জমকালো ড্রেস পরে। বেগুন কিছুটি বলে না। খুসী দিদির বিয়ে হয়ে চলে গেছে আমেরিকায়। মুখার্জী কাকুরা রিটায়ার করে সল্ট লেকে।
    আমাদের বাড়ীর দরজার সামনেই পাপোষে এখনো বেগুন ঘুমায় ভোঁশ ভোঁশ করে। আরো বেশীক্ষন। ডাকাডাকি করলেও বিশেষ উঠতে চায় না। বিরক্ত অতিতিরা ওকে ডিঙিয়েই ঘরে ঢোকে। বেগুনকে নিয়ে স্কুল ম্যাহাজিনে আর লিখে উঠতে পারি নি। দেখো তোমাদের জন্য এখানে লিখে দিলাম।
    বেগুনকে জিজ্ঞেশ করি "বেগুন, তুই একদম বুড়ো হয়ে গেলি? না রে? " শুনে বেগুন সেই মুচকি হাসে। ইকটু ল্যাজ নাড়ে আর বলে "ভেক"। তোমারা তার মানে বোঝো?
    ************************************************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ অক্টোবর ২০১৫ | ৬৭৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    চম - dd
    আরও পড়ুন
    ও শানওয়ালা - dd
    আরও পড়ুন
    দ্রোণ পর্ব - dd
    আরও পড়ুন
    কর্ণসংহার - dd
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • জুলু সর্দার লোচবক্ষুলা | 215.174.22.27 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৫৭69747
  • অসম্ভব প্রচন্ড ভয়ঙ্কর সাঙ্ঘাতিক ভালো।
  • | 24.97.16.22 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:২৭69748
  • দারুণ দুর্দান্ত মন ভালো করা গপ্পো।

    কিন্তু .... কিন্তু ... চলতে চলতে হঠাৎ দুম করে রুহী'র বয়ানে চলে গেলো কেন? তাইলে প্রথম থেকেই ওর বয়ানে হলে ভাল হোত না?
  • kc | 204.126.37.78 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:২৭69749
  • প্রচন্ডরকম ভালো লাগল।
  • শ্রী সদা | 113.19.212.21 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৩৭69754
  • দারুণ ঃ)
  • aranya | 154.160.5.101 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৪৩69755
  • বাঃ, টু গুড লেখা। ছোটবেলায় এই রম এক বেগুন লাল দিশি আমারও পায়ে পায়ে ঘুরত বটে। কেউ তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে, তারপর বাড়ীতে চুরি হয় -যেমনটি গল্পে শোনা যায় আর কি, সারা রাত বাড়ী পাহারা দিত কিনা
    বড় প্রিয় ছিল, সেই বেগুন
  • Suhasini | 213.99.205.107 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৫৯69750
  • বেজায় ভাল্লাগলো - বয়ান চেঞ্জ হলেও।
  • Arpan | 192.156.65.173 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৪৫69756
  • ডি লা গ্র্র্যান্ডি হয়েছে। ঃ)
  • কান্তি | 113.57.238.251 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:২৫69751
  • ভাল লাগলো। কিন্তু মাঝে মাঝে অকারনে র আর ড় এর জায়গা বদলটাও কি বেগুনের কেরামতি?
  • সে | 204.230.159.69 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৮:৩৫69752
  • অসমঞ্জবাবুর কুকুর ব্রাউনিকে মনে পড়ে গেল।
  • anandaB | 154.160.98.95 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৮:৪০69757
  • ২০১৫ সালে সুকুমার রায় লিখলে হয়ত এরকম-ই কিছু একটা দাঁড়াত

    বাড়াবাড়ি করে ফেল্লাম? কিই বা আসে যায়, ব্যক্তিগত মতামত-ই তো আফটার অল
  • de | 24.139.119.174 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ০৮:৫৬69753
  • খুব মিত্তি গপ্পো!
  • Nina | 83.193.157.237 (*) | ০৫ অক্টোবর ২০১৫ ১১:২৮69758
  • উফ কি অসম্ভব ভাল লেখা রে ভাই-- মুচমুচে নুন গোলমরিচ মাখা -আহা! বাহা বাহা
  • ShuNya | 81.162.234.248 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০২:২৯69759
  • reDiote haThaat ekaTaa purono গান...
  • shuNya | 81.162.234.248 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৩১69760
  • ভারি বদ।

    রেডিওতে হঠাত একটা পুরোনো গান
  • নেতাই | 169.245.48.100 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:১৭69761
  • ক্ষি দাড়ুন
  • mumu | 216.201.224.118 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৪৫69762
  • আমার ও এক খান এইরকম দিশি ছেলো। তার নাম ছিলো লালি,খুব ভালো লাগলো।থ্যন্ক্যু!
  • kk | 218.54.80.235 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:৫১69763
  • বাঃ, বেজায় ভালো হয়েছে তো!
  • Atoz | 161.141.84.176 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৯:০৪69764
  • খুব ভালো, খু উ উ উ ব ভালো।
  • ক্যাপ্টেন হ্যাডক | 113.57.244.218 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০১:২১69765
  • জ্যাকি পড়লে খুব খুশী হত।
  • Sharadwat Manna | 113.2.132.129 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:২৭69766
  • জ্যাকিকে জোর করে খোজা করা হল... ধুর, আমার একদম ভালো লাগেনি...
  • ক্যাপ্টেন হ্যাডক | 113.57.244.218 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:৩০69767
  • ও আমাকে লিখিত সম্মতি দিয়েছিল। দেখবি???
  • শারদ্বত | 113.2.132.129 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:২৯69768
  • ভারি উপাদেয় লেখাটা...

    (কিন্তু বানানের ভুলগুলো বড্ড কাঁকরের মত কির কির করছে, একটু নজর দেবেন প্লিজ)
  • pipi | 77.175.190.90 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০৫:৫৩69769
  • বাহ! খু উ উ ব মিত্তি! আমারও ছিল এইরকম রোডেশিয়ান কয়েকটা - লালি, ভুলু, কেলো, নোড়া, রোডেন ইত্যাদি। আশা করি সেই সেখানের আলো ঝলমলে সবুজ পার্কে তারা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শান্তিতে।
  • শারদ্বত | 113.2.132.129 (*) | ১০ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:৩০69770
  • হ্যাঁ দেখবো @ক্যাপ্টেন :)
  • robu | 11.39.38.117 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৩৯69771
  • বড্ড মায়া গো লেখাটায়।
    সুমনের একটা গান মনে পড়ে গেল।
  • pragati | 121.92.24.202 (*) | ১২ অক্টোবর ২০১৫ ০৯:২৫69772
  • দিব্য!
  • Tim | 140.126.225.237 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:০৮69775
  • আমরা এ মায়া, মজার সময় পেরিয়ে এসেছি অনেককাল। এখন এক অন্য যুগ। খুব ভালো লাগলো ডিডিদা।
  • Pallin | 195.97.81.100 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৫ ১১:০৫69773
  • ডিডিদা , পড়ে দুইটা জিনিষ হল - মজা আর মায়া ! :) ।
  • san | 113.245.14.205 (*) | ১৩ অক্টোবর ২০১৫ ১২:০২69774
  • দারুণ !!
  • rabaahuta | 161.191.175.196 (*) | ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:১৪69776
  • এই লেখাগুলো মাঝে মাঝে পড়ে নেওয়া মানবজাতির পক্ষে ভালো। মর্মপীড় বলেছেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন