এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নারী ও নেমোসিস: ২০১৫

    শিবাংশু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৫ জুলাই ২০১৫ | ৬৫১ বার পঠিত
  • নারী ও নেমোসিস: ২০১৫
    -----------------------------

    অহল্যা ভারতীয় মহাকাব্যের জটিল জগতেও একটি জটিলতম চরিত্র। সম্ভবতঃ কৃষ্ণা দ্রৌপদী'কে নিয়েও কেউ এই স্তরের সত্ত্বাসম্ভব নারীকল্পনা করেনি। কে অহল্যা, কেন অহল্যা, কীভাবে অহল্যা? অগণন ব্যাখ্যা রয়েছে তার। সেই ঋগবেদের খ্রিস্টপূর্ব নবম শতকের ব্রাহ্মণ থেকে পঞ্চদশ শতকের অর্বাচীন পুরাণকাল পর্যন্ত অহল্যা নামক প্রতীকটিকে কেন্দ্র করে ভারতীয় পুরুষ তার সন্ধান চালিয়ে গেছে, 'নারীত্ব' কী ও কেন?
    --------------------------------------
    শব্দার্থে 'অহল্যা' মানে অকর্ষিত ভূমি। যেখানে হলচালনা হয়নি। পৃথিবীর সব প্রাচীন সভ্যতায় বসুন্ধরা স্ত্রীলিঙ্গ এবং মৃত্তিকা প্রসবসক্ষম জননী। তাই সর্ব অর্থে হলকর্ষণ মানে পুরুষশক্তি দ্বারা স্ত্রীশক্তিকে প্রজননের জন্য ব্যবহার করা। রামায়ণ উত্তরকান্ডের কবি বলেন অহল্যা মানে সেই কুমারী ইনোসেন্স, যে কোনও হলকর্ষণের মাংসগন্ধ দ্বারা আক্রান্ত নয়। এক কথায় কুমারীমাটি। আবার আমাদের কবি'র মতে 'অহল্যা' এক বন্ধ্যা ঊষর প্রস্তরময় প্রান্তর, যা'কে রাম সৃজনসক্ষম করেছিলেন। দু'টি দৃষ্টিকোণই কিন্তু পুরুষের চোখে নারীর প্রজননশক্তির প্রাসঙ্গিকতা'কে তুলে ধরছে। দু'টি ব্যাখ্যাই কিন্তু প্রজননবিযুক্ত নারীত্বের মননরহস্যকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। এই শতাব্দীর শিল্পচিন্তায় নারী স্বভাবের এই জটিল রহস্যজালটিকে উপজীব্য করে বহু রচনা হয়েছে। সুজিত ঘোষের 'অহল্যা' তার একটি।
    --------------------------------------------------
    খ্রিস্টপূর্ব সপ্তমশতকে কল্পিত রামায়ণের বালকান্ডে অহল্যা'কে অযোনিসম্ভূত বলা হয়েছে। অহল্যা চরিত্রটি সম্পূর্ণভাবে সৃষ্টিকর্তার ব্রহ্মার শুদ্ধতম সৃজনকলার নিদর্শন। কেউ বলে অহল্যা ভিনাস বা ঊর্বশীর মতো জল থেকে উঠে আসা একটি কল্পনা, কেউ বলে সপ্তর্ষির যজ্ঞধূম থেকে তার জন্ম। আবার পরবর্তীকালে কারুর মতে সে পুরুরাজকন্যা। ভাবতে একটু অবাক লাগে যে ঋগবেদের কালের কোনও কবি অহল্যা নামের এক শাশ্বত নারীসত্ত্বাকে কল্পনা করেছিলেন, যে একটি স্বকীয় মানুষ। কোনও প্রজননযন্ত্র নয়। তার একটি ব্যাখ্যা, ঋগবেদের ব্রাহ্মণরচনার কালে এদেশে এরকম স্বাধিকারসচেতন নারীর জন্য সমাজে স্বীকৃতি ছিলো। পরবর্তীকালের ব্রাহ্মণ্য যুগে, যখন উত্তররামচরিত লেখা হয়েছে, তখন অহল্যা নামক চরিত্রকে ব্যবহার করা হয়েছে প্রসিদ্ধ গৌতমমুনির ইন্দ্রিয়জয় ও তপোশুদ্ধির পরীক্ষা করার জন্য। নানা উৎস থেকে অসংখ্য উপকথা থেকে যে সূত্রটি উঠে আসছে তা হলো, যেহেতু অহল্যা সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার নারীসত্ত্বা কল্পনার শেষ কথা, তাই গত আড়াই হাজার বছর ধরে ভারতীয় পুরুষতন্ত্রের ক্রমবিবর্তিত নারীত্ব মূল্যায়ণের খেলায় চরিত্রটি একটি সূচক হিসেবে কাজ করছে।
    ---------------------------------
    একটি উপকথা বলে দেবরাজ ইন্দ্র গৌতমমুনির ছদ্মবেশে এসে অহল্যার মিলন প্রার্থনা করে। অহল্যা পুরুষতান্ত্রিক পরিবারব্যবস্থা অনুযায়ী সঙ্গতভাবেই মিলনে সম্মত হয়। কিন্তু ব্যাপারটি গৌতমমুনির গোচরে এলে অহল্যার কপালে কথিত অভিশাপ। এই গল্পের প্রতিপাদ্য, অহল্যা যদিও 'সতী' ( উল্লেখ্য, অহল্যাচরিত্র শাশ্বত পঞ্চসতীর একজন বলে পূজিত হয়), কিন্তু ইন্দ্র, প্রসিদ্ধ লম্পট, তাকে নষ্ট করে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আগে অওর টুইস্ট হ্যাঁয়। বেশ কয়েকটি রচনায় পাওয়া যায়, অহল্যা সজ্ঞানে, সচেতনভাবে ইন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলো। সূত্র বলছে, বৃদ্ধ গৌতমমুনির কাছে ব্রহ্মা অহল্যা'কে রক্ষণাবেক্ষন করার জন্য রেখেছিলেন মাত্র। গৌতমমুনি অহল্যার বিবাহসূত্রে 'স্বামী' নয়, অধিকারসূত্রে মালিক। অতএব সে পরগমন করলে তা'কে অভিশাপের ভাগী হতেই হবে। এটা পুরাণযুগের পুরুষতন্ত্র। বৈদিকযুগে ব্যাপারটা এতো একমাত্রিক ছিলোনা। সেখানে অহল্যা কারুর 'স্ত্রীধন' নয়, একজন স্বাধীন পৃথক মানুষ। প্রজননরহিত হয়েও সে গর্বিত নারী হবার অধিকার রাখে। পুরাণযুগের সামাজিক মূল্যবোধে নারীর এই সত্ত্বাটিকে হরণ করা হয়। সেখানে নারী সতত পার্শ্বচরিত্র। যদিও এসময় গড়ে ওঠা অতি বিস্তৃত তন্ত্র ও অন্যান্য অধ্যাত্মসাধনায় নারীদেবতাদেরই মুখ্য ভূমিকায় দেখা যায়। তন্ত্রশাস্ত্রের এই নারী, ঋগবেদ ব্রাহ্মণের স্বাধীনা নারী'র সমান্তরাল। অর্থাৎ এই স্বকীয় নারীত্বের ধারণাটি রক্তমাংসের সামাজিক নারীর থেকে হরণ করে পুথির পাতায় জ্ঞানমার্গের নারীদের জন্য বরাদ্দ হয়ে গেলো।
    ----------------------------------
    ইন্দ্র-অহল্যার অন্য একটি প্রতীকী প্রেক্ষিতও রয়েছে। ইন্দ্রের অপর নাম পর্জন্য, মেঘের দেবতা। অহল্যা কুমারী মাটি। এই ভূ-চরাচরে যেকোনও সৃষ্টির জন্যই এই দুই সত্ত্বার মিলন আবশ্যিক। এই দুটি প্রাকৃত শক্তি, যা শুধু ন্যাচরল ল মেনে চলে। আর সামাজিক মানুষ ন্যাচরাল ল'য়ের প্রতি আনুগত্য'কে রিপু বলে মনে করে। কাম, ক্রোধ, মোহ, মাৎসর্য আদি প্রাকৃত ধর্মকে আগল না দিলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রচলিত বিন্যাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মানুষের অস্তিত্ব মানেই একদিকে তার প্রাকৃত প্ররোচনা, অন্যদিকে নৈতিক বিধিনিষেধ। মধ্যযুগে প্রচলিত নৈতিকতার চাপ ইন্দ্রের কাছে অহল্যার স্বাভাবিক আত্মসমর্পণকে অভিশাপযোগ্য মনে করেছে। সেই সময় এই প্ররোচনা'কে প্রশ্রয় দিলে নারীকে পাথর করে দেওয়া হতো। এই যুগের শিল্পী পুরুষকে পাথর করে দিয়েছেন। জাস্টিস ডি'লেয়েড, বাট নট ডিনায়েড।
    -------------------------------------
    'অহল্যা' ছবিটি সুনির্মিত, কিন্তু আমার কাছে মাইলফলক বোধ হয়নি। গঠনটি কবিতার মতো। সঙ্গত কারণেই কাব্য হয়ে ওঠেনি। কারণ নির্মাতার উদ্দেশ্যটি ছিলো ট্রিগার করা, পরিণতির দায় দর্শকের। আমার মতে এ দেশে 'অহল্যা' কিম্বদন্তীর সারসংক্ষেপের প্রতি সুজিত বিশ্বস্ত। অভিনয়ে সৌমিত্র, দ্য মাস্টার। এখনও তাঁর কাছে কাছে অনেক শেখার আছে। টোটাকে যথাযথ বলা যায়। কারণ, সৌমিত্র'কে পুলিস হয়ে শাসাবার সময় তার সংলাপ ডেলিভারি চরিত্রটির মাত্রাবদল'কে ধরতে পারেনি। আর অহল্যা চরিত্রের সংলাপ শুনে মনে হলো শুধু হাস্কি স্বরে কথা বলাটাই যদি যৌন ইন্টেনসিটির শেষ কথা হতো, তবে সুপ্রিয়া, সুচিত্রার ফ্যান্টাসিকে মাৎ করে দিতে পারতেন। আর অবাঙালি উচ্চারণ কি ফ্যান্টাসি'র আগুনে একটু বেশি ঘি ঢালতে পারে? জানিনা। এই জায়গাটা সুজিত একটু শর্টে সেরেছেন। সঙ্গীত নেই, এটাই হওয়ার ছিলো। তবে সরুগলায় " বাহির হয়ে এসো তুমি....." অপ্রয়োজনীয়। সুজিত একেবারে ফেল করেছেন, টোটার চিৎকারটা জুড়ে দিয়ে। সেই পঞ্চান্নসালে মানিকবাবু ওভাবে হাতে ধরে শিখিয়ে গেছেন, তবু বিহঙ্গ.... এখনও অন্ধ। মানিকবাবুকে আরেকবার মনে পড়ে, প্রোফেসর শংকু ও আশ্চর্য পুতুল।
    -------------------------------------
    অভিনেত্রী হিসেবে রাধিকা এখনও খ্যাতনাম ন'ন। তাঁর মুখচ্ছবির ইনোসেন্সটি পরিচালক ভালো ব্যবহার করেছেন, শারীর ভাষাটিকেও। তবে একটা ব্যাপার এই ২০১৫'র আমাকে আবার ভাবাচ্ছে। আড়াই হাজার বছর আগেও দেখছি এদেশে পুরুষদের যা একই ভাবে ভাবিয়েছিলো।

    পুরুষের নেমোসিস কোথায়? নারীর শরীরে না নারীর মনে....?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৫ জুলাই ২০১৫ | ৬৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শিবাংশু | 127.201.148.166 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৫ ০৬:০৯69217
  • যাঁরা এখনও দেখেননি, দেখতে পারেন...>

    <
  • শিবাংশু | 127.201.148.166 (*) | ২৫ জুলাই ২০১৫ ০৭:০৯69218
  • একটা বড়ো ভুল চোখে পড়লো। 'অহল্যা' ছবিটির পরিচালকের নাম সুজয় ঘোষ। ভুল করে সুজিত লেখা হয়ে গেছে। :-(
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৭ জুলাই ২০১৫ ০৫:৪০69219
  • 'সুজিত একেবারে ফেল করেছেন, টোটার চিৎকারটা জুড়ে দিয়ে। ' একদমই তাই মনে হয়েছিল।

    'অহল্যা সজ্ঞানে, সচেতনভাবে ইন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলো।' .. এটা খুব ইন্টারেস্টিং। একটু সূত্র পাওয়া যাবে ?

    এদিকে এই নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট দেখলাম, যেখানে দাবি, যে এখানেও আসলে অহল্যাই স্বামীর হাতের পুতুল গৌতমের ধর্ষকাম চরিতার্থ করার। এ নাকি আসলেতে স্বামীর বিকৃত কামনা পূর্তি, আর বেচারি মেয়েটি ব্যবহৃত !
    এটা কী করে জানা গেল যে অহল্যারও এতে সম্মতি নেই, সেও এটিতে আনন্দ পায়নি, তার কোন সদুত্তর পাইনি এখনো।

    তো, সে যাগ্গে, আমার ফিল্মটা প্রেডিক্টেবল আর কিছু জিনিস ভাল না লাগলেও, এই নানাবিধ ইন্টারপ্রিটেশনের জায়গা তৈরি করা বা ছেড়ে দেওয়াটা ভাল লেগেছে।
    শিবাংশুদার লেখাটাও।
  • সিকি | 132.177.106.252 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৪:৫৬69220
  • https://en.wikipedia.org/wiki/Ahalya

    "Ahalya was married to the much older Gautama. In the earliest full narrative, when Indra comes disguised as her husband, Ahalya sees through his disguise but nevertheless accepts his advances. "
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৫:২২69221
  • সিকি, এই ন্যারেটিভ কোনগুলো, সেই রেফারেন্স চাইছিলাম।
  • শিবাংশু | 127.214.108.8 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৭:২৮69222
  • পাইদিদি,
    আপাততঃ পাতি উইকি থেকেই কপি-পেস্ট করলুম। সময় পেলে আসল বই থেকেও কিছু উদ্ধার করে দেবো।

    "........The Bala Kanda of the Ramayana is the earliest text to describe Ahalya's seduction in detail. It states that Indra becomes enamoured by Ahalya's beauty, learns of her husband's absence and comes to the ashram disguised as Gautama to request sexual intercourse with her, praising her as a shapely and slim-waisted woman. She sees through his disguise, but consents owing to her "curiosity". According to another interpretation, Ahalya's pride in her beauty compels her. Having satiated his lust, Ahalya requests that Indra, her "lover" and the "best of gods", flee and protect them from Gautama's wrath. TheKathasaritsagara (11th century CE) is one of the few texts that mirror the Bala Kanda's Ahalya, who makes a conscious decision to accept Indra's advances. However, in this text Indra arrives undisguised.
    n some versions, though initially deluded by Indra's disguise, Ahalya eventually recognises the impersonator. In the Skanda Purana, Ahalya smells Indra's celestial fragrance and realises her folly as he embraces and kisses her and "so forth" (probably indicating a sexual act). Threatening Indra with a curse, she compels him to reveal his true form. However, Kamban's 12th-century Tamil adaptation of the Ramayana, the Ramavataram, narrates that Ahalya realises that her lover is an imposter but continues to enjoy the dalliance. Here, Ahalya agrees to have sex with the disguised Indra because she has long been craving affection from her ascetic husband.
    In Venkata Krishnappa Nayaka's Telugu rendition, Ahalya is depicted as a romantic adulteress. When Brahma creates Ahalya as the most beautiful being, she falls in love with Indra and longs for him, but Brahma grants her to Gautama. After Ahalya's marriage, Indra too craves for her. He frequently visits her and flirts with her in Gautama's absence. At one point, Ahalya receives a visit from Indra's female messenger, who proceeds to mock husbands who avoid sex by saying that it is not the right day for pleasure. Ahalya protests, maintaining that she imagines Gautama to be Indra as they have sex and that a woman should be a stone, forgoing all thought of sexual gratification. That night, when Ahalya longs for conjugal bliss, Gautama refuses her, saying that she is not in her fertile period. Agitated, she wishes that Indra was there to satisfy her. Indra perceives her wish and comes in Gautama's disguise, but is revealed by his seductive speech. Ignoring the deception, Ahalya joyously makes love to him........"
  • de | 69.185.236.53 (*) | ২৮ জুলাই ২০১৫ ০৭:৩৩69223
  • টোটার চিৎকারটা আমারও বিচ্ছিরি লেগেছে -

    লেখাটা খুব ভালো!
  • একক | 113.6.157.185 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৫ ০১:৩৪69226
  • "পুরুষের নেমোসিস কোথায়? নারীর শরীরে না নারীর মনে....?"

    শরীর বাদ্দিলে নারীর মনে কি আদৌ এমন কিছু আছে যা কেবলমাত্র নারী-স্পেসিফিক ? আমার কেমন পুরো ব্যাপারটাকেই চরম ওভারহাইপড মনে হয় ।
  • 0 | 123.21.71.105 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৫ ০৪:০২69227
  • nemesis' শব্দটায় আপত্তি আছে।
    পরিবেশস্থিতি অনুযায়ী একটা মানুষ তার স্বাধীন চেতনা, বিবেচনাবুদ্ধি, প্রবৃত্তি দিয়ে যে বিশেষ কোনো একটা সিদ্ধান্ত নেবে তা'তে যদি অন্য একটি মানুষের কোনো একটা সত্যি বা প্রতীত অন্যায়াচরণের উপযুক্ত শাস্তির একটা অবয়ব তৈরী হয়, সেক্ষেত্রে পুরো ব্যাপারটাকে জেনেরালাইজ্‌ ক'রে আগের মানুষটার পুরো শ্রেণীকে (কোনো একটা বৈশিষ্টের ভিত্তিতে) পরের মানুষটার পুরো শ্রেণীর জন্যে nemesis হিসেবে চিহ্ণিত করা ঠিক নয়।

    তাছাড়া nemesis হিসেবে যদি চিহ্ণিত করতেই হয়, তাহলে সাধারণ ভাবে অত্যধিক কামপ্রবৃত্তি বা কায়েমী প্রভুত্ব/স্বামীত্বের অধিকারদাবী, এইগুলোকেই চিহ্ণিত করা উচিত।
  • 0 | 132.163.98.0 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৫ ১২:১৬69224
  • Sanskrit ramayana by Valmiki:
    “…मुनिवेषं सहस्राक्षं विज्ञाय [muniveṣaṃ sahasrākṣaṃ vijñāya]…”- 1/47/19/a
    [vide: http://www.sacred-texts.com/hin/rys/rys1047.htm ]

    Translation by R.T.H. Griffith (Yr.1874):
    “…She knew him in the saint's disguise, Lord Indra of the Thousand Eyes,…”- I/XLVIII
    [vide: http://www.sacred-texts.com/hin/rama/ry048.htm ]
  • de | 24.139.119.171 (*) | ২৯ জুলাই ২০১৫ ১২:১৮69225
  • দারুণ লিং - থ্যাংকু থ্যাংকু!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন