এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ওপেন টি সম্পর্কে দু-এক কথা

    Parichay Patra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ জুন ২০১৫ | ১০৭১ বার পঠিত
  • ওপেন টি বায়োস্কোপ দেখলাম। কেন দেখলাম সে একটা প্রশ্ন, বিশেষ করে আমার সিনেফাইল বন্ধুরা আমার এমন আলু আলুবখরা, জল এবং জলপাইময় বিচরণ দেখে সপ্রশ্ন হন মাঝে মাঝেই। আমি বলি আহা, অমন তো হয়েই থাকে, আগের দিন লিসানদ্রো অ্যালনসোর ‘লিভারপুল’ দেখলাম, আর পরের দিন সন্ধের অবসরে ওপেন টি। আমাদের ইউটিউবে ছাড়া দেখার সুযোগ নেই, ফলে অন্য সকলের দেখে নানা তর্ক তুলে ফেলার পরে আমার কথা বলতে বসা। এমনিতে এই নস্টালজিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে আমার ইমোশনাল আইডেন্টিফিকেশনের সম্ভাবনা কমই, শুধু এই জন্য নয় যে আমি একজন পেশাদার সিনেমা আলোচক এবং ছাত্র, বরং এজন্যও যে এই কৈশোর আদতে আমার কৈশোর নয়। বয়ঃসন্ধির যে সাধারণীকরণে বিনিয়োগ করে ওপেন টি তা আমার কোনোদিন ছিল না। এইসব পেলব অভিজ্ঞতা আমার প্রায় যক্ষ্মারোগগ্রস্ত জীবনে কখনই হয়নি। আর উত্তর কলকাতা সম্পর্কে এই রোম্যান্টিকতা আমাকে এমনিতেও স্পর্শ করে না। এর ফল হচ্ছে এই যে এইসবের বাইরে দাঁড়িয়ে ছবিটাকে একজন আউটসাইডারের মত করে দেখা যায়। ইতিমধ্যে ছবিটা নিয়ে অনেক কথা হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ছবিটা একপ্রকার ডায়াস্পোরা দর্শকের অতীতচারিতার বলকারক আহার্য যোগানোতেই উৎসাহী, যে তথ্য খুব ভুল নয়। প্রিভিলেজড লোকেশনে বসে উত্তর কলকাতার প্রতি এক ধরনের অপাঙ্গ দৃষ্টিপাত এতে রয়েছে। যে কারণে এবং শেষাংশের খেলার হারজিতের হিসেবনিকেশে এ ছবি আদ্যন্ত বাণিজ্যিক ‘লে ছক্কা’র সঙ্গে তুলনীয় এমন দাবীও এসেছে (লে ছক্কা অবশ্য মৌলিক ছবি নয়, চেন্নাই ৬০০০২৮ এর রিমেক)। শহরকে সে কিভাবে দেখে ও দেখায়, কি তার রাজনীতি, তা নিয়ে বিতর্ক কম নয়। একি হাউসমানিয়ান শহর নির্মাণ প্রকল্পের মত ওপর থেকে দৃষ্টিপাত নাকি মিশেল দ্য সেরতুর প্রস্তাব মেনে যাপনের মধ্যে দিয়ে টাউন প্ল্যানিংকে বুড়ো আঙুল দেখানো দৈনন্দিনের মানবমিছিল? সম্ভবত এক্সোটিক অ্যাপীল নির্মাণ ছাড়া ওপেন টির শহরের অন্য রাজনীতি নেই। এই মতও রয়েছে যে এ ছবি দর্শকের বুদ্ধিশুদ্ধির উপরে বিশেষ আস্থা না্ রেখে চরণে চরণে ৯০ দশকের রেফারেন্সবহুল নির্মাণ, অথচ ওপেন টির ৯০ এর ইতিহাসপাঠ একধরনের খণ্ড ইতিহাস, বা রিডাকটিভ হিস্ট্রি। তাতে সেসময়ের দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থানের ছাপ নেই বলে দাবী করেছেন আমার শিক্ষক অনিন্দ্য সেনগুপ্ত যা খুবই ন্যায্য (পোখরান পরবর্তী রাজনীতি ৯০ এর শিশুর জীবনে ঢুকে পড়া নিয়ে অনিতা অগ্নিহোত্রীর সেসময়েই রচিত কিন্তু স্বল্পপরিচিত একটি গদ্য আছে, ‘শেষ সামুরাই’)। এই দাবীগুলি শুরুতেই বলে নিয়ে এইবার আমি কয়েকটি কথা বলব।

    ১। এই যে কামিং অফ এজ ফিল্ম/টেক্সট, যার একটা সাব-জঁর হল Bildungsroman বা Kunstlerroman, এর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এবং একটি নির্দিষ্ট ন্যারেটিভ রয়েছে। সাধারণভাবে যে ছবিগুলিকে আমরা উদাহরণ হিসেবে ধরে থাকি সেগুলি এর ব্যতিক্রম নয়। গিসেপে তোরনাতোরের ‘সিনেমা পারাদিসো’ সম্ভবত সাম্প্রতিক সময়ে এই জঁরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি, যার সঙ্গে ওপেন টির একধরনের কাঠামোগত সাদৃশ্য রয়েছে। জঁর সিনেমার মজা ওইটেই, সে এক নির্দিষ্ট গোত্রের চিহ্ন নিজের শরীরে বহন করবেই। যিনি ‘অতর’, তিনি এর মধ্যে থেকেই নিজেকে পৃথক করে নেবেন নানাভাবে। যেমন ধরুন এই গোত্রের কোয়াসি আত্মজৈবনিক ছবি ‘আমারকর্ড’। ফেলিনির অন্যান্য কালজয়ী ছবির তুলনায় এটি কিঞ্চিৎ নীরেস, তবু এই কামিং অব এজ ছবিতে থেকে যায় ফেলিনির সীলমোহর, সেই জাদুকরী রাতের সমুদ্রে জাহাজ দেখার দৃশ্য অথবা শুরু আর শেষের শিমুলতুলো উড়তে থাকা শহরময়। অথবা ধরুন আমার নিজের প্রিয় এই জঁরের গ্রীক ছবি, কোস্তাস কাপাকাসের ‘উরানিয়া’, যার পটভূমি জাতীয়-আন্তর্জাতিক রাজনীতি ছাড়িয়ে হয়ে যায় মানুষের চাঁদে পদার্পণ। সিনেমার কসমিক/কসমোলজিক্যাল অ্যাম্বিশন। ওপেন টির এতকিছু উদ্দেশ্য ছিল না, সে নেহাতই উচ্চাশাহীন, বরং তোরনাতোরের (যাকে আমি মিডিওকার বলেই মনে করি) মত সে নিছক গল্প বলাতেই আস্থা রাখে। বাংলা লিটারারী টেক্সটে এই ন্যারেটিভের একটি আদর্শ উদাহরণ রয়েছে, জয় গোঁসাইয়ের ‘দাদাভাইদের পাড়া’। তফাত এই, সে টেক্সটে বড়দের জগতের কিছু কিছু উল্কা প্রায় অন্তর্ঘাত ঘটিয়ে বয়ঃসন্ধির জীবনে ঢুকে পড়ে। ওপেন টি আরেকটু নিরাপদ। যদিচ রোম্যান্টিকতায় এঁরা সকলেই জয় গোস্বামীর সন্তান। দস্তয়েভস্কি যেমন দাবী করেছিলেন তাঁরা সকলেই গোগোলের ওভারকোট থেকে বেরিয়ে এসেছেন তেমন এই প্রজন্মের সকলেই এসেছেন জয়ের ঝুল পাঞ্জাবী থেকে।

    ২। এরপরের প্রশ্ন, এ থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা কি থেকে গেছে? ব্যূহে প্রবেশ শুধু, নাকি নির্গমনপথের হদিশও আছে? উত্তরে আমি দুটো টেক্সটের দিকে তাকাতে বলব। একটি নবারুণের হারবার্ট (ফিল্ম নয় কিন্তু)। এ রচনাতেও উত্তর কলকাতা আর আউটকাস্ট প্রতিম নায়ক ও উচ্চগোত্রের ‘নায়িকা’ রয়েছে একটা পর্যায় পর্যন্ত। কিন্তু নবারুণ তাতে আটকে পড়েন না, হারবার্ট ও বুকি বা এ কাহিনীর ফোয়ারা তিতিরদের ছাড়িয়ে নবারুণ মডার্নিটির এক ভয়াবহ আন্ডারবেলিতে উড়িয়ে নিয়ে যান তাঁর পাঠককে। সিনেমার ক্ষেত্রে আমার খুব প্রিয় উদাহরণ আছে একটি ছবি, প্রায় কামিং অব এজ ছবির সব বৈশিষ্ট্য (কুমারী মা, তাঁর আশাবাদ, পাড়ার বখাটেদের দলভুক্ত হওয়া এবং গণিকাগমন) সত্ত্বেও যে ছবি খুঁজে নেয় তার লাইনস অব ফ্লাইট, তার রাষ্ট্রক্ষমতার ময়নাতদন্ত আর ক্রুশিফিকশনের অব্যর্থ মিথের মধ্যে দিয়ে। হ্যাঁ, পাসোলিনির মাম্মা রোমার কথা বলছি।

    ওপেন টি এমন কোন আশ্চর্য উড়ান চায় না। সেটা তার কক্ষপথের বাইরে নিয়ে যেত তাকে। সে শুধুই গল্প বলতে চায়। এখানে তাই দাদাভাইদের পাড়াতেই সীমায়িত থাকে তার যাত্রা। ছাদে বিকেলের কনে দেখা আলোয় তিতিরের ঠোঁট ফোয়ারাকে খুঁজে পায়। গল্পেরা ওই ঘাসে/তোর টীমে, তোর পাশে।

    পুনশ্চঃ ‘বন্ধু চল’ এর ভিডিওর চুম্বনদৃশ্য মূল ছবিতে অর্ধপথে শেষ। কি হয়েছে যারা থিয়েটারে দেখেছেন? এ কি সেন্সরের কাজ? কাকতালীয়ভাবে সিনেমা পারাদিসোতে, মনে করিয়ে দেওয়া ভুল হবে না, মূল রেফারেন্স পয়েন্টই হয়ে উঠেছিল অজস্র আর্লি ছবির চুম্বনদৃশ্যের সমাহার, বেরসিক পাদ্রীমশাইয়ের দাবীতে যা কেটে কেটে একজায়গায় জড়ো করা হয়েছিল। বড় হয়ে সে ছবির ফোয়ারা, সালভাতোরে, ফিরে এসে যেগুলির মাধ্যমে দ্রুত নিজেকে ইতিহাসে প্রবেশ করায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ জুন ২০১৫ | ১০৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অবান্তর | 233.223.137.100 (*) | ০৭ জুন ২০১৫ ০২:২৮67437
  • বড্ড বিরক্তিকর লেখা। সিনেমার রিভিউতে শুধু কাঠামোগত কচকচানি থাকতে লাগে বুঝি? ভালো লাগা বা মন্দ লাগার কারণ হিসেবে মানসিক কোন ছাপ কি সর্বতোভাবে বর্জনীয়? কিছু বিদেশী সিনেমার নাম কপচিয়ে জ্ঞান ফলানো এবং আমি একজন সিনেমাবোদ্ধা ('একজন পেশাদার সিনেমা আলোচক এবং ছাত্র') সেটা প্রমাণ করার খুব দরকার বলে তো মনে হয় না। রিভিউ হলেও সুখপাঠ্যতাও তো লেখার একটা গুণ। ওপেন টি বায়োস্কোপ কেমন লাগলো তা আদৌ বোঝা গেল না, তবে এই লেখায় সেই সুখপাঠ্যতার বড্ড অভাব।
  • ranjan roy | 192.69.154.221 (*) | ০৭ জুন ২০১৫ ০৩:২৩67438
  • কী চেয়েছি আর কী যে পেলাম?
  • Mila | 80.119.204.134 (*) | ০৭ জুন ২০১৫ ০৩:৪১67439
  • এটা কোন সিনেমার রিভিউ বোঝা দায়
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৭ জুন ২০১৫ ০৪:২৮67440
  • পরিচয় কী ইংরেজিতে লিখতে অভ্যস্ত? লেখাটা পড়ে মনে হল মূল কোনো লেখার অনুবাদ। যাই হোক ধন্যবাদ এই লেখার জন্য। ছেঁকে তোলার মত জিনিস কিছু পেলাম, নিজের মত করে।

    এই জায়গাটা একটু বিস্তারিত লিখতে বলব, যদি সম্ভব হয় -

    "শহরকে সে কিভাবে দেখে ও দেখায়, কি তার রাজনীতি, তা নিয়ে বিতর্ক কম নয়। একি হাউসমানিয়ান শহর নির্মাণ প্রকল্পের মত ওপর থেকে দৃষ্টিপাত নাকি মিশেল দ্য সেরতুর প্রস্তাব মেনে যাপনের মধ্যে দিয়ে টাউন প্ল্যানিংকে বুড়ো আঙুল দেখানো দৈনন্দিনের মানবমিছিল?"

    মানে এই হাউসমানিয়ান বা মিশেল দ্য সেরতু (এই নামে তো একজন মডেল আছে জানতাম!) - এই রেফারেন্সগুলো যদি ডিটেল দেন।
  • darshak | 14.15.177.203 (*) | ০৭ জুন ২০১৫ ১১:১২67441
  • ফাটিয়ে দিয়েছো মাইরি। কি লিখেছো গুরু। এটা অনিন্দ্যদাকে শুধু কেউ মেল করে পাঠিয়ে দাও। আচ্ছা, তুমিই কি তাতিন?
  • পরিচয় | 128.138.31.140 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০১:০৩67443
  • আর একটি কথা। আমি ইংরেজিতে অ্যাকাডেমিক লেখার বাইরে খুব কিছু লিখিনা। আমার বেশিরভাগ লেখাই তাই বাংলায়। গুরুতেই আমি দিবাকরবাবুর ব্যোমকেশ বক্সি নিয়েও লিখেছি। আমার গদ্য একটু অন্যরকম, পড়লে ইংরেজি ধাঁচের মনে হতেও পারে। আর আমি এখানে রিভিউ করতে চাই নি, ছবি সম্পর্কে কিছু ভাবনাকে লিখেছি মাত্র। এবং ফিল্ম সমালোচনায় আমার পদ্ধতি হচ্ছে একটি ফিল্ম টেক্সটকে অন্য টেক্সট নিয়ে এসে ব্যাখ্যা করা। অর্থাৎ লেখার ভাষা হবে সিনেমাই, সিনেমার আলোচনাকে সিনেমা দিয়েই বোঝাতে হবে।
  • a x | 138.249.1.202 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০২:৫৪67454
  • কুমারী মা?! ভার্জিন মেরীর মত?
  • Parichay Patra | 178.235.194.76 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৪:৪৯67444
  • সেই ভাবনায় আত্মপ্রচারের দায়টা খুব তীব্র। একটি বাংলা কমার্শিয়াল ছবির সমালোচনায় দশটা বিদেশি ছবির নাম কপচালে আসল কারণটা যে 'এই দ্যাখো, এই সঅঅব আমি গুলে খেয়েছি', সেটা বুঝে নিতে বিশেষ অসুবিধে হবার কথা নয়। এটাই যদি আপনার ধারা হয়ে থাকে তবে বলতে হবে সেটি অত্যন্ত বিরক্তিকর, আর অসাহিত্যসুলভ।
  • কল্লোল | 111.63.80.58 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৬:০৭67445
  • "Comment from Parichay Patra on 08 June 2015 10:19:26 IST 178.235.194.76 (*) #
    সেই ভাবনায় আত্মপ্রচারের দায়টা খুব তীব্র। একটি বাংলা কমার্শিয়াল ছবির সমালোচনায় দশটা বিদেশি ছবির নাম কপচালে আসল কারণটা যে 'এই দ্যাখো, এই সঅঅব আমি গুলে খেয়েছি', সেটা বুঝে নিতে বিশেষ অসুবিধে হবার কথা নয়। এটাই যদি আপনার ধারা হয়ে থাকে তবে বলতে হবে সেটি অত্যন্ত বিরক্তিকর, আর অসাহিত্যসুলভ।"

    এই পরিচয় পাত্র যে এই লেখাটির লেখক নন, তা বুঝতে দীপক চাটুজ্জ্যেও হতে হয় না।
    লেখাটি ভালো না লাগতেই পারে (আমার ভালো লাগে নি), তাতে যদি সমালোচনা করতেই হয় তো লেখকের নাম নিক নিয়ে না করাই ভালো।
  • /\ | 69.160.210.3 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৬:৩৭67446
  • পরিচয় বুঝুন, এ ধরণের লেখা পড়তে পাঠকের আত্মগ্লানি হয়। অ্যানোটেটেড লিখুন, বা লেখার প্রথমেই যে যে রেফারেন্স দিয়েছেন, সেগুলো আলাদা করে উল্লেখ করে বলে দিন, এইগুলো সম্বন্ধে না জানলে লেখাটা পড়ে পাঠক কিছু বুঝবেন না। ক্রস রেফারেন্সিং ও ইন্টারটেক্সচুয়ালিটি সিনেআলোচনা বা সাহিত্যসমালোচনার স্বীকৃত পন্থা ও পদ্ধতি হলেও, প্রচন্ড ইন্টারেস্টিং ও আলবাত সাহিত্যসুলভ হলেও, পরিচয় জানুন, যতক্ষণ তা চন্দ্রিলীয় প্রাত্যহিকতায় মাখোমাখো ততক্ষণই উপাদেয়, যতক্ষণ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও বহুল প্রচারিত কাগুজে হেডলাইন পাঞ্চিত ততক্ষনই অনুধাবনেয়। ব্যক্তিগত পাঠবিস্তার (range) বা অর্জিত অভিজ্ঞতা কিংবা জ্ঞানপরিধির ভারে লেখাকে সমৃদ্ধ করার ন্যূনতম বিপদটিই হল এই - যা হল। বহুল জনতাকে সরিয়ে আপনি নীশ, দীক্ষিত, সহ-সমভিজ্ঞ পাঠকের একটি গোষ্ঠী গড়ে নিলেন আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্যে।

    বর্তমান গুরুভোকাবুলারি একে জ্ঞানগরিমা বলে দাগায়। সাবোধান।
  • শাক্যজিৎ | 116.51.234.126 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৬:৫৮67447
  • পরিচয় খুব ভাল লিখেছে। সিনেমাটায় অনেক ইন্টারেস্টিং গেজ আছে যেটা না দেখলে বোঝা যাবে না। উত্তর কলকাতার স্যাভেজ কলোনীর বাচ্চাদের মানুষ করার ব্রত নিয়ে নাইট স্কুল চালাচ্ছে যে মেয়েটি সে নিজে দক্ষিণাপনের কাছে থাকে। উত্তর কে যেরকম ধ্বংসস্তুপ দেখানো হয়েছে, গাড়ি ঢোকাতে প্রবলেম, এবং সিনেমার শেষে সাদা রং-এর বড় গাড়ি গলি ঘুঁজি ছেড়ে উড়ান দেয় রাজপথে। এই গেজ গুলো নিয়ে বিস্তর কথা বলা যায় ।
  • Parichay Patra | 178.235.195.53 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৭:০৮67448
  • গু-চ র মোবাইল ভার্সনে সম্ভবত কিছু সমস্যা রয়েছে, এখানে নিজের নাম দেওয়ার অপশন থাকে না। তাই মন্তব্য করলে তা লেখকের নামেই পোস্ট হয়ে যায়। লেখকের নাম নিক হিসেবে নেওয়া ইচ্ছাকৃত নয়।
    (আমি পরিচয় পাত্র নই)
  • পরিচয় | 128.138.31.140 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৮:০৭67449
  • আমার লেখা বিরক্তিকর মনে হতেই পারে, তা নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। কিন্তু অসাহিত্যসুলভ যে বলেছেন এটাকে আমি প্রশংসাসূচক মনে করছি। সিনেমা বিষয় লেখা সাহিত্যসুলভ কেন হবে? সিনেমা সম্পর্কিত রচনা সিনেমা আলোচনার ধারা মেনেই চলবে। সেটাই প্রত্যাশিত। শাক্যদা এবং ^ র মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
  • শঙ্খ | 213.99.211.132 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৮:৩৮67450
  • তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। এই লেখা আরো অনেক আলোচনা উস্কে দিতেই পারে, হয়ত দিচ্ছেও কিন্তু দু একটা জায়গায় কয়েকটা সমস্যা থেকে যাচ্ছে।

    আত্মপ্রচার বা নেমড্রপিং টাইপের কথাগুলো একেবারে হাওয়ায় আসছে না। প্রথম তিন চারটে লাইনের কৈফিয়ৎ পড়ে দেখুন, মনে হবে হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের ব্লার্বের লেখক পরিচিতি পড়ছেন। তাতে সমস্যা ছিল না যদি লেখাটা আরেকটু বড় হত, কনটেক্স্ট-এর জায়গা গুলো একটু বিশদে বলা থাকত বা জঁরা এবং সিনেমার রেফারেন্স নিয়ে দু চার কথা থাকত। সেসব কিছুই নেই, বস্তুতঃ সামনের দিকটা (লেখকের ভাষায় 'দাবীগুলি')-য় ভনিতা করতে যত পরিসর লাগল, মূল লেখাতে এসে দেখি মোটে দুটি পয়েন্ট, তাতেও আসল বক্তব্য বড়ই ধোঁয়াসা ময়, পড়ার পরে মনে থেকে যায় শুধু ফেলিনির শিমূলতুলো, গোগোলের কোট আর জয়ের ঝুল পাঞ্জাবী। লেখা এর পরে পরেই খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় কবিতার মত কয়েকটি আপাত অসংলগ্ন লাইনের সমাহারে। 'সিনেফাইল/পেশাদার সিনেমা আলোচক এবং ছাত্র' এদের কি মনে হয় জানি না, এদের বাইরে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ জাস্ট কৌতূহল নিয়ে লেখাটা পড়তে এলেন, তাদের অধৈর্য লাগতেই পারে, কেউ এড়িয়ে গেলেন, কেউ একটু বিরক্তি প্রকাশ করলেন, কেউ নিছক খিল্লি।

    আরেকটু বড় পরিসরে, যদি সম্ভব হয় টেকনিকাল টার্ম গুলোকে একটু বিস্তারিত করে এই আলোচনা চলতে থাকুক, আশা রাখি অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।
  • bhalomanush | 122.79.38.25 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৯:৩১67455
  • টই এ টই এ গুরু ও চণ্ডালগণ এখনও দেখছি সুযোগ পেলেই গরিমার সাফিক্স জুড়ে দিয়ে হেবি একচোট স্বপৃষ্ঠ কন্ডুয়ন করে চলেছে. ঘ্যামচ্যাক জনতা ছোট ছোট ব্যাপারে এত ক্রাইসিসে ভোগেন জানা ছিল না. অবিশ্যি বিপুলা এ সাইটের কতটুকুই বা জানি. তবে জনহিতার্থে দুচারিটি সাজেশন দিতে পারি মাত্র. নেওয়া না নেওয়া আপনাদের ইচ্ছে. বলি কী- ঘন্টা খানেকের জন্য নেট বন্ধ করুন- গুটিগুটি পায়ে অফিস বাড়ি চায়ের ঠেক থেকে বেরিয়ে একটা ফাঁকা জায়গায় আসুন- চারপাশটা এট্টু ছান মেরে নিয়ে উত্পল দত্ত স্টাইলে গলা ছেড়ে খরবায়ু বয় বেগে ধরুন- আশেপাশের কেউ ভড়কে গেলে ওই হাইও পোর্শন টা তার কানের কাছে গিয়ে চেচান- ই উ আ এগুলো খুব বোল্ডলি বলুন- মানে ফেসিয়াল মাসল যতদূর স্ট্রেচ করা যায় আরকি- এইবার মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে স্বস্থানে ফিরে আসুন- এবং গুরু খুলুন.
    দেখবেন, জীবনটা আল্লাহর কিরে এক্কেরে অন্যরকম হয়ে গেছে!
  • পরিচয় | 128.138.31.140 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ০৯:৫০67451
  • হ্যাঁ, লেখাটা সংক্ষিপ্ত। আসলে তাৎক্ষণিক একটি ফেসবুক রচনাই ইপ্সিতাদির কথায় তুলে দিয়েছি। বিস্তারিত লেখা হলে আমার নিজেরও ভাল লাগত।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ১১:৩০67452
  • আমার এইখানে সামান্য দুইখান আপত্তি আছে -
    "অথচ ওপেন টির ৯০ এর ইতিহাসপাঠ একধরনের খণ্ড ইতিহাস, বা রিডাকটিভ হিস্ট্রি। তাতে সেসময়ের দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থানের ছাপ নেই বলে দাবী করেছেন আমার শিক্ষক অনিন্দ্য সেনগুপ্ত যা খুবই ন্যায্য"

    গণেশ দুধ খচ্ছে এই ধর্মীয় উন্মাদনাটিকে বামেরা, সরকারী বামেরা, বিরোধীতা তো করছেই না, উল্টে - জনগন খাচ্ছে, তাই আমরা খাওয়াচ্ছি - গোছের যুক্তি চুলকাচ্ছে। ধর্মীয় কুসংস্কারের কাছে নতজানু হাওয়ার এই আখ্যানের পর, আর দক্ষিন্পন্থার উত্থান কি দেখাবে? বাবরী ভাঙ্গা হচ্ছে!!

    একটা ছোট্ট কোশ্ন ছিলো। সিনেমা সংক্রান্ত নয়।
    অখন্ড ইতিহাস কি বস্তু?

    আর কোথাও, ফোয়ারার কুমারী মা। ছেলের উড়ানে উড়তে না চাওয়ার মধ্যে অন্য একটা অস্বীকার আছে - এই অস্বীকার হয়তো মিশেল দ্য সেরতুর অন্তর্ঘাত ঘটায় না, কিন্তু শহরের "উন্নয়ন"এর ধারনার উল্টোদিকে গিয়ে দাঁড়ায়।
  • a x | 60.171.26.111 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ১২:৫৩67453
  • ধন্যবাদ পরিচয়। ব্যখ্যার জন্য না, জানিনা বলে জানতে চেয়েছিলাম।

    আর অনুবাদ মনে হবার কারণ, লেখা আড়ষ্ট লাগছে তাই।
  • পরিচয় | 128.138.31.140 (*) | ০৮ জুন ২০১৫ ১২:৫৯67442
  • আমি তাতিন নই। আমার নাম পরিচয়। সবাইকে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এবার এএক্স বাবুর ব্যাখ্যা দিই। হাউসমান বলতে আমি বলেছি জর্জ-ইউজিন হাউসমানের কথা, উনিশ শতকের ফরাসী স্থপতিবিদ, তৃতীয় নেপোলিয়নের আদেশে যিনি প্যারিস শহরকে কার্যত নতুন করে গড়েছিলেন, আধুনিক পারীর রূপকার বলতে পারেন। হাউসমানের নগর পরিকল্পনা ছিল গরিব এলাকার উচ্ছেদ ঘটিয়ে ঝাঁ চকচকে নগর নির্মাণ, যার চতুর্দিকে রাষ্ট্রের নজরদারি থেকে যায়, স্থপতিবিদ যেখানে এক ধরনের উচ্চতা থেকে কৃপাদৃষ্টি দেন নিচুতলার দিকে। আর মিশেল দ্য সেরতু (১৯২৫-১৯৮৬) বিশিষ্ট ফরাসী দার্শনিক, তাঁর 'প্র্যাকটিস অব এভরিডে লাইফ' বইয়ের একটি অংশ হল 'ওয়াকিং দ্য সিটি'। সেরতু দেখান কিভাবে শহরের মধ্যে প্রতিনিয়ত নিজের মত করে বেঁচে আর সেইসঙ্গে শহরের যাপনচিত্র বদলে দিয়ে নিম্নবর্গের শহরবাসী স্থপতিবিদের চেনা ছককে সম্পূর্ণ এলোমেলো করে দিতে পারে, অন্তর্ঘাত ঘটাতে পারে।
  • /\ | 127.194.207.222 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ০১:০৯67457
  • ভালোমানুষের পোস্টটি প্রকৃত প্রস্তাবে স্বপৃষ্ঠ কন্ডুয়নের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জনহিতার্থে সাজেশন বলতে একটি ই- বাড়িতে নিজের জন্য একটি আয়না কিনুন।
  • patol | 125.124.45.2 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ০২:৫২67458
  • ei lekha ekta bhalo kaaj korar chesta kore. jani na seta lekhoker brihattaro karmokando-o ki na. ta holo popular ebong avant garde-er merukaron hotiye art-work hisebe protiti cinema-ke bojha, tulona kora, emon ki maramari lagiye deowa----a man escaped ebong shawshank redemption samalochoker kaal-kuthuri-te mukhomukhi hole besh bisforok kichu beriye aste pare porishilito kalome. lekhak seta katota bhalo parchen seta ei muhurte gouno, chesta korchen setai joruri. ete intimidated howar-o kichu nei, irritated howar-o na. eibhabe uni pesha/neshar proyojone expert-o roilen, abar bibidho nandonik obhibyakti-rajir modhye ekta workable democracy-r ba prak-boishoyik samyer trace ba necessity-o swikar kore nilen. bhaloi to.
  • কল্লোল | 111.63.193.254 (*) | ০৯ জুন ২০১৫ ১২:০৯67456
  • অক্ষ। না, নিনা গুপ্তার মতো। তবে, আমারই ভুল ওটা কুমারী মা হবে না, একলা মা হবে। তাতেও আমার আপত্তির জায়গাগুলো একই থাকলো।
  • utpal | 212.191.212.178 (*) | ১৬ জুন ২০১৫ ০৪:৪৭67459
  • সমালোচনা পড়ে হাসব না কাদব বুঝলাম না
    মনে হলো যে প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি না দিয়ে বলা---অঙ্কের উত্তর - -রেফারেন্স পেজ ন ১৩ অঙ্ক নআম্বার ৪ , কেশবচন্দ্র নাগ গোছের ,,,,,
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন