এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নয়া উদারবাদের ছেলেমেয়েরা : স্মরনজিৎ এর পাল্টা হাওয়া

    souvik ghoshal লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ এপ্রিল ২০১৮ | ১৭০২ বার পঠিত
  • Y2K জমানার কলেজ পড়ুয়া বা সদ্য পাশ করা কসমোপলিটন ছেলেমেয়েদের চালচলন, ভাবনা চিন্তার রকম সকমকে সাম্প্রতিক সময়ের বাংলা উপন্যাসের একটি ধারা বারবার ধরতে চেয়েছে। বাণী বসুর 'একুশে পা' এদের নিয়ে লিখে একসময়ে আলোড়ন তুলেছিল। সাম্প্রতিক সময়ে গত এক দশকে এই ধারায় লেখালেখি করে বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে সফল হয়েছেন স্মরণজিৎ চক্রবর্তী। ১৯৭৬ এ জন্ম নেওয়া স্মরণজিৎ এর লেখালেখিগুলি ২০০৩ থেকে পত্রিকার পাতায় ও গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হতে শুরু করে এবং এক দশকের মধ্যেই তার প্রায় ডজনখানেক উপন্যাস ও গল্পসংকলন প্রকাশিত হয়েছে। কসমোপলিটন টিন টোয়েন্টি কিশোর কিশোরিদের লক্ষ্যবস্তু করে প্রকাশিত আনন্দবাজার গোষ্ঠীর 'উনিশ কুড়ি' পত্রিকার নিয়মিত লেখক হিসেবে তিনি প্রথম পরিচিতি পান। এই পত্রিকাটি বাজারী সাফল্যে এবং প্রভাবে আবির্ভাবের পরেই যথেষ্ট সাড়া ফেলে। নয়া উদারবাদের সাংস্কৃতিক মুখ হিসেবে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি সমালোচনা ও আক্রমণের মুখোমুখিও হতে হয় একে।
    এই ধারার লেখালেখিগুলিকে বিশ্লেষণ করতে আমরা শুরু করতে পারি স্মরণজিৎ এর 'পাল্টা হাওয়া' উপন্যাসটি দিয়ে। এই উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে রীপ ও তার বন্ধুগোষ্ঠীটি, সদ্য কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরনো। বয়স পঁচিশের আশেপাশে। এর সঙ্গেই আছে সদ্য কলেজে ঢোকা রীপের ভাই পুলুর আঠারো উনিশের আরেকটি বন্ধুগোষ্ঠী।
    রীপ ব্যবসায়িক পরিবারের ছেলে। কিন্তু বাবা মারা যাবার পর নিজেদের পারিবারিক ব্যবসার শেয়ার কাকাদের কাছে বেচে দিয়ে সে বেছে নেয় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র এর জীবন। আছে তার বন্ধু আয়ান। তার বাবা অধ্যাপক কিন্তু সে পরিচিত পেশাগুলির পরিবর্তে ওয়াইল্ড লাইফ কনসারভেশন এর মতো কাজ বেছে নেয়, কারণ সেখানেই তার প্রাণের আরাম। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান শাক্যকে তার বাবা যেভাবে হোক মার্কিন দেশে পড়তে পাঠাতে ব্যগ্র, কারণ এখানে কোনও ফিউচার আছে বলে তিনি বিশ্বাসই করেন না। আর আছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পুষ্পল। একটি খুঁড়িয়ে চলা বইয়ের দোকানের টানাটানির আয় থেকে উঁকি দেয় তার অ্যাথলিট হবার স্বপ্ন।
    রীপের দুই বান্ধবী তিথি আর মৌনিকা। তিথি রীপের সঙ্গে একই সফটওয়্যার ফার্মে কর্মরত। মৌনিকা বেছেছে পরিবেশ নিয়ে সক্রিয় একটি এন জি ওর চাকরী।
    এই আখ্যানে আমরা সফটওয়্যার ফার্ম, এন জি ও কার্যকলাপ, কর্পোরেট ব্যবসার জগৎ আর ছবি আঁকিয়েদের জগতের কয়েক টুকরো ছবিকে বেশ স্পষ্টভাবে পাই। সফটওয়্যার ফার্ম এর ডেটলাইন মেইনটেম করার কড়া চাপ, বিদেশী কোম্পানীর জন্য প্রস্তুত রপ্তানীমুখী ব্যবসার ধরণ ধারণ, কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও অন্যকে দুমড়ে দেওয়ার হরেক অপকৌশল এর নানা কীর্তিকাহিনী আমরা দেখতে থাকি। অবশ্য অসুস্থ পারস্পরিক সম্পর্কের চেহারাটা চাকরী জগতের চেয়ে তথাকথিত সৃজনশীল জগতে কম কিছু নয়। রাই এর সূত্রে আমরা ছবি আঁকিয়েদের জগৎটির সঙ্গে কিছুটা পরিচিত হই। ক্রিয়েটিভ জগতের লোকেদের মধ্যে বিশ্রী পরশ্রীকাতরতা, ঈর্ষা, বিদেশযাত্রা থেকে প্রদর্শনীতে সুযোগ পাওয়া নিয়ে খেয়োখেয়ি বেশ বেআব্রুভাবেই এখানে উঠে আসে।
    কর্পোরেট ব্যবসার ধরণ ও এন জি ও কার্যকলাপের পারস্পরিক সম্পর্ক এই আখ্যানের কেন্দ্রে থাকা প্রেম সম্পর্কের টানাপোড়েনগুলির মধ্যে একটা অন্য স্বাদ নিয়ে আসে। এই আখ্যানে ফ্রেশ ওয়াটার বলে একটি এন জি ও কে আমরা পাই যারা একটি কর্পোরেট সংস্থার ঘটানো দূষণ নিয়ে প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা তাদেরই কোনও কোনও কর্তাব্যক্তির সঙ্গে কর্পোরেট এর অশুভ আঁতাত বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মানি পাওয়ার থেকে মাসল পাওয়ার – সমস্ত কিছুকেই ব্যবহার করে দূষণের অভিযোগটি আড়াল করতে চায় কর্পোরেট সংস্থাটি। কারণ ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট খাতায় কলমে থাকলেও তা কার্যত বন্ধই থাকে খরচ কমানো বা মুনাফা বাড়ানোর আছিলায়। এর মূল্য দিতে হয় সংশ্লিষ্ট গ্রামের প্রায় হাজার খানেক মানুষকে। এন জি ওর চেষ্টায় খানিকটা মিডিয়া দাক্ষিণ্য প্রথম দিকে পাওয়াও যায়, যদিও চাপের মুখে মিডিয়া পরে কভারেজ দিতে অস্বীকার করে। তবে শেষপর্যন্ত এন জি ও কর্ত্রী মোটা টাকা আর বিদেশ ভ্রমণের লোভে কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে আপোষ করে লড়াই থেকে সরে আসেন। শ্রেণি সংগ্রামের গ্রান্ড ন্যারেটিভ এর ধারণাটির পরিবর্তে নিও লিবারাল জমানায় প্রতিবাদের যে এন জি ও নির্ভর প্রেশার গ্রুপের ধারণাটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তার ভেতরের ফাঁকি সমেত এই নয়া 'প্রতিবাদী ইনস্টিটিউশন' এর একদিকের ছবিটা স্মরণজিৎ স্পষ্ট করে দেন।
    কিন্তু স্মরণজিৎ এর আখ্যান এই নতুন সময়ের যে ছবিটা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে সেটা হল উনিশ কুড়িদের মনোজগৎ। অবশ্য শুধু উনিশ কুড়িরাই নয়, তাদের মা বাবা কীভাবে ভাবছেন তার ছবিও এখানে পাই। শাক্যের বাবার কাছে ছেলেকে যেন তেন প্রকারেণ বিদেশে পাঠানোটাই যেমন একমাত্র লক্ষ্য, তেমনি মৌনিকার মারও তীব্র আকাঙ্ক্ষা মেয়েকে প্রবাসী ধনী চিকিৎসকের কাছে পাত্রস্থ করার। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়েদের নিজেদের ইচ্ছা অনিচ্ছেকে মূল্য দিতে তারা একেবারেই প্রস্তুত নন। এর বিপরীতে অবশ্য আছেন তিথি এবং অহনার বাবা, যিনি মেয়েদের স্বাধিকারকেই আগাগোড়া লালন করে এসেছেন। আবার নবীন প্রজন্মের চিত্রশিল্পী হিসেবে রাই স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন দেশে যাবার সুযোগ পেতে সবকিছু করতে প্রস্তুত, যদিও তার মা চেয়েছিলেন দেশেই থাকুক তার বড় মেয়ে, অসুস্থ বাবার নির্ভরতা হিসেবে।
    নবীন প্রজন্মকে কোনও একটি নির্দিষ্ট ছকে ঢেলে সাজাতে চাননি স্মরণজিৎ এবং তাদের আপন আপন মনোজগৎকে আলাদা করে সামনে রাখতে চেয়েছেন। অবশ্য জীবিকাগত ও পরিবারগত স্বাভাবিক ভিন্নতার বাইরে তাদের চিন্তাভাবনার একটি স্বাভাবিক, হয়ত বা বয়সোচিত প্যাটার্ন আমাদের চোখে পড়ে। প্রেম সম্পর্কের বিভিন্ন টানাপোড়েন তাদের প্রায় সবার মানসজগতের প্রধান অংশ। কিন্তু ছেলেদের প্রেমজীবন এখানে খানিকটা বৈচিত্র্যহীন। প্রায় সবাই ফেলে আসা নস্টালজিয়াগুলোকে নিয়ে কাতর বা সম্ভাব্যতা অসম্ভাব্যতার দোলাচলে দ্বিধান্বিত। বিপরীতে মেয়েদের প্রেমজীবন অনেকটাই বৈচিত্র্যময়তা নিয়ে হাজির। তিথি, মৌনিকা, রাই, মুন – সবাই নিজের নিজের কেরিয়ার নিয়ে সচেতন। তিথি প্রেমাস্পদকে পাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে নানা মিথ্যা বলে দূরে সরিয়ে দিতে পারে দ্বিধাহীনভাবে। রাই পেইন্টিং কেরিয়ারকে সফল করতে যেমন মানুষকে অক্লেশে ব্যবহার করে নিতে পারে, তেমনি দাম্পত্য বা পরকিয়া সম্পর্কে কোনও সংস্কার রাখে না। মুন পুরুষতন্ত্রের বিপরীতে নিজের লেসবিয়ান আইডেনটিটি নিয়ে দ্বিধান্বিত তো নয়ই, বরং একেই মুক্তির পথ বলে মনে করে। মৌনিকা নিজের জীবন জীবিকার স্বাধীনতার জন্য পরিবার ও সমৃদ্ধিময় বৈবাহিক জীবনের হাতছানির বিরুদ্ধে লড়াই করে। পুরুষতান্ত্রিক হাবভাব সমৃদ্ধ মার্কিন প্রবাসী ডাক্তার হবু বরকে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে।
    উল্টোদিকে শাক্যর দিদির মতো মেয়েরাও আছে। যে একমাত্র পাইলট হবু বরের প্রেয়সী পরিচয়টুকু নিয়েই বেঁচে থাকে। তবে এটা সাধারণ ছবি নয়। বস্তুতপক্ষে নয়া উদার অর্থনীতি কাজের জগতে শৃঙ্খলের নতুন নতুন বেড়ি নিয়ে হাজির হলেও তা যে নতুন সময়ের মেয়েদের পুরুষতান্ত্রিক নিগঢ় থেকে মুক্ত করে দিচ্ছে, তার ছবি বারবার ফুটে উঠেছে স্মরণজিৎ এর এই আখ্যানে। বিশেষত আগের প্রজন্মের মায়েদের সংসারে লাঞ্ছিত কুন্ঠিত অবস্থানের বিপ্রতীপে এই জাগৃতি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
    কিন্তু নতুন সময় মেয়েদের জগৎকে প্রসারিত করলেও মহানগরীর এলিট সোসাইটির সঙ্গে গ্রাম মফস্বলের দূরত্বকে তা কতটা দুস্তর করে তুলেছে, সে সম্পর্কেও আমরা অবহিত হই। একদিকে তিথি মুনেরা যখন আমেরিকান লোকাল টাইম মেনে নাইট শিফটে কাজ করছে, অন্যদিকে গ্রামীণ ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করা মৌনিকার পর্যন্ত মধ্যমগ্রাম থেকে লোকাল ট্রেনে চাপার অভিজ্ঞতাকে বিভীষিকা মনে হয়। আমরা দক্ষিণ কোলকাতাবাসী এই আখ্যানের সমস্ত এলিট পরিবারের টিন এজারদের প্রায় ব্যতিক্রমহীনভাবে ব্যক্তিগত যান ব্যবহার করতে দেখি। গণপরিবহনের জায়গায় ব্যক্তিগত যানরতি নয়া উদার আর্থিক নীতিমালারই অন্যতম অভিজ্ঞান।
    প্রতিবাদ সম্পর্কে এই প্রজন্ম সাধারণভাবে কী মনে করে ? ষাট সত্তরের 'তোমার নাম আমার না ভিয়েতনাম' বা 'নকশালবাড়ি লাল সেলাম' থেকে কতদূরে আজকের এই প্রজন্মের অবস্থান ? অবস্থানগত কারণেই প্রতিবাদী বিদ্রোহী হয়ে ওঠার কথা যাদের, সেই নিম্নবর্গীয়দের প্রতিনিধিত্ব এ আখ্যানে করে যে বাটু সে স্মরণ করে এবং মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে মেন্টর নাপিত যুগল এর কথা “ প্রতিবাদ হল এ যুগের শ্রেষ্ঠ ঢ্যামনামো। কাজ হয় না, কিন্তু টিভিতে ছবি দেখা যায়।”
    বস্তুতপক্ষে সাব অল্টার্ন চরিত্রগুলির রূপায়ণ এর মধ্যে দিয়েও নিও লিবারাল জমানাকে দেখা বোঝার একটা বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরে এই আখ্যান। এখানকার সাব-অল্টার্নরা কেউই অর্গানাইজড ওয়ার্কিং ক্লাসের অংশ নয়। তারা - বাটু, যুগল, মুন্না, লাটিম – সকলেই স্বভাবে বা অভাবে শেষপর্যন্ত ডেসপট হয়ে যায়, প্রতিবাদী প্রলেতারিয়েত তাদের থেকে আর জন্ম নিতে পারে না, সামনে আসে তাদের লুম্পেনসিই। প্রতিতুলনায় মনে পড়ার মতো ব্যাপার এই অংশের মানুষেরাই কিন্তু চোক্তার আর ফ্যাতারু হিসেবে সাবভার্ট করতে চায়, সিস্টেম ভাঙতে চায় নবারুণ ভট্টাচার্যের আখ্যানগুলিতে। স্মরনজিৎ এর দেখার চোখ, ভাবার প্যাটার্ন ভিন্ন। এই ভিন্নতা কতটা তার ব্যক্তিগত প্রবণতা, আর কতটা সময়ের চিহ্ন তা পাঠককে নিশ্চয় ভাবাবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ এপ্রিল ২০১৮ | ১৭০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • souvik ghoshal | 37.63.160.167 (*) | ২৯ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:২৬62228
  • একটা প্রশ্ন মনে জাগছিল। স্মরবজিৎ নিজে লেখার সময়ে এতকিছু ভেবেছিল কি?
  • Ishan | 202.189.128.15 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:০০62235
  • একুশে পা পড়েছি। পাল্টা হাওয়া পড়ার সাহস করিনি। করে ফেলব।
  • | 132.176.66.188 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১১62229
  • স্মরণজিতের যেকটা লেখা আমি পড়েছি (পালটা হাওয়া, আলোর গন্ধ, ক্রিস-ক্রস) তাতে মনে হয়েছে যে ওঁর লেখা আর করণ জোহরের সিনেমা একই শ্রেণীর - ওই সেই গতানুগতিক চকলেট-মার্কা উনিশ-কুড়ি বয়সীদের প্রেম-প্রেম খেলা । উপর উপর দেখলে স্মার্টনেসের একটা চাকচিক্য অবশ্য পাওয়া যায় ।
    সেই লেখা নেই এত আঁতলামো আর আদিখ্যেতা না করলে কি চলছিল না ?
  • souvik ghoshal | 52.110.151.162 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০৭:৫১62230
  • একটা টেক্সটকে তার চারপাশের বাস্তবতায় অন্য টেক্সটের ধারার সাথে মিলিয়ে পড়াটাই এখানে লক্ষ্য। স্মরণজিৎ একটা রিয়েলিটিকে তুলেছেন তিনি যেভাবে ভেবেছেন। লেখকের ভাবনার চেয়ে জরুরী টেক্সটটা কি বলছে সেটা - আমি এই ভাবনা থেকে লিখেছি। আর পশ্চিমের কালচারাল স্টাডিজে সাহিত্যমূল্যে মাইনর কিন্তু পপুলার টেক্সট নিয়ে কাজ করার চল অনেক দিনের। রলা বার্ত নিয়ে যারা আপ্লুত তাঁরা এখানে নবারুণ নিয়ে কাজে বা আকতারুজ্জামান নিয়ে কাজে উৎসাহ দেখাবেন কিন্ত পপুলার মাইনর টেক্সট নিয়ে লিখলে ভুরু কোঁচকাবেন কেন!
  • সিকি | 116.223.129.32 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ০৯:০০62231
  • দিব্য লাগল। এর পরে ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এই রকম মনোজ্ঞ একটি লেখা চাই।
  • শঙ্খ | 52.110.149.33 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ১২:২৬62232
  • বিলকুল। বিশেষ করে পঞ্চুর মধ্যে দিয়ে শুধু ফ্যাতাড়ু নয়, সাঙ্কো পাঞ্জার সাবভার্সান এবং বাবলুর মধ্যে দিয়ে দন কিহোতের নিও লিবারাল শ্রেণী চেতনা কি ভাবে মেটাফর হিসেবে প্রতিফলিত হল জাতি জানতে চায়।
  • dc | 116.203.93.103 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ১২:৫২62233
  • আচ্ছা সেই যে পকেটে করে অ্যাটোম বোম নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, সেটা কি এনারই লেখা?
  • | 116.193.248.207 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৮ ১২:৫৮62234
  • হ্যাঁ
  • Atoz | 161.141.85.8 (*) | ০১ মে ২০১৮ ০১:০৩62236
  • পিঠে করে নিয়ে যেত অ্যাটম বোম, পকেটে না। ঃ-)
  • S | 194.167.2.96 (*) | ০১ মে ২০১৮ ০৭:২২62237
  • ও হ্যাঁ ঐ পিঠে অ্যাটম বম্ব নিয়ে যাওয়ার গল্পটা পড়ার চেস্টা করেছিলাম। গল্পটাতে কিসব যেন হচ্ছিলো। এতো খারাপ লেখা এতো লম্বা গল্প আমি খুব কম দেখেছি।
  • T | 165.69.191.251 (*) | ০১ মে ২০১৮ ০৮:৫৬62238
  • এলিট বনাম মফস্বল বুঝতে আমাদের স্মরণজিত পত্তে হচ্ছে! হা ভগবান।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০১ মে ২০১৮ ১০:০৭62239
  • স্মরণজিৎ মানে কি? স্মরজিৎ বুঝি।
  • মানে | 186.10.104.240 (*) | ০১ মে ২০১৮ ১০:০৯62240
  • ভিক্ট্রি ওভার মেমারি
  • S | 194.167.2.96 (*) | ০২ মে ২০১৮ ০৬:১৪62241
  • পিঠে নেওয়া যাবে এই ২৩ কেজির বোম? এটাই বোধয় সবথেকে ছোটো বোমা।

  • Indra | 135.16.167.142 (*) | ০৮ মে ২০১৮ ১০:৩৪62242
  • আসচেন সেন অদম্য
    পিথে তার আটম বোম্মো

    আসলে পিঠে আটম বোম এর মাধ্যমে লেখক বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোর প্রতি এক্ধরনের ব্যঙ্গ প্রকাশ করেচেন।

    আর পান্ডব গোয়েন্দর শেষএ পন্চু বল্লো ভৌ আসলে নীপিড়ইতো মানুষদের কন্ঠস্বর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন