এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জিওরদানো ব্রুনো—সত্যনিষ্ঠার এক অনির্বাণ জাগপ্রদীপ # চার

    Ashoke Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ | ১৭৫০ বার পঠিত
  • [আগামি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বিজ্ঞান শহিদ জিওরদনো ব্রুনোর ৪১৭-তম মৃত্যু বার্ষিকী। এই উপলক্ষে আমি ব্রুনো সম্পর্কে আমার একটি লেখা এখানে সকলের সাথে ভাগ করে নিতে চাই। যাঁরা ওই দিন বা ওই সময়ে ব্রুনো চর্চা করবেন, তাঁদের কাছে আনুষঙ্গিক এই সব তথ্য থাকা দরকার। যাঁরা এগুলো ইতিমধ্যেই জানেন, তাঁরা এটাকে স্বচ্ছন্দে অগ্রাহ্য করতে পারেন। আজ তুলে দিচ্ছি চতুর্থ কিস্তি]

    [৬] শেষ যুদ্ধজয়

    ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৬০০। বিজ্ঞানের ইতিহাসে, শুভ বুদ্ধির ইতিহাসে, মানুষের মুক্তবুদ্ধির ইতিহাসে এক মসীকৃষ্ণ দিন। নির্বোধ ধর্মান্ধ জহ্লাদদের আনন্দের সময়; আর সত্যসন্ধ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের মর্মবেদনার কালবিন্দু!

    আর, হ্যাঁ, এই দিনটিই ছিল একজন মহান বিজ্ঞান-শহিদের জন্মদিবস!

    বন্দি জিওরদানো ব্রুনোকে রোমের তখনকার একটা খোলা বাজার সংলগ্ন এলাকায় (ক্যাম্পো দেই ফিওরি) নিয়ে আসা হল। সেখানে তৈরি করে রাখা ছিল এক বিশাল উঁচু মঞ্চ, যাতে চারপাশের জড়ো হওয়া সমস্ত মানুষ এই বর্বর হত্যাকাণ্ড দেখতে পায়। তার উপর ব্রুনোকে তুলে দিয়ে শিকলে বেঁধে তলা থেকে দাউ দাউ আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল। মুখের ভেতরে জিহ্বাও তাঁর কাঠের একটা টুকরো ঢুকিয়ে চাপা দেওয়া আছে, যাতে মরণ যন্ত্রণায় তিনি আর্ত চিৎকারও করতে না পারেন; অথবা, শেষ মুহূর্তেও যেন কৌতুহলী দর্শকদের কাছে বিজ্ঞানের কোনো নিগূঢ় সত্যের উচ্চারণ করে যেতে না পারেন। তথাপি এক দৃঢ়চিত্ত সত্যনিষ্ঠ চরিত্র হিসাবে জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়েও তিনি এই কঠিনতম পরীক্ষায় হেলায় উচ্চতম আসনটি দখল করে নিলেন। তাঁর নীরব নিথর মুখের অভিব্যক্তিতে এক চিলতে হাসির অবিচল সেই স্থিরছবি জীবনযুদ্ধের শেষ সংগ্রামটিতেও ধর্মভিরুদের পরাস্ত করে গেল।

    বহুকাল পরে, বিশিষ্ট ইংরেজ কবি পার্সি বিশি শেলি (১৭৯২-১৮২২) ব্রুনোর এই মৃত্যুদিনের ব্যথাবিধুর চিত্রকল্প স্মরণ করে ১৮১৩ সালে অসাধারণ কয়েকটি কাব্যিক পংক্তি রচনা করেন:

    “. . . I was an infant when my mother went
    To see an atheist burned. She took me there.
    The dark-robed priests were met around the pile,
    The multitude was gazing silently;
    And as the culprit passed with dauntless mien,
    Tempered disdain in his unfaltering eye,
    Mixed with a quiet smile, shone calmly forth;
    The thirsty fire crept round his manly limbs;
    His resolute eyes were scorched to blindness soon;
    His death-pang rent my heart; the insensate mob
    Uttered a cry of triumph, and I wept,
    Weep not child, cried my mother, for that man
    Has said, There is no God.”
    [Shelley 1910, Section VII]

    অসহ্য অপমানে যাজকতন্ত্র ব্রুনোর নামোচ্চারণ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে দিল। ১৬০৩ সালে তাঁর সমস্ত বইপত্র চার্চের নিষিদ্ধ পুস্তকের তালিকায় লিপিবদ্ধ করে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হল। সেই সব বইয়ের যত কপি পাওয়া গেল, ক্যাথলিক প্রভাবিত প্রতিটি দেশে চারদিক থেকে খুঁজে এনে তা খোলা জায়গায় জড়ো করে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হল। আট বছরের বিচারের সমস্ত তথ্য লুকিয়ে ফেলা হল কিংবা নষ্ট করে দেওয়া হল, যাতে ভবিষ্যতে কেউই কিছু বুঝতে না পারে। এইভাবে ওরা চেষ্টা করে গেল, ব্রুনো সম্পর্কে কোনো তথ্যই যেন ইতিহাসে না থাকে।

    কিন্তু হায়!

    কোনো কিছু করেই কিছু লাভ হল না। সেই মূঢ় অন্ধ বোধ-বিচারহীন ধর্মশাস্ত্রে সুপণ্ডিত বিচারকদের নাম লোকে অচিরেই ভুলে গেছে। সেদিন কে পোপ ছিল আজ আর কেউ মনে রাখে না বা জানতেও চায় না। জিওরদানো ব্রুনো ইতিহাসে চিরস্থায়ী সম্মান পেয়ে গেলেন। সত্যসন্ধ বিজ্ঞানীরাই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখলেন।

    তাঁরই সমসাময়িক এক বিজ্ঞানী উইলিয়াম গিলবার্ট (১৫৪০-১৬০৩) ছিলেন ইংল্যান্ডের রাণি এলিজাবেথের ব্যক্তিগত চিকিৎসক। বিজ্ঞানের ছাত্ররা জানেন, তিনি প্রথম চুম্বক ও বিদ্যুৎ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান আরম্ভ করেন এবং De Magnete নামক একটি গ্রন্থে এতদ্‌সংক্রান্ত গবেষণার ফলগুলি লিখে রেখে যান। আর ১৬০০ সালেই এটি প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের শেষ অধ্যায়ে তিনি সংক্ষেপে আলোচনা করেন ব্রুনোর বিশ্বতত্ত্ব। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর রচিত আর একখানা বইয়ের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়েছিল, যা ১৬৫১ সালে প্রকাশিত হয় On Our Sublunari World, A New Philosophy নামে। এতে দেখা যায়, গিলবার্ট নাম করেই ব্রুনোর মতবাদের বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিয়ে যান।

    আমরা এও জানি, ব্রুনোর জীবনকালেই ইতালির বিজ্ঞান মঞ্চে এসে গিয়েছিলেন গ্যালিলেও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪৩)। তিনি পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ ও গাণিতিক পদ্ধতিতে কোপারনিকাসের তত্ত্বকে আরও ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করলেন, গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ সম্পর্কে টেলিস্কোপের সাহায্যে আরও বহু নতুন তথ্য আবিষ্কার করলেন এবং পাশাপাশি পদার্থবিজ্ঞানের জন্ম দিলেন। একই সময়ে প্রকাশিত হয় জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জোহান কেপলার (১৫৭১-১৬৩০)-এর বিখ্যাত বই Astronomia Nova (১৬০৯), যাতে তিনি তাঁর শিক্ষক টাইকো ব্রাহের রেখে যাওয়া দীর্ঘ তিরিশ বছর ধরে খালি চোখে আকাশ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বিপুল তথ্য ভাণ্ডারকে ব্যবহার করে সূর্যের চারদিকে গ্রহদের উপবৃত্তাকার কক্ষপথ ও তাদের ঘূর্ণন সংক্রান্ত নিয়মাবলি আবিষ্কার করে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এই সবের মধ্য দিয়ে বিশ্বজগত সম্পর্কে আমাদের কাছে একটা স্পষ্ট ছবি উঠে এল। খ্রিস্টীয় ধর্মতন্ত্র সেদিন গ্যালিলেওকেও রেহাই দেয়নি; নির্যাতন করেছে, চূড়ান্তভাবে অপমান করেছে, লাঞ্ছনা দিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রুনোর ভবিষ্যদ্বাণীই সঠিক প্রতিপন্ন হল -- “বিজয়ী পশুদের” জয় স্থায়ী হল না, বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক সত্যেরই জয় হল। বিজ্ঞানের সরস্বতী চলে গেল সেই সব দেশে যেখানে রোমের পোপের হাত আর পৌঁছায় না।

    শুধু এটুকু বললেও হবে না। ব্রুনো তো বিজ্ঞানী নন, পর্যবেক্ষকও নন। তিনি একজন বিজ্ঞান ভাষ্যকার, একজন দার্শনিক। আমরা গোড়াতে তাঁর যে হাইফেন ভূমিকার কথা বলেছি তার এখান থেকেই শুরু। বিজ্ঞানের নির্বাধ অগ্রগতির জন্য যে সামাজিক মনন-মহলটির দরকার হয়, বুদ্ধিমুক্তি ও যুক্তিবাদের যে রসায়নের প্রয়োজন, ব্রুনো ছিলেন তারই এক অভীক উচ্চকণ্ঠ প্রবক্তা। গ্যালিলেও কেপলার নিউটনের জন্য, আরও অসংখ্য ভাবী বিজ্ঞানসাধকের জন্য অষ্টপদী-ধর্মতন্ত্রের হাতগুলো ছেঁটে দেওয়ার দুঃসাহসী উদ্যোক্তা। একক এবং একাকী। তাই তাঁর প্রভাব পড়ে শেলির উপর, যা আমরা আগেই দেখেছি। তবে শুধু শিশুর বাচনে বিস্ময় প্রকাশ করেই থামেননি এই বিদ্রোহী কবিপ্রাণ। আগের কবিতার যেখানে শেষ, পরের কবিতায় সেখান থেকেই শুরু করে তাঁর কবিসত্তা যুক্তিবোধ জ্ঞান ও উপলব্ধি সিক্ত প্রতিবাদের ভাষায় মুখর হয়ে ওঠে:

    There is no God!
    Nature confirms the faith his death-groan sealed.
    . . .
    The exterminable spirit it contains
    Is Nature’s only God; but human pride
    Is skilful to invent most serious names
    To hide its ignorance.
    ’the name of God
    Has fenced about all crime with holiness,
    Himself the creature of his worshippers,
    . . .
    Earth groans beneath religion’s iron age,
    And priests dare babble of a God of peace,
    Even whilst their hands are red with guiltless blood,
    Murdering the while, uprooting every germ
    Of truth, exterminating, spoiling all,
    Making the earth a slaughter-house!
    [Shelley 1910, Section VII]

    এই প্রভাব আরও বেশি করে পড়ে আর একজন দীর্ঘতর জীবন-প্রাপ্ত ইংরজ রোমান্টিক কবি স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ (১৭৭২-১৮৩৪)-এর উপরেও। তিনি তাঁর গদ্য রচনায়, চিঠিপত্রে, ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়, বারবার ব্রুনো-প্রসঙ্গে ফিরে যান। সেই তিনি ক্যাথলিক চার্চের দ্বারা সবচাইতে নিন্দিত পুস্তিকাটির সমর্থনে বলে ওঠেন, এই গ্রন্থে ব্রুনোর সমালোচনা চার্চের মিথ্যা আত্মম্ভরিতার বিরুদ্ধে, যা নৈতিকতা রক্ষার নামে জ্ঞান-চর্চাকে বাধা দেয়, আবার যা ঐশ্বরিক বিধানের নামে নানা রকম অনৈতিক কাজেও উৎসাহ প্রদান করে। “The worship founded on them, whether offered by the Catholic to St. Francis or by the poor African to his Fetish, differs in form only, not in substance. Herein Bruno speaks not only as a philosopher but as an enlightened Christian; the evangelists and apostles everywhere representing their moral precepts, not as doctrines then first revealed, but as truths implanted in the hearts of men, which their vices only could have obscured.” [উদ্ধৃত, Singer 1950, Chapter 8]

    এইভাবে প্রায় তিন শতক পার হয়ে ইতালির মাটিতেও ব্রুনোর পক্ষে মানুষের কণ্ঠ উচ্চকিত হল। বিজ্ঞানের গতিরোধকারী ধর্মীয় নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ ইতালির যুক্তিবাদী জনসাধারণ ঊনবিংশ শতাব্দের শেষ পাদে তাঁর জন্মস্থান নোলাতে এবং মৃত্যুস্থলরোমের সেই কুখ্যাত বধ্যভূমিতেইনির্মাণ ও স্থাপন করেছে জিওরদানো ব্রুনোর দুটো সু-উচ্চ পূর্ণাঙ্গ মূর্তি। এর জন্য তারা ১৮৮৫ সালে গঠন করে এক আন্তর্জাতিক কমিটি, যার বিশিষ্ট সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ভিক্টর হ্যুগো, আরনেস্ট রেনান, আরন্‌স্ট হেকেল, হেনরিক ইবসেন, হারবার্ট স্পেন্সার, প্রমুখ। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৮৮৯ সালে এই মূর্তিগুলি যথাস্থানে স্থাপিত হয়। তার পাদদেশে লেখা হয়: “Farewell ye ashes. Yet in these ashes is the seed which reneweth the whole world.”

    সেই বছরে প্রকাশিত ব্রুনোর এক জীবনী গ্রন্থে লেখক এই মূর্তিগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগ-সিক্ত ভাষায় তাঁর ভবিষ্যত প্রজন্মকে আবেদন জানান: “Monuments are our great instructors: I would that from this statue of Bruno our youth should learn the quality and the amount of sacrifice which is the price of loyalty to our own conscience. It behoveth us all to see that the grand records be not lost and that every noble nation pay regard to them.” [Berti 1889, Preface]

    পরের বছর আমেরিকায় ব্রুনোর উপরে দুটি ভাষণ সম্বলিত একটি পুস্তক (Giordano Bruno: Philosopher and Martyr) প্রকাশিত হয়। সেই বইতে আমেরিকার গণতন্ত্রী ও মানবতাবাদী কবি ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-৯২) একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা লিখে ঘোষণা করলেন: "As America's mental courage (the thought comes to me today) is so indebted, above all current lands and peoples, to the noble army of old-world martyrs past, how incumbent on us that we clear those martyrs' lives and names, and hold them up for reverent admiration as well as beacons. And typical of this, and standing for it and all perhaps, Giordano Bruno may well be put, today and to come, in our New World's thankfulest heart and memory." [উদ্ধৃত, Paterson 1970, ix]

    আর, বিশ শতকে পদার্থবিজ্ঞানী জেম্‌স জিন্‌স দেখালেন, “In this and similar ways the spirit of Bruno lived on, and in its own time produced even greater changes in thought than the hypotheses of Copernicus.” [Jeans 1947, 141]
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ | ১৭৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prashunkanti Sengupta | 195.89.218.241 (*) | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১০:৩৬61165
  • মিথ‍্যা ধরে ছে সত্য র টুটি চেপে
  • Du | 57.184.27.211 (*) | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১২:৫২61166
  • ভালো লাগলো জেনে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন