এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নোট বাতিল নিয়ে ব্ল্যাক মানি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অরুণ কুমার কি বলছেন ?

    souvik ghoshal লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ | ১৭৩৩ বার পঠিত
  • অর্থনীতিবিদ অরুণ কুমারের একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ইন্ডিয়া লিগাল নামক একটি পত্রিকায়। অধ্যাপক অরুণ কুমারকে কালো টাকার অর্থনীতি সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ বলেই মনে করা হয়। ১৯৯৯ সালে পেঙ্গুইন প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছিল তাঁর আলোকসম্পাতী বই দ্য ব্ল্যাক ইকনমি ইন ইন্ডিয়া। এই সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক অরুণ কুমার জানিয়েছেন
    •বিমুদ্রাকরণ এর আগে অর্থনীতির স্বার্থে কয়েকবার করা হয়েছে, কিন্তু কালো টাকা উদ্ধারের জন্য কখনোই তা করা হয় নি। যখন মুদ্রা তার মূল্য হারিয়ে ফেলেছিল, তখনই এটা করা হয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ওয়েমার প্রজাতন্ত্রে যে বিমুদ্রাকরণ হয়েছিল তার পেছনে কারণ হিসেবে ছিল মুদ্রার অস্বাভাবিক মূল্যহ্রাস। সামান্য জিনিস কিনতেও সেখানে বস্তা ভর্তি মুদ্রা নিয়ে যেতে হত। ভারতে অবশ্যই সেরকম কোনও আর্থিক পরিস্থিতি তৈরি হয় নি।
    •প্রধানমন্ত্রী বিমুদ্রাকরণের নীতি নেবার পেছনে দুটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। এক – সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর অর্থের যোগান বন্ধ করা এবং জাল টাকা উদ্ধার করা। দুই – কালো টাকা উদ্ধার করা। এই কালো টাকার পরিমাণ অত্যন্ত বেড়ে গেছে এবং ভারতের দারিদ্র ও অন্যান্য আর্থিক সঙ্কটের মূল কারণ। কিন্তু জাল টাকার পরিমাণ ভারতে খুব বেশি এরকম তথ্য নেই। দশ লক্ষ পিছু তা চারশোর বেশি নয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তথ্যমতো সামগ্রিক ভাবে তা ৪০০ কোটি টাকার বেশি নয়। যদি আমরা মাথায় রাখি ১৭.৫ লক্ষ কোটি টাকার নোট বাজারে ঘোরাফেরা করে তবে শতাংশমাত্রার নিরিখে একে খুবই সামান্য মনে হবে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি টাকার প্রয়োজনে নোট জাল করে ঠিকই, কিন্তু রাষ্ট্রের ভেতরকার কিছু লোকের সাহায্য ব্যতীত এটা তারা করতে পারে না। এই অসাধু যগাযোগ বন্ধ না করে বিমুদ্রাকরণের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কারণ নতুন নোট ছাপার পরেও একইভাবে তা জাল হতে পারে।
    •শরীর থেকে বিপুল পরিমাণ রক্ত বার করে নেবার পর যদি সামান্য রক্ত শরীরে ঢোকানো হয়, তবে যেমন কেউ মারা যাবে, তেমন অবস্থার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। অর্থনীতির শরীর থেকে ৮৫ শতাংশ টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে এবং পাঁচ শতাংশের মতো টাকা তাতে ঢোকানো হয়েছে। এর ফলে আয়ের আবর্তন কমতে বাধ্য।
    •যে কোনও আয়ের একাংশকে যখন আমরা সঞ্চয় করি, তখন সেই সঞ্চয়ের মাধ্যমে থাকে জমি বাড়ি ফ্ল্যাট, সোনা, শেয়ারে বিনিয়োগ ইত্যাদি। এর পাশাপাশি কিছুটা থাকে নোট হিসেবে। অর্থাৎ গোটা সঞ্চয়ের একটা অংশমাত্র নোটে থাকে।
    •ভারতের জিডিপি ১৫০ লক্ষ কোটি টাকার মতো হলে অনুমান এর ৬২ শতাংশ হল কালো অর্থনীতি, যার পরিমাণ হবে ৯৩ লক্ষ কোটি টাকার মতো। এতা জমতে থাকে এবং সম্পদে পরিণত হয়। কালো সম্পদের পরিমাণ হবে ৩০০ লক্ষ কোটি টাকার মতো। এর মাত্র এক শতাংশ, তিন লক্ষ কোটি টাকার মতো নোটে থাকা সম্ভব।
    •এই তিন লক্ষ কোটি টাকার পুরোটাকেও যদি পাকড়াও করা যায়, তাও কালো সম্পদের মাত্র এক শতাংশকে পাকড়াও করা যাবে। বাস্তবে সেটাও সম্ভব নয়। কারণ নোট বাতিলের দিন ভোর রাত অবধি সোনার দোকান খোলা ছিল আর সেখানে ব্যাকডেটে কেনাবেচা হয়েছে। জনধন যোজনায় প্রচুর টাকা ফেলা হয়েছে পরে তুলে নেওয়া হবে বলে। ক্ষমতাবানেরা সাময়িকভাবে বিভিন্ন লোকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে রেখেছে যাতে টাকাটা নষ্ট না হয়। অনেকে কর্মীদের বেশ কয়েক মাসের মাইনে আগাম হিসেবে দিয়ে দিয়েছে। এর ফলে শেষমেষ পঞ্চাশ থেকে সত্তর হাজার কোটি টাকার বেশি কালো টাকা উদ্ধার করা যাবে বলে মনে হয় না।
    •এক বছরে খানিকটা কালো টাকা উদ্ধার করে প্রকৃতপক্ষে খুব বেশি লাভও হবে না। কারণ কালো টাকা যে পদ্ধতিতে জন্ম নেয়, সেই পদ্ধতিটা আটকাতে না পারলে কালো টাকা আগের মতোই তৈরি হতে থাকবে নিয়ম করে। ড্রাগের ব্যবসা আটকানো, ক্যাপিটেশন ফি নেওয়া বন্ধ করা, ব্যবসার লাভ ক্ষতির অঙ্কর হিসেবকে কমিয়ে বাড়িয়ে দেখিয়ে ড়তাক্স ফাঁকি দেওয়া – এগুলো আটকাতে না পারলে কালো টাকার উৎপাদনকে আটকানো যাবে না। আর ২০০০ টাকার নোট চালু করার অর্থ কালো টাকাকে নোটে রাখা আরো সহজ করে দেওয়া।
    •কালো টাকার কারণে এমনিতেই সাধারণ মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে থাকেন। এই ব্যবস্থার ফলে তারা (দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ) আরো দুর্ভোগে পরবে।
    •ভারতে কালো টাকা এবং সাদা টাকা অনেকটাই হাত ধরাধরি করে চলে। রিয়েল এস্টেটের সম্পত্তি (জমি বাড়ি ফ্ল্যাট ইত্যাদি) কেনাবেচা করলে একই সাথে সাদা টাকা এবং কালো টাকা তৈরি হয়। এই নীতি তাই কালো টাকার পাশাপাশি সাদা টাকার অর্থনীতিকেও ভীষণভাবে আঘাত করেছে। বাজারে কোনও জিনিসের চাহিদা ভীষণভাবে কমে যাচ্ছে। মলের বিক্রিবাটা যেমন কমছে, তেমনি কমছে বেলুন বিক্রেতার বিক্রি। ছোট ছোট দোকানিদের জিনিস বিক্রি হচ্ছে না। বড় দোকানিরাও মুশকিলে পড়ছেন। অর্থনীতির সঞ্চালনই সমস্যার মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।
    •এই পরিস্থিতি এক দুমাস ধরে চললেই লগ্নী মার খাবে। এবং তার প্রভাব এক বছরের অনেক বেশিদিন ধরেই চলবে। আর নোটের যোগান ৫০ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যেতে পারে না। যে ১৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার নোট ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ছাপা হয়েছে, তা চাইলেও খুব অল্পদিনে ছেপে ফেলা যাবে না। নোট ছাপার কাগজ এবং কালি আসে বাইরে থেকে। আর এটা খুব সহজলভ্য নয়।
    •আয়ের সঞ্চালনের গতি কমে যাচ্ছে। এর ফলে কমছে বাজারে জিনিসপত্রের চাহিদা। চাহিদা কমলে উৎপাদন কমবে। উৎপাদন কমলে কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে এবং লগ্নীও হ্রাস পাবে। লগ্নী কমলে তার প্রতিক্রিয়া হবে দীর্ঘমেয়াদী।
    •গোটা প্রক্রিয়ায় ফলে বিরাট সংখ্যক মানুষ অর্থনৈতিক পঙ্গুত্বের শিকার হবেন। ভিখারিরা ভিক্ষা পাচ্ছেন না। গ্রামীণ কৃষকেরা বীজ সার কিনতে পারছেন না। মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধারও পাচ্ছেন না। কৃষি উৎপাদন আগামী মরশুমে সঙ্কটের মুখোমুখি হবে।
    •গরীব মানুষ এর মধ্যেই বিরাট দুর্ভোগ এর মুখোমুখি হয়েছেন। মধ্যবিত্তরা, যাদের কাছে ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড আছে, তারা তুলনায় কম সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। কিন্তু যেই উৎপাদন কমতে শুরু করবেন তাদের চাকরি সঙ্কটে পড়বে। আগে থেকে ব্যবস্থা নিয়ে নতুন নোটের যোগান অব্যাহত রাখলে সমস্যা কিছুটা কমানো সম্ভব হত।
    •কালো টাকার সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যান্য অনেক রাস্তা নেওয়ার ছিল। এই কালো টাকা সত্তর বছর ধরে তৈরি হয়ে আসছে এবং এক মুহূর্তে কোনও এক জাদুদণ্ড বুলিয়ে তা নির্মূল করা সম্ভব নয়। গোটা ব্যবস্থাকে দায়বদ্ধ করে তোলার জন্য লোকপাল নিয়োগ করা সম্ভব। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, আমলা, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা – এরা দায়বদ্ধ নয়। এদের দায়বদ্ধ করে তোলার মধ্যে দিয়েই কালো টাকাকে ধ্বংস করা সম্ভব।
    •রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের ক্ষেত্রে আর টি আই কে প্রসারিত করা দরকার। কিন্তু তারা তাতে রাজী নয়। প্রয়োজন হুইসল ব্লোয়ার আইনকে দৃঢ় করা। যারা দুর্নীতি ফাঁস করে দেবে, দেয় – সেই হুইসল ব্লোয়ারদের পক্ষে আইনকে শক্ত করার পরিবর্তে তাকে আরো দুর্বল করা হচ্ছে। অথচ আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারি বা ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা হুইসল ব্লোয়ারদের মাধ্যমেই জানা গেছে।
    •জিএসটি নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। আদতে দরকার প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থাকে সরল করে তোলা। প্রত্যক্ষ কর বিল আনা দরকার।
    •হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা লেনদেন এর খবর গোয়েন্দাদের কাছে থাকে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না।
    •এই সমস্ত পদক্ষেপগুলির মধ্যে দিয়ে যে ৯৭ শতাংশ লোক কালো টাকার কারবারে যুক্ত নয়, তাদের ক্ষতিগ্রস্থ না করে কালো টাকার কারবারীদের দিকে হাত বাড়ানো যেত। কিন্তু তা করা হল না। এমন ব্যবস্থা নেওয়া হল যাতে কালো টাকার কারবারীরা, ঐ ৩ শতাংশ অনেকটাই পার পেয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বাকী ৯৭ শতাংশ মানুষকেও অনেকটাই ভুগতে হচ্ছে।
    •১৯৯৭ সালে ষষ্ঠবারের মতো এককালীন ভলিন্টিয়ারী ডিসক্লোসার স্কিম আনা হয়েছিল। সেই সময়ে সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে বলতে বাধ্য হয়েছিল এরকম স্কিম আর কখনো আনা হবে না। কারণ এতে সৎ আয়করদাতারা বঞ্চিত হন। ১৯৯৭ সালের ভলিন্টিয়ারী ডিসক্লোসার স্কিম সম্পর্কে ক্যাগ রিপোর্ট বলেছিল অনেকে অভ্যাসগতভাবে কর ফাঁকি দেন। আগে পাঁচবার যারা এই স্কিমের সুবিধে নিয়েছিলেন, তারা ষষ্ঠবারেও নিয়েছেন। তারা অপেক্ষায় থাকেন আবার কবে এই স্কিম আসবে, এবং কর ফাঁকি দিয়ে চলেন। সৎ করদাতারা বঞ্চিত হন। সুপ্রিম কোর্টের হলফনামার জন্য ১৯৯৭ এর পরে আর ভলান্টিয়ারি ডিসক্লোসার স্কিম সরকার আনতে পারে নি। কিন্তু সাম্প্রতিক ইনকাম ডিসক্লোসার স্কিম ভিন্ন নামে একই ধরনের একটা ব্যবস্থা।
    •মরিসাস পথটিও অনেকটা ভলান্টিয়ারি ডিসক্লোসার স্কিম এর মতো। টাকাকে প্রথমে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর মরিসাস ঘুরে টাকা ভারতে ফেরে এবং তাকে আর কর দিতে হয় না। এভাবেই ব্যবস্থাটার মধ্যেই থেকে যাচ্ছে কালো টাকা ও কালো সম্পদ তৈরির পথ। আমাদের অনেক ভালো ভালো আইন আছে। কিন্তু আমরা সেগুলোকে প্রয়োগ করি না। সেগুলো প্রয়োগ করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার।
    •ব্যবসায়ীরা এই নীতির ফলে মোদির বিরুদ্ধে যাবেন। কৃষকেরা যাবেন, শ্রমিকেরা যাবেন। তারা বিচলিত হয়ে পড়েছেন, সঙ্কটে পড়েছেন।
    •মোদি এই পদক্ষেপ নেওয়ার আগে কারোর সাথে তেমন আলোচনাই করেন নি। ভাষণে তিনি বলেছিলেন সরকারী দপ্তরের কর্তারা আর ব্যাঙ্ক আধিকারিকেরাও এই ঘোষণা প্রথমবারের জন্য শুনছেন। মোদি তার ক্যাবিনেট এর মন্ত্রীদেরও বিশ্বাস করেন নি। ঘোষণার আগে তাদের মোবাইল ফোন জমা নিয়ে একটা ঘরে তাদের প্রায় আটকে রেখেছিলেন। উর্জিত পাটেল সমস্ত ব্যাঙ্ক এর শীর্ষ আধিকারিকদের ডেকে বলেছিলেন তারা একটা গুরূত্বপূর্ণ ঘোষনা শুনবেন। অথচ এতবড় একটা সিদ্ধান্ত অনেকের সঙ্গে কথা বলে ভালোমন্দ বিচার করেই নেওয়া উচিৎ ছিল। তা একেবারেই নেওয়া হয় নি।

    অর্থনীতিবিদ অরুণ কুমারের এই সাক্ষাৎকারটি বিশ্লেষণ করে এটুকুই বলা যায় ৫০০/১০০০ টাকার নোট বাতিলের মধ্যে দিয়ে কালো টাকা উদ্ধারের যে গল্প মোদি শুনিয়েছেন তা একেবারেই মিথ্যাচার। এই পদ্ধতিতে কালো টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়। কর ফাঁকি না আটকে, দেশের টাকা মরিসাসের মতো বিদেশ ঘুরিয়ে পুনরায় লগ্নি হিসেবে দেখানোর পথকে না আটকে, রাজনৈতিক দলের আয়ের উৎসকে তথ্য জানার আইনের আওতায় না এনে কালো টাকার জন্ম ও আবর্তনকে আটকানো যাবে না। দেশে কালো তাকাকে আটকানোর মতো আইন আছে, নেই তাকে প্রয়োগের রাজনৈতিক সদিচ্ছা। নোট বাতিলের পদক্ষেপ না করে মজুত আইনের মাধ্যমেই কালো তাকা ও কালো সম্পদকে কব্জা করা সম্ভব ছিল। তা করা হলো না। উলটে নোট বাতিলের এই হঠকারী পদক্ষেপ, যা মোদি তেমন কারো সাথে কথা না বলেই নিয়েছেন, তা দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষকে মারাত্মক সমস্যায় ফেলছে এবং এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে। কৃষি সহ সমস্ত উৎপাদন কমবে। মানুষের রোজগার কমবে, বেকারীত্ম বাড়বে। ভারতবর্ষ এই হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে এক মারাত্মক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ | ১৭৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Robu | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:২৪58692
  • যাক, চাড্ডিদের একটু দাঁড়াবার জায়গা হল।
  • sch | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:৫৬58689
  • মূল লেখার refarenceটা পেলে ভালো হত
  • sch | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:৫৬58688
  • মূল লেখার refarenceটা পেলে ভালো হত
  • souvik ghoshal | 2345.110.674512.49 (*) | ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৩58693
  • এটাও তুলি TOI কী বলেন এখন, একটু শুনি?

    কিন্তু নাম লেখার জায়গা আসছেনা মানে নির্ঘাত লেখকের নামেই পোস্ট হবে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন