এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হোমিওপ্যাথি এবং তার দর্শন বিষয়ে কিছু কথা

    Bishan Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৬৪৫৯ বার পঠিত
  • মডার্ন মেডিসিনের ছাত্র হিসেবে হোমিওপ্যাথি বিষয়ে কিছু ভাবনার কথা লিখেছিলাম অনেকদিন আগে।

    কথাগুলো প্রাসঙ্গিক বোধ করায় আরেকবার শেয়ার করলাম।

    প্রথমেই জানাই, আমি মডার্ন মেডিসিন প্র‍্যাক্টিশনার, ওরফে এলোপ্যাথি চিকিৎসক আর অন্য চিকিৎসাপদ্ধতি বিষয়ে খুব একটা বিশেষ জানি না। আর, সেই না জানার জন্যেই, অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে আমি খুব একটা কথাবার্তা বলতে চাই না।

    হোমিওপ্যাথি নিয়ে আমার খুব একটা জ্ঞানগম্যি আছে এমন নয়। আর সেইজন্যেই, এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে নিকটজনের অসুস্থতার তদারকি হবে, এইটা আমার কাছে গ্রহণীয় নয়।

    কিন্তু, সরকার পয়সা খরচ করে এই চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ান, এই ব্যবস্থায় শিক্ষিত চিকিৎসকদের সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থায় নিয়োগও করেন।

    কাজেই, এই ব্যবস্থা যদি একেবারেই ভুল হয় বা ভ্রান্ত বিজ্ঞান হয়, তাহলে এর পেছনে অর্থব্যয় জাতীয় সম্পদের অপচয়। তাই না?

    অতএব, বিতর্ক জরুরী।

    দ্বিতীয়ত, কোনটা বিজ্ঞান, আর কোনটা নয়, সেই নিয়েও আমার স্পষ্ট ধারণা নেই। কিন্তু, ওই যে, পপারের বিজ্ঞান-তাই-যাকে-ভুল-প্রমান-করা-সম্ভব অর্থাৎ ফলসিফায়েবিলিটি, যেকথা অর্ক বলেছে, সেই কথাটি আমারও মনে ধরে। তর্ক শুরুর আগে, কিছু সাধারণ সূত্র মেনে নেওয়া থাকে। এটিও তেমন। তাই, উদাহরণ দিই,জ্যোতিষশাস্ত্র আমার কাছে অবিজ্ঞান।

    এখন, আজ থেকে দুশো বছরেরও বেশী আগে, ইউরোপে স্যামুয়েল হ্যানিম্যানসাহেব হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার যে গোড়াপত্তন করেছিলেন, তা ছিলো, আক্ষরিক অর্থেই বৈপ্লবিক।

    আসুন, দেখি, হ্যানিম্যানসাহেব তাঁর সেই অর্গ্যানন অফ মেডিসিন বইয়ে কী কথা বলে গিয়েছেন।

    সরাসরি ইংরিজিতেই উদ্ধৃত করলাম।

    Aphorism 1 : The physician’s high and only mission is to restore the sick to health, to cure, as it is termed.

    Aphorism 2 : The ideal cure is rapid, gentle, permanent and removes the whole disease in the shortest, least harmful way.

    Aphorism 3 : If the physician understands what is curable in disease, and understands what is curative in medicines, and understands how to apply the medicines to the disease, and knows how to remove conditions which prevent the patient from getting well, he is a true physician.

    Aphorism 4 : He is likewise a preserver of health if he knows the things that derange health and cause disease, and how to remove them from persons in health.

    Aphorism 5 : Pay attention to the exciting cause AND the fundamental cause including the patient’s character, activities, way of life, habits, etc.

    Aphorism 6 : There is no need for metaphysical speculation. Diseases are the totality of the perceptible symptoms.

    Aphorism 7 : To cure, you only need to treat the totality [NOT symptomatic palliation; a single symptom is not the disease].

    প্রথম সাতখানি পরিচ্ছেদে যে কথা বলা হয়েছে, তার মূল নির্যাস, চিকিৎসকের কর্তব্য, উপসর্গ দেখে সমগ্র মানুষটিরই চিকিৎসা করা, তাঁকে নীরোগ করা আর যতো দ্রুত সম্ভব আরোগ্যে ব্রতী হওয়া। উপসর্গ দেখে রোগনির্ণয়ের সময়, চিকিৎসক মাথায় রাখবেন রোগীর জীবনযাপন-অভ্যাস-চরিত্র ইত্যাদি আর আরোগ্যের লক্ষ্য হবে রোগের মূলগত নিরাময়, বা বলা ভালো, রোগের নির্মূল। যে চিকিৎসক যথার্থভাবে জানেন রোগের কতোখানি নিরাময়যোগ্য, ওষুধ কতোখানি কার্যকরী, আর জানেন অসুখ-অনুসারে ওষুধের প্রয়োগবিধি, তিনিই সুচিকিৎসক। এর পাশাপাশি সুস্থ মানুষের স্বাস্থ্য বজায়ে চিকিৎসকের ভূমিকা যেভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা তো শিরোধার্য।

    কথাগুলোর যাথার্থ্য নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ, বোধহয়, নেই। বিশেষ করে, যদি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে বিচারের পরে বর্তমান পরিস্থিতিতে কথাগুলো অনুধাবন করি।

    বর্তমান এলোপ্যাথির তখন শৈশব। রক্তক্ষরণ বা ব্লাডলেটিং সেই আমলের সবচাইতে কার্যকরী চিকিৎসা। অন্যদিকে ভেসালিয়াস-হার্ভের হাত ধরে প্রাপ্ত শারীরবৃত্ত-শারীরিক অন্তর্গঠনের প্রাথমিক পাঠ পেয়ে রোগের চিকিৎসা ক্রমশই সামগ্রিক মানুষ থেকে প্রত্যঙ্গের দিকে সরে আসছে।

    অর্থাৎ, একদিকে চিকিৎসা হয়ে উঠছে নৈর্ব্যক্তিক আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ে উদাসীন, অন্যদিকে সেই চিকিৎসার কার্যকারিতা নিয়েও প্রচুর প্রশ্ন।

    তামার খনি অঞ্চলে মজুরদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে তিতিবিরক্ত হ্যানিম্যান প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির উপর বিশ্বাস হারালেন। আর, শুরু করলেন নিজস্ব চিকিৎসাপদ্ধতি, যা কিনা এক ভিন্ন চিকিৎসাদর্শনও বটে। যে দর্শনে খন্ড খন্ড করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নয়, চিকিৎসা হবে সমগ্র মানুষটিরই, আর সেই চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে ন্যূনতম ওষুধ।

    লক্ষ্য করুন, হ্যানিম্যানের লেখা বইটির প্রথম নাম কিন্তু, অর্গ্যানন অফ দ্য র‍্যাশানাল আর্ট অফ হিলিং। এইখানে র‍্যাশানাল কথাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইদানিং তো হোমিওপ্যাথি থেকে যুক্তিটা হারিয়ে যাচ্ছে, তাই না?

    এই চিকিৎসাব্যবস্থার শুরু কিন্তু হ্যানিমানের আগেই। ভিয়েনার আন্তন ভন স্টর্কের পথ ধরে এগিয়ে হ্যানিম্যান এই চিকিৎসাব্যবস্থাকে একটা সুসংহত রূপ দিয়েছিলেন।

    কিন্তু, প্রশ্ন এইটাই, প্রচলিত চিকিৎসার বিপক্ষে গিয়ে নতুন ভাবনার যে বৈপ্লবিক দুঃসাহস, তা এই বিগত দুশো বছরে দমবন্ধ জলাশয়ে পরিণত হলো কোন পথে!!

    আঠেরোশো সালে তো রসায়ন এমনধারা এগোয় নি। কাজেই, এক লিটার জলে এক ফোঁটা ওষুধ ঢেলে খুব করে ঝাঁকালে, আর তার পরে তার মধ্যে আরো ক’লিটার জল মেশালে, তার মধ্যে যে আর ওষুধ থাকে না, এই কথা বিজ্ঞান দিয়ে জানার সুযোগ হ্যানিম্যানের হয়নি। অনুমান করা কঠিন নয়, কার্যকরী ওষুধের অভাব আর ভালো-করতে-না-পারো-খারাপ-কোরোনার গ্যালেন-হিপোক্রেটিয় নীতিই হ্যানিম্যানকে বাধ্য করেছিলো এরকম ভাবতে।

    কিন্তু, তারপরেও, দুশো বছর ধরে, হাজারে হাজারে হোমিওপ্যাথ কেন তাঁদের চিকিৎসাপদ্ধতিটিকে বিজ্ঞানের সূত্রে বাঁধতে চেষ্টা করলেন না, এর উত্তর আমার কাছে নেই।

    হ্যানিম্যানসাহেব তো নিজেই নিজের কথাকে বেদবাক্য বলে ধরে থাকেন নি। তাঁর অর্গ্যানন প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮১০ সালে। জীবদ্দশাতে তিনি এর পরিমার্জন করেন বেশ কয়েকবার। শেষবার ১৮৪২ সালে। প্রকাশিত হয় বহুবছর পরে সেই ষষ্ঠ সংস্করণ। প্রথম আর ষষ্ঠ সংস্করণের ফারাক বিস্তর।

    তাহলে, তাঁর অনুসারীরা, সেই অর্গ্যাননকেই অভ্রান্ত বেদ-কোরাণ বলে থেমে থাকলেন কেন? কেন প্রশ্ন করার, পরীক্ষা করার যুক্তিবোধ হোমিওপ্যাথি থেকে হারিয়ে গেল? বা, আরো রূঢ় ভাষায় বললে, কেন হোমিওপ্যাথি থেকে মেধা বিদায় নিলো?

    হ্যাঁ, একটা কারণ নিশ্চয়ই অর্থাভাব। প্রাতিষ্ঠানিক নেকনজর থেকে হোমিওপ্যাথি চিরকালই বঞ্চিত। কিন্তু, এইটা তো একমাত্র কারণ হতে পারে না। প্রতিষ্ঠানবিরোধী চিকিৎসাপদ্ধতি যে প্রাতিষ্ঠানিক আনুকূল্য পাবে না, এ তো জানাই কথা। কিন্তু, সেই অভিমানে, হোমিওপ্যাথি বিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকবে, এ কেমন কথা!!

    একথা অনস্বীকার্য, যে, বিগত শতকের শুরু থেকেই, এলোপ্যাথি ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসাব্যবস্থাকে দূরে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার আগে পর্যন্ত, যেমন ধরুন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে, সবকটি চিকিৎসাব্যবস্থাকে সমান গুরুত্ব দিয়েই পড়ানো হতো। আর চিকিৎসাশিক্ষা ছিলো, প্রকৃত অর্থেই, ইন্টারডিসিপ্লিনারি। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ক্যানসার চিকিৎসায় রেডিওথেরাপির সূচনা এক হোমিওপ্যাথি ছাত্রের হাতেই।

    কিন্তু, ঊনবিংশ শতকের শেষে রকফেলার-কার্নেগীর প্রচুর পেট্রোরাসায়নিকজাত ওষুধ বিক্রির বাজার তৈরীর জন্যে, মেডিকেল পাঠক্রমের “আধুনিকীকরণ” জরুরী হয়ে পড়লো। আব্রাহাম ফ্লেক্সনারের নেতৃত্বে ঢেলে সাজানো হলো মেডিকেল শিক্ষাক্রম। একমাত্র এলোপ্যাথী পেলো মডার্ণ মেডিসিনের তকমা। বাকি সবাই দুয়োরানী। এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পরে কখনো করা যাবে। অবশ্য, এই ঘটনায় আমাদের অবাক হওয়া সাজে না। এর বহু আগেই, ব্রিটিশরাজ, পরিকল্পিতভাবেই, আমাদের যুগযুগান্ত ধরে পরীক্ষিত চিকিৎসাব্যবস্থাকে ব্রাত্য করে এলোপ্যাথিকেই ধ্রুব সত্য জ্ঞান করতে শিখিয়েছে। সেই আলোচনা করার সুযোগও এখন নেই।

    মোটকথা, প্রাতিষ্ঠানিক আনুকূল্য ব্যতিরেকে, অর্থসংস্থানের অভাবে গবেষণা থেমে থাকলে বহতা নদীতুল্য চিকিৎসাপদ্ধতি মজা ডোবায় পরিণত হয়। আর মেধার যোগানও কমে যায়। হোমিওপ্যাথিও ব্যতিক্রম নয়।

    তবে, বিজ্ঞানসম্মত একটি চিকিৎসাপদ্ধতির সম্মান পেতে গেলে, বিজ্ঞানের অন্তত সাধারণ নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। হোমিওপ্যাথি কি তার থেকে সরে আসছে না?

    হ্যাঁ, আমিও মানি, র‍্যান্ডমাইজড কন্ট্রোলড ট্রায়াল বাদ দিয়ে জগত মিথ্যা, এও এক মৌলবাদ। তথাকথিত প্রমাণনির্ভর চিকিৎসার নামে চিকিৎসার প্রতি অংশে আজ ওষুধকোম্পানির আধিপত্য প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা পাচ্ছে। এভিডেন্স-বেসড হওয়ার নামে চিকিৎসাই হয়ে উঠছে নৈর্ব্যক্তিক, আর এই পথে চললে চিকিৎসকের অপ্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বিকল্প মডেলের খোঁজ আমাদেরও প্রয়োজন।

    কিন্তু, হোমিওপ্যাথরা কীভাবে ভাবছেন?

    আবারও না হয় হ্যানিম্যানসাহেবের কথায় আসি।

    Aphorism 22 : But as nothing is to be observed in diseases that must be removed in order to change them into health besides the totality of their signs and symptoms, and likewise medicines can show nothing curative besides their tendency to produce morbid symptoms in healthy persons and to remove them in diseased persons; it follows, on the one hand, that medicines only become remedies and capable of annihilating disease, because the medicinal substance, by exciting certain effects and symptoms, that is to say, by producing a certain artificial morbid state, removes and abrogates the symptoms already present, to wit, the natural morbid state we wish to cure. On the other hand, it follows that, for the totality of the symptoms of the disease to be cured, a medicine must be sought which (according as experience shall prove whether the morbid symptoms are most readily, certainly, and permanently removed and changed into health by similar or opposite medicinal symptoms1) have the greatest tendency to produce similar or opposite symptoms.

    অর্থাৎ, সেই ওষুধই কার্যকরী, যা সুস্থ মানুষের দেহে আলোচ্য অসুখের উপসর্গ তৈরি করতে পারবে।

    কিন্তু, এরপর হ্যানিম্যান বলেন,

    For the purpose of cure, the morbidly depressed vital energy possesses so little ability worthy of imitation since all changes and symptoms produced by it in the organism are the disease itself. What intelligent physician would want to imitate it with the intention to heal if he did not thereby sacrifice his patient?

    না এইতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। সেই যুগে, অসুখ মানে ভাইটাল এনার্জির গোলযোগ, অর্থাৎ মহাপ্রাণীটিরই সমস্যা, এই ধারণা সব প্যাথিতেই চালু ছিলো।

    কাজেই, এই যুক্তি মেনে, অসুস্থ রোগীকে গবেষণার গিনিপিগ বানাতে হোমিওপ্যাথদের মানা আছে।

    হ্যাঁ, এও মেনে নিলাম, হোমিওপ্যাথি এক সম্পূর্ণ ভিন্ন চিকিৎসাদর্শন। জীবনবিজ্ঞানের গবেষনায় যেমন গাণিতিক সূত্র শেষ কথা বলে না (যেমনটি বলে পদার্থবিদ্যায়), এলোপ্যাথির গবেষণা যে পথে চলে, সেই পথে হোমিওপ্যাথি নাও চলতে পারে?

    কিন্তু, তাহলে তাঁদের চলার পথটি কি? হোমিওপ্যাথ বন্ধুরা একটু খুলে বলবেন প্লীজ?

    হ্যানিমানসাহেব, তাঁর লেখায় প্রায়শই বলেছেন, এই দর্শন, শল্যচিকিৎসায় নিরাময় হয় না, এমন অসুখের জন্যে। তা, যাঁরা চিকিৎসার নামে সার্জিক্যাল রোগ দেরী করে জটিলতর করেন, তাঁরা হ্যানিম্যানকে মানছেন তো??

    হ্যানিম্যানসাহেব তো যথাসাধ্য দ্রুত নিরাময়ের কথা বলেছিলেন। আপনিও মানেন তো?

    আর ওষুধে কাজ হচ্ছে কিনা, সেই গবেষণাই বা কোন ধারা মেনে?

    এলোপাথাড়ি তর্কের পথ ছেড়ে যুক্তিসংগত বিতর্ক-আলোচনায় আসুন। বর্তমান স্বাস্থ্যসংকটের মুক্তির পথ তো একমাত্র কথোপকথনেই। আর কথোপকথন তো যেকোনো জায়গাতেই শুরু হতে পারে। তাই না?

    Some relevant quotes from William Osler, one of the doyens of modern medicine, to put this debate in proper context :

    “No regular physician would ever admit that the homeopathic preparations, ‘infinitesimals,’ could do any good as direct curative agents; and yet it was perfectly certain that homeopaths lost no more of their patients than others. There was but one conclusion to draw– that most drugs had no effect whatever on the diseases for which they were administered.”

    "Ask not what kind of illness the patient has, ask what kind of patient has the illness.....… No one individual has done more good to the medical profession than Hahnemann"

    “It is not as if our homeopathic brothers are asleep; far from it, they are awake (many of them at any rate) to the importance of the scientific study of disease.

    “It is distressing that so many good men live isolated in a measure from the great body of the profession. The grievous mistake was ours: to quarrel with our brothers over infinitesimals was a most unwise and stupid thing to do.”

    But....are the present day homeopaths doing the same?? Are they really following science??? And benefitting patients????

    The debate is on.

    P.S. যে প্রসঙ্গে এই লেখাখানা আরেকবার পোস্ট করা হলো, সেইটা "এই সময়" সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি উত্তর-সম্পাদকীয়। আমারই লেখা।

    মডার্ন মেডিসিন, ওরফে অ্যালোপ্যাথি, বাদ দিয়ে বাকি সবকিছুকেই একধারসে অবিজ্ঞান বলে দাগিয়ে দেওয়া অন্যায্য মনে হয়েছিলো।

    আবার, এই কথাটিকে গাণিতিক সমীকরণ ধরে বিপরীতটিও সত্যি, তা নয়। অর্থাৎ, এই কথার অর্থ এমন নয়, যে, অন্যান্য চিকিৎসাপদ্ধতির সবগুলিই বিজ্ঞানসম্মত, কার্যকরী ও উপযুক্ত। আমার বক্তব্য, আগেই জাজমেন্টাল না হয়ে এঁদের কথাও শুনুন। অন্তত শুনে দেখতে তো ক্ষতি নেই।

    সেই লেখাটাও এইখানে জুড়ে দিলাম। (প্রসঙ্গত, শিরোনামটি আমার দেওয়া নয়। তদজাত বিভ্রান্তির দায় আমি নিতে চাইছি না। পুরো লেখাটা, প্লীজ, পড়ে দেখুন।)

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=46548&boxid=37902
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ৬৪৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • sm | 2345.110.014512.140 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:০২49952
  • আমার মনে হয় লোকজন বিষান বাবুর যুক্তি মন দিয়ে পড়ছেন না।
    ওনার বক্তব্য হলো,মডার্ন মেডিসিন যে স্ট্যাটস্স্টিকাল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে,সেটা অভ্রান্ত নয়।এতে প্রচুর ম্যানিপুলেশন সম্ভব।
    ওপরের লিংক টি পড়ে দেখুন স্টেবল ইশ্চিমিক হার্ট ডিজিজে,অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্টেন্ট বসানো যুক্তিযুক্ত নয়,উপরন্তু কনসারভেটিভ ট্রিটমেন্ট এর তুলনায় হার্ম ফুল।
    কিন্তু আমেরিকাতেই স্টেন্ট বাবদ বছরে প্রায় 12 বিলিয়ন ডলার খরচা হয়।
    কেমোথেরাপির অপকারিতা সম্পর্কে বিষণবাবু বাবুই বেটার লিখতে পারবেন।
    আগের দিন প্রায় শ খানেক মেডিসিন এর লিস্ট দিয়েছিলাম,যা কিনা মার্কেট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
    অর্থাৎ প্রচুর স্টাডি ও ট্রায়াল এর পর ও এসব জিনিস চলেছে।এরা কিন্তু স্বীকৃত অবস্থাতেই ইউজ করা হয়েছে বা হচ্ছে।
    এর পর আসি প্রায়োগিক দিক। যদি ,ডাক্তার বেশিদিন এনালজেসিক্স ইউজ করে,পেশেন্ট এর কিডনি ও হার্টের ক্ষতি।কিন্তু যন্ত্রণার তো উপশম দরকার!
    এছাড়াও রয়েছে হাজার রকম এক্স রে,সিটি স্ক্যান ইত্যাদি,যা প্রতিমুহূর্তে রেডিয়েশন দিচ্ছে শরীরে।
    এগুলি মডার্ন মেডিসিন এর ব্যর্থতার দিক।এটি একটি সায়েন্স ঠিক ই। কিন্তু ঠিক ফিজিকস বা কেমিস্ট্রি নয়।অনেক ইফস এন্ড বাট আছে।
    যে পেনিসিলিন মানুষ কে জীবন দান করে,খুব ,খুব নগন্য হলেও এনাফাইলেক্সিস রিয়াকশনে রোগী কে মেরে ফেলতেও পারে।
    এবার আসি চিকিৎসার অন্যান্য শাখায়।এরা মডার্ন নয়, কারণ স্ট্যাটাসটিক্যালি নিজেদের প্রমান দিতে অক্ষম।
    হোমিওপ্যাথি,আয়ুর্বেদ,আকুপাংচার এদের এই স্ট্যাটস্স্টিক্যালি ই চ্যালেঞ্জ জানানো উচিত।অর্থাৎ হাতে কলমে প্রমান দাও।
    কিন্তু মনে রাখতে হবে কেউই ঠেলে ফেলে দেবার নয়।
    এদের থেকেও কিছু পাওয়া যায় কিনা দেখতে হবে।
    মনে রাখতে হবে,জেনার একজন মিলকমেইড এর কাছ থেকেই স্মলপকসের ভ্যাকসিন এর আইডিয়া পেয়েছিলেন।
    এভাবেই ট্র্যাডিশনাল হার্বাল থেকেই ম্যালেরিয়ার যুগান্তকারী ঔষধ আর্টিমিসিনিন আবিষ্কার হয়েছে।
    এরকম হাজারো উদাহরণ আছে।
  • Bishan Basu | 785612.40.90012.163 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৫49953
  • sm, অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন প্রাঞ্জল করে বলার জন্যে।

    আমার কথাটুকু না বুঝেই অনেকেই আমাকে বিপক্ষ ভেবে বসেছেন।
  • Biplob Rahman | 340112.231.126712.75 (*) | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:৪৪49954
  • অফ টপিক এ কেউ রবীন্দ্রনাথের হোমিও প্রাকটিস নিয়ে দু কলম লিখবেন? খোলো খোলো দ্বার।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন