এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বিস্থাপন ও আদিবাসীদের স্বাস্থ্য

    Punyabrata Goon লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৩৯৪ বার পঠিত
  • বিস্থাপন ও আদিবাসীদের স্বাস্থ্য

    যেসব কারণে মানুষ নিজের বাসভূমি থেকে উৎখাত হন, সেগুলো হল শিল্পোদ্যোগ, বাঁধ, রাস্তা, খনি, বিদ্যুৎ প্রকল্প, নতুন নতুন শহর, ইত্যাদি। উন্নয়নের নামে ১৯৫৫ থেকে ১৯৯০ সময়কালে আমাদের দেশে বিস্থাপিত হয়েছেন প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ। ২০০৭-এর হিসেবে সে সময়ে মোট বিস্থাপিতের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ১৩ লক্ষ অর্থাৎ ’৫৫-’৯০ এই ৩৫ বছরে যতজন বিস্থাপিত ছিলেন তার চেয়ে বেশী বিস্থাপিত ২০০৭-এ।

    এই ২ কোটি ১৩ লক্ষ বিস্থাপিতের মধ্যে বাঁধের জন্য বিস্থাপিত ১ কোটি ৬৪ লক্ষ, খনির জন্য ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার, শিল্প কারখানার জন্য ১২ লক্ষ ৫০ হাজার আর অভয়ারণ্য ও জাতীয় পার্কের নামে ৬ লক্ষ।

    পরিসংখ্যানে দেখা যায় উন্নয়নের নামে বিস্থাপিতদের ৪০%-এর বেশী আদিবাসী মানুষ, যদিও ভারতের জনসংখ্যার মোটামুটি ৮.২% আদিবাসীরা।

    নিজভূম থেকে উৎখাত হওয়া এই মানুষেরা যেন শরণার্থী, বাঁধ, জলাশয় বা রাজপথ যাঁদের বিস্থাপিত করেছে। এই অবস্থাটা কেবল তাঁদের জীবনে দুঃখজনক ও হঠাৎ করে বিপর্যয় ডেকে আনে তাই নয়, বিস্থাপন তাঁদের দরিদ্রতর করে, অর্থনৈতিক ভাবে ঝুঁকির মুখোমুখি করে, সামাজিক ভাবে ধ্বংস করে।

    বিস্থাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত পরস্পর-জড়িত কতগুলো ঝুঁকি হল—ভূমিহীনতা, কর্মহীনতা, বাসস্থানের অভাব, প্রান্তিক হয়ে যাওয়া, খাদ্যের অভাব, রোগ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, সামূহিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হওয়া, সামাজিক অবক্ষয়, সামাজিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া, মানবাধিকার লংঘন।

    বিস্থাপন বিস্থাপিতদের সামাজিক চাপ ও মানসিক আঘাতের শিকার করে। বিস্থাপিতরা যেখানে পুনর্বাসিত হন সেখানকার পরিবেশের কারণে তাঁরা রোগাক্রান্ত হন, বিশেষত ম্যালেরিয়ার মতো পরজীবীঘটিত ও পতঙ্গবাহিত রোগে। নিরাপদ পানীয় জল ও নিকাশী ব্যবস্থার অভাবে দীর্ঘস্থায়ী ডায়েরিয়া, আমাশার মহামারীর ঝুঁকি থেকে যায়। সমস্ত শরণার্থীদের মধ্যে আবার নবজাত, শিশু ও বৃদ্ধদের রোগাক্রান্ত হওয়ার ও মৃত্যুর ঝুঁকি বেশী দেখা যায়।

    স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গে আসি—স্বাস্থ্য কেবল রোগ বা পঙ্গুত্ব না থাকা নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক ভাবে ভালো থাকা।
    আসুন দেখি কতটা সুস্থ আমাদের দেশের আদিবাসীরা। আমাদের কথা নয়, যোজনা কমিশনের দশম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা (২০০২-২০০৭) থেকে—‘আদিবাসীদের মধ্যে, বিশেষত তাঁদের শিশু ও মহিলাদের মধ্যে অপুষ্টির প্রাবল্য দেখা যায়, যার ফলে তাঁরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন, তাঁদের রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতা কমে যায়, অনেক সময় মস্তিষ্কেরও স্থায়ী ক্ষতি হয়। বেশীর ভাগ আদিবাসী মহিলা রক্তাল্পতায় ভোগার জন্য ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা কিছুদিন ছাড়া সন্তানের জন্ম দেন তাঁদের কর্মক্ষমতা প্রভাবিত হয় ও রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আদিবাসী মহিলাদের পুষ্টির অবস্থা তাঁদের জননস্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে ও তাঁদের বাচ্চাদের জন্মের সময়কার ওজন কম হয়—এর ফলে বাচ্চাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা, বৃদ্ধি ও বিকাশ প্রভাবিত হয়। দেখা যায় আদিবাসীদের খাদ্যতালিকা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ও সি, রাইবোফ্ল্যাভিন ও প্রাণিজ প্রোটিন কম থাকে।’

    আদিবাসী মা ও শিশুরা কেমন আছেন, বোঝা যাবে নীচের সারণি থেকে। সারণির তথ্যগুলো জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা ২ ও ৩ থেকে সংগৃহীত।
    সূচক আদিবাসীআদিবাসীঅ-আদিবাসী
    NFHS-2NFHS-3NFHS-3
    বিবাহের সময় গড় বয়স (বছরে) ১৫.৮ ১৬.৩১৮.১
    বিবাহের আইনী বয়স সম্পর্কে সচেতনতা (%)৭.৫২২
    ঊর্বরতার হার৩.০৬৩.১২ ২.৬৮
    প্রথম সন্তান জন্মের সময় গড় বয়স (বছরে) ১৮.৮ ১৯.১২০.৬
    যাঁরা গর্ভাবস্থায় কোন প্রসব-পূর্ব যত্ন পাননি, তাঁদের অনুপাত (%) ৪৩.১ ৩৭.৮ ২২.৮
    ঘরে প্রসব (%) ৮১.৮ ৮২.৩ ৪৯
    প্রতি ১০০০ জীবিত শিশুজন্মে মৃত্যুর হার ৮৪.২ ৬২.১৫৭
    কত মাস কেবল বুকের দুধ খাওয়ানো হয়? ২.৯ ৩.১ ১.৯
    সমস্ত প্রাথমিক টীকা নেওয়া আছে (%)২৬৩১.৩ ৫৩.৮
    কোনও টীকা নেওয়া নেই (%)১১.৫ ৪.৩

    আদিবাসীদের স্বাস্থ্য ও বিস্থাপনের সম্পর্ক বুঝতে আসুন আমরা ছত্তিশগড়ের দিকে চোখ ফেরাই। ২০০০ সালে মধ্যপ্রদেশ থেকে সৃষ্ট ছত্তিশগড়, সেই রাজ্য মধ্যভারতে যে রাজ্যে আদিবাসী জনসংখ্যার অনুপাত সবচেয়ে বেশী। জনসংখ্যার ৩১.৮% হলেন আদিবাসীরা, ১১.৬% মানুষ তপশিলী জাতির। ভারতের মোট ভূমির ২১% বনাঞ্চল, ছত্তিশগড়ের ৪৪% ভূমি বনে। আদিবাসীদের অধিকাংশের বাস বনাঞ্চলে অবস্থিত গ্রামগুলোতে। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ রাজ্য ছত্তিসগড়। আছে লৌহ আকর, বক্সাইট, চূনাপাথর। এ ভারতের একমাত্র রাজ্য, যেখানে টিনের আকর পাওয়া যায়। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে সোনা, হীরে ও কোরান্ডামের ভান্ডার। এই খনিজ সম্পদগুলোর অধিকাংশই রয়েছে বনাঞ্চলে। খনি খোলা মানে বন কাটা, বন-গ্রাম থেকে আদিবাসীদের উৎখাত করা।

    ছত্তিশগড়ের সবচেয়ে বড় শিল্পোদ্যোগ ছিল ভিলাই ইস্পাত কারখানা। ৯০-এর দশকের থেকে শিল্পায়নের বন্যা এসেছে। সম্প্রতি সরকার ৬০টির-ও বেশী কয়লা-ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র খোলার উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে উৎপন্ন হবে ৫০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, যদিও রাজ্যে প্রয়োজন মাত্র ৫০০০ মেগাওয়াট। ৪০টির-ও বেশী নতুন ইস্পাত কারখানা খোলার কাজ চলছে, স্থাপিত হচ্ছে বড় বড় সিমেন্ট কারখানা। কারখানার জন্য, কারখানার কাঁচামাল জোগাতে আদিবাসীরা উৎখাত হচ্ছেন। নদ-নদীগুলোর জল আদিবাসীদের সেচের কাজে না লেগে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে কারখানাগুলোর।

    আসুন আমরা দেখি—ছত্তিশগড়ের আদিবাসীরা কেমন আছেন। ছত্তিশগড়ের আদিবাসীদের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের আদিবাসীদের স্বাস্থ্যসূচকের তুলনা আমরা এখনও জোগাড় করতে পারিনি, জোগাড় করতে পারিনি ছত্তিশগড়ের আদিবাসীদের সঙ্গে সে রাজ্যের অ-আদিবাসীদের তুলনা। কিন্তু ছত্তিশগড়ের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আদিবাসী ও সারা ভারতের মাত্র সাড়ে বারো ভাগের এক ভাগ আদিবাসী হওয়ায় আশাকরি সংগৃহীত তথ্যে আদিবাসী ও অ-আদিবাসীদের ফারাক বোঝাতে পারব।
    প্রধান স্বাস্থ্য-সূচকগুলো
    স্বাস্থ্য-সূচকছত্তিশগড়ভারত
    জন্ম হার২৫.২ ২৫.০
    মৃত্যুর হার ৮.৫ ৮.১
    নবজাতকের মৃত্যু হার ৭০৬৩
    জন্মের সময় আনুমানিক আয়ু (১৯৯১) ৬১.৪৫৭.৩
    মায়েদের মৃত্যুর অনুপাত৪৯৮৪০৬

    সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো ছত্তিশগড়ের মানুষ কেমন পান দেখি।
    গ্রাম ও শহরের ফারাক দেখতে পাব। আদিবাসীদের অধিকাংশ গ্রামে থাকেন।
    বুনিয়াদী সুবিধাসব মিলিয়ে গ্রামে শহরে
    বিদ্যুৎ পান ৩১.৮%২৫.৪% ৬১.২%
    নিরাপদ পানীয় জল পান ৫১.২%৪৫.১% ৭৯.৬%
    শৌচাগার১০.৩% ৩.৩% ৪২.৪%
    তিনটে সুবিধাই পান ৭.৬% ১.৫% ৩৫.৬%
    কোনটাই পান না ৩৬.১% ৪১.৯% ৯.৬%

    National Family Health Survey II, 1998-’99 & District level Household Survey, RCH, 2002-’03 থেকে পাওয়া তথ্যগুলো দেখুন—

    ছত্তিশগড়ভারত
    যেসব গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় যত্ন (Ante-Natal Care) পেয়েছেন তাঁদের শতকরা হার৪১.৭ ৭৩.৪
    কত শতাংশ প্রসব হাসপাতালে হয়েছে২০.২ ৪০.৫
    কত শতাংশ শিশু সব টীকা পেয়েছে ২১.৮ ৪২.০
    এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার ৮০.৯ ৬৭.৬
    পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার ১২২.৭ ৯৪.৯

    আমি যে পরিসংখ্যান তুলে ধরলাম তা ছত্তিশগড়ের, স্বাভাবিক সময়ের, অপারেশন গ্রীন হান্টের আগেকার। আজ আদিবাসীরা বিস্থাপনের ফলে কেমন আছেন জানতে আমাদের সালওয়া জুডুম-এর শরণার্থী শিবিরগুলোতে আদিবাসীদের অবস্থা জানতে হবে, যা জানা অসম্ভব।

    এই প্রতিবেদন থেকে বলতে চাই আদিবাসীরা ভালো নেই। তাঁরা ভালো নেই কেন না তাঁরা তাঁদের জল-জঙ্গল-জমি থেকে বিস্থাপিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আদিবাসী এলাকায় মোবাইল ক্লিনিক পাঠিয়ে নয়, তাঁদের সুস্থ রাখতে পারে কেবল জল-জঙ্গল-জমির ওপর তাঁদের অধিকার।

    এই উপস্থাপনা উৎসর্গ করছি সাথী ডা বিনায়ক সেনকে আদিবাসীদের জল-জঙ্গল-জমির লড়াই-এর পাশে যিনি আজীবন আছেন আর থাকতে গিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহের মিথ্যা অভিযোগে যিনি দন্ডিত, আদিবাসী শিক্ষিকা সোনি সোরিকে নিজেদের জল-জঙ্গল-জমির লড়াই লড়তে গিয়ে যিনি পুলিশী নির্যাতনের শিকার, এবং নিয়মগিরি আদিবাসীদের যাঁরা লড়াই করে আজও জল-জঙ্গল-জমির ওপর নিজেদের অধিকার বজায় রেখেছেন।

    (USAID ও ভারত সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের অর্থানুকূল্যে ২৫-২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ কলকাতার সায়েন্স সিটির প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হল আদিবাসী স্বাস্থ্য নিয়ে এক সেমিনার। এলাহি আয়োজন, প্লেন ভাড়া দিয়ে বক্তাদের নিয়ে আসা, খাওয়া-দাওয়া, তারকাখচিত হোটেলে বক্তাদের থাকার আয়োজন। আদিবাসীরাও ছিলেন, সংগঠক NGO-র কাজের এলাকা থেকে তাঁদের আনা হয়েছিল আদিবাসী সংস্কৃতি পরিবেশন করতে, নীরব শ্রোতার ভূমিকা পালন করাতে, কতটা তাঁরা বুঝছিলেন জানি না কেন না অধিকাংশ বক্তা বলেছেন ইংরেজীতে, ডোনার এজেন্সি-র সাহেব প্রতিনিধি ছিলেন কিনা। আমার উপস্থাপনা যে সেশনে ছিল, তার বিষয়—আদিবাসীদের স্বাস্থ্যঃ অধিকার ও বাস্তব। পাঁচজন বক্তা, আমি এবং শহীদ হাসপাতালের ডা শৈবাল জানা বাদে কেউ অধিকারের ধারে-কাছেও যান নি, নিজ নিজ সংগঠনের ঢাক পেটানোই ছিল তাঁদের বলার উদ্দেশ্য।)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৩৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 24.99.221.185 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২৫45439
  • লেখায় প্রসাদগুণের অভাব। ফলে প্যামফ্লেটের মত লাগে।
  • somenath | 24.139.160.5 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:১৭45440
  • তথ্য সমৃদ্ধ লেখা । তবে তুলনা গুলো table আকারে দিলে দেখতে এবং বুঝতে ভালো হত ।
  • kisholoy | 127.194.225.9 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৩২45441
  • দারুণ লাগলো লেখাটা। ডেটা সমেত এইভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলোকে তুলে ধরার খুবই প্রয়োজন। যারা বাস্তবে কাজটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তাদের কাজে লাগবে। কপি পেস্ট করে রাখলাম ফর ফিউচার ইউস।
  • sekhar | 233.29.206.14 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:১৮45442
  • তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। তবে ছত্রিশগড়ের আদিবাসীদের নিজ বাসভূমে থাকাকালীন স্বাস্হ্য-সূচকের সাথে বিস্হাপনের পর স্বাস্হ্য-সূচকের তুলনামূলক পরিসংখান পেলে তাদর স্বাস্হ্যর উপর বিস্হাপনের প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যেত।
  • পুণ্যব্রত গুণ | 151.0.8.139 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:০৭45443
  • লেখাতে আমার প্রসাদগুণ থাকে না ছোটবেলা থেকেই, কি করব বলুন।
    মূল লেখায় টেবিল ছিল, পেস্ট করতে গিয়ে উড়ে গেছে।
    আমি জানি বিস্থাপনের আগে ও পরে আদিবাসীদের স্বাস্থ্যের পরিসংখ্যান দিতে পারলে ভাল হত।পাইনি। জোগাড় করতে পারলে পরে আবার লিখব।
  • h | 213.132.214.156 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২২45444
  • ডঃ গুণ, প্রসাদের বিশেষ দরকার নাই। আপনার কাজের জন্য আপনাকে প্রচন্ড শ্রদ্ধা করি এবং তাতে প্যাম্ফ্লেট এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করি।

    জানার জন্য যে প্রশ্ন গুলো ছিল

    ক - ২০০২-২০০৩ এর পরে কি স্বাস্থ্য সার্ভে হয় নি?
    খ - ডিসপ্লেসমেন্ট যেখানে হয় নি, সেখানে(স্থান অর্থে) স্বাস্থ্যের আদিবাসীদের অবস্থা খুব ভালো হওয়ার কথা নয়, সেটা কে অ্যাড্রেস করতে কি অ্যাডভাইজ করেন সরকার কে বা সমাজকে।
    গ - অনাদিবাসী ডিস্প্লেসড লোকেদের উপরে কি একই প্রভাব হয় নি? ধরুন শহরের নতুন বস্তি গুলো তে তো আর শুধু আদিবাসী আসছেন না? সে ব্যাপারে আপনাদের অভিজ্ঞতার কথা যদি বলেন।
  • পুণ্যব্রত গুণ | 151.0.8.139 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৬45445
  • ক) উপস্থাপনার জন্য গত একমাস নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে যতটা সাম্প্রতিক তথ্য পেয়েছিলাম তাই দিয়েছি।
    খ) যেখানে বিস্থাপন হয়েছে বা হয়নি, কোনখানেই অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল না। সরকার সবার স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নেবে এটাই দাবী হওয়া উচিত।
    গ) বিস্থাপনের প্রভাব আদিবাসী-অনাদিবাসী সবার ওপরই একই রকম। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভারতের বিস্থাপিতদের মধ্যে ৪০%আদিবাসী, যেখানে মোট জনসংখ্যায় তাঁদের অনুপাত ৮.২%।
  • aranya | 154.160.130.16 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:০৭45446
  • 'ভারতের বিস্থাপিতদের মধ্যে ৪০%আদিবাসী, যেখানে মোট জনসংখ্যায় তাঁদের অনুপাত ৮.২%' - এইটা খুবই জরুরী কথা
  • h | 213.99.212.53 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:২৪45447
  • ডঃ গুণ, এর ই মধ্যে উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
    প্রশ্নানুযায়ী -
    ক - এর উত্তর তাহলে খুঁজে দেখবো।
    খ - আপনার দাবী যথার্থ্য এবং সমর্থনযোগ্য, সরকারের নীতি দিগভ্রান্ত সে নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নাই।
    গ - সম্মত হলাম। তবে শহরে রোজগারের সন্ধানে যারা চলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন, তাঁদের কে ডিসপ্লেসমেন্ট এর হিসেবে ধরা হয় না সম্ভবত। ঠিক আছে আমি খুঁজে নেবো।

    আবার ধন্যবাদ।
  • π | 118.12.173.94 (*) | ০১ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৪৬45448
  • এই 'প্যাম্ফ্লেট' এর দৌলতে অনেক কিছু জানা হল। NFHS2 এর ডেটাতে তো ভয়ানক বৈষম্য। NFHS3 র ডেটা নিয়েও তুলনা দেখতে আগ্রহী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন