এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার ভোপাল

    Punyabrata Gun লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০২ মার্চ ২০১৮ | ১৪৯৪ বার পঠিত
  • মেডিকাল কলেজে হাউসস্টাফশিপ শেষ করে ভোপালের জন স্বাস্থ্য কেন্দ্র-এ কাজ শুরু করেছিলাম ১৯৮৫-র ২৫শে আগস্ট। ২৮শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিলেন জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে থায়োসালফেট সরবরাহ করতে।

    সায়ানাইড বিষের প্রতিষেধক সোডিয়াম থায়োসালফেট। ২-৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৪-র ভোপাল গ্যাস-কান্ডের পরপরই অনেক চিকিৎসাবিজ্ঞানী গ্যাস-পীড়িতদের শরীরে সায়ানাইড বিষের প্রমাণ পেয়ে জীবিত মানুষদের সোডিয়াম থায়োসালফেট লাগানোর সুপারিশ করেন। বিরোধিতা করেন ভোপালের সরকারী চিকিৎসকরা, নানাভাবে যাঁরা ইউনিয়ন কারবাইডের প্রসাদধন্য। থায়োসালফেটে গ্যাস-পীড়িতদের অবস্থার উন্নতি হওয়ার মানে বিষ-গ্যাস মিশ্রণে সায়ানাইডের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়ে যাওয়া—এতে কারবাইডের criminal responsibility অনেকগুণ বেড়ে যায়, অনেক বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হয় কারবাইড।

    সরকার থায়োসালফেট দিচ্ছে না, তাই গ্যাসকান্ডের ছয় মাস পর গ্যাসপীড়িতদের নিজস্ব উদ্যোগে ইউনিয়ন কারবাইড প্রাঙ্গণে স্থাপিত জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থায়োসালফেট দেওয়া শুরু করা হয়। এ কাজে উদ্যমী ছিলেন কলকাতা মেডিকাল কলেজে আমার পরের ব্যাচ, তখন যাঁরা ইন্টার্ন। ইন্টার্নশিপ থেকে ছুটি নিয়ে ২-৩ জনের দলে এসে তাঁরা কাজ করতে লাগলেন। দিনে প্রায় দেড়শ’ জনকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হতে থাকল, রোগীরা উপকার পেতে থাকলেন, কারবাইডের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় হতে থাকল। হত্যাকারী কারবাইড শাস্তি পায়নি, অথচ আক্রমণ নেমে এল জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওপর। ২৪শে জুন রাতে ডাক্তার-সহ ৩১জন স্বাস্থ্যকর্মী গ্রেপ্তার হলেন, জন স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হল, স্বাস্থ্য-দপ্তর জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সোডিয়াম থায়োসালফেট সরবরাহ বন্ধ করে দিল।

    তারপর নানা বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে দুমাস বাদে আবার জন স্বাস্থ্য কেন্দ্র খোলা হল। মুখ্য চিকিৎসকের দায়িত্বে আমি।

    প্রতি সপ্তাহে আমরা ৫০জন করে রোগীর চিকিৎসা করতাম। প্রথমে তাঁদের উপসর্গগুলো লিপিবদ্ধ করা হত। সোম থেকে শনি রোজ এঁদের শিরায় থায়োসালফেট ইঞ্জেকশন লাগানো হত—তৃতীয় ও ষষ্ঠ দিনে জিজ্ঞাসাবাদ করে দেখা হত রোগী কতটা লাভবান হলেন, সে তথ্য নথিভুক্ত করা হত। যে সময়কার কথা বলছি—তখন ফুসফুসের ক্ষমতা মাপার যন্ত্র স্পাইরোমিটার বহনযোগ্য ছিল না, ছিল না কাজ চালানোর মত পিক ফ্লো মিটার। রোগীকে প্রশ্ন করে তাঁর উত্তর লিপিবদ্ধ করাই ছিল আমাদের সমীক্ষার উপায়।

    সে সময়ে গ্যাস-পীড়িতদের মধ্যে প্রধান যে সমস্যাগুলো দেখেছি, সেগুলো হল শ্বাসকষ্ট, খিদে কমে যাওয়া, পেটে ব্যথা, খাওয়ার পর পেট ফাঁপা, বুক-জ্বালা, দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া, মাংসপেশিতে ব্যথা। মহিলারা ভুগছেন মাসিক ঋতুচক্রের অনিয়মিততায়, গর্ভপাতের হার বেড়ে গেছে। গ্যাস-আক্রান্তরা, বিশেষত শিশুরা ফুসফুস-পেট-চামড়ার ছোঁয়াচে রোগে বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন—আমাদের মনে হত শরীরের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়াই এসবের কারণ।

    আরেক ধরনের মানুষ দেখতাম যাঁরা গ্যাসকান্ড মনে না করার চেষ্টা করেন, গ্যাসকান্ড নিয়ে কোনও আলোচনা করতে ভয় পান, ইউনিয়ন কারবাইড কারখানা এড়িয়ে চলেন। যখনই গ্যাস-কান্ডের কথা মনে পড়ে খুব ভয় পেয়ে যান, মানসিক উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। কেউ বা গ্যাস-কান্ডের কথা মনে করে অনুভূতিশূন্য হয়ে বসে থাকেন। কেউ ঠিকমত ঘুমোতে পারেন না, অল্পতেই চমকে ওঠেন, অনেক সময় দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে উঠে পড়ে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। কারুর কারুর সব সময় বিরক্তিভাব। কারুর মনোযোগের অভাব। কেউ উল্টোপাল্টা কথা বলেন। কেউ নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিরাশ। সাইকিয়াট্রিতে কাঁচা ছিলাম, তখন বুঝতাম না, পরে বুঝেছি এঁরা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের শিকার।

    সরকারী ডিস্পেন্সারি-হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের জন্য ব্রংকোডায়ালেটর ও স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে। অথচ স্টেরয়েড রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা আরও কমিয়ে দেয়, আর জন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরীক্ষায় তখন প্রমাণিত প্রায় ৪২.৮% গ্যাসপীড়িতের শ্বাসকষ্ট কমছে থায়োসালফেটের ৬টা ইঞ্জেকশন লাগিয়ে। বেসরকারী ক্লিনিকের ডাক্তাররা, হাতুড়ে ডাক্তাররা দুরবলতা কাটানোর জন্য ভিটামিন ইঞ্জেকশন লাগিয়ে মোটা টাকা কামাতেন।

    দীর্ঘদিন থাকার পরিকল্পনা নিয়ে ভোপালে গিয়েও নানা কারণে আমি তিন-সাড়ে তিন মাসের বেশি থাকতে পারিনি, ১৯৮৫-র নভেম্বরে কলকাতা ফিরে আসি।

    কিন্তু বিষ-গ্যাসের উপাদান কি ছিল ও বিষ-গ্যাস তাঁদের শরীরে কি ক্ষতি করেছে তা জানার দাবীতে, যথাযথ চিকিৎসার দাবীতে ভোপালবাসীদের আন্দোলন আমাকে, আমাদের পথ দেখিয়েছে বারবার ছত্তিশগড়ে, বাংলায়...।

    জয়প্রকাশ নগরের রশিদ খান বলছিলেন—আমাদের বস্তির গলিগুলোতে শান-পাথর লাগানো হয়েছে, বিজলী এসেছে, জলের কল বসেছে। পেটে খাবার নেই! কাজ করে খাবার জোগাড় করব, সে শক্তি নেই। রাজেশ (রাজীব) গান্ধী এসেছিল, তাকে আমাদের কষ্টের কথা বললাম। টিভিতে আমার ছবি দেখে থাকবেন। রাজেশ বলেছিল, ব্যবস্থা করবে! কোথায় ব্যবস্থা?

    গরীব নগরের পান্নালাল—আমাদের মেয়েদের কেউ বিয়ে করতে চায় না, ওদের শরীরে যে খারাবি হয়ে গেছে। কেউ গ্যাস-পীড়িত ছেলের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিতে চায় না।

    রাজগড় কলোনির ইরফান খাঁ—আমি কুলির কাজ করতাম, আজ ২০ কিলো ওজন তুলতে হাঁফ ধরে যায়। বাধ্য হয়ে জানলা-দরজা রঙ করার কাজ নিয়েছি।

    সময়ঃ অক্টোবর, ১৯৮৯।
    তখন কাজ করি ছত্তিশগড়ের শহীদ হাসপাতালে। ১৫-২২শে অক্টোবর ৩৫ সদস্যের এক সার্ভে-দলের সদস্য হয়ে আবার ভোপালে। ১৯৮৫-র মার্চে, গ্যাস-কান্ডের তিন মাস পর গ্যাস-পীড়িতদের শারীরিক অবস্থার দুটো সমীক্ষা করেছিল নাগরিক রাহত আউর পুনরবাস সমিতি এবং মেডিকো ফ্রেন্ডস সার্কেল। এই সমীক্ষাদুটোর নথি মজুত ছিল। যাঁদের দেখা হয়েছিল সে সময়, পাঁচ বছর পর তাঁরা কেমন আছেন খতিয়ে দেখা ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।

    বেশি প্রভাবিত বসতি—জয়প্রকাশ নগর, কাঁইচি ছোলা, গরীব নগর, ওড়িয়া বস্তি, রাম মন্দির, ফুটা মাকওয়ারা, রাজগড় কলোনি, সুভাষ নগর, রেলওয়ে কলোনি, ছোলা মন্দির, কাজী ক্যাম্প এবং কম প্রভাবিত—আন্না নগর-এ ছিলেন আমাদের সমীক্ষার মানুষ-জন।

    রশিদা বি, ৬০ বছর, সুভাষ নগর—এত বছর চলে গেল, মনে হয় আমরা বুঝি আর ভালো হব না।

    বিলকিস বি, ৪৯ বছর, কাঁইচি ছোলা—মাঝে মাঝে আল্লাকে ডাকি, আমাকে ডেকে নাও। এত ওষুধ খাওয়ার চেয়েতো মরে যাওয়া ভালো।

    অব্রার মোহন, ৪০ বছর, জয়প্রকাশ নগর—এখন তো আমি এক জিন্দা লাশ, যে কোনও মুহূর্তে মরে যাব। আমার বাচ্চাদের কি হবে?

    বিহারী লাল, ৬০ বছর, জয়প্রকাশ নগর—হাজার হাজার মানুষ ঐ সময় মরে গেছে। আমিও যদি মরে যেতাম তাহলে এসব কষ্ট পেতে হত না। ভবিষ্যত তো নরক।

    নার্গিস, ১৯ বছর, ফুটা মাকওয়ারা—মনে হয় মরে যাওয়াই উচিত। বেঁচে থেকেই বা কি করব?

    তারাবাঈ, ৩৫ বছর, গরীব নগর—এখন কেবল মৃত্যুই এসব কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন থেকে গ্যাস খেয়েছি কোনও কাজ করতে পারি না। আমার তিন ছেলে, তিন মেয়ে, কেমন করে চলবে?

    সালিমুদ্দিন, ৩০ বছর, রাম মন্দির—বারবারই মনে হয় আর বেশি দিন বাঁচব না। কি হয়েছে আমার? ক্যানসার?

    এই সমীক্ষায় দেখা যায়ঃ—
    •বেশি-প্রভাবিত এলাকার ৭০-৮০% মানুষ ও কম প্রভাবিত এলাকার ৪০-৫০% কোনও না কোনও অসুস্থতায় ভুগছেন।
    •ক্ষতিগ্রস্ত শরীরের তন্ত্রগুলো হল—শ্বাসতন্ত্র, চোখ, পরিপাক-তন্ত্র ও মাংসপেশি-কঙ্কালতন্ত্র।
    •দুই এলাকার মহিলাদের অধিকাংশই মাসিক রজঃস্রাবের অনিয়মিততায় ভুগছেন।
    •পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার গ্যাস-পীড়িতদের বড় মানসিক সমস্যা।
    সমীক্ষার অন্তরিম রিপোর্ট ১৯৮৯-এর ডিসেম্বর-এ প্রকাশিত হয়েছিল Against All Odds নামে।

    চার বছর পর আবার সমীক্ষায় অংশ নিয়ে মনে হল—গ্যাসপীড়িতদের ভোগান্তির এইতো সবে শুরু।

    সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ভুগছেন শ্বাসকষ্টে, সামান্য একটু হাঁটাচলা করলেই হাঁপিয়ে পড়েন, অনেকেই আগেকার পরিশ্রমসাধ্য জীবিকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। একটু কাজ করলেই হাতে-পায়ে গাঁটে-গাঁটে অসহ্য ব্যথা হয়। চোখে ঠিকমত দেখতে পান না অনেকেই, বিষ-গ্যাসের ছোঁয়ায় অনেকের চোখের স্বচ্ছ কর্নিয়া সাদা হয়ে গেছে, ছানি পড়ছে অনেক কম বয়সে। আমরা যাঁদের পরীক্ষা করি, তাঁদের অনেকেই উদ্বেগ, অবসাদের শিকার। সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকাংশের পড়ায় মন বসে না, পড়া মনে থাকে না, পরীক্ষায় ফেলের হার অস্বাভাবিক রকম বেশি। প্রজননক্ষম দম্পতিগুলোর সংগম-ইচ্ছা ও সংগম-ক্ষমতা ব্যাহত।

    সব মিলিয়ে অবস্থাটা ছিল নিরাশার।

    ভোপাল গ্যাস-কান্ডের ৩০ বছর হল। গ্যাস-পীড়িতদের পরবর্তী প্রজন্মগুলোতে জন্মগত বিকৃতির প্রাদুর্ভাব দেখতে সম্ভাবনা ট্রাস্ট এক সমীক্ষা চালিয়েছে গত দুই বছর ধরে। তাতে অংশগ্রহণকারী ডাক্তাররাও অধিকাংশ পশ্চিমবঙ্গের, শিক্ষক চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আমি এবার যাইনি। হয়ত যাব, যখন ভোপাল আন্দোলন আবার গণ-আন্দোলনের রূপ নেবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০২ মার্চ ২০১৮ | ১৪৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Punyabrata Gun | 116.203.171.85 (*) | ০২ মার্চ ২০১৮ ০৫:১৩64083
  • ভোপালেই আমার চিকিৎসক জীবনের শুরু।
    এই লেখাটি সম্প্রতি কথাশিল্প থেকে 'পা মিলিয়ে পথচলা' বইয়ে প্রকাশিত।
    কথাশিল্প বইটার দাম করেছে ২০০ টাকা। তবে শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাবেন ১৩০ টাকায়।
    অথবা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৯৮৩০৯২২১৯৪ নম্বরে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন