দেবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় আখর বন্দ্যোপাধ্যায় আগাম নিবেদনঃ এই লেখাটা মাগনা পড়ে যাঁরা আমাদের মতামতের সঙ্গে সহমত হবেন, তাঁদের কাছে একটাই অনুরোধঃ আমাদের এই লেখাটার জন্য খাটা-খাটনির মজদুরি মোতাবেক “বিনিময় মূল্য” (হায়, সবই শর্তাধীন বিনিময়ী বন্দোবস্ত) হিসেবে নিচের এই লিঙ্কটা টিপে পিটিশনে দয়া করে স্বাক্ষর দেবেন। এইটুকু প্রত্যাশা আমরা আপনাদের কাছে করতেই পারি এবং আপনারা সই করলে আমরা আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ ... ...
পিছুডাক ——— সুপ্রিয়া চৌধুরী ——— হয়তো আনন্দেই কাটে কিছুটা জীবন- কিছুটা হয়তো বা দুঃখে- কান্না হাসি সব পিছে ফেলে রেখে যাব চলে,- কোথা, কবে, কে জানে,-কোন অজানা সম্মুখে ! সাথী হয়ে কেউ যাবে না
প্রতিবিম্ব রাজবল্লভ পাড়ার কাছে বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরীর মেম্বার হয়েছে মাস ছয়েক হল। ওদিকে তেমন ভাল লাইব্রেরী নেই। লাইব্রেরীটা তাকে চিনিয়েছে অবশ্য সুশোভন, নলিন সরকার স্ট্রীটে যার বাড়িতে মাঝে মাঝে গ্রামাফোনে নতুন গান শুনতে যায় প্রতিবিম্ব। লাইব্রেরী রুমের বাইরে একটা বিরাট টেবিল। টেবিল ঘিরে অনেক চেয়ার পাতা। সেখানে বসে অনেক লোক টেবিলে কনুই রেখে পাতা ভাগাভাগি করে মন দিয়ে খবরের কাগজ পড়ে যতক্ষণ না রাত ... ...
দত্তপুলিয়ার ইতিহাস। লেখক :- শংকর হালদার শৈলবালা। বর্তমান ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের উত্তর পূর্ব বিধানসভার ৪১ টি বুথ নিয়ে দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। দত্তপুলিয়ার পূর্ব দিকে ইচ্ছামতী নদীর পুল ( ব্রিজ) নদীয়া-উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত রেখা। আবার উত্তর দিকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমারেখা। ◆ দত্তপুলিয়া উৎপত্তির ইতিহাস :- জনশ্রুতি থেকে জানা যায়, (এক) তৎকালীন সময়ে অর্থাৎ ১৪৭৩ ... ...
লোকে বলে ৮০ তে আসিও না। সে নিয়ে সিনেমা ও আছে। কিন্তু আমি তো ৪০ এই জর্জরিত। ৮০ অব্দি যদি পৌঁছাই চাইলে নিজের ইমোশন কেজি দরে বিক্রি করে হয়তো ভালোই উপার্জন করবো। চিরদিন জানতাম আমার ইমোশন কম।আর তার প্রকাশ আরো কম। আমার বন্ধুরাও আমাকে এ ভাবেই চিনে এসেছে চিরদিন। এইবয়সে আমার নবজন্ম হয়েছে এই কথা কটা লোকে
বেনারস পর্ব ২ ভীড় রাস্তা, যানজট পার করে রামাপুর লাকসা রোডে রামকৃষ্ণ মিশনের গেস্ট হাউসে এসে পৌঁছলাম। গেটের উপরে লেখা দেখে মন পৌঁছিয়ে গেল গত শতাব্দীর শুরুতে। ১৯০০ সালের কথা। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনজন তরুণ শ্রী চারুচন্দ্র দাস (পরবর্তীতে স্বামী শুভানন্দ), শ্রী কেদারনাথ মৌলিক (স্বামী অচলানন্দ) ও যামিনী রঞ্জন মজুমদার কোনোওরকমে 'চার আনা' যোগাড় করে শুরু করেছিলেন 'দরিদ্র জনের সেবার্থে এই সেবাশ্রম' 'জীব জ্ঞানে শিব ... ...
নীলুদা, ভালমানুষ হয়ে লাভ কী ? প্রথমত দ্বিধা, তারপর ঘৃণা নিজেকে দীর্ঘদিন ধরে, জিভের ডগায় লোভ, থু থু থু থু ৷ অর্থাৎ চেষ্টা ছিল ভাদ্রমাস সর্বনাশ এইসব জটিলতা ছিল আমাদের আগে পরে, পাতায় পাতায় ডালে ডালে, এ চমৎকার জীবনে, এস-এস-হে-বৈশাখে হে-হে-হে-হে , বনের ধারে সূয্যি-ডোবা দেশে ! সাহিত্য, সুর আর বাঙলা-ভাষা রক্তে-সিমেনে, ভদ্রলোক তুমি ৷পোস্টডকে গিয়ে খুব খিটখিটে হয়ে গেছ শুনলাম ৷ সিডিউলড মৃত্যুর জন্য, শান্তভাবে ভদ্রভাবে ... ...
যাদবপুর থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে আদ্যন্ত বেসরকারি চাকরি করেছি। ২০১৬তে সময়ের আড়াই বছর আগে চাকরি ছেড়েছি। শৈলারোহণ, পর্বতারোহণের ট্রেনিং নিয়েছি। হিমালয়ে কিছু ট্রেকে গেছি। নেপাল ও ভূটান ছাড়া ভারতের বাইরে যাইনি। গাড়ি, বাড়ি, পোশাক, গ্যাজেটস, সোশ্যাল স্ট্যাটাসের বস্তুতান্ত্রিক ফুটানি ঘোর অপছন্দ। ফেবু, ইন্সটা, টুইটার এ্যাকাউন্ট নেই। রাজনৈতিক কচকচিতে অরুচি। ভ্রমণে খুব আগ্ৰহ। অনেক দলবদ্ধ ভ্রমণ করলেও এবং এখনো তা \ ... ...
বাসন্তীদেবী খানিকক্ষণ গুম হয়ে বসে রইলেন। তারপর দৃঢ়স্বরে তার রায় ঘোষণা করলেন ---- ' অসম্ভব ... কক্ষনো না .... এ আমি কখনও হতে দেব না ... কানাই , ওদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করার দরকার নেই ... '----- ' আচ্ছা ঠিক আছে মেজদি .... কিন্তু আমারটা ... মানে ... ' ----- ' ও ... ঠিক আছে । তোমার দক্ষিণা নিয়ে চিন্তা কোর না ... ওটা আমি মিটিয়ে দেব'খন ... 'কানাই লাজুক মুখে চুপ ... ...
অনেকদিন অপেক্ষা করার পরেও কোন উচ্চবাচ্য, এ্যাডমিনের তরফ থেকে না পেয়ে, স্থির করলাম, এই পোর্টালে আর লিখব না। এখানে বেশির ভাগই সবজান্তা ব্যক্তি বর্গ, যাদের ধারে কাছে আমি যেতে পারবো না, চাইও না। বেশির ভাগই অত্মম্ভরি। মানুষকে সম্মান দেওয়া দূরে থাকুক, তারা ভাল ভাবে বাংলা কথাও
পরমাণু কবিতা গুচ্ছ —————— সুপ্রিয়া চৌধুরী —————— (১) পরমাণু —— ক্ষুদ্র তুমি, কোথায় জোর ! বিন্দু বিন্দু মিলে, হয় মহাসাগর
বেনারস পর্ব ১©তীর্থদেবতার আহ্বান না এলে যে কোনও তীর্থ অধরাই থেকে যায়, যতই সেই জায়গা সহজগম্য হোক না কেন। এই ধরণের কথা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। আমার ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে বেনারস বা কাশীধামের ক্ষেত্রে। কত জায়গায় কত বেড়ানো হয়ে গেল কিন্তু কাশী পৌঁছতে এত বছর লেগে গেল। তবে হ্যাঁ, কেমন যেন হুট করে এইবার যাওয়াও হয়ে গেল। কাশী বা বেনারস বাঙালীর second home ... ...
আজকাল থেকে থেকেই মনে প্রশ্ন জাগে – কে আমি? এই 'আমি' টা কে দেখা যায় কি? দেখতে কেমন? এল সে কোথা থেকে? যা কিছু দেখি সবই 'আমার' বলেই চিনি। 'আমার মাথা, আমার চোখ, আমার হাত, পা... বাড়ি, ঘর, পরিবার.... শখ, সৌখিনতা ... রাগ, দ্বেষ, অভিমান .... আরও কত সম্পদ – সবকিছুর মালিকানা দিব্যি উপভোগ করে চলেছেন সেই 'আমি' টি কে বিশেষ চিনি বলে মনে হয় না। দৈনন্দিন ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে সে কোন এক অন্তরালেই গা ঢাকা দিয়ে থেকে যায়। তাকে ধরাও আমার কর্ম নয় বলেই মনে হয়। একটা কথা বুঝেছি মাঝেমধ্যে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লে 'আমি' টি দিব্যি খোশমেজাজে থাকেন। ... ...
আমাদের ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা রয়েছে উপনিবেশ কথাটি। কথাটির ইংরেজি শব্দ কলোনি। অত্যন্ত সহজ, সরল, সাদাসিধে কথাটি। কিন্তু এর মধ্যে মানুষের যে হাহাকার লুকিয়ে আছে, চোখের জল লুকিয়ে আছে, লাঞ্ছনা লুকিয়ে আছে তার হিসেব ইতিহাস রাখেনি। আজও দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক কিছুই রয়ে গিয়েছে সেই উপনিবেশের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। আমাদের কাছে সেসব নিতান্তই এক জড় পদার্থ, সেইসব সৌধ বা স্থানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মানুষের লাঞ্ছনার ... ...
১ মেঘের কান্নাকাটি দানিয়ুবের জলে এই বর্শায় রামধনু পেড়ে নিয়ে এলে! আরো লম্বা হলে বর্শা উপগ্ৰহে যাবে - তোমার কীর্তি আর তোমার নাহি
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া কিছু লেখার সংকলন এই বইটি ‘ঘুমের দরজা পেরিয়ে’, ‘হে অনন্ত নক্ষত্রবিথী’ এবং ‘চিলেকোঠার উন্মাদিনী’ বইত্রয়ের উত্তরাভাস। এখানেও উঠে এসেছে একইভাবে বিভিন্ন সাহিত্যিকের, বিশেষত কাজগুলো, যার অধিকাংশই ফরাসী। এবং অনেক ব্যক্তিরই প্রকারান্তরে পূর্বোক্ত বই তিনটেতে সরাসরি কিম্বা অ-সরাসরি আভাস থাকার ফলে পড়তে খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। কিন্তু, এই বইয়ের সার্থকতা কোথায়? এই বইতে আমি একটা ... ...
সে সময়টা আমি বেলজিয়ামের একটা হোটেলে ছিলাম। স্টেশনের পাশে হোটেল, হোটেলের পাশে বিরাট লেক, বাজার। লেকে হাঁস চরে, বাংলা দেশের মতই। বাজারে সব কিছুই দূর্মূল্য। আগের দিন রাতে খেতে গিয়ে মাফলারটা ফেলে এসেছি, এদিকে এখানে দুপুর রোদেও আমার ঠান্ডা ঠান্ডা লাগে। রাস্তার ধারে খুব সাজানো পোষাকের দোকানে ঢুকে একটা স্কার্ফ দর করে দেখি ১০ ইউরো, মানে তখন ৮০০ টাকার মত। কিপ্টেমি করে ... ...
সকালবেলায় বন্ধু চাঁদুর মেসেজ পেলাম, আর বলিস না দুক্ষের কথা, অফিসে বহুবছর ধরে যাকে পটিয়ে কুপোকাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম, সে আজ হেসে হেসে এসে রাখি পরিয়ে দিলো আর হাতে ধরিয়ে দিলো একখান কিং সাইজ লাড্ডু। সত্যি সত্যিই বুড়ো হয়ে গেছি রে, বুঝতে পারছি। হাসির ইমোজি পাঠিয়ে
বিয়ের ঘটক কানাই সিকদার ক'দিন পরে এসে হাজির দুপুর বারোটা নাগাদ। বাড়িতে কাজের লোক জগন্নাথ ছাড়া বাসন্তীদেবী এখন একা। বেশ গরম পড়েছে আজ। মাথার ওপর বড় বড় তিন পাখনার ডি সি ফ্যান ঘুরছে গিটগিট করে। কানাই রুমাল বার করে মুখের, গলার ঘাম মুছতে লাগল। বাসন্তীদেবী এসে ঘরে