বিয়ের ঘটক কানাই সিকদার ক'দিন পরে এসে হাজির দুপুর বারোটা নাগাদ। বাড়িতে কাজের লোক জগন্নাথ ছাড়া বাসন্তীদেবী এখন একা। বেশ গরম পড়েছে আজ। মাথার ওপর বড় বড় তিন পাখনার ডি সি ফ্যান ঘুরছে গিটগিট করে। কানাই রুমাল বার করে মুখের, গলার ঘাম মুছতে লাগল। বাসন্তীদেবী এসে ঘরে
সকাল ছটা বাজল। একতলার তিনদিকে বারান্দা। আর একদিকে দেয়াল। মাঝখানে ছোট্ট শান বাঁধানো উঠোন। তোলা উনুনে কয়লার আঁচ ধরিয়ে উঠোনের মাঝখানে বসিয়ে দিয়েছে অঞ্জলি। গলগল করে ধোঁয়া উড়ে যাচ্ছে ওপর দিকে। রোজই যায়। মিনিট দশেকের জন্য চোখ জ্বালা জ্বালা করলেও কিছু করার নেই। সব বাড়িতেই চুলোয় আঁচ ধরানো হয়েছে। উনুন ধোঁয়া উগরে দিচ্ছে গলগল করে। সবাই এতে ... ...
সাহিত্য ও বিজ্ঞান —————— সুপ্রিয়া চৌধুরী —————— সাহিত্য ও বিজ্ঞান, -কে বলে আলাদা ? যে বলে,—সে ই তো চলমান বিজ্ঞান ! আর যা বলে ,- তা’তে যদি জুড়ে দাও আবেগ, অনুভূতি, শৈল্পিক ছোঁয়া,- সেখানেই পাবে
প্রথমে রাত্রি নেমে আসবে বাঁশবাগানের মাথার উপর। মিথ্ গুলো সব মহান হবে দক্ষিণ থেকে উত্তর!
উত্তরপ্রদেশের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কোনো এক 'পাবলিক স্কুল'। জনৈকা শিক্ষিকা চেয়ারে বসে আছেন। সামনে কতকগুলি ছেলেমেয়ে মাটিতে। ইউনিফর্ম পরে। একটি মুসলমান ছেলে শিক্ষিকার সামনে দাঁড়িয়ে। পড়া-টড়া করেনি হবে। শিক্ষিকা গম্ভীরভাবে বলছেন, আমি তো বলে দিয়েছি, যত মুসলমান বাচ্চা আছে, মেরে তাড়াও। ওপাশ থেকে কোনো এক পুরুষ বলছেন, ঠিক ঠিক। মহিলা তারপর এক এক করে সহপাঠী ছেলেদের ... ...
প্রকৃতির মাঝে (ট্রাইটিনা) —————— সুপ্রিয়া চৌধুরী —————— প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাই সকাল সন্ধ্যে বেলা, ফুল কুড়িয়ে মালা গাঁথি বসে অপূর্ব অনুভূতি ভোরের আলোয় আকাশে পাই শুধুই
পাড়ার মধ্যে শুধু দুটো বাড়িতে টেলিফোন আছে। এক মানিকলাল চ্যাটার্জি, যার বাড়িতে ঘড়িবাবু নরেন পাল ঘড়িতে দম লাগাতে আসে। আর দুই নম্বর হল পরিমল শীল। বউবাজারের শীলদের জ্ঞাতি। বেশিদিন না, চল্লিশ পঁয়তাল্লিশ বছর আগেও বাইজি নাচত ওদের বউবাজারের বাড়িতে। তেমন জরুরী প্রয়োজন পড়লে ওদেরই শরণাপন্ন হতে হয় পাড়ার লোকের। পাড়ার অনেক লোকের কিছু জরুরী ট্রাঙ্ককলও ... ...
খুব শীত করছে লিজার। রোমগুলো দাঁড়িয়ে গেছে। এই শৈত্য আর নেওয়া যাচ্ছে না। পকেট থেকে মোবাইল বের করে সময় দেখে লিজা। সবে সাড়ে তিনটে। আটটা বাজতে এখনো ঢের দেরি। অবশ্য আটটা বাজলেই যে একটা মিরাকেল ঘটবে এমনটা নয়। বাইরে বেরিয়ে তো সেই এঁদো গরম। কুলকুল করে ঘাম দখল নেবে গোটা শরীর। তারপর এক কামরার শেয়ারড ঘরে পৌঁছে স্টোভে রাতের রান্না। ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ... ...
আকাশের ছাঁচ ও ছোঁয়াচ লেগেছে, মৃত্যুমিত অন্ধকারে অব্যর্থ এক অসহায়তা এখন ।
রাজনীতি নিয়ে লিখতে চাই না। কিন্তু কেন জানি, মনে হচ্ছে, বুঝে বা না বুঝে আমরা সংঘ পরিবারের এজেন্ডাগুলো কার্যকর করছি । বলছি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েই ধরা যাক। রাগিং নিয়ে আজকাল কলকাতা জুড়ে পথসভার ধুম পড়ে গেছে। রাগিং কী? ব্যাখ্যা করছেন বামপন্থী নানারঙের ছাত্র সংগঠনগুলো। লোকে শুনছেন কম। কিন্তু যেটুকু কানে যাচ্ছে, তাতে গরিব মানুষদের মনে ভয় ঢুকে যাচ্ছে, ওরে বাবা, ভালো ভালো কলেজে বা সব কলেজে এইসব হয় পড়াশোনার নামে।উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার আর নিতে চায় না।চায় ড্রপ আউট বাড়ুক।তাই চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম।তাতে প্রথম বছর মাতৃভাষা শিক্ষার বিষয় বাদ।সে-সব নিয়ে আজ পর্যন্ত একটা পথসভাও চোখে পড়েনি ।আমি তো কলেজ ... ...
বিশ্বের সমস্ত দেশকে চমক দিয়ে, পেছনে ফেলে মহাকাশ বিজ্ঞানে প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান (প্রজ্ঞান) অবতরণ করাতে সক্ষম হলো শেষ অব্দি। চন্দ্রায়ন -১ এবং চন্দ্রায়ন -২ সফল না হলেও চন্দ্রায়ন -৩ সাফল্যের মুখ দেখলো। আমরা ভারতবাসী হিসেবে বিজ্ঞানের আঙিনায় আরও একবার গর্বিত হওয়ার সুযোগ পেলাম। এই সাফল্যের গায়েও রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লক্ষ করছি। আবার বিভিন্ন রকমের মন্তব্যের ঢেউও নজর এড়িয়ে যাচ্ছে না। আসলে এই ধরনের বিশ্লেষণ বা মন্তব্য আমাদের সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে দীর্ঘকাল ধরেই। ফলে এইসব নিয়ে আর এখন মাথা ঘামাই না। আমার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হলে আমার এক আত্মীয় মন্তব্য করেছিলেন, সেকেন্ড ... ...
গল্পবায়োগ্রাফি সব্যসাচী সরকারকবিতা আশ্রম দামঃ ৩৭৫ টাকা মণিপুর থেকে সাংবাদিক শ্রী সব্যসাচী সরকারের সরাসরি প্রতিবেদন সদ্যই পড়েছি। 'গল্পবায়োগ্রাফি' তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ। বইয়ের গল্পগুলি ১৯৯৪ থেকে ২০১৬র মধ্যবর্তী সময়ে লেখা। প্রথম গল্প 'নীরবপুর' যেখানে গাড়ি ঘোড়ার আওয়াজ নেই, হাসি কান্নার কোনো শব্দ নেই, শব্দহীন রিকশা চলাচল করে, মানুষজন এ ওর দিকে তাকিয়ে হাসে- তাতেই যেন সব বলা হয়ে যায়। পাখির ডাক, পায়ের শব্দ শোনা ... ...
আটটি অবসাদের গল্প।গৌতম চক্রবর্তীকেতাব eদামঃ ২০০ টাকাশ্রী স্বপন পাণ্ডা ভূমিকায় যথার্থই লেখেন, "স্মৃতি চেতনা ও কল্পনার জগতের আলোছায়ায় তাঁর অতি নগণ্য ধুসর চরিত্ররা নড়াচড়া করে।" এই বইখানির প্রচ্ছদ, নাম, আটটি গল্পের শিরোনাম স্পষ্টই চেতাবনী দেয় যে পাঠক সম্ভবত এক অন্ধকার পুরীতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যেখানে আলো ঢোকে না, বাতাস খেলে না। বইটি শেষ করে আমারও মনে হল এতক্ষণ অন্ধকার জগতে ঘুরে বেরিয়েছি - মানুষ যেখানে তার যাবতীয় হতাশা বেদনা অবসাদ বহন করতে করতে ছায়াপিণ্ড - একের থেকে অপরকে আলাদা করা যাচ্ছে না। চরিত্রগুলি কথা বলে কম, যেটুকু কথা তাও অতি মৃদুস্বর, যেন নিজের কথা বলতে তাদের অস্বস্তি - অবসাদগ্রস্ত মানুষজন যেমন; ... ...
রাম রাম মিজোরাম চন্দ্রাহতর উল্লাস; রেলসেতুর সফ্ট্ ল্যান্ডিং জনা পঁচিশ হলো লাশ!!
বিভূতিবাবু অনিমেষদের তিনজনকে নিয়ে ট্যাক্সি করে বাড়ি ফিরলেন। সংসারনাথবাবুর বাতের ব্যথা ইদানীং খুব বেড়েছে। লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেরা করেন। তিনি রোজ সন্ধেবেলায় হেদুয়ায় গিয়ে টুকটুক করে একটু হাঁটাহাঁটি করেন। ডাক্তার বলেছে একেবারে বসে গেলে শরীরও বসে যাবে। বিকেলের দিকে একটু হাঁটবেন। নকুড়ের দোকানের সামনে বিভূতিবাবুদের সঙ্গে দেখা হয়ে
নিউজিল্যান্ডের নারী সাংবাদিক চার্লোট বেলিস আল জাজিরার হয়ে কাজ করতেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সময় তিনি আল জাজিরার প্রতিনিধি হয়ে কাবুলে উপস্থিত ছিলেন।.তখন তিনি তালেবান নেতাদের নারী অধিকার প্রশ্নে অনেক ধারালো প্রশ্নে বিব্রত করে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই সময়ে তার বয়ফ্রেন্ড আরেক সাংবাদিক জিম নিউইয়র্ক টাইমসের হয়ে কাবুলে কাজ করছিল।কাতারে ফেরত যাওয়ার কিছুদিন পরে বেলিস বুঝতে পারেন তিনি প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়েছেন। এরকম প্রেগন্যান্সি কাতারের আইনে অবৈধ বিধায় তিনি নিউজিল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ নেন।.কিন্তু তখন কোভিড রেস্ট্রিকশন চলায়, তার কোন মেডিকেল ইমারজেন্সি নেই এই অজুহাত দেখিয়ে নিউজিল্যান্ড সরকার তাকে ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বেলিস তখন জিমের দেশ বেলজিয়ামে চলে ... ...
"চাঁদ থেকে সরাসরি" দেখব বলে খুলেই দেখি, চাঁদ থেকে সরাসরি উনিজি। চাঁদে গেলে সবাই ভালো-ভালো কথা বলে। আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, এ হল মানবজাতির জন্য এক বিরাট লাফ। হুপ বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলাম উনিজি সেটা বলে দেবেন। কিন্তু না, উনিজি লম্বা বক্তৃতা দিতে শুরু করলেন। কীকরে পারেন কে জানে। এতটা লম্বা রাস্তা, অত ধকল, ওইটুকু একটা স্পেসশিপে বসে থাকা। তার মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ কমে বাড়ে। এইমাত্র ছাতি ছিল ছাপ্পান্ন, পরক্ষণে চাঁদে যেতেই ছভাগের একভাগ। তার উপর দেখলাম কোনো স্পেসসুটও দেয়নি, পতাকা নিয়ে যেতে গিয়ে জায়গা হয়নি বোধহয়। আর পতাকা কি একটা? আর্মস্ট্রং তো একটা পতাকা কোনোরকমে নিয়ে গিয়েছিল, উনিজি দেখলাম পতাকা দিয়ে চাঁদ ... ...
চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে —————————সুপ্রিয়া চৌধুরী—————————চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে নবাগত অতিথি তোমার দ্বারে !বিস্ময়ে জাগে বিশ্ববাসী, সাক্ষী হতে এ মাহেন্দ্রক্ষণে, ভারত নব ইতিহাস গড়ে ।অভিনন্দন তোমায় চন্দ্রযান “বিক্রম”তুমি প্রথম ছুঁয়েছো চাঁদের দখিন মেরু !ধন্য “ইসরোর” বিজ্ঞানীরা ! তাঁদের সফল পরিশ্রমেই হয়েছে এ যাত্রাপথের শুরু। এবার খুলে দাও দ্বার,ওগো “বিক্রম” !বেরিয়ে আসুক “প্রজ্ঞান”-কত অজানার সন্ধান দেবে,-দেবে কত মহাজাগতিক জ্ঞান। ঐতিহাসিক,অবিস্মরণীয়, এই মুহুর্তপ্রতিটি ভারতবাসীর সম্মান,উচ্চৈঃস্বরে বলো তাই আজ“মেরা ভারত মহান”। —————————
হংসেশ্বরী পড়লাম। এক বসায় বলা চলে। বহুদিন পরে কোনও একটা লেখা আমায় এমন মশগুল রেখেছে। সেই থেকে একটা ঘোরের মধ্যে আছি। নারায়ণ সান্যাল লিখেছেন। কী আছে এই আখ্যানে? -- ভালোবাসা, উপেক্ষা আর অপেক্ষা। বস্তুত এরাই নিয়ন্ত্রণ করছে নৃসিংহদেব, মহামায়া, শঙ্করী আর পুরোহিত