এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • "স্বপ্ন"-হত্যা , ৱ্যাগিং, সিসিটিভি এবং যদুভূমি আক্রমণ (পর্ব - ২)

    দেবাদিত্য রায়চৌধুরী রানা লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ আগস্ট ২০২৩ | ১০৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • এই লেখাটি হলো স্বপ্নদ্বীপের মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে তাই নিয়ে দ্বিতীয় এবং অন্তিম পর্ব । একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর এক সার্বিক ও হিংস্র আক্রমণের নিদর্শনের ছবি ।
    শেষ ৭-৮ দিন ধরে এক পরিকল্পিত এবং সঙ্গবদ্ধ আক্রমণ নেমে এসেছে এই রাজ্যের শীর্ষস্থানে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর । এই আক্রমণের  বৈশিষ্ট ও রাজনৈতিক চরিত্র কি এবং সেটি  কেন তৈরি হয়েছে তাহা নিয়ে আলোচনা খুব জরুরি ।

    একটু ফ্ল্যাশব্যাকে চলে যাই আমরা ২০১৬ সালে , কলকাতার বদলে শহরটাকে করে দিন দিল্লি এবং বিশ্ববিদ্যালয়টিকে যাদবপুরের বদলে করে দিন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) । সেইসময় পরিকল্পিতভাবে এক হিংস্র উন্মাদনা গোটা দেশজুড়ে তৈরী করা হয়েছিল জেএনইউ এর বিরুদ্ধে । "আজাদী" শব্দটির কদার্থ এবং মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে দিনরাত গলা ফাটাচ্ছিলো গোদী মিডিয়া এবং সমাজের একাংশের কাছে "দেশদ্রোহিতার" এবং "বিচ্ছিন্নতাবাদের" সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছিল জেএনইউ। উমার খালেদ , শেহলা রাশিদ এবং কানহাইয়া কুমারকে মোটামোটি দেশীয় ওসামা বিন লাদেন তৈরী করে ফেলেছিলো দিল্লির নিউজ চ্যানেলগুলি । সেই একই  কায়দায়, যে ছকে জেনএনইউকে 'দেশদ্রোহীদের' আখড়া ও পীঠস্থান  বলে সারা দেশের সামনে দেগে দেওয়া হয়েছিলো, সমাজের চোখে গণশত্রু হিসেবে দেগে দেওয়া হয়েছিল, সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের সারা দেশের সামনে মিডিয়া ট্রায়ালে এনে  অর্ণব গোস্বামী ওদের টুটি টিপে ধরেছিলো, সেই একই চেনা ষড়যন্ত্রের ছক ধরা পরছে আজ যাদবপুরের ঘটনায় । সেই সময়েও দেশজুড়ে  ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল এইসব কথা -  "আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পড়াশোনা করে", "ক্যান্টিনে এক টাকায় চা খায়', "হোস্টেলের বাইরে কনডমের ছেঁড়া প্যাকেট" সহ আরো বহু বহু মিথ্যাচার, যার সাথে জেএনইউ এর ঘটনার সরাসরি কোনো যোগই ছিলো না। মিডিয়া ট্রায়ালে এবং শাসকদলের নেতাদের কথায় দেগে দেওয়া হচ্ছিলো জেএনইউকে । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৱ্যাগিং এর শিকার ছাত্রের মর্মান্তিক এবং অক্ষমণীয় ঘটনা নিয়েও ঠিক তাই করা হচ্ছে। মূল ঘটনার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে, ৱ্যাগিং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার ডাক থেকে সরে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দেগে দেওয়া হচ্ছে এক কুস্থানরূপে। মূল ঘটনা থেকে সরে এসে ভিন্ন খলনায়ক তৈরী করার খেলা ।

    তালে প্রশ্ন ওঠে যে, কেন বারবার জেএনইউ বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে এই ধরণের পরিকল্পিত আক্রমণের সামনে পড়তে হচ্ছে । মোটেই এই দুটি খালি নয় , বিভিন্ন স্বাধীন মুক্তচিন্তার পরিসরেই আক্রমণে নেমে এসেছে এই সময়কালে । এর কারণ লুকিয়ে আছে সেই স্থানের বিকল্প রাজনৈতিক চিন্তাধারার ভেতর , সেই স্থানের মুক্তমনে শাসক বিরোধী অবস্থানের ভেতর । বিভিন্ন নয়াউদারবাদী রাষ্ট্র-নীতি  এসে থমকে গেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুয়ারে , ক্যানটিনে খাবারের দাম বাড়াতে পারেনি কতৃপক্ষ বিদ্যার্থীদের আন্দোলনের মুখে , ক্যান্টিন বেসরকারিকরণের নামে গরিব বিদ্যার্থীদের পেটে ও পাতে লাথি মারতে দেয়নি ছাত্ররা,   বিদ্যার্থীদের পড়ার মাইনে  বাড়াতে দেয়নি ছাত্র সংগঠনগুলি যাতে করে বিশ্বমানের শিক্ষা কম খরচে পায় গরিব মেধাবী বিদ্যার্থীরা, হোস্টেল ফিস বাড়াতে দেয়নি যাতে কোনো ছেলেমেয়ের পড়াশোনাটা বন্ধ না হয়ে যায় । যাদবপুরে আজও  যে টাকায় কারিগরি শিক্ষা (BTech) অর্জন করা যায় তা দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটগুলির ক্ষেত্রে কল্পনার অতীত।   বিভিন্ন সময়ে শাসকের লুম্পেনরাজ বা শাসকদলের দাদাগিরি আটকে গেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে । বিভিন্ন সময়ে গৈরিকীকরণের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে এরাই । প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনীতির আধিপত্য চিরকালই বেশিরভাগ শাসকের চক্ষুশুল হওয়ার কারণ তৈরী করেই থাকে । আমাদের দেশে প্রায় সব বড় মিডিয়া হাউসই সংগঠিত বৃহৎ পুঁজির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত । তাই কারণগুলি খুব স্পষ্ট কেন রাষ্ট্র এবং সংগঠিত বৃহৎ পুঁজির আক্রোশের মুখে বারবার পড়তে হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও পড়তে হবে জেএনইউ , যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহিত আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং মানুষজনকে । অপূর্বনান্দ , সাইবাবা , ফাদার স্ট্যান স্বামী , গৌতম নাভ্লাখা, ভারাভারা রায় , তিস্তা সীতালবাদ সহ আরো মানুষজন যারা অন্যায় ভাবে নির্যাতিত , তারা কিন্তু বেশিরভাগই জেএনইউ বা  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে সরাসরি যুক্ত নন , কিন্তু তাও তারা নির্যাতিত কারণ তারা সরকারকে প্রশ্ন করেছিল , সরকারকে তার অন্যায় নীতিগুলি চোখে চোখ রেখে দেখিয়ে দিয়েছিলো । অশোকা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড: সব্যসাচী দাসকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেছে কতৃপক্ষ ,  তার অন্যায় ছিল যে সে স্বাধীন গবেষণামূলক এক পেপার ছেপেছিলেন যেখানে উঠে এসেছিলো ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বহু কারচুপির রহস্য । আজ ড: সব্যসাচী দাসের পশে এসে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র -কাউন্সিল , শিক্ষকগণ দাঁড়িয়েছে , তাই এই মূল বিষয়টি সরকারি কিংবা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ও নয় । বিষয়টি রাষ্ট্রের এবং কতৃপক্ষের আক্রোশের , বিরুদ্ধতার স্বরকে টুটি টিপে ধরার হিংস্র প্রবৃত্তির । তাই, ভিন্ন স্বর , ভিন্ন সুর , বিরুদ্ধ মতকে অন্যায় হিসেবে  চিন্নিত করা হতো হীরক রাজার দেশেও, বেশিরভাগ রাষ্ট্রব্যবস্থাতেই  আজও  একই পরিস্থিতি  । যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়তে  ভিন্ন স্বর , ভিন্ন সুর , বিরুদ্ধ মতকে নিয়েই তৈরী হয় স্বাধীন চিন্তার পরিসর , এবং এটাকেই খুব অপছন্দ করে যেকোনো শাসক , তাই যেকোনো রূপের স্বাধীনচিন্তার  বিষয়ে খুবই নেতিবাচক মনোভাব শাসকশ্রেণীর । স্বাধীনতা থাকলে তার সঠিক প্রয়োগ এবং বেঠিক প্রয়োগ দুটোই থাকবে , সেখানে কতৃপক্ষের কর্তব্য হওয়া উচিত বেঠিক প্রয়োগকারীদের চিন্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া । কিন্তু স্বাধীনতার বেঠিক প্রয়োগ এবং  অপব্যাবহার আছে বলে স্বাধীনতাকে বিসর্জন দিয়ে দেওয়া কোনো কাজের কথা নহে ।

    অর্ণব গোস্বামী বা মৌপিয়া নন্দীরা যখন ঝাঁপিয়ে পড়েন নীতি পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্যে , কাঠগড়ায় তুলে ধরেন জেএনইউ বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রীদের , তাদের বানিয়ে তুলতে চেষ্টা করেন গণশত্রু তখন একবার ভেবে দেখবেন তো এরা  সরকারকে কেন প্রশ্ন করে না শিক্ষাখাতে কমতে থাকা সরকারি আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে । বছরের পর বছর ধরে UGC র টাকা আসা কমে যাচ্ছে , গবেষকরা ঠিক সময় স্টাইপেন্ড পাচ্ছেনা , পরিকাঠামোগত উন্নতির টাকা বরাদ্দ করছে না  সরকার , তখন কিন্তু অর্ণব গোস্বামী বা মৌপিয়া নন্দীরা একটাও ঘন্টাখানেকের এপিসোড করেননা এইসব বিষয়ে ।  সমাজের যে হিংস্র অংশ আজ এই বিদ্যার্থীদের গণশত্রু বানাতে উদ্যত হয়েছে , তারাও কিন্তু সারা বছর শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে একটি কথা বলেনা ।  সরকার যখন বেসরকারিকরণের নামে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধনীর বাড়ির বিশেষাধিকার বানিয়ে ফেলতে চেষ্টা করছে তখনও এরা চুপ , বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে লড়ছে ওই জেএনইউ বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সহ বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  ছাত্রছাত্রীগুলো । তাই যে সবজান্তা কাকু বা জেঠু চায়ের দোকানে বসে তিরস্কার করছেন প্রগতিশীল বামপন্থী  ছাত্র সংগঠনগুলিকে , মনে রাখবেন আগামীদিনে আপনার সন্তান যদি বিশ্বমানের শিক্ষাটা পেতে চায় শিক্ষাঋণ (এডুকেশন লোন ) ছাড়া, সেটাও বাস্তবায়িত করতে পারে এই লড়াকু ছেলেমেয়েগুলোই  ।

    আশা করি এটি স্পষ্ট করতে পেরেছি কেন অর্ণব গোস্বামীর  অনুসারীরা স্টুডিওতে ডেকে ছাত্রদের উপর - "কে তুমি কে তুমি " বলে চিৎকার করছে এবং তাদের গণশত্রু বানাতে চেষ্টা করছে সমাজের চোখে  । 

    কিন্তু মনে রাখবেন , বিরুদ্ধতার ঢেউ চিরকাল ছাত্রসমাজ থেকেই উঠে এসেছে , শাসককে করা প্রশ্ন প্রথম উচ্চারিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চেয়ার , বেঞ্চ কিংবা মাঠের পশে। 

    মূল বিষয়টি স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যু , সেই সংগঠিত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার , ৱ্যাগিং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং প্রতিরোধ গড়া এই পৈশাচিক প্র্যাক্টিসের বিরুদ্ধে । যারা এই বিষয় থেকে আলোচনার অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন তারাই আসলে পরোক্ষভাবে স্বপ্নদ্বীপ এবং ভবিষ্যতের স্বপ্নদ্বীপদের মৃত্যুর কারণ হয়ে থেকে যাবেন এবং যাচ্ছেন ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1cd1:121e:45b0:ac04:9482:2051 | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৮:৪১522802
  • দুই পর্বে লেখাটা ভালো লাগলো। 
     
    "আমাদের দেশে সিসিটিভির সামনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের মন্ত্রী বলে "গলি মারো শালো কো", এবং সেই ভিডিও গোটা দেশ দেখলেও,  তার জেল হয়না। মন্ত্রীমশাইয়ের এই নির্দেশের পর যখন এক যুবক সত্যিসত্যিই বন্দুক নিয়ে ভিড়ের মাঝে  ঢুকে পরে তখন মন্ত্রীমশাইয়ের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হয়না ।"
     
    শুধু তাই না। দিল্লি থেকে হরিয়ানা, প্রতিটা দাঙ্গা যারা সংগঠন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সিসিটিভি বা ফোনের ক্যামেরায় তোলা ফুটেজ আছে। যারা লাগাতার মুসলমানদের বিরুদ্ধে হেট স্পিচ দিয়ে চলেছে তাদেরও সিসিটিভি ফুটেজ আছে। উদাহরনস্বরূপ, মোনু মানেসার এর বিরুদ্ধে হরিয়ানা পুলিশ হেট স্পিচ এর কোন প্রমাণ খুঁজে পায়নি। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:381b:5d60:72cc:611c | ২১ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪১522807
  • ভাল লেখা 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:381b:5d60:72cc:611c | ২১ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫১522808
  • ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য শাসকেরা উৎসুক, কেন্দ্র ও রাজ্য , দু তরফেই 
  • | ২১ আগস্ট ২০২৩ ২১:২১522810
  • খুব ভাল লিখেছেন।  যথার্থ বিশ্লেষণ। কেন মৃত্যু ও র‍্যাগিং তদন্ত ছেড়ে অন্যদিকে ঝাঁপাচ্ছে মিডিয়া ও রাইট উইং  সেই রাজনীতি বারবার বলা দরকার।
     
    দিন তিনেক আগে সবুজ গাঙ্গুলি ফেসবুকে লিখেছেন তিনি ক্যুইয়ার হওয়ায় এবং মুক্তকন্ঠে সেটি প্রচার করায় বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং পুণের সাবিত্রীবাঈ ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে কীভাবে র‍্যাগিং বুলিয়িং ও যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। সাবিত্রীবাঈ ফুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুই এবিভিপির ইউনিয়ন। কাজেই আজ যারা যাদবগাছি বলছে তাদেরই ভাই বেরাদররা সবুজকে বলেছিলেন 'প্যান্ট উতারকে গান্ডমে ঘুসা দুঙ্গা'।  আর বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র রঞ্জনদা তাঁর অভিজ্ঞতা এই  গুরুতে লিখতে গিয়েই হেকলড হয়েছিলেন। 
     
    (কয়েকটা বানান ভুল আছে একটু দেখে যদি ঠিক করে দেন তো বড় ভাল হয়।
  • বনানী রায় ভট্টাচার্য্য | 117.201.109.5 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ০০:৩৭522822
  • মৃত্যু ও র‍্যাগিং ছেড়ে কেন অন্য দিকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় , তার কারণ বোঝা অতটাও কঠিন নয় । ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে , কায়েমি রাখতে  অত্যাচারের জুজুর ভয় না দেখালে চলে না । কেউ মাথা তুলে যাতে কোনও কথা বলতে না পারে , তার জন্য  সযত্নে লালন করতে হয় র‍্যাগিং এর বিষবৃক্ষ । সর্বত্র । এর পরোক্ষ মদদদাতা অবশ্যই কতৃপক্ষ এবং বিশেষ ক্ষমতাধারী কিছু মানুষের মত দেখতে প্রাণী । তাদের জলবাতাস দিয়ে জিইয়ে রাখতে একটা আধটা মৃত্যু হয়ই যদি , ক্ষমতার তাতে কী যায় আসে  ?  
  • Name | 24.206.65.29 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ০২:০৯522823
  • সবুজ গাঙ্গুলির লেখাটা পড়লাম। 
     
    বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন নিয়ে রঞ্জনবাবুর লেখাটা কি পাওয়া যাবে? 
  • :|: | 174.251.162.89 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৩৯522824
  • বাপরে কি সাংঘাতিক: https://bartamanpatrika.com/home?cid=12&id=480655
    নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ধামাচাপা দিতে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রাক্তনী জয়দীপ ঘোষ। হাসপাতালে গিয়ে জখম ছাত্রের বয়ান রেকর্ড করতে পুলিসকে বাধা দিয়েছিলেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় মেইন হস্টেলের যেখানে পড়েছিলেন ওই ছাত্র, হাসপাতাল থেকে ফিরে সেই জায়গার রক্ত ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করাই ছিল উদ্দেশ্য। শনিবার রাতে জয়দীপকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তারপরই সামনে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সৌরভ চৌধুরী এবং জয়দীপ আঁটঘাট বেঁধেই যে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, জয়দীপ বিক্রমগড়ে ঘরভাড়া নিয়ে থাকলেও মেইন হস্টেলে নিয়মিত আনাগোনা ছিল। সৌরভের সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠতা। এই দু’জন প্রাক্তনীর হাতে ছিল হস্টেলের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা। নবাগত ছাত্ররা এলে কীভাবে তাঁদের র‌্যাগিং করতে হবে, তা ঠিক করতেন এঁরা দু’জন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তনী জয়দীপ উপস্থিত থাকতেন সমস্ত জিবি মিটিংয়েও। 
    পুলিস জানতে পেরেছে, হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে সৌরভ সহ কয়েকজন ওই পড়ুয়াকে তঁার সহপাঠিনীদের শারীরিক বর্ণনা দিতে বলেন। ছাত্রীদের ছবি তুলে আনার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়। পরপর আরও তিনটি রুমে তাঁর উপর টানা মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। একদল সিনিয়র ও প্রাক্তনী যখন এই অত্যাচার চালাচ্ছিল, তখন অন্য একটি দল সিঁড়ির মুখ আটকে দাঁড়িয়েছিল। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পালানোর চেষ্টা করলে যাতে ওই ছাত্রকে আটকানো যায়, সেটাই ছিল উদ্দেশ্য। অত্যাচারের এক পর্যায়ে অসহায় ছাত্রটি জল খেতে চাইলে সৌরভ ও অন্যরা তাঁকে প্রস্রাব খাওয়ানোর কথা বলেন। শেষে বাথরুমের নোংরা জল তাঁকে এনে দেওয়া হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের। আর সহ্য করতে না পেরে ছাত্রটি তখন ঘর থেকে ছুটে বাইরে আসেন। তখন তাঁকে তাড়া করে কয়েকজন। বাঁচার প্রবল আকুতিতে সিঁড়ির দিয়ে নেমে পালাতে গিয়ে তিনি দেখেন, সেখানে পাহারায় রয়েছে একদল ‘দাদা’! তখন বারান্দায় উঠে যান তিনি। তারপরও তাঁকে তাড়া করা হলে ঝাঁপ দেন। 
    পুলিস জেনেছে, এই ঘটনার পর সৌরভ ফোন করে জয়দীপকে ডেকে পাঠান। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানে চলে আসেন তিনি। তাঁকে সৌরভ বলেন, পুলিস যাতে হস্টেলে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর জয়দীপ গেটে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে চাবি নিয়ে নেন। রবিবার জয়দীপকে আদালতে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী জানান, ‘হাসপাতালে গিয়ে তদন্তকারীরা জখম ছাত্রের বয়ান রেকর্ড করতে চাইলে সেখানে বাধা দেন ধৃত। তারপর হস্টেলে ফিরে অন্যান্য ছাত্রকে বাথরুম থেকে জল এনে রক্ত ধুয়ে দিতে বলেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেই কাজের তদারকি করেন। তারপর সৌরভ ও তাঁর সাগরেদদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জয়দীপ। সেখানে তিনিই সবাইকে বুঝিয়ে দেন, কী করতে হবে, কী বলতে হবে।’ 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ০৪:১১522825
  • এরা তো রীতিমত মাফিয়া গ্যাং!!!! এ জিনিস হঠাৎ করে হয় না। বহু বছর ধরে সম্ভবতঃ এই মাফিয়া গ্যাং সক্রিয়। খুঁড়তে খুঁড়তে আরও কত কী বের হয় দেখা যাবে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:89e4:b31f:976e:e973 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ০৬:০৮522826
  • 'বাঁচার প্রবল আকুতিতে সিঁড়ির দিয়ে নেমে পালাতে গিয়ে তিনি দেখেন, সেখানে পাহারায় রয়েছে একদল ‘দাদা’'
     
    - সিঁড়ির মুখে সিসিটিভি থাকলে এই দাদারা হয়ত সেখানে থাকত না। স্বপ্ন-ও পালাতে পারত। 
     
    সিসিটিভি র‌্যাগিং-এর ক্ষেত্রে ডেটারেন্ট হিসাবে কাজ করতে পারে, আবার প্রাইভেসি কম্প্রোমাইজ্ড হয়, এবং কর্তৃপক্ষের হাতে এর অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:89e4:b31f:976e:e973 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ০৬:১৯522827
  • এদিকে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোলা জলে মাছ ধরেই ছাড়বেন। কদিন আগে যাদবপুরকে আতঙ্কপুর বলেছিলেন, বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়ন দের দোষ দিয়েছিলেন। আজকের কাগজেও দেখলাম বলেছেন - 'একটি ছাত্রকে সিপিএম আর লেফটিস্ট-দের ইউনিয়ন কীভাবে মেরে ফেলল'
    কালেক্টিভ নামে যে ইউনিয়ন টির কথা খবরে আসছে, তারা তো অরাজনৈতিক মনে হয় 
  • :|: | 174.251.162.89 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ০৭:০১522828
  • ওখানে কোনও ইউনিয়ন "অরাজনৈতিক" হয়না। আর দিদি ভুল বললে লেফটিস্টরা চুপচাপ ছেড়ে দিতোনা বলেই মনে হয়। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:89e4:b31f:976e:e973 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ০৭:০৯522829
  • লেফটিস্টরা তো চুপচাপ ছেড়ে দিচ্ছে না। মহম্মদ সেলিম মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছেন , প্রমাণ দেওয়ার জন্য 
  • Eman Bhasha | ২২ আগস্ট ২০২৩ ১২:১২522836
  • ধন্যবাদ 
  • hu | 24.53.190.120 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩০522845
  • এদের যদি শাস্তিও হয় তাহলেও হয়ত আমন কাচরুর খুনীদের মত কয়েক বছর পরে গুড কন্ডাক্ট দেখিয়ে ছাড়া পেয়ে যাবে। তারপর ফিরে যাবে স্বাভাবিক জীবনে। র‌্যাগিং এমন একটা অপরাধ যা কেউ না বুঝে করে না। র‌্যাগিং করাকালীন ভিক্টিমের আচরণ দেখেই বোঝা যায় কাজটা অন্যায় হচ্ছে। চোখের সামনে একজন আতঙ্কে দৌড়চ্ছে, কেউ কেঁদে ফেলছে, কেউ অনুনয় করছে ছেড়ে দেওয়ার - তাও উচ্চমেধার ছেলেমেয়েদের চৈতন্য হচ্ছে না। এদের সংশোধন সম্ভব কখনো!
  • যোষিতা | ২৩ আগস্ট ২০২৩ ০০:৪০522849
  • পুরোটাই সামাজিক সমস্যা। হয়ত কিছুটা মানসিক সমস্যা, কিছুটা আপব্রিংগিং, তার সঙ্গে মেধা এবং উচ্চশিক্ষা। সব মিশিয়ে এক্সপ্লোসিভ ককটেইল। এরকম খুনে মানসিকতা কোথা থেকে আসে? বিকৃত যৌনলিপ্সাও রয়েছে, তারপর প্রস্রাব খাওয়ানো, টয়লেটের জল খাওয়ানো, নাৎসী কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে এদের মত লোকেরাই কি ছিল। 
    এতকাল জানতাম শিক্ষাই আলো এনে দেয় জীবনে, সেই বিশ্বাসটাই টলে গেল। এর চেয়ে মুখ্যু হয়ে থেকে যদি ভালো মানুষ হতে পারে, সে ঢের ঢের ভালো।
    আইআইটি খড়্গপুরের ছেলেটিকেও মেরে ফেলার পরে বিশেষ রাসায়নিক দিয়ে মৃতদেহের পচন রোধ করেছিল পণ্ডিত মেধাবী ছাত্ররা। কী ভয়ানক এরা! এরাই সমাজের ভালো ভালো জায়গায় উঁচু পদে বসে থেকে দেশটাকে চালাবে!
    পচন ধরে গেছে সমাজে।
    শিশুদেরো এরকম নোংরামিতে লিপ্ত থাকতে দেখেছি কোলকাতায়। ভালো ভালো ইস্কুলে পড়া আপাত নিষ্পাপ সব শিশু। ১৯৯৬ সালে দেখেছি। বাপমায়ে দেখেও কিছু বলে না, বরং প্রশ্রয় দেয়।
  • lcm | ২৩ আগস্ট ২০২৩ ০১:১৬522850
  • While close to 40% students in colleges across India faced some kind of ragging, only 8.6% reported the incidents, a study funded by University Grants Commission (UGC) on the directions of Supreme Court has found out. --- The Indian Express reported in January, 2016
     
    Response to application under the Right to Information (RTI) act revealed [Jan, 2016]:
    The phone calls were made from 1st January, 2014 to till date to Anti Ragging Helpline = 13,49,437
    Out of 1349247 phone calls, total complaints registered as formal complaints = 770
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন