দুপুর প্রায় আড়াইটে বাজে । কলতান বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ল । বৌবাজারের মোড়ে এসে বাঁ দিকে ঘুরল । ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মোড়ে এসে থামল । যাবার রাস্তায় দেখল দত্ত জুয়েলার্সে শাটার নামানো , তালা মারা । কলতান লক্ষ্য করল দত্ত জুয়েলার্স আর তার পাশের দোকানের মাঝখান দিয়ে একটা সরু গলি গেছে ছানাপট্টির দিকে । দীনবন্ধুবাবুরা নিশ্চয়ই বাড়ির দিকে রওয়ানা দিয়েছে এতক্ষণে । হ্যা ... ওরা ঠিকই বলেছে । মোড়ের মাথায় ওদিকের ফুটপাথে একটা পান সিগারেটের গল্লা আছে । ওপরে ছোট একটা টিনের সাইনবোর্ড । তাতে লাল রঙে লেখা আছে -- কস্তুরী । একজন নীল রঙের স্যান্ডো গেঞ্জি ... ...
আবার পড়া হবেতোমার জন্য রাখা হরিদ্রা ফুটবে নীল টবেআবার পড়া হবে কালো পাথর সাদা পাথর বিষটানা সব নুড়িএকে একে নীল, নীলকন্ঠ হবেআবার পড়া হবে ঢেউ এসে মুখ মুছোবে কারুর, অমানির্জন পুরীভরে উঠবে প্রবল মহোৎসবেআবার পড়া হবে
শত জন্মের পাপ করলে তবে মানুষকে বঙ্গের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যেতে হয়। উৎসবের গভীর রাত। নামজাদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমারজেন্সিতে উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি উৎসবেই এমন চিত্র সব হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আগেও দেখেছি। কিছু অতি উৎসাহী নিরাপত্তা রক্ষীদের বাধার কারণে রোগীদের পরিজনরা ভিতরে ঢুকতে পারছেন না। রোগীর সাথে একজনের প্রবেশাধিকার। ভাবলাম, অতি উত্তম ব্যবস্থা। জরুরী বিভাগের ভিড় এড়াতে এমন ব্যবস্থাই হওয়া উচিত। সামনের ভিড় ঠেলে এগোলাম ... ...
।।।
একে ওকে জিজ্ঞেস করে কলতানের বাড়িটা খুঁজে পেয়ে গেল দীনবন্ধুরা । কলতানরা থাকে তিনতলায় । এরা ঝট করে তিনতলায় উঠে যেতে পারল না । আত্মবিশ্বাসহীন মানুষের যেমন হয় আর কি । ফুটপাথের ধারে দাঁড়িয়ে আবোল তাবোল আলোচনা করতে লাগল । প্রথমত, তারা অনেকক্ষণ ধরে কজন ওপরে যাবে , কারাই বা যাবে , যারা যাবে তারা কিভাবেই বা তাদের সমস্যার কথাটা উপস্থাপন করবে , উনি যদি তাদের কেসটা নিতে রাজি না হন তাহলেই বা কিভাবে অনুনয় করবে , যদি খুব বেশী পারিশ্রমিক চেয়ে বসেন তাহলে কোন ভঙ্গীতে ভদ্রতার সঙ্গে দরাদরি করা উচিৎ, এই ভর দুপুরে ভদ্রলোককে বিরক্ত করা উচিৎ হবে ... ...
দীনবন্ধু জানাকে আপনারা চেনেন না নিশ্চয়ই । কি করেই বা চিনবেন । দীনবন্ধু জানা তো আর কেষ্টবিষ্টু কেউ না । পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ায় বাড়ি । কলকাতায় শ্যামবাজারে একটা মেসে থাকে । বউবাজারে একটা নাম করা জুয়েলারির দোকানের কর্মচারি সে । মেসবাড়ি সংস্কৃতি এখন অবলুপ্ত। তবু পুরনো কলকাতায় দু একটা আছে এখনও । সেখানে ঢুকলে মনে হয় চল্লিশ বা পঞ্চাশের দশকে ঢুকে পড়েছি । শ্যামবাজারে এরকম আছে একটা ওই আর জি কর রোডের ওপর । প্রায় অমিয়বাবুর বাজারের ওপর বলা যায় । ওখানে দীনবন্ধুর সঙ্গে আরও পাঁচজনথাকে । তারা হাওড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, বীরভূম বিভিন্ন জায়গার লোক । তারা অবসর পেলে তাস ... ...
ইদানিং ধর্ম শিক্ষা দিতে ব্যস্ত জরাসন্ধ আর শিশুপাল কালীয় নাগের চাষ সাফল্যের সঙ্গে করে সমাজের বুকে কেটে খাল।হিংস্র বিষে জরজর হতে থাকে ইন্দ্রপ্রস্থ , বিষে জ্বলে যমুনার জলদ্রৌপদীর বস্ত্র টানে দুঃশাসন, কর্ণের অশ্লীল হাসি আজও চলতে থাকে খল খল! "মুক্তি চাই "! এই রবে মুখরিত হিমালয় থেকে নিম্নে ভারত সাগর ,নির্লজ্জ কৌরব তবু হিংস্র ক্রোধে উন্মাদ গরগর! বাসুদেব নিরুদ্দেশ, দ্বারকাই ভূলুন্ঠিত ধর্মোন্মাদ অসদ শাসনে, সংখ্যা গর্বে মদমত্ত অক্টোপাস যেন এক,জড়িয়ে ধরেছে দেশ বিষাক্ত বাঁধনে।থার্ড রাইখও পেয়েছিল ভূতগ্রস্ত জার্মানির নেশাসক্ত উগ্র সমর্থন , সর্বনাশা নাৎসি প্ল্যান আউশভিৎজ, ট্রেবলিঙ্কা, ডাচাউ এ রেখে গেছে ভয়াবহ সেই নিদর্শন! কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে অগণিত লাশের পাহাড়ে, শুনতে পাও কি তুমি সেই হাহাকার? স্বদেশ সমাজ কাটে বিভেদের কর্কশ ... ...
॥ ২ ॥নুভেল ভাগ ২৮ সে ডিসেম্বর, ১৮৯৫। ঠান্ডা, স্যাঁৎ-স্যাঁতে এক শনিবার প্যারিস শহরে। শহরের একটি রাস্তার ধারে গ্র্যান্ড ক্যাফে তে গ্র্যান্ড ক্যাফেতে এসে হাজির হয়েছে প্যারিস শহরের নিমন্ত্রিত সাংবাদিককুল ও থিয়েটার ডিরেক্টররা। অগাস্টা ও লুইস দুই লুমিয়ের ভাইয়ের তৈরী করা এক নতুন যন্ত্র সিনেমাটোগ্রাফের কারসাজি দেখানো হবে। সেই শোতে বিশিষ্ট থিয়েটার ডিরেক্টরদের মধ্যে হাজির ছিলেন আরেকজন ব্যক্তি, তার নাম George Melies। দশ থেকে পনেরো মিনিট দৈর্ঘের প্রায় কুড়িটি ফিল্ম এর এই শো টি র একটি ছিল সেই বিখ্যাত ট্রেনের দৃশ্য যেটি স্টেশনে এসে থামলে লোক নেমে আসে ট্রেন থেকে প্লাটফর্মে। পর্দায় চলন্ত ট্রেনের ছবি ক্রমশ বড় হয়ে ক্যামেরার কাছে আসতে থাকায় ভয়ানক ... ...
Nintendo has revealed the following portion in the Fire Emblem series. Following the send off of Fire Emblem: Three Houses back in 2019, Nintendo is currently equipping to send off the following section in the establishment, which will be entitled Fire Emblem Engage. And keeping in mind that Engage will recount to another story in the realm of Fire Emblem, it seems as though it will likewise be consolidating components from numerous past passages also.Declared to start off the present Nintendo Direct, Fire Emblem Engage was disclosed through an introduction trailer. The video being referred to provided us with a ... ...
উত্তমকুমারের সুপার ফ্লপের কোন গল্প শুনেছেন? শুনেছেন কখনো ওনার বাড়িতে পাথর হামলা হয়েছে? না.. না.. কাশ্মীরে না। খোদ কলকাতার। শুনুন ... কলকাতার রামধন মিত্র স্ট্রিটের গলিতে যদি কখনো যান দেখবেন সামনেই চুনখসা হলুদ রঙের একটা বিশাল পুরোনো বাড়ি দাঁড়িয়ে। সামনের ফলকটায় ওনার নাম, জন্ম আর মৃত্যুর দিন লেখা। সাথে কয়েকটা লাইন - "এই বাড়িতে আমৃত্যু বাস করেছেন বেতার মহিষাসুরমর্দিনীর সর্বকালজয়ী এই সুসন্তান"... ব্যাস এইটুকুই। ... ...
আজ তো মহালয়াদেবী পক্ষের শুরুআপনি এবার মর্ত্য লোকে নেমে আসবেন।আবার বিসর্জনের বাজানা শুনে চলে যাবেন।আজ একটা আপনাকে অনুরোধ করি খালি যাওয়া আসা করে কি লাভ।এখানে থেকে যান, অসুর গুলিকেনিধন করে যান।কারণ মানুষের শিরদাঁড়া হারিয়ে গেছে । সবাই আমাদের বোকা বানাচ্ছে।আপনি হলেন একমাত্র ভরসা।তাই সবাই বলি: থেকে যান, থেকে যান, থেকে যান।শিব ঠাকুর কে, খবর পাঠান,আপনি কাজ শেষ করে যাবেন ।মানুষ আপনাকে চায়,নইলে শুধু আসা, যাওয়াকিছু তো যায়না পাওয়া। ... ...
ক্যালকাটা পোর্ট ট্রাস্টের (CPT) একজন সাধারন কর্মচারী ছিলেন আমার পিতাশ্রী। পরবর্তী কালে, মানে ২০০১ সালে CPT হয়ে যায় KPT শহরের নাম পরিবর্তনের সাথে সাযুজ্য রেখে। বাবা অবশ্য তার অনেক আগেই ১৯৮২ সালে স্বেচ্ছাবসর গ্ৰহন করেন। এমনিতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স আটান্ন বছর। বাবার ক্ষেত্রে সেও হয়ে দাঁড়াল ছাপান্ন বছর।অর্থাৎ আমাদের সংসারের অর্থনৈতিক অবস্থা বারোটা ছাপান্ন। কারণ তিন ছেলের কেউই তখনো নিজের পায়ে দাঁড়ায় নি। শুধুমাত্র দিদি ... ...
পরদিন বিজয়া দশমী । একটু বেলা হল সকালে উঠতে। তৈরী হয়ে গেলাম মণ্ডপে। দশমী পূজো শেষের দিকে। এইবার শরীর ও মনে ক্লান্তি উঁকিঝুঁকি মারছে। মায়ের মুখখানা আজ যেন কেমন লাগছে! মা তো আজ কৈলাসে পাড়ি দেবেন । দেবাদিদেব রয়েছেন তাঁর অপেক্ষায়। তবুও কেন বিষণ্ণ মুখ তাঁর? নাকি উমার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে ফেলেছি? নিজেরও কি মনে হচ্ছে সেই আজন্ম পরিচিত ঘরকে ফেলে আসার দিনের কথা?আরতি শুরু হল। ঢাক, কাঁসর ঘন্টা, শঙ্খ, ধুনোর গন্ধ সবই এই কয়েকদিনের মতোই । তবুও আজ কেন দু চোখ ছাপিয়ে জল আসছে?পুরোহিতমশাই ক্ষমা প্রার্থনা করছেন মায়ের কাছে, সকলের হয়ে। তারপরেই ঘট নাড়িয়ে দিলেন। দর্পণ নিয়ে মায়ের মুখের সামনে ধরে প্রতিবিম্ব দেখে বড় আবেগতাড়িত কন্ঠে মন্ত্র পড়ছেনঃ"ওঁ উত্তরে শিখরে দেবি ভূম্যাং পর্বতবাসিনী।ব্রহ্মযোনি সমুৎপন্নে ... ...
আহেলী ঠিক আমার কাছে যতটা প্রিয়, তার থেকেও অধিক তুই ।হয়ত! কয়েকটা বাক্যে ,তা বোঝাবার ক্ষমতা নেই ।আমার চাওয়া-পাওয়ার অধীনে ।হয়ত,শরীর দিয়ে না ,হয়ত মন দিয়ে ও না ,তোর জায়গা করেছিস , তোর অশ্রু দিয়ে । যদিও এ সমাজে শরীর শেষ কথা বলে , আমি শারিরীক ভাবে নয় !বরং , শরীরকে কাছে রেখেই কথা বলতে চাই ।।কারন , শরীর তো কাছে থেকেই কথা কয় ।দিন, সত্যি বদলায় ।।চোখে চোখ রেখে, মনের সাথে তাল মিলিয়ে। আজ তুই আমার থেকে বহু দূরে ।তোকে লেখার জন্য কাগজ কলম থাকলেও !আজ বার্তাবাহকের অভাব ।।তাই , শব্দহীন চিঠিগুলো!অগোচরেই মারা যাক ।। ... ...
আমাদের আশ্চর্য হওয়ার সমাপ্তি নাই,কে জানতো আমরা দুই তলা বিশিষ্ট রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবো-কে জানতো মানুষের মাথার উপর মানুষ ত্যাগ করবে মলমূত্র-কে জানতো মানুষের মাথার উপর মানুষ রান্না করবে চিকেন ফ্রাই। আমাদের আশ্চর্য হওয়ার সমাপ্তি নাই। আমাদের বিস্মিত হওয়ার অবসান নাই,কে জানত মানুষ ইট বালি সিমেন্ট আর রড দিয়ে ছাদের উপর ছাদ তার উপর আবারো ছাদ করবে-কে জানতো আমাদের সরিষা মাঠগুলো দখল হয়ে যাবে ... ...
যে সব মেয়েরা ফেসবুকে আছেন তাঁদের পোস্ট পড়লেই মনে হয় পুরুষেরা হয় নোংরা চিন্তা ভাননার ধারক ও বাহক। আমি নিজেই জানি মেয়েদের আইডিতে প্রবেশ করেই ইনবক্সে ( ম্যসেঞ্জারে) নিজেদের গোপণাঙ্গের ছবি পাঠায়, সেক্স ভিডিও পাঠায়। ভাবি এদের চিন্তা ভাবনা কেন পচা মলের গন্ধে ভরা? পুরুষ মানেই লম্পট, সে যেই ... ...
সেদিন মণ্ডপ থেকে মনে অনেক আনন্দ নিয়ে ফিরেছিলাম। বাড়ি পৌঁছে পাশের নবরাত্রি পূজোতে যাওয়ার কথা হল। রাত হয়ে গিয়েছে বেশ। পরদিন অফিসের তাড়া নেই। আছে শুধু উৎসবের আনন্দ। বাবা, মা আর বেরোতে চাইলেন না স্বাভাবিকভাবেই। বোনকে নিয়ে আমরা বেরোলাম।এই পূজোর সাজসজ্জা অনেক বেশী ঝলমলে। বড় সংখ্যার অবাঙালীদের সম্মিলিত পূজো এটি। রাস্তা আলোর সাজে আলোকিত। মণ্ডপও অনেক বড়। মণ্ডপের কাছাকাছি যেতেই বাঁড়ুজ্যেদের অফিসের কয়েকজন এগিয়ে এলেন। তখন ইন্টারনেট তো দূরের কথা, কেব্ ল চ্যানেলের সবেমাত্র জন্ম হয়েছে ভারতবর্ষে। নবরাত্রি পূজো সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা ছিল না। অনেক বড় মণ্ডপে ফুট ছয়েকের মা দুর্গা, শেরওয়ালি মাতা একাই দাঁড়িয়ে আছেন দেখে কেমন একটু লাগল। মন কেমন দমে গেল। মাইকে ভজন চলছে। কর্মকর্তারা আমাদের ... ...
"হকাস ফকাস গিলি গিলি গে..." || চলুন ঘুরে আসা যাক জাদুবিদ্যার অজানা দুনিয়ায় || আদি যুগ থেকেই ভারতীয়রা চিরকাল জাদুবিদ্যার ভক্ত। তারফলেই ভৌতিক আধাভৌতিক তন্ত্র মন্ত্র কালাজাদু ইত্যাদির এদেশে বোলবালা। প্রাচীনকাল থেকেই বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সন্ন্যাসী এবং সাধুসন্তরা অলৌকিকতা প্রক্ষেপণকে জাদুবিদ্যা নামে দেখিয়ে আসছেন। অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত ভারতবাসীর কাছে সেই জন্যেই সন্ন্যাসী ও সাধুসন্তদের চিরকাল প্রাধান্য। যাঁরা বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সেই জাদুকে মানুষের মনোরঞ্জনে ব্যবহার করেছেন তাঁদেরকে মানুষ জাদুকর নাম দিয়েছেন। জাদুবিদ্যা বলে আপাতদৃষ্টিতে কিছু হয়না। মানুষের অজানা বিজ্ঞান আর দৃষ্টি বিভ্রমকেই জাদুকররা সুনিপুণভাবে কাজে লাগান। তারফলে সৃষ্টি করেন এক আশ্চর্য্য চমক। যার দ্বারা দর্শকের মনের উপর প্রভাব বিস্তার দ্বারা মনোরঞ্জন করে ... ...