এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দত্ত জুয়েলার্স - ২ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৪২৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  •    
    একে ওকে জিজ্ঞেস করে কলতানের বাড়িটা খুঁজে পেয়ে গেল দীনবন্ধুরা । কলতানরা থাকে তিনতলায় । এরা ঝট করে তিনতলায় উঠে যেতে পারল না । আত্মবিশ্বাসহীন মানুষের যেমন হয় আর কি । ফুটপাথের ধারে দাঁড়িয়ে আবোল তাবোল আলোচনা করতে লাগল । প্রথমত, তারা অনেকক্ষণ ধরে কজন ওপরে যাবে , কারাই বা যাবে , যারা যাবে তারা  কিভাবেই বা তাদের সমস্যার কথাটা উপস্থাপন করবে , উনি যদি তাদের কেসটা নিতে রাজি না হন তাহলেই বা কিভাবে অনুনয় করবে , যদি খুব বেশী পারিশ্রমিক চেয়ে বসেন তাহলে কোন ভঙ্গীতে ভদ্রতার সঙ্গে দরাদরি করা উচিৎ,  এই ভর দুপুরে ভদ্রলোককে বিরক্ত করা উচিৎ হবে কিনা এইসব নানারকম স্বয়ম সৃষ্ট চর্চার জালে নিজেদের জড়িয়ে অযথা  বিভ্রান্ত হতে লাগল নিজেরাই । বেলা একটা  বাজল । একটা বইয়ের দোকান থেকে এক ভদ্রলোক বললেন, ' ও দাদারা ..... সামনেটা ছেড়ে দাঁড়ান .... কখন থেকে ব্লক করে দাঁড়িয়ে আছে .... ও : কি ঝামেলা ..... '  
    ওরা ওখান থেকে সরে গেল একপাশে । কিন্তু সমস্যার নিরসন হতে আরও খানিকক্ষণ লাগল। 
    শেষ পর্যন্ত ঠিক হলো ওপরে যাবে  মনতোষ আর দীনবন্ধু । বাকিরা নীচে অপেক্ষা করবে । সেই মতোই কাজ হল । দীনবন্ধু আর মনোতোষ সিঁড়ি ভেঙে তিনতলায় উঠে দুরুদুরু বুকে কলিং বেলে চাপ দিল 
     লক্ষ্মীদি দরজা খুলে দাঁড়িয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে রইল । 
    মনোতোষ জড়তা ঝেড়ে ফেলে বলল, ' মিস্টার কলতান গুপ্ত ..... আমরা.... মানে ..... '
    ----- ' হ্যা.... ভেতরে আসুন .... বসুন ..... '
    লক্ষ্মীদি ভিতরে চলে গেল । ওরা বসে রইল । বসে মনে মনে কথা সাজাতে লাগল । মিনিট পাঁচেক পর কলতান ভিতর থেকে এ ঘরে এল । পোশাক দেখে দীনবন্ধুদের মনে হল উনি বোধহয় কোথাও বেরোবার জন্য তৈরি হয়েছেন। 
    মনোতোষ কলতানকে আগে একবার দেখেছে ঝামাপুকুরে । সে বলল, ' আপনি কি কোথাও বেরোচ্ছেন স্যার ? '
    ----- ' হ্যা ... ও ঠিক আছে । পরে বেরোব । বলুন ...... কোথা থেকে আসছেন ? ' 
    মনোতোষ এবং দীনবন্ধু জোড়াতাড়া দিয়ে তাদের বিপত্তি এবং আতঙ্কের কথা কোনরকমে অসলগ্নভাবে পেশ করল । বলে ভাবতে লাগল ব্যাপারটা ঠিকমতো বলা হল কিনা । 
    দীনবন্ধু আবার কাতর কন্ঠে বলল, ' আমি কিছুই করিনি স্যার ...... বিশ্বাস করুন ..... আপনি যদি আমাদের একটু সাহায্য করেন ..... আমরা যতদূর সাধ্য সবাই মিলে আপনার ওটা ..... '
    এর উত্তরে কলতান বলল, ' আপনারা ঠান্ডা না গরম .... কি খাবেন ? '
    ---- ' আজ্ঞে .... কি বললেন স্যার ? ' 
    ---- ' চা,  না সরবৎ ... কি খাবেন ? '
    ----- ' না  না..... স্যার .... কিছু খাব না .... নীচে আমাদের আরও লোক দাঁড়িয়ে আছে ..... খুব চিন্তায় আছি .....মালিক থানায় গেছে ডায়েরি লেখাতে.... আপনি যদি একটু ..... '
    ----- ' আপনারা যখন আমার কাছে এসেছেন চিন্তাটা আর আপনাদের কাছে রাখবেন না । ওটা আমাকে দিয়ে দিন .... আর পারিশ্রমিকের কথা বলছিলেন ..... আপনারা কাজ হয়ে গেলে আমাকে একশ টাকা দেবেন ..... ঠিক আছে ? কারণ মজুরী ছাড়া তো আমি কাজ করিনা .... '
    বলে মিটি মিটি হেসে দীনবন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল । সে হাসি দীনবন্ধুদের মনের ভিতর জমে থাকা উৎকন্ঠার মেঘ এক ঝটকায় উড়িয়ে নিয়ে গেল । তারা কোন কথা খুঁজে না পেয়ে কলতানের মুখের দিকে আনাড়ি মানুষের মতো তাকিয়ে তাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াতে লাগল । 
    একটু পরে মনোতোষ বলল, ' কিন্তু স্যার .... ছোটবাবু যে থানায় গেলেন ডায়েরি লেখাতে আমাদের নামে ..... '
    ----- '  আহা ...ছোটবাবুর দোষ কি ? এত দামী একটা গয়না চুরি গেল .... থানায় তো উনি যাবেনই । আপনাদের বাড়িতে এমন হলে আপনারা যেতেন না ..... ওনাদেরও তো টেনশান আছে নাকি ..... ' কলতানের গলায় হালকা সুর  ।
    ------ ' কিন্তু স্যার ..... পুলিশ যদি আমাকে ধরে .... হেঁড়িয়ায় আমার পরিবার এসব শুনলে ...... ও : ভগবান ..... ' দীনবন্ধুর বুকের ধড়ফড়ানিটা আবার ফিরে এল । 
    কলতান এর উত্তরে বলল , ' নীচে আপনাদের ক'জন আছেন ? '
    ------ ' আঁ ..... কি বললেন ? ও .... ছ জন আছে ...... '
    ------ ' ডাকুন না ..... সবাই লেমন স্কোয়াশ খান .... '
    ----- ' না না ..….. এখন এসব থাক স্যার ..... মনে বড় উদ্বেগ হচ্ছে ..... ' দীনবন্ধু বলল .....
    ' ...... এখন আমাদের কি করনীয় ..... কি উপায়ে এই বিপদ থেকে মুক্তি পাব ..... '
    ----- ' মুক্তি পাওয়ার তো একটাই উপায় । নেকলেসটা কে নিয়েছে তাকে খুঁজে বার করা এবং গয়নাটা তার থেকে উদ্ধার করা ..... ব্যস ...... আপনি তো গয়নাটা চুরি করেননি .... করেছেন কি ..... '
    ----- ' কি বলছেন স্যার !  তাহলে এতক্ষণ ধরে কি বললাম ...... ' দীনবন্ধু বিপন্ন গলায় বলে ওঠে । 
    ------ ' তাই তো ..... আপনার কাছে যখন নেকলেসটা নেই আপনার ভয় কিসের ? '
    ----- ' কিন্তু পুলিশ কেন আমার কথা বিশ্বাস করবে ?  পুলিশ তো মালিকের কথাই শুনবে ..... '
    ----- ' হ্যা .... সেটাও একটা কথা বটে ..... পুলিশ তো মালিকের কথাই শুনবে ...... ' কলতান সেই পরিহাসচ্ছলেই কথা বলে চলেছে .....
    হঠাৎ সিরিয়াস গলায় একটা ভিন্ন প্রসঙ্গে চলে গেল  ---- ' আচ্ছা দীনবন্ধু বাবু .... মনোতোষ বাবু .... আপনাদের ছোটবাবুর ....কি যেন নাম বললেন ? 
    ----- ' আজ্ঞে .... সতীনাথ দত্ত । বড়বাবুর নাম পশুপতি দত্ত .... '
    ------ ' হ্যা ... সতীনাথ দত্ত । আচ্ছা ওনার কোনরকম নেশা আছে বলে আপনাদের জানা
    আছে ? মানে .... পান, সিগারেট, মদ বা অন্য কোন নেশা ...... '
     দীনবন্ধু সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিল , ' জর্দা পান খাওয়ার খুব নেশা আছে ..... ঘুমোবার সময় ছাড়া সবসময়ে মুখে পান থাকে ..... '
    ---- ' পান ছাড়া আমরা ছোটবাবুকে কখনও দেখিনি .... ' মনোতোষ জানাল । 
    ----- ' আচ্ছা বেশ ..... পান কি উনি বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন ..... না দোকানের আশেপাশে কোন পানের দোকান থেকে কেনেন ?' কলতান প্রশ্ন করে । 
    ----- ' বাড়ি থেকেও আনেন ..... বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রীটে একটা দোকান থেকেও কেনেন ..... ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মোড়ে । দোকানের একটা নামও আছে .... কস্তুরী ..... ওরা ওড়িয়া ...... ' দীনবন্ধু জানাল ।
    ----- ' ও আচ্ছা .... আচ্ছা .... অনেক কিছু জানালেন ...... ' বলে কলতান একটা অদ্ভুত প্রশ্ন করল ---- ' আচ্ছা ..... যেদিন দোকানে থাকেন ... সতীনাথবাবু পানের পিক কোথায় ফেলেন ? '  
    প্রশ্নটা শুনে মনোতোষরা ভ্যাবাচ্যাকা মেরে গেল।  
    ----- ' কি ..... পানের পিক ! '
    ---- ' হ্যা ... পানের পিক । সতীনাথ বাবু দোকানের মধ্যেই কোন পাত্রে ফেলেন.... না বারবার উঠে গিয়ে বাইরে ফেলে আসেন ? '
    ----- ' হুঁ হুঁ  ..... উঠে গিয়ে বাইরে ফেলে  আসে ..... ঠিক ঠিক ..... ' 
    কলতান এবার জিজ্ঞাসা করে ---- ' ওনার কি ফ্যামিলি আছে ..... মানে উনি কি বিবাহিত ? '
    ----- ' হ্যা ...... ফ্যামিলিম্যান । সতের আঠেরো বছর বয়সের একটা মেয়ে আছে ..... ওনার স্ত্রীও পয়সাওয়ালা ঘরের মেয়ে  ..... ' দীনবন্ধু বলে ।
    ----- ' বেশ বেশ ..... আচ্ছা আপনাদের দোকানে ঢোকার ফ্রন্টসাইড ছাড়া আর কোনও পথ আছে ? '
    ----- ' হ্যা পেছন দিকে আছে একটা । সেটা সারাবছর বন্ধই থাকে । শুধু পয়লা বৈশাখে হালখাতার দিন খোলা হয় .... পেছনের ঘরটায় খাবার দাবার রাখার জন্য । তাছাড়া সারাবছর বন্ধই থাকে ..... '
    ----- ' ওর চাবিটা কার কাছে থাকে ? '
    ----- ' কার কাছে থাকে বলতে পারব না .... বাবুদের একজনের কাছে থাকে । '
    ----- ' বাবুদের অন্য ভাইয়েরা কোথায় থাকেন ? '
    ----- ' বাকি দুই ভাই বিদেশে থাকে । তারা হয়ত তিনবছরে একবার কলকাতায় আসে ।'
    ----- 'আচ্ছা আচ্ছা ..... '
    কলতান একটু চুপ করে রইল । তারপর বলল, ' পশুপতিবাবুর কয় ছেলে মেয়ে ? '
    ----- ' এক ছেলে , এক মেয়ে ।  তা তিরিশের আশেপাশে বয়স হবে ..... খুব সুন্দর দেখতে দুজনকেই .....'  
    ------ ' হুঁ ...... কাল কি আপনাদের দোকান খোলা হবে ? ' কলতান জিজ্ঞাসা করে ।
    ----- ' হ্যা ..... খোলার তো  কথা ..... এখন মালিকের মনে কি আছে জানি না ..... '
    ----- ' একদম ঠিক কথা । আপনাদের কাছে আপনাদের বড়বাবু ছোটবাবুর ফোন নম্বর আছে ? থাকলে দিন .... '
    ------ ' হ্যা .... আছে .... এই যে ..... '
    দীনবন্ধু বুক পকেট থেকে একটা ছোট্ট নোটবুক বার করে পশুপতি এবং সতীনাথের ফোন নম্বর দুটো দিল । 
    কলতান বলল, ' ঠিক আছে .... থ্যাঙ্ক ইউ । ওনাদের বালীগঞ্জের বাড়ির অ্যড্রেসটা জানেন ? ' 
    ----- ' হ্যা ..... একশো ছাব্বিশ এ  ......... '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে ...... আপাতত এতেই হবে ...... '
    ------ ' কিন্তু স্যার ..... আমাদের ওই থানা পুলিশের প্রবলেমটা ..... খুব ভয় হচ্ছে ..... ' দীনবন্ধু কাতর অনুনয় করে ।
    ----- ' ও হ্যা হ্যা ...... ওটা আমি দেখে নিচ্ছি । পুলিশ যাতে চারদিনের মধ্যে আপনাদের নিয়ে নাড়াচাড়া না করে ...... '  
    ------ ' তারপর ? '
    ----- ' তার আর পর কি ? এই চারদিনের মধ্যেই হীরকমাল্য উদ্ধার এবং অপরাধী সনাক্তকরণের কাজ শেষ করে ফেলতে হবে ।'
    দীনবন্ধু এবং মনোতোষ কিছুই বুঝতে না পেরে অনুগত দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে রইল কলতানের মুখের দিকে ।  
    -----' আমরা তাহলে আজ উঠি স্যার .....'
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে ..... আপনাদের ফোন নাম্বারগুলো এখানে লিখে দিন .....এবার তাহলে লেমন স্কোয়াশটা হয়ে যাক ..... '
    ফোন নম্বরগুলো কলতানের ডায়েরীতে লিখে দিয়ে দীনবন্ধু বলল , ' না স্যার ...... ওটা তোলা থাক নেকলেস উদ্ধার হওয়ার পরের দিনের জন্য ..... আমরা এখন আসি ..... নীচে অনেকক্ষণ ধরে ওরা দাঁড়িয়ে আছে । যে কোন দরকারে আমাদের ফোন করবেন । আমরা কিন্তু স্যার আপনার ওপর নির্ভর করেই .... '
    ---- ' নিশ্চয়ই  নিশ্চয়ই .....চিন্তা করবেন না ...'
     দীনবন্ধু আর মনোতোষ নেমে যাওয়ার পর কলতান বৌবাজার থানার ওসিকে একটা ফোন করল । 
    ----- ' হ্যালো .. বিদ্যুৎ ...... কলতান বলছি । দত্ত জুয়েলার্স থেকে এসেছিল ?  আচ্ছা ...আচ্ছা ... জি ডি, এফ আই আর দুটোই হয়েছে .... দীনবন্ধু জানা .... হ্যা হ্যা বুঝতে পেরেছি .... বলছি যে .... আমি এমপ্লয়ীদের হয়ে কেসটা টেক আপ করেছি । চারদিনের জন্য একটা ক্যাভিয়েট অ্যপীল করে রাখতে চাইছি.... যাতে 
    এর মধ্যে লোক্যাল পি এস থেকে অ্যকশান না হয় । হ্যা হ্যা ..... শিওর শিওর ... আমি মেল করে দিচ্ছি .…... কি বললে .... চারদিনে কোন আউটকাম আসবে কিনা ? দেখা যাক .... আশা  তো করি ..... '
        ( ক্রমশঃ )

      
      
    ************************************************************************************

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:২০512401
  • মাত্তর চাইর দিন! সময়খান কম হইল,  মানে গপ্প অল্পে ফুরাইবো তো! wink
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন