পুরোপুরি সেজেগুজে পাত্রপক্ষের সামনে যাওয়ার আগে ভাবী চোখ থেকে চশমা খুলে রেখে বললো, পাত্রপক্ষের সামনে চশমা পরে যাওয়ার দরকার নাই। এমনিই যাও। আমি গেলাম। বসার ঘরে অনেকে বসে আছেন। বয়স্কা কেউ একজন বলে উঠলেন, মা! ছেলের পাশে বসো। আমি বসে পড়লাম। সেই ভদ্রমহিলা আবার হায়হায় করে উঠে বললেন, আরে আরে! এইটা তো ছেলের চাচা! ছেলের পাশে বসো মা। আমি বলতে যাচ্ছিলাম, আমি দেখতে পাচ্ছি না ছেলে কোনটা। কার পাশে বসবো একটু দেখিয়ে দেন। এমন সময় ভাইয়া আমার হাত ধরে ... ...
এখানে ঘরের চাল মাঝে মাঝে রাংতার তৈরি মনে হয়। কেননা ওগুলো নতুন টিনের তৈরি, আর প্রখর রোদে ঢেউখেলানো,কোঁচকানো রাংতার মত ঝকঝকে। পুরো ট্রেণরাস্তা জুড়ে সুপুরি গাছের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেয় উত্তরবঙ্গের এইসব বসত, চালাঘর। কয়েকমাস আগেও, আর এখনও দেখি ঐ রাংতা ফুঁড়ে ওঠা সরু লম্বা বাঁশের ডগায় উজ্জ্বল কমলা পতাকা। সরু, ত্রিকোণ। ভেতরে লেখা জয় শ্রীরাম। অনেক বাড়িতে। এক সদ্য আলাপিনী, এতো শান্ত, কোমল, উত্তর বঙ্গের প্রকৃতির মতো, জানাল তার বাড়ির পাশে ময়নাঝোড়া, নখ দিয়ে আঁচড়ালেই মাটি চিরে সেখানে কুল ক ... ...
পত্রিকায় বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি করতাম। এর সুবাদে কিছু পাঠক পেয়ে যাই, যেটাকে বলে একরকম জনপ্রিয়তা, এবং এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞান বিষয়ক কয়েকটি বই আমার প্রকাশিত হয়। বইয়ের জনরা হিসেবে ধরলে এগুলি পপ সায়েন্সের বই। বিজ্ঞান নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক, সেই আগ্রহ থেকেই এ বিষয়ে লেখালেখির শুরু।হঠাৎ করেই একবার সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা যেগুলির ব্যাখ্যা হয়ত পাওয়া যাচ্ছে না, এসবের বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখ্যা দিয়ে গল্প লেখার চেষ্টা করি। সে চেষ্টাতেও সফল হই। প্রিয় পাঠকেরা আমার গল্পগুলিকে ভালোভাব ... ...
ঋতুবৃত্তান্ত এক কিস্তিতে শেষ হবার নয়। এতো বহুমাত্রিক তাঁর কাজ যে বারবার দেখি। ফিরে ফিরে দেখি। হয়তো একটু বেশিই সাজানো গোছানো। একটু বেশি মাত্রায় নান্দনিক। সাজের টেবিলে ঠিক যে ফুল থাকলে মানায় তাই থাকে। ঠিকঠাক থাকে পর্দার রং। দেওয়ালে রবীন্দ্রনাথের ছবি চোখ দিয়ে কথা বলে। অধিকাংশ চরিত্র কথা বলেন নিচু স্বরে। পরিশীলিত। মৃদু।সোফিস্টিকেশনের চূড়ান্ত। খাবার টেবিলের আলো থেকে শুরু করে ল্যাম্প শেড, পোশাক ,গয়না, কোথাও এতটুকু খুঁত নেই। ঋতুপর্ণর ছবিতে অন্দরসজ্জা। এই নিয়ে একটা প্রবন্ধ হয়। লেখার সুপ্ত ইচ্ছেও আছে। কারণ ওঁর ছবিত ... ...
আরো অনেক কিছুর মত বহুদিন পর্যন্ত ‘প্রান্তিক যৌনতা’ জিনিসটা কি আমার জানা ছিল না। আর তারপর কি ভাবে এই প্রান্তিক যৌনতার সাথে ‘এলজিবিটিকিউআইএ’ শব্দগুলি মিশে গেছে তাও টের পাই নি। এদের মধ্যে আদৌ কি কোন সংজ্ঞাগত পার্থক্য আছে? আমি জানি না এখনো – আর সেই থেকে থাকা পার্থক্য নিয়ে মাথা ঘামাই ও না তেমন। বরং আমি অনুভব করতে চেয়েছি এই মানুষগুলোর লড়াইয়ের কথা – আর এমন ‘লড়াই’ যে আদৌ করতে হতে পারে কাউকে, সেই কারণটাই আমি ধরতে পারি নি অনেকদিন। ... ...
পরমাণু গল্প মানুষের ক্রমশ সময় নাকি কমে আসছে। সময় কমে আসার সাথে সাথে কথাও ফুরিয়ে আসে। যোগাযোগ, সম্পর্ক, প্রেম, রাগ, দুঃখ, অভিমান প্রকাশের ভাষা সবকিছু এখন ইমোজি নির্ভর। সেই কবেই পৃথিবীটা ছোট হতে হতে স্যাটেলাইট আর বোকা বাক্সতে বন্দী হয়ে গেছিল। এখন এই বন্দীদশা মুঠো ফোনে এসে ঠেকেছে। তাই উপন্যাস, বড় গল্প, ছোট গল্প, অণু গল্প থেকে এই পরমাণু গল্প কিংবা পরমাণু বিস্ফোরণ !!(১) রাজনীতি হ্যালো, শুনতে পাচ্ছিস, আজ রাতে একটা লাশ পড়বে, মিছিলটা রেডি রাখিস। ... ...
ছোটবেলায় বিজাতীয় খানা বলতে মাঝে সাঝে ছপ্পর ফুঁড়কে মিলে যাওয়া সাবিরের রেজালা আর ফিরনি-ই মনে পড়ে। উত্তর কলকাতা থেকে মধ্য কলকাতায় পাড়ি দিয়ে সেই খেতে আসাটাই একটা বেশ বড় সড় ঘটনা ছিল তখন। অথচ কি অবাক কান্ড। তারই কাছে অলি-গলির পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে আছে আরেক কলকাতা সেটা জানতে আমাকে দু-কুড়ি পাঁচেরও বেশি বছর পেরোতে হল। সৌজন্যে কুণাল বসু। কালকুত্তার দৌলতে চিনলাম এক অজানা পৃথিবী। মনে আছে বইটা পড়ে নরেন্দ্রনাথ মিত্রের লেখা প্রথম পড়ার সময় যে শিহরণ জাগত ... ...
একজন মানুষ বাংলার দুর্ভিক্ষে অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন, যাঁর বিচলিত হওয়ার বিশেষ কোনো কারণ ছিল না। কিম্বা এভাবেও বলা যেতে পারে, বিচলিত না হয়েও তিনি দিব্যি জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। ইনি স্টেটসম্যান পত্রিকার তৎকালীন মুখ্য সম্পাদক ইয়ান স্টিফেন্স। আপাদমস্তক রক্ষণশীল ইংরেজ এই মানুষটি ভারতের স্বদেশী আন্দোলনের প্রতি আদৌ সহানুভূতিশীল ছিলেন না। গান্ধীর তিন সপ্তাহব্যাপী অনশনকে তিনি কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন; বলেছিলেন-প্রচারের আলোয় আসার উদ্দেশ্যে একজন রাজনীতিবিদের হীন প্রয়াস।এহেন স্ট ... ...
ফেব্রুয়ারী মাস প্রেমের মাস, ভাষারও মাস । শুধুই প্রেমের কুহুতান নয়, "অমর একুশে" ডাক দেয় এ মাসেই । আমার ভায়ের রক্তে রেঙে লাল হয়েছে ঢাকার রাজপথ, অমর একুশেই । হোক না পদ্মার ওপারের গল্প, তবুও বরকতরা তো আমারই ভাই, আমারই রক্ত । যে ভাষার জন্য তাদের আন্দোলন সেটা আমারই মায়ের ভাষা, যে সংস্কৃতির জন্য তাদের লড়াই সেটা আমারই সংস্কৃতি । অনেক লম্বা সে প্রেক্ষাপট । স্বাধীনতা-উত্তর দূর্বল রাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র (পশ্চিম পাকিস্তান) চেয়েছিল "পূর্ব পাকিস্তানের" উপর সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে । ... ...
বাংলাভাষায় ‘দীক্ষা’ শব্দটি বড়ই অভাগা। ‘শিক্ষা-দীক্ষা’-র মতো যুগলে ছাড়া সে এককভাবে কানে এলেই কেমন একটা ‘ধম্ম-ধম্ম’ গন্ধ পাওয়া যায়! বেশিরভাগ অভিধানেই শব্দটির অর্থ হিসেবে পাওয়া যায়, ‘হিন্দুধর্মীয় সংস্কারবিশেষ’ বা ‘গুরু কর্তৃক শিষ্যকে বিশেষ কোনো দেবতার মন্ত্র দান’ বা ‘নির্দিষ্ট দেবতার উপাসনায় উপদেশ দান’, ইত্যাদি। এই কথা ঠিক যে, হিন্দুধর্ম্মে শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব, ইত্যাদি বিভিন্ন মতে দীক্ষার প্রচলন আছে। তান্ত্রিক মতে দীক্ষা দুই প্রকারের হয়, ‘বহির্দীক্ষা’ ও ‘অন্তর্দীক্ষা’। পূজা, হোম প্র ... ...
মামাতো ভাই ইমুর নামে প্রায়ই উল্টাপাল্টা কথা শুনি। পাশের বাসার আন্টি প্রায় রোজই আমাকে দেখলেই বলেন, তোমার ভাই এত বেসন কেনে কেন? পাড়ার দোকান থেকে যখনই দেখি বেসন কিনছে। আর বারবার বলে বেসনের দাম এত বাড়াইছেন,আব্বার কাছ থেকে টাকা নেয়াই ঝামেলা। এত বেসন সে কি করে? তোমরা কি ভাজাভুজির ব্যবসা শুরু করেছো?ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে আমিও হালকা হেসে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে করতে বলি,রোজার মাসতো আন্টি! বেসন একটু বেশী লাগে। তাছাড়া আমাদের বাসার সবার চপ,পেঁয়াজু এসব একটু বেশী পছন্দ।কিন্তু ভ ... ...
কিছু টাকা তোলার চেষ্টা কিরছি আমার মামার ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য।রোগটি জটিল ও ভীষণ ব্যয় সাপেক্ষ। আর্থিক অসঙ্গতির জন্য প্রথমে সরকারি হাসপাতালে (নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ) চেষ্টা করা হয়রছিল কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে নিউটাউন টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালের দ্বারস্থ হয়।ওনারা যা এস্টিমেট দিয়েছেন তাতে চিকিৎসার খরচ প্রায় ৫ লাখ(সমস্ত মেডিকেল চেকআপ, সিটিস্ক্যান, এম আর আই যা এস্টিমেশনের মধ্যে ধরা নেই)এখনো অবধি আমরা সমস্ত রকম ব্লাড টেস্ট, সিটি স্ক্যান এম আর আই, কোলনস্ ... ...
৩৪ বছরের বাম শাসনে অত্যাচার ছিল। সরকারী অব্যবস্থা ছিল। স্বজন পোষণ ছিল। লোকাল কমিটির একচ্ছত্র ক্ষমতা ছিল। সামান্য আড়াল রেখে তোলাবাজিও ছিল। এমন কি আর্থিক কেলেঙ্কারীও ছিল। একজন সিপিএম কর্মী সমর্থক হিসাবে এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। এগুলো জেনেই মাঠে নেমেছি।৩৪ বছরের পালা শেষ হবার পরে আরো আট বছর কেটে গেছে। উপরিউক্ত প্রত্যেকটা সমস্যা এখনো শুধু আছে তাই নয়, শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে এমন জাঁকিয়ে বসেছে, মাঝে মাঝে মনে হয় যেন তারাই শুধু আছে। সেটাও সত্যি নয়, বর্তমান সরকারেরও কিছু ভাল দিক আছে, বিরোধী ... ...
আপনাকে কিছু কথা বলার আছে। এটা সেই সময় যখন "গণশত্রু" পাঁচবার দেখা হয়ে গেছে। কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছে দেখে। হাঁসফাঁস লাগছে। সত্যজিত তখন স্বাস্থ্যজনিত কারনে আউটডোর শুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়িতে অতিথি আসামাত্র ডাক্তার গৃহিণী বলছেন,"আপনি চা খাবেন তো?" অতিথি তখনও দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। খবরের কাগজের সম্পাদককে আনন্দিত চিত্তে বলছেন, "আমার মেয়ে একটা স্কুলে চাকরি করে।রমেশের সঙ্গে বিয়েটা হয়ে গেলে অবশ্য চাকরিটা ছেড়ে দেবে।" এতে কারুর কোনো ভাবান্তর দেখা যাচ্ছে না। ডাক্তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস ... ...
ফেক আইডিতে সুন্দর একটা মেয়ের ছবি প্রোফাইলে দিয়ে বরকে নক দিলাম। "কেমন আছেন? আপনি আমার রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করছেন না কেন?"ঘন্টাখানেক পর রিপ্লাই পেলাম,"আসলে এই আইডিতে একটু সমস্যা আছে,এটাতে সব ফ্যামিলি মেম্বার! বাইরের মেয়ে দেখলে রাগ করে। আপনি আমার ফেক আইডিতে রিকোয়েস্ট দিতে পারেন!''আমি আঁতকে উঠলাম। দুঃখী চোখে মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললাম,-আপনার ফেক আইডির লিংক দেন।সে লিংক পাঠালো। আইডি নেম, এলোন বয় শিহাব! প্রোফাইলে ... ...
ভণিতা করার বিশেষ সময় নেই আজ্ঞে। যা হওয়ার ছিল, হয়ে গেছে আর তারপর যা হওয়ার ছিল সেটাও শুরু হয়ে গেছে। কাজেই সোজা আসল কথায় ঢুকে যাওয়াই ভালো। ভোটের রেজাল্টের দিন সকালে একজন আমাকে বললো "আজ একটু সাবধানে থেকো"। আমি বললাম, "কেন? কেউ আমায় ক্যালাবে বলেছে নাকি"? সে বললো, " না, বলা তো যায় না আজ কে কাকে ক্যালাবে... তাই..." এইবার কথা হচ্ছে, ফাটা দু'রকমের হয়। এক হলো ভয়ে ফেটে যাওয়া, আর দুই, প্রকৃত অর্থেই ফাটা, অর্থাৎ যখন কিনা চচ্চড় করে শব্দ বেরোয়। প্রথমে আমরা দ্বিতীয় রকমের ফাটার কথা ... ...
সবাই বলছেন বাম ভোট রামে গেছে বলেই নাকি বিজেপির এত বাড়বাড়ন্ত। হবেও বা - আমি পলিটিক্স বুঝিনা একথাটা অন্ততঃ ২৩শে মের পরে বুঝেছি - যদিও এটা বুঝিনি যে যে বাম ভোট বামেদেরই ২ টোর বেশী আসন দিতে পারেনি, তারা "শিফট" করে রামেদের ১৮টা কিভাবে দিল। সে আর বুঝবও না হয়তো কোনদিনই - কারণ আমরা তো উদ্ধত। আমরা ভুল থেকে শিখি না।হ্যাঁ আমরা উদ্ধত - কিন্তু মোদির মত উদ্ধত হতে পারলে হয়তো আরেকটু বেশী ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারতাম। মমতার মত উদ্ধত হতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী। হ্যাঁ আমরা অত্যাচারী - কিন্তু এন আর ... ...
ভারতের নির্বাচনে কে জিতল তা নিয়ে আমরা বাংলাদেশিরা খুব একটা মাথা না ঘামালেও পারি। আমাদের তেমন কিসছু আসে যায় না আসলে। মোদি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সম্পর্ক বেশ উষ্ণ, অন্য দিকে কংগ্রেস বহু পুরানা বন্ধু আমাদের। কাজেই আমাদের অত চিন্তা না করলেও সমস্যা নেই খুব একটা। তবে যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নির্বাচন, তিন দিক দিয়ে পরিবেষ্টিত আমরা যে দেশ দিয়ে তার নির্বাচন নিয়ে কেউ যদি একটু মাথা ঘামায়ও খুব একটা দোষ দেওয়া যাবে না মনে হয়।এবার আমি একটু মাথা ঘামাই। বিজেপিকে সমর্থন দেওয়া কোন সুস্থ মানুষের ... ...
আম তেলবিয়ের পরে সবুজ রঙের একটা ট্রেনে করে ইন্দুবালা যখন শিয়ালদহ স্টেশনে নেমেছিলেন তখন তাঁর কাছে ইন্ডিয়া দেশটা নতুন। খুলনার কলাপোতা গ্রামের বাড়ির উঠোনে নিভু নিভু আঁচের সামনে ঠাম্মা, বাবার কাছে শোনা গল্পের সাথে তার ঢের অমিল। এতো বড় স্টেশন আগে কোনদিন দেখেননি ইন্দুবালা। দেখবেনটা কী করে? এই যে প্রথম ট্রেনে উঠলেন তিনি। নামলেনও। মাথার ওপর রাজপ্রাসাদের মতো ছাদ দেখলেন। এতোবড় বাড়ি দেখলেন। এতো লোক। সবাই যেন মাথা নীচু করে সামনের দিকে ছুটছে। কেউ কারো সাথে দু-দন্ড দাঁড়িয়ে একটুও কথা বলছে না। কুশল বিন ... ...
আমি যে গান গেয়েছিলেম, মনে রেখো…। '.... আমাদের সময়কার কথা আলাদা। তখন কে ছিলো? ঐ তো গুণে গুণে চারজন। জর্জ, কণিকা, হেমন্ত, আমি। কম্পিটিশনের কোনও প্রশ্নই নেই। ' (একটি সাক্ষাৎকারে সুচিত্রা মিত্র) ... ...