বয়স পঁচাত্তর। রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক। উত্তরপ্রদেশে অনেক মানুষ এক ডাকে চেনে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিও আছে। সেই তিনিই থানা থেকে বেরিয়ে এলেন কাঁপতে কাঁপতে, মুখ দু হাতে ঢেকে, যেন তাকে নিতে আসা আত্মীয়স্বজন দেখতে না পায় কান্না রক্ত অপমান মাখামাখি সর্বস্ব হারানো মানুষটির লাঞ্ছিত মুখমণ্ডল। তাদের কাছেই তো ফোন গিয়েছিল ছাড়াতে আসবার সময় যেন মৌলানার জামাকাপড় বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়। তাহলে যে পোশাকে শিক্ষককে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল সেগুলো কোথায় ! বন্ধুরা, যারা আমাকে নতুন বছরের শুভ ... ...
সর্বজয়া ভৈরবী সুরের সেদিন যে কি সর্বগতা রূপ দেখেছিলাম -- আজ সকালে কেন জানি মনে পড়ে গেল। 'ফেড আউট' হতে চলা স্মৃতিকে অজস্র ধন্যবাদ তার জন্য। ... ...
রঙের চেতনা, চেতনার রঙ ... ...
ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর শহরের পেনসনবাড়া এলাকায় সরকারি কোয়ার্টারের সারি। এফ ব্লকে শুধু কলেজের প্রফেসারদের দুই বেডরুমের আবাসন, সঙ্গে একটু বাগানের জায়গা। একটির গেটে লেখা - এফ/৪, শৈবলিনী চট্টোপাধ্যায়, সংস্কৃত বিভাগ। ভেতর থেকে টিভির আওয়াজ আসছে। ... ...
কবিতা কৃষ্ণনের ট্যুইটে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিওর নীচে যে শেষমেশ রাজনীতি, পুলিশের আসল উদ্দেশ্য, পুলিশের নিজেকে রক্ষা করার উচিত কিনা – এসব নিয়ে জলঘোলা করা হবে, তাতে কারুর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে, কতদিন ধরে, উচ্ছেদ কতটা ন্যায়সঙ্গত, কোনো মূল্যেই – নাগরিক, পুলিশ – কারুর জীবনের বিনিময়েই কি মন্দির বানানোর নামে উচ্ছেদ করা দরকার – এ সব প্রশ্ন ছাপিয়ে উঠে আসবে, ভিডিওতে দেখানো একটিমাত্র লোককে অনেক পুলিশ মিলে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা ছাড়াও কোনো ‘বৃহত্তর’ ছবি ছিল কিনা। কেউ আর একটা ভিডিও শেয়ার করে দেখাবে, ‘আহা, পুলিশ বলে কি মানুষ নয়?’ মুখ্যু-মন্ত্রী হিমন্ত শর্মা এরই প্রতিধ্বনি করে বলবেন, ‘পুলিশ তো নিজের কাজ করছিল, ওই লোকগুলোই লাঠিসোটা নিয়ে ওদের মেরেছে।’ ... ...
অর্চনাদি লক আপ টর্চারে পঙ্গুত্ব অর্জন করেছিলেন। তাঁর শরীরের নিম্নাঙ্গে পক্ষাঘাত হয়েছিল। বেশ কিছু বিদেশি সংস্থা, অর্চনা গুহর কথা জানাজানি হবার পর এগিয়ে আসে। অর্চনাদিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় তাদের তরফে। ... ...
জীবনীশক্তির কথা। কীভাবে এই সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশ সঙ্কটের মধ্যে স্যানিটি বজায় রাখা যায়, আর দীর্ঘ জীবন লাভ করা যায়। কী করে এই ভীষণ যুদ্ধ করা যায় -- নিজের মনের বিস্ফোরণ না ঘটিয়ে। অথবা, ঘৃণা হিংসার রাস্তায় না গিয়ে। আত্মহত্যার রাস্তায় না গিয়ে। ... ...
ভাবনার মৌলবাদ শুরু হয় কোত্থেকে? ... ...
১৬৭৯ সালের ১৮ অক্টোবর শিবাজির নৌবাহিনীর হাতে বম্বের ইংরেজরা সত্যিই শোচনীয়ভাবে হেরে যায়। শম্ভাজির নৌবলাধ্যক্ষ কনহজি শঙ্খপালের বাবা বিঘ্নেশ কাল্পনিক চরিত্র। কিন্তু দৌলত খান,জর্জ কোল, থ্রপ, ব্র্যাডবেরি আর ওয়েলশ্ এর নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়। মারাঠা গ্রামীণ শাসনের রূপ, আর নারী স্বাধীনতা ঐতিহাসিক সত্যি। এছাড়া বাকিটার পুরোটাই কাল্পনিক গল্প। ... ...
এর কিছুদিনের মধ্যেই দিগম্বরী দেবীর মৃত্যু ঘটে। দিগম্বরী বেঁচে থাকতেই যে সম্পর্কে ভাটার টান লেগেছিল, তাঁর মৃত্যুতে সে সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটে নিশ্চিতভাবেই। তারপরও কি দ্বারকানাথ তাঁর অভ্যাস বদলেছিলেন একটুও? ইতিহাস জানান দেয় – না। সম্পর্কের দীর্ঘশ্বাস এভাবেই পাক খেয়েছিল সেবার, ঠাকুরবাড়ির দেওয়ালে-দেওয়ালে। ... ...
আমাদের পরিবারের সাথে এখন খুব ঘুলেমিলে গেছে সোনামণি। ইচকি পিচকিও খুব খুশি তাদের নতুন মামি পেয়ে। এদিকে আমিও ওর হাতে দুজনকে সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ত। মা এখন হরিপদবাবুদের পুরনো কুলারে আমাদের থাকার জায়গা করে দিয়েছেন, আর মেয়েটাও অল্প কদিনে ঐ খুপচিটাকে কেমন ঘর বানিয়ে ফেলেছে। ... ...
ইন্দ্র রায় রোড ধরে হেঁটে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোডে ওঠার মুখটায় ডানদিকের কোণায় ‘দাঁ পেপার হাউস’, রাস্তা থেকে বেশ অনেকটা উঁচু বেশ কয়েক ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। দোকানের ভেতরে নতুন খাতার গন্ধ, নতুন উডপেন্সিল আর রবারের গন্ধ, হলদে গোলাপী চার্টপেপারের গন্ধ, নতুন বইখাতায় মলাট দেবার ব্রাউন পেপারের গন্ধ ম’ ম’ করে। আর আছে রং পেন্সিল, রং কলম আর রঙ বাক্স। মোম দেওয়া রঙ পেন্সিলের ছোট বাক্স ড্রয়িং ক্লাসের দিন ইস্কুলে নিয়ে যেতে হয়। আমারটা বারো রঙের ছোট্ট বাক্স, সুলগ্না খুব সুন্দর আঁকতে পারে, ওর বাক্সে আঠেরটা রঙ। ত্রিসীমার একটা ইয়াব্বড় বাক্স আছে তাতে ছত্রিশটা রঙ, একদিন ইস্কুলে দেখাতে এনেছিল। ... ...
ঘুড়ি ওড়ানোর সাথে জড়িত নানাবিধ পতনের রঙিন গল্প আমাদের চার পাশে উড়ে বেড়াচ্ছে বহুদিন ধরে। ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে ছাত থেকে পড়ে যাওয়া, কেটে যাওয়া ঘুড়ি ধরতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যাওয়া, অন্যের ছাতে পড়ে থাকা ঘুড়ি চুরি করতে গিয়ে সে বাড়ির মেয়ের প্রেমে পড়ে যাওয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে সে সব নয়, আমার হল না-ওড়ানোর গল্প। ... ...
কমল নিজের ডান হাত দিয়ে লতিকা গুহর বাঁ গালে ভয়ংকর জোরে চড় মারতে শুরু করে। এতটাই নির্মমভাবে কমল চড় মারছিল যে অর্চনার মনে হয়েছিল লতিকার চোখ কোটর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসবে। বেশ কিছুক্ষণ চড় মারার পর লতিকাকে চেয়ারে বসানো হয়। অর্চনা দেখেন, লতিকার গাল ভয়াবহ রকম ফুলে গিয়েছে এবং তাতে স্পষ্ট আঙুলের দাগ। ... ...
সৌমেন গুহ একটা বই লিখেছিলেন, লোয়ার কোর্টে রুণুর বিরুদ্ধে রায় বেরোনোর পর। পাবলিশিং ইয়ার- ১৯৯৭। Battle of Archana Guha Case - Against Torture in Police Custody: Arguments, Counter-arguments and Judgement at the Trial Court। ... ...
এখনও ভোর হয়নি বোধহয়। কিন্তু আমার বড্ড শীত করছে। পা দিয়ে লেপ বা কম্বল টানতে গিয়ে দেখছি পা অবশ, নড়ছে না। ঝিঁঝিঁ ধরেছে। সেটা হতেই পারে। ছোটবেলা থেকেই আমার এই রোগটা রয়েছে — অবশ্য যদি এটাকে কোন রোগ বলা যায়। ... ...
পশ্চিমি রূপকথা জগতে সবচেয়ে চেনা যে মেয়ে, তাকে নিয়েই প্রচুর কথাবার্তা আর আলোচনা। বারবার বদলে গেছে সে। কেন? কী কারণে? তাই নিয়েই আমার ভাবনা। ... ...