শবে মিরাজ, এই মহাযাত্রার কিসসায় মুহম্মদ নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তাঁর আগেকার চিন্তা ও সাধনার ঐতিহ্যকে মান্যতা দিয়ে তারই মাঝে। অথচ, পশ্চিম ১০৯৫ থেকে সকলকে বোঝাতে চেয়েছে ইসলাম ও খৃষ্টধর্মের বিরোধ আসলে পরষ্পরের উল্টোবাগে দাঁড়িয়ে থাকা চিরশত্রুতার ইতিহাস। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর যাকে আখ্যা দেওয়া হলো “দুই সভ্যতার সংঘাত” বলে। প্রাতিষ্ঠানিক ইসলাম ও প্রাতিষ্ঠানিক খৃষ্টধর্ম আমাদের ভুলিয়ে দিলো দুই চিন্তা, দুই দর্শনের ভিতরের সখ্যতা, মান্যতা, সম্মানবোধ। ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
দেবযানী ভট্টাচার্য লিখিত আনন্দনগরীর সেকাল বইটির আলোচনা। ... ...
পুতিন একজন স্বৈরাচারী শাসক। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফোঁপরদালালি হিপোক্রিসি। ... ...
দার্জিলিং জেলার মিরিকের কাছে চা বাগান ঘেরা একটা ছোট্ট গ্রাম তাবাকোশি। যে চা বাগানের মাঝে আমাদের হোমস্টে তার নাম মাগারজাং টি গার্ডেন। প্রচুর কমলালেবু পাওয়া যায় বলে জায়গাটিকে অরেঞ্জ ভ্যালিও বলে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে আড়াই ঘণ্টা। অন্য সব পাহাড়ি গ্রামের মতোই এখানে সুস্থ, কর্মঠ মানুষের বাস। গোটা গ্রামে তাই একটিও ওষুধের দোকান নেই। নেই কোনো মিষ্টির দোকানও। ... ...
গাইড হঠাৎ একটু পিছিয়ে এসে দেবাশীসের জ্যাকেট টেনে ধরে থামতে ইশারা করেন। আমরাও থেমে যাই। আমাদের ওখানেই স্থির হয়ে দাঁড়াতে ইশারা করে পাশের জঙ্গলে চোখ রেখে গাইড পায়ে পায়ে পিছিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। আড়চোখে দেখি নিঃশব্দে দরজা খুলে কী যেন করছেন মুখ কিন্তু সেই জঙ্গলের দিকে। আমি নড়তেই দেবাশীস আমার ব্যাগে হ্যাঁচকা টান মারে। কী যেন দেখায় ইশারায়, আমি কিছুই দেখতে পাই না। ... ...
হাঁটতে হাঁটতে তিনি পোঁছে গেলেন সেই জায়গাটায় এখন যেখানে গেলে গঙ্গার উলটোদিকে মেটিয়াবুরুজের ফেরিঘাট দেখা যাবে। আর বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে তখন এই পাশের পুরো জায়গাটা জুড়ে চাষ হত গাঁজার। হাঁটতে হাঁটতে জগদীশ বসু ভাবতেও পারেন নি সেদিনের থেকে প্রায় ১২০ বছর পরে এই বোটানিক্যাল গার্ডেন তাঁর নামেই নামাঙ্কিত হবে। আগেকার দিনের শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন এখন পরিচিত “আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেন”। ভারতের সবচেয়ে বড় বোটানিক্যাল গার্ডেনের নাম ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত বোটানিষ্টের নামে হবে সে আর আশ্চর্য কি! তবে হালকা আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে বোটানিক্যাল গার্ডেনে জগদীশ বসু-র প্রথম পদার্পণ কোন স্পেশাল গাছ গাছালি দেখতে নয় – গাঁজার চাষ দেখতে! গাঁজার চাষ এবং গাঁজা গাছের ব্যাপারে আলোচনার জন্যই কিউরেটর ডেভিড প্রেইন ডেকে পাঠিয়েছিলেন জগদীশ বোস-কে। একদম সরাসরি তাঁর অফিসে চলে যেতে বলেছিলেন, কিন্তু জগদীশ বোস ভাবলেন আলোচনায় ঢোকার আগে নিজের মত করে গাঁজা গাছগুলিকে দেখে নেওয়া যাক! ... ...
কুরোসাওয়া ক্রমশঃ মানিক বাবুর পারিবারিক বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। উনি বিজয়া রায়-কে ডাকতেন “জয়া – সান” বলে। ‘সান’ হল জাপানী ভাষায় এক সম্ভ্রম সূচক সম্বোধন – পুরুষ, মহিলা দুই দলকেই বলা যায়। যেমন প্রথম প্রথম কুরোসাওয়া সত্যজিৎ রায়কে ডাকতেন “মাষ্টার-সান” বলে। কিন্তু মানিক বাবু বেশ অপ্রস্তুত হয়ে একদিন বললেন, “আপনি আমাকে প্লীজ এই ভাবে মাষ্টার বলে ডাকবেন না সবার সামনে – বেশ লজ্জা লাগে”। তারপর থেকে কুরোসাওয়া উনাকে সবার সামনে ‘মিঃ রায়’ আর একান্তে ‘মাষ্টার-সান’ বলে ডাকতেন। ... ...
আমি গত ১৭ জানুয়ারি ‘গুরুচণ্ডাঌ’ ব্লগ সাইটে একটি লেখা লিখেছিলাম কোভিড-অস্বীকারপন্থী এবং ভ্যাকসিন-বিরোধী ভুয়ো গুজব ও হিড়িকের বিরুদ্ধে, কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়েই। ‘চারনম্বরপ্ল্যাটফর্ম’-এ যে এর বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী ভাষায় একটি লেখা বেরিয়েছে, আমি তা মোটেই টের পাইনি, কয়েকদিন আগে আমার বন্ধুরা সে দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করার আগে পর্যন্ত। লেখাটি লিখেছেন জনৈক চিকিৎসক, আমার অপরিচিত। লেখাটির মধ্যে ‘সাত জার্মান, জগাই একা, তবুও জগাই লড়ে’ গোত্রের বেশ এক রকমের একটা বীরত্বব্যঞ্জক ভঙ্গি আছে। তাবৎ বিশ্বের বিলিয়নেয়ার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা, বড় বড় ওষুধ কোম্পানির মালিক আর পৃথিবীর সমস্ত দেশের সরকারি স্বাস্থ্য-কর্তারা সব একযোগে ভ্যাকসিনের সিরিঞ্জ উঁচিয়ে তেড়ে আসছে, আর তিনি ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের ছাতার বাঁট বাগিয়ে একা লড়ে যাচ্ছেন, এই রকম আর কি! সে লেখার প্রেক্ষিতেই, আমার এই জবাব। ... ...
নিছক আবেগ না। তখন প্রশ্নটা ছিল পেটে লাথি খাওয়ার। জীবন জীবিকার প্রশ্ন। রাষ্ট্র ভাষা উর্দু হলে কি হবে তা দেশ ভাগের অল্প দিনেই বুঝে গিয়েছিল বাঙালী। তাই আবেগের প্রশ্ন ছিল না, ছিল জীবনের প্রশ্ন। তৎকালীন বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সবাই বুঝে গিয়েছিল উর্দু রাষ্ট্র ভাষা হলে এই জীবনে আর পাকিস্তানের সাথে পেরে উঠা যাবে না। দেশ ভাগের পরেই যখন মানি অর্ডার ফরম, ডাক স্ট্যাম্প, চিঠির খাম সব উর্দু ভাষায় এসে হাজির হল তখনই বুঝা হয়ে গিয়েছিল উর্দু রাষ্ট্র ভাষা হলে আসলে কত বড় সর্বনাশ হবে। তাই ভাষা আন্দোলন ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। ছিল জনগণের আন্দোলন, যার নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্ররা। তাই শহিদের তালিকায় এক বরকত ছাড়া আর কাওকে ছাত্র খুঁজে পাই না, সবাই কর্মজীবী, খেটে খাওয়া মানুষ। ... ...
মাতৃভাষা দিবস এবং তার উৎসব, পুজো এখন একটা নেশা। জীবনের সঙ্গে, জীবনের গল্পের সঙ্গে, বাস্তব জগতের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন। ... ...
ঘনাদা থুড়ি বেণুদা তখন বলছেন রিঙ্কুর সাথে তাঁর প্রেমের গল্প। ‘বুzলেন আমি তো মুসলমান আর ও হিন্দু, তা রেজেস্ট্রি করেসি, হিন্দুমতে আর মুসলমান মতেও বিয়ে করেসি। তিনবার বিয়ে করেসি। তা হিন্দু বিয়ায় জিগ্যাস করে গোত্র কী? আমি বলে দিসি হিমু গোত্র। পুরুতেও বিয়া পড়ায় দিসে।‘ ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
টুরিস্ট-ম্যাপের বাইরে অজানা এক জায়গায় হানা দেওয়ার কাহিনী... ... ...
বইয়ের রিভিউ ফেসবুকে কীভাবে লিখবেন (অথবা লিখবেন না)। ... ...
কেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাঙালির এতো প্রিয়? ... ...