এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  ইতিহাস

  • সিঁড়ির সাতকাহন  (১৬)

    Goutam Dutt লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | ইতিহাস | ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১৩১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)

  •  
    (১৬)

    “…

    সিঁড়ির ওপরে সিঁড়ি
          পা রাখি ধীরে, খুব ধীরে
          শরীরের ধাপ, স্থির
    অন্ধকারের স্রোত, উৎস, পেতে চাই
                 সারারাত
    নারী, হে দেবী, চলি, চলি, দুই পাড়
            চোখের স্তব্ধতা, রক্তের উৎসার
            ঠোঁট রাখি পাতায়।
    ফুল ফুটে উঠছে, সিঁড়ির ওপরে সিঁড়ি
                 সারারাত!                    


    আমি ঠোঁটে আঙুল রেখেছি
            দ্যাখো, এই যে এদিকে
    সিঁড়ির ওপরে সিঁড়ি, তুমি উঠে গেলে
                 আর কিছু নয়
            শুধু ধুলোয় রোদ্দুর, ঝরা পাতা
    ওপরের দিকে যে নিশ্বাস, সে কি
            স্বক্রিয় দেবান, তোমার শরীর
    পথ জুড়ে মানুষ, ব্যস্ততা
    এরই মধ্যে তুমি চলে যাও!    -  (সিঁড়ির ওপরে সিঁড়ি – রথীন্দ্র মজুমদার )


             পামুক্কাল – তুরস্কের এক পর্যটন কেন্দ্র। একসময়ে এই পামুক্কালে ছিল ফ্রিজিয়া সাম্রাজ্যের এক বিখ্যাত শহর ‘হিয়েরাপোলিস’। গ্রিক ভাষায় যার অর্থ হল পবিত্র নগরী। ১৮৮৭ সালে এই অঞ্চলে খননকার্য চালাতে গিয়ে জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদ কার্ল হুম্যান এই ঐতিহাসিক শহরটি আবিষ্কার করেছিলেন। এর পর, ১৯৫৭ সালে পাওলো ভারজোনের নেতৃত্বে ইতালীয় বিজ্ঞানীদের একটি দল নতুন করে খনন চালালে মাটির নীচে থেকে বেরিয়ে এসেছিল অত্যন্ত উন্নত এই শহর।


    হিয়েরাপোলিস

             ‘হিয়েরাপোলিসকে ঘিরে ছিল অজস্র প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবন। প্রস্রবনগুলির জলের ওষধি গুণ থাকায়, প্রাচীনকালে আরোগ্যনিকেতন হিসেবে সুখ্যাতি ছিল হিয়েরোপোলিসের। খননক্ষেত্রটি থেকে পাওয়া গিয়েছিল যুগের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা বেশ কিছু ইমারত। যেমন, গরম ও ঠান্ডা জলের সুবিধাযুক্ত স্নানাগার, গ্রন্থাগার, ব্যায়ামাগার, ১২০০০ আসন বিশিষ্ট একটি আ্যম্ফিথিয়েটার ও সমাধিক্ষেত্র। অনুমান করা হয়, আজ থেকে প্রায় ২৬০০ বছর আগে হিয়েরাপোলিস শহরটি স্থাপন করেছিলেন আনাতোলিয়ার অধিবাসীরা নয়ত পারস্যের অধিবাসীরা। পরবর্তীকালে গ্রীক ও তারপর রোমানরা শহরটির দখল নিয়েছিল।

             ১৯৬৫ সালে এই এলাকাটিতে আবার খননকার্য চালানো হলে আবিষ্কৃত হয়েছিল একটি মন্দির। তার নাম প্লুটোনিয়ন। খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকের শুরুতে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। মাটির নীচে থাকা একটি গুহার ওপর তৈরি করা হয়েছিল এই প্লুটোনিয়ন মন্দির। ফ্রিজিয়াবাসীরা বিশ্বাস করতেন মন্দিরটির নীচে আছে পাতাল রাজ্যে যাওয়ার পথ। সত্যিই মন্দিরের নীচে আছে একটি রহস্যময় সুড়ঙ্গ। একজন মানুষ গলতে পারে এরকম একটি সংকীর্ণ গুহামুখ থেকে ধাপে ধাপে নীচে নেমেছে পাথুরে সিঁড়ি। সিঁড়ি দিয়ে নামা যায় গুহার ভেতরে। গুহার মেঝেতে আছে এক গভীর ফাটল। যার ভেতর আলো ফেললে দেখা যাবে, মেঝের নীচে দিয়ে দ্রুতবেগে বইছে ফুটন্ত জলের স্রোত।

    হিয়েরাপোলিস থেকে পাওয়া বিভিন্ন পুঁথি থেকে জানা গিয়েছে, মন্দিরের পুরোহিতরা মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের বলতেন, এই ফুটন্ত জলের স্রোতের নীচেই আছে পাতাল। যেখানে বিরাজ করেন গ্রীক ও রোমানদের পাতালের দেবতা প্লুটো। এই গুহাপথ দিয়ে নাকি পৌঁছানো যায় বদরাগী দেবতা প্লুটোর কাছে। তবে সে পথ সাধারণের জন্য নয়। একমাত্র মন্দিরের পুরোহিতরাই পারেন দেবতা প্লুটোর কাছে পৌঁছতে।


    এই সেই প্লুটোনিয়ন।

    প্লুটোনিয়নের কথা পৃথিবী জানতে পেরেছিল, স্ট্রাবো, ক্যাসিয়াস ও দামাসসিয়াসের মত সুপ্রাচীন ইতিহাসবিদদের লেখা থেকে। ইতিহাসবিদ স্ট্রাবো লিখেছিলেন, “কোনও পশু বা পাখি প্লুটোনিয়নের ভেতরে গেলে তার মৃত্যু ঘটবেই। আমি কিছু চড়াই পাখি গুহার ভেতরে ছুঁড়ে দিয়েছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে তারা মারা গিয়েছিল।” পরবর্তীকালে প্লুটোনিয়নের গোপন কথা শুনে শিউরে উঠেছিল আধুনিক বিশ্ব। বিশ্ব জেনেছিল, এই রহস্যময় গুহার ভেতরে গিয়ে একমাত্র পুরোহিতরা ছাড়া, আর কেউ জীবিত অবস্থায় কখনও বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি। বহু মানুষ ও পশুপাখির মৃত্যু ঘটেছিল এই গুহার ভেতর। তাই হিয়েরাপোলিসের জনসাধারণ মন্দিরটিকে বলতেন ‘নরকের দ্বার’। গুহাটিকে বলতেন প্লুটোর গুহা।

    হিয়েরোপোলিসের জনসাধারণ ভাবতেন, পাতাললোকে প্রবেশের চেষ্টা করলে দেবতা প্লুটো ক্রুদ্ধ হন। নিজের হাতে অবিশ্বাসীদের নির্মম মৃত্যু উপহার দেন গুহার ভেতর। দেবতা প্লুটোকে তুষ্ট করার জন্য পুরোহিতেরা পশুপাখিদের পায়ে দড়ি বেঁধে ছুঁড়ে দিতেন গুহার ভিতর। কয়েক মিনিটের মধ্যে ছটফট করতে করতে মারা যেত প্রাণীগুলি। মৃত্যুর পর দড়ি টেনে প্রাণীগুলির নিথর দেহ বাইরে বার করে নিয়ে আসা হত। তারপর সেগুলি পুড়িয়ে তাদের মাংস প্রসাদ হিসাবে দেওয়া হত উৎসর্গকারীর হাতে। এ সব দেখার পর, দূর্দমনীয় রোমানরাও প্লুটোর মন্দিরের ভেতরে ঢুকতে ভয় পেত’।

             গালি পুরোহিতেরা জানতেন মন্দিরের ভেতরে ঘটা মৃত্যুগুলির পিছনে আছে নীচে থেকে উঠে আসা কোনও গ্যাস। তাঁরা বুঝেছিলেন গ্যাসটি ভারী হওয়ায়, গুহার মেঝের কাছাকাছি গ্যাসটির ঘনত্ব বেশী থাকে। তাঁরা জনগণকে দেখিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে চলে যেতেন গুহার ভেতরে। দম বন্ধ করা থাকতেন কয়েক মিনিটের জন্য। গুহার ভিতরে গিয়ে গালি পুরোহিতেরা দাঁড়িয়ে পড়তেন এবং দৌড়ে যেতেন গুহার ভেতর তাঁদের আবিষ্কার করা কিছু কিছু খোপের দিকে। যে খোপগুলিতে অক্সিজেন ঢুকতো কিছু সংকীর্ণ ফাটল দিয়ে। তাঁরা ছাড়া এই খোপগুলির কথা কেউ জানত না।

             সেই খোপে কিছুক্ষণ কাটিয়ে, গালি পুরোহিতেরা আবার দম চেপে বাইরে আসতেন হামাগুড়ি দিয়ে। ‘গালি’ পুরোহিতদের দেখাদেখি অনেক সাধারণ মানুষ প্লুটোর করুণা পাওয়ার জন্য হামাগুড়ি দিয়ে গুহার ভেতরে এগিয়ে যেতেন। কিন্তু তাঁরা পুরহিতদের বুজরুকিটা জানতেন না। ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তেন। এইভাবে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে ‘গালি’ পুরোহিতেরা প্রচুর সম্পত্তি করতেন।

    গবেষকদের মতে খ্রিস্টিয় চতুর্থ শতাব্দী পর্যন্ত এই প্লুটোনিয়ন সক্রিয় ছিল। সক্রিয় ছিল গালি পুরোহিতদের বুজরুকিও। ষষ্ঠ শতকে খ্রিস্টানরা এই প্লুটোনিয়ন ভেঙে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে ভূমিকম্পের ফলে একেবারে মাটির নীচে চলে গিয়েছিল অভিশপ্ত প্লুটোনিয়ন। তাঁকে নিয়ে গড়ে ওঠা বুজরুকির সমাধিটি, সেদিন হয়তো নিজের হাতেই খুঁড়েছিলেন পাতালের দেবতা প্লুটো’।

             ধর্ম নিয়ে বুজরুকি যে সারা পৃথিবীতেই পরিব্যপ্ত এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

    “প্রকৃত নোংরা এই সিঁড়ি, ঈশ্বরের কাছে আমি কীভাবে পৌঁছাই?
    তিনি থাকেন উপরতলায়, এতটা উপরে যে সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে
    ক্রমাগত সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে ঊর্ধ্বাকাশে চেয়ে দেখি
    শূন্যোদ্যানের উপরে বাতাস
    আরো ঝুলন্ত, আরো শূন্য, অমানিশা গিরিশৃঙ্গ যত উঠে পড়ি
    ঈশ্বর ততই উপরে, উপরন্তু নোংরা রয়েছে সিঁড়ি;
    যাবতীয় ভাষণের পাণ্ডুলিপি খসে খসে পড়ে
    যাবতীয় মন্ত্রশ্লোক, ষড়যন্ত্রধ্বনি
    যতই বাতাসে ভাসে যতই আকাশের দিকে উঠে যায় সিঁড়ি
    ততই দূরত্ব বাড়ে, একে আমি কীভাবে ভ্রমণ বলি
    বলি ঈশ্বরগৃহযাত্রা?
    অন্ধ সমুদ্র সেঁচে আমি কোন ঈশ্বরের প্রাণভোমরাকে পাব?
    রচিত গ্রন্থের পৃষ্ঠা পৃষ্ঠাময় অঙ্কিত বনভূমি গিরিশৃঙ্গদল
    কেবলি নোয়ায় শির, অত্যুজ্জ্বল ঐক্য ধরে রাখে,
    তাদের কপাট খুলে নিরাকার নিভূমে নেমেছে।
    এখানে পাতাল সিঁড়ি অন্তহীন পত্রঢাকা পথ…   ( - ঈশ্বরগৃহ যাত্রা - কামরুল হাসান )


    *

             আরেক সিঁড়ির গল্প আছে আমাদের পুরণে। সে এক শর্ত পূরণের গল্প। নরকের মাতা ভূমি দেবী বিষ্ণুর কাছে বর চেয়েছিলেন যেন তার পুত্র দীর্ঘ জীবন লাভ করে এবং সে শক্তিশালী হয়। বিষ্ণু এই বর পূরণ করেন। সঙ্গে বিষ্ণু নরকাসুরকে কামাখ্যা দেবীর পূজা করতে শেখান। প্রথম অবস্থায় ভালভাবে শাসন করা নরকাসুর শোণিতপুরের বাণাসুরের প্রভাবে পড়ে অত্যাচারী হয়ে ওঠে।

             নরকাসুর কামাখ্যা দেবীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। দেবীকে বলাতে দেবী শর্ত রাখেন যে, মোরগ বা কুক্কুট রাত পেরোনোর জানান দেওয়ার আগে যদি নরক নীলাচল পাহাড়ের তলা থেকে মন্দির পর্যন্ত এক রাতের মধ্যে সিঁড়ি নির্মাণ করতে পারেন তবে তিনি বিয়ে করতে রাজী হবেন। কামাখ্যা দেবী মোটেও আগ্রহী ছিলেন না এক অসুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে জড়াতে। তাই এমন অবিশ্বাস্য শর্ত।  নরকাসুর সেইমত সিঁড়ি নির্মাণ করে রাত পেরোনোর আগে শেষ করার উপক্রম করলেন। কাজের অগ্রগতি দেখে দেবী সত্যিই ভয় পেয়ে যান।তিনি তখন ছলনার আশ্রয় নেন। তিনি একটি মোরগকে চেপে ধরলে সেই মোরগ ভয়ে ডেকে ওঠে। মোরগের ডাক শুনে নরকও ভাবেন রাত বুঝি শেষ হল। নরকাসুর সিঁড়ি তৈরির কাজ অর্ধেক রেখেই ক্ষান্ত হলেন।কিন্তু পরে নরকাসুর আসল সত্যি জানতে পেরে  কুক্কুটটিকে (মোরগ) প্রচণ্ড রাগে ধাওয়া করে হত্যা করেন।

             এই কারণেই আসামের দরং জেলায় “কুকুরাকটা” নামে একটি স্থান আছে। নরকাসুরের  অর্ধসমাপ্ত ঐ সিঁড়িটিকে “মেখেলা-উজোয়া পথ” বলা হয়। পৃথিবীর সকল রাজ্য জয় করার পর নরকাসুর স্বর্গ আক্রমণ করলে  ইন্দ্র সহ দেবতারা স্বর্গ থেকে পালাতে বাধ্য হন।  নরকাসুর প্রায় ১৬০০০ স্ত্রীকে অপহরণ করেন। ইন্দ্র, কামাখ্যা সহ সকল দেব দেবী বিষ্ণুর কাছে নরকাসুরকে হত্যার আবেদন জানালে বিষ্ণু কৃষ্ণ অবতারে নরকাসুরকে হত্যা করবেন বলে কথা দেন। পরবর্তীকালে কৃষ্ণর স্ত্রী সত্যভামা কৃষ্ণকে নরকাসুরকে হত্যার জন্য রাজি করান। কৃষ্ণ এবং সত্যভামা গরুড়ে চড়ে নরকাসুরের রাজ্য আক্রমণ করেন এবং সেখানে কৃষ্ণ নরকাসুরের সেনাপতি “মুর”কে বধ করেন। ”মুর”কে বধ করার জন্য কৃষ্ণ “মুরারী” নামেও পরিচিত। অবশেষে সুদর্শন চক্র দ্বারা কৃষ্ণ নরকাসুরকে বধ করেন এবং অদিতির সোনার কুণ্ডলের সঙ্গে ১৬০০০ জন স্ত্রীকে উদ্ধার করেন। প্রাগজ্যোতিষপুরের সিংহাসনে নরকাসুরের পুত্র ভগদত্তকে স্থাপন করা হয়।

               উত্তর গুয়াহাটীতে “অশ্বক্রান্ত” (অর্থ – অশ্বের আরোহণ) নামে একটি মন্দির আছে। জনশ্রুতি  প্রাগজ্যোতিষপুর আক্রমণ করার পূর্বে কৃষ্ণ এই স্থানে বিশ্রাাম নিয়েছিলেন এবং তাঁর ঘোড়াগুলি এখানে জল খেয়েছিল। নরকাসুর মৃত্যুর আগে সত্যভামাকে  অনুরোধ করেন যে, বিশ্ববাসী যেন তাঁর মৃত্যু রঙিন আলোর সাথে উদ্যাপন করে। সেইজন্য এই দিনটি ‘নরক চতুর্দশী’ হিসেবে পালন করা হয়। বাংলায় যখন ভূত চতুর্দশী পালন করা হয় দক্ষিণ ভারতে বিশেষ করে গোয়া, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে সেদিন নরক চতুর্দশী সাড়ম্বরে পালিত হয়। পুরাণ অনুসারে, এই বিশেষ তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ, সত্যভামা এবং দেবী কালিকা নরকাসুরকে বধ করেছিলেন।

    “……….সে সবের বুক থেকে নিরুত্তেজ শব্দ নেমে গিয়ে
    প্রশ্ন করে যেতেছিল সে সময়ে নাবিকের কাছে।
    সিন্ধু ভেঙে কত দূর নরকের সিঁড়ি নেমে আছে?-
    ততদূর সোপানের মত তুমি পাতালের প্রতিভা সেঁধিয়ে
    অবারিতভাবে সাদা পাখির মতন সেই ঘুরুনো আধারে
    নিজে প্রমাণিত হয়ে অনুভব করেছিলে শোচনার সীমা
             মানুষের আমিষের ভীষণ ম্লানিমা,…………।” (- রবীন্দ্রনাথ – জীবনানন্দ দাশ।)


    চলবে.....................।
     
    #
    ©গৌতমদত্ত।
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন