এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গন্ধের গন্ধমাদন  (৪)

    Goutam Dutt লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ মে ২০২৩ | ১৭১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  •  
    (৪)





                 যতদূর জানা যায়, ইউরোপের ইতিহাসে প্রথম সুগন্ধী ব্যবহার করতে শুরু করেন হাঙ্গেরীয় রানী – ১৩৭০ সাল নাগাদ। সেই পারফিউমটার নাম ছিল হাঙ্গেরীয়ান ওয়াটার। সেটা বানানো হয়েছিল রোজমেরী ফুল থেকে। ইংল্যাণ্ডের রানী এলিজাবেথ (১৪৬০-১৫৫০) সে সময় তাঁর প্যালেসের বাইরে যখন বেরোতেন সেই সব জায়গায় নাকি বোতল বোতল পারফিউম ঢালা হ’ত।



                  ফরাসী সুগন্ধী যা আজকের সেন্ট বা পারফিউম ব্যবহারকারীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় তার ইতিহাস মাত্র শ’ পাঁচেক বছরের। মানে এই ১৫১৯ নাগাদ। ফ্রান্সের রানী ক্যাথেরিন মেডেচি ছিলেন সে সময়ের এক উজ্জ্বল নারী। ইটালির মেয়ের বিয়ে হয়েছিল ফ্রান্সের রাজা দ্বিতীয় হেনরী’র সাথে। মেডেচি রানী হয়ে প্যারিসে আসার সময় তাঁর নিজের সুগন্ধী যাঁরা তৈরি করতেন তাঁদের অব্দি নিয়ে এসেছিলেন নিজের সাথে। প্যারিসের রাস্তায় প্রথম সুগন্ধীর দোকান খুলেছিলেন এই ক্যাথেরিনই।



                 পরবর্তী সময়ে পারফিউম এর রাজা ছিলেন চোদ্দতম লুই (১৬৩৮-১৭১৫)। তিনিই প্রথম তাঁর প্রজাদের মধ্যে আইন করে পারফিউম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছিলেন। নিজের শরীরে বোতল বোতল সুগন্ধী ঢালা ছিল তাঁর এক নেশা। শোনা যায় সারা জীবনে মাত্র তিনবার স্নান করেছিলেন। বাকিটা সুগন্ধীর জীবন। এই মানুষটার জন্যেই সুগন্ধি শিল্প সে সময় এক নতুন মাত্রা পেল। তাঁর খুব পছন্দের সুগন্ধি ছিল ‘Aqua Angeli’, যা নাকি তৈরি হ’ত আগরকাঠ, জায়ফল, শিলারস, লবঙ্গের তেলকে গোলাপজলে ফুটিয়ে পরিশোধিত করে। ঐ মিশ্রন ঠাণ্ডা হলে মেশানো হ’ত জুঁই আর কমলালেবু ফুলের সৌরভ সাথে কস্তুরি। এই সুগন্ধিখানা দিয়ে সম্রাটের পরনের জামা প্রায় চোবানোই হ’ত বলা যায়।
     
              ফ্রান্সের রাজা ষষ্টদশ লুই ও রানি আতোঁয়ানেত দুজনেই ছিলেন সুগন্ধ অনুরাগি।  মারি আতোঁয়ানেত শহরের সমস্ত সৌগন্ধিকদের অত্যন্ত পছন্দ করতেন। জঁ লুই ফার্জিওঁ (Jean-Louis Fargeon) নামে এক সৌগন্ধিক তার বাবার থেকে পেয়েছিলেন এই সুগন্ধি রয়ায়নের শিক্ষা। পরবর্তীকালে একটা বুটিক খুলেছিলেন যেখানে নগরের সমস্ত গন্যমান্য ফরাসিরা আসতেন সুগন্ধি কিনতে। ফার্জিওঁ খুব প্রিয় ছিলেন রানি মারি আঁতোয়াতের। রানির ট্রায়ানন রাজপ্রাসাদে ফার্জিওঁ-র ছিল অবাধ যাতায়াত।

    https://images-na.ssl-images-amazon.com/images/I/41ccnTsqj9L._SX334_BO1,204,203,200_.jpg
    বই - The Secret History of Marie Antoinette's Perfumer by Elisabeth de Feydeau.

             এর পরে পরেই শুরু হয় ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯-১৭৯৯)। সুগন্ধির ব্যবসা প্রায় লাটে উঠে যায়।



               ফরাসি সুগন্ধির ব্যবসা আবার ঘুরে দাঁড়ায় নেপোলিয়ান বোনাপার্টে’র (১৭৬৯—১৮২১) হাত ধরে। তাঁর সুবাদেই সুগন্ধির বাজারে আরেক নতুন সুগন্ধ যাকে আমরা ওডিকোলন (Eau de Cologne) বলে জানি তার পথ চলা শুরু হয়। তাঁর সৌগন্ধিক চার্দিন’কে (Chardin) প্রতি মাসেই এই ওডিকোলন এর ৫০/৬০ বোতল দিতেই হ’ত। ‘রোজমেরি’ গন্ধ খুব প্রিয় ছিল তাঁর। ১৮০৬ সালের এক বিলে দেখা গেছে যে এক ত্রৈমাসিকে চার্দিন ১৬২ শিশি ওডিকোলন সম্রাটের কাছে পাঠিয়েছেন যার মূল্য ছিল ৪৩২ ফ্রাংক। শোনা কথা যে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট যুদ্ধে যাওয়ার সময় অবশ্যই কাছে রাখতেন বই আর সুগন্ধী। তাঁর রানি’র খুব পছন্দের সুগন্ধ ছিল জুঁই এর সুবাস।



                রানি জোসেফিঁ আরেকটি সুন্দর প্রথার প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁর ঘরে তিনি সুন্দর সুন্দর কাঁচের টবে সুগন্ধি ফুলের বিভিন্ন গাছ রাখতে শুরু করেন। সম্রাট রানির জন্য ইজিপ্ট থেকে কিছু বীজ আনিয়ে দেন।  এর পর থেকেই ফরাসি-মহলে এই ফুল ‘Little Darling' (mignonette flowers) নামে পরিচিত হয়। এমন কি, এর প্রভাব ইংল্যাণ্ডেও ধাওয়া করে।



              যতদূর জানা যায় এই সময় থেকেই শুরু হয় গন্ধ বেচার ফেরিওয়ালা’র (perfumed pedlars)। তারা সারা দেশে ঘোড়ায় চেপে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে শুরু করে এই সুগন্ধি এবং কিছু ওষুধও। কোয়াক ওষুধই বিক্রি করত এরা। প্যারিসের রাস্তায় এদের বাড়বাড়ন্ত দেখে ফরাসি বিপ্লবের আগেই সম্রাটের নিজস্ব চিকিৎসকেরা সম্রাটের কাছে এই আতরওয়ালাদের ব্যবসা বন্ধ করিয়েই ছাড়েন।   

               আধুনিক পারফিউম এর শুরু কিন্তু আতর-সুগন্ধীর হাত ধরেই। আগেই বলেছি যে সাইপ্রাসে চার হাজার বছর আগে প্রতিষ্ঠিত সুগন্ধির কারখানার সন্ধানও পাওয়া গেছে। কস্তুরী বা মৃগনাভি, আগর এবং ফুল ও ফলের নির্যাস থেকেই তৈরি হয় পৃথিবীর বিখ্যাত সব আতর। নির্যাসের হিসাবে সুগন্ধির নামও ভিন্ন ভিন্ন হয়; যেমন—ফুল থেকে তৈরি সুগন্ধিকে ‘জাহরা’ এবং ফল থেকে তৈরি সুগন্ধিকে ‘ফাওয়াকি’ বলা হয়। তবে এর মধ্যে সুগন্ধিরাজ হলো কস্তুরী। পার্বত্য অঞ্চলের বিশেষ এক ধরনের হরিণের নাভি এর উৎস। একটি পরিপক্ব মৃগনাভি থেকে মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ গ্রাম কস্তুর পাওয়া যায়।



                 মোদ্দা কথায় বলা যায় যে আতর হ’ল ভেষজ সুগন্ধি। ‘আতর’, 'আততার' বা 'ইত্তার' শব্দখানি পার্সি শব্দ যার অর্থ সুগন্ধি। এ বস্তুটি বেশি ব্যবহার করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন। প্রাচীনকালে মিশরীয়রা সুগন্ধী তৈরীতে প্রসিদ্ধ ছিল। বিভিন্ন গাছপালা এবং ফুল থেকে নির্য়াস সংগ্রহ করে বিভিন্ন তেলের সাথে মিশিয়ে আতর তৈরি করা হত।  পরবর্তীতে বিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসক আল শেখ আল-রইস নানরকম সুগন্ধি তৈরীর প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবন করেন। পাতন পদ্ধতির সাহায্যে সুগন্ধি তৈরীতে তিনি ছিলেন অন্যতম পথিকৃৎ। কিছু আতর তেল কাঠের প্রজাতি থেকেও আহরণ করা হয়। এটি সাধারণত ভারতেও ইত্তার নামে পরিচিত ।



                 ভারতে আতরের ব্যবহারও বেশ পুরোনো। অগ্নি পুরাণ থেকে জানা যায় যে রাজারা নাকি দেড় শতাধিক সুগন্ধী দিয়ে স্নান করতেন। এক বিরাট সংখ্যক নারীপুরুষ কাজ করতেন এর জন্যে। যে সব মহিলারা এই সুগন্ধী তৈরি করতেন তাদের বলা হ’ত গান্ধকারিকা বা গান্ধহাদিকা। আর এই সুগন্ধীগুলোকে ‘ইট্রা’ বলা হ’ত। বৃহৎ সংহিতায় দেখা যায় আমাদের প্রাচীন এক গণিতবিদ বরাহমিহির এর সুগন্ধী ব্যবহারের কথা। হিন্দু আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ সুশ্রুত ও চরক সহিংতায় আতরের কথা উল্লেখ আছে।

                 মোগল সম্রাটের  বাবরের ছিল গোলাপের প্রতি আসক্তি এজন্য ইরান থেকে তার জন্য আসত সহস্র বোতল ভর্তি হরেক রকমের গোলাপের নির্যাস। নূরজাহান নাকি, নিজে সুরভিত হতেন গোলাপ নির্যাসের স্নানে, যার দৈনিক খরচ পড়ত তৎকালীন তিন হাজার টাকা।

                 আমাদের বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলারও সুগন্ধির প্রতি ছিল প্রগাঢ় ভালোবাসা। নিজে গায়ে মাখতেন হরেক রকমের দামি সুগন্ধি। বিভিন্ন পালা পার্বণে হীরা ঝিল প্রসাদের কোনো কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে পায়রা, কাকাতুয়া, টিয়া, ময়ূর বা অন্যান্য পাখি পারস্যের সুগন্ধির তরলে ভিজিয়ে উড়িয়ে দেয়া হতো হল ঘরে। আর এতে সুন্দর স্নিগ্ধ পারস্যের সৌরভে ছেয়ে যেত বাংলার যুবরাজ সিরাজউদ্দৌলার স্বপ্নরঙে রাঙানো হীরা ঝিল প্রাসাদ। সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী বেগম লুৎফুন্নিসা হেঁটে গেলে সবাই বলতেন পদ্মগন্ধা। ঋতুভেদে বিভিন্ন উৎসবে পারস্যের ফুল ও চন্দন ছিল লুৎফার প্রিয় প্রসাধন। সুগন্ধি অলঙ্কার পরা ছিল সে সময়ের ফ্যাশন। গ্রীষ্মের দহন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লুৎফুন্নিসা গোসল করতেন পারস্যের সুগন্ধি জলে। তারপর চন্দনচর্চিত দেহে, নানাবিধ দ্রব্যে প্রসাধন পরে নিজেকে সজ্জিত করতেন কুসুম আভরণে। লুৎফার নিজের ব্যবহৃত নানা সুগন্ধির মধ্যে চন্দন ও কস্তুরির নিজস্ব গন্ধ তো ছিলই। তাছাড়া তিনি জটামাংসী নামে এক প্রকার গাছের শেকড় দিয়ে তার পোশাককে সুগন্ধী করে নিতেন।

    “ভেসে-আসা বনগন্ধ যেন আমাকেও ছুঁয়ে দ্যাখে
    ঐ গাছ,এই ঘাসজমি বুঝি আজকাল
    আমাকে চেনার চেষ্টা করে
    কিন্তু, পারবে কি করে ?” – উৎপল কুমার বসু।


             বলতে ইচ্ছে করছে সেকালের এক নারী কেমিস্ট বা রসায়ণবিদের কথা। আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০০ অব্দে ইউফ্রেটিস আর টাইগ্রিস নদীর মাঝে গড়ে উঠেছিল এক প্রাচীন সভ্যতা। যাকে আমরা বলি মেসোপটেমিয়া সভ্যতা। আমাদের আধুনিক সভ্যতা বিকাশলাভ সম্পূর্ণ হতই না এ সভ্যতা ব্যতিরেকে। তাপুতি (Taputti) ছিলেন সেই সময়ের একজন নারী এবং রসায়নবিদ। তাপুতি কয়েক হাজার বছর আগেই রসায়নের অগাধ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। আধুনিক যুগে শুধু প্রসাধনী তৈরিতে বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করলেই চলে। তবে তাপুতি শুধু সুগন্ধির জন্যই না বরং তাতে কোন ধরনের ওষুধি উপাদান ব্যবহার করবেন সে বিষয়েও চর্চা করতেন। কারণ তার তৈরি সুগন্ধি ব্যবহৃত হত ওষুধ হিসেবেও। পুরাতত্ত্ববিদেরা খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ অব্দ পূর্বের কিউনিফর্ম লিপিতে লেখা একটি রেকর্ড আবিষ্কার করেছেন যেখানে তাপুতির অবদান সম্পর্কে জনা যায়। তাপুতি ছিলেন ব্যাবিলনের রাজার এক কর্মচারী। নিজের রসায়ন সম্পর্কিত জ্ঞান কজে লাগিয়ে তিনি জল, ফুল, তেল এবং কালামাস দ্বারা এক প্রকার রাজকীয় সুগন্ধি মলম তৈরি করেন। তাপুতি বর্ণনা করেছিলেন কীভাবে তরল পদার্থ ফিল্টার এবং বিশুদ্ধ করা যায়। যে প্রক্রিয়া এখনো আধুনিক কেমিকেল ল্যাবে ব্যবহার করা হয়। তাপুতির পাশাপাশি আরো একজন নারীর নাম পাওয়া যায় যিনি কেমিকেল সম্পর্কিত জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তার নামের পুরো অংশ পাওয়া যায়নি শুধু নিনু অংশটুকু পাওয়া গেছে। তিনি সুগন্ধি তৈরির পদ্ধতি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এর থেকে স্পষ্ট হয়, রসায়ন বিজ্ঞান বিকাশের প্রথম পর্যায়ে নারীদেরও ভূমিকা ছিল।

     
               তাপুতি’র এইসব প্রক্রিয়া আর পদ্ধতিকে সুগন্ধীর জগতে খুবই মূল্যবান বলে মনে করা হয়। সে সময়ে শুধুমাত্র ওষুধ তৈরি আর দেবতার পুজোর জন্যই সুগন্ধী ব্যবহার হ’ত। মেসোপটেমিয়ার রাজ-রাজড়ারা সুগন্ধী তেলে তাদের শরীরকে চুবিয়ে দিত যদি ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ করতে পারা যায় এই বিশ্বাসে। এছাড়াও দৈনন্দিন কিছু নির্দিষ্ট আনন্দের জন্যেও সুগন্ধী ব্যবহৃত হত মেসোপটেমিয়ায়।

             পণ্ডিতদের মতানুযায়ী খৃষ্টপূর্ব ১২৪০ অব্দ নাগাদ হিব্রু’রা মিশর থেকে চলে যাবার সময় এই সুগন্ধি তৈরির বিদ্যে ও গবেষণার কাজ সাথে করে ইস্রায়েলে নিয়ে যায়। তাদের মন্দিরে দু-রকমের বেদী থাকতো। একটা পশুবলির আর অন্যটি সৌরভের জন্যে। ব্যাবিলনবাসী’রা সেসময় সুরভি তৈরির সমস্ত গাছপালার একমাত্র যোগানদার ছিল। প্রধানত সিডার, সাইপ্রাস, মার্টল, পাইন ইত্যাদি গাছের কদর ছিল সুগন্ধি প্রস্তুতে। দেখা গেছে মেসোপোটেমিয়ায় বাসিন্দারা এই সমস্ত লতাগুল্ম সংগ্রহকালে কোনো এক বিশেষ মন্ত্র অব্দি পাঠ করতো।
     
    চলবে.................................
     
    ©গৌতমদত্ত।
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ মে ২০২৩ | ১৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হীরেন সিংহরায় | ১২ মে ২০২৩ ২০:০১519721
  • অসাধারণ , যথারীতি! তবে অয় দি কলোনের জন্ম ১৭১০। নেপোলিয়নের আগেই। নেপোলিয়ন এটিকে ব্যান করতে চেয়েছিলেন - ফরাসি সুগন্ধির প্রতিদ্বন্দ্বী বলে। কলোনে যে গল্পটা শুনেছি সে অনুযায়ী অয় দি কলোন নির্মাতা দাবি করেন - সুগন্ধি নয় এটি একটি ডিসটিলিং দাওয়াই! ঔষধিক গুণের কারণে সমরাট তাকে জলচল করলেন! 
  • Goutam Dutt | ২৭ মে ২০২৩ ২০:১৫520072
  • আচ্ছা দাদা। জানা গেল নতুন কিছু।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন