এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ক্ষমা

    Rumela Saha লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ আগস্ট ২০২০ | ২৪৩১ বার পঠিত
  • ওরা তিনজন বরাবরের বন্ধু ছিল। ওরা তিনটি গাছ। কোন এক কল্পনা রাজ্যের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে টিলার মাথায় ওরা থাকতো। ছোট থেকেই ওরা একে অপরকে দেখে বড় হয়েছে। ঝড় হলে একে অপরকে জড়িয়ে ভয় পেয়েছে। যখন হালকা হালকা হাওয়া দিত তখন নিজেদের কাণ্ডগুলো একে অপরের গায়ে আলতো করে বুলিয়ে সুড়সুড়ি খেয়েছে নিজেরা। তারপর যখন বৃষ্টি আসত মনের সুখে ভিজে একে অপরকে জল ছিটিয়ে খুনসুটি করেছে। এভাবে আস্তে আস্তে ছোট থেকে বড় হয়ে গেল।
    ওদের আরও একটা জায়গায় মিল ছিল ওরা তিনজন স্বপ্ন দেখতো। ওদের স্বপ্ন গুলো ভারী অদ্ভুত ছিল। ওরা জানত, যে ওরা মারা গেলে ওদের মৃত শরীর থেকে মানুষ অনেক কিছু তৈরি করে। জীবনকালের থেকেও মৃত্যুর পর ওদের শরীর টিকে থাকার সময়টা অনেক বেশি। তাই ওরা ওদের মৃত শরীর নিয়ে স্বপ্ন দেখতো।
    ওই তিন বন্ধু গাছের মধ্যে এক বন্ধু ভাবতো, সে মারা গেলে তার শরীর দিয়ে একটা মস্ত জাহাজ তৈরি হবে। উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ পেরিয়ে সে পৃথিবীর আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াবে।
    আরেক বন্ধু ভাবতো, সে মারা গেলে তার শরীর কেটে একটা মস্ত সিন্দুক তৈরি হবে। সেই সিন্দুকে দামি, দামি গয়না থাকবে।
    আরেক জন কিন্তু মরার কথা ভাববো না। বরঞ্চ তার স্বপ্নটা ছিল জীবনকে নিয়ে। সে চাইতো সে পৃথিবীর সবথেকে বড় গাছ হবে। এত বড় যে মানুষ যখনই তার দিকে তাকাবে মানুষকে মাথা উঁচু করতে হবে।
    আস্তে আস্তে অনেকটা সময় কেটে গেল। সেই ব্যতিক্রমী, বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখা গাছটার বড় হওয়া আর হলো না। বরঞ্চ সে সবথেকে ছোট্টো টি রয়ে গেল। অন্য গাছগুলোকে দেখে সে শুধু দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলত। মানুষ মাথা উঁচু করে দেখবে এত বড় হওয়া তার আর হলো না।
    এরপর একদিন তিনজন কাঠুরে এলো। তাদের হাতে ঝকঝকে ধারওয়ালা লোহার কুঠার। তিন বন্ধু ভয় পেল। তারা বুঝল মৃত্যু এসে গেছে। দুই বন্ধুর মনে তাদের স্বপ্ন পূরণের আশা, ব্যতিক্রমী গাছটির মন জুড়ে শুধুই হতাশা। এ জীবনে আর কিছুই হলো না।
    কাঠুরেরা, তাদের নির্মম কুঠারের আঘাতে গাছ তিনটি কেটে ফেলল।
    তিনটি গাছের মধ্যে যে গাছটা সবথেকে লম্বা ছিল সেই গাছের কাঠ থেকে খেয়া পারাপারের ছোট্ট নৌকো তৈরি হলো। মাছের কারবারিরা সে ছোট নৌকায় করে রোজ হাটে মাছ বিক্রি করতে যেত। সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন আর সত্যি হল না।
    তিনটি গাছের মধ্যে যে গাছটার কাঠ সবথেকে শক্ত ছিল, তাকে দিয়ে আস্তাবলে ঘোড়ার খাবার রাখার পাত্র তৈরি করা হলো। সেখানে খড় বিচালি এইসবই রাখা হতো। মূল্যবান ধন রত্ন নিজের মধ্যে ধারন করার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।
    আর সেই ব্যতিক্রমী গাছ, যে বেঁচে থাকতে চেয়েছিল, তাকে একটি গুদামে কেটে টুকরো করে ফেলে রাখা হলো। সেই স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকার গুদামে আলো প্রবেশ করে না। আস্তে আস্তে তিন বন্ধু ভুলে গেল তারা একসময় কিছু স্বপ্ন দেখেছিল।
    বহু বছর কেটে গেল। একদিন সেই গুদাম থেকে ব্যতিক্রমী গাছের দুটো শক্ত শক্ত কাঠ টেনে বাইরে বের করা হলো। কতদিন পর সে সূর্য দেখল। সারা গায়ে ঘুন ধরে গেছে । শ্যাওলা জমেছে এখানে ওখানে। কাঠ দুটোকে শক্ত করে একে অপরের সাথে বাঁধা হল। তারপর পাথুরে রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে কাঠ দুটোকে নিয়ে যাওয়া হল। কাঠটা জানে না তার অন্তিম পরিণতি কি। এরপর কি হবে।
    সেই রাজপথের এক পাশে পড়ে থাকতে থাকতে সে দেখল, একজনকে মারতে মারতে নিয়ে আসা হচ্ছে। সারা শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছে সেই মানুষটার। চাবুকের এক একটা আঘাতে তার শরীর থেকে চামড়া সহ মাংস ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছে। লোকটা হাঁটতে পারছে না। লোকটার কি দোষ, কেন সে এত শাস্তি পাচ্ছে কাঠ জানে না। কাঠ শুধু পড়ে পড়ে দেখে, সেই লোকটি মার খেতে খেতে, ধুকতে ধুকতে, মাটিতে বারবার পড়ে যেতে যেতে, তার দিকেই এগিয়ে আসে। আস্তে আস্তে একসময় মৃতপ্রায় লোকটির কাঁধে জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয় এই ভারী কাঠ। কাঠের কষ্ট হয়, সে বোঝা হতে চায় না। সে নেমে পড়তে চায় এই অত্যাচারিত মানুষটার কাঁধ থেকে। মানুষটির রক্ত-রস-স্বেদ মাখামাখি হয়ে যায় কাঠের শরীরের সাথে। কাঠ আর্তনাদ করে কিন্তু কেউ শুনতে পায় না। মানুষটি ক্লান্তিতে, যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যায়। এত যন্ত্রণার ওপর এত ভার সে বইতে পারে না। তার হাঁটু ভেঙে পড়তে চায়। মেরুদন্ড ভেঙ্গে যায়। সে রাজপথে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। আশেপাশে লোকের চিৎকারে তার হুঁশ ফেরে। সে থামতে পারে না, থামলেই চাবুকের বাড়ি। রাজপথে লোক জড়ো হয়। কি জান্তব উল্লাস তাদের‌। তারা ক্ষমা করতে শেখেনি। কাঠ বহনকারী লোকটি একসময় রাস্তায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়। রক্ত বমি হয় তার। সৈনিকেরা তার গায়ে লাথি মারে। কিন্তু লোকটার সত্যিই আর চলার ক্ষমতা নেই। এত ভারী কাঠ বহন করার ক্ষমতাও লোকটির আর নেই। রাস্তা থেকে অন্য একটি মানুষকে ডেকে নেওয়া হয় বাকি পথটুকু এই কাঠটা বহন করার জন্য। কাঠটা একটু শান্তি পায় সেই মৃতপ্রায় মানুষটিকে তার বোঝা আর বহন করতে হচ্ছে না।
    আস্তে আস্তে তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যায়। কিন্তু এ কোথায় এলো সে। শহরের একদম প্রান্তে একটি জায়গা। যেখানে অপরাধীদের শেষ শাস্তি দেওয়া হয়। এই বধ্যভূমিতে একদা স্বপ্ন দেখা সেই ব্যাতিক্রমী গাছটির মৃত কাঠের সঙ্গে, সেই মৃতপ্রায় ব্যক্তির হাত দুটো, পা দুটো পেরেক দিয়ে পুঁতে দেওয়া হয়। সবশেষে সেই মানুষটির মাথায় কাঁটার মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়। মানুষটির রক্তে কাঠ ভেসে যায়। আস্তে আস্তে সেই কাঠটি মানুষটির শরীরটা ধারণ করে আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে।
    কাঠ জানে না কোন অপরাধে মানুষটির এই শাস্তি হলো। কাঠ শুধু নিঃশব্দে সাক্ষী রইল সেই মৃত্যু যন্ত্রণার। যে যন্ত্রনা পেয়ে মানুষটি মারা যাওয়ার আগে বলেছিল "পিতা, এরা জানে না এরা কি করছে, তুমি ওদের ক্ষমা করো"।
    ক্ষমা, এই শব্দটি কাঠটা সেদিন প্রথম শুনেছি।
    কাঠ জানত না, তার সেই সিন্দুক হতে চাওয়া বন্ধুটি, এক ঝড় জলের রাতে, আস্তাবলে জন্ম নেওয়া একটি শিশুকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছিল। তারপর থেকে মহামূল্যবান ধনরত্ন ধারন করতে না পারার দুঃখ আর তার নেই।
    ব্যতিক্রমী কাঠটি এটাও জানতো না, তার সেই জাহাজ না হতে পারা বন্ধুটি, কোন এক ঝড়ের দিনে, এমন এক যাত্রিকে নদী পার করিয়েছিল, যে মাঝ নদীতে হাত তুলে ঝড়কে শান্ত হতে বলায় ঝড় স্তব্ধ হয়ে গেছিল। তারপর থেকে জাহাজ হয়ে সমুদ্রে না ভাসতে পারার দুঃখ আর সেই ডিঙ্গি নৌকোর নেই।
    এত যন্ত্রনা পেয়েও, যে মানুষটি ক্ষমার কথা বলতে পারে তার মৃতদেহ নিজের শরীরে ধারণ করে কাঠ নিজের অজান্তেই তার স্বপ্নকে পূরণ করে ফেলল। সে চেয়েছিল তার দিকে মানুষ যখন তাকাবে তখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ঈশ্বরের পুত্রের দিকে আজও মানুষ যখন তাকায় তখন যিশুখ্রিস্টের সাথে সেই ক্রুশবিদ্ধ কাঠটির দিকেও তাকায় যে নিঃশব্দে একটি হত্যা ও ক্ষমার সাক্ষী হয়েছিল। এই একটি ক্ষমা যার কাছে মৃত্যুও মাথা নিচু করে দাঁড়ায়। এই একটি ক্ষমা, যা মৃত্যুকে অতিক্রম করে অমরত্ব স্পর্শ করে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ আগস্ট ২০২০ | ২৪৩১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    রুটি - Rumela Saha
    আরও পড়ুন
    কাঠাম - Rumela Saha
    আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 162.115.44.103 | ০৮ আগস্ট ২০২০ ০৪:২১96023
  • বাঃ
  • i | 110.175.176.241 | ০৮ আগস্ট ২০২০ ০৫:২৮96024
  • গল্পটি যে মৌলিক রচনা নয় এইটি লিখে দেওয়া উচিত ছিল।
  • Rumela Saha | ০৮ আগস্ট ২০২০ ০৭:৩১96029
  • @ I , 

    এটি যে গল্প সেটা কিন্তু কোথাও দাবি করা হয়নি। বিভাগটা ভালো করে লক্ষ করলে বোঝা যাবে। আর যাকে নিয়ে বিষয়টা লেখা, সেটা যে কখনোই মৌলিক হতে পারে না এই প্রাঞ্জল সত্যটা যিনি পড়বেন, তার বুদ্ধির ওপর লেখিকার আস্থা রয়েছে। 

  • i | 120.17.17.193 | ০৮ আগস্ট ২০২০ ০৮:০১96032
  • বেশ। তো, এই বুদ্ধিহীনের মতে, লেখাটি মৌলিক নয়, এটি জানানো প্রয়োজন ছিল।
  • π | ০৮ আগস্ট ২০২০ ০৮:২৫96034
  • এতো বাইবেলের গল্পের ভাবানুবাদ। সেটা লিখে দিলে ভাল হত।
    https://bible.org/illustration/story-three-trees
  • Atoz | 151.141.85.8 | ১০ আগস্ট ২০২০ ০৩:২৪96109
  • ও বাবা!!!!!!
  • :|: | 174.255.128.186 | ১১ আগস্ট ২০২০ ০৪:৩২96150
  • গল্প শেষে মন্তব্যগুলি পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে হলো, বিষয়বস্তু ছিলো ক্ষমা। অথচ ... ;)
  • S | 2a0b:f4c2:1::1 | ১১ আগস্ট ২০২০ ০৫:৪৭96151
  • সব ধর্মেরই একই কথা। তোমার সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে যদি তুমি আমার দলে থাকো। নইলে দাঙ্গা, যুদ্ধ, খুনখারাপি করে ক্ষমা আদায় করা হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন