এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • ক্রায়োনিকস

    ইন্দ্রাণী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৪ এপ্রিল ২০২০ | ১৭০২ বার পঠিত
  • পবিত্র এই ঘরটায় প্রায় ঘন্টা দেড়েক বসে আছে। শতদল মেসোর বাইরের ঘর — একটা সোফার ওপর কালচে নীল তোয়ালে, তার ওপরে বসে আছে পবিত্র, পায়ের কাছে কচ্ছপ ছাপ জ্বলে জ্বলে যাচ্ছে — সামনের চেয়ারে শতদল মেসো। ঘরে দুটো মোড়া, একটা তক্তপোষ — তাতে মলিন চাদর; সন্ধ্যে সাতটা হবে — মশারি তোলা হয় নি এখনও। ঘরের দেওয়াল নীলচে সবুজ, বড় ঘর। একটাই টিউব জ্বলছে — মাকড়শার জাল আর কালো ঝুল টিউবের সর্বাঙ্গে — ঘরের সব কোণে আলো পৌঁছচ্ছে না। আধো অন্ধকারে দুটো রসগোল্লা চামচ দিয়ে কেটে কেটে খাচ্ছিল পবিত্র। খুব ঠাণ্ডা রসগোল্লা — শতদল মেসো ফ্রিজ থেকে বের করে দিয়েছে। চামচে সামান্য আরশোলার গন্ধ। পবিত্র একবার শতদল মেসোর মুখের দিকে তাকালো।
    —কে তোমাদের বাজার করে মেসো? কে রাঁধে? আর কাচাকুচি? ঘর ঝাড়ামোছা?
    —আসে একজন। অনেকদিন ধরেই কাজ করছে, বুঝলে? ঝিমলি যখন ছোট সেই তখন থেকে। তার আবার পা ভেঙেছে, আসছে না কদিন। দেখছ না ঘরদোরের অবস্থা!
    শতদলমেসো আঙুল দিয়ে নীল-সবুজ দেওয়াল দেখায়, মাটির পুতুল-ভরা অন্ধকার আলমারি, প্রাচীন সিলিং-ফ্যান, ফাটা ফাটা লাল মেঝে।
    পবিত্রর অস্থির লাগে। বলে: মেসো, একটু টয়লেট যাই?
    পবিত্রর অনেকক্ষণই বাথরুম পেয়েছে। হাবড়া থেকে কলকাতার দক্ষিণে এই বর্ষায়। সেই দুপুরে বেরিয়েছিল। আসলে পবিত্র দিল্লি থেকে বাবার ছানি অপরেশন করাতে বাড়ি এসেছে। বাবার সঙ্গেই খুকুমাসি আর শতদলমেসোর কথা হচ্ছিল, অপারেশনের পরের দিন। খুকুমাসি আসলে মা’ র মামাতো বোন — বস্তুত খুকুমাসির বিয়ের খুঁটিনাটি অনেক কিছু পবিত্র এখনও মনে করতে পারে — টোপর পরা শতদলমেসো একটা গদিওলা চেয়ারে — দু’দিকে দুটো ফুলদানি, পায়ের তলায় লাল কার্পেট, পাঞ্জাবীর হাতা সামান্য গোটানো, কব্জিতে লাল সুতো, হাতে দর্পণ — চেয়ারের হাতলে, পায়ে বিস্তর কারুকাজ — ছবিতে মহাভারতে যে রকম রথ দেখেছিল পবিত্র, সেই সব রথের মত — বিয়েবাড়ির আলোয় শতদলমেসো যেন রথারূঢ় রাজপুত্র। পবিত্ররা হাঁ করে বর দেখছিল।
    সেদিন, বাবাই বলল: ওরা খুব একা হয়ে গেছে রে, মেয়েটাও সেরকম কিছু করল না — না পড়াশোনা, না বিয়ে — এখন তো কারোর সঙ্গেই যোগাযোগ নেই, খুকুর স্ট্রোকের পরে ওরা বেরোয় না বাড়ি থেকে। ফোনে কান্নাকাটি করে শতদল। তুই একবার ঘুরে আয়। ঠিকানা বাবাই দিয়েছিল। আজ হাবড়া থেকে খুকুমাসি আর মেসোকেই দেখতে এসেছে পবিত্র।
    সেই দুপুরে বেরিয়েছিল পবিত্র, ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে সে প্রথমে পৌঁছল এক ব্যায়াম সমিতিতে, সেখান থেকে কালীমন্দির তারপর যেখানে মিষ্টির দোকান আর তার পাশে খুকুমাসিদের বাড়ি থাকার কথা — সেখানে এক ফুটবল মাঠ দেখেছিল সে। তারপর একে তাকে জিগ্যেস করে বোঝে, ভুল গলিতে ঢুকেছে। আকাশ ঘন কালো করে বৃষ্টি আসছিল।
    বেল বাজিয়ে দাঁড়িয়েছিল পবিত্র। ভেতর থেকে মৃদু ‘কে’ শুনে সে তার নাম বলে, বলে: হাবড়া থেকে আসছি। শতদল মেসোই দরজা খুলেছিল তারও মিনিট পাঁচ পরে। ঐ দরজা খোলার দৃশ্যে পবিত্রর মনে হয়েছিল ভেজা হাতে ও যেন খোলা বৈদ্যুতিক তার ছুঁয়ে ফেলেছে — এই শতদল মেসো?
    মেসোর গায়ের রং বোঝা যাচ্ছিল না — ময়লা পাজামা, বাদামি আলোয়ান — মুখ, হাত, পায়ের পাতায় কে যেন কালি ঢেলে দিয়েছে, এক মুখ দাড়ি, পাকা চুল ঘাড় অবধি, বাঁ পা খুঁড়িয়ে হাঁটছিল মেসো। প্রণাম করতে গিয়ে বড় নখ আর নখে জমা ময়লা দেখল পবিত্র।
    —ফোন করে এলে না? এখন কী দিই তোমাকে খেতে? ঝিমলিও তো ফেরে নি অফিস থেকে
    —খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত হচ্ছ কেন? আমি তো খেয়েই এসেছি। দেখতে এলাম তোমাদের। তা ঝিমলি চাকরি করছে? কোথায়? বাবা কিছু বলল না তো।
    —ঐ নামেই চাকরি। সামান্য বেতন। তাও পার্মানেন্ট কিছু না। এই তো ক’দিন হ’ল। তোমার বাবা এখনও জানেন না। এইদিকে, এই ঘরে এসো — এই যে তোমার খুকুমাসি।
    ডানদিকের ঘরেই খুকুমাসি শুয়েছিল। মলিন চাদর, মশারি একপাশে গোটানো। পায়ের কাছে একটি মেয়ে বসে ঢুলছিল।
    খুকুমাসিও ঘুমিয়েছিল সম্ভবত। শতদলমেসো একটা চেয়ার এগিয়ে দিয়ে ওকে বসতে বলে — চেয়ার টানার শব্দেই খুকুমাসি জেগে যায়। মাথাভরা সাদা চুল, অস্থিচর্মসার খুকুমাসি চোখ খুলে হাত জোড় করে মাথায় ঠেকায় — একবার দু’বার তিনবার — বাঁদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে আবার নমস্কার করে একবার দু’বার তিনবার, আবার ডান দিকে ঘাড় ঘোরায়। তারপর পবিত্রর চোখের সামনে বিছানা ভিজিয়ে ফেলে। পবিত্র ঘেমে নেয়ে উঠে দাঁড়ায়। শতদল মেসো বলে: করুণা সব পরিষ্কার করবে — রোজের ব্যাপার। এভাবেই চলছে। এসো তুমি, এঘরে এসে বোসো। করুণা, ছ’টার ওষুধটা ভুলো না।
    তারপর থেকে পবিত্র পাশের ঘরে। আর শতদল মেসো সবিস্তারে খুকুমাসির অসুখের কথা বলে চলেছে। প্রতিটি কথা তিনবার করে বোঝায় পবিত্রকে, তারপর রক্তের রিপোর্ট, স্ক্যানের রিপোর্ট দেখায়, হাসপাতালের গল্প করে — রাত জাগার ভয়াবহ সব গল্প, তারপর ডাক্তারের দুর্ব্যবহার, সহৃদয় আয়া, অলস নার্স মেয়েটি, অ্যাম্বুল্যান্স পেতে সে কী দুর্ভোগ!
    —কেউ কিস্যু করে নি আমার জন্য, কেউ না, দেখলাম তো সব — তাও তোমার বাবা ফোন-টোন করেন মাঝে মাঝে। তুমিও তো এলে কত বছর পরে। সে যাক, আমি আর কারোর পরোয়া করি না, বুঝলে? কাউকে আসতেও বলি না, কোথাও যাইও না। জানলাটা বন্ধ করি দাঁড়াও, মশা ঢুকবে। তোমার শীত করছে না তো?
    —বিয়েবাড়ি-টাড়িগুলো গেলে পারো মেসো — অল্পক্ষণের জন্যই না হয় গেলে, ঝিমলিরও ভালো লাগবে। সবার সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, একদম একা একা মানে তাই বলছিলাম আর কি।
    —না হে, ভাল্লাগে না কিছু; এক এক সময়ে মনে হয়, কী মনে হয় জানো? পাশেই তো রেললাইন — দিই বাপ-মেয়েতে ঝাঁপ।
    —কী বলছ কী মেসো? এই রকম ভাবলে হয়? একা একা থাকো তাই এই সব চিন্তা — প্লীজ মেসো, লোকজনকে আসতে বলো, তুমিও যাও ঝিমলিকে নিয়ে।
    —ধুর কী হবে লোকজন দিয়ে — আর ক’টা দিন! এই ভাবেই বাঁচি।
    —খেলা-টেলা দেখো মেসো? টিভি দেখো?
    —টিভি খারাপ সেই কবে থেকে! বাপিকে বলেছি কতবার — এই তো মোড়ের মাথায় দোকান — এসে দেখে যাক, কী হয়েছে না হয়েছে, সারানো যাবে কিনা — তো তার আর সময় হয় না — আর কী হবে বল টিভি দেখে — ঐ যা একটু কাগজ পড়ি — এমন দিনে এলে তুমি — কী খেতে দিই তোমাকে? দুটো রসগোল্লা খাও বরং।
    জানলা বন্ধ করে, শতদলমেসো দুটো ধূপ ঘোরালো সারা ঘরে। তারপর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আলমারি থেকে চিনেমাটির প্লেট বের করল, একটা চামচও, তারপর ফ্রিজ খুলে রসগোল্লা দিল।
    বাথরুমে হাল্কা হতে হতে ভেজা দেওয়ালে বাঘ হরিণ আর বুড়ো মানুষ দেখছিল পবিত্র। ফিনাইলের গন্ধ, ডেটলের গন্ধ, প্যানে নানা রং-এর দাগ। পবিত্র চোখে মুখে জল দিয়ে ঘরে এলো।
    মশা এবং সমস্ত দুনিয়াকে ঘরের বাইরে রাখতে চাইলেও শব্দ আর গন্ধরা ঘরে চুইঁয়ে চুঁইয়ে ঢুকছিল। একটু আগে বৃষ্টি নেমেছিল; ঘরের সমস্ত জানলা বন্ধ, তাও বৃষ্টির শব্দ পাচ্ছিল পবিত্র, ভেজা রাস্তায় গাড়ির চাকার আওয়াজ পাচ্ছিল। বাইরের খোলা ড্রেনের গন্ধ ঘরের ধূপ আর ফিনাইলের গন্ধে মিশে ছিল। বৃষ্টির জলে গাড়ির চাকার যে আওয়াজ হচ্ছিল, ঠিক এই মুহূর্তের আওয়াজ তার থেকে আলাদা — পবিত্র বোঝে বৃষ্টি থেমে গেছে — এবারে ওঠা দরকার।
    ঝিমলি কখন ফিরবে জিগ্যেস করল পবিত্র।
    —এসে যাবে আর আধঘন্টার মধ্যে। এই তো, আমি গিয়ে দাঁড়াব বাসস্টপে। বাড়ি অবধি নিয়ে আসব। যা দিনকাল, বোঝই তো... তুমি আর একটু থাকতে পারলে দেখা হয়ে যাবে। অবশ্য এই বৃষ্টি-বাদলায় অত দূর যাবে। বসতেই বা বলি কী করে তোমাকে?
    পবিত্র আর বসে না। খুকুমাসির ঘরের দরজায় একবার দাঁড়ায়, তারপর জুতো পরে। শতদলমেসো সঙ্গে সঙ্গে আসে; চাদর সামলে দরজার খিল খোলে, তারপর কোল্যাপসিবল গেট তারপর জংধরা টিনের দরজা। বৃষ্টিতে ড্রেন উপচে পবিত্রর গোড়ালি অবধি জল।
    পবিত্র বলল: এলাম মেসো, তোমার শরীর ঠিক রেখো।
    শতদলমেসো মাথা নিচু করে বলে: আমার আর শরীর — তারপর হাহাকারের মত বলে: এসো। আর কি দেখা হবে?
    পবিত্র শতদলমেসোর হাত ধরল — ভেজা ভেজা কনকনে ঠাণ্ডা শিরা ওঠা —
    বাসস্টপের ছাউনির তলায় অন্ধকারে জনা কুড়ি লোক, মশা, সিগারেটের গন্ধ, কথাবার্তা চলছিল।
    —আজ আর বাস আসবে না মনে হয়; চৌরাস্তার দিকে হাঁটবেন?
    —একটা ট্যাক্সি এলে উঠে যাব — যাবি রে বাটু? পিন্টু?
    —আরে আসবে রে বাবা আসবে — এত দুর্যোগে একটু দেরি হবেনা? সবেতেই তোমার ইয়ে —
    পবিত্র ভিড়ে মিশে দাঁড়িয়ে রইল। ওর মনে হচ্ছিল, কখন বাস আসবে, হয়ত চৌরাস্তা অবধি হাঁটতেই হবে — তার চাইতে মেসোর কাছে আর কিছুক্ষণ বসে গেলেই হত — ঝিমলির সঙ্গেও দেখা হয়ে যেত।
    চাঁদের ওপর থেকে মেঘ সরে সরে যাচ্ছিল। তখনই উল্টোদিকের বাসস্টপে শতদলমেসোকে দেখল পবিত্র। বাদামি আলোয়ান, পাজামা, হাতে টর্চ, একটা বড় ছাতা। ঝিমলিকে নিতে এসেছে মেসো। পবিত্র রাস্তা পেরোবে কিনা ভাবছিল — তখনই অটোটা শতদলমেসোর সামনে থামল। ঝিমলি নামল। কাঁধে ব্যাগ, শালোয়ার কামিজ, পায়ের কাছটা ভেজা — দূর থেকে খুকুমাসির মতই লাগছিল। পবিত্র ভিড় থেকে বেরোল। ঝিমলি আর মেসো বাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছে — পিছন পিছন গিয়ে একদম বাড়ির সামনে ওদের অবাক করে দেবে — রাস্তা পেরোতে পেরোতে ভাবছিল পবিত্র।
    অন্ধকার ফুটপাথ ধরে টর্চ জ্বেলে মেসো আর ঝিমলি হাঁটছিল, ছাতাটা লাঠির মত ব্যবহার করছিল মেসো। মাঝে মাঝে মুখ তুলে আকাশ দেখছিল। পবিত্র দেখল — খুকুমাসির বাড়ি পেরিয়ে চলল ওরা — তারপর বাঁদিকের রাস্তায় ঢুকল। পবিত্র অবাক হ’ল প্রথমে, পরক্ষণেই মনে হ’ল, ওষুধ-টোষুধ কিনবে হয়ত —
    ওষুধের দোকান পেরিয়ে চলল বাবা মেয়ে। এদিকে কোথায় যাচ্ছে? এই রাস্তা দিয়ে আর একটু এগোলেই ঝিল, তারপরেই রেললাইন। দুপুরে পথ হারিয়ে ঘোরাঘুরির সময় গলি-টলিগুলো বুঝে গিয়েছে পবিত্র। ছ্যাঁত করে ওঠে বুক — কী সব বলছিল মেসো বিকেলে — পকেটের মোবাইলে হাত রেখে হাঁটার গতি বাড়ায় পবিত্র। বাবা মেয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলে, আকাশ দেখে আর হাঁটে। পিছন পিছন পবিত্র।
    আরও মিনিট পাঁচেক হেঁটে, ঝিলের ঠিক আগে ফুটপাথের ছোট বাজার, রোল, চাউমিনের দোকান। একটা রোলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল বাবা আর মেয়ে। সামান্য দূরত্বে অন্ধকারে পবিত্র।
    রোলের দোকানের টিউবলাইট ঘিরে মশা আর কিছু পতঙ্গ। আশেপাশের দোকান থেকে সামান্য আলো। ভেজা রাস্তায় জল আর চাঁদ ছিটকোচ্ছিল গাড়ির চাকায়।
    দোকানের সামনের প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে পড়ে বাবা মেয়ে — জগ থেকে হাঁ করে জল খায় ঝিমলি।
    —চপ না রোল খাবি ঝিমলি? খিদে পায় নি তোর? ঝিমলি ঘাড় নাড়লে দুটো রোল দিতে বলে শতদল মেসো।
    গলা তুলে বলতে থাকে: বেশ করে লংকাকুচি আর পেঁয়াজ দিও তো আর একটু বেশি সস। একটু বেশি সস, বুঝলে? কাল কম দিয়েছিলে। তোমার দোকানের সসটা না...
    ‘চ-অ-ক-স’ করে তৃপ্তির শব্দ করে মেসো — ঠোঁট জিভ আর দাঁত দিয়ে — সামান্য থুতু ছিটকোয়।
    পবিত্র দেখতে থাকে — প্লাস্টিকের চেয়ারে পা ছড়িয়ে বসেছে মেসো — দুহাত সামনে বাড়িয়ে বন্ধ ছাতাটা ধরে রেখেছে — হাওয়ার দাপট সামলাতে টানটান হাত — বাদলা হাওয়ায় লম্বা চুল উড়ছে, এদিক ওদিক তাকাচ্ছে তৃপ্তিভরা চোখে — ক্ষৌরিবিহীন কালচে মুখে রোলের দোকানের আলো, পায়ের কাছে খানিকটা জ্যোৎস্না; প্লাস্টিকের চেয়ারটা অবিকল একটা রথের মত দেখাচ্ছে এই মুহূর্তে।
    ন’টার ট্রেন ঝমঝম করে লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে গেল।

    " পাড়াতুতো চাঁদ" থেকে নেওয়া ( https://www.guruchandali.com/book.php?&page=4 )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৪ এপ্রিল ২০২০ | ১৭০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একলহমা | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১২:০৬92349
  • অসাধারণ! আর কিছু বলার নেই।

  • রঞ্জন | 172.69.34.67 | ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১৩:০৯92355
  • পাড়াতুতো চাঁদ বইটি পড়েছি। এই গল্পটি তাই দ্বিতীয়বার পড়লাম । তবু মুগ্ধতা কমল না ।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন