এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  উৎসব ২০১২

  • কিছু ফেলতে পারিনা

    ঈপ্সিতা পালভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    ইস্পেশাল | উৎসব ২০১২ | ২৩ নভেম্বর ২০১২ | ৯৭৮ বার পঠিত
  • কিছুই তো ফেলতে পারিনা।আর ফেলতে পারিনা বলেই গোছাতে পারিনা। এই বসে আছি বিছিয়ে, বিছানায়। বসে আছি ল্যাবের চেয়ারে, মাটিতে। কোথাও তো দাঁড়ি টানতে পারিনা। আর পারিনা বলেই গোটাতে পারিনা। এগোতে পারিনা।
    এই যে, দাঁড়িয়ে আছি, স্থির।
    শেষমেশ স্থির করলাম যে, যা কিছু ফেলার, তাকে আগে ফ্রেমবন্দি করব।
    যা কিছু ফেলার, ফেলার পরেও কোথাও তো থাকবে।
    যা কিছু না থাকলেও চলে বলে ধার্য করেছে সংসার। অতএব ফেলার।
    কিছু হলদে পাতা।সাদা পাতা হলে এদ্দিনে তা হলদে হয়েই যেত বোধহয়। হলদে পাতা হলদে হলে টের পাওয়া দায়। হলদে পাতারা পুরোনো হয় না। লেখাগুলো পুরানো।
    টুকরো টুকরো কিছু স্টিকি হলুদ পাতায় টুকরো টুকরো কিছু লেখা।
    কিছু আঁচড়। স্টিকি। অনেক কিছু কথা, যা বলতে পারিনি, কিছু কিছু কথা, যা বলব ভেবেছিলাম, বা অল্প কিছু কথা, যা বলেছিলাম। বলতে পেরেছিলাম।
    টুকরো টুকরো ক’রে।
    আমি তাদের জমিয়ে রাখতে থাকি। ফ্রেমে।
    তবু, কোথাও তো দাঁড়ি টানতে পারিনা। আর পারিনা বলেই গোটাতে পারিনা।
    এগোতে পারিনা।
    এই যে দাঁড়িয়ে আছি, স্থির, ক্যামেরার স্টিলে।
    তবুও কেবলি দৃশ্যের জন্ম হয়ে চলে।
    এক দৃশ্য আমাকে আরেক দৃশ্যে ঠেলে দ্যায়। দৃশ্যের গোলকধাঁধায়, আসলেতে আমি ঘুরপাক খেয়ে চলি।
    এগোতে পারিনা।
    চলচ্ছক্তিহীন হয়ে যাই, চলচ্ছক্তিহীন।
     
    কেমন করে এগোব? দৃশ্যেরা কেবলি জন্মে চলে। একই গর্ভ, একই ঔরস থেকে জন্মানো সব আলাদা আলাদা ভ্রূণ।
    সব আলাদা আলাদা ছবি।
    সাবজেক্ট এক হলেই ছবি এক হতে হবে নাকি? সেই পাউলির এক্সক্লুশন প্রিন্সিপলের মতন, সেই এক স্টেট না হওয়া দুটো ইলেকট্রনের মতন, এক জিনিসের দুটো ছবিও পুরো এক হয়না।
    আর আমার তাই আর এগোনোও হয় না।
    স্থিরছবি আসলেতে আমাকেই এক জায়গায় স্থির করে দিয়েছে।
    এই যে স্থির দাঁড়িয়ে আছি, বিছিয়ে।
    বিছিয়ে আছে রাস্তা, বিছানো ছায়া, আবছায়া আলো।
    বিছানো, যা কিছু ফেলে যাওয়ার কথা।
    কিছুই তো ফেলতে পারিনা।
     
    আমি তাদের জমিয়ে রাখতে থাকি। ফ্রেমে।
    আমি চলতে থাকি, এক দৃশ্য থেকে আরেক দৃশ্যে। আর তারপর দেখি, আমি ঘুরে চলেছি, না, একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তে নয়, আমি ঘুরে চলে একের পর এক দৃশ্যের বৃত্তে। উপবৃত্ত, পরাবৃত্তে। দৃশ্যাবর্তে।
    এগোতে পারিনা।
    এক দৃশ্য কেবলি অন্য দৃশ্যের জন্ম দিয়ে চলে, ছায়ারা ছবির।
    ফেলে যাবার কথা বলেই কি এত মায়া দিয়ে জড়িয়ে ধরে, এইসব ছায়ারা?
    এই ভাঙ্গা রাস্তার জলে ভাঙ্গা চাঁদের ভাঙতে থাকা ছায়ারা।
     
    সেই যে ছায়াদের সাথে ভাব করেছিলাম, এই শহরটাকে ভালোবাসতে গিয়ে। আসলেতে তো আসল শহরটা, ঝাঁ চকচকে ঝকঝকে তকতকে শহরটাকে আমি কোনোদিনই ভালবাসিনি। ছবির মতন সাজানো বাড়িঘর, লোকজন ...সেও ছিল ছবি থেকে ছবিতেই ঘুরে বেড়ানো, কিন্তু সে সুখের ছবি আমাকে সুখ দ্যায়নি, সে ঘুরে মরাও। আমি খুঁজছিলাম আমার শহরকে। পাইনি।
     
    তারপর একদিন দেখলাম, বৃষ্টি হলে, ধুয়ে গেলে, জল এসে দাঁড়ালে, আমার যেমনটি ইচ্ছে শহরটা তেমনটিই হয়ে যায়!
    গল্পরা কবিতা, মনে পড়ারা মন কেমন, ইতিহাসেরা রূপকথা, ফোটোগুলো হাতে আঁকা ছবি, ছায়াছবি।
    কালো পিচঢালা শহরের নিচে আমি আমার শহরকে খুঁজে পেয়ে যাই। যে শহরের রাস্তায় নিটোল যুবতী চাঁদ টালমাটাল করে আর শেষ রাতে পড়ে থাকে তার ছেঁড়াখোঁড়া শরীর, রাস্তার ভাঁজে ভাঁজে, খাঁজে খাঁজে। লাল নীল সবুজ আলো ধুইয়ে দ্যায় যে শহরের রাস্তাকে। হ্যালোজেন বৃষ্টিতে রং দিয়ে সাঁঝবাতির রূপকথা লেখে যে শহরের রাস্তায়।
    আর শুরু হয় সে শহরের সে রাস্তায়, আলোর ছায়ায় আমার ঘুরে মরা, সুখের ঘুরে মরা।
    আমি আমার শহরকে খুঁজে পেয়ে যাই। ক্যামেরার চোখে।  
     
    তবু, সুখ তো সততই সুখের নয়।
    শহর থেকে এই ফেরার বেলায়, ফেলে দেবার বেলায়, জমিয়ে রাখার উদগ্র তাড়নায় আমি প্রাণপণে ঘুরে চলি, ঘুরতেই থাকি, ঘুরতেই থাকি আর হাঁপাতে থাকি, হাঁপিয়ে পড়তে থাকি।
    আমি প্রাণপণে শেষ করতে চাই। তাই আরো জোরে ঘুরতে থাকি, সেই ক্রিটিকাল ভেলোসিটির আশায়, যা আমাকে ছিটকে দেবে, এই দৃশ্যবৃত্তের স্পর্শক বরাবর। আর কোন অদৃশ্য কেন্দ্রাতিগ বল আমাকে সেই দৃশ্যের বৃত্তে কেবলি ছোটাতে থাকে, কেবলি ছোটাতে থাকে। কেবলি দৃশ্যের জন্ম দিতে থাকে।এক আশ্চর্যজনক হারে।
    হাঁপাতে থাকি, হাঁপিয়ে পড়তে থাকি।
    আর আমি কিছুই ফেলতে পারিনা, কেবলি জমাতে থাকি ফ্রেমে।
    হাঁপাতে থাকি, হাঁপিয়ে পড়তে থাকি।
     
    তাই খুঁজতে থাকি, শেষের সেই মুহূর্তকে, একটা নাটকীয় মুহূর্ত, তার আসার আশায় আশায় বসে থাকি। যে আমাকে বের করে আনবে।ইতি টানবে এই খেলায়।এই গল্পে।
     
    এক জুতসই শেষের অপেক্ষায় বসে, না, না, ঘুরতে থাকি। এক অমোঘ দাঁড়ি।গল্পশেষের মাস্টারস্ট্রোক।
    ল্যাবের করিডোরে অন্তহীন হেঁটে চলায় ক্লান্ত আমি কোনদিন দেখব আমার ছবিতে করিডোরের EXIT, এর সামনে জুড়ে গেছে NO, আর সে
    ভাবি দি ফোটোশপ করে EXIT এর সামনে একটা NO জুড়ে। সে বড় নাটকীয় ছবি হবে। শেষ ছবি হিসেবে exit মোক্ষম।
    ধুর! ফোটোশপের কপটতায় খুঁতখুঁতানি আসে।
    আবারো দৃশ্য খুঁজে চলি। গল্প। গল্পের শেষ।
     
    কিন্তু আমার জীবনে তেমন গল্প আসেনা।
    কালচর রুমে মেঝের উপর পড়ে যাওয়া রক্ত মুছতে থাকি, মুছতেই থাকি, উঠতে থাকেনা, ক্লান্ত হয়ে যেতে থাকি আর দেখি আস্তে আস্তে রক্তের দাগ আরো গাঢ় হচ্ছে।
    নাঃ, আসলেতে দেখিনা। বরং দাগটা পুরো উঠে যায়।
    আমার ছাপোষা জীবনে নাটকীয় কোন শেষ পাইনা। তাই গল্প পাইনা। তাই বেরোতেও পারিনা।
     
    শেষমেশ ঠিক করি, সেমি-ছাপোষা শেষই সই। ডিসির বৃষ্টিমরা চাঁদ আর আধমরা হ্যালোজেনের আলো আঁধারিতে গালে হাত দেওয়া ক্লান্ত মানুষের লার্জার দ্যান লাইফ মূর্তি আর তার ইভেন লার্জার ছায়ার ছবি তুলে তার সাথে নিজের ছায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি এই বেশ, এই বুঝি শেষ।
    আর তারপরেই সেই মরা আলোয় ভূতে পাওয়ার মত হেঁটে চলি রাস্তার কোণে একলা বসা শ্রোতাবিহীন স্যাক্সোফোনিস্টের দিকে। তার সুরের টান নাকি তার একলা সোঁদা আলোছায়ার টান। ক্যামেরাতে টান দিতে গিয়ে দেখি ব্যাটারি শেষ। ভাবি, বেশ। বেশ হয়েছে।এই শেষ। এই সেই মুহূর্ত। অপূর্ণতা না থাকলে আর শেষ কীসের!
    আর তখনি হুড়মুড়িয়ে দৃশ্যেরা নামতে থাকে। বৃষ্টির ছাঁটের মত ছুটে।বড় বড় পষ্ট ফোঁটাদের সামনে এনে অফফোকাস হয়ে যায় যা কিছু বৃষ্টিতে ভিজেছিল। গাছের ডালের ফাঁকে উঁকি মারে পোস্টারের ভেজা চোখ, আধমরা ডালের নখ ছিঁড়েখূঁড়ে দ্যায় আধবুড়ি চাঁদের শরীর।আর বেনোজলে তার ছায়ায় ভেসে যায় আধোঘুমের শহর।
    চমৎকার !
    নাঃ, আর ভাবতে পারিনা বেশ। বেশ হয়েছে। এই শেষ।
    গুলি মারি শেষে।
    ভাবি, এইসব দৃশ্য তুলে রাখতে না পারা আমার করা পাপ সমূহের কিছুরই শাস্তি বোধহয়।কিন্তু এমন দৃশ্য ফেলে দিলে তো আরোই পাপ।
     
    সাত মাইল উজিয়ে দোকানে যাই, ব্যাটারি কিনে আনি। টুপটাপ ছড়ানো সব ছবিদের, সব তো পাইনা, যেটুকু যা পাই আবার কুড়িয়ে নিই। যেগুলো হারালো, তাদের খুঁজতে বেরোই।
    চমৎকার! ধরা যাক দু একটা দৃশ্য, আবার !
     
    নাঃ, এই পথে মুক্তি নেই। এই ভেজা আলোর পথে। আমি অন্য রাস্তা দেখি। মুহূর্তকে বানাতে চাই। পথের পাশের ইউরোপীয়ান রেস্তোরায় দেখি এক টেবিলে একা এক ওয়েটার। অপেক্ষারত ?
    পিছনের আশেপাশের ভরা টেবিলের লোকজনকে ব্লার করে দিয়ে আমি তার ছবি তুলি। আর অপেক্ষায় থাকি, সব লোকজন চলে গেলে তার একার ছবি তুলব। সেই একা ওয়েটারের জন্য অপেক্ষা আমাকে কেউ করতে দ্যায় না। সেই একা ওয়েটারকে আর আমি পাইনা। আমি তাকে খুঁজে চলি। আবার সেই ঘুরে চলা।আবার সেই খুঁজে চলা।আর চলতে চলতে...  
     
    বেঁচে যাই, ফেরার ফ্লাইটের সময় এলে। অবশেষে ঘেঁটি ধরে আমাকে বের করে আনলে।
    কী নিশ্চিত, আরাম লাগে। ক্যামেরা ছুঁই না আর। অপার শান্তি।
    আমার শহরে আমি। তাকে তো আর আমার ক্যামেরার চোখে খুঁজে দেখার দরকার নেই।
    ছায়ার ছবির দরকার নেই।
     
    আর তারপরেই বৃষ্টি নামে। নৌকা টলোমলো।
     
    এই ভাঙ্গা রাস্তার জলে বুড়িচাঁদ পড়ে আছে অনন্তকাল, আমি তার অন্ত পাই সাধ্য কী!
    শেষ নাহি পাই।
    শেষ নাহি যে।
     
     
    ফটোঃ লেখিকা, কোলাজঃ শ্রীপর্ণা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ২৩ নভেম্বর ২০১২ | ৯৭৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • 4z | 209.119.232.208 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০১:০৩89683
  • ভালো লাগল
  • siki | 69.161.16.80 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৩:৫১89684
  • আগে ভাবতাম মেয়েটা বড় হলে সাগরময় ঘোষ হবে। এখন অন্য নাম ভাবতে হবে।

    তুলকালাম হইসে।
  • শ্রী সদা | 127.194.202.231 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৫:২২89685
  • অসাম।
  • sosen | 111.62.33.143 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৬:০৮89679
  • বা: !
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.32.147 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৩০89686
  • বেশ ভাল লাগল । কোলাজটা তো তুলকালাম!
  • kumu | 132.160.159.184 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৮:৩১89680
  • তুলনাহীন!
  • গান্ধী | 213.110.246.230 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৫৪89681
  • বেশ
  • একক | 24.99.109.56 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ১০:০৬89687
  • পয়েন্ট তোলা যেত । আরও কম্প্যাক্ট । আরও সুচারু । কিছু অতিরিক্ত । কিন্তু না । ভঙ্গুর বলেই সব কিছু ভাঙ্গতে নেই।
    এই প্যাশনটুকুর জন্যেই লেখা পড়তে আসা ।
    আর হ্যা , হয়তো সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক । লেখাটি পড়তে শুরু করার খানিক পর থেকেই মাথায় একটি গান বাসা বাঁধলো আর যাচ্ছেতাই ভাবে গিলে নিলো লেখা -গান সব মিলিয়ে ------ "দেখাতে পারি নে কেন প্রাণ ,,,,,,,,"
  • de | 190.149.51.69 (*) | ২৩ নভেম্বর ২০১২ ১০:১৯89682
  • টুকরো কথার কোলাজ -- ভালো লাগলো !
  • শ্রাবণী | 69.94.107.141 (*) | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ০৪:৩৪89689
  • মায়াবী লেখা, কোলাজটার সঙ্গে মানিয়েছে এত, কোলাজটাও দারুন!
  • Raju | 129.192.206.11 (*) | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ০৬:৩০89690
  • আমি ছবি বানলে তোমার এই গল্পটাকে চিত্রনাট্যে রূপ দেবই, তোমার সম্মতির অপেক্ষায় রইলাম।
  • শিবাংশু | 127.201.160.240 (*) | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ০৭:৪২89691
  • হুমম...
    মেয়েটা লেখালিখির মধ্যে এসে গেলো।
    এবার আর টিপিক্যাল সম্পাদকের মতো লেখকের পিছনে লাঠি নিয়ে হয়তো আর তাড়া করবে না।

    আপাততঃ মুগ্ধতাটাই জানাই... ঃ-)
  • aranya | 154.160.98.31 (*) | ২৪ নভেম্বর ২০১২ ১২:০৪89688
  • সুপার্ব - লেখা আর কোলাজ, মায়াবী ভাল লাগা।
  • i | 134.168.44.74 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০১:২৮89692
  • এত স্বতঃস্ফূর্ত এত প্যাশনেট গদ্য!
  • siki | 24.96.171.252 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৫:১১89695
  • আবার সে এসেছে ফিরিয়া!
  • rivu | 78.232.113.69 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ০৮:২০89696
  • ঈপ্সিতা, কেমন করে লিখলেন এ মন কেমন করা কথামালা।

    কিছু বলার নেই। শুধু মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম। তাও ধার করা বাক্যবন্ধে।

    হৃদয়ের মধ্যে বাঁধে ঘর / অবরোধ, বরফ, কুয়াশা/ স্তব্ধমন, শব্দহীন ভাষা / অগ্নিকুন্ড, দীর্ঘ অবসর ;- / আর দুই মুগ্ধ অন্তর্বানি - / আমি - আর মুখোমুখি আমি ..

    বিদেশী ফাটকে আটক এক মানুষের ভালবাসা নেবেন।
  • ্রূপঙ্কর সরকার | 126.203.199.240 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১০:০১89693
  • লেখা তো জম্পেশ কিন্তু কোলাজ কই ? কই সে কোলাজ ? অনেকে দেখলেন, আমি কী দোষ করলুম রে বাবা।
  • গান্ধী | 213.110.246.230 (*) | ২৫ নভেম্বর ২০১২ ১১:০০89694
  • কোলাজটা কোতায় হারিয়ে গেল? আমিও দেখতে পাচ্ছিনা
  • Nina | 79.141.168.137 (*) | ২৬ নভেম্বর ২০১২ ০৩:১৮89697
  • অপূর্ব্ব !! অসাধারণ !
    আর কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা---
  • চৈতালি | 129.192.206.11 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১২ ০৫:০২89698
  • দুর্দান্ত লাগল। :)
  • মৌ | 233.223.137.46 (*) | ২৭ নভেম্বর ২০১২ ০৭:০২89699
  • দার-উন...।
  • swati | 76.135.100.194 (*) | ২৮ নভেম্বর ২০১২ ০৭:০২89700
  • সত্যিই তো, কিছুই ফেলতে পারিনা। আর পারি না বলেই তো জমে জমে অথৈ অকূল, পারানির কড়িটুকুও কোথায় হারিয়েছি সেই এক হাঁটু সমুদ্রে কে জানে .......
  • jhumjhumi | 127.194.234.86 (*) | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ১১:২১89701
  • সবাই সব বলে দিয়েছে, আমার আর কিছু বলার নেই। অসাধারণ !! লেখা কোলাজ দুটো ই।
  • শুদ্ধ | 127.194.248.72 (*) | ০১ ডিসেম্বর ২০১২ ০৫:৪৭89702
  • কিছু ফেলা যাক বা না যাক লেখাটার চর্চা যেন ফেলা না যায় এটাই বলার ইচ্ছে প্রবল হল। :)
  • sri | 127.194.4.90 (*) | ০২ ডিসেম্বর ২০১২ ০১:০১89703
  • ইপ্সিতা দি-র লেখাটা কোলাজ তা করার সময়েই পড়েছিলাম।। খুব ভালো লেগেছিল।। জানিয়েওছিলাম।। কোলাজ সবার ভালো লেগেছে আর সব্বাই প্রশংসা করছে দেখে হেব্বি খুশি হলাম।। কোলাজ এ ইপ্সিত দি-র তোলা প্রায় ৪০ টি ছবি ব্যবহার করেছি।। প্রত্যেকটা ছবি খুব ভালো বলে কোলাজ তা এত ভালো করতে পেরেছি।। :)
  • সুশান্ত | 127.203.162.88 (*) | ০৫ ডিসেম্বর ২০১২ ০৩:১১89705
  • ভালো লাগলো, কোলাজ এবং তার নির্মাণ রহস্য। জুড়িটিকে সাধুবাদ। এই জুড়ি অক্ষয় হোক!
  • sanhita | 212.54.54.240 (*) | ০৫ ডিসেম্বর ২০১২ ০৯:১৭89704
  • দুরন্ত
  • sumeru | 127.194.85.232 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০৭:৩০89706
  • এটিকে গপ্পো বলা হল কেন?
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 (*) | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ০১:৩১89707
  • ...জীবনের কোলাজ এমনই বটে! (y)
  • জ্যোতির্ময় | 213.171.246.248 (*) | ১০ মার্চ ২০১৩ ০১:৪০89708
  • অনুগল্প টা খুব সুন্দর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন