এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্য যৌনতা

  • অসুখ সারান

    ঈপ্সিতা পালভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্য যৌনতা | ২১ মে ২০১২ | ১৩৯৫ বার পঠিত
  • প্রথম কিস্তি

    থার্টি প্লাস পুত্র কিম্বা টোয়েন্টি সিক্স প্লাস কন্যার এযাবৎকাল তীব্র বিবাহবিমুখতার পিছনে অত্যধিক কেরিয়ারমনস্কতা থেকে শুরু করে কোষ্ঠীতে সাংসারিক বৈরাগ্যযোগ কি অন্য কোনো বিবাহিত পুরুষ বা নারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন, এই সব রকম সম্ভাবনাই তলিয়ে দেখতে গিয়ে আপনি যখন কুল কিনারা তল কিছুই পাচ্ছেন না, তখনই এল সেই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি বা সেকেণ্ডারী মেসেঞ্জার কর্তৃক প্রবাহিত ইনফো, সে সমকামী। হ্যাঁ,ঠিকই শুনেছেন। আপনার সন্তান সমকামী।

    তিনশোসাতাত্তরোত্তর যুগের বাসিন্দা হয়ে এই সংবাদে আপনি অবশ্যই আকাশ থেকে পড়েননি। কিন্তু আকাশ আপনার মাথায় ভেঙে পড়েনি একথা ঠিক হলফ করে বলতে পারা যাচ্ছে না। স্যুট প্যান্ট পরিহিত পুত্রবধূর চিবুক স্পর্শান্তে কুলো ঘুরিয়ে বরণ করে নেবার করণ জোহরীয় সিনের কল্পনা আপনাকে বিন্দুমাত্র কমিক রিলিফ দেবেনা, সে কথা অবিশ্যি অবশ্য করেই বলা যায়।

    সেটা স্বাভাবিকও। কারণ, আর যাই হোক, সমকামিতা তো আর স্বাভাবিক নয়। আপনার স্বাভাবিক বুদ্ধি বিচার প্রয়োগ করেই আপনি জানেন, এটি আর পাঁচ জন স্বাভাবিক মানুষের থেকে আলাদা ব্যাপার। সমকামিতা অপরাধ কি অপরাধ না, তাই নিয়ে আইনি তরজার কচকচানি নাহয় এখন, এখানে বাদই থাক। কারণ, আইন যাই বলুক না ক্যানো, এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করার মত রক্ষণশীল চিন্তাভাবনা আপনার মোটেও নেই। সমকামীদের ধরে ধরে ফাটকে চালান দেওয়া, এমনকি মৃত্যুদণ্ড অব্দি দেওয়ার মত মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে জিইয়ে রেখেছে যেসব ইসলামী ও আফ্রিকান দেশগুলি, আপনি তাদের অকুণ্ঠ কণ্ঠে নিন্দা করে থাকেন। কারণ আপনার স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধিই আপনাকে বলেছে,অসুস্থতা অপরাধ হতে পারেনা।

    হ্যাঁ, অসুস্থতা। চারপাশের বাকি মানুষজনের থেকে আলাদা হওয়া অস্বাভাবিকতা নয় তো কি? আর, অস্বাভাবিকতা, অসুখ নয় তো কী? এবং, অসুখ বলেই সমকামিতা সেরেও যেতে পারে। সারানোর চেষ্টা করলে।

    অতএব, অসুখ সারান।

    কিন্তু,এই গোড়াতেই যে গেরো! সারাতে চাইলেই তো আর পাচ্ছেন না! চিকিৎসা কোথায়, কীভাবে হয়, বা, আদৌ হয় কিনা, সে তো এ শহরের হলুদ পাতা থেকে শুরু করে সীতানাথ বাঁড়ুজ্জের নোটবুক, কোথাওই লেখা নেই। চাঁদসি কিম্বা লোধবাবুর পোস্টারে পোস্টারে আর হ্যানো ত্যানো ক্লিনিকের ছাতায় ছাতায় ছয়লাপ হয়ে ওঠা এই শহরে চুল পড়া থেকে চুলকানি, সবেরই অব্যর্থ চিকিৎসার হাল হাকিকৎ হারগিজ পাবেন। কিন্তু গুপ্ত রোগের বিজ্ঞাপিত লিস্টিতে এই রোগ এখনো নাম তোলেনি। গিয়ে দেখুন, গোপনে মদ থেকে শুরু করে প্রেম ছাড়ানোর কাউন্সিলরদের নাম ঠিকানা ফোন নং ই মেইল আইডিও পাড়ার মোড়ের বটবৃক্ষের ঝুরির সাথে ঝুলছে। কিন্তু, দুটি মিনিট চোখটি বুঁজে একটি বার ভাবুন দিকিনি, চৌরাস্তার মোড়ে, পার্কে, দোকানে, "সমকামিতা সারান" দেখেছেন কোনোখানে?

    আরো চাপ, এ নিয়ে পাড়া-প্রতিবেশী কি কলিগদের থেকে সেভাবে পরামর্শ চাইবার ও উপায় নেই, বিষয়টা, এমনই স্পর্শকাতর। চাইতে পারলেও লাভ নেই অবিশ্যি তেমন। পরামর্শ বলতে তো মিলবে ঐ আহা-উহু, সো স্যাড ,হাউ আনফরচুনেট ইত্যাদি ইত্যাদি শব্দযুগল কিম্বা দুই ড্রপ কুম্ভীরাশ্রুসিক্ত খিল্লির টোনাশ্রিত সহানুভূতি।

    অতএব অগতির গতি গুগল কাকু। আমাদের গুগল কাকু সব জানে।

    কিন্তু সেখানেও এখন বিধি বাম করে রেখেছেন, ওবামা সাহেব। এখন gay কি homosexuality টাইপ করুন, পাতার পর পাতা জুড়ে এখন তাঁর সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতিদানের খবর, আর তাই নিয়ে সমকামীদের হুল্লোড়বাজি। হপ্তা দুই ধরে হট টপিক। আর আরো তো আরো, homosexuality দিয়ে সার্চাতে গেলে আরোই গণ্ডগোল। সমকামীদের অসুখ সারানো যেত বলে যে স্টাডি দাবি করেছিল, তা কেন ভুল, এসব বলে এতদিন মনোবিদদের পাতার পর পাতার কাউন্টার তো ছিলই, আপনাকে কনফিউজ করার জন্য সবরকম উপকরণ সহ। দুদিন আগে খোদ সেই স্টাডির মূল কত্তাই বোম ফেলেছেন। ক্ষমা চেয়ে। রীতিমতন কান্নাকাটি করে। নিজেই কইছেন, স্টাডি নাকি ভুল ছিল। ক্ষমা চেয়েছেন আলাদা করে সেই সমকামীর কাছেও যিনি নাকি ওই সারানোর থেরাপি নিতে গিয়ে আত্মহত্যা করতে বসেছিলেন। কাকুকে এনিয়ে কিছু জিগালেই দেখবেন চলে আসছে,

    Psychiatry Giant Sorry for Backing Gay ‘Cure’,

    Psychiatrist-admits-gay-cure-study-flawed

    ফেসবুকে যাবেন? সেখানে তো দেয়ালে দেয়ালে এইসব পোস্টারের ছয়লাপ! সমকামিতা নাকি অসুখ তো নয়ই, উলটে হোমোফোবিয়াই নাকি অসুখ ! We are gay, we are lesbian, we are as normal as you ÏL love needs no cure লেখা প্ল্যাকার্ডপত্তর হাতে ছেলেপুলেদের ছবি-ছাব্বা।













    আর নেট ফোরাম গুলোতে গেলে এক দু পিস জনতা দেখবেন এরকম টু-পাইস জ্ঞান ঝেড়ে দিচ্ছে, ‘এরকম তো হতেই পারে, ভাল মনে মেনে নিন, সমকামিতা অপরাধ তো নয়ই, কোনো অসুখ ও নয়, এমনকি কোনো অসুখের উপস র্গও নয়’ ইত্যাদি সাত-সতেরো আট-ভাট। 

    তো, এ সবের মধ্যে আপনি তো পিওরলি এক পুওর কনফিউজড আত্মা।

    চিন্তা করবেন না, সেই কনফিউশন কাটিয়ে পথ দেখানোর জন্যই তো জ্ঞানাঞ্জন শলাকা, গুরু।

    বিবিধ তত্ত্বতালাশ করে ও পরমহংসের মত সেগুলি ফিল্টার করে আমরা একটি কম্প্রিহেন্সিভ টু ডু লিস্ট বানিয়ে দিচ্ছি, এ ধরণের সমস্যা ডিল করতে কী করিতে হইবে। যে যে উপায়ে এই নিয়ে চিকিৎসা করা হয়, তার একটা লিস্টি বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে আপনাকে, এবং একটি সেল্ফ হেল্প গাইড, যাতে আপনি এই চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে ফেলতে পারেন, যতটা সম্ভব নিজে নিজেই।
    এবং, যাদের যেসব কথা দ্বারা প্রভাবিত ও বিভ্রান্ত হয়ে সমকামিতাকে অসুখ নয় বলে ফেলার মত ভুল করে ফেলতে পারেন, তাদেরকে চিনে নেবার জন্য সংযোজিত হচ্ছে একটি নট টু ডু লিস্টিওঃ কী অ্যাভয়েড করবেন।

    কেবলমাত্র সমকামী সন্তান নয়, যেকোনো এ ক্সিস্টিং বা উড বি পিতা মাতাই এই লেখা পড়তে পারেন। কারণ সমকামিতা এমন একটি অসুখ, যা মাথা চাড়া দেবার আগে শৈশবেই চিহ্নিত ও নির্মূল  করা সম্ভব। আর কেবল পিতা মাতারাই কেন, নিজেদের সমকামী হিসেবে চিহ্নিত করা সকল ব্যক্তির জন্যই এই লেখা অবশ্যপাঠ্য। এটি তাঁদের সেল্ফ হেল্প কিওর গাইড হিসেবে কাজ করবে।

    স্কেপটিক্যালদের কথাকে গুলি মেরে  পড়তে থাকুন আমাদের সাজেশনাবলী। কেন পাত্তা দেবেন না, সে নিয়ে আমাদের পরামর্শাবলী। প্যারাগ্রাফ ব্রেক কে বাদ।

    ক। টু ডু লিস্টিঃ কী ট্রাই করবেন

    ১। ওষুধঃ

    ‘সমকামিতা তো ডিপ্রেশনের মতই একটি মানসিক অসুখ বই অন্য কিছু না।’ বলছেন মনস্তত্ববিদ ডঃ পি ই। এই অসুখের পিছনে একটি শারীরবৃত্তীয় কারণ বিদ্যমান, যেটি খুঁজে পাওয়া গেলেই এই অসুখের ওষুধ বের করা সম্ভব। বেশ কিছু ধরণের ডিপ্রেশনের জন্য যেমন দায়ী ফ্যাক্টরটিকে শনাক্ত করা গেছে, টি টু নামে একটি রিসেপ্টর হল কালপ্রিট আর আর তাকে টার্গেট করে বেরিয়ে গেছে ডিপ্রে শনের ওষুধ। স্বাভাবিক বিষমকামী মানুষ আর সমকামী মানুষের মস্তিষ্কের একটি তুলনামূলক ইমেজিং করলেই অস্বাভাবিকতার সেই শারীরবৃত্তীয় কারণগুলিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতে পারে, এরপরই গবেষণার লক্ষ্য হবে, ঐ ফ্যাক্টরগুলিকে বিষমকামী মানুষের মত স্বাভাবিক করে এরকম ওষুধ আবিষ্কার করা। তবে এটা অদূর ভবিষ্যতে সম্ভবপর বলেই মনে হয়।'
     অনেক ডাক্তারের মতে অবশ্য সেই স্পেসিফিক ওষুধ  বের হওয়া অব্দি অপেক্ষা করারও বিশেষ প্রয়োজন নেই। সমকামিতা নিউরো এপিলেপ্টিক দশার থেকে খুব আলাদা কিছু কি?  তাই সেমাপ, সেরেনেসের মত নিউরো এপিলেপ্টিক ওষুধ অনেকেই প্রেস  ক্রাইব করেন। কারুর কারুর মতে আবার বাজারে চালু যৌনতাবর্ধনকারী ওষুধপত্তরও চলতে পারে, সমকামিতা সারানোর জন্য।

    ২। ক্লিনিকঃ

    যাক, অনেক খুঁজে ডঃ লোধের নেট ভার্শনকে পেয়ে গেছি আমরা। সাতচল্লিশ বছরের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ ডঃ দিলবাগ।
    http://www.drdilbagclinic.com/homosexuality.html
    এখানে টাক, অর্শ, ভগন্দর, দাদ, হাজা, চুলকানি, রোগা ও লম্বা হওয়া র চি কিৎসা থেকে শুরু করে নারী  পুরুষের গোপন যৌন রোগ এবং সমকামিতা, স বেরই যত্ন সহকারে চিকিৎসা করা হয়। সমকামিতা ছাড়ানোয় সাফল্যের রেট তামাকু,  মদ, গাঁজা ছাড়ানোর থেকে  কম বা বেশি এব্যাপারে কোনো পরিসংখ্যান   পাওয়া না গেলেও, যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। দিলবাগসাহেব নেট স্যাভি ডাক্তার, ওনাকে দিয়ে লং ডিসট্যান্স চিকিৎসা করাতে অসুবিধা হবার কথা নয়।

    ৩। যোগাভ্যাসঃ

    ৩৭৭ ধারা সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে চ্যালেঞ্জ ফাইল করে শ্রী রামদেব জানিয়েছেন, ‘সমকামিতা জন্মগত রোগ বই কিছু না। তাই আরও নানা এরকম রোগের মতই যোগে এই রোগ বিয়োগ সম্ভব। মা নসিকভাবে বিকারগ্রস্ত লোকেরাই সমলিঙ্গের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এমন লোকেদের সংরক্ষণ দেওয়ার বদলে এদের জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প খোলা উচিত।’ বাবার রিহ্যাবিলিটেশন প্যাকেজে আছে যোগা ছাড়াও অনুলোম বিলোমাদি প্রাণায়াম ও অন্যান্য যৌগিক ক্রিয়া প্রক্রিয়া। এটি অসুখ কিনা এ ব্যাপারে নিঃসন্দেহ হবার জন্য পাশ্চাত্য থেকে আমদানিকৃত এই অসুখ নিয়ে বাবা কনসাল্ট করেছেন এক স্প্যানিশ মনোবিদকেও।





    ৪। প্রার্থনাঃ

    আপনার ধর্ম আপনার কাছে। বিশ্বাস, অবিশ্বাসও। সে নিয়ে কোনো বক্তব্য নাই। দক্ষিণেশ্বর কালিবাড়ি গিয়ে মানত করা, কি সমকামিতা সারাতে পীরের দরগায় কোরানের ভার্সাবলী লিখিত কাগজকুচি মেশানো জল খাওয়ানোর যে রেওয়াজ আছে, নাঃ, আমরা  আপনাকে সেসব কিছু করার পরামর্শ দিচ্ছিনা। কিন্তু, হ্যাঁ, বলছি, সিরিয়াসলি বলছি,এক্সডাস ইন্টারন্যাশানালএর মত সংস্থাঃ (http://www.exodusinternational.org/local ), যাঁরা ধর্মেও আছেন, চিকিৎসাশাস্ত্রেও আছেন, তাঁদের কর্মসূচীতে এই দুয়ের এক সুন্দর মেলবন্ধন দেখতে। ‘If you kept repeating you had “changed” – even if you had not – God would eventually grant you the miracle of heterosexuality as a reward for your faith’

    লক্ষ্যণীয়, সমকামিতা থেকে মুক্ত করো, এ প্রার্থনা এ নহে। বরং বা রবার বলতে বলা হচ্ছে, আমি সুস্থ, আমি মুক্ত, আমি বিষমকামী। আর এখানেই এটা ধর্মের ঐশ্বরিক পরিধি ছাড়িয়ে ঢুকে পড়ছে থেরাপির আঙিনায়। গড অর নো গড, একথা তো অনস্বীকার্য যে, জাস্ট প্রার্থনারই একটা মেন্টাল হিলিং এফেক্ট রয়েছে। এই যে, বারবার একটা কথা মন্ত্রের মত উচ্চারণ করা, সেটির জন্য নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত করা, মনের জোর আনা মানসিক অসুখ সারাবার জন্য এই অভ্যাস জাস্ট ম্যাজিকের মত কাজ করতে পারে। না না, ব্ল্যাক ম্যাজিক না। পিওর সায়েন্স। চার্চে সমবেত মন্ত্রোচ্চারণের ধ্বনি প্রতিধ্বনির তরঙ্গের কম্পাঙ্কে রেসোনেট করে হয়তো টিউনড হয়ে গেল সেই এখনো অধরা ‘গে জিন ’ এর সুইচটি। বলা তো যায় না। কখন কী ঘটে যায় কিচ্ছুই বলা যায়না।

    সমকামিতা ছাড়াতে এনারা দিয়েছেন বিবিধ অপশন। দেশে বসে নিকটবর্তী কোন এক্সোডাস মিনিস্ট্রির স্থানীয় শাখায় যাবার সুযোগ আপনার নেই ,কিন্তু আপনার মত লোকজনের মাথায় রেখেই ওনারা বন্দোবস্ত করেছেন,দূরাভাষালাপে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে হোমোথেরাপেউটিক কাউন্সেলিংএর। দেশে, দেশে, শহরে, শহরে এরকম অনেক শিবিরের ওনারা আয়োজন করেছেন। এই কিছুদিন আগে হয়ে গেল ব্যাঙ্গালোরেও। ওনাদের মেইল গ্রুপের সদস্য হয়ে যান, নিউজলেটারের মাধ্যমে এগুলোর নিয়মিত খোঁজখবর পাবেন। যৌনতা চিকিৎসায় সাইকোথেরাপেউটিক টুল হিসেবে ঈশ্বরপ্রেমকে মোটেও আণ্ডারএস্টিমেট করবেন না। একে অবলম্বন করে কিছু এত এত মানুষ যৌনতাকে অবদমন করে আজীবন ব্রহ্মচর্য পালন করতে পারলেন, শুধু এই ইউরোপের কিছু পাদ্রী বা নিত্যানন্দর মত কজন ব্যতিক্রম বাদে, চৈতন্যদেব নিজেকে রাধা ভেবে বিনা সার্জারিতে সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনই বদলে ফেলতে পারলেন, তো, সমলিঙ্গকামনা দূর করা যাবে না?

    ৫। বইঃ

    আমাদের বাছাইঃ পুরুষ সমকামিতা সারানোর জন্য জো ডালাস প্রণীত ‘ ডিসায়ারস ইন কনফ্লিক্ট ’ ও লেসবিয়ানত্ব কাটাতে অ্যানা পোলকের 'রেস্টোরিং সেক্সুয়াল আইডেন্টিটি'। দ্বিতীয় বইটিতে লেখিকা নিজে ছিলেন লেসবিয়ান। কীভাবে নিজে এই   অসুখ সারিয়েছেন, রয়েছে সেই রেয়ার ও মূল্যবান অ্যাকাউন্ট । দুটি বইয়েরই মূল্য ৬৭৬ টাকা।

    আর প্রিভেনশন কিওর হতে বেটার, সুবিদিত এই আপ্তবাক্য স্মরণে রেখে উঠতি বয়সের সন্তানের পিতামাতার জন্য এই একটি বই আমরা অবশ্যই রেকো করবো। নার্থ ( ন্যাশানল ইন্সটিটিউট ফর রিসা র্চ অ্যাণ্ড থেরাপি অব হোমোসেক্সুয়ালিটি) এর নিকোলসি দম্পতি প্রণীত এই A Parent’s Guide to Preventing Homosexuality। শৈশব থেকে সঠিক ভাবে লালন পালন করলেও সুস্থ বিষমকামী প্রবণতার ব্যতিক্রম দেখা যেতেই পারে, অধুনা প্রচারিত এই মিথটির মূলে কুঠারাঘাত করতে চেয়েছেন শ্রী ও শ্রীমতি নিকোলসি। তাঁদের ও নার্থের সাথে যুক্ত অন্যান্যদের দীর্ঘদিনের ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা ও পেশাদারী গবেষণার ভিত্তিতে তাঁরা অবশেষে সক্ষম হয়েছেন, সেই এক্স ফ্যাক্টরগুলি শনাক্ত করতে, একটি শিশুর মধ্যে নারী-পুরুষ সম্বন্ধে সুস্থ বিপরীত লিঙ্গা কর্ষণকারী প্রবণতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। উল্টো করে বললে, সমকামিতার মত অসুস্থ প্রবৃত্তির প্রতি শৈশব থেকেই বিরূপতা তৈরি করবে।
    এই সব কটি বইয়ের উপরই ফ্লিপকার্ট ২৩% ছাড় দিচ্ছে এবং পাচ্ছেন ফ্রি শিপিং। অতএব দেরি না করে সত্বর অর্ডার প্লেস করে দিন।

    ৬। কিছু বিশেষ পরামর্শঃ

    ব্যারি লেভির মত খ্রীষ্টান গে থেরাপিস্ট দিয়েছেন কিছু টিপস, সমকামিতার উপসর্গ গুলি  কে শৈশবেই চিহ্নিত করা জন্য,শিকড় গভীরে যাবার আগেই যাতে উপড়ে ফেলা সহজ হয়। আপনার সন্তান কি ঠিকঠাক বল ছুঁড়তে পারে না? বন্দুক দিয়ে  গুলি করতে পারে না? নিশানায় তীরক্ষেপ করতে অপারগ? সেক্ষেত্রে আপনার সন্তানের মধ্যে সমকামিতা প্রবণতা লুক্কায়িত। সমকামিতা আর চোখ ও হাতের কো-অর্ডিনেশনের মধ্যে উচ্চমাত্রায় কো-রিলেশন আছে, তাঁর কাউন্সেলিংগত অভিজ্ঞতা থেকে জানাচ্ছেন লেভি। শুধু উপসর্গ উল্লেখমাত্র নয়, কো-রিলেশনাল স্টাডি থেকে লেভি খুঁজে পেয়েছেন এর পিছনে সম্ভাব্য কারণও। যেসব শিশু ছোটবেলায় একা থাকে, স্বাভাবিকভাবেই সে নিজে নিজে খেলা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর নিজের খেলার জন্য নিজের যৌনাঙ্গের একটা স্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে। কথাটায় দম আছে কিন্তু। লজিকের দম। নিজের লিঙ্গ আর সম লিঙ্গ, বায়োফিজিক্যালি তফাত কই? তো , এতে একবার আনন্দ পেতে শুরু করলে আর তাতে অভ্যস্ত হতে শুরু করলে কৈশোরকালে সেটা সমলিঙ্গের আকর্ষণে পরিণত হবে, এতে আর আশ্চর্যের কি। এসবে নজরদারি চালু করুন। ইউরোপে হস্তমৈথুনের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে খামোখাই ডিসিপ্লিনারি হ্যানো ত্যানো তত্ত্বের বান ডাকলেন ফুকোর চ্যালারা, এই অ্যাসপেক্টটা কিন্তু ভেবেই   দেখেননি।

    ৭। অ্যাভার্শন থেরাপিঃ

    একেবারেই বেঁকে যাওয়া কেস? সেক্ষেত্রে ওরিয়েন্টেশান স্ট্রে ট করতে আপনাকেও একটু আঙুল যে বেঁকাতেই হবে। ক্যুবরিকের ক্লকওয়ার্ক ওরেঞ্জ  মনে পড়ে? অ্যালেক্সের সেই চরম হিংসাত্মক মনোভাব সারানোর জন্য সেই অভিনব থেরাপি ? হিটলারী হিংসা দেখাতে দেখাতে উত্তাল বমন উদ্রেককারী ওষুধের প্রয়োগ? ব্যাপারটা ডিট্টো তাই। হিংসা হোক কি হোমোসেক্সুয়ালিটি, আদতে তো সেই একই মনোবৈকল্য। নগ্ন  পুরুষের ছবি দেখানো হবে, আর তার সাথে সাথে ইলেকট্রিক শক কিংবা সেই ওষুধ পুরো একটা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি দশা হয় আর আপনি বাঁচলে তবে পুরুষ সঙ্গী র নাম নেবো, এরকম এক টা অবস্থা করে দেওয়া যায়, তো কেল্লা ফতে। 

    অর্থাৎ এই সমলিঙ্গকামনার সঙ্গে অ্যাসোসিয়েট করে দিতে হবে অত্যন্ত অপ্রীতিকর একটি অনুভূতি। দেশে এখনো বহু জায়গাতেই এই শক থেরাপি চালু আছে, তবে এমন কিছু হাতিঘোড়া ব্যাপার এটা না,আপনি নিজেই বাড়িতে বসে এটি বানিয়ে নিতে পারেন। শস্তা ও সহজ । লাগবে একটি ১৫ সেমি স্কোয়ার ও ২ সেমি গভীরতাবিশিষ্ট একটি কাঠের বাক্স, ব্যাটারি, বাস। ক্লাস টেন ইলেভেনের ইলেকট্রনিক্সের চ্যাপ্টারটা একটু ঝালিয়ে নিয়ে সোজা এই সাইটটিতে চলে যান। 

    http://www.boxturtlebulletin.com/2008/01/18/1301

    সার্কিট ডায়াগ্রাম সহ স্টেপ বাই বর্ণনা করা আছে, কী ভাবে যন্ত্রটি বানাতে হবে। চাইলে পাতাটির প্রিন্ট আউট নিয়ে পাড়ার ইলেকট্রনিক্স গুডসের দোকানের ছোকরাটাকে দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন। এরপর শক কীভাবে দিতে হবে তার পদ্ধতির ডিটেল্‌স বর্ণনা ওখানেই পেয়ে যাবেন।



    ৮। রিপারেটিভ থেরাপিঃ

    নার্থ (ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর রিসার্চ এন্ড থেরাপি ফর হোমোসেক্সুয়ালিটি), রিলিজিয়স টলারেন্স, এক্স-গে র মত প্রাক্তন গে-দের তৈরি সংস্থা বহুদিন ধরে সমকামিতা সারানো নিয়ে গবেষণা, কাউন্সিলিং করে আসছেন। অ্যাভার্শন না, অ্যাফার্মেটিভ থেরাপিতে উৎসাহ দিচ্ছেন নার্থের মনোবিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ, বিষমকামিতাকে ভালো লাগানোর চেষ্টা। এর জন্য কোনো ডাক্তারের কাছেও যাবার তেমন দরকার নেয়। কিছু নমুনা দেওয়া হচ্ছে, এগুলো আপনি বাড়িতেই অভ্যাস করাতে পারেন। প্রয়োজনমত কিছু কিছু ব্যাপা রে একটু দেশী টাচ আনতে হবে।

    পুরুষদের সমকামিতা ছাড়ানোর জন্য কিছু টিপসঃ

    অ। নিয়মিত খেলাধূলা করতে হবে। আউটডোর গেমস। আগ্রহ না থাকলেও কিছুটা জোর করেই শুরু করতে হবে।

    আ। আর্টমিউজিয়াম ভ্রমণ, অপেরা,সিম্ফনি শোনা দেখা গেছে, সমকামীরা এগুলোর প্রতি  বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। তো, এধরণের সখী সখী অ্যাক্টিভিটি থেকে সচেতনভাবে বিরত থাকতে হবে। মানে, ছেলেপুলে ঐ নন্দন, অ্যাকাডেমি, রবীন্দ্রসদন এরিয়াতে যত কম যায়, ভালো।

    ই। রোম্যাণ্টিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব, এরকম নারী ব্যতীত অন্যদের যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলতে হবে। অর্থাৎ নারী সম্বন্ধে অন্যরকম কোনো সম্পর্কে ভাবনার অভ্যেসটা কাটানোর চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে, মা  হিসেবে আপনার কর্তব্য, ছেলের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন একদম কমিয়ে দেওয়া। মেয়েকেও দাদার সাথে মিশতে দেবেন না।

    ঈ । বিষমকামী স্বাভাবিক পুরুষের সাথে মেলামেশা বাড়াতে হবে। তাদেরকে কাছ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে,তাদের হাঁটাচলা, কথা বলার ধরণ এবং অন্য পুরুষ ও নারীর সাথে তাঁদের আচরণ,এগুলোকে পদে পদে অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে।

    উ । চার্চে নিয়মিত যেতে হবে। ‘মেন স চার্চ গ্রুপ ’এর মত সংস্থা য় নাম লেখাতে হবে। আপনি এক্ষেত্রে আরেসেসের ‘শাখা’ র ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে পারেন।

    ঊ । নারীদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতে ও ডেটে যেতে উৎসাহ দিন।এ ক্ষেত্রে আপনাকে আরো একটি ব্যাপারে সচেতনভাবে ছুঁৎমার্গ বর্জন করতেই হবে। পরে বিবাহ হোক কি না হোক, নারীর সাথে যেভাবে হোক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করাতে হবে। চিকিৎসার খাতিরে এটুকু মেনে নিতেই হবে বস। নগ্ন নারীর ছবি, মুভি, পর্নোগ্রাফি এগুলোও বাধ্যতামূলক ভাবে বেশি বেশি করে দেখাতে হবে। চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে ।

    এ । তবে, ঐ আর কি। এসবে কিছু করার সুযোগ সুবিধে না হলেও তেমন চিন্তা করবেন না। একটি সর্বরোগহর ট্রায়েড এণ্ড টেস্টেড এজ ওল্ড মোক্ষম দাওয়াই থাকতে। বিবাহ। একটা বিয়ে দিলে আর বাচ্চা কাচ্চা হলেই সব ঠিক হয়ে যায়। মাথার গণ্ডগোল থেকে সমকামিতা। বুদ্ধ বা চৈতন্যর মত কিছু মহাপুরুষ ব্যতিরেকে বাকি সবার  জন্যই এটা কাজে দিয়েছে বলে শোনা যায়। আর রামকৃষ্ণদেবের বেলাতেও শোনা যায় একটু গণ্ডগোল হয়ে গেছিল। ঐ ওনার সমকামী সম্পর্ক নিয়ে জানি কিসব কিস্‌সা বাজারে চলে। তা চলুক, আর ঠিক হলেই বা কি। exception proves the rule এই আপ্তবাক্য এবং সিদ্ধিদাতাকে স্মরণ করে শুভ সিদ্ধান্তটি শীঘ্র শীঘ্র নিয়ে ফেলুন। ;-)

    না না, এখানেই শেষ নয়। প্যাকেজের প্রমিস মত আপনার  জন্য অতি প্রয়োজনীয় কী কী আভয়েড করবেন, সেই নট টু ডু লিস্টিটিও আসিতেছে। এক হপ্তা বাদ। সঙ্গে থাকুন। :-)

    কার্টুনঃ সতীশ আচার্য, মিড ডে, অনুমতিক্রমে।
    অন্যান্য ছবিঃ আন্তর্জাল

    পরের কিস্তি

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্য যৌনতা | ২১ মে ২০১২ | ১৩৯৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 (*) | ২২ মে ২০১২ ০১:০৯89554
  • মার্কিন হুজুগে ওবামা একটু নতুন হাওয়া দিয়েছেন (রাজনৈতিক?) মাত্র। অনেকটা উইএফও'র মতোন।
    যারা সমকামীতাকে অস্বাভাবিক বা পাপ বা অসুখ মনে করেন, তাদের জন্য এই লেখাটি একটি প্রচণ্ড চপেটাঘাত। শাবাশ ঈপ্সিতা!
  • সুরজিত্‍ সেন | 127.194.3.208 (*) | ২২ মে ২০১২ ০৩:০৬89553
  • লেখাটা খুব ভালো, হিউমার আর ইনফর্মেশন যে ভাবে এসেছে, তা চমত্‍কার। সত্যি সমকামিতা নিয়ে সমাজ কী করবে ভেবে পায় না। সে মার্কিন বা ভারত যে দেশ ই হক না কেন।
  • মৌ | 233.223.134.113 (*) | ২২ মে ২০১২ ০৪:০২89555
  • প্রথম লেখাটা পড়েছিলাম গুরুর ম্যাগাজিনে। কয়েকজন বন্ধুদের দিয়েছিলাম পোড়তে, আগে ৩৭৭ নাম শুনলেই হাউ-মাউ-খাউ করে আল-ফাল কথা বলতো, এখন একটু ভেবে চিনতে কথা বলে।
    এবারের লেখাটা বেশ ঘোষে-মেজে আরও চমৎকার করা হয়েছে। প্রথম কিস্তিটা বেশ লাগলো, আশা করি পুরোটা হার্ড কপিতে বেরোবে তাড়াতাড়ি...।
  • Nina | 22.149.39.84 (*) | ২২ মে ২০১২ ০৭:০০89556
  • wow! ব্রাভো পাই---চলুক চলুক---
  • riddhi | 74.134.148.140 (*) | ২২ মে ২০১২ ০৮:৩১89557
  • এই ধরনের জিনিস আরো বেশী লেখা আর প্রচার হোক। ভারী ভারী প্রবন্ধের চেয়ে অনেক কাজের। পরের কিস্তিতে কি থাকবে? অনেকে আবার পেডোফিলিয়া আর হোমো গুলিয়ে ফেলে, এনেকডোটাল অভিজ্ঞতা থেকেই বলে, এগুলো নিয়ে একটু হাল্কা করে লিখলে ভাল হয়।
  • কেলো | 127.254.255.19 (*) | ২৪ মে ২০১২ ০৬:০২89558
  • খালি কামনা আর কামনা।
    একই পয়সার হয় এপিঠ নয় ওপিঠ - হয় সমকামনা, নয় বিসমকামনা...

    কামুক এ জগতে নিষ্কাম মানুষদের কথা কেউ লেখে না! এমনকি ঈপ্সিতাদিদিও না..
    :-(
  • ঈপ্সিতাদিদি | 82.83.81.233 (*) | ২৪ মে ২০১২ ০৬:২৬89559
  • কেলোদা, ঃ))

    কিন্তু ওই যে ঈশ্বরপ্রেমের সাইকোথেরাপি। ওতে তো নিষ্কাম হয়ে যাওয়াকেই ওষুধ বলছে ঃ)
  • shibanshu | 127.197.247.33 (*) | ২৬ মে ২০১২ ০৫:৪৭89560
  • নাহ.... লেখাটা সত্যিই ভালো হয়েছে....
  • adris biswas | 127.254.83.142 (*) | ২৭ মে ২০১২ ১২:৩৬89562
  • khubi porisrom kore chamotkar ekta lekha likhecho. valo laglo pore.
  • adris biswas | 127.254.83.142 (*) | ২৭ মে ২০১২ ১২:৩৭89563
  • khubi porisrom kore chamotkar ekta lekha likhecho. valo laglo pore.
  • নিশান | 82.89.200.226 (*) | ২৭ মে ২০১২ ১২:৫৯89561
  • চমৎকার লেখা, :) তবে আমার মনে হয় ভারতে বাড়াবাড়িটা বেশি, আমেরিকাতেও আছে, কিন্তু বেশ কিছু লোক নতুন ভাবে ভাবছে, যার সংখ্যাটা ভারতের চেয়ে বেশি বলে আমার মনে হয়, তবে বদলালে আমার নিজেরও কিছু বদলানো দরকার, নাহলে রুমমেটের গার্লফ্রেণ্ডের সাথে ঝগড়ার সময় আমাকে ফ্যাগট গাল দেওয়ার সাথে সাথে আমারও ঘুরে গালাগাল করার দরকার হোতো না, কিছু জিনিস এত গেড়ে বসে যায় মাঝে মাঝে যে তাড়ানো ভারী মুস্কিল হয়, আর সেগুলো র্যাশনালিটি এবং সুস্থতার মুখোশ ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে পাকে পড়লে :(
  • Misty | 230.225.12.210 (*) | ৩১ মে ২০১২ ০৭:১৬89564
  • guru jara poren na ebong ebishoye onyro rokom vaben, tader gyan chokkhu kholanor jonyo notun kichu funda pawa gyalo
  • Subhankar Ghosal | 127.194.101.58 (*) | ২৫ জুন ২০১২ ১১:১৬89565
  • খুবই ভাল হয়েছে লেখাটা তথ্য পূর্ণ এবং একটু বিদ্রুপাত্মক । তবে কি জানো মাঝে মাঝে ভয় ও হয় এই রখম লেখায় তো আনেক তথ্য থাকে এবার সেটা আমাদের জনগণ নানাভাবে ব্যাবহার করে থাকে । অনেক সময় তথ্য প্রকাশ করলেও চাপ হয়ে যায় । যেমন যেকোনো ১০ ক্লাস পাস করা ছাত্র যদি একটু বুদ্ধিমান হয় তাহলে নেট ঘেঁটে একটা বোম বানিয়ে ফেলতে পারে। এরখম দেখা গেছে আনেকে আগে জানতই না বাচ্ছা জন্মাবার আগে ছেলে মেয়ে বোঝা যায় । অদ্ভূত বিষয় এই ব্যাপারটা যখন জনসমক্ষে এল কিছু লোক আবার এই প্রচার কে নিজের ক্লিনিক চালানোর প্রচার এর মত ব্যবহার করতে লাগল। তেমনই আবার না কোন বাবা মা এই লেখাটা পরে রামদেব এর চ্যালা হতে ছোটে। :)
  • রূপঙ্কর সরকার | 126.202.213.167 (*) | ২৬ জুন ২০১২ ০৫:২২89566
  • পৃথিবীর জনসংখ্যা সাত বিলিয়ন টপকে গেছে। আয় বাছা, দলে দলে আয়। যুদ্ধ, জেনোসাইড, দুর্ভিক্ষ বা মড়কের চেয়ে ঢের ভাল অপশন। তবে বাছা দু এক পিস হেট্রো এবং মেট্রো বাঁচিয়ে রাখিস - ল্যাম্প, মানে বাতি দিতে।
  • tatin | 140.39.149.53 (*) | ০৭ জুলাই ২০১২ ০১:৫৫89567
  • বাতি দেওয়ার জায়গাটা নিয়েই সমস্যা। কোনো বাবা মা যদি তাঁদের একমাত্র সন্তানের সন্তান হোক চান, সেই চাওয়াকে কি দোষ দেওয়া যায়? সেক্ষেত্রে সন্তান হোমোসেক্সুয়াল হলে তাঁরা প্রতিকার চাইতেই পারেন না কি?
  • priyanka | 24.99.139.66 (*) | ০৭ জুলাই ২০১২ ০৯:২৭89568
  • চাইতেই পারেন বাবা মা। কিন্তু আমার মতে সন্তান তো আসলে বাবা মা'র অন্গ্শ নয়ে। স্ব-ই্চ্ছাএ গরা মানুশ ই তো। আর, সন্তান'এর ব্যাপার তো বেশ অন্য ব্যাপার। মানে, আমার'ই এক বন্ধু সন্তান চায় না, স্বামী স্ত্রী মিলে সিদ্ধান্ত।
  • pi | 82.83.87.188 (*) | ০৮ জুলাই ২০১২ ০৪:৪৯89569
  • সেই। ছেলের সন্তান না হলেও 'প্রতিকার' চাইতেই পারেন। বৌকে মেরে বা তাড়িয়ে, ছেলের আবার বিয়ে দিয়ে 'বাতি দেবার' সমস্যা দূর করতে চাইতে পারেন।
  • tatin | 140.39.149.53 (*) | ০৮ জুলাই ২০১২ ০৬:২৪89570
  • সেগুলো অন্য কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে বাবা মা এমন কী ছেলেটির নিজের কাছেও সমকামিতাকে অস্বাভাবিকতা ধরে তার চিকিৎসা চাইবার মধ্যে দোষের কী আছে?
    বউকে মেরে না তাড়িয়ে তার চিকিৎসা তো করানো হয়
  • riddhiman | 118.218.136.234 (*) | ০৮ জুলাই ২০১২ ১১:২৬89571
  • সে তো চাইতেই পারে। কত কিছুই তো বাবা মা চান। ১৮-এর আগে যদি জোর ও করে লিগালি কিছু করাও যাবে না। কিন্তু 'সমকামিতা সারানো' বলে সত্যি তো কিছু নেই। তাই সেই চেষ্টা গুলো তো বেকার যাবে। এটা নিয়ে আগে জানলে, ফালতু চেষ্টা করে আরো বেশী কষ্ট পাওয়া কমবে।
  • সিকি | 132.177.176.214 (*) | ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩ ০৯:০০89572
  • রিলেটেড লেখাটা এক্ষুনি খুঁজে পেলাম না, তাই এখানেই দিয়ে দিই।

    ব্রিটেন অবশেষে গে কম্পিউটার প্রডিজি অ্যালান ট্যুরিংকে ক্ষমা করেছে। আজকের খবর।

    http://www.hindustantimes.com/world-news/uk-finally-pardons-gay-computer-pioneer-alan-turing/article1-1165890.aspx
  • Du | 237812.58.121212.2 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:২০89577
  • আজ স্কুল হোআ গ্রুপে তিন চারটি চুটকি মতন এলো সমকামী বিয়েতে কার বাড়িতে বৌভাত হবে, কে বা বধু নির্যাতনের অভিযোগ করবে, কেই বা জামাইষষ্ঠীতে যাবে। সমানাধিকারের ধারনাটাই যেখানে বিশ বাওঁ জলে সেখানে কোথায় সমকামী বিয়ে। ঐ ডিক্রিমিনালাইজ হয়েছে ওটাই একট স্বস্তি। অসুখ সারতে অনেক দেরী।
  • Prativa Sarker | 340123.212.014523.205 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৩১89573
  • দ্যাখো, এতদিন পরেও এ লেখা প্রাসঙ্গিক। আসলে আইন করা সহজ। মানসিকতা পাল্টানো খুব কঠিন। তবু আইন প্রণয়নও বিরাট ভরসার। এই ধরণের লেখালিখি, জন আন্দোলনের ফলেই তা সম্ভব হল।
  • পৃথা | 232312.161.5612.182 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:২৬89574
  • একঘর লেখা
  • পৃথা | 232312.161.5612.182 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:২৬89575
  • একঘর লেখা
  • | 670112.220.4589.61 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:০৫89576
  • এখানেই থাক তবে

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন