এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • অন্য বিশ্বকাপ

    মিঠুন ভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ জুন ২০১০ | ৫২৯ বার পঠিত
  • আপনি কি ফুটবলপ্রেমী? আপনার কি বোকাবাক্সের দিকে ঠায় তাকিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেওয়ার অভ্যাস আছে? আপনি কি ইউনিটি কাপুরের থেকে দীক্ষিত, এবং সেইজন্য খেলাধুলো বিষয়ক অনুষ্ঠান বয়কট (ক্রিকেটের নয়) করেন। আপনার উত্তর যদি যথাক্রমে হ্যাঁ, হ্যাঁ এবং না হয়, তাহলে খুব সম্ভবত আপনার সামান্য ফ্লু হয়েছে। ডাক্তার দেখিয়ে লাভ নেই, একটা মাস বরং কষ্ট করে থাকুন। কারণ বিশ্বকাপ জ্বর চারবছরে একবারই হয়,এবং বিনা খরচেই সারে। একান্তই যাঁদের ""সেরে"" ওঠার প্রয়োজন, তাঁদের ""হাই-ভোল্টেজ ট্র্যাজেডি"" বলে একরকম বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি সুপারিশ করা হচ্ছে, যদিও পদ্ধতিটি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। প্রেম, বিবাহ ও বস -- এই তিনটির মধ্যে অন্তত দুটি শব্দ যাঁদের প্রাত্যহিক জীবনে যাতায়াত করে, এই টোটকা শুধু তাদের ওপরই কাজ করবে।

    যাই হোক, কাজের কথায় আসি। পঞ্জিকা থেকে পেস্টের বিজ্ঞাপন সর্বত্র বিশ্বকাপ নিয়ে কথা চালাচালি হচ্ছে। অতএব, বুলবুলভাজার কলামেও, অনিবার্য্যভাবে, এসে গেল বিশ্বকাপ। বা অন্তত উপলক্ষ্য। সবাই না হলেও, অনেকেই জানি জুন মাসের এগারো তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপ ফুটবল। ঝাঁ চকচকে নতুন স্টেডিয়ামে একের পর এক প্রিয় তারকারা ঝলমলাচ্ছে। টিভির পর্দায়, খবরের কাগজে বা মায়াপাতায় লেখায়-রেখায়-ফোটোগ্রাফে বিশ্বকাপ ""কভার"" করছেন দেশবিদেশের সাংবাদিকরা। মানুষের উন্মাদনা দেখে সময় সময় মনে হচ্ছে, সমস্ত শোক-দু:খ ভুলিয়ে দেবে ফুটবল। এই খেলাটার সেই ক্ষমতা যে একেবারে নেই, সেকথা বলা যায় না। উদাহরণ দেবনা, কারণ আফ্রিকা আর লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর কথা এখন সবাই জানে। বরং একটু খোঁজ-খবর করে দেখা যাক, যাবতীয় দু:খ ঢেকে দিয়ে কয়েকদিনের জন্য হলেও আধপেটা মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটাতে পারছে কিনা আজকের ফুটবল। বা বলা ভালো, আজকের বিশ্বকাপ।

    ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি ফুটবল গরীবের খেলা। একটা বল নিয়ে বাইশজন কাড়াকাড়ি-দৌড়োদৌড়ি করছে দেখলে সে কথা বিশ্বাস করা স্বাভাবিক। কিন্তু সত্যিই কি গরীবের খেলা ফুটবল?
    পৃথিবীজোড়া বহুজাতিকের ফুটবলকেন্দ্রিক রমরমা দেখলে খটকা লাগে। বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ব্যবসা, বিশ্বকাপের কুমীর দেখিয়ে রাজনীতি, এবং আড়ালে আবডালে সেরে ফেলা অপকর্মের তালিকা দেখলে বরং এটাই বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়, ইহাও আসলে, অন্য আরো অনেক কিছুর মতই, বাজার। একদল লোকের (যারা অবধারিতভাবেই আর যাই হোক, অন্তত গরীব নয়) ভবিষ্যৎ সুনিশ্‌চিৎ করার ইনশিওরেন্স বই কিছু নয়। গরীবের খেলা-টেলা বাজে কথা। ইতিহাস।

    অলিম্পিক থেকে এশিয়ান গেম্‌স থেকে বিশ্বকাপ। সমস্ত নজরকাড়া স্পোর্টস ইভেন্টে কেন্দ্র করেই সরকার রাজনীতি করে। শহরের পর শহর সাজিয়ে গুছিয়ে রাখে। নতুন স্টেডিয়াম, খেলাধুলোর পিকচার-পারফেক্ট পরিবেশ। অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য এই উদ্যোগ। কিন্তু কিসের বিনিময়ে সাজছে একটা গোটা দেশ? আসুন, হাই ডেফিনিশান টিভির ভল্যুমটা একটু কমিয়ে, টাইমের পাতাটা মুড়ে রেখে কিছু ""অপ্রয়োজনীয়"" মানুষের কথা শুনি।

    পুওর পিপ্‌লস ওয়র্লড কাপের ( PPWC ) কথা মনে হয় খুব কম লোকই জানেন। বিশ্বকাপের সমান্তরালে এ আরেক বিশ্বকাপ। বা, এক পৃথিবীর মধ্যেই, লুকিয়ে থাকা, গুটিয়ে থাকা আরেক পৃথিবী। গুটিয়ে থাকা, আক্ষরিক অর্থেই। সরকারী উদ্যোগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হলেই একদল মানুষকে পথে নামতে হয়, এইটাই দস্তুর। তাদের ঠাঁই হয় সাময়িক সরকারী আবাসন, যা গোয়ালের অন্য নাম। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। একের পর এক বস্তি উচ্ছেদ হয়েছে, যার একেকটাতে কমবেশী কুড়ি হাজার মানুষের বাস ছিলো। বদলে হয়েছে পর্যটক ও দর্শকদের জন্য থাকার জায়গা। উচ্ছেদ হওয়া মানুষগুলোর জন্য পেয়াদারা টিনের ঘেরাটোপ বানিয়ে দিয়েছে। সেখানে অবশ্য অবিচার নাই, অন্যায় উৎপীড়ন নাই, কথায় কথায় মগজ ধোলাই হয়না। একটা ওয়াক-ইন ক্লোজেটের মত জায়গায় সাত-আটজন মানুষ ঘুমোয়। ঐটাই ওদের বাড়ি। এরকম চারটে বাড়ির লোকের জন্য একটা টয়লেট এবং একটাই জলের কল। ব্যবস্থা খারাপ? নিন্দুকেও বলবেনা।

    সরকারী খরচে এক একটা স্টেডিয়াম তৈরী হয়েছে। কেপ টাউনের সদ্যনির্মীত স্টেডিয়ামটি বানাতে খরচ হয়েছে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। হ্যাঁ মাত্র একটার হিসেব এরকম। সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে আদতে এই ""ইনভেস্টমেন্টে"" গরীব মানুষের উপকার হবে, দ: আফ্রিকার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি হবে। কেন? না, বিশ্বকাপের পরেই চতুর্দিক থেকে বিনিয়োগ আসবে, লক্ষ লক্ষ চাকরি তৈরী হবে, চাকরিই যদি হয়ে যায় তাইলে আর বাকি কি রইলো? অত:পর মানুষ জলের বদলে কোক খাবে আর একেবারেই বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেনা। অন্যদিকে ইউনাইটেড নেশন্‌সের বিশেষজ্ঞ দ: আফ্রিকা ঘুরে গিয়ে রিপোর্টে লিখছেন , "" cities such as Cape Town had prioritized "beautification over the needs of local residents."

    অবাক হওয়ার কিছু নেই। নিয়মই এই। চীনে অলিম্পিকের সময় হয়েছে এই উৎখাত। টেন টু দি পাওয়ার কত লোককে ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, কেউ জানেনা। একজনের কথা অবশ্য চেপে রাখা যায়নি। খবরে প্রকাশ, দুহাজার আটের অলিম্পিকের সময় উচ্ছেদের প্রতিবাদ করার জন্য ইয়ে গুওঝুকে বন্দী করা হয়, অকথ্য অত্যাচার করে ""উন্নয়ন"" এর প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। অলিম্পিক শেষ হওয়ার আগে ঐ হতভাগ্য মুক্তি পায়নি। আর অলিম্পিকের সূচনামুহূর্তে সরকার প্রতিশ্রুতি দেন, চীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন উল্লেখযোগ্যরকম কমে যাবে ভবিষ্যতে।

    একই জিনিস হয়েছে ভারতেও। '৮২ র এশিয়াড আর আসন্ন কমনওয়েল্‌থ গেমসের জন্য প্রচুর মানুষকে রাজধানীর চৌহদ্দি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ও হচ্ছে। মিডিয়া ফুটেজ তুলে দেখাচ্ছে, প্রতিবন্ধী ভিখিরিকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তুলে নিচ্ছে ভ্যানে। বলছে ভিক্ষে করার অপরাধে গ্রেপ্তার করলাম। তারপর তাদের শহরের "সুন্দর" এলাকাগুলোয় আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রিয় পাঠক, ছবিটা মনে মনে চিন্তা করুন। কর্পোরেশনের ভ্যানে করে বেওয়ারিশ/পাগল কুকুর ধরে নিয়ে যাওয়ার সাথে মিল পাচ্ছেন?

    সুতরাং আসুন, মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করে নি, ফুটবল আর মোটেই গরীবের খেলা নেই। পান্তাভাত খেয়ে বাতাবিলেবু পেটানোর দিন গেছে, এখন রিবক-নাইকি-আডিডাসের যুগ। আইস কিউব গেলাসে ফেলে এলসিডি স্ক্রিনে চোখ রাখার যুগ। দেশের ও দশের উন্নতিতে কয়েকটা আধপেটা, খড়ি ওঠা লোক যদি বাগড়া দিতে চায়, বিরক্ত হয়ে, ক্লান্ত পায়ে তাদের মাড়িয়ে যাওয়ার যুগ। তাই গরীবদের জন্য আলাদা করে বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছে। এই লেখা শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কিক্‌-অফ হয়ে শুরু হয়ে যাবে সেই অন্য বিশ্বকাপ। চল্লিশটা কমিউনিটির ছত্রিশটা দল চারটে রবিবার জুড়ে খেলবে বিশ্বকাপ। প্রস্তাবনায় ওরা লিখেছে, "" শহরে ফুটবল ম্যাচ হবে কিন্তু আমরা দেখতে পারবো না। আমাদের টিকিট নেই, যাতায়াতের উপায় নেই।"" এইরকম আরো অনেক ""নেই"" এর মিলেই ওরা জড়ো হয়েছে।

    বিশ্বকাপের চৌহদ্দিতে ওদের প্রবেশাধিকার নেই। ফিফা ও সরকারের এক চুক্তির ফলে ওদের স্টেডিয়ামের কাছাকাছি ছোটখাটো ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই। সেখানে ফিফার নিজস্ব কমার্শিয়াল জোন হয়েছে, ফিফার সাথে চুক্তিবদ্ধ ভেন্ডারদের জন্য। অতএব, কি আনন্দ, দারিদ্র্য দূরীকরণের সমস্ত আয়োজন সম্পূর্ণ। এখন একমাস ধরে অবাধে মনোরঞ্জন চলবে।

    এরপরেও হয়ত বুভুক্ষু ঘরের কোন ছেলে তার পায়ের জাদুতে মুগ্‌ধ করে দেবে আমাদের। আঁকিবুকি কাটা, হাওয়াভরা চামড়ার বলে যখন জোরালো লাথি পড়বে, মনে মনে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠবো। সেগুলো ব্যতিক্রম। কারণ, তারপরেও সত্যিগুলো একই থাকবে। অন্য শহরে, অন্য বছরে, চলতেই থাকবে গরীবদের জন্য আলাদা বিশ্বকাপ।

    ২০শে জুন, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২০ জুন ২০১০ | ৫২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন