এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপর বাংলা

  • রবীন্দ্র বিরোধিতার স্বরূপঃ পাকিস্তান পর্ব - দ্বিতীয় কিস্তি

    কুলদা রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    অপর বাংলা | ৩০ মে ২০১১ | ৭৩৩ বার পঠিত
  • এই বুদ্ধিবৃত্তিক মৌলবাদিদের রবীন্দ্র-বিরোধিতার কারণটি একান্তভাবে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত সুযোগ লাভের প্রত্যাশা? সরকার চাইছিল 'হিন্দু' কবি রবীন্দ্রনাথকে বর্জন করতে আর 'মুসলমান' কবি ইকবালকে প্রতিষ্ঠা দিতে। রবীন্দ্রনাথের শূন্যস্থানে ইকবালকে ছাড়া আর কাউকে তো বসানো যায় না? তাছাড়া ইকবাল উর্দূ ও ফারসি ভাষার কবি। বাংলার চেয়ে এ দুটি ভাষার সঙ্গে মুসলমান 'জাতি'র সত্তার যোগ অধিক। অবশ্য বাংলা ভাষার 'মুসলমান' কবি নজরুল ইসলাম আছেন। তবে তাঁকে গ্রহণ করা যায় কাটা- ছেঁড়া করে। সরকারের এই মনোভাবেরই প্রতিফলন ঘটেছিল রবীন্দ্র-বিরোধীদের বক্তব্যে। তা না হলে অন্তত কবি গোলাম মোস্তফা ও সৈয়দ আলী আহসান যে রবীন্দ্র-প্রতিভাকে চিনতেন না তা তো নয়? ১৯৫৪ সালে ক্ষমতাসীন মুসলিমলীগের পরাজয় ঘটে যুক্তফ্রন্টের কাছে। কিন্তু পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী অচিরেই এই যুক্তফ্রন্ট সরকারকে হঁটিয়ে ইস্কান্দার মির্জার নেতৃত্বে সামরিক শাসকগোষ্ঠী ক্ষমা দখল করে।

    পাকিস্তানে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র প্রবর্তনের নানা চেষ্টার পর ১৯৫৮ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং শুরু হয় আইয়ুব খানের শক্ত শাসন। সব রকম গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়, রাজনৈতিক দল ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় এবং ব্যাপক গ্রেপ্তারির মাধ্যমে কারাগার ভরে ওঠে রাজবন্দীদের দ্বারা।

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ছিল অস্বীকৃত এবং সভা-সমাবেশের ওপর জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা। ঘোর অন্ধকার ওই সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলো ছত্রখান অবস্থায়, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ তো দূরের কথা, দেশের মানুষের একত্র হওয়ার মতো কোনো অবলম্বনও তখন নেই।

    ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষকী দমনের ফরমান জারী করে আয়ুব শাহী। সারাদেশে আইয়ূব শাহীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীর সফল আয়োজন হল। ঢাকাস্থ মার্কিন কনসাল অফিসে তরুণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন আরচার ব্লাড, সুধার ভূমিকায় অভিনয় করেছিল ব্লাডকন্যা দ্বাদশবর্ষীয়া শিরিন। ঢাকা ও ময়মনসিংহে সফল মঞ্চায়নের পর তাঁরা যখন আরও কয়েকটি স্থানে নাটক মঞ্চায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন গভর্নর মোনায়েম খানের দপ্তর থেকে নাটক বন্ধ করার কথা বলা হয় এবং ডাকঘর মঞ্চায়ন বন্ধ হয়ে যায়।

    এই ছিল পাকিস্তানি বাস্তবতা, অবাস্তবের বাস্তবতা, যার সঙ্গে পরবর্তী কালের ল্যাটিন আমেরিকান লৌহমানবদের শাসনের মিল পাওয়া যেতে পারে, যে অ্যাবসার্ড শাসন বোঝাতে ম্যাজিক রিয়ালিজমের আশ্রয় নিতে হয়েছিল ঔপন্যাসিক গার্সিয়া মার্কেজকে। পাকিস্তানেও দেখা গেছে আইয়ুবের বশংবদ গভর্নর মোনায়েম খান ম্যাজিক রিয়ালিজমের ধারাতেই বুঝি অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাইকে রুষ্ট কণ্ঠে বলেন, "আপনারা রবীন্দ্রসংগীত লিখতে পারেন না। তার যে চাই পাকিস্তানি ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীত!'

    তখন ঢাকায় আয়ুবশাহী ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র শতবর্ষ সফল পালনে "ক্রুদ্ধ' পাকিস্তানি সমরনায়কপ্রধান ১৯৬২-তে সাহসী ছাত্রদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে ওদের চমকে দিল। দমননীতির স্টিমরোলার নেমে এলো। নির্বাচনের খায়েশ হলো সমরতন্ত্রীদের। "মৌলিক গণতন্ত্র' বলে অদ্ভুত এক বিধান সৃষ্টি করল নিজেদের সুবিধার কথা মনে রেখে।

    ১৯৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের সময় ভারত থেকে বই আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বাংলাভাষা ও সাহিত্যের বিরাট অংশ থেকে পূর্ব-বাংলার বাঙালিদের বঞ্চিত রাখবার সরকারি অভিপ্রায় এতে কাজ করেছিল। ভারতীয় সম্পদ বর্জনের সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে গ্রহণ-বর্জন নিয়ে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। তখন সরকার বুলবুল ললিত কলা একাডেমীর কর্মকাণ্ডকে সঙ্কুচিত করে দিল। রেডিওতে রবীন্দ্রসঙ্গীত নাই হয়ে যেতে থাকল।

    সাতষট্টিতে জুন মাসে ঢাকায় নবাব বাড়ির শাহাবুদ্দিন, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী হিসাবে ফতোয়া দিলেন- রবীন্দ্র সঙ্গীত হিন্দু সঙ্গীত, ইসলামের পবিত্রভূমি পাকিস্তানে তা চলবে না। তেইশে জুন সরকারীভাবে এই ঘোষণাটি জারি করা হল। পঁচিশ জুন ঢাকার উনিশ জন বুদ্ধিজীবি এই ফতোয়া বা ঘোষণার নিন্দা ও প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিলেন। উত্তরে চল্লিশ জন তমুদ্দুনপন্থী নামীদামী মানুষ রবীন্দ্র বর্জনকে স্বাগত জানান। কবি সৈয়দ আলী আহসান তাদের অন্যতম।

    তারা বিবৃতিতে বলেন, রবীন্দ্রনাথকে তারা বাংলাভাষী পাকিস্তানীদের সংস্কৃতির অবিচ্ছদ্য অঙ্গ নয়। রবীন্দ্রনাথ ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এবং রবীন্দ্রনাথকে গ্রহণ করলে পাকিস্তানী সংস্কৃতির মূল নীতিটাকেই বিরোধিতা করা হয়।

    রবীন্দ্রবর্জনের পক্ষে বিবৃতিদাতা ৪০ জন বুদ্ধিজীবিদের হলেন-

    ১. মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ, ২. বিচারপতি আবদুল মওদুদ,৩. আবুল মনসুর আহমদ,৪. আবুল কালাম শামসুদ্দিন, ৫.অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খাঁ, ৬. মজিবর রহমান খাঁ, ৭. মোহাম্মদ মোদাব্বের, ৮. কবি আহসান ১৩. বেনজীর আহমদ, ১৪. কবি মইনুদ্দিন, ১৫. অধ্যক্ষ শেখ শরফুদ্দিন, ১৬. আ.কা.ম. আদমউদ্দিন, ১৭.তালিম হোসেন, ১৮. শাহেদ আলী, ১৯. আ.ন.ম. বজলুর রশীদ, ২০. মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ, ২১. সানাউল্লাজ নূরী, ২২. কবি আবদুস সাত্তার, ২৩. কাজী আবুল কাশেম (শিল্পী), ২৪. মুফাখখারুল ইসলাম, ২৫. শামসুল হক, ২৬. ওসমান গণি, ২৭. মফিজ উদ্দিন আহমদ, ২৮. আনিসুল হক চৌধুরী, ২৯. মোস্তফা কামাল, ৩০. অধ্যাপক মোহাম্মদ মতিউর রহমান, ৩১. জহুরুল হক, ৩২. ফারুক আহমদ, ৩৩. শরফুদ্দীন আহমদ, ৩৪. বেগম হোসনে আরা, ৩৫. মাফরুহা চৌধুরী, ৩৬. মোহাম্মদ নাসির আলী, ৩৭. এম. নূরুল ইসলাম, ৩৮. কবি জাহানারা আরজু, ৩৯. কাজী আবদুল ওয়াদুদ, ৪০. আখতার উল-আলম।

    এই চল্লিশজনকে বলা হত চল্লিশ চোর। এই উপাধি দিয়েছিলেন কবি আব্দুল গণি হাজারী। অনেক সইদাতা উত্তরকালে অনেক মূল্যে কলঙ্কমোচনের প্রয়াস পেয়েছেন, অনেকে বাংলার স্বাধীনতার পক্ষে মূল্যবান কাজ করেছেন। কিন্তু সঙ্গতভাবেই 'চল্লিশ চোর'-এর অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধে অনতিপ্রচ্ছন্ন রাজাকার ভূমিকা পালন করেছেন এবং এখনও করে যাচ্ছেন।

    এবার জানা যাক- এই চল্লিশ চোরের বিবৃতির প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তাদের নাম- ১. ড: কুদরত-ই-খুদা, ২. ড: কাজী মোতাহার হোসেন, ৩. বেগম সুফিয়া কামাল, ৪. জয়নুল আবেদীন, ৫. এম.এ. বারি, ৬. অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হাই, ৭. অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ৮.ড: খান সারওয়ার মুরশিদ, ৯. সিকান্দার আবু জাফর, ১০. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, ১১. ড: আহমদ শরীফ, ১২. ড: নীলিমা ইব্রাহীম, ১৩. কবি শামসুর রাহমান, ১৪. হাসান হাফিজুর রহমান, ১৫. ফজল শাহাবুদ্দিন, ১৬. ড: আনিসুজ্জামন, ১৭. রফিকুল ইসলাম, ১৮. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ। (মোট ১৯ জন)। এঁদের মধ্যে কয়েকজনকে একাত্তরে হত্যা করা হয়। (এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রণেতা ছিলেন সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন। ) কয়েকজনকে বিএনপি জামাত আমলে মুরতাদ ঘোষণা করা হয় এবং কবি শামসুর রাহমানকে হত্যার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়। ফজল শাহাবদ্দিন পরবর্তীকালে সৈয়দ আলী আহসানের চেলা হয়েছেন। বাকীরা প্রগতিশীলতার পক্ষে সরব ছিলেন-আছেন।

    ১৯৬৭ সালের ২২ জুন পাকিস্তানের তথ্য ও বেতার মন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দিন জাতীয় পরিষদে ঘোষণা করেন যে, ১৯৬৭ সালে পাকিস্তানের সামরিক শাসকচক্রের তথ্যমন্ত্রী খাজা শাহাবুদ্দিন আহমদ পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে মন্তব্য করে বসল: "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির কেউ নন।' পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক মর্যাদার পরিপন্থী এমন সকল রবীন্দ্র সঙ্গীত ভবিষ্যতে পাকিস্তান বেতারে প্রচার করা হবে না। এবং অন্যান্য সঙ্গীতেরও প্রচার হ্রাস করা হবে।

    খাজা শাহাবুদ্দিনের এই মন্তব্যে সারাদেশ ক্ষেপে উঠল। ঢাকায় তিনদিন ব্যাপী রবীন্দ্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে আইয়ুব খানের গভর্নর মোনায়েম খান কয়েক ট্রাক গুণ্ডা পাঠিয়ে অনুষ্ঠান বানচাল করার চেষ্টা করেন। অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীরা চলে যাওয়ার পরে অনুষ্ঠানস্থলটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।

    ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে ঢাকা শহরে পাক বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। আক্রমণ করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে। হত্যা করা অসংখ্য ছাত্রকে- হত্যা করা হয় শিক্ষকদের। এ সময় রবীন্দ্র বিরোধিতাকারী ড: সাজ্জাদ সাজ্জাদ হোসাইন ছিলেন রাজশাহী বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার সঙ্গে ছিলেন ১.হামিদুল হক চৌধুরী : মালিক অবজারভার গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স ২.মাহমুদ আলী : ৪.বিচারপতি নুরুল ইসলাম : বাংলাদেশের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি, ৫. ড: কাজি দীন মুহাম্মদ : অধ্যাপক বাংলাবিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালী শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি সাংবাদিকদের হত্যা করার কাজে সহায়তা করে।

    আর সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন একাত্তরে ঘাতক টিক্কাখানের আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব নেন। তিনি রাও ফরমান আলীর সঙ্গে সেই পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা সংস্কার কমিটি গঠন করেন এবং ১৯৪০ সালের করা সেই পূর্ব বাংলা রেনেসাঁ সোসাইটির প্রকল্পটির নতুন ভাষ্য তৈরি করেন। এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের নীল নকশা প্রনয়নে রাওফরমান আলীকে সহযোগিতা করেন। পাকিস্তান বাহিনী পরাজিত হলে-তিনি গণ ধোলাইয়ের সম্মুখিন হন। পরে জেল থেকে বেরিয়ে বিদেশ চলে যান। গোলাম আযমের সঙ্গে বাংলাদেশ বিরোধি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। তিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বাংলা ভাষা, সাহিত্য সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ, রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতা করে গেলেন। তার এইসব অপকথার সমষ্টি হল---একাত্তরের স্মৃতি।

    অসাধারণ ধুরন্ধর সৈয়দ আলি আহসান একাত্তরের পশ্চিমবঙ্গে চলে যান এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শব্দ সৈনিক হিসবাবে কাজ করতে থাকেন। পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে একখানা পুস্তকও রচনা করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে দুটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ বাগান। এবং গোপনে পাকিস্তানপন্থী বুদ্ধজীবীদের সংগঠিত করতে থাকেন। একই সঙ্গে তিনি পাকিস্তানপন্থী চাইনিজ বিপ্লবীদেরও পোষক হিসাবে কাজ করেন। তিনি সকল সামরিক সরকারের হয়ে কাজ করেন। হন জিয়া'র মন্ত্রী। এরশাদের সভাকবি। জামাতের বুদ্ধিজীবী।

    রবীন্দ্রবিরোধীদের অধিকাংশই রাজাকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে পাকিপন্থার সেবা করে গেছেন। কেউই প্রগতিশীল ধারা সঙ্গে থাকেন নি। গণমানুষের আন্দোলন, সংগ্রামে কারো অংশগ্রহণই কোনোকালে ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, পাকিপন্থার সেবা করার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্র থেকে লুটপাটের ফয়দা লোটা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপর বাংলা | ৩০ মে ২০১১ | ৭৩৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 233.176.41.206 (*) | ০৮ মে ২০১৬ ০৩:৩৬89029
  • টি , এটা পড়া ?
  • pi | 233.176.41.206 (*) | ০৮ মে ২০১৬ ০৩:৩৬89028
  • টি , এটা পড়া ?
  • অসাধারণ | 132.177.132.230 (*) | ০৯ মে ২০১৬ ০১:৪৮89030
  • দুর্দান্ত লেখা।
  • pp | 86.175.75.119 (*) | ০৯ মে ২০১৬ ০৩:০৭89031
  • প্রথম কিস্তি টা কই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন