এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রসংগঠন কই?

    কুলদা রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ০৫ আগস্ট ২০১৮ | ১০০১ বার পঠিত | রেটিং ১ (১ জন)
  • ১. কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন-- এ সবই ছাত্রদের ইস্যু। দেশে অসংখ্য ছাত্র সংগঠন আছে। তাদের দায়িত্ব ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করা। কিন্তু এই দুটি আন্দোলনে দেশের ছাত্র সংগঠনগুলো নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন। তাহলে এদের ছাত্র সংগঠন হিসেবে থাকার দরকার কী?

    ২. কোটা আন্দোলন করছে সাধারণ ছাত্র পরিষদ। তাদের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। এবং রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর মতো দায়িত্বোবধ বিবেচনা বোধের ঘাটতি থাকাটাই স্বাভাবিক। ফলে এ আন্দোলনকে সহজেই সাবোটাজ করার মতো লোকজন ঢুকে পড়তে পারে। এটা ঘটছে-- আমরা দেখতে পাচ্ছি। এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিল ছাত্র সংগঠনগুলোই। তারা নানা মত ও পথের সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিল। আবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আলাদা থেকেও যুগপৎ আন্দোলন করেছে। সে আন্দোলন সফল হয়েছে। এরশাদ পড়ে গেছে। এই অভিজ্ঞতা মনে রেখে ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোকেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। তারা আড়েঠারে বলার চেষ্টা করছে, এইসব আন্দোলনে ছাত্র সংগঠনগুলো যোগ দিলে সরকার মাইন্ড করতে পারে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজতে পারে। খুঁজুক। সরকারের পারমিশন নিয়ে সরকারের ডিজাইন অনুসারে আন্দোলনের অর্থ নেই। যারা যেকাজ, তার সেই কাজই করতে হবে। ফলে ছাত্র সংগঠনগুলো গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পড়ো। নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর দরকার নেই।

    ৩. সড়কপথে ছাত্ররাই শুধু মরে না-- সকল ধরনের নাগরিকই মরে--সড়কপথের দুর্ঘটনার শিকার হয়। ফলে নিরাপদ আন্দোলনটি কেনো শুধু মাইনর ছাত্ররা করবে? এই আন্দোলন সকল নাগরিকেরই করা অবশ্য কর্তব্য। ছাত্ররা শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে রাজপথে সবার নেমে আসতে হবে। বাচ্চাদের একা ছেড়ে দেবেন না। সবাই নেমে আসলে সরকার বাপ বাপ বলে দাবী মেনে নেবে। শাজাহান খানের মতো দানব খড়কুটার মতো স্রোতে ভেসে যাবে। কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

    ৪. রাজনৈতিক দলগুলো বুড়ো হাবড়াদের ক্লাবে পরিণত হয়েছে। এদেরকে বাতিল করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। নাগরিকের সমস্যা নিয়ে যেহেতু তারা মাঠে নামে না, তাদের থাকারও দরকার নেই। নতুনদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে হবে। বুড়ো হাবড়াদের মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিতে হবে।

    ৫. ছাত্ররা আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনে ছাত্র সংগঠন নেই, পেশাজীবীরা নেই, অভিভাবকরা নেই, রাজনৈতিক দলগুলো নেই-- এরা সাধারণ ছাত্রদের শিশুদের মাঠে ছেড়ে দিয়ে খেলা দেখছেন। এরা সবাই আন্দোলনে থাকলে জামায়াত শিবির এই আন্দোলনে ফাঁকে ঢুকে পড়ার সুযোগ পেতো না। যদি ঢুকে থাকে তবে সে দায় শিশুদের নয়--সে দায় সকলের। দায় সরকারের।

    কেনো সরকারের? শুরু থেকে সরকার এই আন্দোলনকে গুরুত্বই দিতে চায়নি। তারা মনে করেছে পুলিশ পেটোয়া বাহিনী দিয়ে এ আন্দোলন সহজেই হাওয়া করে দিতে পারবে। হাওয়া হয়নি। সরকারের দীর্ঘসূত্রীতার কারণে আন্দোলন বিচিত্রভাবে বিস্তারিত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে ফাঁক ফোকর। তার মধ্যে দিয়ে ভালো মানুষ না ঢুকলে জামায়াত শিবির কি বসে থাকবে? তারা ঢুকছে। ঢুকবে। আন্দোলনকে তাদের কোটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। রাজনৈতিকভাবে আবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করার চেষ্টা করবে। জামায়াত শিবিরকে এভাবে সরকারই রাজনীতির মূলধারায় প্রতিষ্ঠিত করছে। জামায়াত শিবিরের ধুয়া তোলার অধিকার আওয়ামী সরকারের নেই। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আন্দোলনে জামায়ার শিবির ঢুকেছে বলে এতো চিক্কুর পাড়ছেন কেনো? এই যে দলে দলে জামায়াত শিবিরকে হানিফসহ আপনার সহকর্মীরা ক বছর ধরে আওয়ামী লীগে ঘোষণা দিয়ে ঢোকালো--তার বেলা?

    ৬. আমাদের বুদ্ধিজীবীরা অধিকাংশই হলো অসৎ। সরকারকে তেল মেরে জনগণের টাকা থেকে নানা পদ পদবী পুরস্কার প্লট বিদেশ ভ্রমণ বাগানো ছাড়া এনাদের আর কোনো ধান্ধা নেই। রামেন্দু মজুমদার নাসিরুদ্দিন ইউসুফ শামসুজ্জামান খান নির্মলেন্দু গুণ এন্ড ব্লা ব্লা ব্লা-- এরা সরকারের মুখোপানে চেয়ে আছেন? এদেরকে কষে কিছু অশ্লীল গালি দেওয়া দরকার। প্রকৃত বুদ্ধিজীবী যে কোনো ক্ষমতাকেই চ্যালেঞ্জ করবেন। হায়, এই বুদ্ধিজীবী আমাদের দেশে আর নাই।

    ৭. নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে থামাতে হলে দানব শাজাহান খানকে অবিলম্বে বিদায় করা ছাড়া উপায় নেই। একই সঙ্গে ওবায়দুল কাদের নামের স্ট্যান্টবাজ সড়কমন্ত্রীকেও দূর করে দিতে হবে। শাজাহান খান সড়কের অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী- তার চেয়ে কোনো অংশেই কম দায়ী নয় ওবায়দুল কাদের। বকবক করা ছাড়া এই লোক কোনো কাজের নয়। এই লোক অদক্ষ। অথর্ব। জনগনের পয়সায় একে পোষার দরকার নেই।

    ৮. শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোনো মন্ত্রী মিনিস্টারদের কোনো ক্ষমতা নেই। তিনিই একমাত্র। মন্ত্রী মিনিস্টার এমপিদের কাজ হচ্ছে হাসিনার গুণগান করা। আর চুরি চোট্টামি করা। শেখ হাসিনা কি পারবেন শাজাহান খানকে সরিয়ে দিয়ে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দাবিগুলো সত্যি সত্যি বাস্তবায়ন করতে? যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনে নিজের কথাই রাখেননি তিনি। ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা তাকে বিশ্বাস করতে চাইছে না। বলেছে, তিনি মিথ্যেবাদী। বঙ্গবন্ধুর কন্যার কি মিথ্যে কথা বলার দরকার ছিল? তিনি মিথ্যে কথাই বলেছেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য তার মিথ্যে কথা বলা ছাড়া উপায় নেই। ক্ষমতায় থাকার জন্য শাজাহান খানদের মতো দানবদের উপরেই ভর করতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর কাছে ছাত্র জনতার চেয়ে দানব শাজাহান খানই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানব নয়-- দানবই আপনজন যেকোনো ক্ষমতার কাছে।

    ৯. এপ্রিল মাসে দুটি বাসের পাল্লা দেওয়ার কারণে রাজীব নামে এক ছাত্রের হাত কাটা পড়েছিল | সেই হাতটি ঝুলেছিল দুটি বাসের মাঝখানে| এই ছবি দেখে সারা দেশ শিউরে উঠেছিল! প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল মানুষ। বিদেশ থেকে ফিরে তখন সংবাদ সম্মেলন করে শেখ হাসিনা হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, সড়ক দূর্ঘটনার জন্য ড্রাইভার-মন্ত্রীদের দোষ দেওয়া যাবে না। তাহলে দোষ কার? দোষ পাবলিকের। তারা পথ চলতে জানে না। পাবলিক ঠিকই জানে। জানে না, শেখ হাসিনার মন্ত্রী, এমপি, নেতা, আফিসার, পুলিশ। জানে না বলেই মাইনর ছাত্র ছাত্রীদের কাছে তাদের গাড়ির ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ধরা খেয়েছে। ছাত্রদেরকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এদেরকে রাস্তার নিয়ম শিখতে হচ্ছে। প্রমাণিত হয়েছে সরকারের লোকজন আসলেই ভুয়া।

    ১০. নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে একটা বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। সেটা হলো আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে তরুণদের সমর্থন হারাচ্ছে। হারানোর দায় অন্য কারো নয়-- আওয়ামী লীগের নিজেরই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ০৫ আগস্ট ২০১৮ | ১০০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 340112.231.126712.74 (*) | ০৫ আগস্ট ২০১৮ ০২:১৫84684
  • লেখাটিতে বেশ কিছু তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে।যেমন:

    ০১. “কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন-- এ সবই ছাত্রদের ইস্যু। দেশে অসংখ্য ছাত্র সংগঠন আছে। তাদের দায়িত্ব ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করা। কিন্তু এই দুটি আন্দোলনে দেশের ছাত্র সংগঠনগুলো নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন।”

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির ছাড়া সব বাম সংগঠন (প্রগতিশীল ছাত্র জোট) শুরু থেকেই সক্রিয় রয়েছে।তবে এই আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি, সাধারণ ছাত্ররাই এর নেতৃত্বে আছেন; আর ছাত্রলীগ এই আন্দোলেন থেকে দূরে তো নেইই, তারা হাতুড়ি, লাঠিশোটা নিয়ে রীতিমত বীর দর্পে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে “হাতুড়িলীগ” আখ্যা পেয়েছে। এছাড়া নিরাপদ সড়ক আন্দোলন শুধু ছাত্রদের ইস্যু নয়। কিশোর বিদ্রোহীরা পথ দেখালেও এটি আসলে জনতার দাবি। তাই তা ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছে।

    ০২. “এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছিল ছাত্র সংগঠনগুলোই। তারা নানা মত ও পথের সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলেছিল। আবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আলাদা থেকেও যুগপৎ আন্দোলন করেছে।”

    একদম নয়। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যে শুরু থেকেই ছাত্রদল বেশ দাপটের সাথেই সক্রিয় ছিল। একমাত্র জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবিরকে ছাত্র ঐক্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

    তবে ১৯৯০ এর স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের আন্দোলনের শেষভাগে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামাত-অধিকাংশ বামদলগুলো তৈরি করে “লিঁয়াজো কমিটি”। এই কমিটির সুপারিশে এরশাদ সরকারের পতনের পর নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়।

    ০৩. “নিরাপদ আন্দোলনটি কেনো শুধু মাইনর ছাত্ররা করবে? এই আন্দোলন সকল নাগরিকেরই করা অবশ্য কর্তব্য।”

    সেটা ঠিকই। তবে এই আন্দোলনে অভিভাবক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ সকল মহলের সক্রিয় সমর্থন আছে, তারা সচেতন নাগরিকই। তাই তারা দেশজুড়ে যানবাহন সঙ্কটসহ সব ভোগান্তি আটদিন ধরে হাসিমুখে সয়ে যাচ্ছেন; আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বাস সংগঠনগুলো তো বটেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ছাত্ররা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। এমনকি দফায় দফায় “হাতুড়িলীগ”এর হামলারও শিকার হয়েছে।

    ০৪. “ছাত্ররা আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনে ছাত্র সংগঠন নেই, পেশাজীবীরা নেই, অভিভাবকরা নেই, রাজনৈতিক দলগুলো নেই”…

    আগেই বলা হয়েছে, সকলেই খুবই সক্রিয়ভাবে সাথেই আছেন, অভিভাবক-শিক্ষকরা তো বটেই। তবে তারা মিডিয়া ফোকাসে যৌক্তিক কারণে নেই।

    ০৫. “নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে একটা বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। সেটা হলো আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে তরুণদের সমর্থন হারাচ্ছে।”

    সম্ভবত আওয়ামী লীগ শিশু-কিশোর, তরুণ ও অভিভাবক মহলের সমর্থন হারাতে যাচ্ছে, কিশোর বিদ্রোহকে ঢালাওভাবে জামাত-শিবির ট্যাগিং দিয়ে এবং “হাতুড়িলীগ” ও পুলিশলীগের যৌথ আক্রমণ ডিজিটাল রক্ষী বাহিনীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে।

    আপাতত এইটুকু। ভাল থাকুন।
  • কুলদা রায় | 67900.224.560123.22 (*) | ০৫ আগস্ট ২০১৮ ০৫:০৮84685
  • ১. কোটা আন্দোলনে সকল ছাত্র সংগঠন সরব থাকলে ব্যানার নিয়ে থাকতে অসুবিধা কোথায়? সাধারণ ছাত্রদের হাতে আন্দোলনটা ছেড়ে দিল কেনো?
    ২.এরশাদ বিরোধী ছারে আন্দোলনের সময় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছাত্র সংগঠনগুলো। বিএনপির ছাত্র সংগঠনগুলো তাতে ছিল না। কিন্তু ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ছাত্র দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষার জন্য সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠিত হয়।
    ৩. সবার সমর্থন আছে ঠিকই। কিন্তু সবাই দূর থেকে সমর্থন দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে তারা মাঠে নামেননি। আমি এটাই বলতে চেয়েছি।
    ৪. উত্তর ৩ নং।
    ৫. উত্তর দরকার নেই।
  • বিপ্লব রহমান | 9001212.30.7845.114 (*) | ০৫ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৪৯84686
  • "১. কোটা আন্দোলনে সকল ছাত্র সংগঠন সরব থাকলে ব্যানার নিয়ে থাকতে অসুবিধা কোথায়? সাধারণ ছাত্রদের হাতে আন্দোলনটা ছেড়ে দিল কেনো?"

    মোটেই কোটা সংস্কার আন্দোলনে "সকল ছাত্র সংগঠন সরব" থাকার কথা বলা হয়নি। বলা হয়েছে, "সব বাম সংগঠন (প্রগতিশীল ছাত্র জোট) শুরু থেকেই সক্রিয় রয়েছে।তবে এই আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি, সাধারণ ছাত্ররাই এর নেতৃত্বে আছেন;"

    ইত্যাদি। এই আন্দোলনে রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি, কারণ আর কিছুই নয়, বোধকরি সাধারণ ছাত্রদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ না দেওয়াই যৌক্তিক মনে হয়েছে, শাহবাগ গণবিস্ফোণ বা ফুলবাড়ি বিদ্রোহেও তাই।

    (,প্রয়োজনে রেফারেন্স দেওয়া যাবে।)

    "২.এরশাদ বিরোধী ছারে আন্দোলনের সময় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ছাত্র সংগঠনগুলো। বিএনপির ছাত্র সংগঠনগুলো তাতে ছিল না। কিন্তু ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ছাত্র দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ রক্ষার জন্য সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠিত হয়।"

    এইবার ঠিক আছে। আমার বক্তব্যও তাই।

    "৩. সবার সমর্থন আছে ঠিকই। কিন্তু সবাই দূর থেকে সমর্থন দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে তারা মাঠে নামেননি। আমি এটাই বলতে চেয়েছি। "

    আবারো দ্বিমত।

    দূর সমর্থন ছাড়াও অনেকে মাঠেও নেমেছেন, "আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বাস সংগঠনগুলো তো বটেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ছাত্ররা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। এমনকি দফায় দফায় “হাতুড়িলীগ”এর হামলারও শিকার হয়েছে।" তবে তারা যৌক্তিক কারণেই কিশোর বিদ্রোহের নেতা হতে চাননি, মিডিয়া ফোকাস তো বটেই।

    (প্রয়োজনে রেফারেন্স দেওয়া যাবে।)

    বাদবাকি বিষয়ে দ্বিমত নেই জেনে ভাল লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ।
  • | 670112.193.231223.229 (*) | ০৫ আগস্ট ২০১৮ ০৯:১০84683
  • প্রকৃত বুদ্ধিজীবি যে কন ক্ষমতাকেই চ্যালেঞ্জ করবে - অতি খাঁটি কথা।

    অভিভাবকেরা মনে হয় আছেন। আমার পরিচিত বেশ কিছু জন গেছেন দেখলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন