এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • এবার নড়াইল!

    মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামান শরীফ
    অপার বাংলা | ২০ জুলাই ২০২২ | ২১২০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • নড়াইলে লোহাগড়া সাহাপাড়ায় গত শুক্রবার (১৫ জুলাই, ২০২২) পরিকল্পিত ভাবে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বাড়িঘর, দোকানপাট এবং মন্দিরে হামলা করেছে ধর্মান্ধরা। কারণ? কোন কারণ যদিও লাগে না, এবারও তেমন কোন কারণ নাই। শুক্রবার জুম্মার নামাজ এখন ভিন্ন ধর্মালম্বীদের জন্য আতঙ্কের নাম হয়ে যাচ্ছে। জুম্মার নামাজের পরে হুট করেই তাদের নজরে আসে যে ধর্মের তো প্রচণ্ড অপমান হয়ে গেছে, মান উদ্ধার না করলেই না! তারা মান উদ্ধারে নেমে গেছিল বিকালের মধ্যে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কেউ অনুভূতিতে আঘাত করেছে আর সেই আঘাতে কাতর হয়ে এরা গিয়ে নিরপরাধ মানুষের বাড়িঘরে হামলা করেছে! এবং তাদের ধারণা এতে ধর্মের যে ক্ষতি হয়েছিল তা পূরণ হয়ে গেছে!

    খুব সহজ সরল কিন্তু সফল তরিকা। ফেসবুকে একজনের নামে একটা স্ট্যাটাস পাওয়া গেছে, ধর্মের ইজ্জত নষ্ট হয়ে গেছে, বাজারে মধ্যে প্যান্ট খুলে গেছে ধরণের কাণ্ড হয়ে গেছে, এবার ইজ্জত উদ্ধারের কাজে হাত দিতে হবে, প্যান্ট তুলে আবার কোমরে বাধতে হবে। উপায়? ওই ফেসবুক চালকসহ আশেপাশের যা আছে সব ধ্বংস করে ফেলতে হবে। দশ পনেরো বিশ যে কয়টা লাগে সব বাড়ি পুড়িয়ে দিলেই ধর্মের মান সম্মান উদ্ধার হবে, নবির সম্মান আবার ফিরে পাবে তার স্থান! আমার কথা হচ্ছে এই রকম অসুস্থ চিন্তা যারা মাথায় নিয়ে ঘুরে তাদের ব্যাপারে কেন আমরা জানি না? যখন নাসিরনগর হয়েছে তখন আপনার এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া কী আপনি জানেন? যখন কুমিল্লা হয়েছে? যখন রংপুর হয়েছে? তখন কেমন ছিল আপনার এলাকার মানুষের হাবভাব? তখন নড়াইলের মানুষ কী করছে? আমার ধারণা কেউ কান পেতে শোনার চেষ্টা করেনি। করলে সেইদিনই শুনতে পেতেন যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এগুলা একদিনে হয় না। একদিন দেখলেন কেউ ফেসবুকে উল্টোপাল্টা কিছু লেখছে আর অমনি সবাই মিলে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিবে কেউ এমন হয় না। এর পিছনে দীর্ঘদিনের ব্রেনওয়াশ থাকে। ধীরে ধীরে তৈরি হয় এমন মনোভাব। যেহেতু আগে এমন তীব্র ভাবে ছিল না, তাই বলাই যায় যে এগুলা এখনকার সময়েই তৈরি। কেউ বা কারা দিনের পর দিন এমন করে দেশের নানা জায়গায় ক্ষেত্র তৈরি করছে আর আপনারা আমরা তার কোন হদিশই পাচ্ছি না।

    নড়াইলে যে এলাকায় এই নারকীয় ঘটনটা ঘটেছে তা মাশরাফির নির্বাচনী এলাকা। মাশরাফি যে অন্য অনেকের মত না, তা তিনি আবারও প্রমাণ করেছেন। মাশরাফি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা এতদিন ধরে কত কত ঘটনা ঘটে গেল, সেই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাউকে কোনওদিন দিতে দেখি নাই। মাশরাফি চোখে গুঁতো মেরে ওইখানে উপস্থিত মানুষকে বলেছেন এখন আপনারা ক্যামেরা নিয়ে মোবাইল নিয়ে হাজির হয়েছেন, অথচ কালকে একটা মানুষও এগিয়ে আসেন নি, আপনারা এগিয়ে আসলে কালকে এমন একটা ঘটনা ঘটত না! আপনাদের লজ্জা করে না?

    মানুষ কেন যায় না আরেক মানুষের বিপদে? এখানেই মনে হয় সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। মানুষ যায় না, কারণ মানুষের মধ্যে এক ভাগ মনে করে যা হচ্ছে তা ধর্মের নামেই যেহেতু হয়েছে তা হলে এই কাজে বাধা দিয়ে পাপের ভাগী হাওয়ার দরকার কী! নিজে ধর্ম উদ্ধারে নামি নি কিন্তু উল্টো যারা নামছে তাদেরকে কেন বাধা দেব? আরেক ভাগ মনে করে আমি কোন কিছুতেই জড়াব না। দুনিয়া উচ্ছন্নে যাক, আমি কাঁথা গায়ে বৃষ্টির দিনে একটা ঘুম দেব, বিকালে চা খাব, সন্ধ্যায় সিনেমা দেখব, রাতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যাব! দিন দুনিয়া, জগৎ সংসার আছে না বানের জলে ভেসে গেছে তা জানার কোন দরকার নাই, জানলেই বরং বিপদ!

    এখন যখন দম ফেলতেও হুস করে দম ফেলে মানুষ, যখন কোথাও কোন বেফাঁস মন্তব্য করে আতঙ্কিত হয়ে থাকে লোকজন যে এই না আড়ি পেতে শুনে নিলো কেউ, এই না ফাঁস হয়ে গেল গোপন অডিও! মেসেঞ্জারে মন্তব্য করে সমস্যায় পড়ছে লোকে, দারুণ সব প্রযুক্তি এখন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে, এমন সময়ে মানুষ আয়োজন করে কোন একটা জায়গায় জড়ো হয়ে, পরিকল্পিত ভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে আর কেউ কিছুই বুঝতে পারছে না? বাংলা সিনেমার মতো, শেষ দৃশ্যে পুলিশ এসে বলছে আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না!! অভিযুক্তদের তো ধরা উচিতিই, সেই সাথে এই কর্মকর্তাদেরও তলব করা উচিত। তারা কোন রাজকাজে ব্যস্ত ছিল তা খতিয়ে দেখা উচিত।

    এই উচিত অনুচিতের আলাপ করতে গেলেই সব তালগোল পাকিয়ে যায় আমাদের। কোন হিসাব মেলাতে পারি না। একের পর এক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, আমরা সব মেনে নিতে শিখে যাচ্ছে। একটু দূরে দূরে হচ্ছে বলে এখনও আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি। কাছেপিঠে, আর দ্রুত সময়ে যদি এমন কাজ হতে থাকে, তাহলে আমরা এই ভয়ংকর ঘটনাতেও অভ্যস্ত হয়ে যাব। আমরাও তখন হয়ত রা করব না কোন। কেউ মারা গেছে? না? ও! বলে ভুলে যাব আলু পেঁয়াজ আর পটলের দামে! আর কত? আমাদের এখন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বলতে লজ্জা করে। আমাদের এখন মুখ দেখাতে তোমার দেশে কী হচ্ছে বলে উদাহরণ দিতে হয়! জানা আছে তোমরা কত ভাল! আমেরিকা? যেখানে কয়দিন পরে পরে মানুষ বন্দুক নিয়ে ব্রাশফায়ার করে স্কুলের শিশু হত্যা করে? ইউরোপ? বর্ণবাদের নামে জান সেখানে দৈনিক কী হয়? ভারত? হা হা হা! আমরা তন্নতন্ন করে খুঁজে বের করব কবে কখন কোথায় কারা কারা এই মাপের অন্যায় করেছে, খুঁজে বের করে তা ফলাও করে প্রচার করব। এটা না করলে আমরা বাঁচতে পারব না। সব দেশেই সমস্যা আছে, সবাই কম বেশি এমন আকাম কুকাম করে, এইটা বলতে পারাই একমাত্র উপায় বেঁচে থাকার। আর না হলে আর কোনকিছুই হাতে নেই আমাদের। আমরা অন্ধকার এক গহ্বরে প্রবেশ করেছি বা আমাদের করানো হচ্ছে। খারাপ খবর হচ্ছে আমরা জানিই না যে আমরা একটা অন্ধকার গহ্বরে ঢুকে বসে আছি!

    আমি এখন নির্লজ্জের মত চাই আমার এলাকায় যেন এমন কিছু না হয়, আমি স্বার্থপরের মত চাই আমার পরিচিত পরিবেশে যেন এমন কোন দৃশ্যের মহড়া না হয়। আমি জানি এমন দিন আমার আশেপাশে ঘটলে দুই দিক থেকেই দুঃখ পাব। এক আমার পরিচিত বন্ধুদের এই তীব্র কষ্ট সহ্য করতে দেখব, যাদের সাথে ছোটবেলা থেকে ওঠা বসা, তাদের মুখোমুখি হতে হবে আমাকে লজ্জিত বদনে। আর সবচেয়ে ভয়ংকর যেটা, যার ভয় আমি সবচেয়ে বেশি পাই তা হচ্ছে মুখোশ খুলে আমার পরিচিত মানুষকে যদি দেখি আগুন হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ধর্মের পয়েন্ট অর্জনের কাজে? আমার প্রতিবেশীকেই যদি দেখি নেতৃত্ব দিচ্ছে? যদি দেখি আমার মসজিদের ইমাম সাহেব মাইকে ডাক দিচ্ছে জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য বিধর্মীর ঘর বাড়ি? সেদিন আমার নিজেকে ওই আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা ছাড়া আর কোন রাস্তা আছে? তাই আমি তাই নির্লজ্জের মত, স্বার্থপরের মত চাই আমার এদিকে এমন কিছু না হোক।

    আমাদের সবার আগে বুঝতে হবে বাংলাদেশের মূল সমস্যা ভোজ্য তেল না, জ্বালানি না, ডলার না, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ না, ভারত পাকিস্তান কাশ্মীর না, জনসংখ্যার চাপ না, সাকিব আল হাসান না, ক্রিকেট না, ফুটবল না, ঝড় না, বন্যা না, খরা না। এই সবই আমাদের যে অর্থনৈতিক অবস্থা তা দিয়ে সামাল দেওয়ার মত। আমাদের বুঝতে হবে আমাদের মূল সমস্যা এখন হচ্ছে মৌলবাদের অন্ধকার ছায়া। যে সাম্প্রদায়িক বিষ আমাদের শিরায় শিরায় ঢুকানো হচ্ছে, যেভাবে উদাসীন হয়ে আমরা তা চেয়ে চেয়ে দেখছি, তাতে আমাদের এই এক মৌলবাদই ডুবিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। উদ্ধারের পথ কোথায় আমার জানা নাই। পথ আছে কি না তাও জানা নাই আমার।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২০ জুলাই ২০২২ | ২১২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২০ জুলাই ২০২২ ০১:৫০510058
  • এই মৌলবাদ আশির দশক থেকে ধীরে ধীরে ঢোকানো হয়েছে।
  • Somnath | ২০ জুলাই ২০২২ ০৬:১৭510062
  • খুব ভালো লেখা। মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সামাজিক প্রতিরোধ দরকার।
  • Emanul Haque | ২০ জুলাই ২০২২ ০৭:৪৭510063
  • ভালো লেখা।
    ভারত বাংলাদেশ এক কায়দায় চলছে দুই সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তির গাঁটছড়া বেঁধে কাজ
  • guru | 146.196.44.9 | ২০ জুলাই ২০২২ ০৮:৩৩510065
  • ভাই লেখাটি খুবই ভালো | কিন্ত আওয়ামী লীগের আমলে এইসব কেন হচ্ছে ? বাংলাদেশ তো এখন অনেকদিন আগেই পাকিস্তানকে জিডিপি তে হারিয়ে দিয়েছে | শেইখ হাসিনা কি ২০২৩  নির্বাচনের ভয়ে কিছু বলছেননা ?
     
    আপনি কি বলেন ভাই ?
     
    এদিকে অনেক ইন্টারনেট হিন্দুত্ববাদীরা বলে চলেছে যেন ভারত বান্দরবান অঞ্চলটি বাংলাদেশ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নতুন একটি রাজ্য শুধুমাত্র হিন্দুদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে | এটি একটি চরম উত্তেজনা ছড়ানো ব্যাপার |
     
     
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২০ জুলাই ২০২২ ০৯:৫১510068
  • আওয়ামীলীগের আমলে কেন হচ্ছে এইটা বলা মুশকিল। আওয়ামীলীগ কি সাম্প্রদায়িক দল? না, বাংলাদেশে যতগুলা রাজনৈতিক দল আছে তাদের তুলনায় আওয়ামীলীগ যে অনেক বেশি অসাম্প্রদায়িক দল তা সহজেই বলা চলে। কিন্তু তারপরেও তো হচ্ছে। একটার পরে একটা হচ্ছে, এটাও তো সত্য। এর কারণ হিসেবে আমার কাছে প্রধান যে কারণটা মনে হয় তা হচ্ছে আওয়ামীলীগ ২০১৩ সালে হেফাজতের শাপলা চত্বর ঘেরাও ঘটনার পরে বেশ ভয় পেয়েছে এই শক্তিটাকে। এরপরে নানা ভাবে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে গেছে এদের। এখন এরা মাথায় উঠে বসে আছে। গত বছর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে বাধা দেওয়ার সময় আবার আওয়ামীলীগকে শক্ত হতে দেখা গেছে। হেফাজতের বেশ প্রথমসারির নেতারা জেলের ভিতরে এখনও। কিন্তু এখন এদের সামাল দেওয়াই মুশকিল হয়ে গেছে। এদেরকে পোষ মানিয়ে হাতে রাখার যে কৌশল আওয়ামীলীগ নিয়ে ছিল তা হিতে বিপরীত হয়েছে। 
    এরপরে আমার যা মনে হয় তা হচ্ছে রাজনৈতিক আন্দোলন করে আওয়ামিলকে ক্ষমতা থেকে হঠানো বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কোন বক্তব্য দিয়ে কাওকে মাঠে নামানো যায় না এখানে। বিএনপি জামাত এইটা খুব ভাল ভাবেই বুঝতে পারছি। যদি কালকে বিএনপি বলে বিদ্যুৎ নাই, দ্রব্যমূল্য আকাশে, রাস্তাঘাট নিরাপদ না, এই সবের প্রতিবাদে আগামীকাল থেকে লাগাতার আন্দোলন। নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কিছু নেতা কর্মী আসবে, ঐখানেই তীব্র আন্দোলন করে বাড়ি ফিরে যাবে কেউ, কেউ হয়ত জেলে। কিন্তু ধর্মের অপমান হয়েছে, নবীর অপমান করছে বলা হলে তা আসলেই হয়েছে কি না তাও দেখার সময় নিবে না, ঝাঁপিয়ে পড়বে! আমাদের শেরপুরের মত মফস্বলে মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। এই বিষয়টা সবাই বুঝে গেছে। সরকারকে বিপদে ফেলার সুবর্ণ সুযোগ নিতে কেউ দেরি করে না। সুযোগ পাওয়া মাত্রই কাজে লাগায় ওরা। গ্রাম গঞ্জে মসজিদের ইমামের কথার আলাদা গুরুত্ব আছে। এই ইমামা সাহেবরা আওয়ামিলগের পক্ষের লোক এমন বলা কঠিন। আর তাই এখন এখন যখন সারা দেশে পাঁচশর উপরে মসজিদ সরকার নিজ খরচে তৈরি করে দিচ্ছে তখন এই মনোভাবের লোকজনের তা পছন্দ হচ্ছে না। তাদের কথা হচ্ছে এখানে তো আওয়ামীলীগ নিজের পছন্দ মত ইমাম নিয়োগ দিবে! যেখানে খুশি হাওয়ার কথা সেখানে তারা এইটা অপছন্দ করছে। মৌলবাদের বিষ এত গভীরে চলে গেছে যে মসজিদও পছন্দ না কারণ এতে নিজেদের স্বার্থে আঘাত লাগবে! 
    সামগ্রিক ভাবে আমাদের অবক্ষয় হয়েছে। মানুষ ধর্ম পালনের দিকে বেশি ঝুঁকছে। যত ধার্মিক হচ্ছে তত আকাম কুকামও বাড়ছে। সব লোক দেখানো ধার্মিক। ধর্ম হচ্ছে নিজের পাপ ঢাকার হাতিয়ার। গত রোজার ঈদে কমলাপুর থেকে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারিকে ধরল পুলিশ। বুক সমান লম্বা দাঁড়ি, কপালে নামাজ পড়তে পড়তে কালো দাগ ফেলে দিয়েছে তিনি! পুরো দেশে এখন এই চলছে। যত লেবাস নেওয়া যায় তত আকাম করা নিরাপদ। ধর্ম পালন করে কেউ বেহেশতে যেতে চায় না, পয়েন্ট কামাই করে যেতে চায়। সারাদিন যাই করলাম কিছু টাকা দান করে দিলাম, কিছু পয়েন্ট কামাই হল, ফেসবুকে মানুষকে পর্দা করতে বললাম, ধর্মের অবমাননা হলে ঝাঁপিয়ে পরে কিছু না বুঝেই পোস্ট দিয়ে দিলাম আবার কিছু পয়েন্ট পাওয়া গেল। এমন পয়েন্ট কামাই করে করে বেহেশতে চলে যাবে সবাই। অন্তত তারা তাই ভাবে! হিন্দুর বাড়িঘর জ্বালিয়ে যদি প্রচুর পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে তা করবে না? পরে ফিরে এসে লাল নীল দুনিয়ায় হারিয়ে গেলাম আবার তাতে সমস্যা না, পয়েন্ট কামাই হয়েছে, ঐখান থেকে কিছু কাটা যাবে। আবার সুযোগ তো পাওয়া যাবেই। এভাবেই চলবে!!  
  • Sunetra Sadhu | ২০ জুলাই ২০২২ ১০:৩৩510069
  • কিছুদিন আগেই ঢাকা ডঃ রতন সিদ্দিকি ও তার পরিবারের উপর হামলা হয়। তিনি বলেছিলেন আমি হিন্দু নই মুসলিম নই মানবতা আমার ধর্ম। এখনও তার বাড়ির সামনে পুলিশ প্রোটেশন। উগ্র মৌলবাদ ধর্ম দেখে না তারা শুধু বাহিনী গড়তে চায়। মতের অমিল হলেই হামলা। এক অদ্ভুত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা।
  • Ranjan Roy | ২০ জুলাই ২০২২ ১৩:৫৪510074
  • "আর সবচেয়ে ভয়ংকর যেটা, যার ভয় আমি সবচেয়ে বেশি পাই তা হচ্ছে মুখোশ খুলে আমার পরিচিত মানুষকে যদি দেখি আগুন হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ধর্মের পয়েন্ট অর্জনের কাজে? আমার প্রতিবেশীকেই যদি দেখি নেতৃত্ব দিচ্ছে? "
    --এই দুটো লাইন লেখার জন্য আপনাকে অনেক সালাম শরীফ ভাই।
    এই ভয় সার্বজনীন। এই ভয় এপারেও। 
    উপায়? আমরা সবাই যেন নিজের নিজের ঘর সামাল দেবার চেষ্টা করি। 
     
    সমাধানও আপনিই বাতলেছেন শরীফ ভাই।
    "আমি এখন নির্লজ্জের মত চাই আমার এলাকায় যেন এমন কিছু না হয়, আমি স্বার্থপরের মত চাই আমার পরিচিত পরিবেশে যেন এমন কোন দৃশ্যের মহড়া না হয়। আমি জানি এমন দিন আমার আশেপাশে ঘটলে দুই দিক থেকেই দুঃখ পাব। এক আমার পরিচিত বন্ধুদের এই তীব্র কষ্ট সহ্য করতে দেখব, যাদের সাথে ছোটবেলা থেকে ওঠা বসা, তাদের মুখোমুখি হতে হবে আমাকে লজ্জিত বদনে।"
  • guru | 103.151.156.181 | ২১ জুলাই ২০২২ ১৯:৩৭510093
  • ভারতে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আরো একটা ধারণা আছে | ঘটনা হচ্ছে যে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক ভাবে ভারতের উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল | এর সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ হচ্ছে যে মাত্র কয়েক মাস আগেই যখন আম্রিকা RAB এর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারী করেছিলো তখন শেখ হাসিনা সরাসরি ভাবেই ভারতের রাষ্ট্রদূত ও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী শ্রী জয়শঙ্কর এর কাছে সরাসরি দরবার করেছিলেন যেন আম্রিকা RAB এর উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় যদিও তাতে কতদূর লাভ হয়েছে বলা মুশকিল | সেই সময়ে ডেইলিস্টারের ​​​​​​​সম্পাদক ​​​​​​​এই ব্যাপারে শেখ হাসিনা​​​​​​​র ​​​​​​​প্রচন্ড ​​​​​​​নিন্দা ​​​​​​​করেছিলেন ​​​​​​​আমার ​​​​​​​যত ​​​​​​​দূর মনে ​​​​​​​পড়ে |
     
    এখন শেখ ​​​​​​​হাসিনা ​​​​​​​চাইছেন ​​​​​​​যে ভারতকে ​​​​​​​বোঝাতে ​​​​​​​যে বাংলাদেশের ​​​​​​​ক্ষেত্রে শেখ ​​​​​​​হাসিনা সম্পূর্ণভাবে ​​​​​​​ভারতের ​​​​​​​একমাত্র option এবং বাংলাদেশে​​​​​​​র ​​​​​​​গদিতে শেখ ​​​​​​​হাসিনা ​​​​​​​না ​​​​​​​থাকলে ​​​​​​​কি ​​​​​​​হতে ​​​​​​​যাচ্ছে তাইজন্যই ​​​​​​​এইসব ​​​​​​​ঘটনাগুলি ​​​​​​​মাঝে ​​​​​​​মাঝে ​​​​​​​ঘটানো ​​​​​​​হচ্ছে | একটা কথা মাথাতে রাখতে হবে যে বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে ভারতে মুসলিমদের উপরে কি হচ্ছে জানাটা খুবই সহজ ব্যাপার ইন্টারনেটের মাধ্যমে | কাজেই ভারতের ঘটনার যে কোনো রিঅ্যাকশন হবেনা তাই বা কে বলতে পারে ? শেইখ হাসিনা নিজেও এই বার্তাটি দিতে চান বলেই হয়তো গত অক্টোবরের ঘটনার পরে উনি স্বয়ং মোদিকে তার নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের উপর ভালো ব্যবহার করার পরামর্শ দেন যাতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি আরো খারাপ না হয় |
     
    এইটা ​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​আপনি ​​​​​​​কি ​​​​​​​বলেন ​​​​​​​ভাই ? ভারতে সংখ্যালঘুদের ​​​​​​​উপর ​​​​​​​যা ​​​​​​​ঘটে ​​​​​​​তার ​​​​​​​কি ​​​​​​​প্রভাব ​​​​​​​আস্তে ​​​​​​​আস্তে বাংলাদেশিদের ​​​​​​​উপর ​​​​​​​পড়ছে ? বাংলাদেশীরা ​​​​​​​এখন ​​​​​​​যথেচ্ছ ​​​​​​​ভারতে ​​​​​​​ঘুরতে ​​​​​​​পারেন ​​​​​​​তারা ​​​​​​​নিশ্চয় ​​​​​​​কোলকাতা ​​​​​​​বা অসম ​​​​​​​গিয়ে ​​​​​​​বুঝতে ​​​​​​​পারেন ​​​​​​​হাওয়া ​​​​​​​কোন ​​​​​​​দিকে ​​​​​​​যাচ্ছে ​​​​​​​ভারতে ​​​​​​​সংখ্যালঘুদের ​​​​​​​ব্যাপারে | তার ​​​​​​​কি ​​​​​​​কোনো ​​​​​​​প্রভাব ​​​​​​​পড়তে ​​​​​​​পারে ​​​​​​​ভবিষয়তে ​​​​​​​?
     
  • Ranjan Roy | ২১ জুলাই ২০২২ ২০:০২510094
  • গুরু
     অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংগত প্রশ্ন। 
  • সোমনাথ গুহ | 27.131.211.242 | ২৩ জুলাই ২০২২ ১০:৫২510179
  • এখানে সংখ্যায়ালঘুদের ওপর যে ভয়ানক আক্রমণ হচ্ছে, সেটারই প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে হচ্ছে। এক মৌলবাদ আরেক মৌলবাদকে পুষ্ট করে। সুস্থ সংবেদনশীল মানুষকে রাস্তায় নেমে এর মোকাবিলা করতে হবে, দুই বাংলাতেই।
  • শক্তি | 2405:201:8005:900c:5ae:d25d:3e62:a057 | ২৩ জুলাই ২০২২ ১১:১৯510180
  • কোন দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ মৌলবাদ বা দাঙ্গাবাজি সমর্থন করেন না কিন্তু আপৎকালে বিরোধিতা করতেও সাহসী হননা। যদি বিরুদ্ধে বলতে পারতেন এভাবে হয়তো পরিস্থিতি অন‍্যরকম হতো।লেখকে ধন্যবাদ 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২৩ জুলাই ২০২২ ২৩:২০510210
  • গুরু, প্রভাব তো অবশ্যই পড়ে। খুব তীব্র ভাবেই পড়ে। এর নজির আমার দুর্দান্ত মুসলিম ভাইয়েরা এর আগে এত দুর্দান্ত ভাবে এর আগে দিয়ে গেছেন যে অস্বীকার করার কোন উপায়ই নাই। পান থেকে চুন খসলে এদিকের মানুষের মাথা গরম হওয়া শুরু করে। তখন দরকার পড়ে একটু হাওয়া! হাওয়া পাওয়া মাত্র জ্বলে উঠে আগুন। এই হাওয়া দেওয়ার কাজটা যারা করছে তারাই আমাদের দেশের মূল কালপ্রিট। 
    এখন আপনি বলছেন এই কাজটা আওয়ামীলীগ নিজেই করছে ভারতকে দেখাতে যে ওরা না থাকলে আরও কত বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে। ভারতের সমর্থন জরুরি বলেই এমন কাণ্ড করছে। আপনার এই তত্ত্ব নিখুঁত ভাবে মিলে যায় একদম। আর এই কারণেই আমার বিশ্বাস হয় না। এত হালকা চাল দিয়ে ভারতের সরকার, গোয়েন্দা বাহিনীকে বোকা বানাতে সক্ষম হবে আমাদের সরকার এইটা আমার কাছে একটু বেশি বেশিই মনে হচ্ছে। 
    ভারতের জন্য আওয়ামীলীগ সেরা পছন্দ এইটা এই কাণ্ড করে বুঝাতে হবে আওয়ামীলীগকে? এইটা যারা দুই দেশের সম্পর্ক, ইতিহাস এই সব মাথায় রাখে তারা চোখ বন্ধ করে বলে দিবে ভারতের জন্য এরচেয়ে ভাল কিছু আর নাই। যদি আপনার জানা না থাকে তাহলে আমি আপনাকে একটু বলি যে বিএনপি আমলে আপনাদের দেশের এই প্রান্তে কী হত। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সকাল বিকাল নাস্তা করত ঢাকা শহরে। তাদের নেতাদের জন্য আরাম আয়েশের সব বন্দবস্ত থাকত এখানে। উলফার অস্ত্র যেতো হরহামেশা এইদিক দিয়েই। 
    আমার বিএনপি করে এক বন্ধু, যার বাবা বিএনপির মোটামুটি উপরের সারির নেতা ছিলেন, সে আমাকে একদিন বুঝাল যে এইটাই তো করা উচিত। কেন? আমাদের আশেপাশে দুর্বল রাষ্ট্র থাকলে, ভারত না থাকলে কত লাভ হবে না? আমি ওকে বুঝাতে পারি নাই যে না, আমাদের আশেপাশে দুর্বল রাষ্ট্র থাকলে আমাদের লাভ না, বরং লস, শক্তিশালী ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বরং আমাদের জন্য লাভ। এই রকম চিন্তা শুধু আমার বন্ধু না, বিএনপি মাত্রই এই রকম চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরে। এই বিএনপি জামাত বিজেপি প্রথমবার ক্ষমতায় আসে তখন দিক্বিদিক শূন্য হয়ে সমানে অভিনন্দন জানানো শুরু করে দিছিল। কেন? কারণ তাদের মনে হয়েছিল আওয়ামীলীগের সাথে কংগ্রেসের ভাল সম্পর্ক, সেই সম্পর্ক এখন থাকবে না, তাদের সুযোগ আসবে ক্ষমতায় আসার। বিজেপি ক্যামন দল, তাদের আদর্শ কী, সেই আদর্শের সাথে তারা দেশে যে ধরণের বক্তব্য দেয় তার সাথে যায় কি না এই সব তাদের মাথায় ছিল না। 
    তারপরেও, আমি শুরুতেই আপনার কথার সাথে একমত পোষণ করছি। কিন্তু বড় বেশি সহজ মনে হয় বলেই মানতে চাচ্ছি না। 
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:83a:31bc:6239:2227 | ২৩ জুলাই ২০২২ ২৩:৩২510213
  • নড়াইলের খবরটা যখন দেখলাম , তখনই মনে হয়েছিল, আর কেউ না লিখলেও সাদেক হয়ত এ নিয়ে লিখবে 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:83a:31bc:6239:2227 | ২৩ জুলাই ২০২২ ২৩:৩৯510214
  • খুবই ভাল ও জরুরী লেখা 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:83a:31bc:6239:2227 | ২৪ জুলাই ২০২২ ০০:১১510217
  • আওয়ামী লিগ নিঃসন্দেহে বিএনপি-র চেয়ে ভাল, লেসার ইভিল, কিন্তু আওয়ামী লিগ - এর যে নেতা নেত্রীরা ক্ষমতায় আছেন, বিধর্মী, সংখ্যালঘু মানুষ মার খেলে, তাদের কি সত্যিই কিছু যায় আসে? 
    আল্লা বা নবী কে অপমান করলে মারধোর, ভাঙচুর, আগুন  লাগানো, সম্পত্তি লুঠ -সবই জায়েজ, এতে হয়ত ব্যক্তিগত ভাবে তারাও অনেকেই বিশ্বাস রাখেন 
    দেশের বেশির ভাগ মানুষ কী ভাবেন, কী চান - কতটা মৌলবাদ সমর্থক, সেটা জানার কোন উপায় থাকলে ভাল হত 
  • ar | 173.48.167.228 | ২৪ জুলাই ২০২২ ০৫:৩৫510220
  • এই টইতে দীপবাবুর একটা লেখা আশা করেছিলাম!!
  • Santosh Banerjee | 2401:4900:362f:115f:1:1:f73d:2103 | ২৪ জুলাই ২০২২ ২০:০৫510241
  • অতি মূল্যবান প্রতিবেদন । এর সমাধান কি আমরা কেউ জানিনা।আমার পাশের লোকটা কখন যে এই ধর্মান্ধতার বলি হলেন , কখন যে রাষ্ট্রযন্ত্র আমাদের ব্যবহার করতে শুরু করলো তাদেরই প্রয়োজনে, আমরা ভেবে দেখলাম না।এটা ভাবলাম না যে যারা আমাদের পুতুল নাচ নাচাচ্ছে তারা তো সংখ্যায় কম, আমরা তো বেশি ! তবু নেচে যাচ্ছি।কবে আমরা মানবিক হবো? সভ্য হবো কবে?? প্রশ্নের উত্তর নাই!!!!
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২৫ জুলাই ২০২২ ০০:১২510263
  • aranya, দাদা, আপনার অনুমান ভুল না। আওয়ামীলীগের ভিতরে এমন ভাবার মানুষের অভাব নাই। উপরে কতদূর পর্যন্ত এমন চিন্তা ভাবনার মানুষ আছে সেটাই হচ্ছে ভাবার বিষয়। মাশরাফি ছাড়া আজ পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধিকে সরাসরি সামনে এসে শক্ত করে কথা বলতে দেখিনি। গত বছর কুমিল্লায় যা হয়ে গেছে তারপরেও এমন করে কেউ তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি। সব আলগা আলগা কথাবর্তা দায়িত্ব পালন করেছে। আমি আমার আগে পরের সব লেখায় বারবার এইটাই বলতে চাচ্ছি যে দিনদিনই অবস্থা খারাপ হচ্ছে। বিশাল সংখ্যার মানুষ ধর্মান্ধ হয়ে গেছে। তাদের চিন্তা ভাবনার দৌড় সামান্য। যা খাওয়াচ্ছে তাই খাচ্ছে, ভেবে দেখার সময়, ঘিলু, ইচ্ছা কিছুই নাই এদের। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন না হলে আমার ধারণা আমরা এর থেকে উত্তরণ করতে পারব না।   
  • guru | 103.135.229.145 | ২৬ জুলাই ২০২২ ০৭:৫১510350
  • "ভারতের জন্য আওয়ামীলীগ সেরা পছন্দ এইটা এই কাণ্ড করে বুঝাতে হবে আওয়ামীলীগকে? এইটা যারা দুই দেশের সম্পর্ক, ইতিহাস এই সব মাথায় রাখে তারা চোখ বন্ধ করে বলে দিবে ভারতের জন্য এরচেয়ে ভাল কিছু আর নাই। "
     
    ভাই ব্যাপার টি হচ্ছে যে এখানে রাষ্ট্রের ব্যাপারে শুধু স্বার্থই শেষ পর্যন্ত কাজ করে অন্য কোনো কিছুই নেই |1971 আর ২০২২ সালের ভারত এক নয় | ২০২২ সালে কিন্তু ভারত বলছে যে অখণ্ড ভারতের কথা সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের কোনো স্থান নেই | কাজেই শেইখ হাসিনাকেও এখন অন্য রকম ভাবেই হয়তো ভাবতে হচ্ছে |
     
     
    আমি মনে করি শেখ হাসিনা যদি ভারতকে বুঝতে চান যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীন বাঙলাদেশ ভারতের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাহলে তাকে অনেক কিছুই করতে হতে পারে | 
     
    দেখেন ভাই সত্যি কথা বলতে কি বর্তমানে এতো বিশাল আর্থিক প্রগতির পরেও ভারতে বাংলাদেশের ব্যাপারে এখনো "শরণার্থী ঘুনপোকা ঘুসপেথিয়া " জাতীয় রেসিস্ট চিন্তাভাবনা কাজ করে | অখণ্ড ভারত জাতীয় ধ্যানধারণা তো আছেই |
     
    কাজে কাজেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও এই ভারতীয় মনোভাবের প্রভাব পর্বেই তা আর নতুন কিছুই নয় | আওয়ামী লীগ তো আর জনবিচ্ছিন্ন কিছু নয় ভোটের জন্য তাকেও সেই মানুষের দরজাতে আসতেই হবে |
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২৭ জুলাই ২০২২ ০৩:৫৫510399
  • guru, বিপরীতমুখী কথা হয়ে গেল না? এখানে যদি ধর্মীয় সহিংসতা বেশি হয় তাহলেই তো আরও বেশি করে জায়েজ হবে না অখণ্ড ভারত যারা চাচ্ছে তাদের আগ্রহটা? 
    আমি আপনার বক্তব্য পুরোপুরিই বুঝতে পেরেছি। আমি দ্বিমত করছি শুধু এক জায়গায়, আওয়ামীলীগই এই সব করাচ্ছে। আওয়ামীলীগ কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না আর আওয়ামীলীগ নিজেরাই এই কাজ করে আপনার বক্তব্য অনুযায়ী ভারতকে দেখাচ্ছে যে আওয়ামীলীগ কত জরুরি ভারতের জন্য, দুইটা দুই জিনিস। আমি এই জায়গায় দ্বিমত করছি শুধু। 
  • guru | 103.135.229.137 | ২৭ জুলাই ২০২২ ১৪:১৮510415
  • দেখুন  শরীফ ভাই , অখণ্ড ভারত একটি সম্পূর্ণ সাম্রাজ্যবাদী দাবী অর্থাৎ একটি উত্তর ভারতীয় আর্থিক ও সংস্কৃতিক এক্সপানশন এর প্রোজেক্ট এটি , শুধু আরএসএস কে এর জন্য দোষ দিয়ে লাভ নেই এর জন্য সেক্যুলার কংগ্রেস বা অন্যরাও এই দাবীর পক্ষে আছে |  আরএসএস ছাড়া বাকিরা এই ​​​​​​​কথাগুলি ​​​​​​​শুধু মুখ ফুটে বলেনা ​​​​​​​কিন্তু কাজে করে দেখায় | এদের কাছে ১৯৭১ ​​​​​​​এই ​​​​​​​অখণ্ড ​​​​​​​ভারতের ​​​​​​​একটি ​​​​​​​ছোট ​​​​​​​পদক্ষেপ ​​​​​​​মাত্র |
     
    আজকে বাংলাদেশে মন্দির পুড়লে তারা এই ব্যাপারটিকে ব্যবহার করে বটে কিন্তু ঘটনা হলো যে বাংলাদেশ যদি আজকে নিজেকে সম্পূর্ণ সেক্যুলার রাষ্ট্র বলে ঘোষণা দেয় তাহলেও অখণ্ড ভারত প্রকল্পটি থেমে থাকবেনা | দেখুন সিকিম মনিপুর নাগাল্যান্ড মেঘালয় এইগুলি তো মুসলিম বহুল রাজ্য ছিলোনা তাহলে এদের অখণ্ড ভারতের মধ্যে কেন খেয়ে ফেললো ? আপনি তারক ফতেহ এর youtube ভাষণগুলি শোনেন সে তো দাবী করে যে ১৯৭১ সালেই ভারতের উচিত ছিল জয়ী হিসেবে বাংলাকে খেয়ে ফেলা কেননা শেখ মুজিব ও তাজুদ্দিন সেই সময়ে ভারতের উপর চূড়ান্ত নির্ভরশীল ছিলেন তারা কিছুই করতে পারতেননা |
     
    শেখ ​​​​​​​হাসিনার সমস্যাটি হলো যে উনি যেহেতু রাজনৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের উপর নির্ভরশীল তাই চাইলেও ওনার পক্ষে অখণ্ড ভারত প্রকল্পটির ​​​​​​​বিরুদ্ধে কিছু করা সম্ভব নয় | বাংলাদেশকে প্রায় প্রত্যেক বছর আরো বেশি বেশি করে ভারতীয় মাল আমদানি করতে বাধ্য হতে হয় হাসিনার রাজনৈতিক সম্পর্কের জন্য যদিও কাজের সময় মাথা খুঁড়ে কাঁদলেও ভারতের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যায়না যেমন গত বছর অগ্রিম টাকা দিয়েও কোবিদ ভ্যাকসিন বাংলাদেশ ভারত থেকে পায়নি বা প্রতি বছর ঈদ এর সময়ে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি কমিয়ে দেয় | বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী ভারতে গিয়ে মাথা খুঁড়ে মরলেও ভারত বাংলাদেশের সামনে নিজের মার্কেট খোলেনা | RAB কে ব্লাকলিস্ট থেকে বের করতে বা রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনতে চাইলেও ভারতের অনুমতির দরকার হয়ে থাকে |
     
    ভারত বাংলাদেশ দুপক্ষের বাণিজ্য হিসাব যদি দেখেন দেখা যায় প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রায় ১০ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি করে ভারতের তুলনায় অর্থাৎ এই সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে | এই বছর আর রেমিট্যান্স খাত আর ​​​​​​​গার্মেন্ট রপ্তানি খাত ​​​​​​​দিয়ে ​​​​​​​এই ​​​​​​​ঘাটতি ​​​​​​​মেটানো যাচ্ছেনা ​​​​​​​তাই শেখ ​​​​​​​হাসিনা​​​​​​​কে ​​​​​​​বাধ্য ​​​​​​​হয়ে IMF এর ​​​​​​​কাছে ​​​​​​​হাত ​​​​​​​পাততে ​​​​​​​হলো | ওদিকে রোহিঙ্গিয়াদের মায়ানমারে ফেরত নিতে কোনো সাহায্য উনি পাচ্ছেননা |
     
    এখন ​​​​​​​আপনি ​​​​​​​বলুন ​​​​​​​শেখ ​​​​​​​হাসিনার সামনে ​​​​​​​মোদীজিকে ​​​​​​​নিজের অপরিহার্যতা বোঝানোর উপায় আর কি আছে ? উনি জানেন ১৯৭১ সালের পরে বাংলাদেশ একটা ২২-২৩ কোটির পশ্চিম পাকিস্তানের ক্যাপটিভ মার্কেটটা হারিয়েছে | চীনের সঙ্গে বেশি বাণিজ্য করলে ভারত আর আম্রিকা গোঁসা ​​​​​​​করবে | উনি ​​​​​​​পাকিস্তানে রাষ্ট্রদূত পাঠালে আওয়ামী লীগের সেক্যুলার বাঙালী ভোটাররা চিল্লামিল্লি ​​​​​​​করবে | মোদির কাছে ​​​​​​​নিজের ​​​​​​​গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য ​​​​​​​ওনার ​​​​​​​আর ​​​​​​​কি ​​​​​​​অপশন ​​​​​​​আছে ​​​​​​​বলুন ? 
     
     
  • এইত্তো | 2405:8100:8000:5ca1::33b:c9d3 | ২৭ জুলাই ২০২২ ১৪:৪২510416
  • জামাতি ছাগু মিচমিচিয়ে খাপ খুলছে।
     
    শরীফভাই আপনি মোনয় অন্য টই লেখাপত্র বিশেষ  ফলো করেন না। এই ছাগুমালটা  সমানে ঘুরঘুর করে জামাতি মত ঢুকিয়ে দেবার জন্য। এনগেজ কিরছেন ঠিকাছে কিন্তু সাবধান। ছাগুদের এক চামচও পাত্তা না দেয়াই ভাল।
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২৭ জুলাই ২০২২ ২৩:২৭510434
  • guru, আপনি আপনার মত নানা ভাবে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করে দিচ্ছেন। আর আমি যে এত বড় একটা লেখা লেখলাম, দুইটা তিনটা দীর্ঘ কমেন্ট করলাম, এর আগেও অনেকবার লেখছি সেগুলা কিছুই মনে করলেন না! আমি এখানে থেকে, উগ্র মৌলবাদদের দেখছি, দিনে দিনেই অধঃপতন হচ্ছে মানুষের মনুষ্যত্বের এইটা এখন দিনের আলোর মত সত্য। এক ডাকে হাজার হাজার মানুষ আসছে, কোন চিন্তা ভাবনা না করেই, এসে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এরা আওয়ামীলীগ করে? বাংলাদেশে একটা কথা প্রচলিত আছে, বিএনপি কোনদিন হিন্দুদের ভোট পাবে না, আওয়ামীলীগ টুপি পরে সেজদায় পরে থাকলেও এই ছাগলদের ভোট পাবে না! যত যাই করুক, দিন শেষে আওয়ামীলীগকে তাদের পছন্দ না। আওয়ামীলীগ তাদের পছন্দের হতে চেষ্টা করেছে, করছে কিন্তু লাভ কিছুই হচ্ছে না। ধর্মীয় যে কোন কিছু দিয়ে আওয়ামীলীগকে ধরা খাওয়ায় দেওয়া যায়। 
     
    @এইত্তো, না, আমি টই ফলো করি না। তবে এতে সমস্যা নাই। আমি সারাদিনই কথা বলে যেতে পারি। যতক্ষণ যুক্তি, সুস্থ কথা চলবে ততক্ষণ আমার কথা বলতে, উত্তর দিতে কোন সমস্যা নাই। আজগুবি তত্ত্ব হাজির না হলেই হল। 
  • guru | 115.187.51.196 | ২৮ জুলাই ২০২২ ১৪:৫৩510472
  • "বাংলাদেশে একটা কথা প্রচলিত আছে, বিএনপি কোনদিন হিন্দুদের ভোট পাবে না, আওয়ামীলীগ টুপি পরে সেজদায় পরে থাকলেও এই ছাগলদের ভোট পাবে না! যত যাই করুক, দিন শেষে আওয়ামীলীগকে তাদের পছন্দ না। আওয়ামীলীগ তাদের পছন্দের হতে চেষ্টা করেছে, করছে কিন্তু লাভ কিছুই হচ্ছে না।"
     
    দেখুন ভাই রাজনীতিতে মানুষের মত ও ন্যারাটিভ পাল্টে যায় যুগে যুগে | গত বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে আমরা দেখেছি যে বিজেপি প্রায় ৮০ টির মতো সিট পেয়েছে এবং প্রায় সবকটি সিট পেয়েছে একসময়কার প্রগতিশীল কম্যুনিষ্ট দূর্গ উত্তরবঙ্গে | আমার চারপাশে বহু বিজেপি সমর্থক আছেন যারা ১০ বছর আগেও কট্টর প্রগতিশীল ও নাস্তিক ছিলেন এবং এখন চূড়ান্ত রাম ও হনুমানভক্ত | সময়ের সঙ্গে মানুষের অনেক কিছুই পাল্টে যায় | যারা আজকে আওয়ামী লীগ কে ভোট দিচ্ছেনা কালকে তারাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অন্যরকম কিছু ভাববেনা কেই বা বলতে পারে ?
     
    কোলকাতাতে বাঙালী ১৯৪০ এর দশকে ভাবতো ব্রিটেন গিয়ে ডাক্তারি পড়বার কথা তখন সে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্কিম পড়তো , পরে সত্তর এর দশকে সে মার্কস পড়তো ও আম্রিকা গিয়ে অর্থনীতি পড়তে চাইতো আর এখন সে আমিস ত্রিপাঠি পড়ে ও প্রতি দশটি কথার ৮ টি কথায় হিন্দিতে বলে এমনকি সম্পূর্ণ বাঙালী অধ্যুষিত এলাকাতেও | 
     
    আচ্ছা একটি কথা বলুন তো ভাই যে উগ্র মৌলবাদ বাড়বার সঙ্গেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে তরুণ প্রজন্ম কি ভাবছে ৫০ বছর পরে ? মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের ন্যারাটিভ কী সম্পুর্ণভাবেই আওয়ামী লীগ ন্যারাটিভএর সঙ্গে একমত ? 
     
    বাংলাদেশের মানুষ পাল্টাচ্ছে কেন তার কারণ বোঝাতে গিয়ে আপনি রাজনৈতিক কারণটি তুলে এনেছেন | আর্থিক ও সামাজিক আরো কোনো কারণ আছে কি ? 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ২৯ জুলাই ২০২২ ০১:৫১510502
  • মুক্তিযুদ্ধ আর আওয়ামীলীগ প্রায় একই জিনিস। খুব বেশি পার্থক্য নাই। এটা আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে আপামর জনতা এখনও এই বিশ্বাস থেকে সরে আসে নাই। শুধু এই কারণে বিশাল একটা অংশের সমর্থন পায় আওয়ামীলীগ। দুইটা বিতর্কিত নির্বাচন করার পরেও ক্ষমতায় টিকে গেছে কারণ বিপক্ষে বিএনপি জামাতকে নিয়ে জোট করে বসে আছে। শুধু মাত্র এই একটা যুক্তিতে এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগের বিপক্ষে বিএনপি দাঁড়াতে পারছে না। আমাদের মত সহস্র আছে যারা শুধু মাত্র এই কারণেই আওয়ামীলীগকে মন্দের ভাল মনে করে সমর্থন দিয়ে যাই। মুক্তিযুদ্ধ এখনও এখানে সবচেয়ে বড় নীতি নির্ধারক। আওয়ামীলীগ এই ইস্যুটা নিজের করে নিতে পারছে, অন্যরা ধরারও চেষ্টা করে নাই। 
    মানুষ পাল্টাচ্ছে রাজনৈতিক কারণ বড় কারণ। অর্থনৈতিক বা সামাজিক কারণও মূলত রাজনৈতিকই। মানুষকে ব্যবহার করছে কিন্তু মানুষ ভাবছে সে খুব ভিন্ন কিছু করছে। আসলে সবই রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের পায়তারা। 
  • guru | 103.175.62.116 | ৩০ জুলাই ২০২২ ০৯:০৬510565
  • খুব ভালো ভাবে বলেছেন ভাই | আমি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বলেছিলাম এই কারণে যে ভারতে গত প্রায় দুই তিন দশকে স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল ন্যারাটিভ প্রায় পুরোটাই পরিবর্তিত হয়ে গেছে | গান্ধী নেহেরু ধর্মনিরপেক্ষতা এই বিষয়গুলি নিয়ে আগে মানুষ এখানে যেইরকম ভাবতো এখন সেইভাবে ভাবেনা | আগে যেমন গান্ধী নেহেরু এদেরকে মোটামুটি দেবতা হিসেবে দেখানো হতো এখন সেই ব্যাপারটিও অনেকটাই শেষ | ধর্মনিরপেক্ষতার ন্যারাটিভ সেইভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে | নব্বই এর দশকের শুরু থেকেই অর্থনীতি যখন আরো উন্মুক্ত হলো মনমোহন সিংহ এর নেতৃত্বে তখনই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত দের সামনে অনেক আর্থিক সুযোগের দরজা খুলে যেতে থাকে এবং আর্থিক প্রগতি শুরু হয়ে যায় এবং তার ফলে আস্তে আস্তে ধর্মনিরপেক্ষতা , মুক্তচিন্তা এইজাতীয়  বিষয়গুলি আস্তে আস্তে ভারতের একটা বড়ো অংশের কাছে তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে |
     
    বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার আমলে আস্তে আস্তে আর্থিক প্রগতি শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকটাই এগিয়ে গেছে সুতরাং এখানকার মতো ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশেও কি আস্তে আস্তে তার প্রাসঙ্গিকতা হারাতে পারে ? মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে মানুষের চিন্তাভাবনাও কি এইভাবেই পাল্টাতে পারে ? আপনার কী মনে হয় ভাই ?
  • সেকুলার ভন্ড | 143.244.57.90 | ০৩ আগস্ট ২০২২ ০১:০৪510701
  • মুসলিমরা ভারত এবং হিন্দুদের উপর তাদের কয়েকশো বছরের আগ্রাসন, genocide, নির্বিচার নারীধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তকরণ, হাজার হাজার মন্দির ধ্বংস.... এই সবের জন্য এখনও পর্যন্ত কি ক্ষমা চেয়েছে?
    আর ইংরেজরা তো চলে গেছে, মুসলিমরা এখনও আমাদের দেশে কি করছে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন