এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মেয়েদের দিন

    মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামান শরীফ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ মার্চ ২০২০ | ২০৭৯ বার পঠিত
  • আমরা মানে পুরুষরা ঘটা করে নিজেদের বাহাবা দেওয়ার জন্য একটা দিবস বানিয়েছি, নারী দিবস। অনেকটা দিলাম একটা দিন তোমাদের, খুশী এবার? এমন একটা দিন থাকলে খুব সুবিধা হয় আমাদের। ওই দিন প্রচুর নারী দি বস টাইপ স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের ও নারীদের খুশি করা যায়। আমি কতটা প্রগতিশীল, কতটা আধুনিক তা প্রমাণ করা যায়। দিনটা শেষ হলে বা নাহলেও সমস্যা নাই। অনলাইন আর অফলাইন তো আর এক জিনিস না। অনলাইনে হাতি ঘোড়া মেরে দুনিয়ার সকল নারী কে... করে দিলেই সমস্যা কোথায়? নারীর তো শরীর ছাড়া আর কিছুই নাই, এইটা কী আর আমরা জানি না? বেশ জানি!

    গরম একটা স্ট্যাটাস দিয়েই চায়ের দোকানে বসে নারী দেশ চালাচ্ছে বলেই গোল্লায় যাচ্ছে দেশ, দেশের নারী কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দিয়ে, সামনে দিয়ে কোন নারী গেলে তাকে এক্সরে করে আগাপাসতলা দেখে নিয়ে তারপরে যেতে দিয়ে দেশ ও সমাজের প্রভূত উন্নতি সাধিত করে আমাদের দিন যায়। আমাদের মাথায়ই ধরে না সেনাবাহিনীর মত জায়গায় নারী কী করে সুযোগ পায়? কিছু জিনিস তো পুরুষের হাতে থাকা উচিত, তাই না? সব কাজ কী সবাইকে দিয়ে হয় নাকি? যে রাস্তায় জ্যাম দেখবেন, খোঁজ নিয়ে দেখুন সামনে নিশ্চিত কোন নারী সার্জেন্ট বসে আছে, আরে দেখতে হবে না, এইটা আমরা জানি! নারী চাকরি করবে না এমন না, অতটা খারাপ মানসিকতার মানুষ আমি না। নারী চাকরি করবে স্কুলে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা পদটা তো তৈরিই হইছে নারীদের জন্য। এরপর আছে ব্যাংকের চাকরি। কি দারুণ সুযোগ নারীদের জন্য। বেশি জটিল কাজ দেওয়ার দরকার নাই, প্যাচগুজ লাগিয়ে ফেলতে পারে। এই ধরেন রিসেপশনিস্ট হিসেবে নারীর বিকল্প আজও আবিষ্কার হয়নি। সাজুগুজু করে বসে থাক, কেউ আসলে মিষ্টি করে হাসি দাও, স্যার একটু ব্যস্ত আছে বলে বসায় রাখ! সোজা কাজ, কোন ঝামেলা নাই। এই ধরেনর কাজ নারী করুক, কে বাধা দেয়? এখন যদি নারী ট্রেন প্লেন চালানো শুরু করে তাহলে বিপদ না? খোঁজ নিয়ে দেখেন যত বিমান দুর্ঘটনা হইছে তার পিছনে কোন নারীর হাত আছে। বুঝতে হবে তো, এই সব জটিল কাজ নারীর জন্য না। আবার খেলতেও যায়? আরে ক্রিকেট খেলা, ফুটবল খেলা মেয়ে মানুষের খেলা? জত্তসব আজগুবি কারবার। সরকারের টাকা নষ্ট। একটা খেলা হারলে জরিমানা করা উচিত এদের। তোমরা খেলবা দাবা খেলা, রানি হামিদ হবা, তোমাদের কেন ব্যাট বল নিয়ে দৌড় দিতে হবে? আশ্চর্য!

    এই যে গার্মেন্টসে হাজার হাজার নারী কাজ করে।( গার্মেন্টসে নারীরা কাজ করা শুরু করার পড় হইছে আরেক বিপদ। বাসা বাড়িতে কাজের লোক পাওয়া যায় না। আগে কত সুন্দর অল্প খরচে দুই তিনজন কাজের লোক রাখা যেত, এদের যে কী হল আল্লাই জানে। সব গিয়ে বসে আছে গার্মেন্টসে!) সেখানে কী হয় আমরা জানি না? আমরা সব জানি। আমাদের পুরুষদের ভিতরে বিল্ট ইন প্রযুক্তি দেওয়া আছে। এগুলা আমরা এমনেই বুঝি। আমরা শুধু গার্মেন্টসের খবর না, চাকরিজীবীসহ সকল নারীর খবর জানি। মিডিয়াতে কাজ করে যে নারীরা, যে মেয়েরা সংবাদপত্রে কাজ করে, যে মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকে, যে মেয়েরা মেসে থাকে, যে মেয়েরা ইডেনে পড়ে, যে মেয়ে রাত বিরাতে বাড়ি ফিরে, যে নার্স রাতে ডিউটি করে হাসপাতালে, যে নারী ডাক্তারি পড়ছে কিংবা পুরুষদের সাথে ডাক্তারি করছে এক হাসপাতালে, যে মেয়ে ডিভোর্স দিয়েছে স্বামীকে, যে মেয়ে একাধিক বিয়ে করে সংসার করেতে পারে নাই, যে নারী মঞ্চ করে, যারা গ্রুপ করে নানা ধরনের, এদের সবাইকে আমরা চিনি। তলেতলে এরা কী করে আমরা সব জানি।আমাদের রাডারে সব ধরা পড়ে। শুধু এরাই না।বাড়িতে থাকা গৃহবধূদের খবরও আমরা জানি। ওই যে মহিলা বাড়ি থেকে বের হলেই সেজেগুজে বের হয়, তিনি কেন সেজে বের হোন আমরা জানি, আমরা জানি ওই পাড়ার ওই মহিলার খবর যিনি একটু আধুনিক পোশাক পরেন, কেন পরেন আমরা জানি। সবাই একই কাজ করছে, একটাই কাজ নারীর। বিভিন্ন ভাবে করছে আর কী! সব বুঝি আমরা এসব। পুরো প্রক্রিতাই বিল্ট ইন দেওয়া আছে আমাদের। সকল পুরুষ জানে এ সব। আরও সূক্ষ্ম জিনিসও জানি আমরা। সেদিকে আর গেলাম না। নারীরা অত বুঝবে না আর পুরুষরা তো সব জানেই!

    কী বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথা? ঠিক কোন জায়গাটা বিশ্বাস হচ্ছে না? ইডেন কলেজের মেয়েরা? বাংলাদেশে ইডেন কলেজের নাম শুনছে এমন যে কোন পুরুষকে জিজ্ঞাস করে দেখুন। সমস্ত কীর্তিকলাপ সবিস্তারে বলে দিবে আপনাকে। ঠিক মত ধরতে পারলে দুই একটা ভিডিও ক্লিপ পেয়ে যাতে পারেন, এটা কোন বিষয়ই না। মিডিয়াতে যারা কাজ করে তাদের চরিত্র কেমন এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। এটা নিয়ে তো আর কিছু বলতে হবে না, তাই না? কোন ভদ্র পরিবারের ভদ্র মেয়ে নাটক সিনেমা করে বেড়াবে? মিডিয়াতে কাজ করবে? অবান্তর প্রশ্ন! গার্মেন্টসের মেয়েদের ব্যাপারে শফি হুজুরই তো চূড়ান্ত মতামত দিয়ে দিয়েছে, আপামর জনতা তা এক বাক্যে মেনে নিয়েছে। গাদাগাদি করে এত গুলো মেয়ে পুরুষ একসাথে কাজ করে, কোন পর্দা নাই, কিচ্ছু নাই, কী হতে পারে আর? একটা গার্মেন্টস কর্মীর চরিত্র ঠিক আছে? আপনি পাইলে ধরে নিয়ে আসবেন, সাজায় রাখব, টিকেট কেটে মানুষ দেখতে আসবে! এবার আসেন হাসপাতালে, নার্সরা রাত করে ডিউটি করে আর সেখানে কিচ্ছু হয় না? হাসালেন মশাই! দুধের শিশুও জানে এই খবর।এ সবই আমাদের সকলের জান কথা, আলাদা করে বলার কী আছে?

    আমরা এগুলা জানি। কিন্তু আমরা জানি না নুন্যতম আট হাজার টাকা পাওয়া যে নারী কর্মী যদি গার্মেন্টসে কাজ না করত তাহলে ওর সংসার চলত কীভাবে। আমরা জানি না যে নার্স কে নিয়ে আমাদের এত সন্দেহ তিনি না থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে থাকবে কীভাবে? আমরা জানিই না যে নারী মেসে থেকে চাকরি করে জীবন চালাচ্ছে তার ব্যক্তিত্ব কেমন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, কী কাজ করেন, সেগুলো আমাদের ধর্তব্য বিষয় না। তিনি একা থাকেন, মেসে থাকেন এইটুকুই যথেষ্ট। আমরা জানি রাতের কাজ সব পুরুষের। পুরুষ রাতের বেলা কাজ করবে, দেরি করে বাড়ি ফিরবে, এটা তো স্বাভাবিক না? নারী কেন বেশি রাত করে বাড়ি ফিরবে? নিশ্চয়ই কোন সমস্যা আছে!
    মেয়েরা ক্রিকেট খেলে কয়দিন ধরে। আমরা জানি না বাংলাদেশে একটা আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলে একজন পুরুষ পায় তিন লাখ টাকা, মেয়েরা প্রায় একশ ডলার! বাংলা টাকায় নয় হাজারের মত। পুরুষদের বোর্ড বেতন দেয় এ প্লাস ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের চার লাখ টাকা, নারী এ প্লাস ক্যাটাগরির খেলোয়াড় পায় পঞ্চাশ হাজার টাকা। পুরুষদের তৃতীয় ধাপের ক্রিকেটারের চেয়ে কম বেতন পায় নারীর প্রথম ধাপের ক্রিকেটাররা। এগুলো আমাদের জানার প্রয়োজন নাই। ওরা খেলে কেন তাই আমরা বুঝি না। মেয়ে মানুষের মাঠে কী কাজ?
    আমরা এগুলো জানি না, জানার প্রয়োজন নাই। আমদের বিল্ট ইন সেন্সর আছে, আমরা সব জানি। নারীর হাঁটা দেখলেই আমরা বুঝি সব। আমরা পুরুষ জাতি, অন্য কিছু আর জানার প্রয়োজন নেই আমাদের।

    আজকে আট মার্চ, বিশ্ব নারী দিবস। সকল নারীকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ মার্চ ২০২০ | ২০৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • খাতাঞ্চী | 172.69.135.135 | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৯:২৫91292
  • নতুন লজিকে নতুন লেখা সময়ানুক্রমিক না চাপলে বুবুভার লিস্টে আসছে না। তাই তুলে দিই।
  • | 172.68.146.169 | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৯:৪২91298
  • "আমরা মানে পুরুষরা ঘটা করে নিজেদের বাহাবা দেওয়ার জন্য একটা দিবস বানিয়েছি, নারী দিবস।"
    না মশাই এটা ভুল ভুল ভুউউল। আনর্জাতিক নারী দিবস শুধু নয় এই দিনটা আনর্জাতিক কর্মজীবি নারীদিবস। এর একটা ইতিহাস আছে। একটু গুগল করুন। ৮ই মার্চের রাজনৈতিক ইতিহাস বাদ দিয়ে তার আলোচনা হয় না ত।
  • | 172.68.146.169 | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৯:৪২91299
  • *আন্তর্জাতিক
  • π | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৯:৪৫91300
  • ধুর! এত লিখলাম, উড়ে গেল।

    মেয়েদের এই কম মাইনের কাজে যাওয়া নিয়ে আজ ভাটে সেদি লিখেছিলেন, সুইজাল্যান্ডের মেয়েদের ব্যাপারে। রইল সেটা। এবারে সেই উন্নত দেশে এরকম হলে, কিছু ব্যাপাএ মেয়েদের মানসিকতাতেই পিতৃতন্ত্র সেঁধিয়ে আছে বলতে হয়। সেটা ভারতেও বেশ কিছুটা আছে। যেমন, মেয়েদের বিশেষ কিছু বিষয় পড়া বা না পড়া, যাতে পরে কাজের মাইনের তারতম্য হয়ে যায়।
    বাংলাদেশেও এই ব্যাপারটা কীরকম?

    সেদির পোস্ট আর তাই নিয়ে পরে কিছু আলোচনা রইল।
    সে | 162.158.150.21 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০৫:২৪434059
    আমরা মেয়েরা কষ্টে আছি। এটা ঘটনা।
    এদেশে আমাদের খোলা আকাশের নীচে সর্বসমক্ষে সিগারেট, মদ খাবার অধিকার আছে, মাতৃত্বের অধিকার আছে কোনও বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াই।
    তা সত্ত্বেও আমাদের অধিকার কম।
    আমাদের হেলথ ইনশিওরেন্সের জন্য বেশি মাসিক প্রিমিয়াম দিতে হয়। কারন আমাদের গড় আয়ু ছেলেদের চেয়ে বেশি। দীর্ঘদিন বাঁচি বলে ওটা আমাদের ফাইন।
    কোনও মেয়ে এর জন্য প্রতিবাদ করে না। করে লাভও নেই।
    অনেক মেয়ের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি তারা বুঝতেই পারে না যে এতে সমস্যা কোথায়।
    আমাদের রিটায়ারমেন্টের বয়স কম। ফলে আমরা ছেলেদের তুলনায় কম বছর চাকরি করতে পারি। ফলে আমরা আগেই পেনশনে চলে যাই ও কম আয় করি। সুতরাং প্রভিডেন্ড ফান্ডেও কম টাকা জমা পড়ে। তাই পেনশনের টাকাও কম কম।
    এটাও মেয়েরা বোঝে না। তারা মনে করে বাহ কী মজা বেশিদিন কাজ করতে হবে না, তাড়াতাড়ি রিটায়ার করব।

    কিন্তু এদেশের মেয়েরা আর সন্তান জন্মাতে চায় না। সন্তান জন্মালে তিন মাসের ছুটি। ব্যস তারপর সন্তান সামলাবে কে? মাকেই সামলাতে হবে। চাকরি উন্নতি সব ভোগে যাবে। সন্তানকে ১৬/১৮ বছর ধরে বড়ো করে তুলে কী ফায়দা? তাই তারা সন্তান চায় না।
    অথচ তারা সিস্টেম বদলাতে পারছে না।
    এদিকে সন্তান উৎপাদন কিন্তু বন্ধ নেই। এদেশের পুরুষেরা অন্য দেশ থেকে মেয়ে নিয়ে এসে বিয়ে করে যারা সন্তানের মা হতে চায়। সেই মেয়েগুলো বেটার লাইফস্টালের আশায় এখানে আসে। তারা অধিকার সম্বন্ধে ওয়াকিব হাল নয়, আগ্রহীও নয়, তাদের প্রায়োরিটি ভাল থাকা খাওয়া।
    এদেশে প্রচুর মেয়ে কনফিউজড, বিশেষ করে যারা বিবাহিত নয়, বা ডিপেন্ডেন্ট নয়।
    সমস্যাগুলো অবশ্যই সরলরৈখিক নয়।
    ভারতের মেয়েরা যেমন ভাল নেই বা তারা জানেই না যে তাদের কোন কোন ক্ষেত্রে অধিকার কম, এখানেও তেমন, এরাও জানে না এদের অধিকার কোন কোন ক্ষেত্রে কম। ব্রেইনওয়াশড।
    লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও তাই। মেয়েদের উচ্চশিক্ষার হার দিয়ে এর বিচার হবে না। জটিল হিসেব। হয়ত গড়ে ইউনিভার্সিটিতে ছেলের চেয়ে মেয়ে ছাত্রের সংখ্যা বেশি, কিন্তু সেখানেও ঘাপলা আছে।
    মেয়েরা এমন বিষয় নিয়ে পড়ে যেসব ক্ষেত্রে পাশ করে বেরিয়ে চাকরি নেই বা থাকলেও মাইনে খুব কম।
    তাই দেশটায় কিছু কাজে মেয়ে বেশি (মাইনে কম যেসব কাজে), কিছু কাজে ছেলে বেশি (মাইনে বেশি যেসব কাজে)। আবার মাইনে বেশি যেসব সেক্টরে সেখানে মেয়েদের মাইনে ছেলেদের চেয়ে কম বা খুবই কম।
    আমি যেখানে কাজ করি সেখানে আমাদের ফ্লোরে ১১০ জন মত কর্মী। বড় মেজ সেজ ছোট সব মিলিয়ে মোট ১০৯ জনই পুরুষ। পার্সেন্টেজটা আশঙ্কাজনক।
    কালো মেয়ে যে এমনকি খৃষ্টানও নয়। বাকী সব ককেশীয় খৃষ্টান পুরুষ।
    ইয়েস ধর্ম ম্যাটার্স। এটা খৃষ্টান দেশ।
  • π | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৯:৪৮91301
  • সে | 162.158.150.21 | ০৮ মার্চ ২০২০ ১৪:৪০434152
    "

    pi | 172.69.135.105 | ০৮ মার্চ ২০২০ ০৮:৫০434076
    "মেয়েরা এমন বিষয় নিয়ে পড়ে যেসব ক্ষেত্রে পাশ করে বেরিয়ে চাকরি নেই বা থাকলেও মাইনে খুব কম।"

    এটা কেন হয়?"
    প্রচুর স্টাডি হয়েছে সাইকোলজি এবং সমাজতাত্বিক।

    মেয়েরা একটু হালকা বিষয় পড়তে চায়। তারা মেনে নিয়েছে তাদের বুদ্ধি কম।

    বাড়ির লোকের সাপোর্ট পায় না। মেন্টাল সাপোর্ট।

    গ্রামের দিকে মেয়েদের সিলেবাস ইস্কুলে অন্যরকম।

    মেয়েরা অনেকেই মনে করে তারা সংসারে প্রধান আয় করা মানুষ হিসেবে কোনওদিনও থাকতে পারবে না।

    ভয়। সেল্ফ এস্টিম কম। এর জন্য পারিপার্শ্বিক দায়ি, মানসিকতা একদিনে তৈরি হয় না।

    সাজগোজে বেশি মন দেয়, পয়সাওয়ালা স্বপ্নের রাজপুত্তুরের কথাও ভাবে।

    ইত্যাদি।
  • স্বাতী রায় | 162.158.227.55 | ০৯ মার্চ ২০২০ ০৩:১১91328
  • আমার মনে হয় অন্তত একটা স্তরে এখন এই রকম খুল্লাম খুল্লা মিসোজিনির দিন গিয়েছে। তারা বাড়ির মেয়েদের পড়াশোনা করতেও এনকারেজ করে, এমনকি তথাকথিত ওই ছেলেদের বিষয় নিয়েও, কাজ করাটাতেও সাপোর্ট করে। মানে সব কিছুই আপাতদৃষ্টিতে ঠিক ঠাক।

    কিন্তু মেয়েরাই জানে তাও মাঝে সাজে চোরাগোপ্তা আক্রমণ বেরিয়ে পরে। যেমন আমার পরিচিত একজন বলেছিলেন এই ঘটনাটা। একদিন স্বামীর সঙ্গে গল্প করতে করতে তাঁর স্বামী বললেন যে তাঁর এক কলিগ তাঁর বৌ যখন ড্রাইভিং শিখতে যায় তখন বৌ কে কম্পানি দিতে সঙ্গে যায়। আমার পরিচিতা নিজের স্বামীকে টিজ করে বলেছিলেন, কই তুমি তো কখনো আমার সঙ্গে যাও নি! স্বামী চটজলদি উত্তর দিয়েছিলেন তুমি স্বাধীন মেয়ে তোমার আবার অত কম্পানি কি দরকার। ওর বউ ওর উপর ডিপেন্ডেন্ট, তাই ও যায়।

    শুধু বাড়িতে নয়, অফিসে খুব well meaning সহকর্মীও মাঝে সাজে মুখ ফসকে বলে ফেলেন এক একটা কথা। তখন ভদ্রতা করে বলতে হয় আর না না ঠিক আছে! তবু সত্যি কি ঠিক আর থাকে!

    এই যে micro-aggression এর সমাধান নর্মাল ভাবে হতে হয়ত কয়েক প্রজন্ম লেগে যাবে। দ্রুত সমাধান কিভাবে করা যায় বা আদৌ করা যায় কিনা কে জানে!
  • চোরাগোপ্তা আক্রমণ | 172.69.63.150 | ০৯ মার্চ ২০২০ ২৩:৩০91358
  • এটা কিন্তু পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া হয়ে যাচ্ছে । এমন চোরাগোপ্তা আক্রমণ মেয়েরা হামেশাই করে যাচ্ছে।

    হয়্ত এর সলিউশান হবে মেয়েরা এসব ছেঁদো ব্যাপারে নাকি কান্না যখন বন্ধ করবে! আদৌ কোনদিন করবে কিনা কে জানে!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন