এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গ্রীন এনার্জি ঃ- একটি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ?

    Debabrata Chakrabarty লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২১ অক্টোবর ২০১৫ | ১২৬৪০ বার পঠিত
  • (এখানে প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতা দুজনেই আপনি অথবা আপনার প্রতিনিধি -আমরা ইচ্ছা করেই কর্পোরেট প্রতিনিধিদের এই আলোচনা তে আমন্ত্রণ জানাইনি , আর তাছাড়া তাদের ছাপানো উত্তর আমাদের অজানা নয় ,তেনারা এমনিতেই ভীষণ চিন্তিত এই আমাদের এই একমাত্র বাসস্থানের ‘গ্লোবাল ওয়ারমিং’ এর সমস্যার সমাধানে - সেই সুযোগে আমরা নিজেরাই দেখেনি গ্রীন এনার্জির প্রতিশ্রুতি কতদূর সত্য )

    প্রশ্ন ঃ- গ্রীন এনার্জি - উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক এককথায় ‘ গ্রীন টেকনলজি ‘ কি আমাদের পৃথিবী কে বায়ু দূষণের হাত থেকে ‘গ্লোবাল ওয়ারমিং’ থেকে বাঁচাবেনা ?

    উত্তর- আজ্ঞে না । উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল, গ্রিড সিস্টেম প্রত্যেকটাই সস্তার ফসিল ফুয়েল ব্যবহারে সৃষ্ট । তেলের,গ্যাসের বা কয়লার দাম যখন যেরকম বাড়তে থাকবে উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল বা গ্রিড সিস্টেম ততোই তার ফিসিবিলিটি হারাতে থাকবে ,উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার দরুন। এমন তো নয় যে উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল হাওয়ায় তৈরি হয় , প্রত্যেকের লাগে মেটাল, প্লাস্টিক এবং কেমিক্যাল । উপাদান খনি থেকে আহরণ, কারখানাতে পাঠানো,প্রসেস করা এবং নানাবিধ ধাপ গুলি পেরিয়ে তবে একটি সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল বা উইন্ড টারবাইন এর মোটর তৈরি হয় -এই পুরো পধ্বতিটার প্রত্যেক ধাপেই ছড়িয়ে আছে ধ্বংস ,পাহাড় জঙ্গল খুঁড়ে অ্যালুমিনিয়াম ,লোহা ,রেয়ার আর্থ মিনারেল সংগ্রহের চেনা লুণ্ঠন পদ্ধ্বতি ,জল দূষণ ,কলনাইজেসান ,দাস শ্রমিক ,গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন এবং সর্বোপরি বৃহৎ পুঁজিবাদী মুনাফা ।

    গ্রীন এনার্জি বা রিনিউবেল এর প্রাথমিক উপাদান একটি সিমেন্ট বা অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরির মতই মেটাল এবং এনার্জি নির্ভর। সিমেন্ট ফ্যাক্টরি বা অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি যেমন ফসিল ফুয়েল এর সস্তার বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে এক কিলোগ্রাম সিমেন্ট বা অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনে অক্ষম ঠিক তেমনই উইন্ড টারবাইন ,সোলার ফটো ভল্টিক প্যানেল উৎপাদনেরও একই পদ্ধ্বতি, সাথে নিয়মাগিড়ি পাহাড়ের মত অসংখ্য পাহাড়ের বুক চিরে অ্যালুমিনিয়ামএর উপাদান এবং খনির থেকে সিলিকা আহরণ সাথে সভ্যতার সুপ্রাচীন 'silicosis’ এর পুনর্জন্ম প্রদানের বাড়তি উপসর্গ ।

    শুরুর থেকে শেষ পর্যন্ত তথাকথিত ‘ রিনিউএবেল এনার্জির’ চলন বাকি বস্তু উৎপাদন পদ্ধ্বতির মতোই ধ্বংসাত্মক ,গত ১৫০-২০০ বছর ধরে যে সর্বাত্মক লুণ্ঠন আমাদের প্রগতির নামে বিক্রি করা হচ্ছে , রিনিউএবেল এনার্জি সেই তুলনাতে বিন্দুমাত্র পৃথক নয় ,রিনিউএবেল এনার্জি তত্বগত ভাবে যে সামান্য দূষণের অবসান ঘটাবে সে নিয়ে আমরা আদৌ চিন্তিত নই ,আমরা চিন্তিত পৃথিবীর সর্বাত্মক স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়ে ।

    প্রশ্ন ঃ- কি বলছেন? রিনিউএবেল এনার্জি যেমন ধরুন সোলার ,উইন্ড বা জিওথারমাল কি আপনার মনে হয়না আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত প্রকৃতির ভারসাম্য ফেরত নিয়ে আসবে ?

    উত্তর ঃ- পুনরায় ‘না’ । উইন্ড এবং সোলার আমাদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে আমাদের এনার্জি সমস্যার দূষণ হীন সমাধান হিসাবে , কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন , দীর্ঘ কয়েক দশকের প্রয়াসের অবশেষে ২০১২ সালে পৃথিবীর এনার্জি সাপ্লাইয়ের মাত্র ১% উইন্ড এবং মাত্র 0.2% সোলার এর মাধ্যমে উৎপাদিত -পৃথিবীর এনার্জি সাপ্লাইয়ের মাত্র ৫%অংশীদার হতে গেলে যে পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন তা বিপুল । রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের সিংহভাগ সেই খনিশিল্প ,অন্যান্য বস্তু উৎপাদনের ফ্যাক্টরি বা মানুফাকচারিং এ ব্যবহৃত , যা গত দুই শতাব্দী ধরে প্রত্যহ আমাদের পৃথিবীর স্বাস্থ্যের হানীতে নিয়জিত । যদিও রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে কম ক্ষতিকর কিন্তু সেই বিদ্যুতের ব্যবহার অবশ্যই নয় । প্রত্যেক বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র বা ডিভাইস যেমন ধরুন টেলিভিশন ,মাইক্রোওয়েভ ,কম্প্যুটার ,স্মার্ট ফোন ইত্যাদি আপনার হাতে আসার পূর্বে ফেলে এসেছে সেই ধ্বংসের পদচিহ্ন । রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আমরা যে পরিমাণ দূষণ নিয়ত্রনের বা কম করার কথা পরকল্পনা করছি তা অনায়াসেই বর্তমানের কয়লা গ্যাস তেল জ্বালিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদ্ধ্বতি তাঁর আধুনিকীকরণ ,ম্যনেজমেন্ট , বণ্টন পদ্ধ্বতির উন্নতিসাধনে সেই পরিমাণ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব ,টেকনোলজি বর্তমান -আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে যে ১৯৮০ সাল নাগাদ পেট্রল এ সীসার ব্যবহার নিসিদ্ধ্ব করা হয় দানবীয় দূষণের কারনে ,ইঞ্জিন নকিং কমানোর জন্য তেল কোম্পানিগন সীসার পরিবর্তে অন্য অ্যাডিটিভ ব্যবহার করতে বাধ্য হন -বর্তমানে খুব কম সংখ্যক দেশ এবং খুব অল্প সংখ্যক ক্ষেত্র ছাড়া মোটামুটি সারা বিশ্ব ‘আনলিডেড পেট্রল ‘ ব্যবহার করেন, শুধু এই একটিমাত্র বাধ্যতা মূলক প্রয়োগ বাতাসে সীসা জনিত দূষণের পরিমাণ কমিয়েছে ৭০% এর অধিক , কিন্তু উপায় থাকতেও তুলনামূলক খরচ সাপেক্ষ রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি এই প্রচার কেন ? ইনভেস্টরের স্বার্থ -ভবিষ্যৎ পুঁজির নিরাপত্তা আমার এবং আপনার স্বার্থ নয় ।

    প্রশ্ন ঃ- রিনিউএবেল এনার্জি মানে কি একবার খরচা করে লাগানোর পর আজীবন বিনা পয়সাতে বিদ্যুৎ বা শক্তি প্রাপ্তি নয় ?বাতাস এবং সূর্যালোক যখন অঢেল ?

    উত্তর ঃ- পুনরায় ‘না ‘ সোলার প্যানেল বা উইন্ড টারবাইন এর আয়ু মেরেকেটে ২০-২৫ বছর ( নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ সমেত ), ব্যাটারির আয়ু খুব বেশী হোলে ৫-৮ বছর , তুলনামূলক ভাবে একটি তাপ বিদ্যুৎ বা পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র অনায়াসে ৪০-৫০ বছর বা তাঁর অধিক সময় ধরে উৎপাদনশীল থাকে ( নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ সমেত ) ,সম্প্রতি এক গবেষণাতে প্রকাশিত যে বিজ্ঞাপিত উৎপাদন ক্ষমতাতে উইন্ড টারবাইন কখনই পৌঁছাতে পারেনা এবং সময়ের সাথে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস প্রাপ্তির কারণে ১২-১৫ বছরের মধ্যে তা ইকনমিক বাস্তবতা হারায়, সুতরাং আবার নূতন করে লাগানো, নূতন খরচ । এক বারের মত পাহাড় জঙ্গল খুঁড়ে অ্যালুমিনিয়াম ,লোহা ,রেয়ার আর্থ মিনারেল সংগ্রহ ,উৎপাদনের পদ্ধ্বতির কারনে একবারের মত জল দূষণ বায়ু দূষণ ,কলনাইজেসান ,দাস শ্রমিক ,গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের গল্প নয় -এ এক ধারাবাহিক পদ্ধ্বতি -এবং অতি দ্রুত প্রসারশীল - রিনিউএবেল এনার্জি কোনদিনই ফসিল ফুয়েল এর ইনফ্রাস্টাকচার বা ব্যবস্থাপনা প্রতিস্থাপিত করতে পারবেনা কারণ রিনিউএবেল এনার্জি ফসিল ফুয়েল এর ইনফ্রাস্টাকচার ওপর পূর্ণ মাত্রাতে নির্ভরশীল।

    প্রশ্ন ঃ- ঠিক আছে, কিন্তু দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে রিনিউএবেল এনার্জি কি অর্থনীতি বাঁচানোর পক্ষে সুবিধাজনক নয় ?

    উত্তর ঃ- দুঃখিত কিন্তু 'না’। রিনিউএবেল এনার্জি সারা পৃথিবীতে বর্তমানে ভীষণ ভাবে সরকারী 'সাবসিডির' ওপর নির্ভরশীল , সৌর ব্যবস্থা লাগালে গ্রামের সাধারণ জনগণ হতে শহরের কর্পোরেট সকলেই সরকারী অনুদান এর অধিকারী ,বিদ্যুৎ উৎপাদক বেশী দামে বিদ্যুৎ বিক্রি করে অনুদানের সুবিধার অধিকারী - কিন্তু এই অনুদান আসছে কোথা থেকে ? বাকি অনুদান যেইভাবে আসে -ট্যাক্স পেয়ার এর অর্থ সিধা জেনারল মোটর , বিপি , স্যামসাঙ ,মিতসুবিশির ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ, আপনার আমার অর্থ রিনিউএবেল এনার্জিএর ক্লিন ফুয়েল এর নামে আপনার আমারই পকেট কেটে বৃহৎ কর্পোরেটের ঝুলিতে । রিনিউএবেল এনার্জি কোন ছোট পুঁজির কম্ম নয় ,কেন্দ্রীয় বৃহৎ পুঁজি এবং বৃহৎ পুঁজিবাদী সংস্থার কারটেল -কারা এই ব্যবসাতে আছে তার তালিকা দেখলেই বিষয়টি জলের মত পরিষ্কার। জেনারল মোটর , বিপি , স্যামসাঙ ,মিতসুবিশি, সিমেন্স এর ঠেকা পড়েনি বায়ু দূষণ নিয়ে মাথা ঘামানোর বরং রিনিউএবেল এনার্জি পৃথিবী ব্যাপী এনার্জি মার্কেট এর মনপলির কে কত অংশ দখল করতে পারে তাঁর প্রতিযোগিতা । বৃহৎ পুঁজির কুক্ষিগত টেকনোলজি নির্ভরতা নয় আমাদের প্রয়োজন স্থানীয় রসদের উপর নির্ভরশীল কমুইনিটি ভিত্তিক উৎপাদন । আপনার মতামতের জন্য ‘স্পেনের’ উধারন টি মনে হয় যথোপযুক্ত । ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্পেন এর সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫৪% এর রেকর্ড মাত্রাতে পৌঁছায় , অথচ ২০০৬ সালে রিনিউএবেল এনার্জির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল মাত্র ১৯% , স্পেন এর সরকারের ক্রমাগত উৎসাহদান এই বিপুল সাফল্যের কারন -কিন্তু প্রদীপের নিচের অন্ধকার দিকটি হোল- বিপুল ‘ tariff deficit’ এবং অনন্ত দেনা।২০১৩ সালের মে মাসে স্পেন সরকারের এই দেনা দাঁড়ায় $34 বিলিয়ন, এই বিপুল দেনার কারন প্রথমত রিনিউএবেল এনার্জির প্রতি উৎসাহ প্রদান ভাতা বা সাবসিডি । ২০০৭ সালে স্পেন ৫৫৬ ডলার প্রতি মেগাওয়াট /ঘণ্টা হিসাবে রিনিউএবেল এনার্জির উৎপাদক দের প্রিমিয়াম দিত, যেখানে ৫২ ডলার প্রতি মেগাওয়াট /ঘণ্টা নির্দিষ্ট ছিল কয়লা বা গ্যাস জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ,২০১২ সাল পর্যন্ত স্পেনের সরকার 10.6 বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিনিউএবেল এনার্জি ইন্ডাস্ট্রি কে প্রত্যক্ষ সাবসিডি দিয়েছেন। এইবার এই বিপদ থেকে বা ঋণের জালথেকে মুক্তি পেতে স্পেনের সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন ? প্রথমত রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশ টানছেন যাতে কম সাবসিডি দিতে হয় , দ্বিতীয়ত নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দের রিনিউএবেল এনার্জি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দাম বাড়াচ্ছেন সর্বোপরি 'sun Tax’ লাগু করছেন ,অর্থাৎ আপনি আপনার বাড়িতে নিজস্ব প্রয়োজনে সূর্যালোক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে আপনাকে এইবার থেকে সরকার কে ট্যাক্স দিতে হবে , প্রকৃত অর্থে সরকার স্পেন বাসী কে নিরুৎসাহিত করছেন সোলার পিভি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে -স্পেন এর উদাহরণ রিনিউএবেল এনার্জি যে অর্থনীতি বাঁচানোর পক্ষে সুবিধাজনক নয় তাঁর অন্যতম নমুনা ।

    প্রশ্ন ঃ- রিনিউএবেল এনার্জির কিছু ইমপ্যাক্ট আছে মেনে নিলাম , কিন্তু তবুও তো কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের তুলনাতে শতগুণে ভালো , রাইট ?

    উত্তর ঃ- ‘ one bullet wound is better than two bullet wound ‘এ হোল সেরকম একটি তুলনা - পৃথিবী কে আপনি একবার না দুবার বুলেট বিদ্ধ্ব করে চান ? না আমি ফসিল ফুয়েল - কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমর্থক না রিনিউএবেল এনার্জির ধোঁকাবাজির ,দুটোই পৃথিবীর স্বাস্থ্যের পক্ষে সমান ক্ষতিকর -তুলনাতে আসাই সম্ভব নয়, এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘ রিনিউএবেল এনার্জি’ ফসিল ফুয়েলের তুলনাতেও বেশী ক্ষতিকারক । বেশী বেশী রিনিউএবেল এনার্জি মানে কিন্তু কম কয়লা পুড়িয়ে /তেল জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় ,বা কম পরিমাণ কার্বন নির্গমন নয় -অনেকদিন তো হোল, পৃথিবী বর্তমানে তার এনার্জি প্রয়োজনের মাত্র 1.2% রিনিউএবেল এনার্জির(সোলার উইন্ড ইত্যাদি ) মাধ্যমে উৎপাদন করে , জার্মানি প্রায় ২০-২৫% কিন্তু একটাও কয়লা পোড়ান /তেল জ্বালান তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে শুনেছেন ? আদতে 'রিনিউএবেল’ আদৌ 'নেট এনার্জি' তৈরি করে কিনা সে এক বিতর্কের বিষয় - যে পরিমাণ এনার্জি মাইনিং ,প্যানেল বা টারবাইন উৎপাদন ,গবেষণা , পরিবহন, ইন্সটলেশান ,রক্ষণাবেক্ষণ ,ডিস্পসাল ,গ্রিড সংযোগ এর পেছনে ব্যয় করা হয় সেই তুলনাতে ‘নেট এনার্জি ‘ উৎপাদন কত ? আমরা যদি সমস্ত এনার্জি ইনপুট বিচার করি তাহলে হয়ত দেখবো রিনিউএবেল এনার্জির মাধম্যে এনার্জি উৎপাদন আদতে নেগেটিভ । জলবিদ্যুৎ আরেক মিথ্যার বেসাতি -ড্যাম শুধু প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করেনা যত বড় ড্যাম তত বড় ‘মিথেন ‘ নির্গমনের কারখানা , জলবিদ্যুৎ এর জন্য নির্মিত ড্যাম এবং তা থেকে নির্গত ‘মিথেন ‘ ৪% বা তার অধিক গ্লোবাল ওয়ারমিং এর জন্য দায়ী এ হোল বর্তমানের আনুমানিক হিসাব , যত দিন বাড়বে ,যত পুরানো হবে ড্যাম তত বেশী মিথেন নির্গমন আগামী এক দশকে জলবিদ্যুৎ এর জন্য নির্মিত ড্যাম এবং তা থেকে নির্গত ‘মিথেন ‘ ১০% বা তাঁর অধিক গ্লোবাল ওয়ারমিং এর জন্য দায়ী হোলে অবাক হওয়ার কিছু নেই ।

    প্রশ্ন ঃ- সোলার পাওয়ার বা সৌরশক্তি বিষয়ে আপনার কি মতামত ?

    উত্তর ঃ- সোলার প্যানেল উৎপাদন পদ্ধ্বতি বর্তমানে 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এবং 'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ নির্গমনের এর প্রধান সূত্র , এই ভয়ঙ্কর তিনটি গ্রিন হাউস গ্যাস প্লাসমা / সোলার প্যানেল তৈরির ইকুইপমেন্ট পরিষ্কার করতে কাজে লাগে । 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ১২০০০ গুন , নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ ১৭০০০ গুন এবং'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ২৫০০০ গুন বেশী ক্ষতিকর , একবার বাতাসে মিশে গেলে আয়ু ১০০০০ বছর, এই তিন ভয়ঙ্কর ‘ গ্রিন হাউস ‘ গ্যাস পুরোটাই মনুষ্য সৃষ্ট এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে Kyoto প্রোটোকলের আওতার বাইরে । বাতাসে ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এর ঘনত্ব যা থাকা উচিৎ বর্তমানে তার তুলনাতে ৪% বেশী এবং ঘনত্ব বাড়ছে ১১% হারে প্রতি বছর - যত বেশী প্লাসমা / সোলার প্যানেল তত বেশী ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ । সোলার সম্বন্ধে ‘ সিলিকন ভ্যালী টক্সিকস কয়ালিশান ‘ কি বলছেন ?

    ‘ As the solar industry expands, little attention is being paid to the potential enviornmental and health costs of that rapid expansion .The most widely used solar PV panels have potential to create a huge new source of electronic waste at the end of their useful lives, which is estimated to be 20-25 years. New Solar PV technlogies are increasing efficiency and lowering costs,but many of these use extremely toxic materials or materials with unknown health and enviornmental risks (including new nano materials and processes)

    আপনি সোলার পিভী র মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এ কার্বন ফুট প্রিন্ট কমাবেন , যা কিনা ঢাক ঢোল পিটিয়ে মোদীর ছবি সমেত প্রচারিত অথচ যা কার্বন ফুট প্রিন্ট কমাবেন তাঁর দশ গুন বেশী নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ বাতাসে মেশাবেন এ কেমন অঙ্ক ? ২০০৬ সালে শুধুমাত্র সোলার প্যানেল উৎপাদন এর কারনে বাতাসে মিশেছে ৫৬ মেট্রিক টন নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড(NF3) ।আপাত দৃষ্টি তে সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্লিন এবং গ্রীন ,খুব কম মাত্রাতে কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে নির্গত হয় ঠিকই কিন্তু সোলার প্যানেল তৈরি করতে বাতাসে মেশে 'হেক্সাফ্লুরইথেন’ ‘ নাইট্রোজেন ট্রাই ফ্লুরাইড’ এবং 'সালফার হেক্সাফ্লুরাইড’ যা কার্বন ডাই অক্সাইড এর তুলনাতে ১৭০০০ গুন বেশী ক্ষতিকর । আপনি আদতে কার্বন ফুট প্রিন্ট কমালেন না বাড়ালেন ?

    প্রশ্ন ঃ- কিন্তু উইন্ড টারবাইন? বা বায়ু শক্তি সে তো মোটামুটি নির্ভেজাল ?

    উত্তর ঃ- উইন্ড টারবাইন এবংসোলার পিভী উভয়েরই প্রয়োজন ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ মূলত চীন এবং তাঁর মঙ্গোলিয়া অঞ্চল এই ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ প্রসেস করে এবং সারা বিশ্বকে সরবরাহ করে।‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ মাইনিং এবং প্রসেসিং বিপুল পরিমাণ বিপদজনক এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস এর উৎস । চীনের যে অংশে এই ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ প্রসেসিং এর কর্মকাণ্ডটি চলে সেখানে দুর দূরান্তে মাটিতে আর ফসল ফলেনা আপনার উইন্ড টারবাইন এর ম্যাগনেট তৈরি করতে যে তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস এর সৃষ্টি তার কারনে সমস্ত জমি পূর্ণ অর্থে বন্ধ্যা । এইবার আমরা যদি উইন্ড এবং সোলার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বর্তমানের এনার্জি সাপ্লাইয়ের 1.2% থেকে ১০% এ নিয়ে যেতে চাই তাহলে শুধু ‘ রেয়ার আর্থ মিনারেল ‘ এবং তাঁর বিপদজনক এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস নয় তাঁর সাথে বিপুল পরিমাণ অন্যান্য বিষাক্ত মিনারেলস যেমন gallium arsenide,copper-indum-gallium-diselenide ,cadmium-telluide এর প্রয়োজন পাতলা সোলার পিভি এবংউইন্ড টারবাইন এর ম্যাগনেট বানাতে । একা চিন এই বিপুল পরিমাণ দূষণ তো আর বহন করবেনা তাই বাকি বিশ্ব বাধ্য হবে এই সমস্ত বিষাক্ত মিনারেলস এবং তেজস্ক্রিয় বাই প্রডাক্টস তৈরি করতে ,মঙ্গোলিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যেমন আর শস্য ফলেনা ঠিক সেই রকমই হয়ত বা আমাদের দেশ মঙ্গোলিয়ার ঐতিহ্য বহন করতে বাধ্য হবে।

    বিশ্বে সবথেকে প্রচলিত 1.5 মেগাওয়াট এর উইন্ড টারবাইন টির নকশা তৈরি থেকে ফাইনাল প্রোডাক্ট এর প্রস্তুত কর্তা 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘। 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ এর এক একটি টারবাইন মুল বডির ওজন ৫৬ টন, টাওয়ার এর ওজন কমপক্ষে ৭১ টন এবং পাখার ওজন ৩৬ টন -এক একটি টারবাইন তৈরি করতে প্রয়জন হয় ১০০ টনের ওপর ইস্পাত , এটি হোল সবথেকে ক্ষুদ্র টারবাইন এর বিবরণ -বর্তমানের স্ট্যান্ডার্ড টারবাইন কমপক্ষে ৬০০ ফিট এর ওপর উঁচু -'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ এর টারবাইন এর তুলনাতে দরকার প্রায় আট গুন বেশী ইস্পাত ,তামা ,অ্যালুমিনিয়াম এবং মোটরের ম্যাগনেটের জন্য রেয়ার আর্থ মিনারেল - এই লোহা আসে হয়ত ভারত থেকে , তামা আফগানিস্থান এবং রেয়ার আর্থ মিনারেল অবশ্যই মঙ্গোলিয়া থেকে -কারোর বাসস্থান , কারও ক্ষেত ,কারও দাসত্বের বিনিময়ে -আমরা তাঁদের কোথা শুনতে চাইনা ,যদি ভুলক্রমে মানবপ্রজাতির অংশও হয় হয় গায়ের রং হয় কাল অথবা ব্রাউন , হত দরিদ্র এই মানব প্রজাতি (?) উন্নতি আধুনিক বিজ্ঞানের কিই বা বোঝে ?পৃথিবীর সবথেকে বড় উইন্ড টারবাইন প্রস্তুৎ কর্তা 'vestas’ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি, আমেরিকার সর্ববৃহৎ উইন্ড টারবাইন প্রস্তুতকারকের নাম 'জেনারাল ইলেকট্রিক ‘ ৭০০ বিলিয়ন ডলারের অধিক সম্পদশালী এই কোম্পানি পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম “ বায়ু দূষণ ‘ কারী কোম্পানি । ফুকুসিমা , ভূপাল , ঘটে যাওয়ার পরেও আপনি কি এনাদের থেকে জাস্টিস , সাস্টেনাবিলিটি ইত্যাদি আসা করেন ? প্রফিট / লাভ যেখানে শেষ কোথা সেখানে বায়ু দূষণ আসছে কোথা থেকে ? সারা বিশ্বে গতবৎসরে ১৪০,০০০ -৩২৮,০০০ পাখি , বাদুড় উইন্ড টারবাইনএর দানবিক পাখা তে কাটা পরে মারা গেছে -এ হোল আমাদের উইন্ড টারবাইনের উপরি পাওনা একেবারে সোনায় সোহাগা ।

    প্রশ্ন ঃ- কিন্তু আমাদের তো ইলেক্ট্রিসিটি চাই তাইনা ? ইলেকট্রিক বিনা জীবন চলে কি উপায়ে ?

    উত্তর ঃ- দেখুন ইলেক্ট্রিসিটি তো এসেছে মাত্র ১২০-১২২ বছর পূর্বে , মিলেনিয়াম তো আমরা ইলেক্ট্রিসিটি বীণাই কাটিয়েছি তাইনা ? বাকি জীব জন্তুদের মতোই মানব প্রজাতিও মূলত তাঁদের এনার্জি পেয়ে থাকে শস্য জনিত খাদ্য এবং পশু জনিত খাদ্য হতে, গাছপালা তার এনার্জি সংগ্রহ করে সূর্যের কাছ থেকে সালোকসংশ্লেষ এর মাধ্যমে, যে কোন স্পিসিস এরই বেঁচে থাকার জন্য ইলেক্ট্রিসিটির বিন্দুমাত্র প্রয়োজন নেই, আমাদেরও নেই -এটাই প্রাকিতিক নিয়ম -কেবল মাত্র কল কারখানা এবং এই ক্ষয়িষ্ণু উৎপাদন পদ্ধ্বতির বেঁচে থাকার রসদ ‘ইলেক্ট্রিসিটি ‘ এনার্জি । বর্তমানে খাদ্যের নিরাপত্তা ,প্রকৃতির সুস্থতা বিসর্জন দিয়ে আমরা বজায় রাখছি নিরিবিছিন্ন 'ইলেক্ট্রিসিটি’ - মাইনিং , প্রসেসিং ,ইনফ্রাস্টাকচার ,ডাম্পিং এদের এবং এই ব্যবস্থার প্রয়োজন 'ইলেক্ট্রিসিটি’ -তাই অরণ্য ধ্বংস, মাটির বুক খুঁড়ে শেষতম বিন্দু পর্যন্ত তেল শুষে নেওয়া , এনার্জি সিকিউরিটির কারণে লাইফ সিকিউরিটির বলিদান । ইলেক্ট্রিসিটি উৎপাদন তা সে প্রচলিত রাস্তাতেই হোক অথবা তথাকথিত রিনিউএবেল গ্রিন এনার্জি রাস্তাতে আদতে আনসাস্টেনেবল , সাস্টেনেবল বলতে আমরা সেটাই বুঝি যা চালিয়ে যাওয়া জেতে পারে সাময়িক বা দীর্ঘকালীন ক্ষতি ছাড়া -কিন্তু এই গ্রিন এনার্জির নামে বৃহৎ পুঁজির ধোঁকাবাজি নিশ্চিত আমাদের একমাত্র বাসস্থানের মৃত্যু ত্বরান্বিত করবে খুব বেশী হোলে সাময়িক স্থিতি বজায় রাখবে নিত্য নূতন টেকনোলজির গল্পে । রাজনেতাগনের কাজ আমাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া 'গর্বিত জার্মানি’ থেকে 'আচ্ছে দিনের’ প্রতিশ্রুতি -যার অধিকাংশই ফাঁকা আওয়াজ এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি হিসাবে প্রমাণিত -গ্রিন এনার্জি আমার মতে আরেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি অথচ কি প্রজ্ঞার সাথে গম্ভীর ভাবে বিজ্ঞাপিত ,আমাদের কি অটুট আশা এইবুঝি এসে গেলো 'গ্লোবাল ওয়ারমিং ' এর গ্রীন সোলার সমাধান !

    তথ্য সূত্র ঃ-
    A problem with wind power ঃ- by Eric Rosenbloom
    Energy Balance of the Global Photovotic (PC) Industry- is the industry a net Electric Producer? ঃ- by Michael date & Sally M.Benson .
    Solar Industry grapples with hazardous waste ঃ- by Jason Dearen .
    Reservoir Emissionsঃ- by international Rivers.
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২১ অক্টোবর ২০১৫ | ১২৬৪০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৫২70010
  • sswarnendu | 198.154.74.31 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৫৮70025
  • জ,

    তুলনা তো করিনি... এবং মানুষের বদলে আরশোলা এলে আমাদের একটুও লাভ নেই বলেই মনে করিও তো...
    সেইজন্যেই তো লিখলাম কথাগুলো... যে পরিবেশ নিয়ে সমস্ত আলোচনা আসলে একদমই আমাদেরকেই কেন্দ্র করে... তাই পৃথিবীকে রক্ষা করার দায়, তাবৎ জীবজগতকে রক্ষা করার দায় এইসব নিয়ে কথা না বলাই ভাল... প্রশ্নটা একদমই আধুনিক মানুষ ও তাদের আধুনিক সভ্যতা এর সাথে ভীষণভাবে জড়িয়ে... তাই জঙ্গলে ফিরে গেলে ভাল হত টা একটা বোকা বোকা উত্তর... কারণ তাহলে ব্যাকটিরিয়া হলে সবচেয়ে ভাল হত সম্ভবত...

    আর কমিক রিলিফটাও বুঝলাম না, কোন তুলনা আমি কোথাও করিনি, নিছক বিষয়টার মানবসভ্যতা কেন্দ্রিক অ্যাস্পেক্ট টা আন্ডারলাইন করতে একটা তথ্য বললুম মাত্র... সত্যিই তো ক্লোরোফিল এর বিবর্তনের পথে উদ্ভব এবং তার ফলে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন পৃথিবীর ইতিহাস এ সবচেয়ে বড় মাস এক্সটিংশন ঘটিয়েছিল... এ তো তথ্যমাত্র...

    আর ওই হুবহু ভাষান্তর দেখলাম বলেই লিঙ্কটা দিলাম... প্রথম মন্তব্যের সময়ে দেখিনি... নইলে মন্তব্য করার প্রবৃত্তি হত না
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:০৩70011
  • এই সপ্তাহের টাইম ম্যাগ থেকে --
    ...
    One of the challenges for anybody working on fusion is that people have been talking about it way too much for way too long. The theoretical underpinnings go back to the 1920s, and serious attempts to produce fusion energy on Earth have been going on since the 1940s.
    ...
    Fusion also gets mixed up, for obvious reasons, with nuclear fission, which is the kind of nuclear power we have now, though in fact they’re very different animals. Nuclear fission involves splitting atoms, big ones like uranium-235, into smaller atoms. This releases a lot of energy, but it has a lot of drawbacks too. Uranium is a scarce and finite resource, and nuclear plants are expensive and hazardous–Three Mile Island, Chernobyl, Fukushima–and produce huge quantities of toxic waste that stays hazardously radioactive for centuries.
    ...
    Nuclear fusion is the reverse of nuclear fission: instead of splitting atoms, you’re squashing small ones together to form bigger ones. This releases a huge burst of power too, as a fraction of the mass of the particles involved gets converted into energy (in obedience to Einstein’s famous E=mc[superscript 2]). Fusion has a vaguely science-fictional reputation, but in fact we watch it happen all day every day: it’s what makes the sun shine. The sun is a titanic fusion reactor, ...

    As an energy source, fusion is so perfect, it could have been made up by a child. It produces three to four times as much power as nuclear fission. Its fuel isn’t toxic, or fossil, or even particularly rare: fusion runs on common elements like hydrogen, which is in fact the most plentiful element in the universe. If something goes wrong, fusion reactors don’t melt down; they just stop. They produce little to no radioactive waste. They also produce no pollution: the by-product of fusion is helium, which we can use to inflate the balloons for the massive party we’re going to have if it ever works....
    ...
    Bill Gates is currently on a global campaign trying to raise awareness about how badly our addiction to energy is destroying the environment. He’s putting $2 billion of his foundation’s money into it. “We need innovation that gives us energy that’s cheaper than today’s hydrocarbon energy, that has zero CO[subscript 2] emissions, and that’s as reliable as today’s overall energy system,” he says in the November issue of the Atlantic. “We need an energy miracle.”
    ...
  • মিকটেক্স | 152.4.206.228 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:১৮70012
  • টাইমের আর্টিকলএর শেষের দিকে, To assess the precise probability that fusion will or won't be that miracle is beyond the remit of a journalist without a Ph.D. in plasma physics, but as miracles go, it's looking a lot more plausible than most. Even Prager, head of the Princeton Lab, who considers the claims of the private sector to be overconfident, still believes it's a question of when not if. "I think it's inevitable. And I don't think I'm alone in that. You can't get commercial fusion in 10 years, but I think we'll have commercial fusion, fusion on the grid, in the 2040s. It may sound like a long way away, but in terms of mitigating climate change, fusion will play a very critical role.

    পঁচিশ বছরে কমার্শিয়ালি ফিউসন সম্ভব হলেও, সাস্টেনেবল এনার্জি জেনারেশনের জন্য অন্যান্য পদক্ষেপও এখনি নেওয়া উচিত।
  • pi | 127.194.12.230 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:৩৯70026
  • খুব ই বিরক্ত ও বাজে লাগছে। এভাবে সোর্স কোট না করা তো পুরো চিটিং । এরপর থেকে ওঁর কোন লেখাই তো আর বিশ্বাস করতে পারবোনা !

    দেবব্রতবাবু কী বলেন, শুনতে চাই।
  • pi | 127.194.12.230 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ০৮:০৮70027
  • ওদিকে বিলকাকু কী বলছেন,
    একটু দেখুন ..

    'CLIMATEBill Gates: Only Socialism Can Save the Climate, ‘The Private Sector is Inept’

    In a recent interview with The Atlantic, billionaire tech magnate Bill Gates announced his game plan to spend $2 billion of his own wealth on green energy investments, and called on his fellow private sector billionaires to help make the U.S. fossil-free by 2050. But in doing so, Gates admitted that the private sector is too selfish and inefficient to do the work on its own, and that mitigating climate change would be impossible without the help of government research and development.

    “There’s no fortune to be made. Even if you have a new energy source that costs the same as today’s and emits no CO2, it will be uncertain compared with what’s tried-and-true and already operating at unbelievable scale and has gotten through all the regulatory problems,” Gates said. “Without a substantial carbon tax, there’s no incentive for innovators or plant buyers to switch.”

    Gates even tacked to the left and uttered words that few other billionaire investors would dare to say: government R&D is far more effective and efficient than anything the private sector could do.

    “Since World War II, U.S.-government R&D has defined the state of the art in almost every area,” Gates said. “The private sector is in general inept.”

    “When I first got into this I thought, ‘How well does the Department of Energy spend its R&D budget?’ And I was worried: ‘Gosh, if I’m going to be saying it should double its budget, if it turns out it’s not very well spent, how am I going to feel about that?'” Gates told The Atlantic. “But as I’ve really dug into it, the DARPA money is very well spent, and the basic-science money is very well spent. The government has these ‘Centers of Excellence.’ They should have twice as many of those things, and those things should get about four times as much money as they do.”

    In making his case for public sector excellence, the Microsoft founder mentioned the success of the internet:

    “In the case of the digital technologies, the path back to government R&D is a bit more complex, because nowadays most of the R&D has moved to the private sector. But the original Internet comes from the government, the original chip-foundry stuff comes from the government—and even today there’s some government money taking on some of the more advanced things and making sure the universities have the knowledge base that maintains that lead. So I’d say the overall record for the United States on government R&D is very, very good.”

    The ‘Centers for Excellence’ program Bill Gates mentioned is the Center for Excellence in Renewable Energy (CERE), which is funded in part by the National Science Foundation (NSF). The NSF, which operated with roughly $7.1 billion in 2014, is the source of one-fourth of federal funding for research projects at over 2,000 colleges, universities, K-12 schools, nonprofits, and businesses. The NSF has even funded research by over 200 Nobel laureates, including 26 in just the last 5 years alone. The NSF receives more than 40,000 proposals each year, but only gets to fund about 11,000 of them. Bill Gates wants this funding to be dramatically increased.

    “I would love to see a tripling, to $18 billion a year from the U.S. government to fund basic research alone,” Gates said. “Now, as a percentage of the government budget, that’s not gigantic… This is not an unachievable amount of money.”

    As evidence around the world shows, the U.S. doesn’t have to reinvent the wheel to be a green energy juggernaut — it can simply look to currently-existing examples in countries with socialist policies — like Germany and China, for instance — on how to become a leader in green energy. And according to Bill Gates, the rest of the world will follow the lead if the biggest countries set the bar.

    “The climate problem has to be solved in the rich countries,” Gates said. “China and the U.S. and Europe have to solve CO2 emissions, and when they do, hopefully they’ll make it cheap enough for everyone else.”...

    http://usuncut.com/climate/bill-gates-only-socialism-can-save-us-from-climate-change
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.124.120 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১১:১০70013
  • ফিউসন এর ফিউজ উড়ে গেছে ইতিমধ্যে - পরে নিন

    Nuclear fusion: It's impossible. And what's more, it's improbable http://econ.st/JxkpYk via @TheEconomist
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.124.120 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১২:২৫70014
  • গাড়ি এবং তাপবিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের যখন সমস্যা , যদিও সমাধান দুর অস্ত তখন আমরা অন্য এক বিষয়ে কথা বলি - সুপার কন্টেনার ক্যারিয়ার -এক একটি সুপার কন্টেনার ক্যারিয়ার ১৪০০০ ফুল সাইজ কন্টেনার নিয়ে চীন থেকে ইউরোপ পাড়ি দেয় , ফুয়েল হিসাবে কি ব্যবহার করে ? বাঙ্কার ফুয়েল - সমস্ত পেট্রল ,ডিসেল , কেরোসিন নিষ্কাসনের পর যে হলদেটে গাদের মত পদার্থটি পরে থাকে তাকে বলে বাঙ্কার ফুয়েল স্ক্র্যাপ ভ্যালুতে এই বাঙ্কার ফুয়েল কিনে এই সুপার কন্টেনার ক্যারিয়ার এবং সমুদ্রের জাহাজ মায় ক্রুস জাহাজ গুলি খরচ কমায় -চূড়ান্ত দূষণকারী এই বাঙ্কার ফুয়েল বাতাসে ছড়ায় সালফার পারটিকেল , কত পরিমাণ ? একটি সাধারণ গাড়ির সারা বছরের সালফার ত্যাগের মাত্রা ১০০গ্রাম তাঁর অধিক হোলে গাড়ি দূষণ মাত্রার সীমা অতিক্রম করার কারনে বাজারে বিক্রি করার অনুমতি হারায় ার এই জাহাজ গুলির সালফার ত্যাগের বেঁধে দেওয়া মাত্রা ৫০০০কেজি অর্থাৎ ৫০ মিলিওন গাড়ির সমান , মাত্র ১৬ টি সুপার কন্টেনার ক্যারিয়ার পৃথিবীর সমস্ত গাড়ির সমপরিমাণ সালফার বাতাসে মেশায়, অবাক হচ্ছেন ? এখন এই ধরনের বা সমুদ্রে কত জাহাজ চলে যারা বাঙ্কার ফুয়েল জালানি হিসাবে ব্যবহার করে ? ১০০,০০০++ হিসাব লাগান কত গাড়ির পরিমাণ দূষণ এই সামুদ্রিক জাহাজ বাতাসে মেশায় !
  • dd | 116.51.31.195 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১২:৩৮70016
  • ফিউসনের ফিউজ উড়ে গেছে ইতিমধ্যে - ঐ ইকনোমিস্টের লিং সবেমাত্র ২০০২ সালের। তেরো বছরের পুরোনো। যাস্ট ফর ইয়োর ইনফরমেশন।
  • Debabrata | 192.66.59.9 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১২:৫৪69997
  • আপনি যদি ব্লগ টি ,রেফারেন্স এবং আমার পোস্ট করা মন্তব্য গুলি পরেন তো কেন কারবন ফুট প্রিণ্ট কমায় না এবং কেন রেডিও এক্টিভ এর পাহাড় তা পরিস্কার হতে পারে ,তা ছাড়া ব্লগ টির অন্তে কিছু তথ্য সুত্র দেওয়া আছে।
  • রাজু | 205.154.83.193 (*) | ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১২:৫৮70017
  • অতীতবিলাসীবাবু যে চল্লিশ বছরের পুরোনো লিং দেননি সেই অনেক ভাগ্য।
  • lcm | 118.91.116.131 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৫ ০৩:৫৭70028
  • যাক, স্বর্ণেন্দু বলে দিয়েছে ---
    "...গ্লোবাল ওয়ার্মিং , ইন্টারগ্লেসিয়াল এজ ও নতুন কিছু না, বহুবার এসেছে... "

    আর একদম মোদ্দা পয়েন্টটা ধরেছে, পিথিবি-টিথিবি না, মানুষ নিজেদের বাঁচানোর জন্য নানারকম কায়্দা করবে...
    ১৬৬৫-১৬৬৬ এক বছরে লন্ডনে প্লেগে ১ লাখ মানুষ মারা গেছিল, প্রতি সপ্তাহে ৭০০০ করে মানুষ মারা যাচ্ছিল, শেষে শহরে আগুন লেগে রোগ মুক্ত হয়।
    তো সেই অবস্থা থেকে গড়িয়ে মড়িয়ে এদ্দুর এসেছে মানুষ... টিঁকে থাকার জন্যে আরো অনেক কিছ করবে মানুষ.... আস্তে আস্তে হবে, ব্যস্ত হবেন না, সব হবে ...
  • sm | 233.223.157.46 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৫ ০৪:২২70029
  • আচ্ছা দেবব্রত বাবু কে নিয়ে এত হই চৈ কি আছে? উনি ব্লগে একটা লেখা দিয়েছেন মাত্র। কোনো জার্নালে পেপার ছাপতে দেন নি তো। কোত্থেকে পেয়েছেন, কি তথ্য সুত্র, টোকা কিনা, এতো জবাব দিহি চাওয়ার মানে কি?
    যেটা লিখেছেন, তার ওপর ফোকাস ধরে রাখাটাই বাঞ্চনীয়।
    লেখা টার মধ্যে তথ্য ভুল থাকলে তার রেফারেন্স চান; কুনো আপত্তি নাই।
    এনি ওয়ে, মানুষ কোনো দিন ই পেছনে হাঁটেনি বা হাঁটবে না। নিজের সমস্যা , কোনো টেকনোলজি মারফত সমাধান করতে পারলে করবে নয়তো চরম বিপদের সম্মুখীন হবে।
    পারফর্ম অর পেরিশ। আলুচনা সীমাবদ্ধ রাখা উচিত কি কি ভাবে সমস্যার সলুশন হতে পারে।
  • Debabrata Chakrabarty | 212.142.125.101 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৫৬70030
  • গ্রিন এনার্জি নিয়ে আমার করা একটি পোস্টের উত্তরে বা বিতর্কে অনেক গুলি বিষয়ের মধ্যে সাম্প্রতিক অভিযোগ টি হোল লেখাটি ডীপ গ্রিন রেসিস্টান্স নামক একটি সংস্থাতে প্রকাশিত লেখার হুবহু বঙ্গানুবাদ যেটি আমি উল্লেখ করিনি যদিও লেখাটি প্রস্তুত করতে তেনারা যে সব রেফেরেন্স ব্যবহার করেছেন তা আমি উল্লেখ করেছি ।

    প্রথমত আমার লেখাটি ডীপ গ্রিন রেসিস্টান্স এর লেখাটির স্ত্রাকচার এবং বিসয়গত উপস্থাপনার সহিত প্রভূত পরিমাণে সমার্থক হওয়া স্বত্বেও অনেক তথ্য এবং বিষয়বস্তু যা আমি ব্লগটিতে এবং পরবর্তী মন্তব্যাবলী তে উল্লেখ করেছি তা যদি পাঠক পাশাপাশি রেখে পরেন তাহলে বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারন নেই যে কেন এই লেখাটি ডীপ গ্রিন রেসিস্টান্স নামক একটি সংস্থাতে প্রকাশিত লেখার হুবহু বঙ্গানুবাদ নয় তার বাইরেও আরও কিছু যদিও মুল বিসয়গত উপস্থাপনা প্রায় একই বিশ্বাস থেকে উৎপন্ন । কিন্তু তবুও তথ্যসূত্রে ডীপ গ্রিন রেসিস্টান্স এর রেফারেন্সটির কথা উল্লেখ করলে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন না উঠে বিষয়টি নিয়ে আরও হয়ত গভীর আলোচনা চলত । এই ক্ষেত্রে আমার এই অনিচ্ছাকৃত অথবা ইচ্ছাকৃত ত্রুটিতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ এবং যথপযুক্ত তিরস্কারের জন্য আমি পাঠকগণের কাছে কৃতজ্ঞ । যদিও এটি একটি ব্লগ কিন্তু তা যখন রম্যরচনা নয় বরং একটি গভীর সমস্যা বিষয়ক অপ্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা একটি প্রবন্ধ তখন যথাসম্ভব তথ্য সূত্র দেওয়া উচিৎ এ বিষয়ে আমি একমত ।

    এ বিষয়ে আমার ভবিষ্যৎ লেখাগুলি যে এই ত্রুটিমুক্ত রাখার সচেতন প্রয়াস থাকবে এ বিষয়ে পাঠক নিশ্চিত থাকতে পারেন ,পুনরায় আমার এই অনিচ্ছাকৃত অথবা ইচ্ছাকৃত ত্রুটিতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ এবং যথপযুক্ত তিরস্কারের জন্য আমি পাঠকগণের বিশেষত স্স্বার্নেন্দু বাবুর কাছে কৃতজ্ঞ ।
  • pi | 74.233.173.53 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:০৫70031
  • উপরের মন্তব্য ভাল লাগল।
  • | 127.194.5.0 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৫ ০২:০৬70032
  • পাই-কে কোট করে বলি, দেবব্রতর ওপরের মন্তব্য (আমার এই অনিচ্ছাকৃত অথবা ইচ্ছাকৃত ত্রুটিতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ এবং যথপযুক্ত তিরস্কারের জন্য আমি পাঠকগণের বিশেষত স্স্বার্নেন্দু বাবুর কাছে কৃতজ্ঞ ) ভাল লাগল।
    আর পুরোটা একবার পড়লাম। মূল লেখাটা বহুলাংশে sswarnenduর দেওয়া লিঙ্ক থেকে নেওয়া। কিন্তু তারপর আলোচনায় যেভাবে উত্তর-প্রত্যুত্তর চলেছে, তাতে মনে হয় ওটা ঠিক "একটা সাইট থেকে কেমন চট করে 'নামিয়ে দেওয়া' গেল হাতে-গরম তত্ত্ব ও তথ্য" (আমি আগে যেমন মন্তব্য করেছিলাম) হতে পারে না।
    দেবব্রতর বক্তব্যের সঙ্গে মূলত একমত নই, সে কথা অবশ্য স্বতন্ত্র।
  • Rivu | 108.235.164.224 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৫ ১০:২৯70033
  • ভিগান হয়ে যান দাদা/ দিদি রা। সিও২ এমিসনের এবং রেন ফরেস্ট এর দিফরেস্তেষণ এর জন্যে সবচেয়ে বড় কালপ্রিট অর্গানাইজড এগ্রি বিজনেস ( বিফ/ পর্ক / মুরগি ) প্রডাকশন। শুধু সিও২ এমিসনের দিক দিয়ে দেখলেই এগ্রি বিজনেস এর টোটাল এমিশন প্রায় গোটা পৃথিবীর সব গাড়ির এমিসনের কাছাকাছি। কাউস্পিরেসী বলে একটা ডকু আছে, দেখতে পারেন।
  • Rivu | 108.235.164.224 (*) | ১৮ নভেম্বর ২০১৫ ১০:৩৩70034
  • একটু ভুল বললাম, সিও২ না, গ্রিন হাউস গ্যাস এমিশন হবে ওটা: http://www.cowspiracy.com/facts/
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন