এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • প্রসঙ্গ উত্তম সুচিত্রা

    Parichay Patra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ৩৭৩০ বার পঠিত
  • বিকেলের চায়ে হবে মুচমুচে নিমকি চেবানো/পুরনো দিনের কথা বলবে না দেখো একজনও/হয়ত উত্তমকুমারের প্রসঙ্গ তুলে/পারমিতা দেবে হাত মাথার লুটিয়ে পড়া চুলে/তারপর শুরু হবে কার ছেলে ফিজিক্সে ভালো...

    সুমনের এই প্রায় বিস্মৃত গানটার কথা আমরা শুনেইছিলাম উত্তমকুমার পড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই। উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেনের ছবি, আমাদের পরিভাষায় পঞ্চাশের দশকের বাংলা সোশ্যাল, তখন এমএ স্তরে পড়তে হচ্ছে। আমি বড় হয়েছিলাম ফিল্ম সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে, বাড়িতে ফিল্ম দেখা বারণ ছিল অনেককাল। ফলে জনপ্রিয় ছবি একেবারে না দেখে বেড়ে উঠেছি, তারপর একেবারে মাধ্যমিকের পর থেকে তেড়েফুঁড়ে আমার সিনেফাইল জীবন শুরু, মূলত সীগাল আর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। অতএব উত্তমকুমারকে আমার দেখা তাঁকে অ্যাকাডেমিক বিষয় হিসেবে পড়তে গিয়ে, তার আগে নয়। জনপ্রিয় সিনেমার বৃহত্তর তাৎপর্যের দিকগুলো, তার রাজনীতি, রাষ্ট্রগঠনের সময় ভূমিকা, দর্শককে নাগরিক করে তোলায় ভূমিকা এইসব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে তখন। ‘শিল্পী’র স্ক্রিনিংয়ের দিন ঘর উপচে পড়ছে, এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদেরও উত্তম-সুচিত্রা উৎসাহের দিকটা বুঝতে পারছি। তখন অনেক বেশি রিসেপটিভ হয়েছি পপুলার সিনেমা বিষয়ে, পরে আরও হব, বুঝতে পারব ‘ইমোশন’ সিনেমা ও কালচার স্টাডিজে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, বিশেষ করে রিসেপশন আলোচনায়।

    উত্তম-সুচিত্রার ছবি নিয়ে অ্যাকাডেমিক আলোচনা করেছেন প্রধানত মৈনাক বিশ্বাস, তাঁর গবেষণাপত্রে, বাংলা-ইংরেজি একাধিক লেখায়, করেছেন শুভজিত চ্যাটার্জি তাঁর বাংলা সাহিত্য-সিনেমা-কালচারে রোম্যান্সের ধারণা নিয়ে গবেষণায়, দীপালী নাগ তাঁর ইকনমিক অ্যানড পলিটিক্যাল উইকলিতে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ নিয়ে নিবন্ধে, শর্মিষ্ঠা গুপ্ত তাঁর রুটলেজ থেকে প্রকাশিত বাংলা সিনেমার ইতিহাসে। আমি এখানে সকলের মতামত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব না, তার পরিসর এখানে নেই, আর বিশেষ করে মৈনাকদার বিশ্লেষণ এতই জটিল এবং তাত্ত্বিক যে তা সোশ্যাল মিডিয়ার তেমন উপযোগীও নয়।আমি শুধু কিছু পছন্দের ভাবনা একটু তুলে ধরব অত্যন্ত সংক্ষেপে।

    পঞ্চাশের দশকের এই উত্তম-সুচিত্রা জুটি ইতিহাসখচিত, ইতিহাসের যাত্রাপথে তা একেবারেই মুদ্রিত হয়ে রয়েছে। সেই সময়টায় সারা ভারতের সিনেমাতেই মোটামুটিভাবে স্টুডিও যুগের শেষ, আসছে স্টার-যুগ। এর লক্ষণ সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ধরে রেখেছে গুরু দত্তের ‘কাগজ কে ফুল’, ওয়াহিদা রহমান স্টার হয়ে ওঠেন, বন্ধ স্টুডিওর শূন্য সেটে নিজের চেয়ারে বসে মরে যান অতীতের পরিচালক গুরু দত্ত। আর দেশভাগ-উত্তর বাংলা সিনেমার সংকটমোচনে সহায়ক হয় এই স্টার সিস্টেম, উত্তম-সুচিত্রা জুটি পূর্ব পাকিস্তানের বিশাল বাজার হারিয়ে রক্তাল্পতায় ভোগা ইন্ডাস্ট্রিকে এবং লণ্ডভণ্ড পঃবাংলাকে নতুন নেশনের গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করেন। চল্লিশের সিনেমাও গ্রাম থেকে শহরের দিকে জার্নির কথা বলার চেষ্টা করেছিল, আইকনিক চরিত্রচিত্রণ থেকে ব্যক্তিমানুষের গুরুত্বের দিকে সরে আসতে চেয়েছিল, রাষ্ট্রনির্মাণ আর তার সমসাময়িক সামাজিক নানা পরিবর্তনের কাহিনীতে সেকুলার প্রেমের গল্পকে স্থান দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু উত্তর-ঔপনিবেশিক সময়ে পৌঁছে, স্বাধীনতা-উত্তর জমিতে দাঁড়িয়ে, তবে এই প্রয়াসের সাফল্য দেখতে পাব আমরা, এবং যে স্টার জুটির শরীর আশ্রয় করে এই পরিবর্তন তারা উত্তম-সুচিত্রা। দেশভাগের অব্যবহিত পরে গ্রাম থেকে নেহরুভিয়ান সমাজতন্ত্র আর রাষ্ট্রনির্মাণ প্রকল্পের অংশীদার শহরের দিকে যাত্রা করবে উত্তমকুমার অভিনীত যুবক, তার মধ্যে এই দুইয়ের বৈশিষ্ট্যই বিরাজমান। চল্লিশের ছবি অনেকখানি সিম্বলিক পরিসরে আটকে ছিল, পঞ্চাশের নতুন নেশনের সিনেমা তাকে পেরিয়ে নিজের কংক্রিট সোশ্যাল অবস্থান খুঁজে পাবে, সিনেম্যাটিক ফর্ম, ন্যারেটিভের চলন, মিজঁ-সীন সবকিছু বদলাবে। দেশভাগ বাঙালি মেয়েকে বাধ্য করবে পথে নামতে, চাকরি করতে, শিক্ষকতা করতে, রাজনীতি বা সমাজসেবায় আসতে, যে মেয়ের জীবন আদতে হয়ত পূর্ববঙ্গের গণ্ডগ্রামে বধূ হয়েই কাটবার কথা ছিল। ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ বা ‘কোমল গান্ধার’ এমনই উদাহরণ। এখানে ছবির পর ছবিতে সুচিত্রা সেন প্রফেশনাল নিউ উওম্যান, এবং তাঁর যৌনতা, লিবিডিনাল এনার্জি, পিতৃহীন বা অনাথ নায়ককে কার্যত adopt করা, এই ছবিগুলিকে উওম্যান’স ফিল্ম হিসেবে চিহ্নিত করবে। হিন্দি ছবিতেও একই সময়ে নেহরুভিয়ান রাষ্ট্রের নিউ উওম্যানকে আমরা খুঁজে নেব, ‘আন্দাজ’ বা ‘মাদার ইন্ডিয়া’র নার্গিস, ‘সাহিব, বিবি, আউর গুলাম’ অথবা কামাল আমরোহীর ‘দায়রা’র মীনাকুমারী। কিন্তু সুচিত্রা আরও অনেক, অনেক বেশি ছবিতে এই ভূমিকা নিয়ে গেছেন, সেখানেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অনন্যতা। এখানে নায়ক আর ন্যারেটিভ ইউনিভার্সের ফেমিনাইজেশন ঘটবে।

    উত্তমকুমারের শরীরে, জেশচারে, কণ্ঠস্বরে এই জার্নি টু দ্য সিটির ছাপ থাকবে, থাকবে নতুন নেশনের নাগরিক হয়ে উঠতে চাওয়ার ঘোষণা, এই যাত্রা আদতে সিটিজেনশিপের দিকে যাত্রা। নেহরুভিয়ান রাষ্ট্রের আধুনিকায়ন প্রকল্পের শরিক এই যুবক যুবতী কলকাতা শহরের প্রেক্ষাপটে তাদের শরীরকে খুঁজে পায়, গোটা ফিল্ম টেক্সটই রয়েছে কেবল এই রোম্যান্স সম্ভব হবে বলে, অন্য প্রতিটি চরিত্র, প্রত্যেক ঘটনার অস্তিত্ব এজন্যেই, প্রতিটি ছবিই প্রায় শেষ হবে একটা ক্লাইম্যাকটিক আলিঙ্গনে, আর সেখানে কোনভাবেই থাকবে না বিগত সময়ের প্রতীক প্যাট্রিয়ার্কাল মরাল অথরিটি বা অভিভাবক। ‘শিল্পী’র ধনী, উচ্চবংশের কন্যা বেছে নেবে নিম্নবর্ণের দরিদ্র শিল্পীকে, ‘সপ্তপদী’ ধর্ম, আন্তঃধর্ম সম্পর্ক নিয়ে কার্যত তুফান তুলবে। ‘ইন্দ্রাণী’র ব্রাহ্মণকন্যা নিম্নবর্ণের পুরুষকে বেছে নেবে সিভিল বিবাহের নিয়মে, ছবিটির ঠিক এক বছর আগেই স্পেশ্যাল বিবাহ আইন, হিন্দু বিবাহ আইনের সংস্কার ইত্যাদি হয়েছে, অচল হয়ে গিয়েছে ধর্মীয় রিচুয়াল মানা বিয়ে, আর ছবিতে সে সংবাদে ধরাশায়ী হচ্ছেন কন্যার পিতা পাহাড়ি সান্যাল। ল আর মুভিং ইমেজের এইসব আশ্চর্য মিথস্ক্রিয়া আমাদের গবেষণায় সাহায্য করে, আমরা বুঝতে পারি এ গান্ধর্ববিবাহের সোশ্যাল লেজিটিমেসি অবান্তর, এদের প্রেম ও যৌনতায় সীলমোহর দিয়েছেন রাষ্ট্র। এই আমাদের নতুন নাগরিক, আমাদের নিজস্ব আধুনিকায়ন, মৈনাক বিশ্বাস যাকে বলবেন ভার্নাকুলার মডার্নিটি। আর অনেকগুলি ছবিতেই পঞ্চাশের হলিউডের প্রভাব বিদ্যমান, ‘সূর্য-তোরণ’ বা ‘হারানো সুর’এ সরাসরি, তার প্রভাব অভিনয় রীতিতেও পড়বে, সেসময়ের হলিউড বুর্জোয়া মেলোড্রামা কিভাবে এখানে ক্রিয়াশীল তা নিয়ে বেশি কিছু বলছি না, তা আরেকটি রচনার অবকাশ মার্জনা করে। মেলোড্রামা ফর্ম আর তার উনিশ শতকীয় অরিজিন নিয়েও কিছু বলছিনা, পরিসর বাড়বে। একটি বিষয়ের দিকে মৈনাক বিশ্বাস আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই সব ছবিগুলির অধিকাংশের চিত্রভাষা নির্মাণ করেছেন রামানন্দ সেনগুপ্ত বা দিলীপরঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের মত সিনেম্যাটোগ্রাফার, যে রামানন্দ জঁ রনোয়ার ‘দ্য রিভার’ বা ঋত্বিকের ‘নাগরিক’এ কাজ করেছেন, তাঁদের হাত ধরে আন্তর্জাতিক সিনেমার যোগ এসেছিল বাংলা পপুলারের, আর ঋত্বিক নিজে মেলোড্রামা ফর্মটি নিয়ে পরীক্ষার তাগিদে এঁদের ব্যবহার করেছেন, অন্য ঘরানার সিনেম্যাটোগ্রাফার সুব্রত মিত্রকে নেন নি, তিনি সত্যজিতের একচেটিয়া।

    শহরের পথে এই অভিযাত্রায় আর একজনের কণ্ঠটি এমব্লেম্যাটিক হয়ে ওঠে, নিজের কণ্ঠ তিনি উত্তমকুমারের সিটিজেন-সাবজেক্টকে ধার দেন কার্যত, তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠ এইভাবেই একটি নির্দিষ্ট নেশন আর তার ফেমিনিনিটির ধারণাকে এমবডি করবে, তাঁর আগের আমলের ‘মুসলিম ভ্যাম্প’ সুরাইয়ার কণ্ঠ আর চরিত্রদের সরিয়ে। সঞ্জয় শ্রীবাস্তব লতার কণ্ঠ বিষয়ে বিস্তৃত লিখেছেন, আর সুরাইয়াকে নিয়ে মধুজা মুখোপাধ্যায় লিখেছেন আমার সম্পাদনা করা বইতে।

    সেসময়ের বাঙালি কিন্তু এই সোশ্যাল লেজিটিমেসি-হীন প্রেম খুব সহজে মেনে নেয়নি। যুগান্তর বা বসুমতীতে ‘সাগরিকা’ বা ‘একটি রাত’ কি ভীষণ অশালীন ছবি তা নিয়ে অনেকে চিঠি লিখতেন। শুভজিত চ্যাটার্জি আর্কাইভ্যাল রিসার্চে তা প্রমাণ করেছেন।

    এদিকে শহর ক্রমেই এইসব মরাল-এথিক্যাল ট্রান্সগ্রেশনের স্থান হয়ে উঠছে। পঞ্চাশের শহর তবু, যেমন মাধব প্রসাদ বলেন, উপর থেকে নীচের দিকে তাকিয়ে দেখা, রাষ্ট্রের আরবান প্ল্যানিং, যেমন ‘সূর্য-তোরণ’, বা আরেকটু অ্যালিগরিক্যাল হলে ‘শ্রী ৪২০’, বোম্বের স্কাইওলাইন পেছনে রেখে গ্যাসলাইটের মৃদু আলোয় রাজ কাপুর ও নার্গিস। সত্তরের দশকে রাষ্ট্রের উপর আস্থা হারাবে নাগরিক, তখন নীচ থেকে সে তাকাবে উপর পানে, রাস্তার জীবন মহনীয় হবে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলবে দিওয়ারের অমিতাভ বচ্চন আর শশী কাপুর। কিন্তু সে আরেক গল্প। আপাতত পঞ্চাশের ছবিতে এই ট্রান্সগ্রেশনটাই প্রধান।

    তাই ১৯৫৭ তে গুরু দত্তের ‘প্যায়াসা’ তে কীর্তনের বোলের তালে তালে সিঁড়ি বেয়ে অপ্রাপণীয় দয়িতকে ছুঁতে ছুটে যায় বেশ্যা গুলাব (ওয়াহিদা রহমান)। আমার ভাবতে ভারি ভাল লাগে একটা বিষয়। সে বছরের অস্কারে ‘প্যায়াসা’র বদলে ‘মাদার ইন্ডিয়া’কে প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছিল ভারত, সে ছবি বিদেশি ভাষার ছবির বিভাগে শেষ পর্যন্ত গিয়েওছিল। কিন্তু অস্কার পেয়েছিল ফেলিনির ‘নাইটস অব ক্যাবিরিয়া’, বিশ্বযুদ্ধ আর নিও-রিয়ালিজম উত্তর ইতালিতে সেও আরেক বেশ্যার অনায়ত্ত জীবনের গল্প। ১৯৯০ এর উদারীকরণের পরে বলিউড সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করবে পেট্রিয়ার্কের কাছে, গুলাবদের দিন আর থাকবে না, অমরীশ পুরির অনুমতি ছাড়া কাজল দৌড়ে যেতে পারবেই না চলমান ট্রেনের দিকে।

    আর ঠিক সেকারণেই উত্তম-সুচিত্রার ছবি আমাদের টেলিভিশনের একটি নির্দিষ্ট স্লট খুঁজে নেয়। স্লাভো জিজেক কোট করে গবেষকরা দেখান আমরা তখন অন্য এক গেজ খুঁজে পাই, সেটা ১৯৫০ এর দশকের দর্শকের গেজ। এই ছবি আমাদের নস্টালজিয়া, শেষ না হওয়া মডার্নাইজেশনের নস্টালজিয়া। সেই সময়ে আবদ্ধ স্পেসে উত্তম-সুচিত্রা চিরতরুণ থেকে গেছেন, আবছায়া শিলুয়েটে তাঁর চিরাচরিত ক্লোজ আপে সুচিত্রা গাইছেন “আমার জীবনে নেই আলো/আছে আঁধারেরি হাতছানি/বলিতে পারিনা মুখে কিছু/আমারে বোঝ না তা জানি”।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ | ৩৭৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Ekak | 125.99.196.27 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১১:৪৩65874
  • " সারাজীবন "কুমারী" রইলেন। "

    এটার উত্স একটু ব্যাখ্যা করবে ? যদ্দুর জানি ইন্দাস্ত্রী তে একমাত্র লতা যিনি নামের সঙ্গে "তাই " বা "বাই " কোনটাই ব্যবহার করতে নারাজ ছিলেন এবং পরিস্কার ইনসিস্ট করতেন লতাজী বলতে । এটা নিয়ে অনেকেরই বাঁকা মন্তব্য আছে যেমন পারিকর এর লেখাতেও । কিন্তু মহারাষ্ট্রে যেখানে মহিলা সঙ্গীত শিল্পী মানেই আইদার তাই অথবা বাই সেখানে লতার প্রিভেসি মেন্টেন করার মানসিকতা কি খুবেকটা সনাতন নীতি মেনে নেওয়ার সঙ্গে যাচ্ছে ? উনি নিজে কিরকম জীবন যাপন করতেন সেটা ওনার ব্যক্তিগত কিন্তু সনাতন কে মেনে নেওয়ার বীজ লুকিয়ে থাকে সামাজিক স্ট্যাম্প গুলো নিজের গায়ে নেওয়ায় । সেটা লতা কখনো করেছেন কি ?
  • কল্লোল কী বলতে যায়? | 213.99.211.132 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১২:৫৯65875
  • আরো একটু খুলে বললে ভালো হয়।

    ১। একজন শিল্পী গায়ে আঁচল দিয়ে গাইবে নাকি আঁচল খুলে আমার মতে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

    ২। সারা জীবন কুমারী থেকে গেলে্ন ঃ- বেশ করেছেন। বিয়ে করতেই হবে এমন বিধান কে দিয়েছে।

    হেমন্ত মুখো র সম্পর্কে তার একট সফট কর্ণারের কথা শোনা যায়

    এর ঠিক কোন খান টায় কল্লোল র আপত্তি?

    ১। বিয়ে না করে?
    ২। আঁচল টেনে গান করা
    ৩। রাজ সিং দুঙ্গারপুরের সাথে সম্পর্ক টা ধোঁয়া ধোঁয়া রেখে দেওয়া?

    আর সতী সাধ্বী বলতে কবি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
  • PT | 213.110.243.23 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:২৭65894
  • "হম তুম এক কামরে মেঁ বন্ধ হোঁ"-বেশ সতী-সাধ্বী টাইপের গান? মানে "বুঢ্ঢা মিল গয়া"-র চাইতেও বেশী ভজন-ভজন ভাব আছে?
    অতি ইমেজ সচেতন এক গায়িকা শেষে এমন করে নিজের ইমেজের সব্বোনাশ করলে গো?
  • কল্লোল | 111.63.94.215 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:২১65895
  • আমার লেখায় কোথাও কি বলেছি লতা "অন্যায়"করেছেন!!!

    সেনসুয়াল আর সেক্সি-র পার্থক্য না বুঝলে কিছু করার নেই।

    পিটি উবাচ। "সমস্যা অন্যত্র। আজকাল নিরপেক্ষ আলোচনার নামে আমরা বোধহয় ট্যালেন্টের স্বীকৃতি দিতে দ্বিধা বোধ করছি। "
    অমি লিখলাম। "তবে এসবই সম্ভব হয়েছে ওনার গলাকে ধরে রাখার ও ক্রমাগত আরও ভালো আরও ভালো গাইবার জন্য কঠোর পরিশ্রমের ফলে। তার কৃতিত্বও ওনারই।"

    প্রতিভা, পরিশ্রম এসব কে অস্বীকার করেছে? কোথায়?

    আমার যেটা বলার ছিলো, লতা সযতনে তার সতীসাধ্বী ইমেজ গড়ে তুলেছেন।
    শো বিজনেসে অনেকেই করেন। যেমন দিলীপকুমার কেয়ারফুলি কেয়ারলেস, শাম্মী ফ্ল্যামবয়েন্ট, সুচিত্রা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, অপর্ণা ইন্টেলেক্চুয়াল বিউটি, প্রেমিক রাজেশ, রাগী অমিতাভ ইঃ ইঃ
    গায়কদের মধ্যে ইমেজ বিল্ডিং ব্যাপারটা ছিলো কিশোর ক্ষ্যাপা আর লতা সতীসাধ্বী।
  • | 125.117.216.139 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:২৪65896
  • কি মুশকিল উমাদেবী, লীলা চিটনিস, সুরাইয়া ইত্যাদিদের ক্ষেত্রে 'তাঈ' কিম্বা 'বাঈ' একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। এঁরা কেউ মারাঠী হিন্দু নন।

    মারাঠী হিন্দু মহিলাদের ক্ষেত্রে তাঈ বা বাঈ আরোপ করা হয় তাঁদের মেনস্ট্রুয়াল সাইকলের ওপরে। কোন মহিলাকে দেখে তার আনুমানিক বয়স অনুমান করে তিনি মেনস্ট্রুয়াল সাইকলের ভেতরে আছেন অথবা বাইরে এইটে ধরে নিয়ে সম্বোধনে তাঈ কিম্বা বাঈ জুড়ে ডাকা হয়।

    তো এহেন প্রেক্ষিতে লতা মঙ্গেশকারের নামের সাথে তাঈ কিম্বা বাঈ জুড়তে না দেওয়া অত্যন্ত ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক স্বাধীন একটি পদক্ষেপ। উনি স্পষ্টতঃই নিজের অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটি ব্যপারে গন্ডী টেনে দিয়েছেন। সেইটেতে অনেক গোঁড়া মারাঠীকে খানিক বিরক্তভাব প্রকাশ করতে দেখে বেশ মজা পেয়েছি।

    খেয়াল করে দেখবেন আশা কিন্তু এটি এড়ান নি। আশা নিজের নামের সাথে বাঈ/তাঈ ব্যবহৃত হতে দিয়েছেন দিচ্ছেন।
  • imej | 122.79.35.92 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৩০65897
  • ইমেজ হিসাবে দতেস সাধ্বী শব্দ টা বেশ আপত্তিকর। এই টা বুঝতে কিন্তু পন্ডিত হবার দরকার নেই। খানিক টা শ্রদ্ধা অবশ্য থাকতে হবে।কিন্তু আমরা কমন পাবলিক ভালো
    জিনিস ছেড়ে "তথাকথিত " কেচ্ছা থেকে বেশী মজা নিয়ে চাই।
  • | 125.117.216.139 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৭65898
  • আর ইমেজ বিল্ডিঙ নিয়ে আলোচনা করলে অসুবিধে কী? ইমেজ বিল্ডিং তো ব্যক্তিত্বের একটা অংশ। পারফর্মিং আর্টের ক্ষেত্রে তো অবশ্য অবশ্যই কীভাবে পারফর্ম করছেন সেটা উপভোক্তাদের ওপরে কী প্রভাব বিস্তার করছে সেসব ম্যাটার করে। যে কোনও বুদ্ধিমান মানুষ নিজের একটা ইমেজ বিল্ডিং তো করবেনই।

    লতা খুব ছোট বয়স থেকে নিজের যা মূলধন অর্থাৎ গান সেই নিয়ে নিজের নেশাকে পেশায় পরিণত করেছেন। এইবারে সেইসময় উনি নিজের সম্পর্কে যেরকম ভাল বুঝেছেন তেমন ইমেজ তৈরী করেছেন, সেই ধরণের গান গেয়েছেন উনি অনেক অনেক স্টেজ সো'ও করতেন, তো, হতেই পারে যে সেক্ষেত্রে কিছুটা নিজেকে রক্ষা করার জন্যও 'সনাতন ভারতীয় সাধিকা'টাইপ ইমেজে নিজেকে মুড়ে রেখেছেন। এমনিতে তো ছুঁকছুঁকে ভারতীয় অল্প কিছুদিন আগেও মনে করত আহা গান ফান গায়, আবার স্টেজ সো'ও করে -- ও তো নিশ্চয়ই সহজলভ্যা। তো এই উৎপাৎ থেকে বাঁচতে ওরকম ইমেজ বানানো আমার বেশ যথাযথই লাগে।

    এরপর সময়ের সাথে সাথে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত হয়েছে, জোর বেড়েছে, তখন আস্তে আস্তে আরেকটু অন্য গানের দিকে ঝুঁকেছেন।
  • | 125.117.216.139 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৩৯65899
  • *স্টেজ শো
  • | 24.97.228.139 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:৫৬65900
  • 'দতেস সাধ্বী' টা আবার কী বস্তু? দতেস কী??
    আর সাধ্বী কেন কেচ্ছামূলক হতে যাবে? বরং সতী সাধ্বী না হওয়াটাকেই তো গড়পড়তা ভারতীয় সমাজ 'কেচ্ছামূলক' বলে গণ্য করে থাকে আর সতী সাধ্বী হওয়াটাকেই আদর্শ।

    পিটিকে বলার ছিল, রঞ্জন বন্দ্যো হঠাৎ জনপ্রিয় হতে যাবে কেন? অনেক মানুষই তো এইসব ব্যক্তিগত কথাবার্তা খুবই পছন্দ করে। সেই 'মোহন্ত এলোকেশী সম্বাদ' ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয় ছিল। বা ধরুন বিলেতে ট্যাবলয়েডগুলোর প্রবল জনপ্রিয়তা। তো যে যার টার্গেট অডিয়েন্স বা পাঠক খুঁজে নেয় আর কি।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:১৫65901
  • মূল আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছি। কিন্তু লতা তো বেশ কয়েকটা গান এরকম গেয়েছিলেন।

    সে অর্থে দেখতে গেলে 'ক্যাবারে' গান একটি সিনেমাতেই। ইন্তেকাম।


    এবং এটি।


    ও না, এটাও তো আছে ! এটা ক্যাবারে না ?


    আর এই গানগুলোকে কী বলব ?


    হেলেনের লিপে লতার বেশ কয়েকটি গান পাচ্ছি। আর দিলাম না।

    আর নায়িকার অন্য ইমেজেও লতার গান আছে, ই দুটো এখনি মনে পড়ছে।




    মানে বুড্ঢা মিল গয়ার চটুলতা তো এদের তুলনায় তুশ্চু।

    আর এরকম প্রথাভাঙা নেশাগ্রস্ত নায়িকার কথা ছেড়ে দিলেও, নায়িকার গলায় লতার 'সেনসুয়াল' গান তো কম নেই। লিস্টি করলাম না। চটুল গান ও আরো বেশ কিছু শুনেছি মনে হচ্ছে।মনে পড়লে বলবো।

    হ্যাঁ, অবশ্যই ভ্যাম্পের গলায় আশা, গীতা দত্তের তুলনায় লতার গান অনেক কম, শুনেছি সচেতনভাবেই কম। ক্যাবারে জঁর এর গান গাইতেন না , শুনেছি। কিন্তু নেই, নয়। আর এটাও জানার ইচ্ছে আছে, এইধরণের গান উনি গাইতেন না, সেভাবে ওঁর গলায় এগুলো মানাবে না, এমন কোন ভাবনা থেকেও নয় তো ? বা, এরকম গান, গান হিসেবে গাওয়া পছন্দ করতেন না ? মানে, যতই প্রতিভাবান শিল্পী হন, সবার গলায় সব গান তো মানায়ও না, সবাই সবরকম গান তত ভাল গাইতেও পারেনা, ইচ্ছেও থাকেনা। তো, এগুলোও ফ্যাক্টর হতে পারে বা হয়েছিল কিনা জানার ইচ্ছা আছে।

    আবারো দুঃখিত পরিচয়, অনেকটাই বেলাইন করার জন্য। আর পোস্টের উত্তরের জন্য ধন্যবাদ, ও নিয়ে আরো কিছু বলার আছে, পরে লিখবো।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:৩১65902
  • ক্যারাভানের আরো দুটো গান মনে পড়ে গেল।




    ওহো, 'তওয়াইফ' গানগুলোর কথা তো ভুলেই গেছিলাম।



    কল্লোলদার পছন্দের নায়িকার লিপেও রইলো ঃ)
  • কল্লোল | 125.242.190.5 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৫:১৪65903
  • আলোচনাটা শুরু হয়েছিলো লেখাটার এই জায়গা থেকে - "শহরের পথে এই অভিযাত্রায় আর একজনের কণ্ঠটি এমব্লেম্যাটিক হয়ে ওঠে, নিজের কণ্ঠ তিনি উত্তমকুমারের সিটিজেন-সাবজেক্টকে ধার দেন কার্যত, তিনি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠ এইভাবেই একটি নির্দিষ্ট নেশন আর তার ফেমিনিনিটির ধারণাকে এমবডি করবে, তাঁর আগের আমলের ‘মুসলিম ভ্যাম্প’ সুরাইয়ার কণ্ঠ আর চরিত্রদের সরিয়ে। "

    যাগ্গে। পরিচয়বাবু এরকম লেখা আরও চাই। আমার একটা ফরমাইশ ছিলো। অতিথি আর পলাতক নিয়ে লেখা।বিশেষ করে পলাতক-কে আমার কোথাও যেন চ্যাপলিন জঁরের বঙ্গীকরণ বলে মনে হয়। কিন্তু তখনকার ছদ্ম ধণতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র খুবই উদ্ভট বিষয় বলে গন্য হতো, তাই এধরনের ছবি আর হলো না। যদিও পলাতক হিট, কিন্তু রাহগির চরম ফ্লপ।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন