এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • স্বাধীন চলচ্চিত্র সংসদ বিষয়ক কিছু চিন্তা

    Anamitra Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ মে ২০১৮ | ১৫৫২ বার পঠিত
  • জোট থাকলে জটও থাকবে। জটগুলো খুলতে খুলতে যেতে হবে। জটের ভয়ে অনেকে জোটে আসতে চায় না। তবে আমি চিরকালই জোট বাঁধার পক্ষের লোক। আগেও সময়ে সময়ে বিভিন্নরকম জোটে ছিলাম । এতবড় জোটে অবশ্য প্রথমবার। তবে জোটটা বড় বলেই এখানে জটগুলোও জটিলতর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেউ ফেসবুকে তেড়ে এসে গালাগাল করে গেলো, কি দেখে নেবে বলে শাসানি দিলো; এইধরণের উটকো ঝামেলাগুলোর কথা বলছি না। এগুলো থাকবেই। এড়ানো যাবে না। জোট না থাকলেও এগুলো হতো, তবে হ্যাঁ, জোট হয়েছে বলে হয়তো একটু বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মূল কারণটা বুঝে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া ভালো, এবং ক্ষেত্রবিশেষে গুরুত্ব না দেওয়াটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

    যাই হোক, এই লেখাটা লেখার কথা মাথায় আসে প্রথম অফিসিয়াল স্টেটমেন্টটি পড়ার পর। শুধু ওই স্টেটমেন্টটি নিয়েই যে এই লেখা সেরকমটা নয়। এখনও পর্যন্ত আইএফসি বিষয়ক আমার যাবতীয় চিন্তাভাবনা তুলে ধরার একটা চেষ্টা করবো এখানে, জানিনা সবকটা মনে করে করে লিখে উঠতে পারবো কিনা। দেখা যাক।

    এরকম একটা সংগঠনের জন্ম হোক এই ইচ্ছা আমার বহুদিনের। কলকাতা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি-র অধিকাংশ প্রোডাক্ট-ই আমার পছন্দ নয়। ফলে চিরকালই চাইতাম ইন্ডাস্ট্রির বাইরে বা একদম মার্জিনে যে মানুষগুলো নিজেদের মতো কাজ করছে তারা একটা সহযোগিতামূলক কাঠামোর মধ্যে আসুক। প্রায় বছর দশেক আগে থেকে এটা ভেবে আসছি কিন্তু কোনোকিছুই করে উঠতে পারিনি। কিছু করে ওঠা আমার পক্ষে সম্ভবও ছিলোনা। কারণ আমি একটা নির্দিষ্ট ধরণের ছবি বানাই মূলত, যে ধরণটা নিয়ে অনেকের অ্যাল্যার্জি রয়েছে। অনেকে বিশ্বাসই করেন না ওরকম কিছু হয় বা হতে পারে বলে। ফলতঃ চেনাশোনা বা অপরিচিত অনেকেই আমাকে একদম প্রথম থেকেই একটি প্রিটেনশাস স্টান্টবাজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাননি। আমি চেষ্টা করলে অধিকাংশ মানুষকেই পাশে পাবোনা এটা জানা ছিল বলেই সেভাবে চেষ্টাটা কখনো করিনি। সেদিন সোম চক্রবর্তী-র প্রস্তাবটা দেখে তাই খুব আনন্দ পেয়েছিলাম। সোম একজন নিপাট ভালো চলচ্চিত্রকার যে সবকিছুর বাইরে একটা ভালো ছবি বানানোর চেষ্টা করে। এবং ভালো ছবি বানায়। ওর মতো একজন মানুষ প্রস্তাবটা রাখায় স্বভাবতই বেশ ভালো সাড়া পাওয়া গেছে যেটা অন্য কেউ রাখলে হয়তো পাওয়া যেত না।

    গত ৫ই মে, আমাদের প্রথম যে মিটিংটি হয় সেখানে আমি ছিলাম। এবং মিটিং এর শেষে আমার মনে হয় বেশ কিছু কথা চাপা পড়ে গেলো। ১৯শে মে-র দ্বিতীয় মিটিং-এ আমি ছিলাম না। ফলে সেখানে কি কথা হয়েছে না হয়েছে আমার জানা নেই তবে এই কথাগুলো এখানে উল্লেখ করার বিশেষ প্রয়োজন বোধ করছি।

    ১) কলকাতায় অন লোকেশন শুটিং এর ক্ষেত্রে নিয়মকানুনের অস্বচ্ছতা রয়েছে। পাবলিক প্লেসে শুটিং এর ক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশকে অবগত করা এবং তাদের অনুমতি থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু অনুমতি পাওয়ার জন্য টাকাপয়সা দেওয়া প্রয়োজন কিনা সেই জায়গাটা চিরশীতের দেশের মতোই প্রবল কুয়াশাময়। যদি টাকাপয়সা দেওয়াই নিয়ম হয় সেক্ষেত্রে কত? ঘন্টা হিসেবে, দিন হিসেবে, কতটা এলাকা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে সেই হিসেবে নাকি ইউনিটের সাইজ হিসেবে? বন্ধুবান্ধবদের অভিজ্ঞতা শুনে আমার মনে হয়েছে এই ব্যাপারটা পুরোটাই পূলিশের মর্জির ওপর। এর ফলে কিন্তু কম বাজেটে কাজ করতে চাওয়া স্বাধীন চলচ্চিত্রকারদেরই মূলত ভুক্তভোগী হতে হয়। এখানে সবার জন্য একটা সাধারণ নিয়ম থাকা জরুরি এবং নিয়মটির প্রবর্তন ঘটানো আইএফসির পক্ষে অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ হতে পারে। রেলওয়েজ বা এয়ারপোর্ট জাতীয় জায়গাগুলোর ক্ষেত্রেও এইধরণের একটা নিয়ম প্রয়োজন যাতে কেউ একজন একটা দৃশ্য ভাবার সময় বাজেটটাও ভেবে ফেলতে পারে এবং কাজ করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়।

    ২) আমরা কি কি করবো সেই বিষয়ে অনেক আলোচনা ইতিমধ্যে করে ফেললেও কোনটা আগে করবো কোনটা পরে সেই জায়গাটা নিয়ে বিশেষ আলোচনা করিনি। রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাওয়ার পরে আমাদের প্রথম কাজ কোনটা হবে সেটা আমরা এখনো জানি না। প্রথম কাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখনও অবধি আমরা মূলত যাঁরা ছবি বানান বা স্বাধীনভাবে বানানো ছবিতে কাজ করেন এবং করতে আগ্রহী সেই ধরণের মানুষদের সাথে কথোপকথন চালাচ্ছি। প্রথম কাজটির মাধ্যমে আমরা প্রথমবারের জন্য এই ফ্র্যাটার্নিটির বাইরের মানুষদের কাছে পৌঁছবো। সেইজন্যেই ওই কাজটি নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন।

    ৩) বলা হচ্ছে আইএফসি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। অরাজনৈতিক শব্দটা খুব সুন্দর এবং প্রেমে ফেলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখে রীতিমতো। কিন্তু তাই বলে একটি শব্দের প্রেমে পরে সেটাকে ব্যবহার করে ফেলা হয়তো খুব একটা কাজের কথা নয়। এক্ষেত্রে দুটো সমস্যা হতে পারে। প্রথমত, আইএফসির কোনো সদস্য যদি এমন একটি ছবি বানান যার মধ্যে একটি রাজনৈতিক বক্তব্য রয়েছে সেক্ষেত্রে সংগঠনকে হয় ঢোঁক গিলতে হবে নাহলে উক্ত ছবিটিকে সমস্ত স্ক্রিনিং থেকে বাদ দিতে হবে। এই ব্যাপারটা ভেবে দেখা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, যতদূর খেয়াল পড়ছে, আমাদের একটা অ্যাজেন্ডা গিল্ডের দাদাগিরি বন্ধ করা। এবার ভেবে দেখা প্রয়োজন যে, কোর্টের ভার্ডিক্ট উপেক্ষা করে গিল্ড যখন দাদাগিরিটা চালিয়ে যাচ্ছে সেটা কি ওরা কোনো রাজনৈতিক মদত ছাড়াই করছে? যদি সেরকম হয় তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ জাতীয় কোথাও একটা ডেপুটেশন দিয়ে সেটা হয়তো বন্ধ করানো যেতে পারে। কিন্তু, সেরকমটা যদি না হয়, অর্থাৎ গিল্ডের মাথার উপর যদি কোনো রাজনৈতিক দলের হাত থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে কিন্তু সমূহ সম্ভাবনা যে উৎপাত বাড়বে বৈ কমবে না। যখনই ওরা জানতে পারবে যে ওদের বিরুদ্ধে জোট পাকানো হচ্ছে, ওরা আরো ভয়ানক হবে। আগে ক্যামেরা ভেঙে থাকলে এরপর মাথা ভেঙে দেবে। সেই পরিস্থিতিকে পাল্টা রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া কি আদেও মোকাবিলা করা সম্ভব হবে? ভেবে দেখা প্রয়োজন।

    ৪) নন-প্রফিট নয়, বরং প্রফিটেবল হয়ে ওঠাটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। কেন বলছি একটু ভেঙে বলি। আমার একটা শর্ট ফিল্ম আমি পাটুলিতে কোথাও একটা পর্দা টাঙিয়ে দেখালাম, বা সইফুল বসিরহাটে একটা মণ্ডপ বানিয়ে ওর একটা ছবি দেখালো, সেক্ষেত্রে কারুর প্রতি কোনো দায় নেই, কেবলমাত্র নিজের ছবিটা দশটা লোককে দেখাবো বলেই আমরা যাবতীয় আয়োজন করছি। এটা তো মানুষ একাই পারে, এর জন্য সংগঠনে আসতে যাবে কেন? বাংলা শর্ট ফিল্ম ব্যাপারটা এমনিই একটা নন-প্রফিট জোন হয়ে বসে আছে, স্বাধীন চলচ্চিত্র সংসদ একটা নতুন সংগঠন হয়েও যদি নন-প্রফিটেই আটকে থাকে তাহলে তার অবদানটা কি রইলো এক্ষেত্রে? আজকের দিনে দুটো পরিচিত মিডিয়াতে আর্টিকেল বেরোলে একজন নতুন ফিল্মমেকার সহজেই আইএমডিবির মতো সাইটে তার ছবির ডিটেলগুলো তুলে রাখতে পারে। সেখানে কেন কেউ আমাদের ডেটাবেসের জন্য ফর্ম ফিলআপ করে তথ্য পাঠাতে যাবে আমরা যদি নিজেদেরকে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক না করে তুলতে পারি? এবং এই প্রাসঙ্গিক করে তোলার একটা অন্যতম উপায় আমার মনে হয় একটা শর্ট ফিল্ম কি করে ৫০০টা টাকাও ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারে সেই পথটা খুঁজে বার করা। প্রোডাকশন কস্ট রিকভারির কথা বলছি না, খুব ন্যূনতম একটা অংকের টাকাও যদি একজন স্বাধীন চলচ্চিত্রকারের হাতে তুলে দেওয়ার মতো একটা রাস্তা আইএফসি দেখাতে পারে সেক্ষেত্রে সবকটা কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।

    শুধু ডেটাবেসের কথা ভেবে এটা বলছি না। সোম যেদিন এই একজোট হওয়ার প্রস্তাবটা রাখে তার ঠিক পরেরদিনই আমি চাঁদার ব্যাপারটা লিখেছিলাম। বহুদিন হলো ওই ব্যাপারটাকে আর আলোচনার মধ্যে দেখছি না। এমনকি প্রথম অফিসিয়াল স্টেটমেন্টেও এর কোনো উল্লেখ চোখে পড়েনি।
    যেকোনো সংগঠনকে বাঁচিয়ে রাখার একটা খরচ আছে। এই চাঁদার ব্যাপারটা আমরা লিটিল ফিশ ইট বিগ ফিশ-এর সময় চেষ্টা করেও চালু করতে পারিনি। আমাদের তবু ডিভিডি বিক্রির কিছু টাকা আসতো প্রতিবছর। সেই টাকাটা বাইঅফে ছবি দেখানোর পিছনে খরচ করা হতো। নীতিগত ভাবে আমরা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবি পাঠানোর বিরুদ্ধে থাকায় আমাদের আর কোনো খরচ ছিল না। সেখানে আইএফসি-র কর্মসূচীর একটা বড় অংশই হলো জায়গায় জায়গায় স্ক্রিনিং-এর ব্যবস্থা করা। হয়তো যতটা সম্ভব কম খরচেই সেই ব্যবস্থা করা হবে, কিন্তু তারপরও খরচ যে খুব একটা কম হবে সেরকম তো মনে হচ্ছে না। তার চেয়েও বড় কথা এতো ব্যবস্থাপনা সামলাবে কে? ফিল্মমেকার আমি হয়তো বা, কিন্তু ফ্রিল্যান্সার নিশ্চিতভাবেই। সংগঠনের বাকি সদস্যদেরও মনে হয় কিছু না কিছু জীবিকা নিশ্চয়ই থেকে থাকবে। সেই প্রাথমিক সময় দেওয়ার জায়গাটা থেকে সময় বাঁচিয়ে এতো কিছু করা যাবে তো? --- আমার মনে হয় স্ক্রিনিংগুলো সামলানোর জন্য একটা ডেডিকেটেড টিম থাকা প্রয়োজন নাহলে উদ্যোগটা বেশিদিন বাঁচবে না। এবং সেই টিমের সদস্যরা তাঁদের যাবতীয় খাটাখাটনি পর খুব সামান্য একটা টাকাও যদি হাতে না পান তাহলে তাঁদের ডেডিকেশন কতদিন টিকবে সেটাও যথেষ্ট সন্দেহের বিষয়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদের ফোরামের সময় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছর বেশ কিছু নতুন ছেলে একসাথে কাজ করবে বলে এসেছিলো। তারা ডিভিডি রিলিজ ফিলিজ দেখে বিশাল কিছু ব্যাপার ভেবে ফেলেছিলো বোধহয়। পরে গালাগাল করে পালিয়ে যায়। আমরা যদি তাদের হাতে মিনিমাম বিড়ি আর এগরোল খাওয়ার পয়সাটুকুও তুলে দিতে পারতাম মনে হয় তারা আরো কিছুদিন থেকে যেত। উদ্যোগটাকে নিজেদের উদ্যোগ বলে ভাবতো। খুব বিশাল কিছু টাকার কথা বলছি না। এখনও অনেক মানুষ মফঃস্বল থেকে কলকাতা শহরে যাতায়াত করে ৬০০০-৭০০০ টাকা মাসমাইনের চাকরি করেন। এক্ষেত্রে গ্রাউন্ডে কাজ করার জন্য সেরকম তিনটি লোকই যথেষ্ট। না হলে কিন্তু ৫ই মে, ২০১৯ অবধিও আইএফসির অস্তিত্ব থাকবে কিনা তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।

    শুধু স্ক্রিনিং নয়, আইএফসি-র মতো একটা সংগঠনের একটা নিজস্ব পত্রিকা থাকাও খুবই জরুরি। অন্তত ত্রৈমাসিক একটা পত্রিকা। আর সেই পত্রিকা নিয়মিত পৌঁছে যাওয়া প্রয়োজন যে সমস্ত গ্রামে বা টাউনে আমাদের ছবিগুলি পৌঁছবে, সেখানে। বছরে হয়তো একবার আমরা ছবি নিয়ে পৌঁছতে পারবো কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে, কিন্তু পত্রিকাটি তিনমাস অন্তর পৌঁছে গেলে সেই অঞ্চলের মানুষের চিন্তাজগতের সাথে আমাদের চিন্তাজগতের যোগসূত্রটি ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। এই সমস্তকিছুই অত্যন্ত শ্রমসাধ্য এবং ব্যয়সাধ্য। এবং যেহেতু শ্রম দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের প্রত্যেকেরই সীমিত ফলে ব্যয় করার মতো অর্থ যাতে থাকে সেটা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। আর সেটা নিশ্চিত করার শ্রেষ্ঠতম উপায় হলো সংগঠনের সদস্যদের নির্মিত শর্ট ফিল্ম বা তথ্যচিত্রগুলিকে লাভজনক কন্টেন্ট হিসেবে সফলভাবে ব্যবহার করা। এই লাভের অংক নির্মাতা এবং সংগঠনের মধ্যে ৬০-৪০ হিসেবে ভাগ হবে নাকি ৭০-৩০ সেই নিয়ে স্বচ্ছ আলোচনা হওয়াও জরুরি। আমার ব্যক্তিগত মত, সামগ্রিক লাভ, একটা নির্দিষ্ট অংশ সংগঠনের জন্য রেখে দেওয়ার পর, ডেটাবেসে থাকা প্রত্যেকটি ছবির মধ্যে সমানভাবে বন্টিত হওয়া উচিত। এরকম মতপোষণের কারণ নিচে ব্যাখ্যা করছি।

    ৫) ধরা যাক, আইএফসি বর্ধমানে তিনদিন পরপর শর্ট ফিল্ম দেখানোর কথা ঠিক করেছে। সময় সন্ধে ৬টা থেকে ৯টা। অর্থাৎ প্রতিদিন তিনঘন্টা করে। তাহলে তিনদিনে হলো ৯ ঘন্টা। এবার ধরে নেওয়া যাক, আইএফসি-র হাতে যে ছবিগুলি রয়েছে সেগুলির গড় দৈর্ঘ্য আধঘন্টা করে। তাহলে বলা যেতে পারে যে, ওই তিনদিন আইএফসি কমবেশি মোট ১৮টা ছবি দেখিয়ে উঠতে পারবে। এর অর্থ, আসলে অনেকগুলো ছবিই দেখিয়ে উঠতে পারবে না। অবশ্যই কোন ছবি দেখানো হবে আর কোনটা হবে না সেটা কমিটির সিদ্ধান্তের উপর এবং অবশ্যই কমিটি ছবির গুণমান এবং যে অঞ্চলে ছবিগুলি দেখানো হচ্ছে সেখানকার প্রত্যাশিত দর্শককূলের প্রত্যাশা ইত্যাদি ব্যাপারগুলোকে মাথায় রেখেই ছবি নির্বাচন করবে। এবার বর্ধমানে ১৮টা ছবি দেখানো হলো, মালদায় ১৮টা এবং তারপর হয়তো কাঁথিতে ১৮টা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আলাদা আলাদা ছবিই দেখানো হলো, দু-একটা প্রকৃতই না দেখালেই নয় গোত্রীয় ভালো ছবি রিপিট করা ছাড়া। তারপরও হয়তো কিছু ছবি বাদ পরে যাবে। এটাই স্বাভাবিক। এবার প্রত্যেকেই সংগঠনের সদস্য। প্রত্যেকেই সদস্যপদের জন্য বার্ষিক চাঁদা দিয়েছে। তারপরও তিনদফা শেষে যাদের ছবি তখনও কোথাও জায়গা পেলো না তারা আর সদস্য থাকতে আগ্রহী থাকবে তো? --- ঠিক এই জন্যেই প্রত্যেকের সামগ্রিক লাভের উপর একটা ভাগ পাওয়া উচিত। কোথাও একটা প্রত্যেকের অধিকার সমান এবং প্রত্যেকে সমানভাবে উপকৃত হচ্ছে এই ব্যাপারটাকে এস্টাব্লিশ করার জন্য। অবশ্যই নির্মাতারা অন্যান্য সূত্রে ছবি থেকে যে উপার্জন করছেন সেটা এই হিসেবের বাইরে। আমি শুধুমাত্র আইএফসি-র সূত্রে আসা উপার্জনের কথা বলছি। সদস্যদের কাছে সংগঠনটির প্রয়োজনীয়তা থাকা প্রয়োজন। নাহলে সংগঠনের প্রতি সদস্যদেরও আলাদা করে কোনো দায় তৈরী হবে না।

    ৬) নন-প্রফিট সংগঠন কি ছবি দেখানোর জন্য টিকিট বিক্রি করতে পারে? টিকিট বিক্রি করলে কি নিয়মানুযায়ী কেবলমাত্র সেন্সর্ড ছবি দেখানোরই একটা বাধ্যবাধকতা চলে আসে না? আলোচনা প্রয়োজন।

    ৭) আইএফসি ধর্ম, জাতি বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কাউকে বিশেষ সুবিধাপ্রদান করবে না। এটা বোঝা গেলো। কিন্তু কোনো সদস্য যদি অপর কোনো সদস্যকে এইধরণের কোনো কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে সেক্ষেত্রে সংগঠনের ভূমিকা কি হবে সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা নেই। একটা ভূমিকা তো থাকতে হবে, নাকি? সেক্ষেত্রে আইন আইনের পথে চলবে জাতীয় কিছু বললে সেটা কিন্তু দায় এড়ানো হয়ে যাবে। স্পষ্ট করে জানানো দরকার যে কোন কোন ক্ষেত্রে একজন সদস্যকে বহিস্কার করা যেতে পারে। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির তফাতের জায়গা থেকে পারস্পরিক কামড়াকামড়িকে সংগঠন সমর্থন করে না সেটা বোঝা গেছে। কিন্তু তারপরও এরকম কোনো ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে সগঠন কি পদক্ষেপ নেবে সেটা কিন্তু বলা হয়নি। বলা উচিত। স্পষ্ট করেই বলা উচিত, না হলে পরে সমস্যায় পড়তে হবে। মানুষকে নিয়েই সংগঠন আর মানুষের স্বভাবগত চরিত্র সব মানুষেরই জানা আছে মনে হয়।

    ৮) পরিশেষে, বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে আমরা ছবি দেখাবো এটা খুব ভালো কথা। কিন্তু আমরা নিজেরা কি ছবি দেখবো, নাকি দেখবো না? মানে অন্যদের ছবি দেখিয়ে তাঁদের মনে আমরা যেমন একটা সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি সেরকমটা আমাদের সহসদস্যদের জন্যও করা উচিত নয় কি? তাতে আমাদের নিজেদের কাজের মান উন্নত হবে বলেই মনে হয়। তাছাড়া একসাথে ছবি দেখলে পারস্পরিক আলোচনা ও আদানপ্রদানের মধ্য দিয়ে সমস্ত সদস্যদের ফিল্ম সংক্রান্ত বোধ মোটামুটিভাবে একটা নির্দিষ্ট স্তরে আনা যেতে পারে। একসাথে কাজ করার জন্য সেটা বোধহয় কিছুটা দরকারও। নাহলে অচিরেই দেখা যাবে একজন হিব্রুতে কথা বলছে তো একজন ল্যাটিনে। সেটা মনে হয়না সংগঠনের পক্ষে খুব একটা আদর্শ পরিস্থিতি হবে বলে।

    প্রচুর লিখলাম। আগেই বলেছিলাম কমেন্টে ধরবে না। মনে হয় সবকটা পয়েন্টই ছুঁয়ে যেতে পেরেছি। না পেরে থাকলেও এখন আর মনে পড়ছে না। পরে মাথায় এলে যোগ করে দেব। ফেসবুকে সবই হারিয়ে যায়। তাই লেখাটা এখানে তুলে রাখলাম যাতে পরে প্রয়োজন পড়লে খুঁজে পেতে সুবিধা হয়। আজকের মতো এখানেই শেষ। আপাতত।
    প্রসঙ্গত, আমার প্রস্তাবিত নামটি গণভোটে জয়লাভ করায় আমি যারপরনাই আনন্দিত ! :)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ মে ২০১৮ | ১৫৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বঙ্গসন্তান | 120.227.88.80 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০২:৪৬62740
  • এই সংগঠনটি কোথায় অবস্থিত ? আগে যখন ফিল্মে ছবি হত তখন এত কিছু ছিল না । এখন ডিজিটাল ছবি হয়, যার ফলে ঘরে ঘরে "ফিল্মমেকার " এর জন্ম
    নিচ্ছে। তারা প্রতিভায় কেউ সত্যজিত , কেউ বা ঋত্বিক ।বাজারে চলতি যা সিনেমা হয় সেগুলোর থেকে তারা ভালো ছবি বানায় বলে দাবী করে , তবে সে সব কবে রিলিজ হয় কে দেখে জানিনা । পয়সা দিয়ে ছবি যদি বানাতে হয় তবে মাগনা কেন দেখাবে ? গিল্ড এর নিয়মকানুনকে পাত্তা দেবে না, আর নিয়মের বাইরে কিছু করলে আপত্তি করলে সেটা হয়ে যায় " দাদাগিরি "।
    " স্বাধীন চলচ্চিত্রকার " এর মানেটা বোঝাবেন ?
  • Anamitra Roy | 125.187.48.116 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৩:৪৫62741
  • @ বঙ্গসন্তান,
    না, বোঝাবোনা। কি করেই বা বোঝাবো? লেখক মৃত, জানেন না? পাঠককেই চেষ্টা করতে হবে বোঝার। অথবা না করলেও চলে। পাঠকের ওপর।

    @পাই দি, ফেবু গ্ৰুপে আসবে? ব্যাপারস্যাপার দেখে দু-একটা মতামত রাখলে আমাদেরও সুবিধা হবে নিজেদের পদক্ষেপগুলো মাপতে।

    @T দা/দি, ওটা যে বড্ড দামী হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে অত সাধ্য কই !
  • বোয়াল(র) | 132.166.141.237 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৩:৫৫62742
  • 'এখন ডিজিটাল ছবি হয়, যার ফলে ঘরে ঘরে "ফিল্মমেকার " এর জন্ম নিচ্ছে' - এ তো খুবই ভালো কথা। জ্ঞান, শিল্পচর্চা যত ছড়িয়ে পড়ে ততই ভালো। ঘরে ঘরে লেখক জন্মে গোলমাল করবে ভেবে শিলালিপিতে আটকে থাকলে মহা মুশকিল হতো।

    টেকনোলোজি বনাম কনভেনশনাল পদ্ধতি - টেকনোলজি শস্তা হওয়ার কথা না? জানিনা অবশ্য। তবে সিজিআই ইত্যাদি বিদেশের ছোকরারা যেমন এবং যদ্দিন ধরে ব্যাবহার করে সেই তুলনায় আমাদের এখানে সুযোগ, এক্সপোজার কম।
  • Anamitra Roy | 125.187.48.116 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৪:০২62743
  • সিজিআই এর ব্যবহার এই মুহূর্তে যথেষ্টই রয়েছে ভারতবর্ষে। কিঞ্চিৎ খরচসাপেক্ষ হওয়ার ফলে কম বাজেটের ছবিতে তার ব্যবহার কম। তবে ব্যাকড্রপ থেকে লাইটিং সবই সিজিআই করতে গেলে যেটা দাঁড়ায়, সেই ব্যাপারটাকে বলা হয় থ্রিডি জেনেরালিজম। ওটা ঠিকঠাক ভাবে করা বেশ চাপের। ফ্রি সফটওয়্যার আদেও আছে কিনা জানিনা। তবে থেকে থাকলেও এই পদ্ধতিতে যে পরিমান সময় এবং শ্রম লাগবে একটা ১৫ মিনিটের ছবি বানাতে তার থেকে শুটিং করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে হয়।
  • π | 24.139.221.129 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৪:১৫62744
  • কোন ফেসবুক গ্রুপ ?
  • Anamitra Roy | 125.187.48.116 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৪:২০62745
  • @পাই দি, "Independent Film Council - স্বাধীন চলচ্চিত্র সংসদ" নামে একটা গ্ৰুপ আছে। আসবে?
  • ঈশান পাধ্যায়া | 57.29.48.100 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৫:২৯62746
  • বিকল্প কিংবা ধর্মশালা ফিল্মফেস্টিভ্যালের একটি মডেল আছে। আমার মনে হয় অনমিত্র'দা এ ব্যাপারে তুমি খবর রাখো।তো সেই ফরম্যাট দুটো একটু নাড়া চাড়া করে দেখলে ভালো হয় না। আর কোনও ভাবে কি কো অপারেটিভ বানানোর ভাবনা চিন্তা করা যায়? মানে সেটা শুধু ইনফরমেশন আসিমেট্রিক এর দিক থেকে নয়। ফিন্যান্সিয়াল দিক থেকেও। যেখানে একটা সেলফ হেল্প মডেলে কাজ হবে। বোধহয় সেটা এক্ষেত্রে খুব নিরীক্ষ্ণ যোগ্য ব্যাপার হবে। আর স্থানীয় যে সাংস্কৃতিক কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলি আছে, যেমন- কলেজ, নাট্য চর্চা কেন্দ্র, লিটিল ম্যাগাজিন তাদের সাথে যোগাযোগ করে একটা সমান্তরাল নেটওয়ার্ক বানানোও বোধহয় প্রয়োজন এ ধরণের উদ্যোগর সফল নির্বাহের জন্য। তাতে পুরোন মফঃস্বলের ফিল্ম সোসাইটিও যোগ হতে পারে।
    শেষক্ত ব্যক্তিগত ভাবে কাউন্সিল শব্দ টি আমার না-পসন্দ এটার যায়গায়, ফেডারেশন কিংবা অন্য কিছু ব্যবহৃত হলে ভালো লাগবে ।
  • Anamitra Roy | 125.187.48.116 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৫:৪২62747
  • ঈশান, তুমি গ্ৰুপে আছো না? ওখানে একটু লেখো না। আলোচনাগুলো হওয়া খুব জরুরি।
  • Anamitra Roy | 125.187.48.116 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ০৫:৪৫62748
  • সংসদ-এর ইংরিজি করে কাউন্সিল রাখা হয়েছে। নাম নির্বাচন হয়ে গেছে যদিও, একবার বলে দেখতে পারো।
  • T | 113.211.20.203 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ১০:২৩62738
  • উদ্যোগ ভালই, এইসব উদ্যোগে যদি কিছু ভালো ছবি তৈরী হয় তো আরো ভালো।

    এবারে একটা কথা বলি। দ্যাখেন, ভবিষ্যতে সমস্ত ছবিই কম্প্যুটারে তৈরী হবে। সমস্ত ক্যারেকটার, সিন এনভায়রনমেন্ট লাইটিং সবই। সায়েবরা এইভাবে অনেক দূর এগিয়ে গ্যাচে। আপনারা যদি এইপথে এখন থেকেই পা বাড়ান তো ভালো হয়। লজিস্টিক্সের প্রচুর সমস্যা এমনিই মিটে যায়। সেট, ব্যস্ত রাস্তায় পুলিশের অনুমতি নিয়ে শ্যুটিং, ক্যামেরার খচ্চা ইত্যাদি নানান ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সিজিয়াই এর জন্য গুচ্ছ সফটওয়ার মার্কেটে নেমে গেছে যেগুলো ফ্রি। অ্যানিমেটেড ক্যারেকটার অলরেডি আনক্যানি ভ্যালিও পেরিয়ে গেছে। তো, ভেবে দেখতে পারেন। দামী টেকনোলজি নিজেরা বানাতে পারলেও আরাম।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৬ মে ২০১৮ ১১:২৬62739
  • এতো বেশ ভাল উদ্যোগ। প্রশ্নগুলো নিয়েও আলোচনা হলে ভাল হয়।

    এই জায়গাটা বুঝলাম না।
    'টিকিট বিক্রি করলে কি নিয়মানুযায়ী কেবলমাত্র সেন্সর্ড ছবি দেখানোরই একটা বাধ্যবাধকতা চলে আসে না?'

    এটা কেন ?

    প্রফিট , নন প্রফিটের জায়গাটা নিয়েও আরেকটু বিস্তারিত হোক।
    ক্রাউড্ফান্ডিং করে টাকা তুললে বিনামূল্যে দেখানো গেলে ভাল, কিন্তু এটাও তো করা যায় যে বাধ্যতামূলক টিকিট না রেখে , ভলান্টারি কন্ট্রিবিউশ্ন করা যায়। বিদেশে স্মিথসোনিয়ানের মত ফ্রি মিউজিয়ামে যেমন দেখেছি। অনেক ডোনেশন আসে কিন্তু। এক অর্থে দেখতে গেলে সেটাও ক্রাউডফান্ডিং ই হয়ে গেল, পরের প্রোজেক্টের জন্য। আর কথা হল, যারা এগুলো করবে তাদের মধ্যে যারা চাইবে, ফুল টাইম এটাই করে অন্ন সংস্থান করতে পারার মত সাসটেইনেবল ব্যাপারও তো হওয়া দরকার। তো, সাসটেইনেবল মানেই প্রফিটেবল এমনটাও নয়। প্রফিট হলে সেটাকে কীভাবে কোন কাজে , মানে প্রচার ইত্যাদি দেওয়া যায়, সেও দেখা যায়।

    আর হ্যাঁ, এটা মিস করলাম হয়তো, ইউটিউবে তোলা হবে তো ? সেখনেও বোধহয় ভলান্টারি কন্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থা রাখা যায়।

    ওয়েব সিরিজের গল্প জানিনা, সেখানে কিছু রাখা যায় কিনা, কী পদ্ধতি।
  • বঙ্গসন্তান | 132.163.106.246 (*) | ৩০ মে ২০১৮ ০৬:৫৮62749
  • কলকাতায় এই সব শো হয় ?
  • Ishan | 2390012.189.892312.15 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ০৪:৫১62756
  • আমি ওয়াচমেকার দেখি নাই। দেবের নাচ দেখেছি। খোকাবাবু যায়। লালজুতো পায়। বড় বড় দিদিরা সব উঁকি মেরে যায়। বেশ বাজে লেগেছে। পপুলার জিনিস বলে নয়, ইনোভেটিভ কিছু নেই বলে। ওয়াচমেকারও হয়তো খারাপ লাগত। দেখিনি বলে বলতে পারিনা।

    কিন্তু সেইটা পয়েন্ট নয়। পয়েন্ট হল, শুধু বিগ বাজেটেই কেন বাজে ফিলিম হবে? ফিলিম মানেই কেন স্টার সিস্টেম, ঘ্যামা প্রোডিউসার, নামী পরিচালক? পাড়ার রামশ্যামরাও বানাক। খারাপ হলে গাল খাবে, বলা হবে, ইশকুল ম্যাগাজিনের লেভেলের হয়েছে। ভালো হয়ে ক্ল্যাপক্ল্যাপ। কিন্তু সবাই বানাক। বিগ বাজেটের মনোপলি গোল্লায় যাক।
  • কল্লোল | 670112.203.017812.33 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ০৪:৫৪62757
  • ব্যাঙ্গালোরে সুচিত্রা ফিল্ম সোসাইটিতে প্রচুর শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল দেখেছি পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে। একটা কথা, যে কাগজটা দেওয়া হয়েছিলো সেটা টিকিট না "ডোনার পাস" সেটা আর খেয়াল করিনি। তবে সব ছবিই আনসেন্সার্ড।
  • বঙ্গসন্তান | 232312.163.4534.30 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ০৫:০৮62751
  • এই ধরনের সিনেমা আমার দেখার সুযোগ হয় । কলকাতায় বসে আমি আমন্ত্রণ পাই । সিনেমা, তথ্যচিত্র বা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি । সব দেখি । ছবি দেখানোর আগে যারা বানায় তারা বক্তৃতা দেয় । অনেক কষ্ট করে বানায় বলে লোকের সিম্পেথি আদায় করবে । "পথের পাঁচালী " র সঙ্গে তুলনা করে নিজেকে সত্যজিত রায়ের সমগোত্রীয় বলে দাবি করবে । এর পর আসে ছবি দেখার পালা। দেখলাম সুমন মজুমদারের " অদেদ ্লৌদ " । ছবিটা যে দান খয়রাতের উপর বানানো সেটি টাইটেল কার্ডে ফলাও করে প্রচার করেছে। দেখলাম, আমি প্রয়োজক হলে এই ছবি বানাতাম না । এত বাজে ছবি কি করেছে বানায়? আবার আশা করে প্রযোজকরা টাকার থলি নিয়ে লাইন দেবে ? আমি অনেক ছবি দেখেছি। প্রায় ৯০% ছবি বসে দেখার যোগ্য নয় ।
  • বঙ্গসন্তান | 232312.163.4534.30 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ০৫:১৬62752
  • সুমন মজুমদারের ছবির নাম " ফেডেড ক্লাউড "
  • Anamitra Roy | 671212.206.342323.20 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৩০62758
  • ফিল্ম সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন থাকলে আনসেন্সর্ড ছবি দেখানো যায়, এবং টিকিটের ব্যবস্থাও রাখা যায় বলে জানা গেছে। আমরা সেই দিকেই এগোচ্ছি আপাতত।
  • Anamitra Roy | 2345.110.783412.160 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ১০:১৮62753
  • হ্যাঁ, ফেডেড ক্লাউড-এর নাম শুনেছি, পোস্টার দেখেছি। ছবিটা এখনও দেখার সুযোগ হয়নি। সুমন মজুমদার আমার এক বন্ধু-র পরিচিত, হতেই পারে উনি খুব খারাপ একটা সিনেমা বানিয়েছেন, না দেখে মন্তব্য করবো না। আপনি প্রযোজক হলে এই ছবি কেন, আরও অনেক ছবিই হয়তো বানাতেন না। প্রযোজকরা সব ছবি বানায় না। প্রদর্শকরাও সব ছবি দেখায় না। সেই জন্যেই পরিচালকদের নিজেদের দায়িত্ব নিজেরা নেওয়াই ভালো। আর আমরা ঠিক সেই চেষ্টাই করছি। :)

    স্বাধীন চলচ্চিত্রকারদের নির্মিত ৯০% ছবিই বসে দেখার যোগ্য নয়। একদম সঠিক। আমিও তাই মনে করি।সমর্থন জানালাম। এবং আমার মতে উল্টোদিকে আবার ইন্ডাস্ট্রিতে নির্মিত ৯৯% ছবিই বসে, দাঁড়িয়ে বা শুয়ে কোনোভাবেই দেখার যোগ্য নয়। আপনি অমত হতেই পারেন। আপনার ব্যাপার।

    তবে, শুধু তথ্যের সুবাদেই জানিয়ে রাখি, "ফেডেড ক্লাউড" আইএফসি-র কোনো অনুষ্ঠানে আপনি দেখেননি । সুমন মজুমদার সরাসরিভাবে এই সংগঠনের সাথে যুক্তও নন, এখনও অবধি। ভবিষ্যতে যুক্ত হলে জানাবো নিশ্চয়ই। :)
  • বঙ্গসন্তান | 232312.163.4534.30 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ১১:৪৮62754
  • ইন্ডাস্ট্রির ১০০% ছবি আপনিও দেখেন না। আমিও দেখি না । তবে বর্তমান বুদ্ধিদীপ্ত বাংলা ছবির অনেক নীচে । সেই তুলনায় অন্য রাজ্যের ছবি ভালো। আর যারা স্বাধীন চলচ্চিত্রকার তাদের ইন্ডাস্ট্রির ছবির উপর ভীষণ রাগ । তাই "সব খারাপ, আমরা ভালো "।
    আমি তো সিনেমা গুলো দেখি। ভীষন খারাপ । অনিন্দ্য ব্যানার্জির " ওয়াচমেকার " দেখলাম । ভীষণ খারাপ ।
  • Anamitra Roy | 2345.110.783412.160 (*) | ১৭ আগস্ট ২০১৮ ১২:২৭62755
  • কোথায় রাগ। বেশিরভাগেরই তো অভিমান। অনেকেই সুযোগ পেলে নিজেরাই সৃজিত-কমলেশ্বর হবে। দিব্যি কাজ করছে এখানে ওখানে তারা পেট চালানোর জন্য। রাগ মাত্র কয়েকজনের। কেউ কেউ আবার আমার মতো, পাত্তাই দেয় না ওসবে। ওই কাঙাল মালসাটে নবারুণ মজা পরা শিম্পাঞ্জির নাচ নিয়ে যা লিখেছিলেন আর কি, সেরকম ব্যাপার। অন্য রাজ্যের ছবিও যে খুব ভালো তা নয়। বেশিরভাগ কন্টেন্টই খারাপ আসলে। তবে কিনা "ওয়াচমেকার" (দেখিনি) আর দেবের নাচ (দেখিনা) -এর মধ্যে তো আমি অন্তত "ওয়াচমেকার"-ই দেখবো। দুটো দর্শক পেলে দুটো পয়সা যদি আসে পরের ছবিটা যে বেটার হবে না কে বলতে পারে?
  • সিকি | 670112.215.1245.234 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৫:০৬62761
  • অর্ফিউস মুখুটি? নামটা চেনা চেনা লাগছে! জলুতে আমার এক বছরের জুনিয়ার এক তীব্র আঁতেল ছানা ছিল এই নামে। সে পুলোভার বানাচ্ছে?
  • pi | 2345.110.9004512.30 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৫:৪২62762
  • জেউর জুনিয়র ছিল। যদ্দুর মনে পড়ে উত্তরবঙ্গেরই। বাংলা লিখত বলত বেশ আর বেশ পাগলা ছিল।
  • বঙ্গসন্তান | 127812.79.90089.95 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৩৯62759
  • দান খয়রাতের টাকায় ছবি করে সবাইকে নেমন্তন্ন করে সে ছবি দেখানো হয়। তারপর মঞ্চে উঠে বক্তৃতা । প্রথমেই বলবে কি করে টাকা জোগাড় করার করুণ কাহিনী । লোকের সিম্পেথি আদায় করবে । " পথের পাঁচালী " র প্রসঙ্গ টানবে । সরকারী সাহায্য পেলে তারাও হতে পারতেন সত্যজিৎ রায় । এসবের মধ্যে তেমন দোষের বলে মনে হয় না । দোষ হয় নিজের গায়ের ঝালটা মেটাবে ইন্ডাস্ট্রির " ফিল্মমেকার "দের উপর । ওরা যা বানায় সব খারাপ । তেমন টাকাওয়ালা মুরগি পেলে ঐ সব " ফিল্মমেকার " দের ইন্ডাস্ট্রি থেকে মুছে দিতে পারতেন । এই সব ছবির ৯৯% ছবি কোন ভাবেই দেখা যায় না, সেটা বার বার দাবী করবে । এর চেয়ে আমার কাছে কুরুচিকর লাগে বিশেষ ব্যক্তিকে ক্রমাগত হ্যাটা করে যায় । এটাও গায়ের ঝাল মেটাবার উপায় । দেব ভালো অভিনেতা কি খারাপ? ভালো নাচে কি খারাপ? সেটাও বলছি না । কিন্তু যারা খুশি গালাগালি দিলে দোষ কি ? ফাঁসি তো হবে না?
  • বঙ্গসন্তান | 127812.79.90089.95 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৪১62760
  • অরফিউজ মুখোটির " আকাশী পুলোভার " দেখলাম । তবে খারাপ না ।
  • Anamitra Roy | 671212.206.342323.20 (*) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ ০৭:৩৮62763
  • @বঙ্গসন্তান, ৯৯% ছবি খারাপটা আমি বলেছি। ওটা সবাই বারবার দাবী করে এরকমটা একেবারেই নয়। নিতান্তই ব্যক্তিগত মত। অনেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজও করে। আর বাই দা ওয়ে, দেব হ্যাটা হওয়ারই যোগ্য। ওটা ইউনিভার্সাল ট্রুথ। গায়ের ঝাল মেটানোর কিছু নেই এর মধ্যে। "সূর্য পূর্বদিকে ওঠে" বলে গায়ের ঝাল মেটানো যায় না। তবে গায়ের ঝাল-এর কথা যখন আসছেই তখন এটা বলে রাখা ভালো যে ওই ব্যাপারটা যারা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে নাম বা টাকাপয়সা কামাতে চায় তাদের ক্ষেত্রে হয়তো সত্যি হলেও হতে পারে। অনেকেই সেটা চায় না বা সুযোগ থাকলেও যায় না। তাদের ক্ষেত্রে গায়ের ঝালের তত্বটা মনে হয় না কাজ করবে বলে। আর হোয়াটেভার, যার যা খুশি করুক না, আপনার এতো আপত্তি হচ্ছে কেন? ইগনোর করতে পারেন তো, ওই "মোজা পরা শিম্পাঞ্জি" ভেবে। মূল লেখাটার সাথে আপনার পরের দিকের মন্তব্যগুলোর কোনো কানেকশন দেখছি না। কিরকম একটা আপনিই বরং গায়ের ঝাল মেটাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। যাই হোক, বারবার কমেন্ট করে উপরে তুলে দিচ্ছেন এটা বেশ ভালোই লাগছে। থ্যাংকিউ!

    পুনরায়, "আকাশী পুলোভার"-ও দেখিনি।
  • বঙ্গসন্তান | 011212.227.2389.177 (*) | ২০ আগস্ট ২০১৮ ০৪:৪০62764
  • আপনি কে বলুন তো? দেব কে নায়ক করার জন্য আঁতেল পরিচালকরা হেদিয়ে মরে । আর আপনি কিনা নতুন সংবিধান লিখছেন । আর দান খয়রাতের যে সব ছবি নাম করি সেগুলো কোনটাই দেখেননি । অঞ্জন দাসের ছেলে একটা ছবি করেছিল , নামটা মনে পড়ছে না । শ্রীলেখা মুখার্জি প্রধান চরিত্রে ছিলেন । খুব বাজে লেগেছিল।
  • pi | 2345.110.894512.98 (*) | ২০ আগস্ট ২০১৮ ০৬:৩৮62765
  • ওঃ, ঠিকই বুঝেছি। ইনিই ঐ বান্গ্লা খিস্তি আড্ডা নিকেও লিখে চলেছেন।
  • বঙ্গসন্তান | 011212.227.2389.177 (*) | ২০ আগস্ট ২০১৮ ০৭:১৩62766
  • অনমিত্রবাবু,
    আপনারা কি কি ছবি করেছেন, কোথায় দেখানো হয় জানাবেন। দেখব ।
    নিজেদের ছবির কথা না বলে দেব কে খিস্তি দিতে শুরু করলেন । সবাই দেয় বলে?
  • Anamitra Roy | 561212.187.8945.210 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৮ ১০:২৭62767
  • @বঙ্গসন্তান, আমার পরিচয় পাওয়া খুব একটা কঠিন নয়। সেরকমভাবে বললে আমি না হয় নিজেমুখেই দিয়ে দেবো। তবে আপনি কষ্ট করে খুঁজে নিলে আমার ইগোপুষ্টি হতো, বুঝলেন কিনা? :D

    যে সব আঁতেল পরিচালকরা দেবের জন্য হেদিয়ে মরে তাদের আঁতলামিতে খাদ আছে জানবেন। বড্ড সস্তাভাবে ব্যবহার হয় আজকাল শব্দটা। আগেকার দিনে আঁতেল হতে গেলেও শুনেছি নাকি মেহনত লাগতো। আপনি যেসব ছবির নাম করেছেন তার কোনোটাই দেখিনি কারণ দেখা হয়নি। প্রচুর কাজ হয়, বুঝলেন কিনা, সব তো আর দেখা সম্ভব নয়, যেটা যেরকম সামনে আসে দেখে ফেলি। আমাদের ছবি দেখতে গেলে এই কমেন্ট থ্রেড-এই দেখুন IFC-র ফেসবুক গ্রূপের লিংক দেওয়া আছে। ওখানে চলে আসুন। ওখানে আমাদের সমস্ত ইভেন্ট শেয়ার করা হয়। যেকোনো একটায় চলে এলেই হলো। চাইলে জেনারেল মিটিং-এও আসতে পারেন। তারপর আলোচনা করা যাবে নিশ্চয়ই।
    আর মশাই, দেবকে আমি খিস্তি করিনি মোটেও। একটাও খিস্তি করিনি। কিঞ্চিৎ হ্যাটা করেছি মাত্র। ওটা ওনার প্রাপ্যই। আপনি ব্যক্তিবিশেষকে আক্রমণ করার রেওয়াজের কথা বললেন তা আমার ওই ব্যক্তিকেই সবচেয়ে আক্রান্ত মনে হলো। সেজন্যেই ওনার উদাহরণ টেনে আনলাম। নিজেদের ছবির কথা তো সব জায়গাতেই বলছি। সে আবার আলাদা করে কি বলবো! নিজেদের বলতে যেকোনো স্বাধীন চলচ্চিত্রকারের স্বাধীনভাবে বানানো ছবিকেই ভালো খারাপ নির্বিশেষে "নিজেদের" বলতে রাজি আছি। কারণ নিজেদেরটা ঠিক ঐভাবে বলা মুশকিল। ধরুন কোর কমিটিতে ৯ জন আছে। তাহলে তাদের বানানো ছবিগুলি কে কি নিজেদের বলবো? তাহলে ওয়ার্কিং কমিটির ছেলেরা কি দোষ করলো ? আবার ধরুন যদি ওয়ার্কিং কমিটি আর কোর কমিটিতে যারা রয়েছে তাদের ছবিগুলোকে যদি নিজেদের ছবি বলি তাহলে আমাদের ডেটা ব্যাংকে ভরসা করে যে দেড়শতাধিক ছবি জমা করেছেন নানান মানুষ তাঁদেরকে পর বলতে হয়। সেও কি সম্ভব? :)

    অঞ্জন দাস বলতে "ফালতু" বানিয়েছিলেন যিনি? তাঁর ছেলে একটি ফালতু ছবি বানিয়েছেন বলছেন? হবে হয়তো! সেটাও দেখিনি বলেই মনে হয়! :D

    আর সংবিধান তো আমি চিরকালই নতুন করেই লিখি। সেই যবে ১৮ বছর বয়স হলো, তবে থেকেই। আমার পরিচয় খুঁজে পেয়ে গেলেই বুঝতে পারতেন। :D
    পুরোনো সংবিধান পছন্দ না হলে যে কারুরই সেটাই করার চেষ্টা করা উচিত মনে হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন