এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • পল্টন

    Binary লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ জুন ২০১৬ | ৯০৩ বার পঠিত
  • পোলিওমাইলাইটিসের এফেক্ট-টা পল্টনের শরীরে এমন কিছু মারাত্মক নয়। ছয়মাস বয়সে ওর পোলিও জ্বর হয়েছিলো সেটা বাবা-মা-দিদিমার মুখে অনেক শুনেছে। তারপরে সারা জীবনের জন্য অবশিষ্ট প্রভাব বলতে একটা কমজোরি আর দৈর্ঘ্যে সামান্য খাটো ডান পা। খুব ছোটবেলার স্কুল জীবনে খেলাধুলো প্রায় বন্ধ-ই ছিল পল্টনের। ঐ কমজোরি পায়ের জন্য। দশ-বারো বছর বয়সে , পালঙ্ক-আলু জীবনে অভস্ত্য হতে হতে শরীরের ওজন-ও বেড়ে গেছিলো সাধারণের চেয়ে অনেক গুন। শেষে ওর বাবা ওকে ধরে নিয়ে গিয়ে , পাড়ার 'স্বাস্থ্য ও শক্তি' ব্যায়ামাগারে ভর্তি করে দেয়। সেখানে ফি-বছর নিয়মিত শরীর চর্চা করে হাতের পেশী তাগড়াই হয় আর হীনমন্যতা কিছুটা ছাঁটাই হয়। কিন্তু হাঁটাহাঁটি, দৌড়াদৌড়ি, ডিগবাজি, পার্কেরমাঠে লোহার বাটাম ধরে ঝোলাঝুলি আর কসরতের মৌরসিপাট্টা থেকে চিরদিন-ই ও ব্যাকফুটে।

    পড়াশোনাতেও আগমার্কা ভালোছেলে কোনোদিন-ই ছিল না পল্টন। পোলিওমাইলাইটিস না হলে কি হত , সেটা জানে না পল্টন , কিন্তু এখন ওর সমস্তটাই মাঝারি। মাঝারি দেখতে , মাঝারি গায়ের রং , মাঝারি উচ্চতা , মাঝারি লেখাপড়া। উচ্চমাধ্যমিকে মাঝারি ফল করে , কলকাতার মোটামুটি ভালো কলেজে , মাঝারি মাপের একটা বিষয় নিয়ে পড়তে শুরু করেছিল যখন, তখন ওর বয়স উনিশ। ছয়মাস বয়সে পোলিও হওয়া ছেলের অনুকম্পিত মা-বাবা , বিরাট কিছু সফল জজ-ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার জন্য চাপ দেয় নি পল্টন কে। সহ-শিক্ষা কলেজে পড়তে শুরু করে , পল্টন আবিষ্কার করে মেয়েদের সাথে মেশামেশিতে , ও মাঝারি-ও নয় , অনেক পিছিয়ে পড়া। ডানপায়ের পেশীর কমজোরি হীনমন্যতা-ই সেখানে মুখ্য। দরকার ছিল না হয়তো। ঊনবিংশ শতকের কলেজেপড়া উজ্জ্বল ছেলেমেয়েরা ওর শারীরিক দুর্বলতাকে পাত্তা-ই দিতো না অবশ্য। সমানে সমানে-ই ভাবতো ওকে। সহানুভূতি-র প্রশ্ন-ই নেই। কিন্তু তাও এই পিছিয়ে পড়া অনুভূতিটা ছিল ওর নিজস্ব। মনের ওপরে তো মনের-ও নিয়ন্ত্রণ থাকে না সব সময়।

    তো কলেজ-এ পড়তে , এক সহপাঠিনীর প্রেমে পড়েছিল পল্টন। যেরকম হয় আর কি। ছেলেটা প্রেমে পড়ল , কিন্তু সাহস করে মেয়েটা কে বলতে পারলোনা কোনোদিন। অধিকাংশ কলেজতুতো প্রেম এরকম-ই হয়। ঠাট্টা করে যাকে , "পঞ্চাশ শতাংশ" প্রেম যাকে বলা হয়। এইখানে তফাৎ শুধু এটাই , যে পল্টন ওর সিগারেট গাঁজা (সেটাও অভ্যাস একটু হয়েছিল পাল্লায় পরে) ক্যান্টিনের হাফ চায়ের ইয়ার বন্ধুদের-ও সেটা বলে উঠতে পারেনি , যা কিনা যে কোনো "পঞ্চাশ শতাংশ" প্রেমে বাধ্যতামূলক। মেয়েটা রোগাটে , লম্বাটে , মিষ্টিমতো শান্তশিষ্ট মুখ। গাছ কোমরে আঁচল জড়িয়ে শাড়ি পড়তো। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ নিয়ে, মাথা নিচু করে যখন ক্লাসে ঢুকতো মেয়েটা , তখন থার্ড বেঞ্চে বসা পল্টন, বুকের প্রবল ঢিপঢিপ লুকোনোর ব্যর্থ চেষ্টায় খাবি খেত।

    মেয়েটার নাম-টাম জানিয়ে কেঁচে গন্ডুষ করে প্রেমের গল্প লেখা প্রয়োজন দেখিনে। পাঁচ বছরের গোটা কলেজ জীবনে সাধারণ ক্লাস-কমনরুম-অধ্যাপক-লাইব্রেরি ইত্যাদি কেজো কথা ছাড়া অন্যকোনো কথাই হয়নি মেয়েটার সঙ্গে। এমনকি হাবাগবা "কফি হাউস যাবি ?" এরকম কথা-ও নয়। কলেজ শেষ করার পরে , আর কোনোদিন দেখাও হয়নি দশ বছরে , কথা তো চন্দ্রলোকের ব্যাপার। পুরোপুরি কেটে গ্যাছে কালিদাসের কাল।

    তো , কলেজে পল্টনের কিছু বন্ধু-বান্ধবী ছিল যারা ট্রেকিং পাগলা। ছুটি ছাটায় , পুরুলিয়া , শুষনিয়া পাহাড় ছুটতো ট্রেক করতে , বা পাহাড়ে চড়তে। কমজোরি পা নিয়ে , এরকম ডানপিটেমি করা অবশ্য পল্টনের সাধ্যের বাইরে। তবে ট্রেকিং ব্যাপার-টা পল্টনের এড্রিনালিন গ্ল্যান্ডে সুড়সুড়ি দিয়েছে বহুদিন। সাধ আছে সাধ্য নেই এইরকম একটা অনুভূতি। অনেকটা ঐ "পঞ্চাশ শতাংশ" প্রেম-এর মতো। শুষনিয়া পাহাড় -এর নাম শুনলেই বুক ঢিপ ঢিপ।

    তো এই দুটো মন নাচানো অনুভূতির শেষ না দেখেই কলেজ শেষ করে পল্টন।

    ****
    প্রায় এক দশক বা তার-ও কিছু পরে পল্টন-এর এখনকার পশ্চিমী দেশে পশ্চিমী শহরে, জীবন নিরবিচ্ছিন্ন বহমান। ওর সামান্য ওই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এই দেশে নিমিত্ত মাত্র। কাজে , কাজের বাইরে , সামাজিক মেলা মেশায় , উত্সবে , দৈনন্দিন কাজে কর্মে উন্নত দেশের জীবনচর্যা-য় ওর ওই সামান্য কমজোরী পায়ের কথা মাঝে মাঝে মনেই পরে না। যেমন আর মনে নেই শুষনিয়া পাহাড় , আর গাছ কোমরে শাড়ি-র আঁচল গোঁজা , মিষ্টি মুখের মেয়েটা -কে।

    সেবার গ্রীষ্মে , ওদের সহকর্মীদের , ৬/৭ জনের একটা গ্রূপ , রকি পাহাড়ে ট্রেকিং-এ যাওয়ার লম্বা পরিকল্পনা তৈরী করে। এই প্রথম , পশ্চিমী এই দেশে , সহকর্মীরা এসে কিন্তু কিন্তু করে , শেষে , ওকে জিগ্গেস করেই ফ্যালে , যে ওর-ও ট্রেকিং-এ যাওয়ার উত্সাহ আছে কিনা। কিন্তু কিন্তু -টা অবশ্য-ই ওর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা-র জন্য-ই। আর পল্টন কোনো চিন্তা না করেই রাজি হয়ে যায় , হয়ত সেই অদৃশ্য সেই শুষনিয়া পাহাড়-এর সুতোর টানে

    ****
    "কুইন-স নেকলেস" পাহাড় চূড়া , নিচে-র 'ট্রেকার'স ইনফরমেশন সেন্টার' থেকে এক হাজার ফুট মত খাড়াই। ট্রেকিং-এর মাপকাঠি-তে এই উচ্চতা প্রায় বলতে গেলে কিছুই না। দুপুর বারোটায় , হেলমেট , ট্রেকিংস্টিক নি-ক্যাপ ইত্যাদি ট্রেকিং গিয়ার গায়ে চড়িয়ে যখন সুরু করে ওরা , তখন আকাশ মেঘলা। আগে থেকে তৈরীকরা ট্রেকিং স্ট্রিপ , পাহাড়ের গায়ে গায়ে। ছেলে, মেয়ে, বুড়ো, বাচ্ছা অসংখ্য ট্রেকার রাস্তায়। কেউ সঙ্গে চলেছে , কেউবা ফিরতি পথে। সকলেই , পরিচিত-অপরিচিত সহ যাত্রী-র সাথে হাসি ঠাট্টায় মশগুল। সমস্যা খালি , পল্টনের। এই প্রথম ও অনুভব করে , কমজোরী ডান-পা আর অনভ্যস্ত হাঁটাহাঁটিতে অল্পতেই ও অসম্ভব পরিশ্রান্ত। সঙ্গী ব্ন্ধু রা অবশ্য নিচেই অপেক্ষা করতে বলেছিল ওকে , কিন্তু না যাওয়ার জন্য-ও জোরাজুরি করে নি।

    পল্টন যখন এক হাজার ফুটের মাঝামাঝি , যখন ওর সঙ্গীরা ততক্ষনে , চূড়ায় পৌঁছে গেছে , তখন হঠাত করে পাহাড়ের গায়ে পাইন গাছে-র মাথা-য় সূর্য্য উঁকি মারে। একটা বড় পাথরের ওপর বসে প্রবল হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে জিরিয়ে নিতে নিতে পল্টনের হঠাত খুশি লাগা গরম অনুভব হয়। পাতলা জ্যাকেট খুলে ঘর্মাক্ত শরীরে , বাতাসের আদর স্পর্শ করে ও ।

    ***
    আরো , ঘন্টা দুয়েক পরে , কমজোরী পায়ে ওজন কম রেখে রেখে , ট্রেকিং স্টিকের ওপর ব্যালেন্স রেখে রেখে , চুড়ায় পৌছানোর কিছুক্ষন আগে , হঠাত পল্টন অনুভব করে , অনেকদিনের পুরনো একটা ভুলে যাওয়া সপ্ন , ফিরে আসছে শিরায় শিরায়।

    পাহাড়ের চুড়ায় একটা ভালবাসার অবয়ব। লম্বাটে মিষ্টি মুখ , গাছ কোমরে শাড়ির আঁচল গোঁজা। হয়ত সময়ের ঝরনায় ভরন্ত কোমরের বাঁক। দুহাত প্রসারিত। সেই উনিশ বছুরে , বুক ঢিপ ঢিপ করা পল্টন-কে অপাঙ্গে আলিঙ্গনের জন্য।

    ******
    কাঁদন-হাসির আলোছায়া সারা অলস বেলা–
    মেঘের গায়ে রঙের মায়া, খেলার পরে খেলা ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ জুন ২০১৬ | ৯০৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 84.90.234.227 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০১:৪৩55342
  • ভালো লাগলো খুব।
  • | 24.97.73.75 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৩:৩৫55343
  • হুঁ খুব ভালো।
  • Abhyu | 81.12.147.60 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৩:৫৩55344
  • বড্ডো ভালো।
  • Ela | 104.15.47.191 (*) | ২৫ জুন ২০১৬ ০৬:৩৬55345
  • বাঃ!

    কিন্তু 'অপাঙ্গে আলিঙ্গন' মানে কী?
  • ঝর্না | 24.97.103.64 (*) | ২৬ জুন ২০১৬ ০৩:০৫55346
  • সেদিন পড়ে গেছি। অসম্ভব ভালোলেগেছে।
  • Du | 183.74.36.153 (*) | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৩০55347
  • খুব ভালো লাগলো।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 (*) | ০৬ জুলাই ২০১৬ ১২:৫৩55348
  • বেশ ভাল লাগল। আচ্ছা "ঊনবিংশ শতকের কলেজেপড়া উজ্জ্বল ছেলেমেয়েরা ..." - এটাকি ইচ্ছে করে লেখা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন