এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তুঙ্গনাথ

    Manash Nath লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ মে ২০১৬ | ১১৩৯ বার পঠিত
  • আমাদের পৃথিবীতে ক্যালেন্ডারের হিসাবে দিন চলে মাস চলে ইয়ার এন্ডিং আসে চলে যায়। স্কুলে স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে। সরকারি বাবুরা উইকএন্ডে কবিগুরুর শান্তিনিকেতন যায়। আরেকটা পৃথিবী চলে চাঁদের হিসাবে। মাথার উপর ঝুলে থাকা বুড়ি চাঁদটার দিকে আমরা তাকিয়ে ওঠার অবসর না পেলেও সেই পৃথিবী চলে তার কমাবাড়ায়। চিৎ হয়ে পড়ে থাকা এই ভারতবর্ষের মাথার উপর সটান দাঁড়িয়ে থাকা হিমালয় ;কুমায়ুন আর গাড়োয়াল এই দুই পাহাড়ি এলাকা নিয়ে উত্তরাখণ্ড,যাকে সবাই বলে দেবভূমি।
    তা অক্ষয় তৃতীয়াতে চাঁদ যখন বাঁকা কাস্তের মত ধারালো হয়ে ওঠে তখন গাড়োয়াল এর পার্বত্যভূমিতে বরফের ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠে হিন্দুধর্ম বিশ্বাসীদের পবিত্র তীর্থ চারধাম। গঙ্গোত্রী, যমুনাত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ। জেগে ওঠে দেবাদিদেব মহাদেবের পঞ্চকেদার,যথা.... কেদারনাথ,মদমহেশ্বর, কল্পেশ্বর, রুদ্রনাথ আর তুঙ্গনাথ। এই পঞ্চকেদার নিয়ে একটা দারুণ গল্প আছে সেটা আগে বলে নি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর পান্ডবরা ঠিক করে তারা ভ্রাতৃহত্যার পাপ মোচন করতে শিবের পূজো করবে। সেই ইচ্ছায় তারা বারানসিতে গিয়ে হাজির হয়। কিন্তু শিব এই সব পাপীতাপীদের হাতে ধরা দিতে রাজি নয় তাই একটি ষাঁড়ের রূপ ধরে উত্তরাখন্ডের গুপ্তকাশীতে এসে বুগিয়ালের কচি কচি ঘাস খেতে লাগল। এদিকে পান্ডবরাও শিবকে খুঁজতে খুঁজতে উত্তরাখন্ডে এসে হাজির আর শিবও এ পাহাড় ও পাহাড়ে পালিয়ে বেড়াতে লাগলো; পিছনে পিছনে পান্ডবেরা। এখন যে পাঁচটি পাহাড়ে তারা ষাঁড় রূপী শিব কে ধরেও ধরতে পারে নি মানে কোথাও লেজ ধরেছে কোথাও শিঙ ধরেছে কোথাও ঠ্যাং ধরেছে কিন্তু শিব তবু পালিয়ে গিয়েছে সেই গুলিই হলো পঞ্চকেদার।তবে এই রকম পুরাণ মহাভারত মেশানো গল্প সারা উত্তরাখন্ডের পরতে পরতে। বিশ্বাসীর জন্য একরকম অবিশ্বাসীর জন্য আর একরকম।
    তবে চাঁদের হিসাব সবার জন্য সমান। দীর্ঘ পাঁচ ছয় মাস বরফের জন্য বন্ধ থাকার পর একে একে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে খুলতে শুরু করে উত্তরাখন্ডের মন্দির গুলো। তা এবারে আমরা পাঁচজন চতুর্থীর দিন হাজির হয়েছিলাম চোপ্তাতে, যেখান থেকে পঞ্চকেদারের সবচেয়ে উঁচু মন্দির তুঙ্গনাথের যাত্রা শুরু হয়। চোপ্তা একটা ছোট্ট গ্রাম এই তুঙ্গনাথ যাত্রা উপলক্ষে বেশ কয়েকটা দোকান সেখানে বসেছে, এছাড়া আছে কয়েকটা হোমস্টে ধরনের জায়গা।কটা খাওয়ার হোটেল।সন্ধ্যে নাগাদ গ্রীষ্মকালীন আস্তানা মুক্কুমঠ থেকে তুঙ্গনাথের ডোলি এসে হাজির হোল।ঢাক ঢোল কাঁড়া নাকাড়া বাজিয়ে পাহাড়ের তলা দিয়ে নাচতে নাচতে ডোলি উঠে এলো চোপ্তার খোলা চত্তরে। সেখানে তখন গোটা কয়েক টুরিস্ট এবং সরকারি গাড়ি। দুজনের কাঁধে একটি রুপোর পাল্কিতে রুপোর মুকুট পরে বাবা তুঙ্গনাথ। সেই দুজন গাড়োয়ালি যুবকের চোখ টকটকে লাল! বেশ বোঝা যাচ্ছে তারা একটা ঘোরে রয়েছে। সেই খোলা চত্তরে তুঙ্গনাথের ডোলি নিয়ে এলোপাথাড়ি ছুটতে ছুটতে তারা ঢাকের তালে তালে এক অদ্ভুত নাচ শুরু করলো!! নাচতে নাচতে তুঙ্গনাথের মুকুট পরা মাথা কোন কোন ভক্তের সামনে ঝুঁকে পড়ছিলো। সে সঙ্গে সঙ্গে আভূমিনত হয়ে আহ্লাদে আটখানা হয়ে পড়ছিলো। এই ভাবে চলতে চলতে হঠাৎ আগুপিছু করতে করতে তুঙ্গনাথের ডোলি একটি অস্থায়ী আস্তানায় ঢুকে গেলো। ঘোষনা হলো পরের দিন সকাল সাড়ে নটায় আবার ডোলি পাহাড়ের উপরে মন্দিরের দিকে রওনা হবে। ভক্তের দল এই ছোট মন্দিরটির সামনে বসে পড়ে শুরু করে দিলো গান। আমরা পাশের একটা চটিতে গিয়ে বসলাম। চটির মালিক মঙ্গল সিং।উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর হিমালয় এবং পঞ্চ কেদার বিষয়ক বইতেও এই চটির উল্লেখ পাওয়া যায়। ইনফ্যাক্ট উনিই প্রথম বাঙালিকে এই রুট চেনান। এই মঙ্গল সিংএর চটিতে একটি খাতা রাখা থাকত যেখানে দেশ বিদেশের পর্যটকরা নিজেদের মতামত লিখে রেখে যেতেন। উমাবাবুই এটা শুরু করেছিলেন। খাতাটি বর্তমানে মঙ্গল সিং এর গ্রামের বাড়িতে আছে। ওনার নাতিপুতিদের থেকে যা জানা গেলো।
    পরেরদিন সক্কালসক্কাল পাহাড়ে চড়া শুরু করলাম। খাড়াই পাথুরে পথ।রাস্তার দুপাশে আদিম জঙ্গল।পাথর এবং গাছের গায়ে চাপচাপ মস... স্যাঁতস্যাঁতে ভিজে আর পাতা পরে পরে স্তুপ হয়ে আছে।পা দিয়ে পাতা সরালে তলায় জমা বরফ বেরয়ে পড়ছে! আমাদের সাথে একপাল গরুও চলতে শুরু করল!! প্রথমে ওদের দেখে ভয় করলেও একটু গলায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিতেই ওরা পাহাড়ি বাঁকগুলোতে আমাদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। আমরা হাঁফাতে হাঁফাতে জিরোতে জিরোতে হাঁটতে লাগলাম। একটু উপর থেকেই ঘন সবুজ বুগিয়াল। গরুগুলো ঘাস খেতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো আমরা চড়তে থাকলাম।রাস্তার দুপাশে বরফ পড়ে আছে। আগের দিন রাতে শীলাবৃষ্টি হয়েছে। আজকেই মন্দিরের দরজা খুলবে দীর্ঘদিন বাদে। প্রচুর স্থানীয় মানুষ ও চলেছে। কেউ পুজো দেবে কেউ উপরে দোকান দেবে। ৮২ বছর বয়েসী পুরোহিত ও চলেছেন হাতে লাঠি নিয়ে,সদ্য প্রস্টেট অপারেশন করেছেন!! তিনি অবশ্য জঙ্গলের রাস্তা ধরে আমাদের অনেক আগেই পৌছে গেলেন। রাস্তার পাশের এক অস্থায়ী চটিতে গুরাস ফুলের রস বিক্রি হচ্ছে। সেখানে বোস ইন্সটিটিউট এর সাইন্টিস্ট প্রফেসার গৌতম বসুর সাথে দেখা হয়ে গেলো। বাঙালি সর্বত্রগামী! কখনো সাঁ সাঁ হাওয়া, মেঘ এসে দুহাত দুরের লোককে চেনা যাচ্ছে না। কখনো ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর। মন্দির চত্তরে পৌছে দেখতে পেলাম নিচে সবুজ বুগিয়াল দিয়ে নাচতে নাচতে উঠে আসছে তুঙ্গনাথের ডোলি। রোদ্দুরে ঝকমক করছে রূপোর মুকুট। বয়স্ক মহিলারা গাড়োয়ালি ভাষায় গান ধরেছেন। জটাজুটধারী প্রকান্ড চেহারার এক সাধুবাবা একহাতে ত্রিশুল আর এক হাতে ডমরু বাজিয়ে ঘুরে ঘুরে নেচে চলেছেন!! জয় বাবা তুঙ্গনাথ!!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ মে ২০১৬ | ১১৩৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    মার - Manash Nath
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prativa Sarker | 11.39.38.19 (*) | ২৬ মে ২০১৬ ০৯:৫৬54680
  • লেখাটার প্রধান গুণ হচ্ছে এর চিত্রময়তা। নানান ছবি নানা বাঁকে। যেন পুরো সফরটাই সঙ্গী হলাম। "মানস" ভ্রমণ !
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৬ মে ২০১৬ ১১:৩৩54681
  • বাঃ তারপর?

    উমাপ্রসাদের পাঁচ খন্ডের ভ্রমন অমনিবাস নাহোক ২৫ বার পড়েছি। কি যে আকর্ষণ ওঁর লেখার।

    লিখুন আপনি।
  • Ela | 174.143.240.34 (*) | ২৬ মে ২০১৬ ১১:৪৮54682
  • শিবের গপ্পোটা একটু অন্য শুনেছি, শিবের ৬টা টুকরো হয় ভীমের হাতে, ৫টা পন্চকেদারে আর একটা পশুপতিনাথে। পন্চকেদারের পুরো ফল পেতে হলে পশুপতিনাথে যেতে হয়, মানে চাইলে আর কি।

    লেখা চলুক প্লিজ।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 55.64.227.165 (*) | ২৮ মে ২০১৬ ০৫:২২54683
  • মানসবাবু,

    আপনার তুঙ্গনাথের বর্ণনা পড়ে বেশ ভালো লাগলো । সত্যিই তুঙ্গনাথের অবস্থান একেবারেই ভিন্ন ও একটু অনৈসর্গিক ধরনের !

    আমরা পঞ্চকেদার আরম্ভ করেছিলাম ১৯৭৬ সালে । প্রথমে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী করার পর - পাহাড় ধ্বসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে - আমাদের যাত্রা অসম্পূর্ণ রেখে ফিরে আসতে হয় !

    দ্বিতীয় প্রচেষ্টা হয় - ২০১২ সালে ! - এবার কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ হয়ে তুঙ্গনাথ !

    সবচেয়ে ভালো লেগেছিল - আমার তুঙ্গনাথ ! - কোনও পাণ্ডা বা ভক্তদের ভিড় ছিলনা বললেই চলে ! - তুঙ্গনাথে ওপরে গিয়ে মনে হল - আকাশে ভাসছি ! চারিদিকে প্রায় শূন্য ! যেন মেঘের রাজ্যে একটা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে আছি ! - এক সময়ে চারিদিক মেঘে ঢেকে যেতে - সামনের মন্দির ছাড়া আর কিছুই দেখা গেল না !

    তুঙ্গনাথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য - সত্যিই অসাধারন !

    মনোজ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন