এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সিটি লাইটস

    Binary লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ এপ্রিল ২০১৬ | ৯৪১ বার পঠিত
  • ভোর ছটায় যখন ইমন , হিয়াকে স্কুলের মেন গেটের সামনে নামিয়ে দিয়ে গ্যালো তখন আকাশে প্রায় মধ্য রাত। জানুয়ারির মাঝামাঝি , গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বাইরের তাপমান দেখাচ্ছে শুন্যে-র পঁচিশ ডিগ্রী নিচে। রাস্তায় বরফের পুরু চাদর , সাইডওয়াকের বরফ কেটে তৈরী করা পায়ে চলার রাস্তা টুকু বাদ দিলে বাকি চরাচর , ঘাস জমি , স্কুলের ফ্রন্টইয়ার্ড , ব্যাকইয়ার্ড প্রায় সবটাই উপর্যুপরি তুষারপাতে হাঁটু সমান। তবে এনিয়ে বিশেষ আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। বছরের এই সময় , এই তাপমান আর এই বরফের পাহাড় নিয়মমাফিক। স্কুলের সামনে একটা হলুদ কালো স্কুল বাস দাঁড়িয়ে আছে , ছাড়বে আর পনের মিনিট পরে. হিয়াদের আজকে স্কুলে ফিল্ডট্রিপ। কানাডিয়ান সমাজতত্ব বিষয়ক।তো , হিয়া আর ওর বারোক্লাসের আরো জনা পনের ছেলে মেয়ে , সঙ্গে তিন জন শিক্ষক শিক্ষিকা , বসে উঠে বাস ছেড়ে দেওয়া পর বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ি ঘোরায় ইমন। আজ শনিবার। এত ঠান্ডায় ঠিক কি রকম ফিল্ডট্রিপ , জানে না ইমন , কিন্তু তিন চার পর্দা জামা, তার ওপর ওভারকোট , গোবদা ভারী বরফের জুতো , দস্তানা , হুনুমানটুপী পরা ছেলেমেয়ে গুলোকে দেখে একটু মায়া-ই হয় ইমনের। তাও একটা ভরসা , যে বিকেল চারটেবাজার আগেই ফিরে আসবে ওরা।

    শহর ছাড়িয়ে হাইওয়ে সেভেন দিয়ে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার যাওয়ার পরে একটা মেঠো ক্রসরোডের দাঁড়ায় স্কুল বাস। ক্রিস্টিনা (সমাজতত্ব-র পার্শ্ব শিক্ষিকা) সবাই কে বাস থেকে নামতে বলে। গত দুতিনদিন তুষার পাতে , পায়ের নিচে স্তরীভূত বরফের চাদর। হাইওয়েতে সাধারনত রোজ-ই দুই বার করে তুষার পরিষ্কার হয়ে থাকে , কিন্তু এই মেঠো রাস্তা-য় পা দিয়ে-ই গোড়ালি পর্যন্ত বরফে ডুবে যেতে হয়। বাসের ড্রাইভার বাদে ওরা সবাই বাসের সামনে জড়ো হয়ে দাঁড়ায়। বাতাসের ঝাপটায় শরীরের যেটুকু অংশ খোলা আছে , সেটুকু তীব্র জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে। এতোক্ষোন বাসে-র ওম গরমে এমিলি , লিওনি , হিয়া আর কোনোর হাহা হিহি , রক মিজিক-এর গল্প , সিনেমার গল্প করছিল মশগুল হয়ে , এখন একদম সবাই চুপ মেরে গ্যাছে। ক্রিস্টিনা হাত তুলে সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে ..

    "গাইজ , দিস ইস দা প্লেস , হোযার হি ওয়াস ড্রপড অফ অন জানুয়ারী ইলেভেন্থ , ইন মিড নাইট টুয়েন্টি ইয়ার্স ব্যাক , .... উই উইল স্টার্ট ফ্রম হিয়ার " .......

    ****
    রাত সাড়ে দশটার সময় মিডটাউন প্লাজা-র বাইরে ঘুপচি মত একটা শেডের তলায় বসে ঝিমুচ্ছিল পনোক্ক। কোকেন -এর নেশায়। রাত নটা পর্যন্ত যতক্ষন মিডটাউন প্লাজা খোলা ছিল , ততক্ষোন ভেতরে একটা বেঞ্চিতে কাত হয়ে শুয়েছিল , তারপর প্লাজা বন্ধ হওয়ার সময় সিকিউরিটির কালো উর্দির ওপর হলুদ ভেস্ট পরা ষন্ডামত গার্ড এসে ঘেঁটি ধরে বাইরে বের করে দিয়ে গ্যাছে। যদিও দুপুরে কোকেনের পুরিয়া ইনহেল করেছিল ও , সেই ঝিমুনি এখনো কাটেনি , তবুও ঠান্ডা বাঁচাতে আরো একবার নাকে টেনে নিয়েছে, প্লাজা থেকে বাইরে আসার পর। এই জানুয়ারিতে , বাইরের তাপমান হিমাঙ্কের কুড়ি পঁচিশ ডিগ্রী নিচে। পনোক্কর গায়ে তুলোর ভারী কোট , তাতে তিন পরতি ময়লা , মাথায় তুলোর টুপি আর হাতে দস্তানা , সব-ই মিডটাউন প্লাজা-র 'লস্ট ফাউন্ড' ড্রাম থেকে কুড়িয়ে পাওয়া , বেঢোপ আর বোটকা গন্ধ।

    পনোক্ক একজন , বেওয়ারিস আবরিজিনাল , নেটিভ ইন্ডিয়ান। বা ফ্রাস্টনেশন। বয়স আনুমানিক তিরিশ। কাজ কম্ম কিছু করে না , বেকার নেশাখোর। শহরের আনাচে কানাচে এরকম বেওয়ারিস ফ্রাস্টনেশন প্রচুর ঘুরে বেড়ায়। পনোক্ক-র জন্মের কোনো ঠিক নেই। মা কে দেখেছে , তবে বাবা কে জানে না। ওর মায়ের ৭ টা ছেলেমেয়ে ছিল , মানে ওর সহোদর সহোদরা , তবে একএক জন একএক বাপের। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে অবশ্য একজন বদরাগী মাঝবয়সী মোটাসোটা লোককে মায়ের সাথে থাকতে দেখেছে পনোক্ক , যে লোকটা ওদের ভাইবোন কে ধরে বেদম পিটতো বিনা কারণে। যেখানে থাকত ওরা , সেটা সরকার থেকে দেওয়া ঘেটো মত ফ্ল্যাট বাড়ি।ফ্ল্যাট বাড়ি সুদ্ধু সবাই সোশাল ওয়েলফেয়ারে দিন কাটানো লোকজন। আশি শতাংশ লোক , পুরুষ মহিলা , ছেলে বুড়ো নেশাখোর। বা মাতাল। সমাজ কল্যাণ দপ্তরের চেষ্টায় ইস্কুলে ভর্তি হয়েছিল একবার , কিন্তু ক্লাসফোরের পর আর পোষায়নি বলে পালিয়ে এসেছিল। গোডাউন আর ওয়ারহাউসে মুটেগিরির কাজ করেছিল বিভিন্ন সময়ে , কিন্তু ওর-ও জীবনটা এই তিরিশ বছর বয়েসেও এখন কোকেন নির্ভর। মুটেগিরির কাজ আবার পেলে হয়ত আবার করবে , কিন্তু আপাতত , সোসালওয়েল ফেয়ারের ভাতার ওপর বেঁচে আছে , যার অর্ধেক যায় দুবেলা স্যান্ডুইচ খেতে আর অর্ধেক সিদ্ধ-নিষিদ্ধ নেশার জিনিষে।

    আর হ্যা , ওর একজন গার্লফ্রেন্ড -ও আছে। সেই মেয়েটা ওর থকে প্রায় ছয় সাত বছরের বড় , কিন্তু এরকম ছন্ন ছাড়া নয়। কিছুদুর পড়াশোনা করেছে , একটা ইস্কুলের জেনিটার সার্ভিসে কাজ করে। তো সেই মেয়েটাই পনোক্ক-কে একদিন রাস্তাথেকে তুলে এনে বাড়িতে রেখেছিল। যদিও এখন সেখানেই থাকে পনোক্ক, তবে প্রায়-ই চিত্কার ঝারপিট লেগেই থাকে গার্লফ্রেন্ড-এর সাথে। আর এরকম হলে মেয়েটা ওকে গলাধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় , দু-চারদিন চার্চের হোমলেস শেল্টার -এ কাটিয়ে আবার গার্লফ্রেন্ড-এর কাছে ফিরে যায় পনোক্ক।

    আজকে সেই রকম একটা গার্লফ্রেন্ড-এর কাছে গলাধাক্কা খাওয়া দিন ছিল। মিডটাউন প্লাজা-র বাইরে ঘুপচি মত শেড-এর তলায় বসে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে ভাবছিল , আরেকটু রাত হলে , হেঁটে হেঁটে ফিফথ এভিনিউ-এর হোমলেস শেল্টারে গিয়ে ঘুম লাগবে। অবশ্য ওখানে যাওয়ার একটা মুশকিল হলো , যে ওর পকেটে এখনো কোকেন-এর দুটো আস্ত পুরিয়া। হোমলেস শেল্টারে-র গার্ডগুলো দারুন সেয়ানা , পুরিয়া পকেটে নিয়ে ঢুকলেই পুলিশে খবর দেবে। তো ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে ঠিক কি করবে ঠিক করতে পারছিল না পনোক্ক।

    তো এইসব ভাবনার মাঝামাঝি , সামনের ফুটপাথে একটা পুলিশের গাড়ি থামে। রাতের টহলদার গাড়ি। কালো লেদার জ্যাকেট আর উর্দি পরা দুটো টহলদারী পুলিশ নাম গাড়ি থেকে। শেতাঙ্গ। পেশী বহুল চেহারা। ঝিমিয়ে থাকা পনোক্ক-কে ধাক্কা মেরে জিগ্গেস করে

    - হাই ম্যান , হোয়াট আর ইউ ডুইং হিয়ার ?
    - নাথিং
    - হোয়াট নাথিং ? আর ইউ হাই ?
    - নো নো
    - হোয়াটস ইন ইউওর পকেট ?
    - নাথিং

    পুলিশের মোটামুটি জানাই থাকে যে এরকম লোক নিষিদ্ধ ড্রাগ সঙ্গে নিয়ে ঘোরে। প্রতিদিন না হলেও প্রায় প্রতি সপ্তাহের তিন/চার দিন এরকম কোকেন সহ লোক ধরা পরে। হাজতে নিয়ে আসা হয়, তারপর কেস , কোর্ট , ডিটেনশন ক্যাম্প , রিহ্যাবসেন্টার। তো , পনোক্ক উঠে, সটকে পরার তালে ছিল , কিন্তু বিশালাকায় দুজন পুলিশের সাথে পেরে ওঠে না। ওকে দেওয়ালে ঠেসে ধরে হ্যান্ডকাফ লাগায় , পকেট থেকে কোকেন -এর পুরিয়া দুটো বের করে নেয় , তারপর গাড়িতে তুলে বলে , " লেটস গো টু পোলিশ স্টেশন"।

    ***
    হিয়া-রা গোড়ালি ডোবা বরফে মেঠো পথ ধরে পশ্চিম দিকে হাঁটতে সুরু করে , লাইন করে , সামনে ক্রিস্টিনা। হওয়ায় আর ঠান্ডায় সকলের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগার। দিগন্ত বিস্তৃত সাদা বরফের প্রেরি জমি। পেছনে পূব আকাশে দিক চক্রবালের সামান্য ওপরে সূর্য্য। দিনের আলো সবে ফুটেছে। পশ্চিমে বহুদূরে নাক বরাবর আবছা একটা গ্রেনএলিভেটারের অবয়ব। তার কাছাকাছি হয়ত বা একটা দুটো মনুষ্য বসতি , বা একটা বাড়ি। হিয়া-রা জানে ওটা 'পিয়ার্স টাউন'। দূরত্বটা চোখের আন্দাজে ঠাহর না হলেও হিয়ারা এটাও জানে , মানে ক্রিস্টিনা আগের দিনের ক্লাসে বলেছিল "ইট ওয়াস সিক্স কিলোমিটার্স ফ্রম হোযার হি ওয়াস ড্রপড অফ"। কিন্তু এখন সেটা ভাবার মত কোনো কোনো অবস্থা ওদের ছিল না। পায়ের মোটা জুতোর নিচ থেকে প্রবল ঠান্ডা উঠে আসছে , নাকের ডগা ঠান্ডায় রক্ত বর্ণ।

    ***
    পনোক্ক-কে গাড়িতে তোলার পর পুলিশ দুজন ঠাট্টার ছলে আলোচনা করে , কি আর হবে ব্যাটা কে ফাড়িতে নিয়ে গিয়ে , সেই তো খরচা করে লকআপে রাখতে হবে , খরচা করে আদালতে তুলতে হবে , তারপর খরচা করে রিহ্যাব -এ পাঠাতে হবে। ব্যাটা-রা সোসাইটি-র স্ক্যাম। ওয়েলফেয়ারের টাকায় কোকেন টানে।

    পেছনের সিটে ঝিমন্ত পনোক্ক-কে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে যাওয়ার বদলে হাইওয়ে সাত-এ ওঠে পুলিশের গাড়ি। তারপর , অন্ধকার মধ্যরাতে , বাইরে যখন শৈত্য প্রবাহ -৩০ , বরফ ঢাকা প্রেইরি প্রান্তরের পঞ্চাশ কিলোমিটার মত গিয়ে , গাড়ি থামে। পেছনের সিট্ থেকে ধাক্কা মেরে নামিয়ে দেওয়া হয় পনোক্ক-কে। তারপর বলা হয়

    "হাঁটা লাগা শালা , হূউইইইই যে দুরে দেখছিস টাউনের আলো , ওখানে থাকতে পাবি " ......

    অবশ্য তার আগে খুলে নয়া হয় হাতকড়া , যাতে পুলিশের কোনো চিহ্ন না থাকে।

    ***
    দেড় কিলোমিটার চলার পর , যখন ওদের কারো আর এক পাও হাঁটতে ভাললাগছিলো না। প্রবল ঠান্ডায় ওরা বিদ্ধস্ত। তখন একটা জায়গায় একটু ঢালু হয়ে যাওয়া রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ক্রিস্টিনা বলে , "হি ওয়াস ফাউন্ড হিয়ার , ফাইব ডে'স আফটার "।

    ওখান থেকে ওরা ফিরে আসে স্কুল বাসে।প্রবল ঠান্ডায় সবাই জড়োসরো। ফেরার পথে কফি সপে গরম কফি আর স্যান্ডুইচ খায় সবাই। যদিও আর ঠান্ডা লাগছে না ওদের , কফিশপের ওমে সবাই চাঙ্গা , তবুও কেন জানি কারো হাহাহিহি করতে ভালো লাগছিল না ওদের।

    ***
    কুড়ি বছর আগে , পুলিশে ধাক্কা মেরে নামিয়ে দেওয়ার পর পনোক্ক-র দেহ পাওয়া গেছিল পাঁচ দিন পরে , সেই ঢালু জায়গায় , যেখানটা ক্রিস্টিনা দেখিয়েছিল হিয়াদের। হাইপোথার্মিয়ায় মৃত , কিন্তু জানুয়ারির প্রবল ঠান্ডায় শরীরে পচন ধরে নি। হয়ত দূরের 'পিয়ার্স টাউনের' আলোর দিকে হাঁটতে হাঁটতে , ওই পর্য্যন্ত এসে দম ফুরিয়ে গিয়েছিল ওর।

    ------------
    গল্পটা এখানেই শেষ হলেও একটা ছোট উপসংহার আছে। এনকাউন্টার হত্যা নিয়ে আমাদের দেশীয় আরক্ষাবাহিনী-র বদনামের গল্প এমন কিছু অবাক করার মত নয়। তার অনেকটাই সত্যি , অনেকটাই আধা সত্যি , কিছুটা অতি রঞ্জিত। তবে আমাদের দেশের পুলিশ হেফাজতে মানবধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস বহু পুরনো , যুগ পাল্টে পাল্টে গ্যাছে , কিন্তু এই অসামাজিক পুলিশি প্রবৃত্তি পরিবর্তন হয় নি।

    কিন্তু কথাটা ঠিক পুলিশি অত্যাচারের নয় , কথাটা একটা বোধের , যেটা অনেক মানুষের থাকে না , তারা মাঝে মাঝে পুলিশে কাজ করে , আমাদের দেশেও আবার পশ্চিমী উন্নত সমাজেও।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ এপ্রিল ২০১৬ | ৯৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | 233.223.132.129 (*) | ০৯ এপ্রিল ২০১৬ ১১:০১51984
  • ভালো লাগলো পড়ে। বিশেষতঃ উপসংহারেরর অংশটুকু
  • sosen | 177.96.17.169 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:০৬51985
  • সত্যি ঘটনা?
  • 4z | 209.167.35.20 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০৬:৪৭51986
  • স্টারলাইট ট্যুর। এটা কি নীল স্টোনচাইল্ডের কেসটা?
  • পড়লাম | 132.177.36.71 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৬51989
  • পড়ে থম্‌ মেরে বসে রইলাম।
  • 4z | 209.167.35.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৩৯51990
  • সেটা বুঝেছি বাইনারিদা।
  • Binary | 80.64.84.208 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩০51987
  • হ্যাঁ , সেটাই । ফোজ্জি
  • Binary | 80.64.84.208 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩২51988
  • তবে , হুবহু নয়
  • hu | 140.160.143.221 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:১৬51991
  • পড়লাম
  • Binary | 208.169.6.50 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:৪৮51992
  • যদিও নীল্ স্টোনচাইল্ড-এর নজিরটা সবচেয়ে বেশি পাব্লিসাইজড , কিন্তু ওটা ঠিক আইসলোতেড ঘটনা নয়। ষ্টারলাইট-ট্যুর এক সময় আমাদের পুলিশী হেপাজতে 'কম্বল ধোলাই' -এর মত কুখ্যাত ছিল। তবে আশার কথা এই যে, এখানে নাগরিক সমাজে সচেতনতা-ও বেশি , "ফিল দ্য পেইন , টু রিয়ালাইস দ্য ভালনারেবল পিপল"
  • 4z | 209.167.35.20 (*) | ১৩ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:০৮51993
  • ঐ সময়ে বেশ কিছু কেস সামনে আসে কিন্তু প্রায় প্রত্যেকটাতেই প্রমাণের অভাবে কারোর কোন সাজা হয় না। আসল ঘ্টনাগুলো ঘটে যাওয়ার প্রায় এক দশক পরে ইনভেস্টিগেশন শুরু হলে অবশ্য কি প্রমাণই বা আর পাওয়া যায়। ড্যারেল নাইট বেঁচে যাওয়ায় দোষী অফিসারদের আট মাসের জেল হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন