এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শবরীমালা এবং অন্যান্য

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ | ৪৫১৮ বার পঠিত
  • মন্দির টন্দির নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানিনা। সবরীমালা না শবরীমালা, স না শ, তাও জানতামনা, এখনও জানিনা। বাঙালি গড়পড়তা বাঙালি মধ্যবিত্তও আমার চেয়ে বেশি কিছু জানে বলে মনে হয়না। দক্ষিণের একটি মন্দিরে মানুষের মাথায় নারকেল ফাটানো হয় রিচুয়াল হিসেবে, এরকম একটা ভিডিও দেখে হেসেছিলাম মনে আছে। তারপর এই শবরীমালা। সেই মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের ঢোকা বারন, এরকম পড়লাম চারদিকে। তা নিয়ে দিগ্বিদিকে প্রবল হইচই, কোর্টের রায়, মানবীপ্রাচীর। অবশেষে দুজন অ্যাটিভিস্ট ঢুকে পড়লেন মন্দিরে। তারপর আরেকদফা হইচই। চতুর্দিকে অভিনন্দনের বন্যা। অন্যপাশে নয়া কল্কি অবতার, ভারতের স্বঘোষিত ধর্মরক্ষক আরেসেসের ডাকা বন্ধ। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওয় দেখলাম তা নিয়েও প্রচন্ড গোলমাল। একদিকে বিরাট মানবীপ্রাচীর। সেখানে কিছু বোরখাপরিহিত মহিলাও পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিচ্ছেন। অবশ্য পুরোটাই মিডিয়ার দেখানো। মানবীপ্রাচীরকে লঘু করে দেখানোর পদ্ধতি হিসেবে এক আধটি বোরখাকেই ফোকাস করা হচ্ছে, হতেই পারে। উল্টো দিকে আরও দুটি ভিডিওয় দেখলাম, পুলিশ এবং কিছু জনতা আরেসেসের বাইক মিছিলের লোকদের প্রচন্ড ঠ্যাঙাচ্ছে। লোকেদের বা তাদের বাইকের গায়ে অবশ্য আরেসেস লেখা ছিলনা। তাও পুরোটাই ক্যাপশন দেখে জানা। আরেসেস করলেই যে পুলিশের ঠ্যাঙানো বিধিসম্মত হয়ে যায়, তাও ক্যাপশান পড়ে জানা। তা, সে যাই হোক এরপরই মনে হল, ব্যাপারটা একটু জানা দরকার। মন্দির নিয়ে কিসুই জানিনা, দক্ষিণ নিয়ে আরও কিছু না। জানতে গেলে, বাঙালির দৌড় গুগল পর্যন্ত। এই লেখা সেই গুগল সার্চের ভিত্তিতেই লেখা। খুবই সুপারফিশিয়াল, কারণ, খুব জেনে বুঝে ফেলেছি এমন না। বস্তুত কিছু অদ্ভুত তথ্য পেলাম, সেটুকু জানানো ছাড়া এর আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।

    তা, গুগল টুগল করে আমি যেভাবে পড়ছিলাম, বা পড়ার চেষ্টা করছিলাম, তা হল দক্ষিণের মন্দিরগুলিতে কী কী আচার-বিচার-প্রথা আছে। এবং কীরকম বৈষম্য আছে। প্রথা পড়তে গিয়ে দেখলাম, তার গাদা-গাদা ইতিহাস। সম্পূর্ণ অজানা দেবদেবীর দঙ্গল, তাদের নানা অজানা গল্প। এসব পড়তে গেলে অন্তত কয়েকবছর পরিশ্রম দরকার। তাতে কোনো উৎসাহ পাইনা। তো, সেসব প্রথমেই বাদ গেল। পড়ে রইল বৈষম্য। সেই সিলেবাসে প্রথমেই ছিল শবরীমালা। পড়ে জানা গেল তার ব্রহ্মচারী দেবতার নাম আয়াপ্পা। সেখানে পুজো-পাব্বন-আরাধনার বিরাট তালিকা। তার সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার করা খুবই পরিশ্রমের কাজ। আমি পারিনি, অত সময়ও দিইনি। কিন্তু মোদ্দা কথাটা সবাই জানেন, যে, শবরীমালা মন্দিরে দেবতার ব্রহ্মচর্য রক্ষার্থে বিপজ্জনক মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ (বিপজ্জনক শব্দটি আমার)।

    এটুকু অবশ্যই এখন সকলেই জানেন। আলাদা করে বলার কিছু নেই। কিন্তু বললাম এই কারণে, যে, আমার গুগলপনায় মজাটা ঘটল এই খোঁজার সূত্র ধরেই। এসব খোঁজার জন্য আমি 'উইমেন শবরীমালা' দিয়ে সার্চ দিয়েছিলাম (আরও অনেক কিছুই দিয়েছিলাম, বলাবাহুল্য)। তা, তাতে একটি অন্য বিখ্যাত মন্দিরের নাম এল। সেটিরও নাম আমি জীবনে প্রথমবার শুনলাম। আত্তাকুল ভগবতী মন্দির। সেটি তিরুবনন্তপুরমের কাছে, মন্দিরটি 'মহিলাদের শবরীমালা' নামেও পরিচিত, যেজন্য আমার সার্চে উঠে এল। পোঙ্গলের সময় সেখানে বহুলক্ষ মহিলার সমাবেশ হয়, এবং সে জন্য গিনেস বুকেও নাকি নাম তুলেছে।

    কিন্তু 'মহিলাদের শবরীমালা' কেন? খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, পোঙ্গলে এখানে বিরাট পুজো-টুজো হয়। তাতেও প্রচুর নিয়ম-কানুন-প্রথা-পার্বন। সেসবের জটিলতা প্রচুর। কিন্তু কৌতুহলোদ্দীপক ব্যাপারটি এই, যে, এই মন্দিরেও প্রবেশের বিধিনিষেধ আছে। এবং সেটি পুরুষদের জন্য। অর্থাৎ এটি কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত, পুরুষের প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে। সম্পূর্ণ কঠোর নিষেধাজ্ঞা কিনা জানিনা। কারণ, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি খবরে পড়লাম, আগে পুরুষদের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ থাকলেও গত বছর কিছু পুরুষ এখানে পুজো দিয়েছেন। আমার আন্দাজ, পুজো দেবার অন্য কোনো পদ্ধতি হয়েছে, কিন্তু মন্দিরে প্রবেশ পুরুষদের জন্য এখনও বারন, কারণ মন্দিরের সাইটেও (এটি প্রতিটি উৎসবের জন্যই আপডেটেড হয় দেখলাম) লেখা আছেঃ "This ceremony is exclusively confined to women folk" । ( http://www.attukal.org/festivals.aspx ) । অর্থাৎ নিষেধ আছেই, কিন্তু সেটা কতটা কঠোর নেটে পড়ে গ্যারান্টি দিয়ে বলা মুশকিল। মালয়ালিদের কাছে খোঁজ নেওয়া গেলে নিখুঁত তথ্য পাওয়া যাবে।

    এবং এখানেই শেষ নয়। আমি ব্যাপারটায় অবাক হয়ে বিধিনিষেধ নিয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে কাছাকাছি আরও একটি মন্দির পেলাম। সেই জায়গাটি পরিচিত। কন্যাকুমারী। ভৌগোলিকভাবে সেটি তামিলনাড়ুতে। মন্দিরটির নাম, আবারও, আমি কখনও শুনিনি। কিন্তু সেটিও নাকি বিখ্যাত। নাম, কুমারী আম্মান মন্দির। বিবাহিত পুরুষদের এখানে প্রবেশ নিষেধ। সেটা নির্দিষ্ট কোনো পুজোর সময়, নাকি সবসময়েই তা উদ্ধার করতে পারিনি অবশ্য। কারণ ট্রিপ অ্যাডভাইজারে দেখছি পুরুষদের ওখানে যেতে হলে খালি গায়ে যেতে হয়। সেটা মন্দিরের দরজা পর্যন্ত, নাকি কোনো কোনো সময় গর্ভগৃহেও ঢোকা যায়, পরিষ্কার করে বোঝা যাচ্ছেনা। আরও খোঁজ করলে হয়তো পাওয়া যাবে। আমি খুঁজে তামিলনাড়ুর মন্দিরে কেন পুরুষদের খালি গায়ে ঠুকতে হয়, এই বিষয়ে কেবল আরেসেসওয়ালাদের 'বৈজ্ঞানিক' ব্যাখ্যা পেলাম কোরায়। একটি ব্যাখ্যা অতি চমৎকার। যে, পুরুষদের বুকের লোমে পজিটিভ এনার্জি থাকে। বিশদে জানার জন্য দেখতে পারেনঃ https://www.quora.com/Why-are-men-asked-to-remove-shirts-before-entering-temples-in-South-India

    তা, ঠাট্টা ইয়ার্কি থাক। এই লেখার একটিই কারণ। যেটা বলার, তা হল, কেরালা এবং তৎসন্নিহিত এলাকায় বিধিনিষেধ বিষয়ে আমি কেবল এই তিনটি মন্দিরের (শবরীমালা সহ) নাম পেয়েছি। পুরুষদের খালি গায়ে ঢোকা বা মহিলাদের ড্রেসকোড, এইগুলো বাদ দিলে। আর কিছু পাইনি। সেই তিনটির মধ্যে দুটি বিধিনিষেধ পুরুষদের জন্য একটি মহিলাদের। অবশ্য এই ব্যাপারে আমি গুগল সর্বস্ব। আগেই লিখেছি। ফলে কিছু নজরে পড়েনি এমন হতেই পারে। হয়তো মহিলাদের জন্য আরও দু-চারটি মন্দিরে বিধিনিষেধ আছে। সেটা হতেই পারে। কিন্তু তাতেও, পয়েন্ট হল, যদি চিত্রটি এইরকমই হয়, তো শবরীমালা নিয়ে হইচইয়ের দৃষ্টিভঙ্গীটাও কিঞ্চিৎ বদলানো দরকার। মূর্তিপুজোয় বহু অদ্ভূত আচার জড়িয়ে থাকে। যার উৎপত্তি বহুযুগ আগে। (যেমন ধরুন লিঙ্গপুজো। পশ্চিমবঙ্গে শিবের লিঙ্গের পূজা বহুলপ্রচলিত এবং সেটি কেবলমাত্র কুমারী মেয়েরাই করে থাকেন। ) তার মধ্যে নানা বিধিনিষেধও থাকে। সেগুলির যৌক্তিকতা অনেক সময়ই আজ আর খুঁজে পাওয়া যায়না। তার অনেককিছুই আজ আর চালিয়ে যাবার মানে নেই। কিন্তু এগুলি সবক্ষেত্রে সরাসরি বৈষম্যের সঙ্গে যুক্ত নাও থাকতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে থাকতেও পারে, কোনো ক্ষেত্রে নাও থাকতে পারে, কোথাও বিতর্ক চলতে পারে। কিন্তু উপর থেকে পশ্চিমী ইকুয়ালিটির মডেল যান্ত্রিকভাবে চাপিয়ে দেবার আগে মাটির পরিস্থিতিটা কী সেটা একবার খতিয়ে দেখা দরকার। এমনিও দরকার, আর আরেসেসের এই বাড়বাড়ন্তের বাজারে ঐতিহ্য বনাম এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে একটা তীব্র মেরুকরণ তৈরি করার আগে, একটি আইনী ব্যাপারকে (অর্থাৎ শুধু আইনী পথেই যার সমাধান সম্ভব) রাজনৈতিক করে তোলার আগে, তো আরও বেশি করে প্রয়োজন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ | ৪৫১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন