এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বিপ্লবী রবি নিয়োগী

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৮ এপ্রিল ২০১৯ | ২১৬০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজকে থেকে ১১০ বছর আগে, ১৯০৯ সালের ২৯ এপ্রিল আমার বাড়ি থেকে হাঁটা পথে চার পাঁচ মিনিট দূরত্বে জন্ম নিয়েছিলেন শেরপুর জেলার এক মহাপুরুষ।যিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষের রাজনীতি করে গেছেন। যিনি ৯২ বছর বেঁচে ছিলেন, তার মধ্যে ৩৪ বছর কাটিয়েছেন জেলে। আজকে বিপ্লবী রবি নিয়োগীর জন্মদিন। বিপ্লবী শব্দটা উনার নামের সাথে এমন ভাবে মিশে আছে যে আমরা ভাবতাম এটা উনার নামই। আমার অনেকদিন পর্যন্ত এমন ধারনা ছিল যে আমার নাম যেমন মুহাম্মদ সাদেকুজ্জামান তেমনই উনার নাম বিপ্লবী রবি নিয়োগী। উনি কোন উচ্চতার মানুষ ছিলেন তা আমার পক্ষে উনি বেঁচে থাকতে ধরা সম্ভব হয়নি। উনি মারা যান ২০০২ সালে আর আমি ২০০২ সালে মাত্র এসএসসি পাস করেছি। অল্প যা মনে আছে তা হচ্ছে উনার ভাঙ্গাচুরা চেহারা, প্রচুর গাছপালা নিয়ে উনার বাড়ি, বাড়ির নাম নিয়োগী লজ, ধীরে ধীরে হেঁটে যাওয়া, আদাব দিলে ধীরে ধীরে জবাব দেওয়া। রবি নিয়োগীর মত ব্যক্তিত্বকে আমি কাছে পেয়েও তার সান্নিধ্য না পাওয়া, উনার কিংবদন্তী সব অভিজ্ঞতা কাছে বসে শুনতে না পারা নিঃসন্দেহে আমার জন্য আজীবনের অতৃপ্তি হয়ে থাকবে।

    রবি নিয়োগীর বাবা জমিদার ছিলেন। শেরপুর ভিক্টোরিয়া একাডেমিতে রবি নিয়োগীর শিক্ষা জীবন শুরু করলেও পরে গোবিন্দপুর পিস মেমোরিয়াল হাইস্কুল মানে বর্তমানে জি. কে পাইলট হাই স্কুল থেকে ১৯২৬ সালে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। আমার জন্য গর্বের বিষয় আরেকটা হচ্ছে যে আমি নিজেও জি.কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সোজা গিয়ে ভর্তি হন ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে। উনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের শুরু এখান থেকেই। ময়মনসিংহ তখন অনুশীলন আর যুগান্তর বিপ্লবী সংঘটনের দারুণ রমরমা ক্ষেত্র, রীতিমত শক্ত ঘাঁটি। পুলিশের সাথে মারামারি করে জেল থেকে বাঁচতে কলকাতা চলে যান। সেখানে গিয়ে ভর্তি হোন বিদ্যাসাগর কলেজে। কিন্তু কলেজে উনার শেখার কিছু ছিল না সম্ভবত তাই পড়াশোনা আর উনার হয়ে উঠেনি। একের পর এক রাজনৈতিক আন্দোলনে জড়িয়ে গেছেন তিনি। ১৯২৯ সালে শেরপুরে ফিরেন। উদ্দেশ্য আইন অমান্য আন্দোলন শেরপুরে জোরদার করাই ছিল উদ্দেশ্য। ১৯৩০ সালে ঐতিহাসিক সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক আসে। তিনি তখন নিখিল বঙ্গ কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সদস্য। মদ গাঁজার দোকান ভাঙ্গার সময় তিনি প্রথমবার জেলে ঢুকেন। উনার জেল জীবন শুরু। প্রথমবার জেলে গিয়েই শুরু করেন জেলের ভিতরে আন্দোলন। এক বছরের মাথায় মুক্তি পান দমদম জেল থেকে। এদিকে ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্যসেনের অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটে গেছে, এর প্রভাবে শেরপুর ঢোকার মুখে রবি নিয়োগী আবার ধৃত হন। রাজশাহী জেলে রাখা হয়। কিন্তু যার বুকের ভিতরে বারুদ ঠাঁসা, যে বারুদের ভয়ে পরাক্রমশালী ব্রিটিশ সরকার থরথরে কাঁপে। তাকে রাজশাহী জেলে রেখে স্বস্তি পায় নাই সরকার, তিনিও স্বস্তি দেননি সরকার কে। রাজশাহী জেলের সুপারিনটেন্টকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। ফলাফল কালাপানি পার। আন্দামানের ঐতিহাসিক সেলুলার সেল। চারপাশে নোনাপানি, জেলের ভিতরে মশা, বিছা, রাতে আলোর ব্যবস্থা নাই। নরকের আরেক নাম হচ্ছে আন্দামানের সেলুলার সেল। শাজাহান আর মহারাজ নামে দুইটা জাহাজ দিয়ে বন্দী নিয়ে যাওয়া হত আন্দামানে। রবি নিয়োগী কে নিয়ে যাওয়া হয় মহারাজ জাহাজে করে। আন্দামানের ওই নিষ্ঠুর সেলে শুরু হয় অনশন আন্দোলন। রবি নিয়োগী ঐতিহাসিক অনশন আন্দোলনে যোগ দেন। দাবী ছিল খুব অল্প। ভালো খাদ্য প্রদান, জেলে আলোর ব্যবস্থা করা এবং বই ও পত্রিকা পড়ার সুযোগ দেয়া। প্রথম দফার এই অনশন চলে ৪৬ দিন। অনশনে বন্দিরা খাদ্য গ্রহণ করত না, শুধু পানি খেত। খাদ্য জোর করে খাওয়ানোর নানা চেষ্টা করার পর কারা কর্তৃপক্ষ পানির কলসে পানির বদলে দুধ রেখে দিয়েছিল। বন্দীরা সেই দুধের কলস ভেঙ্গে ফেলে। কিছুদিন যাওয়ার পর অনশনের খবর পুরো ভারতে ছড়িয়ে পরলে ব্রিটিশ সরকার বন্দীদের দাবিদাওয়া মেনে নেয়।

    এই জেলেই রবি নিয়োগী কমিউনিস্ট পার্টির দীক্ষা পান। ১৯৩৩ সালে তাঁরা ৩২ জন বিপ্লবী জেলখানায় কমিউনিস্ট কনসলিডেশন গড়ে তোলেন। জেলখানাতে এটিই ছিল কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম শাখা। ১৯৯৭ সালে আবার অনশনে বসেন বন্দীরা। এবারের দাবী কঠিন দাবী। সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, আন্দামান বন্দিদের অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত সব রাজনৈতিক বন্দিকে কমপক্ষে ডিভিশন ‘টু’-র বন্দি হিসেবে গণ্য করা। এবার অনশন চলে ৩৭ দিন। ব্রিটিশ সরকার আন্দামান থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যান বন্দীদের। কিন্তু রবি নিয়োগীর সংগ্রাম থেমে থাকে না। দেশে ফিরেই আবার বন্দী হন দিনাজপুরে। ছাড়া পান ৩৮ সালে। এরপর চলে উনার কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের কাজ। আর চলে জেলে যাওয়া। ভারত পাকিস্তানের জন্ম হল কিন্তু উনার জেল জীবনের সমাপ্তি হয় না। ১৯৪৮,১৯৫৪, ১৯৫৫, ১৯৫৮ - ৬৩, ১৯৬৫-৬৯, ১৯৭০ তিনি কারাবরণ করতেই থাকেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধকালে ডালু, নালিতাবাড়ি, হালুয়াঘাট, মহেন্দ্রগঞ্জ সীমান্তের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ও মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন।দেশ স্বাধীন হলেও উনার ললাট লিখনের কোন পরিবর্তন হল না। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত রবি নিয়োগী নিরাপত্তা আইনে কারাগারে আটক থাকেন। এরশাদের স্বৈর শাসনামলে ১৯৮৮ সালে শেষ বারের মতো বৃদ্ধ বয়সে আবার কারারুদ্ধ হন রবি নিয়োগী। ১৯৯১ সালের ২৫-২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাই নগরীতে অনুষ্ঠিত জীবিত আন্দামান-বন্দীদের যে সম্মাননা প্রদান করা হয় তাতে বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত হয়ে রবি নিয়োগী অংশগ্রহণ করেন।

    অবিশ্বাস্য দূতি নিয়ে কিছু মানুষের জন্ম হয়। তারা সারা জীবন সেই দ্যুতি ছড়িয়ে চারপাশ আলোকিত করে যান।কোন কিছু পাওয়ার নাই, কোন প্রত্যাশা নাই শুধুই আলো জ্বেলে যাওয়া। রবি নিয়োগী তেমন এক মহাপুরুষ। বাংলাদেশ তো পরে শেরপুরবাসীই তো চরম ভাবে ভুলে আছে এই কিংবদন্তীকে। আজকে জন্মদিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি কিংবদন্তী বিপ্লবী রবি নিয়োগীকে। আমার মত অভাজনের জন্য চরম সৌভাগ্য যে আমি উনার বাড়ির পাস দিয়ে হাঁটাচলা করি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৮ এপ্রিল ২০১৯ | ২১৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১১:০২47872
  • বাঃ
  • বিপ্লব রহমান | 340112.231.126712.75 (*) | ৩০ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৩০47873
  • লাল সেলাম.
  • ষষ্ঠ পাণ্ডব | 7823.147.340123.28 (*) | ১৩ মে ২০১৯ ০৭:৫৮47874
  • এই লেখাটার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকলো।

    রবি নিয়োগীর নাম শুনেছিলাম আগেই। তখন তাঁর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জেনেছি অল্পস্বল্প। আমি বিয়ে করার অনেক পরে জানতে পারি রবি নিয়োগীর কন্যা মঞ্জু নিয়োগী আমার শাশুড়ির সহপাঠিনী ও ঘনিষ্ট বান্ধবী ছিলেন। তারপরেও উদ্যোগ নিয়ে শেরপুরে যাওয়া এবং রবি নিয়োগীকে সাক্ষাত করা হয়নি। এই আফসোস সারা জীবনে যাবে না। যেমন আফসোস যাবে না উদ্যোগ নিয়ে কালীপদ চক্রবর্তী, ইলা মিত্র বা বিনোদ বিহারী চৌধুরীর সাথে সাক্ষাত না করায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন