এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শিউলিদি'র বাড়ি

    I লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১২৩৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • শিউলিদির বাবাকে দেখতে গেছিলাম। বাবা টার্মিন্যাল ক্যান্সারের রোগী। কল্যাণী রোডের ধারে শিউলিদিদের বাড়ি। বাড়ি বলতে আমি যা ভেবেছিলাম তেমন নয়। তার থেকে ন্যুন। সেই এম ডি পাশ করে আমি যখন আমাদের মফঃস্বলের একটি আধা-দাতব্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চুপ করে বসে থাকতাম, তখন থেকে শিউলিদির সঙ্গে আলাপ। শিউলিদি ঐ প্রতিষ্ঠানটির ডে ম্যানেজার গোছের ছিলেন। আমি প্রায়ই যেতাম, চুপচাপ বসে থাকতাম। দু-তিন জন রোগী হত কোনো কোনো দিন। রোগী পিছু চল্লিশ টাকা করে নিত ওরা মনে হয়, তার থেকে চোদ্দ টাকা কেটে আমায় হাতে দিত ছাব্বিশ টাকা ।ঠিক মনে নেই, অনেককালের ব্যাপার। না, হাতে দিত না। মাসের শেষে চেকে দিত। কোনো কালো টাকার গল্প নেই। পরে অবশ্য রোগী বেড়েছিল।

    সেই সময় শিউলিদি'র সঙ্গে আলাপ। আমার চেয়ে বড় ছিলেন। আমাকে স্যার বলে ডাকতেন। খুব হাসতেন। বেড়ানোর গল্প করতেন।বেড়ানো মানে ট্রেকিং। আর সায়েন্স ক্লাবের হয়ে এদিক সেদিক জঙ্গলে যাওয়া। সুন্দরবন, পারমাদান।পাখি চেনা, পোকা ও তারা চেনা। শিউলিদিকে নিয়ে শিবাশিস একদা কবিতা লিখেছিল। এইসব বলতেন আর খুব হাসতেন। বিয়ে করেন নি। কিম্বা করেছিলেন, আমি জানি না।
    তারপর আমরা যে যার মত ছিটকে গেলাম। আমাদের সেই আধা মফঃস্বলে বহুকাল হল যাই না। ওখানে একটা খাল ছিল , ঐ খালপার দিয়ে ছাত্রবেলায় আমরা সাইকেল করে প্রায়ই যেতাম। আর খালপারে বিকেল নামলে বিয়ে না-হওয়া, বিয়ে ভেঙে যাওয়া মেয়েরা দাঁড়িয়ে থাকত। দু-তিন রঙের কাঞ্চন ফুল ফুটত। এবং, কী হাস্যকর, ক্কচিৎ কামিনী ফুলেরাও।এইসব নিয়ে কেউ নিশ্চয়ই কবিতা লিখেছে। আমি পড়ি নি। দূরে থাকতে, পরবাসে, সেইসব বিকেলের কথা মনে আসত কখনো-সখনো।

    ফিরে এলাম যখন , আধ যুগ পেরিয়ে গেছে। সেই দাতব্য প্রতিষ্ঠানে আমি আর যাই না। শিউলিদি'র সঙ্গে যোগাযোগ নেই। সেই সময় একদিন শিউলিদি বাবাকে নিয়ে এলেন আমার চেম্বারে।ভদ্রলোকের পেটে, পিঠে আর কোমরে একটা ব্যথা হত।আলট্রাসোনোগ্রাফিতে কিছু ধরা পড়ল না। আমি সার্জেনের কাছে পাঠালাম। তারপর বেশ কিছুকালের জন্য ওঁরা হারিয়ে গেলেন।

    অনেকদিন পর জানতে পারলাম, ওঁর ক্যান্সার হয়েছে। আসলে লাং ক্যান্সার। ছড়িয়েছে অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ডে।তার থেকেই ব্যথা। অনিরাময় ব্যথা। আসল লাং ক্যান্সারের , যাকে আমরা প্রাইমারি বলে থাকি,হায়, কোনো সিম্পটম নেই। যা দিয়ে তাকে চেনা যাবে। মৃত্যু, গোপন, বহুদূরে বসে আছে। হিমালয়ের বরফ ও জোছনায় তপস্বীর মত। আর টরেটক্কা টরেটক্কা করে তার সিগন্যাল পৌঁছে যাচ্ছে অন্য কোথায়। যা হাতে পেয়ে অন্য এক মহাদেশে একজন বিষণ্ণ লোক মর্স কোডের ভুলে তাকে পড়ছে-"মাকোন্দোয় বৃষ্টি হচ্ছে" বলে। কোথায় বৃষ্টি। কোথায় মৃত্যু।
    আর এখন সে আর শুধু অ্যাড্রিনালে নেই। সে ছড়িয়েছে মস্তিষ্কে। শিউলিদিরা সাধ্যমত চিকিৎসা করিয়েছেন ভালো ক্যান্সার সেন্টারে। তারা অবশেষে জবাব দিয়ে দিয়েছে। সেরিব্রাল মেটস্এর কল্যাণে ভদ্রলোক সারাক্ষণ ঝিমোচ্ছেন। হাত-পায়ে প্যারালিসিস। ব্যথা কিন্তু কমে নি তেমন। এখন আর কোথাও যাওয়ার সাধ্য নেই। আর্থিক, লজিস্টিক কোনোরকম সাধ্যই নেই। সাধও আছে কি?

    তাই দেখতে যাওয়া। কী আর হবে নতুন করে সিটি স্ক্যান করে, আর হলেও বা -কিভাবেই বা হবে। আমি স্টেরয়েড দিয়ে এলাম। যদি ব্রেন সেলের ফোলা কিছুটা কমে। চেতনাহত মানুষটি গলা দিয়ে গোঙানি ছাড়া অন্য স্বর বের করতে পারছেন না। খুব লম্বা মানুষ। শক্ত হাড়ের কাঠামো।হাতটা একবার একটু উঠল। আবার ধপ করে পড়ে গেল। শিউলিদি'র ভাই বললেন-বাবার গায়ে জোর ছিল খুব। বাহাত্তর সালে গুণ্ডারা একবার বাবাকে মারতে এসেছিল। বাবা খালি হাতে দুজনকে ধরে ওপরে তুলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
    সেই হাত। পাশে পড়ে আছে।

    নিধিরাম সর্দারী চিকিৎসায় কিন্তু কাজ হল বেশ। ভদ্রলোক উঠে বসলেন। কথা বলতে শুরু করলেন পরিষ্কার। ধরে ধরে হাঁটতেও পারেন। তাহলে স্টেরয়েডই চলুক। প্যালিয়েশন হোক যেটুকু হতে পারে। আর তাই দ্বিতীয়বার শিউলিদি'র বাবাকে দেখতে আসা।

    শিউলিদির বাড়ি অনেক ভেতরে। ঐ মফঃস্বলের অনেকটা ভেতর দিয়ে গ্রাম পেরিয়ে গিয়ে কোথাও একটা থামে। কল্যাণী রোডের কাছে। সেখান থেকে চারচাকার গাড়ি ঢোকার মত রাস্তা নেই। শিউলিদি'র ভাই বাইক নিয়ে আসেন। আমি পিলিয়নে চেপে বসি।সরু ইঁটের রাস্তা, কখনো মেটে। বাইক যায় হড়মড়িয়ে। গায়ে-মাথায় গাছের ডাল-পাতা এসে লাগে। ভাবি, এই বুঝি পড়ে যাবো। রাস্তার পাশের দেয়ালে লেখা- আসন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে মর্জিনা বিবিকে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিন। বর্ষার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে এসেছে। কুবো পাখি কোথায় লুকিয়ে কুব কুব করে ডাকছে। বাঁশঝাড়ের মাথার ওপর থেকে কী একটা পাখি পোকা মুখে করে উড়াল দিল।
    শিউলিদিদের বাড়ি কোনোমতে ইঁটের গাঁথনি দিয়ে খাড়া করা। সিমেন্ট করা হয় নি। না মেঝে, না দেয়াল।ঘরে ঢোকার মুখেই ডাঁই করা বইপত্তর, জুতো, ঝড়তিপড়তি জিনিষ। ধুলো। মাকড়সা। একটা ঘরে একজন মানুষ শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন। আগের দিন কোনো সাড় ছিল না। আজ উঠে বসলেন। আমাকে হাত জোড় করে নমস্কার করলেন। বললেন-ভালো থাকলে কি আর আপনাকে আসতে বলি?

    বিছানায় বেডশিট পাতা। বিছানা তোলা, বেডকভার পাতা হয়তো আর হয়ে ওঠে না, কেননা উনি তো সর্বক্ষণ শুয়েই থাকেন। বালিশ ইতস্ততঃ ছড়ানো। পাশে ছোট ট্র্যানজিস্টর সেট। যেমনটা দেখা যেত আমাদের ছোটবেলায়। টিভিহীন, এফ এম রেডিওহীন, কম্পিউটারহীন ছোটবেলা। বিশ্বায়নের আগের সেই বছর তিরিশেক পুরনো আমাদের ছোটবেলা। কি একটা কথিকা হচ্ছে কলকাতা ক অথবা খ-য়ে। সেই সময়কার হলে অবাক হবো না। সাপে কাটা নিয়ে কথিকা। তিরিশ বছর আগেকার শব্দ ভেসে আসছে বেতারে। আগেকার দিনে ইথার তরঙ্গ বলবার খুব চল ছিল।
    সাপে কাটা। বিজ্ঞান ক্লাব। এক রাত্তিরে শ্যামলদা'র সঙ্গে ট্রেনে উঠে বসলাম। অন্ধকার কামরায় পা ছড়িয়ে বসেছি। লালগোলা। কিম্বা অন্য কোনো ট্রেন হতে পারে। তখনো জানিনা কোথায় যাচ্ছি। কেন যাচ্ছি। শ্যামলদা বলল। দুর্যোগ মোকাবিলা ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ওয়ার্কশপ। আমাকে সাপে-কাটা নিয়ে বলতে হবে। ধূলিয়ান নাকি পান্ডুয়া কোথায় একটা।
    এক ভোরবেলা চলে গেলাম পারমাদান। রানাঘাট অবধি ট্রেন। সেখান থেকে দত্তপুলিয়ার বাস। শেষের আধঘন্টা রাস্তাটুকু সাইকেল ভ্যানে মুরগি ও কাঁঠালপাতার সঙ্গে বসে ঝাঁকুনি খেতে খেতে। পুলকের ভ্যান চালানোর শখ; এক সময় ভ্যানওয়ালাকে পটিয়ে পাটিয়ে সে রাজি করে ফেলে। মাঝবয়সী মুসলিম ভ্যানওলা পিছনে বসে দাড়ির ফাঁকে বিব্রত হাসে। পানের রসে রাঙানো তার দাঁত ও জিভ।সন্ধ্যার ঝোঁকে বিভুতিভূষণ অভয়ারণ্যে পৌঁছই। রেস্ট হাউজের সামনে বাচ্চারা কলকল করছে। বিজ্ঞান ক্লাবের ব্যানার। পাপিয়া ডেকে ডেকে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।
    সেই সব পাখি ও প্রজাপতি চেনা দিন। তারা চেনা রাত।নালসে পিঁপড়ের হাঁটা-চলা, ডিম-পাড়া, বাসা চেনা। সন্ধে হলে আগুনের ধারে গোল হয়ে বসে গান শোনা। চাঁদ উঠছে, দোলের চাঁদ। নিরুপমাদি গান করছেন-এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে মুকুলগুলি ঝরে। গান করছেন আর পাতা ঝরে ঝরে পড়ছে। শাল-সেগুন-জারুল-অর্জুনের পাতা। খসখস খসখস। আর কোনো শব্দ নেই। মানুষগুলো চুপ।কাঠ পোড়ার পট পট আওয়াজ। পিউ কাঁহার পাগল করা ডাক। নদীর ধারে রাতপাখির কান্না। ভুতেদের ফিসফিস। ডিম ভেঙে নতুন পাখির ছানা গজাচ্ছে নদীর পাড়ে। ভাম চুপিসাড়ে এগোচ্ছে ঘুমন্ত পাখির বাচ্চার দিকে। সাপ যাচ্ছে বাঁশপাতার নিচ দিয়ে, তার শব্দহীন সড়সড়। অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটছে এই জ্যোৎস্নাভরা পৃথিবীতে। নদীর পাড়ে, জলে-কচুরিপানায়, পাটক্ষেতে, ডিম ভরা মাদী মাছের পেটে। দরজা এঁটে বন্ধ করা গেঁয়ো অভাবী মানুষ-মানুষীর ঘরে, বিছানায়।

    শিউলিদি বলছেন-আজকে আবার সকাল থেকে কারেন্ট নেই । ফেজটা গোলমাল করছে। শিউলিদি পাখার বাতাস করছেন। আমি শরবত খেতে খেতে রোগী দেখছি। কারেন্ট? ছিল? আছে এখানে?

    এখন অবশ্য হাওয়ার দরকার পড়ছে না। বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া। বর্ষার ভেজা হাওয়া ঘুরেফিরে যাচ্ছে আশপাশ দিয়ে। শিউলিদিদের বাড়ির পেছনে ডোবা। ডোবার আশেপাশে বাঁশবন, কচুবন। শটির ঝোপ। দূরে পাটক্ষেত, এখানেও। বাংলার সব গ্রাম-নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান আর চব্বিশ পরগণা একাকার হয়ে যায়। সেই পাটক্ষেত। ধানক্ষেত। জলায় পাট পচছে। হাইওয়েতে ধান শুকোতে দেওয়া। কোথায় একটা লুকিয়ে থাকা মসজিদ থেকে আজান শুরু হল। আস্রের নামাজের ডাক।ভেজা হাওয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে গায়ের আশপাশ দিয়ে। শরীরকে আরাম দিয়ে। একটা মানুষ শুয়ে আছে বিছানায়। তার শরীরে আরাম নেই। অনিরাময় ব্যথা। রথের চাকা বসে গেছে কাদায়। মৃত্যুর শরে সর্বাঙ্গ জরজর। অন্তিম শ্বাস শুরু হলে কিম্বা তার কিছু আগে ,একটু উপশমের জন্যে কতদূর যেতে হবে! সেই রাস্তার শুরুতে গাড়ি ঢোকে না, চারচাকার গাড়ি। স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাবে তাহলে, বড় রাস্তা অবধি? হা, বড় রাস্তা কবে কাছে আসবে! নিরুপায়, অভাবী মানুষের কাছে!

    ফেরার পথে কল্যাণী রোড দিয়ে হু হু করে গাড়ি ছোটে। দুপাশে জলাজমি। পাটক্ষেত-ধানক্ষেত পেছনে ফেলে এসেছি।জলাজমিতে শটির জঙ্গল। জাল পাতা। জালের ডাণ্ডায় বৈরাগী বক। দূরে আমবন। খেজুর গাছ বাংলাদেশের মেটে-কমলা রংয়ের পাকা খেজুরে ভর্তি।

    দেখতে দেখতে সোদপুর এসে যায়। টোল ট্যাক্সের কাউন্টারে টাকা দিয়ে বেরিয়ে আসি কল্যাণী রোড ছেড়ে। চেনা ইন্ডিয়ায়।।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১২৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • kumu | 133.63.112.78 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৮:২৯47333
  • লেখাটা পড়েও চুপ করেছিলাম।এমন লেখা পড়ে আর কী করার থাকে!
    এই প্রসঙ্গে বলি দিল্লীতে একটি সংস্থা আছে শান্তি অবেদনা সদন।টার্মিনালি ক্যানসার রোগীদের এঁরা যথাসম্ভব িকিৎসা ও অসাধারণ মানসিক অবলম্বন দেন।কেবল রোগী নয় আত্মীয়স্বজনদেরও।বছর দশেক আগে আমার এক দাদা ওখানে শেষ দিন গুলো কাটান।কী অসম্ভব ধৈর্য্য নিয়ে শান্ত অবিচল কিন্তু হাসিমুখে কোন মিথ্যা অশ্বাস না দিয়ে এঁরা সেবা করে যান তা না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৯:১৫47334
  • মাঝে মধ্যে সিরিয়াসলি মনে হয়, কোনটা কম কষ্টের? প্রিয়জনকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখা, না কি ফোনে কাঁপা কাঁপা গলায় শোনা যে সুস্থ সবল মানুষটা হঠাৎ।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন