এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • জল রঙে লেখা

    Kulada Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ | ১১৫৭ বার পঠিত
  • কুলদা রায়

    দেশ থেকে পালিয়েই এসেছিলাম। সে সময়ে মনে হয়েছিল পালিয়ে এলেই বাঁচা যাবে। জীবনে বেঁচে থাকাটাই জরুরী।
    মা এসেছিল তার মাস খানেক আগে। কিছু দিন থেকে গিয়েছে আমার কাছে। আমার শার্টের একটা বোতাম লাগিয়েছে। দুএকবার মাথায় তেল ডলে দিয়েছে। পাখা দিয়ে মাঝে মধ্যে বাতাসও করেছে ঘুমের মধ্যে। আমার মেয়েদের চোখে কাজল টেনেছে। তারপর নিয়ে গেছে বাইরে—বগুড়া রোডের পাশে যে চার্চবাড়িটি রয়েছে, তার পুকুর পাড়ে হেঁটে গিয়ে তুলে এনেছে হেলেঞ্চা শাক। তিঁত পুঁটি মাছ দিয়ে রেঁধেছে। আমার বড় মেয়ে খেয়ে বলেছে—মজার। কিন্তু ছোট মেয়েটি মুখ বাঁকা করে বলেছে, তিতা লাগে।

    সে সময়ে মায়ের ইচ্ছে ছিল পিপ্পল শাক রান্না করবে। পিপ্পল শাক বাজারে পাওয়া গেল না। পাওয়া যেতে পারে বাবুগঞ্জে। সেখানে যাওয়ার সময় নেই আমার। আমি দৌঁড়াচ্ছি পাতার হাটে। ঢাকাতে। চাকরী ছাড়তে। পাশপোর্ট জন্য। টিকিটের জন্য। বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় মা বারবার বলতে লাগল—বাবারে পিপ্পল শাক। পিপ্পল শাক। বড় মেয়েটা আমাকে বলেছিল, ঠাকুরমা যাওয়ার সময় কাঁদছিল।

    বড় মেয়েটা এই কথা বলেছিল আমাকে দেশ ছাড়ার পরে। প্লেনেও নয়। প্লেন থেকে নামার সময়ে। প্লেনের দরজা খুলেছে। আমরা আকাশ দেখতে পাচ্ছি। আকাশটা পুরনোই। অচেনা নয়। সামান্য মেঘ আছে। একটু সাদা। একটু নীল। প্লেন থেকে যখন পা ফেলতে যাচ্ছি তখনই বড় মেয়েটা বলেছিল—জানো বাবা, ঠাকুরমা কাঁদছিল। কথাটা তখন ঠিক মত কানে আসেনি। অথবা শুনতে পেলেও বুঝতে পারিনি। বোঝার মত সময়ও ছিল না। তখনো পা মাটিতে পা পড়েনি। তখনো আমরা শূন্যে। ছোট মেয়েটা দিদির কথায় মাথা নেড়ে বলল, ঠাকুরমা কাঁদছিল। সত্যি সত্যি কাঁদছিল।

    তখন পা রেখেছি। দেখতে পেয়েছি—এখানে এ মাটি অচেনা। এ মাটিতে পিপ্পুল শাক জন্মে না। তখন মনে হল—দেশ থেকে পালিয়ে বাঁচতে আসিনি। মরতে এসেছি। মা কাঁদছে। আমরা মরে গেছি।

    বাইরে বেরিয়ে দেখতে পাই—গাছ নেই—গাছের কঙ্কাল রাস্তার দুপারে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে। বাড়িগুলো শিশুদের হাঁতে আঁকা ছবি। রাস্তার দুপাশে স্তব্ধ গাড়ি। কিছু নড়ে না চড়ে না। লোকজন নেই। মাঝে মাঝে দুএকটি গাড়ি হুশ করে বেরিয়ে যায়। তাকে ঠিক গাড়ির মত মনে হয় না। মনে হয় কাঁঠালে পোকা চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে বৃষ্টি পড়ে।

    আমার ছোটো মেয়েটা বেশ ছোটো। সবে ছবি আঁকতে শুরু করেছে। সে এবার তার দিদিকে ডেকে বলল, জানিস দিদি, এই বৃষ্টিতে ঘরবাড়িরগুলো রং ধুয়ে যাবে। আরো জোরে বৃষ্টি পড়ে। গাছগুলোর গা বেয়ে দুএকটি কাঠবিড়ালী উঁকিঝুঁকি মারে। বড় মেয়েটা ঘর থেকে বেরিয়ে এসে কাঠবেড়ালীকে দেখে বলে ওঠে, কাঠবেড়ালী কাঠবেড়ালী পেয়ারা তুমি খাও। আমারে একটা দাও।

    কাঠবিড়ালীটি ওদেরকে পুটুস পুটুস করে দেখে। তারপর বাড়িটির পিছনে দৌড়ে চলে যায়। আমার মেয়েরা মনে করেছে কাঠবেড়ালী পেয়ারা আনতে গেছে। ওরা বাইরে বসে থাকে পেয়ারার আশায়। এ বাড়ির বুড়ি জানালা দিয়ে তাদের দেখতে পেয়েছে। বাইরে তাড়াহুড়া করে বের হয়ে বেরিয়ে এলো। বলল, তোমরা এখানে কেনো। ঘরে আসো।

    ওরা বুড়ির কথা কি বুঝল কে জানে। ছোটো মেয়েটা বলল, আমরা পেয়ারা খাব।
    বুড়ি ঘর থেকে দুটো ফল এনে দিল মেয়ে দুটোকে। বড় মেয়েটা কিছুক্ষণ ফলটিকে ধরে রাখল। ছোটো মেয়েটা কুটুস করে একটা কামড় দিল। বলল, দিদি—সত্যি সত্যি পেয়ারা।
    বড় মেয়েটা ততক্ষণে থাঙ্কু বলতে শিখেছে। নিজে কামড়ে খেতে খেতে বলল, আমাগো মামাবাড়ির পরের গ্রাম আটঘর কুড়িয়ানা। সেখানে পেয়ারা বাগান আছে। সেই বাগানের পেয়ারা তুমি পাইলা কোথায়।
    বুড়ি হাসে। বলে, নট পেয়ারা-পিয়ার। পিয়ার। সেই থেকে আমার মেয়েদের কাছে বুড়িটি পিয়ার বুড়ি হয়ে গেল।

    এর মধ্যে আমার মেয়েদের স্কুলে নিয়ে যাই। বড় মেয়ে একটু বড় বলেই স্কুল ধরতে পারে। ছোটোটা ক্লাশে চুপ করে চেয়ে থাকে। বাইরে মরা গাছে কুঁড়ি পাতা ধরতে শুরু করেছে। কাগজে সেই কুঁড়ি পাতাটির ছবি আঁকে। ঘাসের মধ্যে ছোটো ছোটো বুনো ফুল ফুটছে। সেই বুনো ফুলের ছবি আঁকে। পাপড়িতে একটু লাল রং লাগায়। গাছের গোড়ায় দুটো পিঁপড়ে উকি দিচ্ছে। এই পিপড়ের রঙ কালো। এদের কামড়ে বিষ নেই। পিঁপড়ের চোখে একটু নীল রঙ দেয়। পিপড়েগুলো খুব দুষ্টু। ওদের মামীর চিনি খেলে ফেলে। এর পর একপাশে একটা জানালা দিয়েছে।

    জানালার দিকে থাকতে থাকতে আমার ছোটো মেয়ের চোখে জল নেমে আসে। তাঁর টিচার ছুটে আসে। বলে কি হয়েছে?
    মেয়েটি তার কথার উত্তর দেয় না। এর পরে একজন বাংলা শিক্ষককে নিয়ে আসে স্কুলের প্রিন্সিপাল। বাংলার শিক্ষক মিস রায়হান জিজ্ঞেস করে তুমি কাঁদছ কেনো? মেয়েটি এবার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে। কাঁদতে কাঁদতে বলে—আমার খাতা। আমার খাতা।

    আমার মেয়েটি দেশে ফাতেমা স্কুলে পড়ত। শিখেছে অ আ ই ঈ। এ বি সি ডি। ১ ২ ৩ ৪। এঁকেছে একটা কাক পাখির ছবি। কাক পাখিটা তখনো উড়তে শেখেনি। ছোটো। একটু মাথা বেঁকিয়ে আছে। তার চোখ দেওয়া হয়নি। ভেবে রেখেছে কদিন পরে দেবে। এর মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে এসেছে। দেশ থেকে আসার সময়ে সেই খাতাটি আনা হয়নি। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বলে—সেই কাকটি এখন নিশ্চয়ই চোখের জন্য কান্নাকাটি করছে। সেই কাকপাখিটির কথা মনে করে এখন তার কান্না পাচ্ছে।

    প্রিন্সিপাল তাকে একটি কাগজ এগিয়ে দিল। আর দিল এক বাক্স রঙ পেন্সিল। সঙ্গে দুটো ক্যাডবেরী। বলল, আমি তো কাক পাখি চিনি না। তুমি এঁকে দেখাও তো পাখিটা কেমন।

    মেয়েটি তখন কাকটি আঁকল না। স্কুলের কাছেই একটা বড় পার্ক। সেখানে একটি বেঞ্চিতে কে একজন বসে বসে রোদ পোহাচ্ছে। মাথাটি উপরের দিকে ওঠানো—বেলা দেখতে চেষ্টা করছে। মেয়েটি আঁকল এই লোকটির ছবিই। তার মাথায় দিল একটু লম্বা চুল। মাথায় একটি সোনার মুকুট।
    মিস রায়হান বলল, এইটা কি রাজা?
    প্রিন্সিপাল হেসে বলল, দি কিং রুফু। মিস রায়হান বলল, এই পার্কটি রুফুস কিংএর নামে। তিনি রাজা ছিলেন না। ছিলেন বিখ্যাত আইনবিদ।

    আমার মেয়েটি রুফুস কিংএর নাম শুনল কি শুনল না বোঝা গেলো না। সে মুকুট পরা রাজার পিঠে দুটো ডানা লাগিয়ে দিল। এবারে আর তাকে রাজা রাজা মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে পরীরানী। রাজার চেয়ে তার পরী রানীই ভালো। তার ঠাকুমা পরীর গল্প করত।
    প্রিন্সিপাল বলল, এই কি তোমার কাক পাখি? না, এটা কাকপাখি নয়। এবার পরীর মাথার উপরে ছোট্ট একটা কাকপাখি এঁকে দিল। নীল রঙ দিয়ে তার চোখ করল। ঠোঁট দুটো একটুকু ফাঁকা। নিচে লিখে দিল—কা-কা। অর্থ-- কেমন আছ।

    প্রিন্সিপ্যাল পরদিন আমার ছোটো মেয়েটিকে নিয়ে ক্যাপ্টেন টিলি পার্কে গেল। পার্কটি গোলাকার। মাঝখানে একটি পরী ডানা মেলে দাঁড়িয়ে আছে। তার নিচে চারিদিকে অনেক সীগাল ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছোটো মেয়েটি প্রথমে একটু ভয় পায়। দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রিন্সিপাল তাকে হাত ধরে পাখির মধ্যে নিয়ে আসে। কিছু বিস্কুট ছুড়ে ছুড়ে দেয়। পাখিগুলো দুলে দুলে ছুটে আসে। তাদের ঘিরে ধরে। প্রিন্সিপালের হাত থেকে বিস্কুট খেতে থাকে। আমার মেয়েটির ভয় ততক্ষণে কেটে গেছে। অবাক হয়ে পাখি দেখে। পৃথিবীর সব পাখিই সুন্দর।

    সে পরীটির কাছে গিয়ে তাকে ঘুরে ঘুরে দেখে। সামনে থেকে দেখে। পেছন থেকে দেখে। ডানার দিকে চেয়ে থাকে। কান পেতে শোনে দুটো পাখি ডানার উপর থেকে চিড়িক চিড়িক শব্দ করে ডাকছে। এবার পরীটিকে তার চেনা মনে হয়। সে হেসে ওঠে।

    রাতে শুনতে পাই—দুবোনে গল্প করছে। ছোটো মেয়েটি বলছে তার দিদিকে। কান খাড়া শুনি। বলছে, জানিস দিদি, এই দেশে কাক নাই।
    দিদি বলে, কাক কি রে? বল--কাওয়া।

    --হ্যা, কাউয়া—কা কা করে ডাকে। কাউয়া কাক। এদেশে কাউয়া কাক নাই।
    দিদি হাই তুলে বলে, এইটা দেশ না—বিদেশ। এই বিদেশে কাক থাকতে নাই।
    এরপর ছোটো মেয়েটি দিদির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বলে, জানিস দিদি-- কাক নাই। কিন্তু চড়ুই পাখি আছে। আমি দেখছি—পরীর ডানার উপর। চিড়িক চিড়িক করে ডাকে আমাগো বাড়ির মত, সত্যি চড়ুই। চিনছি।

    তখন দুবোনে চড়াই পাখির গল্প করে। মামাবাড়ির গল্প করে। মাসিবাড়ির গল্প বলে। বাবাবাড়ির কথা বলে। তাদের নদীটির কথা বলে, বলে—নদীর পাড়ের পরীটির কথা। সন্ধ্যা নামলে পরীটি দূর থেকে উড়ে আসে। চুল এলো করে একটা বটতলায় ঘুমিয়ে থাকে। তার চুলের মধ্যে এই সব চড়ুই পাখির বাসা। তখন মনে হয় পরীটি তার ঠাকুরমা। বড় মেয়েটি বলে, ওই পরীটা এখানে উড়ে এসেছে। আর চিন্তা নাই।

    বলতে বলতে তাদের গলার স্বর ঘন হয়ে আসে। ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমের মধ্যে পরীটির মত হেসে ওঠে।

    বুঝতে পারি—পরীটি এসেছে। নিশ্চয়ই হেলেঞ্চা শাকও আসবে। আসবে পিপ্পুল শাক। আবার বেঁচে উঠব। পালিয়ে মরা যায় না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ | ১১৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | 79.204.169.146 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৩৩46794
  • সত্যি রূপকথা।
  • ফরিদা | 192.64.70.184 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:২৯46795
  • অসাধারণ।
  • kk | 81.236.62.176 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৫৩46800
  • অ সা ধা র ণ !!!
    সত্যি এরকম লিখতে শুধু কুলদাবাবুই পারেন।
  • san | 213.88.22.132 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৫৩46796
  • স্বপ্নের মত লেখা !
  • | 24.97.7.108 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:০৫46801
  • সত্যি অসাধারণ।
  • I | 24.99.127.212 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:০২46802
  • অহো ! মাঝেমধ্যে একটু হিংসেও হয়। ;)
  • i | 212.159.175.95 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:২৫46797
  • মহালয়ার সকালে কুলদাবাবুর লেখার কথা মনে হচ্ছিল-গতবছরের মহালয়ার লেখাখানি...
    "এর মধ্যে সকাল হচ্ছে। পূব আকাশ রাঙ্গা হচ্ছে। হাওয়া জলের উপর থেকে উড়ে আসছে। টগর ফুল ফুটেছে। এর মধ্যে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের মহালয়া পল্লবিত হয়ে আমাদের ভাঙা রেডিও থেকে উঠোনে, উঠোন থেকে হালোটে, হালোট থেকে মাঠে, মাঠ থেকে ঘাটে, ঘাট ঠেকে বাঁটে পৌঁছে যাচ্ছে। কালীপদর মা বারবার বলছেন-- মধুর মধুর।....ঠাকুরদা মাথা নেড়ে সায় দিচ্ছেন—মধুর তোমার শেষ নাহি যে পাই।"

    আপনার লেখার এইটেই মূল-মধুর তোমার শেষ যে না পাই-
    তাই এত মায়া। অনন্ত মায়া।
  • hu | 12.133.51.34 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:২৯46798
  • অদ্ভুত ভালো!
  • h | 127.194.254.112 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:৩৪46803
  • এ মানে ঈশ্বরের তৈরী হাত , কোনো কথা হবে না। একটা লোক স্রেফ দেশ কে ভালোবেসে গেলো, দূরে বইসা। মিস্টার পিরজাদা আর হোরেশিও ওলিভিয়েরা র কথা মনে হয়।

    তবে কুলদা রায় এর স্মৃতি টার যে জিনিসটা আমার অধ্ভুত লাগে, ইন্দোর মতো, সম্পূর্ণ গেঁয়ো কিম্বা মপস্বলী ছবি কি করে সম্পূর্ণ শহুরে ভাষায় লেখা যায় মাইরি।
  • Tim | 12.133.51.34 (*) | ০৬ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:৪৯46799
  • অপূর্ব! এরকম লিখতে একমাত্র কুলদাবাবুই পারেন।
  • sumit roy | 79.207.13.161 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০১:২৭46809
  • আপনার লেখনী শতজীবী হোক।
  • h | 127.194.234.139 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৩৩46805
  • ভগবান আল্লা এইসব যদি থাকে, তারা যেন এই কুলদা রায় এর মাথাডা ঠান্ডা করে আর তারে ল্যাখায়, অন্য তো কিসু পারে না, এইডা কইরা দ্যাখাক।
  • Kulada Roy | 152.105.9.124 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৪৪46806
  • কেডা কইরা দ্যাখাবে? ভগমানে? না, আল্লায়? না, কুলদা রায়ে?
    কি মুসিবৎ!
  • cm | 127.202.89.99 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৫৩46807
  • কেডায় কইর‌্যা দেখাইব জানিনা তয় ক্রেডিট যে সব উপরওয়ালাই নিব সে নিয়া সন্দেহ নাই।
  • Kulada Roy | 152.105.9.124 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:০৫46808
  • উপরওয়ালা একটু বেপদে আছে। এখন মা দুর্গায় বাপের বাড়ি বাড়ি রওনা হইবেন। কিন্তু দোলার খবর নাই। ওইটা এখন আর কোনো গাঁও-গেরামে আর পাওয়াই যায় না। ইদিকে গনশাদাদার ঘন ঘন হাই পাইতেছে। হাটনের হাউস নাই। কার্তিকে ডাক ছাইড়া কয়--তুমি এতক্ষনে করছোডা কি?

    ভগমানে কয়--কিছুই করি নাই রে বাছাধন। একটু ফেসবুকে আছি। লাইক বাটন খুঁইজা পাইতেছি না। পরে আইসো।
  • nina | 78.37.233.36 (*) | ০৭ অক্টোবর ২০১৩ ১২:৩২46804
  • সত্যি এমন লেখা শুধু কুলদাভাই লিখতে পারেন----কি মায়াভরা কলম--পড়ে কি আরাম !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন