এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • এক ফাগুনের পাখি আরেক ফাগুনে.....

    Shibanshu De লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১৭০৭ বার পঠিত
  • এক ফাগুনের পাখি আরেক ফাগুনে.....
    ----------------------------------------------

    মাধুরী চলে গেলেন... সকালে জানলুম |

    সকালবেলায় যাঁদের গান শুনে দিন শুরু হয় নিয়মিত‚ মাধুরী তাঁদের একজন |

    আজ নয়‚ গত অন্তত: চল্লিশ বছর ধরে ‚ যখন থেকে গান শুনতে শিখছি‚ মাধুরী আমার প্রিয় শিল্পী | মৌলিক ও তৎপর গায়নশৈলি‚ নির্ভুল সুরেলা কণ্ঠসম্পদ এবং ভারহীন আন্তরিক পরিবেশনা ছিলো তাঁর | বাংলাগানের আদর্শ প্রসাদগুণ এনে দিতে পারতেন শ্রোতাদের কাছে | প্রচারবিশ্বের কোন স্তরে তাঁর স্থান ছিলো জানিনা‚ কিন্তু শ্রোতার শ্রবণবিশ্বে অনায়াসে স্থান করে নিতে পারতেন তিনি | নিখুঁত তৈয়ারি‚ কিন্তু সতেজ ক্যাজুয়াল গায়নভঙ্গি | ব্যক্তিগত তৈয়ারির ভার নিজস্ব পরিবেশনার উপর চাপিয়ে শ্রোতাদের ব্যস্ত করতেন না | এককথায় স্বত:স্ফূর্ত গান | পঞ্চাশ বছর আগের গান‚ বহুশ্রুত কিন্তু আজও সমান তাজা | চিরকাল প্রদীপ হাতেই হেঁটে গেছেন্‚ হ্যালোজেন আলো লাগেনি তাঁর |

    ২.
    তাঁকে সঠিক আবিষ্কার করেছিলেন স্বয়ং সলিল চৌধুরি | ১৯৬১তে একটা ডিস্ক্‚ একদিকে '' নিজেরে হারায়ে খুঁজি'' আর অন্যদিকে '' এবার আমার সময় হলো যে যাবার'' | সেখান থেকেই নিবেদিত শ্রোতার মনে একটা স্থায়ী কোণ খুঁজে নিয়েছিলেন তিনি | ১৯৬৩তে আবার সলিল তাঁকে দিয়ে গাওয়ালেন '' কী আর কহিবো বলো'' আর '' আজি শরতের আকাশে'' | এসব গান এখনও দীক্ষিত শ্রোতা চুপ করে বসে শোনে | মাধুরীর গুরুভাগ্য খুব ভালো | আরেকবার সলিলের বেটনে তিনি গেয়েছিলেন ১৯৬৭ সালে | '' ঐ সবুজ বন বীথিকায়''‚ '' গুনগুন ফাগুন শেষ হলে'' | সলিলের তৈরি করা গান গাওয়া একজন নতুন গাইয়ের জন্য যে কী চ্যালেণ্জ তা যাঁরা তাঁর গান গেয়েছেন ‚ তাঁরাই জানেন | ঐ মেলোডিতে স্ট্যাকাটো সুর লাগানো‚ কর্ড আর লয়ের সূক্ষ্ম খেলা‚ সে জটিলতা যাঁরা মাঠে খেলেন‚ যেমন গায়ক আর যন্ত্রানুষঙ্গীর দল তাঁরাই টের পা'ন | শ্রোতার থালায় যখন সে সম্ভার বেড়ে দেওয়া হয়‚ তখন তার সুরের স্বত:স্ফূর্ততা দেখে শ্রোতা বুঝতেই পারেন না যে তার পিছনে ওস্তাদের মারটা কেমন ছিলো | মাধুরীর কণ্ঠ যেমন ছিলো সতেজ‚ তেমনি ছিলো তার সুরের আদায় | তাঁর এই সিদ্ধির সঙ্গে তুলনা চলে একমাত্র সলিলজায়া সবিতা চৌধুরির | সলিল চৌধুরির হাত ধরে যাঁর যাত্রা শুরু‚ সেই শিল্পীর এগিয়ে যেতে কখনও পিছনে ফিরে দেখতে হয়না |

    ৩.
    সত্যি কথা বলতে কি মাধুরীর উল্লেখযোগ্য গানগুলি সবই আমার প্রিয় | হয়তো কিছু ইতরবিশেষ আছে‚ কিন্তু তাঁর গানের থেকে প্রত্যাশা থেকেই যায় | তবু যদি বিশেষ দুর্বলতার কথা আসে‚ তবে আমি নাম নেবো পুলক বন্দোপাধ্যায় আর নচিকেতা ঘোষের যুগলবন্দি এই গানদুটির | মাধুরীর কণ্ঠে তারা অন্য মাত্রা পেয়েছিলো | ' অলি অমন করে নয়' আর 'তোমার আমার প্রথম দেখা' | বাংলা আধুনিক গান কীভাবে‚ কোন মন্ত্রে সাধারণ-অসাধারণ সব শ্রোতার চেতনায় ছাপ ফেলে যেতে থাকে তাদের নির্ভার‚ স্ফূর্ত‚ সূক্ষ্ম‚ অনুচ্চ গরিমায়‚ তার কিছু পরিচয় এই গান দুটিতে পাওয়া যাবে | পুলক বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুড়ি বেঁধে রতু মুখোপাধ্যায় মাধুরীকে দিয়ে একটি ডিস্ক করেছিলেন ১৯৬৬ সালে | 'কোন বাঁশুরিয়া বাঁশিতে আমায় ডাকে' আর 'চোখে চোখ রেখে বলতে গেলাম'‚ এই গান দুটি ছিলো সেই ডিস্কে | প্রথম গানটি আমার বেশি প্রিয় | কারণ পিলু আমার প্রিয় রাগ আর এই গানটির স্থায়ী শুরু হয়েছে পিলুর আবেশে | কিন্তু তার পরে রতু গানের চলনটি একেবারে পাল্টে দিলেন | মাধুরীও ধরে ফেললেন সুরকারের অভিপ্রেতটি আসলে কী | দ্বিতীয় গানটিও লয়প্রধান ‚ দুলিয়ে যাওয়া | যদি আমাদের অধ্যাত্ম পরিভাষা ধার করি‚ তবে বলবো দ্বিতীয় গানটির আধার যদি হয় 'লঘিমা'‚ তবে প্রথম গানটি 'অণিমা'কে ধরে রেখেছে | রতু পরে আরো দুটি গানে মাধুরীর কণ্ঠ ব্যবহার করেছিলেন | ' ওগো আজ এই সন্ধ্যায়' আর ' ঐ বাঁকা নদী' | বাঙালি হয়ে জন্মানোর দুর্ভাগ্যে রতু মুখোপাধ্যায় চিরকাল আন্ডাররেটেড হয়ে থেকে গেলেন | এই পিলুর ছোঁয়া দিয়ে ১৯৬৭ সালে শ্রদ্ধেয় অনিল বাগচি মশায় মাধুরীর কণ্ঠে রেকর্ড করেছিলেন ' আজি ভ্রমরের সুরে সুরে' | এই গানটির চলন একেবারে হোরিগানের মতো‚ কিন্তু বাঙালি সংবেদনশীলতা ঘিরে আছে তাকে | কিন্তু এই গানটির উল্টোদিকে রয়েছে সেই অবিস্মরণীয় ' তুমি আসবে যদি জানতাম' | আমার অতিপ্রিয় একটি গান |

    ৪.

    মাধুরীর সুরসম্পদকে খুব সফলভাবে ব্যবহার করেছিলেন বাঁশির জাদুকর হিমাংশু বিশ্বাস মশায় | ১৯৬৯ সালে তাঁর সুরে মাধুরী গেয়েছিলেন‚ ' যৌবনে মৌ ঝরে গুঞ্জরণে' আর ' কেন অকারণে‚ দোলা লাগে মনে' | তার পর ১৯৭৫ সালে গেয়েছিলেন আরো দুটি গান‚ ' কুহু কুহু কোয়েল যদি ডাকে' আর 'পিয়াসী এ মন বলে' | এই সব গুলিই বহুশ্রুত গান | তারা দীর্ঘদিন ধরে শ্রোতার শ্রবণবিশ্বে নিজস্ব জমি নিয়ে ভালোবাসার ধান চাষ করে যাচ্ছে | আমার ব্যক্তিগত ফেভারিট্‚ ' কেন অকারণে' | ১৯৬৮ সালে ভবেশ গুপ্তের লেখা একটি গান মাধুরীর কণ্ঠে খুব লোকপ্রিয় হয়েছিলো | সেটি হলো ‚' আমি নীলচোখে যমুনাকে নীল দেখেছি' | তাঁর গাওয়া আরেকটি গান‚ ১৯৬৬র রেকর্ড্‚ প্রণব রায়ের কথায়‚ সন্তোষ মুখোপাধ্যায়ের সুরে ' পিউ কাঁহা পাখি 'ও অনুরোধের আসরের প্রায় স্থায়ী পছন্দ হয়ে থাকতো |

    ৫.
    বেশ কিছুদিন পরে‚ ১৯৭৫ সালে তিনি দু'টি ডিস্ক করেছিলেন | একটিতে শ্যামল মিত্রের সুরে গেয়েছিলেন ' বৃষ্টি এলো বৃষ্টি' আর ' খেলা ভাঙারই খেলা' | প্রথমটি ছন্দপ্রধান‚ দ্বিতীয়টি রাগভিত্তিক রচনা | কিন্তু মাধুরীর এই সময়ের অন্য রেকর্ডটিতে জুড়ি বেঁধেছিলেন অদ্বিতীয় গৌরীপ্রসন্ন ও অনুপম ঘটক | তাদের একটি ছিলো‚ '' বৌকথা কও পাখি কেন অমন করে ডাকে গো'' বস্তুত: ঝুমুর গানের ভিত্তিতে বাঁধা হয়েছিলো | কিন্তু অন্য গানটি '' এই তুমি আমি একদিন চলে যাবো ওপারের ডাকে‚ গান শুধু চিরদিন থাকে". যদি শুধু লিরিকটির বিচার করতে যাই‚ তবে কোনও চমক দেওয়া ব্যঞ্জনা নিশ্চয় পাওয়া যাবেনা | হয়তো কাব্যবিচারে তা বাংলাগানে প্রাক সুমনপর্বের চিরাচরিত বহুব্যবহৃত বিটন ট্র্যাকের অংশও মনে হতে পারে | কিন্তু সুরযোজনা‚ শব্দের মাত্রা আর অনন্য পরিবেশনা এই গানটিকে যেভাবে প্রফেটিক করে তুলেছে তার তুল্যমূল্য খুব বেশি নেই | আমি হয়তো এভাবে কখনও বলবো না‚ কিন্তু এ আমার গভীরতম উপলব্ধি‚ তা তো অস্বীকার করতে পারিনা | আমার ভাষাবিন্যাস নিশ্চয় সম্পূর্ণ পৃথক কোনও স্তরের ফসল হবে‚ কিন্তু এই উচ্চারণসমূহের অমোঘতা আমি হয়তো কখনও অর্জন করে উঠতে পারবো না | সেই ছোটোবেলা থেকে মায়ের মুখে শোনা‚ মাটি থেকে উঠে আসা একটি কীর্তনাঙ্গ গান‚ " একবার ব্রজে চলো ব্রজেশ্বর‚ দিনেক দুয়ের মতো" মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় মাধুরী যে নিবেদিত নিষ্ঠায় গেয়েছিলেন‚ তার তুলনাও বা আর কটা আছে ?
    ৬.
    দীর্ঘসময় ধরে সৃষ্টিশীল ছিলেন মাধুরী | কমল দাশগুপ্তের সুরে দুটি গান " সাঁঝের তারকা আমি" এবং " এমনই বরষা ছিলো সেদিন" যেগুলির মূলরূপটি গেয়েছিলেন দুই দিকপাল‚ যূথিকা রায় এবং ফিরোজা বেগম‚ সেগুলিও মাধুরী যে স্বত:স্ফূর্ততার সঙ্গে পরিবেশন করেছিলেন‚ তা তাঁর জাত চিনিয়ে দেয় | সত্যি কথা বলতে কি মাধুরীর গাওয়া এই গানদুটির সঙ্গে আমি অনেক বেশি রিলেট করতে পারি | কমল দাশগুপ্তকে পঞ্চাশ বছর পরের শ্রোতার কাছে প্রাসঙ্গিক করে তোলার কাজটি মাধুরী অনায়াসে করে ফেলেছিলেন এইভাবে | ১৯৭৭য়ে সলিলশিষ্য প্রবীর মজুমদারের সুরে গেয়েছিলেন " ঝিনুকের বুকের মাঝে‚ যদি সে মুক্তো থাকে" একটি অনবদ্য কম্পোজিশন | ১৯৭৮ সালে মৃণাল বন্দোপাদ্যায়ের সুরে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের একটি গান " যখন ডাকি‚ আয়রে পাখি" রেকর্ড করেছিলেন |

    ৭.

    যেসব গানের উল্লেখ করলুম‚ তা মাধুরীর সামগ্রিক রিপার্টেয়রের আংশিক বিবরণমাত্র | আসলে গান হোক বা কবিতা‚ তাদের অভিঘাত বা অনুরণন কোন শ্রোতা বা কোন পাঠকের চিত্তজগতকে কীভাবে ট্রিগ্যার করবে‚ তার কোনও সর্বসম্মত মাপদন্ড নেই | আমি একজন দীন ইতর শ্রোতা হিসেবে মাধুরীর গান থেকে যে আনন্দের সন্ধান পাই তা যে অন্যের চেতনায় একইভাবে প্রতিফলিত হবে তার তো কোনও স্বত:সিদ্ধ নিয়ম নেই | হয়তো এই সব গান কাউকে আমার থেকে অনেক বেশি মাত্রায় আন্দোলিত করবে‚ আবার যাঁরা জগঝম্প ব্যান্ডজাতীয় গানের নিয়মিত শ্রোতা‚ তাঁদের কাছে ফেলে আসা দিনের প্যানপ্যানানিও মনে হতে পারে | কারণ‚ ভিন্নরুচিরহি লোকা: | তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে মাধুরী যে সৃষ্টিলোকের ফসল‚ তার কাছে মানুষকে বারবার ফিরে আসতে হয় | গান হয়তো অনেকের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য এক অপার্থিব অনন্ত আনন্দস্রোত | কিন্তু দিনের শেষে গান একলা মানুষের অন্তিম আয়না | ঠিক যেভাবে ভক্তজন ঈশ্বরকে কল্পনা করে | ঈশ্বর আছেন কি নেই তাতো তর্কের বিষয় | কিন্তু গান তো আমাদের ধারেকাছে জলে হাওয়ায় রোদে ধুলোয় সতত ভেসে বেড়াছে |

    মাধুরীও আজ থেকে আমাদের কাছে সেই রকম এক নৈসর্গিক আশীর্বাদ হয়ে থেকে যাবেন |

    -----------------------------------------------------------------------------------

    আগ্রহী শ্রোতাদের জন্য একটি লিং রইলো এখানে

    http://gaana.com/#!/artists/madhuri-chatterjee
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৩ অক্টোবর ২০১৩ | ১৭০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 24.97.233.154 (*) | ২৪ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪৯46618
  • মারা গেছেন!!
    কি আশ্চর্য্য কোথাও তেমন করে চোখে পড়ে নি তো খবরটা।
  • sumit roy | 82.231.204.210 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৩ ১২:৫৪46619
  • সাধু!
  • Ranjan Roy | 132.175.161.162 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:১১46622
  • লেখা পড়ে যে আমেজ তৈরি হয়েছিল তা ভূতের উৎপাতে কিছুটা কেটে গেল।

    প্যারা ৬ টি অনবদ্য। এই পর্বের মাধুরীর ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। আর শিবাংশু জানিয়ে দিলেন প্রবাদপ্রতিম 'তোমার আমার প্রথম দেখা'র লিরিক কাদের।
    বৈশাখী রাত শব্দটির মাধুরীর সুরাঘাতে অল্পবয়সে মনে যে অভিঘাত হত তা এখনো মনে আছে।
    'খেলা ভাঙারই খেলা' ও 'পিউ কাঁহা পাখি' এখনো মনে আছে।
    এমন স্বাদু ব্যঞ্জন ভবিষ্যতে শিবাংশু আরো পরিবেশন করবেন বলেই জানি।
  • Shibanshu De | 30.139.67.50 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:১৯46620
  • আমি তো স্মশানে এও গেছিলাম গান গাইতে গাইতে -
  • শিবাংশু | 127.201.165.9 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ১২:৪৪46621
  • এতো ভূতের গপ্পো চলছে চারদিকে, তাই বুঝতে পারছি অলরেডি ভূত হয়ে গেছি কি না :-(

    মানে, উপরে 30 October 2013 11:49:07 র সময় পোস্টিত, গান গাইতে গাইতে শ্মশানে যাবার কোনও দাবি এই অভাগা কদাপি করেনি ।

    ওঝারা কি কিছু বলতে পারেন?
  • কল্লোল | 125.241.20.166 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০১:৩১46624
  • শিবাংশুকে আর কি বলবো।
    ও গান নিয়ে লিখলে মোহিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
    মাধুরী আর প্রতিমা। বাংলা গানের অনসূয়া-প্রিয়ংবদা। ঘরের সন্ধ্যা-আরতি বা বাইরের লতা-আশার শকুন্তলীয় ছায়ায় ঢাকা পরে রইলেন চিরটাকাল।
  • শিবাংশু | 30.139.67.50 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:০০46623
  • কিন্তু আমি তো স্মশানে গিয়েছিলাম গান গাইতে গাইতে তা 30 October 2013 18:১ 4:৪৮ পোস্ট এ কোন ভূত না বলল বজা গেল না - হুম মনে হচ্ছে রবি ওঝা কে ডাকতে হবে বা কৃত্তিবাস ওঝা কে। চারিদিকে এত অদভূত যে কি বলব।

    শিবু
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন