দেশভাগের গান। ১৫ ই আগস্টের গান। পুরোনো গান। প্রতি বছর নিয়ম করে দিই। দিয়েও চলব। না দিয়ে উপায় নেই। কারণ এই পাপের কোনো প্রায়শ্চিত্ত হয়নি। হনুমানরূপী 'বীর'রা এখনও লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা অনেকেই স্বাধীনতা বলতেননা। পার্টিশন বলতেন। পার্টিশন মানে দাগ। পার্টিশন মানে ক্ষত। এই ক্ষতকে মনে রাখার প্রয়োজন আছে।আমরা ১৫ তারিখ আরও কিছু জিনিস করতে চলেছি। ১। আমার নিজের একটা উপন্যাসিকা প্রকাশিত হচ্ছে এই ১৫ তারিখ। অনলাইনেই। "নুনু যখন শনাক্তকরণের চিহ্ন"। যখন লিখতে শুরু করেছিলাম, যাদবপুর-র্যাগিং-লিঙ্গ এইসব ... ...
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘটনা নিয়ে গত দুদিন গোটা বাংলা তোলপাড় তা অত্যন্ত জঘন্য, মর্মান্তিক ও কলঙ্কময়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তনী হিসেবে এই ঘটনা আমাকে ভিতর থেকে কিভাবে বিক্ষত করে রেখেছে সেটা হয়তো একমাত্র আমার সতীর্থরা বা অন্যান্য প্রাক্তনীরাই বুঝবে, কারণ তারাও হয়তো একইরকম ভাবে বিক্ষত। এই ঘটনার প্রভাব আমার উপর দু রকমভাবে পড়েছে। একটা তো অবশ্যই তীব্র কলঙ্কবোধ। যে নিষ্পাপ ছেলেটির প্রাণ গেল, তার বাবা-মায়ের আর্তচিৎকার যতবার টিভির পর্দায় দেখছি, বুকটা মুচড়ে উঠছে আর একই সাথে চোয়াল শক্ত হয়ে উঠছে এই ভেবে যে কতটা নিষ্কর্মা মেরুদণ্ডহীন হলে, কিছু মানুষ এই রকম জানোয়ার হয়ে উঠতে পারে। যাদবপুরকে "এলিট" বলে যারা ব্যঙ্গ করেন, ... ...
কোটি কোটি বাঙালির মতন ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ডার্বি আমারও আবেগ, আমারও হৃদয়ের বড়ো কাছের, আমার জীবনের বহু অবিস্মরণীয় স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই ডার্বির সাথে। এক উদ্বাস্তু পরিবারের সন্তান হওয়ার দরুন - পরিচয়, সত্তা ও মজ্জায় লাল হলুদ ছিল এবং থাকবেই। আজ বৃষ্টি ভেজা এক শ্রাবণের সন্ধ্যা, আগস্ট মাস, সালটা ২০২৩। যেদিন প্রথম যুবভারতীতে গেছিলাম ডার্বি দেখতে সেদিনটাও ছিল এক বর্ষণমুখরিত শ্রাবণের বিকেল, আগস্ট মাস, সালটা ২০০৭। আমি কলেজ থেকে সরাসরি এসেছিলাম যুবভারতীতে আর পাড়ার এক ছোটবেলার খুব কাছের বন্ধু গৌতম সাথে যুক্ত হয়েছিল, আমাদের দুজনেরই ছিল ওটাই ডার্বি দেখার হাতেখড়ি। খেলা ছিল মরশুমের প্রথম ডার্বি, কলকাতা লীগের খেলা। খুব কষ্ট য়েছিল সেদিন, কারণ ইস্টবেঙ্গল হেরে গেছিলো ৫-৩ এ। কষ্ট হয়েছিল সেই ১৬ বছর আগের শ্রাবণের বিকেলটায় ... ...
আমি ব্যক্তিগত ভাবে কখনো কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শারীরিক বা মানসিক নির্যতনের সম্মুখীন হয়নি। হোস্টেলে ও থাকিনি। কিন্তু বহুকাল যাবৎ দেশের নানা প্রান্তে, বিশেষত বিভিন্ন কারিগরি ও প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ঘটে চলা, নানা দুর্ভাগ্যজনক ragging সম্পর্কিত আঘাত, মানসিক যন্ত্রণা, বা হত্যাকাণ্ডের খবরের নিরিখে জানি, স্বপ্নদীপের হত্যা/মৃত্যু বিশেষ বিরল ঘটনা নয়। বহু প্রাণ এভাবেই নষ্ট হয়েছে আগেও। কে বা কারা দায়ী, প্রকৃত ঘটনা কি, সেসব পুলিশ ও বিচারকদের ব্যাপার। তবে সামাজিক মাধ্যম বা সংবাদপত্রে যেটুকু উঠে আসছে তাতে এটা পরিস্কার যে আমাদের সমাজের সর্বস্তরে ব্যাপ্ত বিষাক্ত পুরুষতান্ত্রিকতার পরিণতি হিসেবেই স্বপ্নদীপ আর নেই। এই পৌরুষের চেতনার সাথে জড়িয়ে রয়েছে অহমিকা, আস্ফালন ও ... ...
হিন্দু ধর্মের উৎসস্থল হিসেবে ভারতবর্ষকে জানে সবাই। সিন্ধু নদের তীরবর্তী এলাকায় যারা বাস করতো তাদেরকে হিন্দু বলে আখ্যায়িত করা হয় সেই প্রাচীনকাল থেকে। সেই হিন্দুদের আচরিত ধর্মকেই হিন্দু ধর্ম বলা হয়। আবার অন্যমতে হিন্দু ধর্ম বলে কোনো ধর্ম হয় না বা নেই, আমরা যাকে হিন্দু ধর্ম বলে বলি সেটা আসলে সনাতন ধর্ম। কিন্তু হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্ম, যাই হোক না কেনো, তা যে পৃথিবীর আদিতম ধর্ম এতে কোনো সন্দেহ নেই। আবার ভারতীয় সভ্যতা যে পৃথিবীর আদিতম সভ্যতাগুলোর মধ্যে একটি তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। ভারতীয় সভ্যতা যেমন শুধু সিন্ধু নদের পাড়ে সীমাবদ্ধ ছিল না, বিশেষ করে দ্রাবিড়ীয় সভ্যতা এবং পরবর্তীতে ... ...
সাদা কালোর দ্বন্দ্ব —————— সুপ্রিয়া চৌধুরী —————— সাদা বলে, - তুই এত কালো কেন একেবারে বোকা হাঁদা, কালো বলে,- আমি আছি তাই তুই চোখেতে লাগাস
কপি যতই ওপরে ওঠে-তার পশ্চাত তত স্পষ্ট;পূর্ব থেকে উত্তর লুটেশান্তি ফেরাবে ভ্রষ্ট! টমেটো জমে ঠান্ডানুহ তে আগুন পোহাবে;লাপতা মনু পান্ডাশান্তির জল আনবে!!
র্যাগিং নিয়ে গুচ্ছের লেখা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছেলেপুলেরা কিছুই লিখছেনা। এইসব তুশ্চু জিনিস নিয়ে কী লিখব আর, এইরকম হাবভাব। তাই আমিই লিখি। সব ধামাচাপা থাকবেই বা কেন।এটা নব্বইয়ের একদম গোড়ার কথা। তৎকালীন বিই কলেজের গপ্পো। সেটা তখন বেশ নামী কলেজ ছিল। এবং ১০০% বাধ্যতামূলক আবাসিক। ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া আর কিছু পড়ানো হত না। নতুন ছেলেদের বলা হত মুর্গি। তাদের গোঁফ-দাড়ি ইত্যাদি-প্রভৃতি কেটে ফেলতে হত। যাতে দেখলেই মুর্গি চেনা যায়। র্যাগিং পিরিয়ড বলে একটা ব্যাপার ছিল। লিখিত-পড়িত না হোক, সর্বজনবিদিত। দু-সপ্তাহ না তিন-সপ্তাহ ভুলে গেছি। সেটা শেষ হলে হত জিএফ। অর্থাৎ কিনা গ্র্যান্ড ফিস্ট। সেখানে প্রথম বর্ষ হবার কলঙ্ক ... ...
দুষ্টু অপু..............আমি ছোট থেকে মস্ত বদ ছিলাম। "পাজির পাঝাড়া " বললে পাজি কে আক্ষরিক অর্থে অপমান করা হত। ছোট বেলায় পিসি ই আমাকে মানুষ করেছে। যখন অক্ষর জ্ঞান হয় নি। তখন থেকে সুকুমার রায়ের ছড়া গুলো পড়ে শোনা তো। আমি শুনে শুনে মুখস্থ করে ফেলেছিলাম।সব রাগ পিসির ওপর। একবার দাঁত দিয়ে ব্লাউজ শুদ্ধ মাংস তুলে নিয়েছিলাম।তো একদিনের ঘটনা তখন ও আমরা বেলুড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকি। ১৯৭৫-১৯৮০ অবধি ভাড়া বাড়িতে থেকে ১৯৮০ তে আমরা নিজেদের বাড়িতে উঠে যাই। ঘটনার সময়ক্রম ১৯৭৫-১৯৭৭ এর মধ্যে। মানে আমার কম বেশি চার বছর বয়েস। তো একদিনের ঘটনা। দুপুরে খাওয়ার পরে পরিশ্রান্ত পিসি ভাতঘুমে ঢলে পড়েছে। ... ...
হরিপদ ঘোষ রাজারহাটের এক গ্রাম থেকে সাইকেল চালিয়ে আসে শ্যামবাজার বাগবাজারে দুধ বিক্রী করতে। রাজাবাজারে ক' বিঘে ধানজমি আছে হরিপদর। তবু জাত ব্যবসা ছাড়ে নি সে। রামকান্ত বোস স্ট্রিটে বিভূতিবাবুর শ্বশুরবাড়িতেও সে দুধ দেয়। ওখানে সবাই বলে হরিপদ দুধে জল মেশায় না, জলে দুধে মেশায়। হরিপদ একটা টিনের কৌটো ভরা দুধ দেখিয়ে বলে, 'এটা একদিন খেয়ে দেখুন না ... দুধ কাকে বলে বুঝতে পারবেন। এই দেখুন ... ' , বলে একফোঁটা দুধ নিজের হাতের উল্টোদিকে ফেলে বলে, 'দেখুন দেখুন ... একেবারে বটের আঠার মতো ... পয়সা খরচ করবেন না তার কি হবে ... '। বাড়ির কারোরই অবশ্য হরিপদর এই দামী দুধের সঙ্গেও বটের আঠার ... ...
নামটা খুবই আনকমন। যদি মধ্যিখান থেকে লাইটেড ব্যানার বক্সে লাগানো, পুরো নামটা থেকে "দা" অক্ষরটা ঝরে যায়, তাহলে আরোও আজগুবি হয়ে পড়বে নামটা। অটোতে করে সন্ধ্যাবেলায়, সিঁথি, মণ্ডলপাড়ায় ভাইয়ের বাড়ি যেতে যেতে এই দোকানের নামটি চোখে পড়ার পর থেকে, এর বুতপত্তি নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করতে থাকি। আসলে আমি যে কত উঁচু দরের অকেজো মানুষ, এটি তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে, অবশ্যই গণ্য করতে পারেন।আসলে বরাহনগর বাজার যাবার পথে, কমলা মেডিকেল ... ...
চক্রব্যূহ: অম্লান সরকার (১)এডমন্ড চিক বরাইক। ডুয়ার্সের এক চা বাগানে কাজ করা কুলির ছেলে। জাতে মদেশিয়া। ব্রিটিশ রাজত্বে এক সময় এদের পূর্বপুরুষদের ইংরেজরা বিহারের ছোট নাগপুর অঞ্চল থেকে কিছুটা ভুলিয়ে ভালিয়ে, লোভ দেখিয়ে, কিছুটা জোর জবরদস্তি করে ডুয়ার্স
(১) রোজকার অভ্যাসমতো সকালে বাগানে পায়চারি করছি এমন সময় দেখা মিস্টার নেউল ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। নরম আলোয় মাখা সকালের এই সময়টা ওদেরও ব্যস্ততার সময় --এদিক সেদিক পরিক্রমা করে বেড়িয়ে বেড়ানোর পাশাপাশি নিজেদের আহার্য টুকিটাকি সব খুঁজে নেবার তাড়া থাকে এই সময়ে।চলনে বলনে সেই ব্যস্ততারই আভাস। মিস্টার নেউলকে সুপ্রভাতী সম্ভাষণ জানাতেই প্রত্যাভিবাদন ফিরে আসে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কানে ভেসে আসে আরও কিছু কচিকাঁচার ... ...
বুধবার বিকেলে তিনজনে আবার জড়ো হল শ্যামবাজারের কফিহাউসে । অমিতাভ স্নেহাংশুকে বলল, ' সেদিন ওরা কি বলছিল রে ? '----- ' কারা ? '----- ' ওই শতদল আর কমল দাস । '------ ' ও ... কিছু না । বলছিল কলেজ স্ট্রিটের হাউসে যেতে ... যোগাযোগ রাখতে .... এইসব । আমি আমাদের ব্যাপারটা ডিসক্লোজ করিনি ... '----- ' ভাল করেছিস । ফাইনালি পত্রিকা বেরোলে তো দেখতেই পাবে । আর ওদের কাছ থেকে কোন হেল্পের আশা না করাই ভাল .... 'সুনির্মল বলল, 'ওরা নিজের ধান্দা ছাড়া আর কিছু বোঝে না । আসলে ওরা চাইছে ... ...
হয়তো আর কয়েক দশক বাদে,চারিদিক ছেয়ে যাবে বিজ্ঞাপনে,এখনের থেকেও বেশি,অনেক অনেক বেশি,প্রতিটা ঘরের দেওয়াল, রাস্তার পিচ,কংক্রিট বা মাটি কেউ বাদ যাবে না,বইয়ের পাতায় ফাঁকা অংশ,টাঁকলার টাঁক, লোমহীন বুক হাত পা,জামার কাপড় বিজ্ঞাপনে ভর্তি হবে,সাদা জামার দাম হবে বেশি,আর বিক্রির জিনিস,সে তো ইজ্জত থেকে শুরু করে আলপিন-চিনির দানা,সওওব বিক্রি হবে,মানুষের বিবেক,দয়া, মায়া এসবের দাম সবচেয়ে কম হবে,মরার পরে লাশও বিক্রি করবে আত্মীয়,দুটো টাকা বেশি পেলে,না কেনা গ্যাজেটটা কিনে নেবে হয়তো,লাশ তো সেই পচেই যাবে! ... ...
আমি মধু। আমার মা অনেক খানি ভালো বাসা দিয়ে আমার এই নাম খানি রেখেছিলেন। আমার বাড়ির পাশের আমগাছ খানি ছোট বেলা থেকেই ছিল আমার স ই। মা বলতো সেই আমি যখন জন্মেছিলাম তখন আমার দাদু অনেক সখ করে এই গাছ খানি লাগিয়ে ছিল।সেই হিসেবে আমরা দুজনেই সমবয়সী বন্ধু হয়ে উঠেছিলাম। একটু বড় হতে,গাছের লাগোয়া জানালাটি ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা।সারাদিন কত পাখ পাখালির আনাগোনা ছিল এই গাছে।সবার কূজনে জায়গাটা মুখরিত হয়ে থাকতো।আমি জানালা দিয়ে সেই সব দেখতাম আর সেই সব অজানা পাখিরাও খুব শীঘ্রই আমার খুব কাছের হয়ে উঠেছিল।মাঘ ফাল্গুনের হিমেল হাওয়ায় ভেসে যখন গাছখানিতে প্রথম মুকুলের ছোঁয়া এসে লাগতো ... ...
এঁকেছিলে মিনি-রহমতকে তোমার ধ্রুপদী তুলিতে; লগ্ন ভ্রষ্ট ইজেল আজকে খুনে রঙের উৎপাতে।
এরপর শাজাহানের আদেশে শাহাজাদা দারা শুকোহ, নাদিরা বানু বেগম আর নবজাতককে নিয়ে শাহী বহর আবার বেরিয়ে পড়ে আগ্রা থেকে লাহোরের দিকে। পৌঁছতে সাড়ে ছশো কিলোমিটার রাস্তা মাস আড়াই লাগার কথা। পথেই নাদিরার মেয়েটা মারা গেল তখন তার মাত্র দু মাস বয়স।পবিত্র রমজানের শেষে ঈদ উল ফিতরের সময়েই ঘটনাটা ঘটে। এই ঈদ খুশির না হয়ে এক দুঃখের উদযাপন হয়ে গেল। ভেঙে পড়লেন দারা, হয়ে পড়েন ভালো রকম অসুস্থ। যথারীতি নাদিরার ... ...
কবিপ্রণাম----------- সুপ্রিয়া চৌধুরী —————এই পূণ্যতিথিতে তোমায় প্রণাম জানাই-আমরা তোমার ভাষায় কথা বলি তোমার ভাষায় গাই। তোমার এই অমৃত বাণী, মুছে দিয়ে সব গ্লানি, জাগিয়ে দিক্ অন্তর চেতনা- স্নিগ্ধ হয়ে উঠুক মনের ভাবনা- এই টুকু করো আশীর্বাদ, বাইশে শ্রাবণে আজ।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিদ্যালয়ে বাংলা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে মন্ত্রীসভায়। একই সঙ্গে শিক্ষা কমিশন তৈরি এবং বেসরকারি বিদ্যালয়কে নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাবও। দেখে খুবই আনন্দ পেলাম, বলা বাহুল্য। কিন্তু কথা হল, এখনও কিছুই হয়নি। রাজ্য সরকার বিল পাশ করায় বিধানসভায়। তারপর সেই বিল যায় রাজ্যপালের কাছে। তারপর, দিল্লির কর্তাদের পছন্দ না হলে সেই বিল অনন্তকাল ঝুলিয়ে রাখার প্রথা আছে। এক্ষেত্রেও তাই হবে কিনা না জানা পর্যন্ত উল্লাসের বিশেষ কারণ নেই। এসব আটকে যাবে, আশঙ্কা করার যথেষ্ট কারণ আছে। গত কালই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, হিন্দিকে ধীরে-ধীরে মেনে নিতে হবে বলে দাবী করেছেন। তার আগের দিন, সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়েছে, হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা। কেন্দ্রীয় স্তরে এটাই ... ...