এর মধ্যে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে লোক মারফৎ খবর এলো, মানিক এখন আগরতলায় আছেন। উনি কুসুমদের ওখানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন। কুসুমের এখন কেরানীগঞ্জে থাকা ঠিক নয়, যে কোনো সময় হামলা হতে পারে কুসুমের ওপর - মানিকের হদিশ পাওয়ার জন্য। খবর পান বরিশালের বানারীপাড়া অঞ্চলে অবস্থান নেয় শ্রমিক আন্দোলন এবং গঠন করে জাতীয় মুক্তিবাহিনী। যা দখলমুক্ত করে পেয়ারা বাগানের খানিকটা। সেই মুক্তিবাহিনী পরিচালনা করতে সিরাজ সিকদারকে প্রধান করে সর্বোচ্চ সামরিক পরিচালনামণ্ডলী গঠন করা হয়। বরিশালের যেসব ঠিকাদার পাক সেনানিবাসে তাজা রসদ অর্থাৎ মাছ, মাংস, সবজি ইত্যাদি সরবরাহ করে থাকে, তারা মানিকের পরামর্শে এক বৈঠকে বসে সেনানিবাসে তাজা রসদ সরবরাহ বন্ধ করার ... ...
জিনিয়া,অফিস ডেস্কে বসে একদম সকালবেলাতেই রাজ্যের কাজের বদলে কিছু লিখতে বসার কোন মানেই হয় না। তোর ভাই জেরেমির (তোদের দু‘জনেরই বিশেষত: তোর ভাইয়ের এমন বিদেশী বা ক্রিশ্চিয়ান টাইপের নাম রাখায় একটা সময় অনেক কথা শুনতে হয়েছে) রাগ হতেই পারে যে ওর বদলে তোকেই কেন এসব চিঠি লেখা হয়। বারবারই সেই একই উত্তর দিতে হবে। তোর জন্য পৃথিবীটা প্রতিটি পদে পদে যত বিড়ম্বনা ও অপমান, আঘাতের হবে এবং এমনকি একদম বিনা দোষেও - সেটা জেরেমির জন্য কখনো হবে না।লেখার ছিল অনেক কিছু। জমে থাকে অনেক কাজ, অনেক লেখা- যার প্রায় কিছুই করা হয় না। উইলিয়াম ব্লেকের (নাকি ব্লেইক উচ্চারণ হবে? তুই ... ...
হাওড়া থেকে ৫৫ নম্বর বাস যেত বিই কলেজে। সেই বাসের গতি নিয়ে বিই কলেজে নব্বইয়ের দশকে অনেক মিথ চালু ছিল। তার মধ্যে একটা এই, যে, একদিন এক ৫৫-নম্বর, হাওড়া স্টেশনে স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে আছে। যেমন থাকে। ড্রাইভার নেমে পাশের দোকানে চা-বিড়ি খেতে গেছে, কন্ডাক্টার হেল্পাররা তারস্বরে ময়দান-ট্রামডিপো-অলকা-বিক্কলেজ-বিগার্ডেন বলে হাঁকছে। এমন সময় কন্ডাক্টারের নজরে পড়ল, এক থুত্থুড়ে বুড়ি বাসের পিছন থেকে হেঁটে হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছে। কন্ডাক্টারের অঢেল সময় এবং দয়ালু মন। জিজ্ঞাসা করল, বুড়িমা, যাবেন কোথায়? বুড়িঃ একটু বিগার্ডেন যাব বাবা। কন্ডাক্টারঃ বাসে উঠে পড়ুন। বুড়িঃ ছেড়ে দাও বাবা। কন্ডাক্টরঃ ভাড়া লাগবেনা।বুড়িঃ আজ নয় বাবা। আরেকদিন। আজ একটু তাড়া আছে।আশি-নব্বইয়ের বোম্বে সিনেমার কথা এলেই, ... ...
না- সেই নাটকটি মূলে বা অন্য ভাষার অনুবাদে পড়া হয়নি। বহু আগে কোন লিটল ম্যাগাজিনে সার্ত্রের নাটকের এক নায়িকার একটি সংলাপের বঙ্গানুবাদ পড়া হয়েছিল: ‘আমি এখন পূর্ণ তবে আর শুদ্ধ নই।‘ এমন একটি পংক্তি ভয় পাইয়ে দেয়- অবশ্যই সব নারীকে নয়, তবে কোন কোন বিদঘুটে মেয়েকে বটেই। সারাজীবন এক জড় ভয়ে আচ্ছন্ন থাকে সে। ফলে কারোরই নিকটবর্তী হতে পারে না। আবার হয়তো সে সমকামীও নয়। প্রাচ্যের সমাজ আর তার চাপিয়ে দেওয়া পরত পরত পর্দা মস্তিষ্কে চেপেই থাকে। আবার কোন কোন মেয়ে ষোলতেই সাহসী। দেখতে দেখতে পরের প্রজন্মের কন্যা শিশুরাও বড় হয়ে উঠছে। তারাও বধূ হচ্ছে- পুরুষকে ভয় পাচ্ছে না। আবার ... ...
অন্তর্জাল! ব্লগ!নতুন গণমাধ্যমের পাঠক-কৌতূহল সম্ভবত সামান্য স্পর্শ করছে আমাকে!আমি এড়িয়ে যেতে পারছি না মনোজগতে এক অস্বাভাবিক আবেগের উপস্থিতি!বিবেচনাবোধলুপ্ত সরীসৃপের মতো আমি নিজেকে সর্পিলাকারে অভিযোজিত করার চেষ্টা করছি বিচিত্রধর্মী পাঠাভ্যাসে, প্রবেশ করার চেষ্টা করছি কার্যকারণহীন প্রতিদিন লেখার অভ্যাসে!এই মাত্র শেষ করলাম শিশুসাহিত্য! পরমুহূর্তে হাত দিলাম কবিতায়! তারপরই হয়তো গল্প, ছড়া অথবা ভ্রমণ কিংবা স্মৃতিচারণ! বাদ যাচ্ছে না কোনোটাই! ভারি অদ্ভুত!ঘোরগ্রস্তের মতো লিখে যাচ্ছি আমি!তিনি এসে বসলেন পাশে!চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে স্মিতহাস্যে বললেন, কী লিখছেন এখন? ঠিক বুঝতে পারছি না! চেষ্টা করছি বিবিধ শিরোনামে কিছু একটা লেখার! তাড়াতাড়ি বললাম আমি। আসলে সময় নষ্ট করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই আমার! কেন লিখছেন? নির্লিপ্ততা তাঁর কণ্ঠে স্পষ্ট।প্রয়োজন! তাই লিখছি! ... ...
শহরের এক কোনে আমি ভবঘুরে, রাত ঘেঁসা নির্দয় বিকেল নিভিয়ে,চেনা পথে ভীড় ঠেলে, খুঁজে ফিরি গলি,নতুন মোড়ের...শেষ সীমানায় এসে, শুধু স্মৃতি রেখে পথ ছেড়ে যাবো, "আরও বাকি আছে", ভেবে ফেলে রাখা তুচ্ছ হিসেব, জমে ভীড় হয়ে পড়ে থাকা জঞ্জাল হাতড়িয়ে, পাহাড়ি নদীর মতো কোন একলা বনে, গাছের আড়ালে থাকা পাখির ডাকে, সুখ খুঁজে নিও যদি পেরে ওঠো....এলোমেলো আফসোসে নোনতা গালে, সান্ত্বনা মাখা কম্বল ছুঁয়ে, উষ্ণ আবেগ যত ,ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে...জোৎস্নার রঙে ঢাকা চাঁদের কালোয়,খুব শোভা, সুখ মোড়া রাঙতায় ঢাকা অভিশাপ।.. ... ...
'In Nekhludoff, as in every man, there were two beings: one the spiritual, seeking only that kind of happiness for him self which should tend towards the happiness of all; the other, the animal man, seeking only his own happiness, and ready to sacrifice to it the happiness of the rest of the world. At this period of his mania of self-love brought on by life in Petersburg and in the army, this animal man ruled supreme and completely crushed the spiritual man in him. But when he saw Katusha and experienced the same feelings as he had had three years ... ...
ইহুদি সম্প্রদায়কে ইউরোপে কিভাবে দেখা হতো তার বড় উদাহরণ হতে পারে উইলিয়াম শেকসপিয়ারের “ মার্চেন্ট অব ভেনিস “ নাটকের শাইলক চরিত্রটি। যে শরীরের মাংশ কেটে তার পাওনা আদায়ের দাবী জানায়।.সম্পূর্ণ ভিন্ন সমাজের প্রেক্ষাপটে নিয়ে লেখা রাশিয়ান লেখক নিকোলাই গোগল তার তারাস বুলবা উপন্যাসে আরেক ইহুদি সুযোগ সন্ধানী চরিত্র ইয়ানকেল-কে সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন তাদের সম্পর্কে তখনকার শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবিদের মনোভাব।.ইংল্যাণ্ড, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়মিত তাড়া খেয়ে তাড়া মিডল ইস্টে ঢুকতে থাকে। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান একটি চালও ছিলো। ক্রিশ্চিয়ানরা যেহেতু ইহুদিদের পছন্দ করতো না তাই তারাও চাচ্ছিল মুসলমানদের এলাকায় তাদের ঢুকিয়ে দিতে।.আর প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে যাযাবর জীবনের অবসানও চাচ্ছিলো ... ...
একটি বুলেটের বদলে একটি ফুলআর পর্দার ওপারে উদ্যত রাইফেল ঝাঁঝরা করে দেয় আদিবাসী বুকএকটি বুলেটের বদলে একটি ফুলআর সেই সুযোগে গাঁয়ের বিটিদের সুস্বাদু মাংসের লোভে হানা দেয় বন্দুকধারী শ্বাপদের দলএকটি বুলেটের বদলে একটি ফুলঅথচ বেপরোয়া ছররা অন্ধ করে দেয় প্রতিবাদী চোখ যে ফুল কেবল শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের প্রতিরোধ ভোঁতা করে দেওয়ার জন্যেই ফোটেসে ফুল পায়ের তলায় পিষে ফেলাই ভালো ... ...
নির্ভয়া ও হাথরস কেসে,সীমা সমৃদ্ধি উকিল'আদালত ও একটি মেয়ে' আজো মনে পড়ে!-ঠ্যাঙ্গারে গোবিন্দ থাকলে সঙ্গ দিতো তারেনিঃস্বার্থ অকুতোভয় মানবিক মেয়ে সামিল।প্রহরী মহান,রির্পোট নিতেই অস্বীকার করে!লখিমপুর ও খেরির পরে আবার পিলিভিট!মোরাদাবাদ ,দিল্লী ঘুরে কানপুরে কালপ্রিট!-ধর্ষ-রথ গড় গড় করে চলছে দিনে-দুপুরে !!
বিছানায় শুয়ে বকুল ভাবে, মায়ের লেখা পাতাগুলির থেকে অনেক ঘটনা জানলেও শুনেছিলো পুতুল কাকির থেকে তার জীবনের সবচেয়ে মর্মান্তিক দিনের কথা। বকুল যখনই নবারুণ ভট্টাচার্যর লেখা, ' ----- এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না / এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না / এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না / এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না। ----' কবিতাটি পড়ে - যেন আগুন লেগে যায় নিজের শরীরের রক্তে, আর তখনই মনে পড়ে যায় পুতুল কাকির, বাবার, মায়ের সবহারানোর কাহিনী। (আট)ঢাকার সিদ্ধেশরীর বাড়িতে তালা লাগিয়ে কুসুম ও পুতুলের শ্বশুরমশাই'রা গুলবাগে চলে গিয়েছিলেন। ওখানে পৌঁছে কুসুমের মা দেখেন বাড়ি প্রায় ভস্মীভূত। আশেপাশের প্রায় সবকটি বাড়িরই ... ...
'আমাদের আজ বলা হলোযে তুমি সত্যিই মারা গেছো, শেষ পর্যন্ততারা তোমাকে সেখানে নিয়ে যেতে চেয়েছেযেখানে তোমাকে তারা নিয়ে যেতে চেয়েছিল।ওরা ভুল করেছেআমাদের চেয়েও বেশি ভুল করেছেযদি নিখাদ মর্মর মূর্তি হিসেবেইতোমাকে ওরা ভেবে থাকেইতিহাসে তুমি অক্ষয়গতি প্রাপ্ত, যেখানেপ্রত্যেকেই তোমাকে আবিষ্কার করতে পারেযেখানে তুমিকোনদিনই পাবক অগ্নি ব্যতীত কিছু ছিলে না,আলো, বাতাস,আমেরিকার স্বাধীণতা সহযেখানেই যা কিছু প্রেরণা সঞ্চারী, সর্বত্র ছিলে তুমিযা ওরা কখনো কল্পনাও করতে পারে না-চে গুয়েভারা!'এলিসিও দিয়েগো (১৯২০-১৯৯৪), ‘হুয়ান রুলফো ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর ল্যাটিন আমেরিকান এ্যান্ড ক্যারিবীয়ান লিটারেচার‘ পুরষ্কার বিজয়ী কবি,চে গুয়েভারার মৃত্যুর পর যে কবিতা লিখেছিলেন তার শুরুর কয়েকটি পংক্তি। স্প্যানীশে মূল কবিতাটি বেশ দীর্ঘ। ‘চে গুয়েভারা‘র নাম বলতে একটু ... ...
ফুর্তি। এইমাত্র খবর পেলাম, ব্রাজিলে বলসোনারো হেরে গেছেন। বামদিকের লুলা আসছেন, যদিনা অবশ্য এর মধ্যে কু-টু হয়ে যায়। সাও পাওলোর রাস্তায় উৎসব চলছে। মানে, টিভি আর ইন্টারনেটে যা দেখলাম।বলসোনারোর নাম জানেননা, এমন এই বাজারে কেউ নেই। দক্ষিণপন্থী ছাপ্পান্ন-ইঞ্চিদের মধ্যে মোদিবাবুর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবেন এই ভদ্রলোক। ভালোদিন এর খোয়াব দেখিয়ে জিতেছিলেন। তারপর ' কালাধন' আর 'দুর্নীতি'র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি বলে খপাখপ বিরোধীদের জেলে ভরছিলেন। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি লুলাকেও দুর্নীতির অভিযোগে কারাবন্দী করেছিলেন। এ ছাড়াও, কোভিড মোকাবিলায় প্রচন্ড দক্ষতা দেখান, এবং দেশের নির্বাচনের পদ্ধতিই বদলে দেবেন বলে দাবী করেছিলেন।যা হোক, এসব সবাই জানেন। প্রবন্ধ লেখার মানে নেই। ফুর্তির ব্যাপার হল এই, যে, একে ... ...
একটি মোমে আলো ধরানো/ ইওসা বুসোনএকটি মোমের আলোআর একটি মোমে ধরানো-বাসন্তী সন্ধ্যা।এক শিশিরের ভুবন/কোবাইশি ইসসাএক শিশিরের ভুবন,এবং শিশিরের প্রতিটি বিন্দুতেএক সংগ্রামের পৃথিবী। কুন্তলরাজি/মাতসুয়ো বাশো পাতায় চালের পিঠেএক হাতে মুড়োতে মুড়োতেমেয়েটি তার কুন্তলরাজি বাঁধলো পিছনে...পুষ্পিত চেরী তরুতলে/কোবাইশি ইসসা পুষ্পিত চেরী তরুতলেআগন্তকেরা আসলেকেউই নয় আগন্তক! পপি ফুল ফোটে/কাতসুশিকা হোকুসাইআমি লিখি, মুছি, পুনরায় লিখিআবার মুছি এবং আবারও...একটি পপি ফুল ফোটে। (অনুবাদিকা প্রত্যয়ভুক্ত দেখি বেশ রাগ করেই আমাকে বলেছেন যে তিনি আমার ‘মতামত‘ চান না- ‘হ্যাজ‘ নামানো বলতে ঠিক কি যে বুঝিয়েছেন তা‘ আপনিই ভাল জানেন। যাক...ভেবে দেখলাম প্রিয় বোণ...জীবনের অনেকটা সময় বৃথা তর্কে-ঝগড়ায় অপচয় করেছি। সেসময়টা কত ইতিবাচক, গঠনমূলক কাজই না করা যেত! কাজেই কাণ ধরছি যে ... ...
পাতায় চালের পিঠেএক হাতে মুড়োতে মুড়োতেমেয়েটি তার কুন্তলরাজি বাঁধলো পিছনে...(মাতসুয়ো বাশো)।আগন্তকেরা আসলেকেউই নয় আগন্তক!(কোবাইশি ইসসা)আমি লিখি, মুছি, পুনরায় লিখিআবার মুছি এবং আবারও...একটি পপি ফুল ফোটে।(কাতসুশিকা হোকুসাই)...কোন মন্তব্য করার বা একটিও পোস্ট করার ইচ্ছা ছিল না। তবে ‘অনুবাদিকা‘ প্রত্যয়ভুক্ত মতামত চাইলেন। কি আর বলি? ষাট বছর বয়স হতে চললো। দেরিতে বিয়ে বলে দুই কিশোর-কিশোরীর পিতা। জীবনে একবার তলস্তয়ের লেখায় এক নারীর প্রসব বেদনার বিবরণ পড়ে মনে হয়েছিল এটা মা হয়েছে এমন নারীও লিখতে পারবেন না আর ‘অনুবাদিকা‘ প্রত্যয়ভুক্তর অনুবাদ পড়ে মানতে হলো যে এমন অনুবাদ কোন ‘পুুরুষ‘ও করতে পারবেন না। প্রেম আমিও করেছি। আমার প্রেমিকা কাম বউকে যৌবনে একটি/দু‘টি জাপানী হাইকু ... ...
আমি হাওয়া দেখিনি। হাওয়া নিয়ে প্রবল হাওয়া বাংলা ভাষাটার জন্য খুবই ভালো, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা করে আনন্দদায়ক কিছু দেখতে পাচ্ছিনা। "বাংলা সিনেমার এখনও দর্শক আছে" এটা কোনো কথাই না, এটা প্রমাণ করে কলার তোলার কোনো মানেই নেই। যদ্দিন না বাংলা ভাষাটা বাংলার পশ্চিমদিক থেকে উঠে যাচ্ছে, ততদিন বাংলা সিনেমার দর্শক থাকবে। কথা হল, পশ্চিমবঙ্গবাসী মূলধারার সিনেমানির্মাতারা দর্শকের জন্য কিছু কি দিচ্ছেন? সিনেমায় আমি একটু ধীরে চলি, ওটিটিতে না এলে কিছুই দেখা হয়না, ফলে গত ছমাসের রিলিজগুলো দেখিনি। অপরাজিত সমেত। তা বাদে, ওটিটিতে যা দেখেছি, সে অতি ভয়াবহ। নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজন বাংলা সিরিজ বা সিনেমার পিছনে পয়সা ঢালেনা, বাঙালিদের তুলে ... ...
প্রসবের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে ডাক্তার কুসুমকে ঘুমের ইনজেকশন দেন, প্রসবের পরপরই। সকালবেলায় কুসুমের জ্ঞান ফিরলে দেখতে পান একটা ফুটফুটে বাচ্চা পাশের খাটে শুয়ে আছে, পাশে একজন নার্স চেয়ারে বসে। নার্সটি একটি বালিশ পিছনে দিয়ে কুসুমকে বসতে সাহায্য করে, কোলে দেয় ফুটফুটে কন্যা সন্তানটিকে। কুসুম পান একটি মিষ্টি সুবাস। মন বিভোর করে দিচ্ছে যেন। মনে হচ্ছে যেন একটি জ্বলজ্বলে তারা তার কোল আলো করে শুয়ে আছে। তখনই কুসুম ঠিক করেন মেয়ের নাম রাখবেন, বকুল। দুই হাত মুঠি পাকিয়ে চুপটি করে শুয়ে আছে সে। নিষ্পাপ পবিত্র একটি মুখ। সমস্ত মানসিক কষ্ট দূর করে কুসুমের শরীরে মনে যেন একটি ... ...
আত্মচেতনা, শুদ্ধতার আর আত্ম বলিদানে একেকটি মানুষ ভিতরে গুমরে কেঁদে মরে, বাতাসে ভেসে বেড়ায় সে কান্নার সুর। দু:খের নীল রক্তে, আকাশ রূপ নেয় গোধূলীর রক্তিম আভায়।কিছু কিছু মানুষের গতিপথ ঠিক যেনো সূর্যাস্তের মতো শেষ হয়ে যায়। জীবনে নেমে আসে ঘুর অমানিশা অন্ধকার । এমনকি শেষ হয়ে যায় জীবনের অভিসন্ধান। কে জানে একজন মানুষ কতটা কষ্ট পেলে তার মৃত্যুতে যুক্ত হয় আত্মহত্যা কিংবা অপমৃত্যু! জীবন অন্বেষায় তার কি এমন হতাশা কিংবা অপমানের আহতি, কি এমন চাওয়া যা সে পায় নি, কি এমন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে যেখানে হেরে গিয়ে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে।—এসবকিছু আসলে কি!কোনো নাম না জানা অদৃশ্য অপশক্তি, নাকি নিজের ... ...
প্রাচীন ভারতে একটা যুদ্ধ হয়েছিলো। তিন ধরণের তন্ত্র বা রাজনৈতিক আদর্শ তাতে জড়িয়ে পড়েছিলো। রাম রাজ্য নাকি রাবণ রাজ্য না বালি রাজ্য, কোনটা ছিলো আদর্শ রাজ্য সে সম্পর্কে রামায়ণ বাল্মিকী পক্ষ নিয়েছিলো রামের। নাকি তা আমাদের বোঝার ভুল? না বোঝা অনেক কথা রামায়ণের প্রতিটি লাইনে লেখা আছে। বাল্মিকী লিখেছেন একরকম আর তার ভেতরে সংকেত দিয়েছেন অন্যরকম। ধর্মীয় আবেগের দিক দিয়ে নয়, নয় আবেগে আঘাতের কোন চেষ্টা, শুধুমাত্র ভাষার সংকেত উদ্ধারই একমাত্র উদ্দেশ্য এই লেখার। বাল্মিকী রামায়ণ মতে রাম নাকি রাজত্ব করেছিলেন ১১ হাজার বছর। অর্থাৎ তার প্রবর্তিত নীতি চলেছিলো ১১ হাজার বছর বা দীর্ঘদিন। কেমন ছিলো সে রাজত্ব? সকলে নাকি সুখে ছিলো। ... ...