এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বৃষ কক্ষ (হল অফ ব্যুলস)

    Stone Age Publications লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ অক্টোবর ২০২২ | ২৭৬ বার পঠিত
  •  
    ‘পুরাতত্ত্ববিদেরা শুরুতে এমন কথায় কিছুতেই আস্থা রাখতে পারেননি যে প্রাণীর এমন সজীব ও জীবন্ত প্রতিফলন সেই তুষার যুগের মানুষের পক্ষে করা সম্ভব ছিল।‘

    : আর্ণস্ত গমব্রিশ, ‘দ্য স্টোরি অফ পেইন্টিং, ১৯৫০।‘

    বৃষ কক্ষ (হল অফ ব্যুলস)
     
    ল্যাসকো গুহাচিত্র, ফ্রান্স : পুরাতণ প্রস্তরযুগের এই গুহাচিত্রটি (এখানে ছবিতে মূল গুহাচিত্রের অনুকৃতি বা রেপ্লিকা দেখা যাচ্ছে) খ্রিষ্ট পূর্ব ১৬,০০০-১৪,০০০ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে আঁকা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। চিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪৪.২৫ ফুট। ১৯৪০ সালে চারটি বালক বনে খেলার সময় নিতান্ত আকষ্মিকভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের ল্যাসকোর এই গুহা আবাসন আবিষ্কার করেছিল বা খুঁজে পেয়েছিল বলাই ভাল। প্রায় ১৭,০০০ বছর আগের ৬০০ ছবিতে ভরা এই গুহার দেয়ালগুলো নানা জাতের প্রাণীর ছবিতে আকীর্ণ, যাদের ভেতর রয়েছে হরিণ, ঘোড়া ও ষাঁড়। এই ছবিগুলোর বর্হিরেখা কোন বিশেষ ধরণের তুলিতে আঁকা হয়েছিল এবং ঘোড়ার বর্ণ ফুটিয়ে তুলতে সম্ভবত: মুখ দিয়ে রং ছেটানো হয়েছিল বা একটি ফাঁপা হাড়ের মধ্য দিয়ে রং ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এই গুহা চিত্রে ষাঁড়ের মাথাটি বিষ্ময়কর ভাবে বাস্তবানুগ আর ঘোড়াটিকে সহজেই মঙ্গোলিয়ার প্রজালস্কি জাতের ঘোড়া বলে চেনা যায় যা আজো পৃথিবীর বুকে টিঁকে আছে। এই জাতের ঘোড়ার মস্তক ছোট আর দেহটি কিছু ভারি। পরে ল্যাসকোর কর্মকর্তারা যখন দেখলেন যে পর্যটকদের জন্য ল্যাসকো গুহার বিশেষ আবহাওয়ার চারিত্র্য নষ্ট হয়ে গুহাচিত্রগুলোর রং ফিকে হয়ে আসছে, তখন তাঁরা গুহার  একটি অনুকৃতি বা প্রতিরূপ তৈরি করালেন। যেহেতু মূল গুহাটি খুবই দূর্গম এলাকায় অবস্থিত ছিল, কাজেই শুধুই আলঙ্কারিক চিত্রাঙ্কণের জন্য মূল গুহায় আর ফিরে যাওয়া হয়নি এবং বৃষ দেহের বর্হিরেখায় আগের ছবিগুলোর আংশিক ঢাকা পড়েছে এবং এর ফলে ছবির নন্দনতাত্ত্বিক দ্যোতনা কিছুটা হলেও বিনষ্ট হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য ব্যখ্যা হলো মূল গুহাচিত্রে প্রাণীগুলোর চিত্র অঙ্কণের সাথে পশু শিকারের কিছু প্রতীকী সংযোগ ছিল।

    : ‘চিত্রকলার গল্প, কিভাবে শিল্পের সৃষ্টি হয়েছিল (দ্য স্টোরি অফ পেইন্টিং, হাউ আর্ট ওয়াজ মেড)।‘

    : (এই অন্তর্জাল পত্রিকার বিদগ্ধ সম্পাদক মন্ডলী, সক্রিয় সদস্য ও পাঠক সবার কাছেই ক্ষমা চেয়ে বলি আমি দুই ত্যাঁদোর কিশোর-কিশোরীর অভিভাবক...মা অথবা বাবা...সবই আমি! ওদের ভুলিয়ে রাখতে নানা কিছু করতে হয় আমাকে। এবং ওদের আব্দারেই আমার প্রকাশনা সংস্থা থেকে চিত্রকলার ইতিহাস বিষয়ক একটি বই সামনে প্রকাশিত হতে পারে। কাজেই ‘দ্য স্টোরি অফ পেইন্টিং‘ (বইটির মুখবন্ধ লিখেছেন ‘মিকেলেঞ্জেলো এ্যান্ড দ্য 
    পোপস সিলিং
    ‘-এর লেখক রস কিং) থেকে এর চতুর্থ পাতার সংক্ষিপ্ততম পরিচ্ছেদটির তথ্য বাংলায় তুলে ধরা হলো। ভুল-ত্রুটি থাকলে সবাই ক্ষমা করবেন এবং অবশ্যই সংশোধন করবেন। আগে অবশ্য বইটির ভূমিকাই বাংলায় তুলে ধরা উচিত ছিল। তবে, নানা কাজের ফাঁকে যেটুকু পারা যায়...কাজেই ক্ষুদ্রতম পরিচ্ছেদটিই এখানে পেশ করা হলো। পারলে আরো কিছু কিছু পাতার তথ্য সামনে পেশ করা হবে- কোন তথ্য চুরি করে নিজের নামে বা প্রকাশনার নামে চালানো হবে না। সব বই বা লেখকের নামই যথাযথ ভাবে স্বীকার করা হবে।
     
    ভেবে দেখলাম জেমস জয়েস নোরাকে কি চিঠি লিখেছেন বা লেখেননি সেটা নিয়ে অনুবাদক প্রত্যয় ভুক্তের সাথে তর্ক করার চেয়ে এমন ‘নেই কাজ ত‘ খই ভাজ‘ করাই বরং ভাল। আর পাঠকদের আপত্তি থাকলে এখানেই শেষ হয়ে যাবে। যা কিছু করা হয়েছে, এই অন্তর্জাল পত্রিকার সব নিয়ম মেনে, লগ-ইন করেই করা হয়েছে। )।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন