সম্প্রতি কয়েকটি বাংলা সংবাদপত্রে বেশ কিছু প্রতিবেদনের সম্মুখীন হচ্ছেন জনসাধারণ, ‘বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা কি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছেন’, ‘বুদ্ধিজীবীরা নীরব কেন ?’ প্রত্যেকটি প্রবন্ধেই উল্লিখিত একটি একই ধরণের বাক্য ‘স্বাভাবিক ভাবে বাঙালি যে লেখক, কবি, সাহিত্যিক, অভিনেতা, অভিনেত্রী, নাট্যকার এই শ্রেণিটার ওপর বাংলায় যে কোনও অনৈতিক ঘটনা ঘটলে অনেকটা তাকিয়ে থাকেন।’ কিম্বা ‘বুদ্ধিজীবী বলতে একটি কাল্পনিক বন্ধনী তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে আছেন শিল্পী, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার, নাট্যব্যক্তিত্ব, অভিনেতা প্রমুখ।’ অর্থাৎ বুদ্ধিজীবী বলতে সাধারণ বাঙালি এঁদের বোঝেন এবং আশা করেন এনাদের সরবতা অনৈতিক ঘটনার বিরুদ্ধে। বুদ্ধিজীবী বলতে আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিস্কে যেটি বোধগম্য হয়, বুদ্ধিবলে যে বা যারা জীবিকা নির্বাহ করেন। ... ...
একটা রাতের ঘাসে শুয়ে আছি। জল বসন্তের মতো সমস্ত শরীর ভেদ করে একেকটা নতমুখ বের হয়ে আসছে। একেকটা মুখ একেক রকমচাওয়ার বিনিময়ে না পাওয়ায় ঝুম বৃষ্টি এক ঝাঁক মৌমাছির মতো জেঁকে বসে আছে ঠোঁট আর চোখের কিনারে। আলো ফুটলেই চোখ আর ঠোঁট ঢুকে পড়ে আরেকটা নতমুখে। যে মুখ এখনো অঙ্কুরিত আছে ঝড়ের গর্ভে। ... ...
সুকিয়া স্ট্রীটের এপকন টেস্টিং ল্যাবে কলতানের অনেক বছরের যাতায়াত । ল্যাব চালায় বাদল সাহা । পিওর কেমিস্ট্রিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এস সি । বাষট্টি বছর বয়েস ।কলতান বলল , ' এই স্যাম্পেলগুলো রাখ । কাল দুপুরের মধ্যে রিপোর্ট চাই । টিসু পেপারে মোড়া দুটো বোতল সবুজ রঙের বোতাম এবং ক'টা বোতল ভাঙা কাঁচের টুকরো বার করে বাদলকে দিল । বলল, ' আরও দুটো ভাইটাল টেস্ট আছে । ওগুলো পুলিশের ফরেনসিক সেল ক্যারি আউট করবে .... '------ ' খুব ইন্টারেস্টিং কেস মনে হচ্ছে । '----- ' কেস তো সবই ইন্টারেস্টিং । ইন ফ্যাক্ট কেস যত ইন্টারেস্টিং, তত ঘোরাল । ভীষণ টাফ ... ...
কতবার তো সমন পেয়ে ছুটে ছুটে গেছি- সেইসব জোনাকিরা লাল চেলি গায়ে মাখে; তখন সন্ধ্যা তারা পশ্চিম আকাশে;দেখেছি- আমিষ ফুলগুলো,পাপড়ি বিছিয়ে রাখে। আগুন খায় গিলে ; ধাতুমলে ভেসে যায়- উদাসীন; প্রাগৈতিহাসিক কামারশালায়।
বাজ পাখির মতো চুমু খেয়েছিলো একবার,তড়িৎ গতিতে মিলিয়ে গেলো সে চিহ্ন,এ এমন এক ফুল যেনো —তার সুরভি পৃথিবীতে অমর হয়ে গেলোযার পাপড়ি ছিলো নরোম টকটকে লালতৃষ্ণার্ত মাঠের মতো দিগন্তের প্রান্তর,আশ্বিনের জল, নোঙর ফেলা জাহাজের বন্দর।আবার ক্ষনিক দেখা পেলে সে ফুলেরঠোঁটে ঠোঁট ঘষে জেনে নিতাম মুক্তো কতটা গভীরে থাকে ডুবন্ত ঝিনুকের। বাজ পাখির মতো সে চুমু খেয়েছিলো একবারএই ছিলো প্রথম, এই ছিলো শেষবার।। ... ...
সন্ধে সাতটা বাজে । বিদ্যুৎ তরফদারের কাছে প্রিয়দর্শিনীর আজব কিস্যা বর্ণনা করছিল কলতান বউবাজার থানায় বসে । নেকলেসটাও থানার জিম্মায় জমা করে দিল সে । এখন পুলিশের দায়িত্ব যথাযথ জায়গায় এটা হস্তান্তর করার । প্রয়োজন হলে তারা প্রিয়দর্শিনীকে এবং সতীনাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে । কলতান বলল, ' প্রয়োজন হলে আমাকে ডাকতে পার, সে ওদের মুখোমুখি বসে বয়ান দেবার জন্যই হোক বা লিখিত বয়ান দেবার জন্যই হোক ... লিগ্যাল কোন লুপহোল না থাকে ... '----- ' আরে দূর ... ছাড় তো ... তোমাকে ডিপার্টমেন্টে কে না চেনে ... এর জন্য আবার ডিপোজিশান লাগবে ? এখন আইটেম তো বউবাজার থানার কাস্টডিতে । আইটেম ... ...
আমার মৃত্যু কামনা করে একটা পত্র এসেছে। যদিও, প্রেরক আমায় ভালোবেসেছে।
স্বরাজনু মঙ্গলসূত্র : আজ দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব : গুজরাটের গান্ধীগীতগুজরাটের 'গান্ধীগীত': বিহার থেকে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য গুজরাটের খেদা। ১৯১৫ থেকেই তাঁর আপন রাজ্যে গান্ধী গ্রামীণ জনতার বড় আপনার জন হয়ে ওঠেন। চম্পারণের মতো এখানেও খেদা সত্যাগ্রহের সময় গ্রাম-গ্রামান্তরের গুজরাটি চারণকবিরা তাঁদের গানে-কবিতায়-লোকনাট্যে দেশনেতা গান্ধী ও তাঁর রাজনৈতিক কর্মকান্ডকেই শুধু নয়, বরং লিখতে শুরু করেন এক পরম কাছের মানুষকে।গুজরাটের 'ভাওয়াই' নামক লোকনাটিকাগুলোতে প্রথম উঠে আসে 'সবরমতীর সন্তের' কথা। তারগালা ভাওয়াই দ্বারা প্রকাশিত 'তারগালা ভোজক হিতেচু' পত্রিকার 'ক্ষমতার নেশা' প্রবন্ধে ভাওয়াই কবি কুসুমকান্ত লেখেন, "তাঁর হাতে না আছে অস্ত্র/ না তাঁর মনে ধরে হানাহানি/ যিনি লড়ছেন ব্রিটিশের বিরুদ্ধে/ যাঁর অস্ত্র কেবল ইচ্ছাশক্তি/ তিনি ... ...
তোমার সাথে দেখা করাটা ভীষণ জরুরী যেমন জরুরীকোন মুমূর্ষ রোগীর জন্য এম্বোলেন্সআগুন লাগা কোন বস্তিতে দমকলকর্মী পানিতে ডুবতে থাকা মানুষের লাইফজেকেটভবঘুরে কোন পাগলের জন্য একমুঠো সহানুভূতি।আমি জেনেছি তুমি এক প্রতিষেধকের নামআরো জেনেছি আমার যে মরনব্যাধিতার একমাত্র ঔষধ তোমার খোশমেজাজী চুমু। সুতরাং তোমার সাথে দেখা করাটা ভীষণ জরুরী দেখা করো, বাঁচাও, বাঁচতে দাওট্রাফিক সিগনাল পড়ে যাবে, আটকে রেখেছিশহুরে সমস্ত গাড়ি।দ্রুত পার হয়ে আসো জেব্রা ক্রসিং,তাড়াতাড়ি খুব তাড়াতাড়ি। ... ...
(১) কেবলমাত্র যে শমন হাতে পেলেই কোর্ট-কাছারী করতে হয় তা নয়। অনেক সময় বৈষয়িক ব্যাপারের সমাধান নিতেও কোর্টের অনুগামী হতে হয়। স্বাধীন দেশে এমনটাই নিয়ম। সেই নিয়মের পাকচক্রে মাত্র চারদিনের ঝটিকা সফরে গত ৩১শে অক্টোবর একবার নিজভূমি দর্শনে, বঙ্গদেশের রাজধানী এবং আমার কৈশোর-যৌবনের লীলাক্ষেত্র (খারাপ অর্থে নেবেন না প্লিজ, পড়াশুনো, বড় হওয়া, জ্ঞানার্জন, বিবাহ, কন্যার পিতা হওয়া সবই এখানে), কোলকাতা ঘুরে গেলাম। টিকিটটা আসলে ৩১শের-ই ছিল, কিন্তু ৩০শের রাত্রিতে। রাত ১-১০এ। আর আমি যাবার একদিন আগে পর্যন্ত নিশ্চিন্ত ছিলাম, টিকিট আমার ৩১শের দুপুর একটায়। কি ভাগ্যি, ৩০ তারিখ সকালে ... ...
১খোঁড়াকে খোঁড়া,কানাকে কে কানা,বলা মানাচোর কে চোর,বললে বুঝি কষ্ট হয়না! চিত্রনাট্য তৈরীই ছিল অষ্টমী-তিথিতেসরোবরে দেবীর ভক্ত কমল তুলিতে! ২হয়েছে হচ্ছে আবার হবে পশুরা থামেনাপ্রতিকারে সাহস লাগে,এমনি হয়না।ক'দিন কচুরিপানা বাতাসে সরে জলধীরে ধীরে ভরে ডোবা,পানা অবিচল।৩শিউলির অশ্রু ঝরে ভোরের শিশিরের তরেহড়পা-বানে তাজা প্রাণ মালে ডুবে মরে!অতঃপর কার্নিভালে দেবীর তোষামোদ-প্রাণ তুচ্ছ ,জান বাঁচালো মাণিক মহম্মদ! ... ...
বন্ধুঅখিল রজ্ঞন দে শিরায় শিরায় ছুটছে আমার গরম রক্তের স্রোতঅনুভূতির শিরদাঁড়াটা যেন একটু একটু করে ঋজু হচ্ছে ...বলছে কি ছেলেটি!সক্ষমের সমমর্মিতা!তবে কি...একটু একটু করে শরীরে বল পাচ্ছি...গলাছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করছেওই শ্যাল ওভারকাম...ঠিক এমন সময়...ওটা কি করছে ছেলেটিনা না আমার কঙ্কালটা নিয়ে...চোখ দুটো আমার বন্ধ হয়ে গেলআমার কঙ্কালটা উন্মোচন করেআমার সামনে দাঁড়িয়ে...দর্পনে প্রতিচ্ছবিসক্ষম দাঁড়িয়ে সহানুভূতিতে...আমি আছি আমাতেসক্ষম আছে সহানুভূতিতেতুমি বন্ধু বিশেষ ভাবে সক্ষমতাই তুমি আছো সমমর্মিতাতে।তাইতো তুমি হকিং থেকে নিউটনডারউইন- আইনস্টাইন..বিল গেটস থেকে স্টিভ জবস..ফুটবলে তুমি মেসি, দাবাতে ববি..বারবার প্রমাণ করেছোপ্রতিবন্ধী মানে প্রতিভাবন্ধী নয়সহানুভূতি তো আমার সক্ষমতাসমমর্মিতা তো তোমার বিশেষ-সক্ষমতাআমি বাঁচি সহানুভূতিতেতুমি সমমর্মিতাতে। ... ...
বই আলোচনা; বিদ্রোহীলেখকঃ অবিন সেন মহাশয়মুদ্রকঃ সৃষ্টিসুখসৃষ্টিসুখের প্রয়াসে (ওরা এমনই বলেন), শ্রী অবিন সেন মহাশয়ের লেখা "বিদ্রোহী" নাম্নী বইটি দিন দুয়েক হল পড়ে শেষ করেছি। এই বইয়ের মূল চরিত্র যশোহরের রাজা, বাংলার অন্যতম ভূস্বামী এবং রাজা প্রতাপাদিত্য। পঞ্চদশ এবং ষোড়শ শতকের অবিভক্ত বাংলায়, প্রতাপাদিত্যের বিচরণ কাল এবং নানারূপ কার্য্যাদি খুবই গভীর অনুধাবনের ইতিহাস। আমি এই সময় কাল নিয়ে বেশি পড়ি নি, তাই সেন মহাশয়ের লেখা গল্প এবং ইতিহাস পাশাপাশি পড়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া হল, খুবই ভাল লেগেছে। আমার কাছে এক রকম অজানা সময়কালেরই বাংলার কাহিনী বেশ প্রাঞ্জল ভাবে তিনি শুণিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার আন্তরিকতা এবং গবেষণা বেশ ভালোই বোঝা যায় লেখার ... ...
কার্টিস রজার্স নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী ও জন ওলসন নামে এক ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার লেক ওয়ার্থ , ফ্লোরিডায় 2010 সালে জেডম্যাচ ( ZedMatch ) নামে একটা ডিএনএ প্রোফাইলিং কোম্পানি খোলেন।.তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল নতুন গবেষকদের জেনেটিক গবেষণায় সাহায্য করা এবং এতিম , দত্তক বা পরিত্যক্ত শিশুদের বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করা।.জেড ম্যাচে রেজিস্ট্রেশনকৃত ব্যবহারকারী স্বেচ্ছায় নিজের ডিএনএ তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করে রাখতেন। নতুন কোন ডিএনএ আপলোড হলেই একটা সফটওয়্যার সবার সাথে মিলিয়ে দেখে ম্যাচকৃত ব্যবহারকারীকে ইমেইল করে দিত। এভাবেই লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে একটা বেশ বড়সড় ডাটাবেজ তৈরী হয়ে যায়।.ওদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ 1974 সাল থেকেই গোল্ড স্টেট ... ...
যেও না রজনী আজি লয়ে তারাদলে.... কবি সেই কবে এই লাইন লিখে গেছেন, আপামর বাঙালির মনের কথা ভেবে। আজ সেই নবমী তিথি। সেই ছোট বা যুবা বেলা আজ আর আমার নেই। সময় আর সাগরের তীরে বসে মুঠো করে বালি ধরে রাখার চেষ্টা যতই কর না, হাত খালিই থেকে যাবে। হাত খালি হলেও, মনের মধ্যে স্মৃতি নামে এক বিষম বস্তুর অবস্থান, সে সময়ের সাপেক্ষে, পুরোনো ফেলে আসা দিনের মুহুর্তগুলি, মনের পর্দায় সিনেমার মত ফুটিয়ে তোলে। একদা যে ছবি রং, খুশী, বাক্যে আর অনুভূতিতে ভরপুর ছিল, এখন তা সাদাকালোয় আর নির্বাক। ... ...
এক যে ছিল পাখি সোনার খাঁচায় বন্দি আরেক ছিল বনের পাখি।।বিধির কারণে দুজনের হলো দেখা দেখি হলো কথা হলো ভালোবাসা হলো পাখায় পাখায় ঝাঁপা-ঝাঁপটি।। বনের পাখি বলে চল্ ঘোরে আসি আমার সাথে ডানা মেলি দেখবি ধরায় আছে কত কী।। খাঁচার পাখি বলে আমি রাজ সুখি সময় সময়ে আসে আহার শুধু শুধু ঘোরে মরব না কী !।। বনের পাখি কহে ওরে মূর পাখি সোনার খাঁচায় বাসা হলেই- হয় না কেউ রাজ সুখি। এই যে তোর ডানা দুটি অসার হয়ে দেখি আছে পরি একবারো কী ডানা মেলি এই আকাশের উপভোগ নিলি না কী!।। খাঁচার পাখি কহে এই তো আমার ধরণী অনুভবে সদা ... ...
মানিব্যাগ প্যান্টের ব্যাক পকেটে রেখে বাঁ হাতে ফিট ব্যান্ডটা চড়িয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে অনিমেষ দেখে মূলত অতনুর তাড়নাতে সাবসক্রাইব করা নতুন নিউজ সাইটটা থেকে দুটো ফিড এসেছে। ওই হুয়ের টেড্রোস গেব্রেইসাস, চায়নায় সংক্রমণের অবস্থা এই সব। কয়েকদিন আগে এই নিয়ে প্রচুর বাগবিতণ্ডা হয়ে গেছে অতনুর সাথে। মাও-এর চীন, গ্যাং অফ ফোর, দেং-এর রিফর্মড চীন, ঠাণ্ডা যুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীর অবস্থা থেকে শুরু করে আজকের ট্রেড-ওয়ার ইত্যাদি ইত্যাদি। হয়ত আনঅ্যাভয়েডেবেল তবুও মাথা ধরে গিয়েছিলো অনিমেষের। ফিডগুলো সরিয়ে মোবাইলটা সোজা পকেটে চালান করে দিয়ে অনিমেষ অফিসের ব্যাগটা পিঠে তুলে নেয়। রূপা খাবারের ব্যাগ ঢুকিয়ে দিয়েছে। জুতোয় পা গলায় , সোফায় রাখা জামাকাপড় গুলো ... ...
বেড়িয়েছিলাম । ঠাকুর দেখতে নয়, উৎসবে পরিবেশের হাল কেমন, সেটার খোঁজ নিতে। বাড়ির কাছেই, সোনারপুর অঞ্চলে।রাস্তায় বড় বড় তোরণ, কিছু পরে পরেই। ফ্লেক্সে মোড়া। মোড়ে মোড়ে ফ্লেক্সের বিশাল বিশাল বিজ্ঞাপনী ব্যানার। ফ্লেক্স non-biodrgradable, অপচনশীল। দিন পাচ-সাত পরেই এই বিপুল পরিমাণ ফ্লেক্সের কী গতি হবে, ভাবলেই আশঙ্কা জাগে।কয়েকটা পুজো মণ্ডপে উঁকি দিলাম। সুন্দর কারুকাজ। কিন্তু মণ্ডপসজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে থার্মোকল, যার পোষাকী নাম Styrofoam । বস্তুটা অপচনশীল, পুনর্ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। কী না তৈরি হয়েছে এই বিপজ্জনক বস্তুটি দিয়ে। এক মণ্ডপ রয়েছে শত খানেক শিবলিঙ্গ । প্রায় সমান মাপের, দেড়-দু ফুটের। কোনো শিবলিঙ্গই ঢালাই করে বানানো না । অর্থাৎ ... ...