মাধব গ্যাডগিল আর রামচন্দ্র গুহ ‘ভারত’ আর ‘ইন্ডিয়া’ নামে অভিহিত করেছেন এই দুই বলয়কে। ইন্ডিয়া থেকে আসা পাখিপ্রেমীরা ভারতের লখাদের থেকে দূরেই থেকে যায়। শহুরে হুজুগে বাবু, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পক্ষীবিদ আর বনাঞ্চলের লখিন্দর, একই চরাচরে বাস করেও রয়ে যায় বহুদূরবর্তী পৃথক ভৌগোলিক বলয়ে। ... ...
প্রায়ই আমায় নিজের ড্রয়ার থেকে গেঞ্জি বার করে বাবার ড্রয়ারে রেখে দিতে হত; আর প্রতিবারই মনে হত, একটি নতুন স্যান্ডো আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে বাবার জন্য। কিন্তু তারপরই স্মৃতি থেকে ধুলোর মত উড়ে যেত সেই স্যান্ডো। ... ...
আরো একবার ঝড় এলে হুগলি নদী নোণাজলে ডুবে যাবে। ফ্লাড শেল্টার তৈরি হতে শুরু হয়েছে আবার। এই মানুনগুলির অভ্যেস হয়ে গেছে বাড়িঘর ডুবে গেলে শেল্টারে চলে যাওয়া। পরিবার, গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি সব কিছু নিয়ে উঠে যাবে। কিছু মরবে। কিছু টিকটিক করে বাঁচবে। রূপম একটা ঝাঁকুনি দেয় ওকে। ... ...
নতুন এ রচনা। গন্ধ নিয়ে। গন্ধ মানে সৌরভ, গন্ধ মানে পারিফিউম, গন্ধ মানে কলকাতায় দিনমানে চলা কর্পোরেশনের জঞ্জাল ফেলার গাড়ি, গন্ধ মানে শেষযাত্রার অগুরু, গন্ধ মানে ধুপ-ধূনো, গন্ধ মানে মায়ের খোলা চুল। এমন কতো কিছুই। আপনাদের উৎসাহ পেলে ভরসা বাড়বে। ... ...
সম্প্রতি ইসকন ও রামকৃষ্ণ মিশনের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিকৃত ইতিহাসের সুলুকসন্ধান করা... ... ...
মডার্ণা ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে, তা কোভিডের সমস্ত ভ্যারিয়ান্টসকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম হয়েছে। ... ...
একদিন দেবী জেগে উঠে বলল আমাকে পদ্ম এনে দাও জানালাম স্থলপদ্মের গাছটায় ফুল আসে না তো আজকাল! ... ...
কলেজ স্ট্রিট এলাকা নিয়ে গত সাড়ে চার দশকের অবলোকন ... ...
পঞ্চায়েতী ব্যবস্থার সঙ্গে গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক অস্তিত্ব জড়িত। অথচ ক্রমেই তা হয়ে যাচ্ছে দূরতর এক মরীচিকা যাতে সাধারণ মানুষের মতদানের অধিকার সংকুচিত হয়েই চলেছে। আগের আমলে দলীয় আমলাতন্ত্র যা ক্ষতি করেছে তাকে বহুগুণে বাড়িয়ে তুলছে বর্তমান আমলের ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র। শুধু দুর্নীতি নয়, প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিত পঞ্চায়েতের আদর্শকে প্রতিষ্ঠা যা কখনোই পূর্ণতার মুখ দেখে নি। ... ...
১৯৯৩ সালের কথা - জ্যোতিবাবু যাচ্ছেন কিউবা, প্রথমে যাবেন কিউবার রাজধানী হাভানা, সেখানে ফিদেল কাস্ত্রোর সাথে দেখা সাক্ষাত করে তারপর কিউবা একটু ঘুরে দেখবেন। সিপিআইএম পার্টি থেকে জ্যোতিবাবুর সঙ্গী হয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরী। যাওয়ার কয়েকদিন আগে জ্যোতিবাবু ফোন লাগালেন ইয়েচুরী-কে। - সীতা, তা তুমি কি নিয়ে যাবে ভাবছো কাস্ত্রো-র জন্য? এত দূর থেকে যাচ্ছি, খালি হাতে তো আর যাওয়া যায় না! - জ্যোতিদা আমি তো এখনো তেমন ডিটেলস কিছু ভাবিনি! তা আপনি কি নিয়ে যাচ্ছেন? জ্যোতিবাবু ফোনের এদিকে তাঁর সেই বিখ্যাত না ফুটে বেরুনো হাসিটা হেসে নিলেন – কারণ তিনি জানেন যে এই ব্যাপারে তিনি এগিয়ে আছেন ইয়েচুরীর থেকে। তাঁর ভাবার তত কিছু নেই – কারণ কুড়ি বছর আগে কাস্ত্রো কলকাতা এলে বোঝাই গিয়েছিল তিনি কি জিনিস ভালোবাসেন। তাই জ্যোতি বসু বললেন - - আমার দিক থেকে তেমন ভাবার কিছু নেই, ও সব ঠিক আছে। - একটু খুলেই বলুন না। - অত কথা এখন ফোনে বলার সময় নেই, এয়ারপোর্টে দেখা হলে বলব সেই গল্প না হয়। - ঠিক আছে, তাহলে আমি ভেবে দেখি কি নেওয়া যায় - বেশী দামী জিনিস নিও না যেন! একটা কথা মনে রেখো সীতা, আমরা কমিউনিষ্ট পার্টি – দামী জিনিস আমাদের ইমেজের সাথে যাবে না ... ...
ভালবাসি, ভালবাসি! সবাই এই মুহূর্তে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে বিদেশকে। আর সবার ভালোবাসা-ভরা কথা নিষিক্ত করে চলেছে বিদেশকে। খুবই ভাল, ভাল সব কথা। শুনতে শুনতে বিদেশের নিজেরই নিজেকে কেমন অজানা অচেনা মনে হচ্ছে। বাব্বা এত গুণ তার ছিল তাই তো জানত না সে! ... ... ...
গাড়ি ভীমতাল দাঁতের কাছে ছেড়ে দিল। সামনেই তালের মাঝে দ্বীপে একোয়ারিয়াম। এখানেই ভীমতালের প্রধান ঘাট। নানা রকম বোটিং করার জায়গা। রথের মেলার মত ভিড়। পড়ন্ত বেলায় মহিলারা আর বাচ্চারা দলবেঁধে স্কুপ আইসক্রিম খাচ্ছে আর লোকেরা গিয়ে বোটিংয়ের জন্য দরাদরি করছে। উত্তরাখণ্ডে কাফাল বলে একরকম লাল রঙের বেরিজাতীয় ফল পাওয়া যায়। ছোট ছোট লাল লিচুর মত কিন্তু খোসা ছাড়াতে হয় না। ছোট ছোট কাগজের প্লেটে এক এক মুঠো করে সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে। খুমানি [এপ্রিকট], হিসালু [কাফালের মত কিন্তু হলুদ রঙের থোকাথোকা] এসব ফলও সাজিয়ে নিয়ে বসেছে স্থানীয় লোকজন। ... ...
নতুন গ্রহে ... ...
ভারি আশ্চর্য একটা কাঁথা বানাচ্ছে করুণা। এটা অর্ডারের কাঁথা। হরপ্রীত অর্ডার দিয়েছে। অমৃতসরে পাঠাবে সে। সবুজ সুতোতে খুদে খুদে ফোঁড়। নানারকমের সবুজ। কাঁচা হলুদ সবুজ। কচি কলাপাতা সবুজ। শ্যাওলা সবুজ। টিয়া সবুজ। সমুদ্র সবুজ।ঢেউ খেলানো শস্য ক্ষেত। যেন হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আর শস্য ক্ষেত ঘিরে সারি সারি মাথা। পাগড়ি আছে। পাগড়ি নেই। কাঁথাতে ইতিহাস আঁকা হচ্ছে অন্নদাতাদের। ... ...
যাদের দেখলুম সম্প্রতি গণতন্ত্রের খেলায় ... ...
তাঁর মা , ঠাকুমাদের সময় তাঁরা কী করতেন কে জানে? অনায়াসে যৌবন থেকে প্রৌঢ়ত্বে চলে যেতেন কী তাঁরা? বাড়ির লোক কিছু টের পেতো না। মালবিকা কখনো খেয়াল করেননি।তাঁরা কী অবহেলায় হটফ্লাশেজ, ইচিং, ত্বক কুঁচকে যাওয়া , মুড ফ্লাকচুয়েশন, হরমোনাল ডিসঅর্ডার সহ্য করে মুখ বুঁজের সংসার করে যেতেন।কিংবা হয়তো আদৌ খুব সহজে হত না। ভুগতেন।আর সহ্য করে যেতে হবে, এর অন্যথা নেই ভেবে সহ্য করতেন। খিটমিট করতেন, কথায় কথায় কান্না।বা রাগ। ... ...