এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  পর্যালোচনা (রিভিউ)  সিনেমা

  • সত্তার নিদারুণ লঘিমা 

    Syed Azan Ahmed লেখকের গ্রাহক হোন
    পর্যালোচনা (রিভিউ) | সিনেমা | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৪৮৭ বার পঠিত
  • ছবিটা শুরুই হয় নির্ভেজাল নগ্নতা দিয়ে। শরীরের শুচিতা নিয়ে কোন বুজরুকি নেই এ ছবিতে। তাই দেহের বেআবরু উন্মোচন এখানে অবান্তর নয়। বরং অবগুণ্ঠন ঠেলে রক্ত-মাংসের এই খাঁচাটাকে বারেবারে অর্গলহীন করে ফেলাটাই এ গল্পের দর্শন। কারণ উন্মুক্ত অবারিত শরীরের অভ্যস্ততার ভিতরেই লুকিয়ে থাকে অনাবৃত অপরিশোধিত মনের ঠিকুজি কুষ্ঠি। থাকে প্রেম বনাম যৌনতার প্রাচীন বিতর্ক।এ ছবিতে প্রায়ই নগ্নতা এসে পড়ে গল্পের সহজাত উপাদান হিসেবে। তবে সেসব দৃশ্যাবলী না তো বিভ্রান্তিকর, আর না তো প্রেক্ষাপটের বাইরের কোনও চাহিদা। বরং প্রতিটা খোলামেলা দৃশ্যই চরিত্রদের সাথে খাপ খায় এবং প্লটের জন্য হয়ে ওঠে অপরিহার্য। পরিচালক কফম্যান তার কামসুন্দর দৃষ্টি দিয়ে সেই নগ্নতাকে যেন এক বিরাট দিগন্তপ্রসারী ক্যানভাসে আঁকতে বসেন। আর তা দেখে মনে হয় নগ্নতা আসলে প্রকৃতিজাত, প্রকৃতিদত্ত।
     
    প্রাগ শহরের চিকিৎসা জগতে টমাস এক পরিচিত মুখ। শল্যচিকিৎসাকে সে নিয়ে গেছে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে। শুধু পেশা জগতেই নয়, ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও তার শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি। শরীর নিয়ে তার কোনও ছুঁতমার্গ নেই। নেই অবাধ যৌনাচারের প্রতি কোন নাক সিটকানি। জীবনের স্থিতাবস্থায় সে অনাগ্রহী । তাই সে এখনো চালচুলোহীন, ঝাড়া হাত পা। ব্যাচেলর জীবন ফুটিয়ে ভোগ করছে। চুটিয়ে নারী সঙ্গ করছে যেমন, প্রতিশ্রুতি বা অঙ্গীকারের প্রশ্ন উঠলেই তাদের থেকে দূরত্বও বজায় রাখছে পুরোদস্তুর।
    সম্পর্কের বাঁধাধরা আত্মসমর্পণে বিশ্বাস করে না সে। তার ধারণা অনুযায়ী জৈবিক চাহিদার পরবর্তী দৃশ্যে অবধারিত বিচ্ছিন্নতায় কাম্য। নতুবা সম্পর্কের মৌতাত মরে যায়। যদিও সাবিনার জন্য তার হৃদয়ে রয়েছে এক আবছা চোরা কুঠুরি। যার অস্তিত্ব নিয়ে টমাসও পুরো মাত্রায় ওয়াকিবহাল কিনা আমরা জানি না । সাবিনা চিত্রশিল্পী। জীবন নিয়ে তার ভাবনাও বিসদৃশ, বেনজির। কারণ তারও রক্তকণিকায় বোহেমিয়ান হওয়ার উপাদান মজুত। সাবিনা বিছানা এবং ক্যানভাস দুটো জায়গাতেই উদার, সংস্কারহীন, দক্ষ ও বেপরোয়া। সে এমনই এক শিল্পী যে জীবনের প্রতিমুহূর্তে ঘটে চলা প্রতিফলন আর প্রতিসরণের ছবি আঁকে। টমাস এবং সাবিনার সম্পর্কও যেন এক প্রকাণ্ড আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক বিরাট প্রতিবিম্ব। যার অস্তিত্ব যেন থেকেও নেই।
    টমাস এবং সাবিনার সম্পর্কের ভিতর উদ্দাম যৌনতা আছে, তবে কোনও আবেগ থরথর প্রতিশ্রুতি নেই। যৌনতার পাশাপাশি বন্ধুর মত অবিরাম কথোপকথন আছে, তবে স্পষ্ট কোনও অঙ্গীকার নেই ।এটাই টমাস আর সাবিনার সম্পর্কের অতুলন ম্যাজিক। তারা একে অন্যের সাহচর্য উপভোগ করেও একে অন্যের সাথে বিচ্ছিন্ন থাকে। আর ঠিক এখানেই তাদের সম্পর্ক অন্যান্য গড়পড়তার সম্পর্কের চেয়ে বেসুরো ঠেকে। গেরস্ত মানুষের বুঝতে বেগ পেতে হয় খানিক। 
    এরমধ্যে টমাসের সাথে হঠাৎই পরিচয় হবে এক ব্যতিক্রমী যুবতী টেরেজার। ফলত টমাসের অস্তিত্বের গতিপথও যাবে চিরতরে বদলে। যার স্বতঃস্ফূর্ত সারল্য তাকে কাঁপিয়ে দেবে ভিতর থেকে। টেরেজার শিশুর মত অকপট সান্নিধ্য আর অপাপবিদ্ধ চাউনি টমাসকে বেঁধে ফেলবে এক মায়ার বন্ধনে। টমাসও পুরুষ হিসেবে এতটাই অপ্রতিরোধ্য যে, টেরেজা কিছু বোঝার আগেই সেও নিজের সবটা উজাড় করে দেবে। পরিণতি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আগে সে নিজেকে আবিষ্কার করবে টমাসের বিছানায়। এক অব্যর্থ নিয়মে দুজনেই মনস্থির করবে বাকি জীবন একে অন্যকে সাথে নিয়ে চলার। অপ্রত্যাশিত আকস্মিকতায় শুরু হবে তাদের বৈবাহিক জীবন। এই মানব ত্রিকোণের মধ্যে পরিচালক আবেগ, যৌনতা, ঈর্ষা, হতাশা এবং প্রতারণার আলো ছায়ায় দৈবিক লীলায় এক আশ্চর্য গল্প বলতে বসেন।
    কিন্তু অধিকাংশ ঘটনাই এ ছবিতে ঘটে চলে প্রায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে, নির্বিচারে, অব্যর্থ নিয়মে এবং অদ্ভুত উদাসীনতায়। যেমন- টেরেজা ফটোগ্রাফির চর্চা শুরু করে; রাশিয়া চেকোস্লোভাকিয়া আক্রমণ করে; টমাস একটি কমিউনিস্ট-বিরোধী চিঠি লিখে ঝঞ্ঝাটে জড়িয়ে যায়; সাবিনা সুইজারল্যান্ড পারি জমায়; টেরেজা টমাসকে ছেড়ে চলে যায়; টমাস তাকে ফিরিয়ে আনে; এবং শেষমেশ তারা একটি কুকুর ছানা কেনে।

    মিলান কুন্দেরা তার উপন্যাসে এই বহুমুখী ঘটনাপ্রবাহকে তার এক্সিসটেনশিয়াল দর্শনের অপূর্ব তত্ত্বসমৃদ্ধ ভিতের উপর সপাটে খাড়া করেছেন। চরিত্র এবং পরিস্থিতি সেখানে শুধুই ঘটনা প্রবাহের উপাদান ছাড়াও এক উচ্চতর উদ্দেশ্যে সাধন করে। কুন্দেরার হুনহর দৃষ্টি প্রতিটা চরিত্রের সামান্য দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যেও সর্বদা সতর্ক। আর তাই তাদের বৃদ্ধি দেখলে মনে হয় কোনও শিল্পী বুঝি পাথর কুঁদে কুঁদে প্রকাণ্ড সব মনোলিথিক ডিজাইনে হাত দিয়েছেন।
    মিলান কুন্দেরার উপন্যাসের চরিত্ররা দাবার ছকের ঘুঁটির মত আচরণ করে। যাদের চলাফেরা এবং গতিবিধি হল পেল্লায় স্পর্শকাতর। যাদের একটা বেহিসেবী নিয়ম বহির্ভূত পদক্ষেপই পণ্ড করতে পারে খেলা। বদলে দিতে পারে ভবিষ্যতের গতিপথ। তাদের সেই মাপা পদক্ষেপের সাথে কুন্দেরা তার দার্শনিক ধারাভাষ্য চালিয়ে যান। আর
    পরিচালক সেই ঘুঁটিগুলোর প্রতিটা পদক্ষেপকে জুড়তে জুড়তে একটা চালচিত্র তৈরি করে চলেন। 
    সমালোচকরা প্রায়ই বলেন The Unbearable Lightness of being এমনই এক উপন্যাস যাকে ছবিতে রূপান্তরিত করা যায় না। হয়তো তাই । কিন্তু সেটা কি সব গল্প উপন্যাসের ক্ষেত্রেই অল্প বিস্তর প্রযোজ্য নয়? এক শিল্প মাধ্যম থেকে আরেক শিল্পমাধ্যমে পাড়ি জমাবার এই অভিযানের মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েই যায়। না চাইতেও থেকেই যায় কিছু না কিছু খামতি।

    এ ছবি যৌনতা, নান্দনিকতা, ইতিহাস, রাজনীতি এবং নির্বাসনের বেদনা সম্পর্কিত প্রায় তিন ঘণ্টার এক মহাকাব্যিক রূপান্তর। পরিচালক কফম্যান, কুন্দেরার গল্পের মহাকাব্যিক মহিমাকে একটি নিপুণ এবং প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল অভিব্যক্তির মাধ্যমে ধরতে চেয়েছেন ।কাঠামোটি দুর্দান্ত - যেভাবে গল্পটি আকস্মিকভাবে উন্মোচিত হয় এবং অবসর গতিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো উন্মুক্ত হতে থাকে তা একেবারে স্বকীয়, স্বতন্ত্র।
    মিলান কুন্দেরার ধারণায় জীবন হল সহজপাঠ্য - এমনই এক চলমান আখ্যান যা মানুষই তৈরি করে তারই বেঁধে রাখা শর্তের নিরিখে। এমনকি জীবন যতই আমাদের সামনে গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করুক, তাও জীবন সুখপাঠ্য একটা উপন্যাসের মতই সহজ। এ ছবির প্রতিটা দৃশ্যের মধ্যেই আশ্চর্য সতেজতা, অদ্ভুত প্রত্যক্ষতা এবং আবিষ্কারের অনুভূতি প্রথিত। একেবারে শুরুর দৃশ্যেই টমাস যখন এক জনৈকা নার্সকে প্রায় আদেশ করে তার জামাকাপড় খুলে ফেলার জন্য, ঠিক তখন থেকেই আমরা বুঝে যাই এ ছবি অন্য এক জীবন দর্শনের কথা বলছে। যৌনতাকে মাপছে একেবারে আলাদা কোনও দাঁড়িপাল্লাতে যেখানে রক্ষণশীলতার কোনও দায় নেই।

    The Unbearable Lightness of Being এ তিন কেন্দ্রীয় চরিত্র তাদের আপোষহীন, সৎ এবং সংবেদনশীল কাজের মাধ্যমে সমস্ত ক্লিশে এবং একঘেয়ে পরম্পরাকে সপাটে জানালার বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। এই তিন চরিত্রই অকপট , বিস্ফোরক এবং কালজয়ী । তবে আমার ব্যক্তিগত মতে এ ছবিতে সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে জুলিয়েট বিনোসেকে। কারণ টেরেজা শিশুসুলভ , স্বপ্নময় এবং আবেগের অভিজ্ঞতায় বিধ্বস্ত হওয়া এক তরুণী। সে ভীষণই এক সাদামাটা, আটপৌরে, নিষ্পাপ মফঃস্বলের মেয়ে যে এখনও কথায় কথায় কেঁদে ফেলে। টমাস উপপত্নীর সাথে নারীসঙ্গ সেরে গভীর রাতে বিছানায় ফিরে এলেও হাজার অভিমান উগরে দিয়েও তাকে গ্রহণ করে নেয় ।অথচ সেই যুবতী ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে এসে যেন আমূল বদলে যাবে। বিপ্লবের স্লোগান সঞ্চারিত হবে তার চেতনে অবচেতনে। সোভিয়েত ট্যাঙ্ক যখন প্রাগের রাস্তায় টহল দিচ্ছে, তখন সে হাতে ক্যামেরা নিয়ে নেমে পড়বে প্রকাশ্য রাস্তায়। টেরেজা একের পর এক প্রতিরোধের দৃশ্য তুলে ধরবে তার ক্যামেরায়, পশ্চিমে পাচার করার আশায়। কিন্তু কেজিবি তার ফিল্ম বাজেয়াপ্ত করবে এবং প্রতিরোধকারীদের চিহ্নিত করতে ব্যবহার করবে। এই টেরেজাকে দেখে আমরা চমকে উঠি, সম্ভ্রমেও আমাদের মাথা নুয়ে আসে। সে যেন এর জন্যই প্রস্তুত হচ্ছিল এতকাল। টেরেজার প্রতিক্রিয়াশীল এবং প্রতিরোধের মুখই একসময় হয়ে উঠবে সোভিয়েতের বিরুদ্ধে চেক প্রজাতন্ত্রের উত্তর।
    চরিত্রটার রদবদল ছবিটার একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন। তার উত্তেজনা এবং তার ব্যস্ততার সাথে ছবিটার গতিজাড্যেও একটা বড়সড় হেরফের ঘটে যায়। ছবির রংও যায় বদলে। আমরা সাদা-কালোতে কিছু পুরনো ফুটেজ দেখতে থাকি। মঞ্চস্থ দৃশ্যের সাথে মিলে যায় সোভিয়েত দখলের বাস্তব ফটোগ্রাফ। টমাসকে এই সময়টায় আগলে রেখেছিল টেরেজাকে। আর তাতে টমাসও যেন এতদিনে পৃথিবীর মাটিতে পা রাখল। ভূমির সাথে যোগসূত্র হল তার। এই প্রথম যেন শরীরে ও হৃদয়ে অনুভব করল এক অব্যক্ত অনুভূতি পিণ্ডকে।
    এ ছবি আদতে শরীর এবং ভগ্ন হৃদয়ের একটা জমাটি আবেগমথিত উপত্যকার ধু ধু প্রান্তর। উভয় অভিনেত্রীই গ্ল্যামারাস, রহস্যময়, এবং একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। টেরেজা প্রেম এবং সাবিনা যৌনতার প্রতিমূর্তি। তারা আসলে সম্পর্কের দুই প্রান্তবিন্দু। যাদের ভিতর হয়তো বা অনতিক্রম্য দূরত্ব। আর নয়তো তারা একই বিন্দুর দুটো রূপভেদ মাত্র। তারা আসলে প্রেম বনাম যৌনতা, স্বদেশ বনাম বিদেশ, প্রতিশ্রুতি বনাম স্বাধীনতার রূপককে মূর্ত করে তোলে। যা হল এ ছবির অন্তর্নিহিত থিম।
    আর টমাসও দুই নারীর আবহাওয়াই তৈরি এক দোদুল্যমান নৈরাজ্য এবং শৃঙ্খলার মধ্যে ছিঁড়েখুঁড়ে যেতে থাকে। 
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • পর্যালোচনা (রিভিউ) | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৪৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালনিমে | 103.244.242.48 | ১৭ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৭521357
  • বহু বছর আগে দেখেছিলাম ছবিটা - তার আগে ভাবিনি এই নভেলটাকে মুভি বানানো যায়। বিশেষ ভাবে প্রাগ বিপ্লবের দৃশ্যগুলো অনেকটাই complement করেছিল বইটাকে আরো বুঝতে। ইন্ডিয়াতে কোনো streaming বা purchase option আছে কি?
  • কালনিমে | 103.244.242.48 | ১৭ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৯521358
  • সত্তার নিদারুণ লঘিমা - অসামান্য অনুবাদ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন