তাস খেলা ভয়ানক অপরাধ! / জুয়া তো রাষ্ট্রনায়কের খেলা!! / ফকিরেরা কেন দুঃসাহস দেখাবে? ... ...
কিন্তু প্রথম থেকেই যেটা লক্ষ্য করছিলাম, এই উপলক্ষ্যে মানুষ তিনটে জিনিষ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে - এক, কেরলের লিটারেসি রেট, দুই, মালাপ্পুরম মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল আর তিন, কেরলের মানুষের হিংস্রতা। ছকটা খুব কঠিন নয়। ... ...
একটি জাতি প্রায় সমষ্টিগতভাবে রেসিস্ট। রাজনৈতিক শুদ্ধতার বাইরে থেকে চাপানো কৃত্রিম জ্ঞান দিয়ে ফেসবুকে সচেতনতার সাময়িক পলেস্তারা নির্মিত পোস্ট রচনা করা যায়, রেসিস্ট মানসিকতার আগাছা তাতে নির্মূল হয়না। তাই এভাবেই মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে বেরিয়ে আসে রেসিজমের বয়ান, রেটরিক, ভাষা। সে ভাষায় সাহিত্য করে পুরস্কার লাভ হতে পারে, নিজেকে আ্যক্টিভিস্ট বা বামপন্থি বলে আত্মপ্রচার করা যেতে পারে, কিন্তু মানুষসভ্যতায় বিশ্ব-শিল্প-সাহিত্যে বা জাতিগতভাবে কোন সংযোজন সম্ভব হয়না। ... ...
আর্য শব্দের উৎস ও এই নামে পরিচিত জনগোষ্ঠীর উৎস- দুটো নিয়েই আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। ইতিহাসের একটা প্রশ্নের উত্তর কখনই একটা সূত্র থেকে পাওয়া যায় না, বিশেষ করে প্রশ্নটা যখন প্রাগৈতিহাসিক যুগকে ঘিরে। তাই আমরা পাঁচরকম আঙ্গিকে উত্তরটা খোঁজার ও বোঝার চেষ্টা করব- সাহিত্য, ভাষা, জেনেটিক্স, আইকোনোগ্রাফি ও শিল্প। এগুলি সবই ইতিহাস গঠনের রসদ। এই পর্বে দেখব জেনেটিক্সএর আঙ্গিকে। ... ...
শৈশবপ্রস্তর ভিন্ন অন্যথা বিস্ময় নাই। মেহেন্দির ঘ্রাণ ও বর্ণ উভয়ত পুলকপ্রদ। বৃষ্টিবৎ ছুটিয়া যায় উৎসাহী হেলার দল। যেথা অন্ড ছিল, তা হইতে জায়মান কুতকুতে অর্বুদ চক্ষু। আয়ু, তোমাকে জন্মাবধি এমন দৃশ্য আরো দিতেছে নির্ভার রৌদ্র। ... ...
এই যে ব্যাঙ্কগুলোর আক্যাউন্টে পয়সা রাখিস, এই টাকাটা তো ব্যাঙ্ক আবার অন্যকে ধার দেয়। সেই ধারের সুদটাই ব্যাঙ্কের মূল আয়। ২০১৯ সালে এই ধারের মোট পরিমাণ কত জানিস, প্রায় ৯৭ লক্ষ কোটি টাকা আর তাঁর মধ্যে প্রায় ৩৯ লক্ষ কোটি টাকাই আসে সেভিংস ব্যাঙ্কের ডিপোজিট থেকে, যাকে বলে CASA ডিপোজিট। ব্যাঙ্কগুলোর কাছে এটা খুব লোভনীয় কারণ এটার জন্য ব্যাঙ্কের সব থেকে কম খরচ হয়। এই মোট ধারের সব থেকে বেশি অংশ, ২২.৫% মানে ২১.৮ লাখ কোটি আসে এসবিআই এর থেকে। এসবিআই এই টাকার ৫০% পায় সেভিংস ডিপোজিট থেকে। অন্য দিকে ইয়েস ব্যাঙ্কের হিসেব টা দেখ, ওদের বাজারে যে টাকা লোন দেওয়া ছিল;সেভিংস ডিপোজিটের পরিমাণ তার মাত্র ১৯%। ... ...
সৎ দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমাদের গুরুদায়িত্ব সরকারেরব কথাকে বেদবাক্য বলে মেনে নেওয়া। এই পরিস্থিতিতে, নিজের স্বাস্থ্য নিজের সুরক্ষার দায় এক এবং একমাত্র নিজের, এমত সরকারি ঘোষণায় উদবুদ্ধ হয়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি বড় অংশ যদি বাড়িতে বসে থাকতে চান, তাহলে নিশ্চয়ই তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না। তাই না?? তাহলে কী করবেন? কী আবার!!! আপনি হাত ধুচ্ছেন তো? আপনার সরকারও হাত ধুয়ে নিলেন। অতএব, আপনারা থালা বাজান। বাতি জ্বালুন। কোনো এক শুভদিনে সন্ধ্যা আট ঘটিকায় পরবর্তী ঘোষণার অপেক্ষায় থাকুন। ... ...
আসমান থেকে নামে অদৃশ্য এক মৃত্যুদূত / মানুষ মরে একাকী, শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত যমালয়ে / সকলে যায় চলে যায় দূরে, বহু দূরে; সম্ভব হলে- / সাত সমুদ্দর, তেপান্তর পেরিয়ে ভিন দেশে। ... ...
হেমন্তের সকালে ফুলেশ্বরী গ্রামের এ বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া একটু দেরিতেই হয়। মৌসুমী বন্যার জন্য এবারে ধান বুনতে দেরি হয়েছে, তাই মাঠে এখনও ধান কাটা শুরু হয়নি। সূর্যের দেখা মেলে বেশ দেরিতেই। বউ-ঝিও ঘর থেকে একটু দেরিতেই বের হয় সকালে। রান্নাঘর বলতে যা বোঝায় তা এ বাড়িতে নেই। উঠোনে কাদা দিয়ে কোমর সমান উঁচু দুইপাশি দেয়াল করে রান্নাবান্নার ব্যবস্থা, মাথার ওপরে খড়ের সামান্য ছাউনি; বরষার দিনে কাজে দেয়। ... ...
…"অতএব, আমরা হইহই করে বাসে চেপে বেরিয়ে এলাম জাদুঘর - ডোডোপাখির দিকে চোখ টিপে বললাম, সি ইউ দেন - চিড়িয়াখানার শিম্পাঞ্জিটা আমাদের দেখে হইহই করে উঠল, মানুষ না দেখে দেখে বড্ডো ক্লান্ত ছিল সে-ও - ভিক্টোরিয়ার ঘাসগুলো বেড়ে উঠেছে অনেকটা এরই মধ্যে, বসতে গেলে একটু অস্বস্তিই হয় - সে হোক, আমাদের হাতে দস্তানা, মুখে ঢাকনা আঁটা। আসলে, ভুলে গেছিলাম, মারণাস্ত্র সবক্ষেত্রে দৃশ্যমান নয়।"… (বিষাণ) ... ...
জঙ্গল না কাটলে, প্রকৃতিকে ধ্বংস না করলে "সভ্য" মানুষ বাঁচবে না। প্রান্তিকদের প্রান্তিকতর করে না তুললে উন্নয়ন থমকে যাবে। মানুষকে অত্যাচারে, বঞ্চনায় স্যাডিস্ট এবং নৃশংশ করে তুলতে পারলেও সভ্যতার অনেক লাভ। এইসব নৃশংশ হত্যার দায় সভ্যতাকে নিতে হয় না - নিজ গৃহকোণে চোখের জল ফেলে "অসভ্য নিষ্ঠুর" মানুষের প্রতি ঘৃণাবর্ষণ করে একটু স্বান্ত্বনা পাওয়া যায়। ... ...
ল্যাংস্টন হিউজের এই সময়ের জন্যও প্রবল প্রাসঙ্গিক কবিতা 'হার্লেম'-এর অনুবাদ দিয়ে শুরু করলাম। আশা রাখি আরো অনুবাদ আসবে। ... ...
টেস্টামেন্ট অফ বা - ডুনহুয়াং-এর সতেরো নম্বর গুহা -- সকাল থেকেই আকাশের মুখ কালো হয়েছিল। সজল মেঘের ছায়ায় ঢাকা পড়েছিল গোটা শহর। লকডাউনের নিয়ম শিথিল হয়ে আসায় পথে মানুষজনের আনাগোনা বেড়েছে। দু-চারটি দোকান-পাট আবার নতুন করে জেগে উঠেছে শীতের বরফ গলে যাওয়ার পর মাথা তোলা লাইকেনের দলের মত। নতুন আশার আলো নতুন করে সবুজের স্পর্শ দিয়ে যাচ্ছে তাদের গায়ে। এই কয়মাসের অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আবার নবীন সূর্যের মুখ দেখার প্রত্যাশী এখন এই পথের পাশের ছোট ছোট দোকানগুলো। ... ...
কিন্তু ভিতরে বসে দেখলে অবস্থা এত আশাপ্রদ কিছু নয়। আমেরিকা কাঁপছে ঠিকই, কিন্তু ভেঙে পড়ার জন্য কিনা কেউ জানেনা। বহু শহরে রাত্রিকালীন কার্ফু। প্রেসিডেন্ট ন্যাশানাল গার্ড নামাতে বলেছেন সমস্ত গভর্নরদের। না নামালে নিজেই সৈন্য নামিয়ে দেবেন বলেছেন। আমেরিকায় বসে এই মুহূর্তে সেটা শুধু ফাঁকা আওয়াজ মনে হচ্ছেনা। কারণ প্রতিবাদের চেয়েও হিংসা ছড়াচ্ছে বেশি গতিতে। তার চেয়েও বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে 'খবর'। ছড়াচ্ছে ফোনে, ছড়াচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়, ছড়াচ্ছে ফিসফিসিয়ে। আমাদের পাড়ার নেটওয়ার্কে মেয়রের সাবধানবাণী জ্বলজ্বল করছে। 'নির্ভরযোগ্য' সূত্রের খবর দিয়ে লোকজন পোস্ট করছে, আজ রাতে বাসে করে দাঙ্গাবাজরা আসছে। সতর্ক থাকুন। ইঙ্গিত ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার আর অ্যান্টিফার দিকে। ... ...
আর্য শব্দের উৎস ও এই নামে পরিচিত জনগোষ্ঠীর উৎস- দুটো নিয়েই আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। ইতিহাসের একটা প্রশ্নের উত্তর কখনই একটা সূত্র থেকে পাওয়া যায় না, বিশেষ করে প্রশ্নটা যখন প্রাগৈতিহাসিক যুগকে ঘিরে। তাই আমরা পাঁচরকম আঙ্গিকে উত্তরটা খোঁজার ও বোঝার চেষ্টা করব- সাহিত্য, ভাষা, জেনেটিক্স, আইকোনোগ্রাফি ও শিল্প। এগুলি সবই ইতিহাস গঠনের রসদ। ... ...
অরিজিত চক্রবর্তী জঙ্গলে সামনাসামনি বাঘের কি রূপ! চোখ নাচায়, ভুরু নাচায়। দুমাস আগেই নাকি এগ্রামের একটা দল বাঘের খপ্পরে পড়েছিল। বুড়োর ছেলেও ছিল তাতে। ৬ জনের টিম। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাঘের সাথে লড়ে নিজেরা ফিরেছে। তানা ৭-৮ ঘন্টা ধাওয়া করেছে বাঘটা। আম্ফানের মতই ৭-৮ ঘন্টা। হ্যাঁকাতে আছে বাঘটা। বুড়ো বলল আমার ছেলেটা তো একটু হ্যাঁকাতে। ৪টের পর বাঘ তাড়ালেও তখন ভাটা, নৌকা কাদায় আটকে। গভীর রাতে জোয়ার। ততক্ষণ নৌকাতেই বসে থেকেছিল। যেকোনো সময়েই বাঘ আস্তে পারতো। বাঘের মুখ থেকে খাবার ছিনিয়ে নিয়ে ফিরেছে। যদিও যাকে ধরেছিল সে বাঁচেনি। প্রবল রক্তক্ষরণে সে নৌকাতেই মারা গেছে। কাঁথা জামাকাপড় সব রক্তে ভেসে গিয়েছিল। তাও ফেরাতে পেরেছেটুকুই তাদের গর্বের। ... ...
আবার অক্টোবরে ফিরি। আম্বোলিঘাটের দিকে যতই এগোতে চেষ্টা করি ততই দেখি গুগল ম্যাপে হোটেলের আনুমানিক দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়েই সারথীমশাইকে থামতে বলতে হল। খানিক ঘেঁটে বুঝলাম আমাদের খানাপুর হয়ে যেতে হবে, আম্বোলি নয়। অতএব ঘোরাও গাড়ি, গেল একঘন্টা জলে। যাকগে এখনো পৌনে সাতটা অবধি দিনের আলো থাকে। হায় তখন যদি জানতাম সামনে কী আছে। ... ...
মন্ত্রী মাশাংকে সরিয়ে দিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারের পথকে সুগম করলেন সম্রাট ঠিস্রোং দেচেন। কিন্তু বুদ্ধের বাণীকে এই তিব্বতের মানুষের মধ্যে প্রচারের গুরুদায়িত্ব নেবে কে? ... ...
আমাদের ইতিহাস পাঠ অনেকাংশেই ক্ষমতার ইতিহাস - এবং ক্ষমতাবানের ইতিহাস। ক্ষমতাহীন যে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তাঁদের নিয়ে চর্চার অভ্যেস, ইতিহাসবিদদের মধ্যেও, তেমন পুরোনো নয় - জনপ্রিয় ইতিহাসের ডিসকোর্সে সে বয়ান ঢুকতে বহু দেরী। ক্ষমতাবানের শাসনের চিহ্ন হিসেবে - যুগে যুগে শাসকের ক্ষমতার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে - রয়ে গিয়েছে অজস্র স্থাপত্য। এবং আমাদের ইতিহাস লিখনপ্রক্রিয়ায় সে স্থাপত্যের গুরুত্ব অনিবার্য। তারই সাথে সাথে নব্য শাসক পুরাতনের ক্ষমতার চিহ্ন মুছে ফেলতে গিয়ে ধ্বংস করেছেন পুরাতন স্থাপত্য - পুরাতনকে গড়েপিটে করে নিয়েছেন নতুন - এবং সেই নব্যরীতি নতুন ক্ষমতার প্রতি মানুষের সম্ভ্রম নতুন করে আকর্ষণ করেছে - এ নজির প্রত্যেক দেশে প্রতি যুগেই অঢেল। ... ...
সম্রাটের পদে আসীন হয়ে ঠিস্রোং দেচেনের প্রধান কাজ হল দেশের আমজনতার মধ্যে বৌদ্ধ-ধর্মের প্রসার। কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক... ... ...