সঠিক সংজ্ঞা গুলি মেনে নিলে আধুনিক সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম গণহত্যার কৃতিত্ব জার্মানদের প্রাপ্য। স্থান জার্মান দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকা, আজকের নামিবিয়া, কাল ১৯০৪। হেরেরো নামের স্থানীয় উপজাতির বিরোধিতায় ক্ষিপ্ত জার্মান সেনাপতি লোথার ফন ত্রথা নামের এক সেনাপতি লিখিত আদেশ দেন – "হেরেরো জাতিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, শুধু বন্দুকের গুলিতে নয়, তাদের ঠেলে পাঠাতে হবে এমন অঞ্চলে যেখানে জল নেই। "আশি হাজার হেরেরো নিধনের সা পরে জার্মান কাইজারকে লিখলেন, "যেসব পুরুষ নারী ও শিশুকে পেয়েছি তাঁদের নির্মমভাবে (গ্নাদেনলোস) হত্যা করেছি। এদের কারো কাছে অস্ত্র ছিল না।" ফিল্ড মার্শাল আলফ্রেড ফন শ্লিফেন সমর্থনে বলেন, "একটা জাতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই – তাদের বিনাশ আমাদের লক্ষ"। হিটলারের বয়েস তখন পনেরো, গোয়েরিঙের এগারো, দুনিয়ার আলো দেখতে আইখমানের দু বছর বাকি। ... ...
আমি গত ১৭ জানুয়ারি ‘গুরুচণ্ডাঌ’ ব্লগ সাইটে একটি লেখা লিখেছিলাম কোভিড-অস্বীকারপন্থী এবং ভ্যাকসিন-বিরোধী ভুয়ো গুজব ও হিড়িকের বিরুদ্ধে, কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়েই। ‘চারনম্বরপ্ল্যাটফর্ম’-এ যে এর বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী ভাষায় একটি লেখা বেরিয়েছে, আমি তা মোটেই টের পাইনি, কয়েকদিন আগে আমার বন্ধুরা সে দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করার আগে পর্যন্ত। লেখাটি লিখেছেন জনৈক চিকিৎসক, আমার অপরিচিত। লেখাটির মধ্যে ‘সাত জার্মান, জগাই একা, তবুও জগাই লড়ে’ গোত্রের বেশ এক রকমের একটা বীরত্বব্যঞ্জক ভঙ্গি আছে। তাবৎ বিশ্বের বিলিয়নেয়ার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা, বড় বড় ওষুধ কোম্পানির মালিক আর পৃথিবীর সমস্ত দেশের সরকারি স্বাস্থ্য-কর্তারা সব একযোগে ভ্যাকসিনের সিরিঞ্জ উঁচিয়ে তেড়ে আসছে, আর তিনি ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের ছাতার বাঁট বাগিয়ে একা লড়ে যাচ্ছেন, এই রকম আর কি! সে লেখার প্রেক্ষিতেই, আমার এই জবাব। ... ...
বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্পর্কে আমাদের বাঙালীদের কিছু মিথ দিয়ে শুরু করা যাক। আমাদের চোখে বৈজ্ঞানিক মানে একজন রকস্টার, একজন আত্মকেন্দ্রিক উন্নাসিক ম্যাজিসিয়ান। গল্পে, কমিক্সে তাই যখন বিজ্ঞানীর চরিত্র আসে, সে আর পাঁচটা লোকের মত নয়। পুলিশের ডিটেকটিভের সাথে শার্লক হোমসের যা তফাৎ, একজন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানের শিক্ষকের সাথে প্রফেসর ক্যালকুলাস, ফিলিয়াস ফগ, বা প্রফেসর শঙ্কুর তফাৎ তার চেয়ে অনেক বেশী। এরা ঠিক মাটির মানুষ নয়। এরা নাহয় কল্পবিজ্ঞানের বিজ্ঞানী। কিন্তু আমরা যখন ফাইনম্যানের কথা পড়ছি, বা ডারউ ... ...
শিক্ষিত মধ্যবিত্তের তাহলে কী হবে? অ্যাবানডানড? যারা এই দুঃসময়েও পার্টিকে ভোট দিল, পাশে দাঁড়াল, তারা অপাংক্তেয়? তা অবশ্যই নয়। কমিউনিস্ট পার্টির প্রাথমিক অভিমুখ অবশ্যই গরীব, মেহনতি মানুষ - কৃষক, শ্রমশিল্পী - কিন্তু মধ্যবিত্ত মানুষ তার বাইরে পড়ে না। বহু মধ্যবিত্ত পরিবার আসলে নামেই মধ্যবিত্ত, শ্রেণীগতভাবে তাদের অবস্থান নিম্নবিত্তের থেকে খুব একটা ভাল নয় - এটা ভুললে চলবে না। কিন্তু "শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ" না হলে এই মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ কোথায়? এই প্রশ্নটাও, আবারও, প্রশ্নটা যত কঠিন, উত্তরটা তত নয়। বৃহৎ শিল্প মধ্যবিত্তের কর্মসংস্থান বাড়ায় বলে যে মিথ প্রচলিত আছে, সেই মিথ বার্স্টিং করার সদিচ্ছের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই প্রশ্নের সহজ উত্তর। ... ...
নয়ই নভেম্বর উনিশশ উনননব্বুই : কাস্তে নয়, হাতুড়ি দিয়ে এমনকি খালি হাতে জনতা যখন বার্লিন বিভাজক প্রাচীরটি ধ্বংসের প্রয়াসে উন্মত্ত, ভ্লাদিমির পুতিন নামক এক কে জি বি অফিসার পূর্ব জার্মানির গোয়েন্দা এজেন্সি স্টাজিকে ফোন করে পাঁচ ট্রাক ভর্তি ফাইল আনিয়ে পেট্রল সহ তাতে অগ্নি সংযোগ করছেন। তার আগে অবিশ্যি (আপন ভাষ্য অনুযায়ী) মস্কোয় ফোন করেছিলেন। গভীর বেদনার সঙ্গে পুতিন বলেন, মস্কো নিশ্চুপ ছিল সেদিন। সেই পুতিন দশ বছরের ভেতরে রাষ্ট্রপতি হয়েই বলেছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিনাশ বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড়ো ভূরাজনৈতিক বিপর্যয়। ... ...
বিকেলের চায়ে হবে মুচমুচে নিমকি চেবানো/পুরনো দিনের কথা বলবে না দেখো একজনও/হয়ত উত্তমকুমারের প্রসঙ্গ তুলে/পারমিতা দেবে হাত মাথার লুটিয়ে পড়া চুলে/তারপর শুরু হবে কার ছেলে ফিজিক্সে ভালো... সুমনের এই প্রায় বিস্মৃত গানটার কথা আমরা শুনেইছিলাম উত্তমকুমার পড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই। উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেনের ছবি, আমাদের পরিভাষায় পঞ্চাশের দশকের বাংলা সোশ্যাল, তখন এমএ স্তরে পড়তে হচ্ছে। আমি বড় হয়েছিলাম ফিল্ম সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে, বাড়িতে ফিল্ম দেখা বারণ ছিল অনেককাল। ফলে জনপ্রিয় ছবি একেবারে না দেখে ব ... ...
অশান্তি তাঁকে ক্রমাগত আঘাত করে যায়। সবাই শান্তিতে, স্বস্তিতে দিনযাপন করে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি তার স্বাদ পাচ্ছেন না। তাঁর জাগতিক কোনও কিছুর অভাব তো ছিলোনা। ঊনত্রিশ বছর বয়স হয়েছে। একজন যাবতীয় ক্ষাত্রবিদ্যায় নিপুণ নৃপতিপুত্র। বধূ শুয়ে ছিলো ঘরে, শিশুটিও ছিলো। তবু অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয়, কোন বিপন্নতা তাঁকে ঘরছাড়া করেছে, তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারেন না। জরা, ব্যধি, মৃত্যু'হীন এক মানবসমাজ তো নিতান্ত অসম্ভব সন্ধান। যদি রক্তমাংসের মানুষ এই প্রাকৃত পরিণতি'কে স্বীকার করতে বাধ্য হয়, তবে তার জন্য দুঃখ ... ...
লতা মঙ্গেশকর -- বিশাল মাপের এক শিল্পী চলে গেলেন। তাঁকে শেষ বিদায় ও শ্রদ্ধা জানালাম। এবং তার পরে কয়েকটা "শাস্তিযোগ্য" কথা লিখলাম। ... ...
বিরিয়ানি মৃত্যুর মতো'ই, গ্রেট লেভেলার। রাজাগজা থেকে হেলেচাষা, বিরিয়ানিতে সবার রুচি রয়েছে। প্রথমযুগে একটি ধর্মবিশেষের সঙ্গে একে যুক্ত করা হতো, এখন সে বালাই'টি বেশ কমেছে। কিন্তু বিদায় হয়নি। খোদ লখনউ বা হায়দরাবাদে বহু জনতা আছেন যাঁরা এই পদার্থটিকে যথেষ্ট 'গ্রহণযোগ্য' মনে করেন না। মানে ঐ ম্লেচ্ছ সংযোগগত মাত্রাটির জন্য। যাকগে চিত্রগুপ্ত মহাশয় তাঁদের পুনর্জন্ম বরাত করবেন। আমিন।-----------------------------------বিরিয়ানি নিয়ে লিখতে গেলে একটা মহাভারত না হলেও, শ্রীশ্রীচন্ডী নামিয়ে ফেলা যায়। সার ... ...
দিল্লি থেকে ব্যান্ডেল যাত্রাটা, সময়বিশেষে, ঠিক রাজধানী এক্সপ্রেসে করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাবার মতন সাধারণ থাকে না। দুটো জায়গা এতটাই দু'রকম, মনে হয়, টাইম ট্র্যাভেল করছি। একটা যুগ থেকে আরেকটা যুগে। একটা শতাব্দী থেকে আরেকটা শতাব্দীতে চলেছি। সেই যেখানে সময় এগোয় না, থেমে থাকে, কখনও ক্কচিৎ দুটো একটা পরিবর্তন চোখে পড়ে কি পড়ে না। জীবন গিয়াছে চলে কুড়ি কুড়ি বছরের পার। সেই পঁচানব্বই সালে ছেড়ে যাওয়া, আর ফিরে আসা হয় নি, হবেও না নিকট ভবিষ্যতে, তবু যেভাবে ছেড়ে গেছিলাম, জায়গাটা সেভাবেই রয়ে গেছে। রয়ে যায়। ... ...
প্রশ্নটা খুব সোজা হতে পারত – “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো করা কি ঠিক?” নেহাতই নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। হ্যাঁ বা না বলে কাটিয়ে দেওয়া যেত, যদি না আরও নানা রঙের প্রশ্ন এসে পড়ত সামনে – ... ...
আলিমুদ্দিন, আলিমুদ্দিন, বিপ্লব কবে পাবো?আলিমুদ্দিন, তুমি কি আর মানুষের কথা ভাবো?আলিমুদ্দিন, বিপ্লব বাঁশি তমাল তরুমূলেবাজিয়েছিলে, আমি তখন মাধ্যমিক ইস্কুলে। ছোট থেকেই এসএফআই করি, শ্রেণী সংগ্রাম,ভোটে তখন রিগিং করো, আগুনের নন্দীগ্রাম।আমি তখন অবাক হই, লজ্জায় হই লাল,আনলে কুমির আলিমুদ্দিন, কাটলে তুমি খাল।আলিমুদ্দিন, আলিমুদ্দিন, আদর্শ তো ভালো,ভাবনা জুড়ে জ্বলেছিল সমাজতন্ত্রের আলো।তোমার জন্য এক দৌড়ে ব্রিগেড ময়দানে,আলিমুদ্দিন, আমার বাবা কাজ করে ... ...
ভণিতা করার বিশেষ সময় নেই আজ্ঞে। যা হওয়ার ছিল, হয়ে গেছে আর তারপর যা হওয়ার ছিল সেটাও শুরু হয়ে গেছে। কাজেই সোজা আসল কথায় ঢুকে যাওয়াই ভালো। ভোটের রেজাল্টের দিন সকালে একজন আমাকে বললো "আজ একটু সাবধানে থেকো"। আমি বললাম, "কেন? কেউ আমায় ক্যালাবে বলেছে নাকি"? সে বললো, " না, বলা তো যায় না আজ কে কাকে ক্যালাবে... তাই..." এইবার কথা হচ্ছে, ফাটা দু'রকমের হয়। এক হলো ভয়ে ফেটে যাওয়া, আর দুই, প্রকৃত অর্থেই ফাটা, অর্থাৎ যখন কিনা চচ্চড় করে শব্দ বেরোয়। প্রথমে আমরা দ্বিতীয় রকমের ফাটার কথা ... ...
বেশ নেশায় পড়ে গেছি। কেবল পাখির কথা মনে হচ্ছে। চেম্বারে রোগী বলছে বুক ধুপধাপ করছে-আমার মাথায় ঘুরছে অ্যাশি প্রিনিয়া। রেড স্কেলড মুনিয়া। ইকো করতে করতে মনে পড়ছে ওরিয়েন্টাল হোয়াইট আই। যদি আর একটু সময় নিয়ে ছবি নিতাম। যদি আর একটু কেয়ারফুল থাকতাম! অত হন্তদন্ত ভাব কোনো পাখিই পছন্দ করে না।সার্কল অফ ফিয়ার বলে একটা ব্যাপার আছে না ! আহা, যদি সেন্টার ওয়েটেড মিটারিং রাখতাম! কেন যে ম্যাট্রিক্স মিটারিং ব্যাভার করতে গেলাম! আহা, যদি ৮০-৪০০ থাকতো ! আর একটু সময় পেলে পাইড কিংফিশারের ছবি হত। ওটা কী ঈগল-লং লেগড না কমন ... ...
'ভালো লাগছে না রে তোপসে' বা 'ডিলাগ্রান্ডি' বললে বাঙালি মননে এক ধরনের রিফ্লেক্স অ্যাকশন কাজ করে যেন। ফেলুদা/তোপসে, টেনিদা, ঘনাদা ইত্যাকার নামগুলি বাঙালির আড্ডার স্বাভাবিক উপাদান। এই অনুষঙ্গগুলি দিয়ে বাঙালি তার হিউমারের অভ্যাস ঝালিয়ে নেয়, কিছুটা আক্রান্ত হয় নস্টালজিয়াতেও।তবে, এইসবের মধ্যে বাল্যবেলায় পড়া কিছু কিশোরচরিত্ররা হারিয়ে গেছে, কিছুটা উপেক্ষিতই যেন তারা। ক'জন আর নগণ্য সাধু কালাচাঁদকে মনে রেখেছে? ট্যাঁপা-মদনা বললে আমরা ক'জনই বা সহসা আবার ক্লাস ফোরের পূজাপ্রাক্কালে চলে যাই? এইসব চরি ... ...
[আজ বের্টোল্ট ব্রেশট-এর মৃত্যুদিন। ভারতীয় চলচ্চিত্রে যিনি সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছিলেন ব্রেশটিয় আঙ্গিক, সেই মৃণাল সেনকে নিয়ে একটি সামান্য লেখা।] ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কীভাবে যেন পরিচালক ত্রয়ী সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণাল এক বিন্দুতে এসে মিলিত হন। ১৯৫৫-তে মুক্তি পাচ্ছে ‘পথের পাঁচালী’; একই বছরে মৃণাল করছেন তাঁর প্রথম ছবি ‘রাতভোর’; আর ভারতীয় সিনেমার প্রকৃত পথপ্রদর্শক হিসাবে যাঁর সম্মানিত হওয়ার কথা সেই ঋত্বিকের ১৯৫২ সালে তৈরি ‘নাগরিক’-এ অভিনয় করছেন গীতা সোম যিনি পরের বছরে ঘরনি হবেন মৃণালের। ... ...
কবিতা কৃষ্ণন নাকি টুইটে লিখেছেন, "সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল একনায়কতান্ত্রিক, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেয়ে ঢের খারাপ"। আমি টুইটার দেখিনা। হিন্দু তে দেখলাম ( **লিংক লেখার নিচে) । টুইটারের আড়াই লাইনে এইসব তত্ত্ব লেখার কী মানে জানিনা, অবশ্য গোটা পৃথিবীতেই রাজনীতি এখন রেটোরিক সর্বস্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব কিছু দেখিওনা, উত্তরও দিইনা। কিন্তু এইটা কবিতা কৃষ্ণন বলেই লিখতে হচ্ছে, কারণ, "প্রগতিশীল"রা একরকম করে আদর্শ পতাকাবাহক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই কবিতাকে উপস্থাপন করছেন। ফলে তাঁর বক্তব্যের কিছু ওজন আছে। এবং এটা ঠিক প্রেক্ষিতহীনভাবে একটা টুইট তুলে আনা নয়। হিন্দুতে দেখলাম, একই লাইনে কিছু কথাও বলেছেন। যেমন সোভিয়েত মডেলকে বিশ্বের খারাপতম একনায়কতান্ত্রিক মডেল হিসেবে দেখতে হবে। ... ...
কার্যকারণ সম্পর্ক জিনিসটা বেশ মজার। ধোঁয়া দেখলেই আমরা আগুনের অস্তিত্ব বুঝি, ভোরে উঠে রাস্তাঘাট ভিজে দেখলে আমরা আগের রাতের বৃষ্টি হয়েছিল কিনা মনে করার চেষ্টা করি, এ সবই কার্যকারণ সম্পর্কেরই খেলা। এবারে হয়েছে কি যে এই কার্যকারণ সম্পর্কের আইডিয়াটাকে আরেকটু বিস্তৃত করে যদি পদার্থবিদ্যার আঙ্গিনায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে কি হবে? লাপ্লাস (যাঁর আবিষ্কৃত নানান সুত্র ও আঙ্কিক পদ্ধতি ছাত্রজীবনে অনেক অসুবিধার সৃষ্টি করেছে) ঠিক এই কাজটাই করলেন, মোদ্যা কথায় তিনি যা বললেন, তা হল এই, সকল বস্তু ও জীব আদতে পরমা ... ...
যে কোনো শিক্ষকের ক্ষেত্রেই একথাগুলো প্রযোজ্য, বিশেষ করে প্রযোজ্য শ্রমজীবীর শিক্ষাব্রতীদের (আমার নিজের তো বটেই) সম্পর্কে।এই প্রশ্নগুলো/কথাগুলো মাথায় এল বলে লিখে ফেললাম। আপনাদের কী মনে হয় জানতে পারলে একটা আলোচনা করা যেতে পারে।১) আপনি কি বাচ্চাদের অপছন্দ করেন? যে বয়সের বাচ্চাদের আপনি পড়ান তাদের মধ্যে থাকার সময় আপনি কি আনন্দ পান? না কি বিরক্ত বোধ করেন?২) যে বিষয়টি আপনি পড়ান তা কি আপনার ভালো লাগে, না কি, ক্লান্তিকর মনে হয়? ‘বিষয়টি কেন পড়ান’, জিগ্যেস করলে আপনি এই উত্তরগুল ... ...